এক জিনিয়াসের কাহিনী

আমাদের এস এস সি এর প্রি-টেষ্ট পরীক্ষার আগে একদমই পড়ালেখা করি নাই। কি করমু, জীবনের প্রথম বড় পরীক্ষা। বুঝি নাই কতো টুকু সিরিয়াস হইতে হবে। তাই রেজাল্ট বেশি ভালো হয় নাই।বিশেষ করে উচ্চতর গনিতে আমরা কয়েকজন বেশ খারাপ করলাম। কোনোরকমে পাশ। আমরাও ওই সাবজেক্ট বেশি পড়ি নাই যেহেতু ৪র্থ বিষয়। কিন্তু প্রবলেম করলো স্যার। ঘোষনা করা হলো আমাদের আবার পরীক্ষা দিতে হবে। ভালো না করলে আমাদের ফর্ম ফিলাপ করতে দিবে না।

বিস্তারিত»

আমার প্রেমিকারা-৩

বয়স সে এক বিশাল ধাঁধাঁ।এই ধাঁধাঁর ঘোর এখন ও আমার কাটলো না।ছোটবেলায় বয়স যখন খুব কম, স্কুলে পড়ি তখন, ক্লাসের এক বান্ধবীকে প্রেম নিবেদন করেছি মাত্র। সাহস ও ছিলনা তখন খুব একটা।স্কুল ছুটির সময় মনে অনেক সাহস সঞ্চয় করে খালি একখানা চিরকূট দিয়ে লিখেছি- ‘তোমায় দেখলে নড়ে হৃদয়ের পেশি’।তারপর সারাদিনের সেকি উত্তেজনা।সে গল্পে আজকে আর না যাই।অবশেষে পরের দিন তিনি যখন ক্লাসে এলেন,আমার তখন হৃদস্পন্দন চলছে মাইক্রো সেকেন্ডে।সারাদিন অপেক্ষায় রেখে ঠিক ছুটির সময় আমাকে পাল্টা আরেক খানা চিরকূট পাঠালেন।তাতে লেখা-‘তোমার বয়স কম,চয়েজ বেশি’।

বিস্তারিত»

বুয়ার ডিভি লটারী!!!

যারা এইবার অনলাইনে ডিভি-২০১১ এর জন্য আবেদন করেছেন, তাদের জন্য এই ছোট্ট লেখাটা পড়া ফরয! এই তো গতকাল দুপুরে খাবার সময় আমাদের বাসার বুয়া আম্মুকে বললোঃ
“আফা, দোয়া কইরেন, ডিবি এইবার ফাইয়া গেলে হয়, আমরিকা জামুগা! এই দেশে আর না।”
আম্মুর প্রশ্নঃ “তুমি ডিভির ফর্ম জমা দিছো? এখন তো সব কম্পিউটারে করতে হয়, তোমারটা কে করে দিলো?”
বুয়াঃ “ফরম দেওন লাগবো না আফা।

বিস্তারিত»

আজাইরা প্যাঁচাল ও কিছু কথা!!

ঈদের আগে আগেই শেষ করলাম একমাসের ইন্ডাস্ট্রিয়াল ট্রেনিং। এই বছরটার শুরুতেই জানতাম, এরকম একটা সুযোগ ভার্সিটি থেকেই করে দেয়া হবে। মনে মনে ভাবলাম, “যা বাবা, ক্লাস রুমে বইসা বইসা তো অনেক থিওরি কচলাইলাম… এইবার তো রিয়েল ফিল্ডে গিয়া সব শিখা ফালামু… মামা, পারলে ঠেকাও!!!”

যাই হোক, যথাসময়ে “ঘোড়াশাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রে” হাজির হলাম। মনে অনেক আশা, দেশের সবচেয়ে বড় বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র, নামি দামি ইঞ্জিনিয়াররা এইখানে,

বিস্তারিত»

ঘুম

সবাই হয়তো ভাবছেন, আমি এক একটা লেখা জমা দিয়ে বারবার ঘুমিয়ে পড়ি। আসলে ব্যাপারটা কিন্তু সেরকম কিছু নয়। গত দেড়মাস সিসিবিতে আমার অনুপস্থিতি উরফে ঘুমানোর কারন দুটি। প্রথমত, দীর্ঘদিন ধরে ল্যাপটপ নষ্ট থাকা আর দ্বিতীয়ত, একসাথে দুটি এ্যাপয়েন্টমেন্টে কাজ করার কারনে প্রচন্ড ব্যস্ত সময় পার করা। যাই হোক এবার ঈদ পরবর্তী ছুটিতে এসে কিছুটা সময় বের করতে পারলাম। সিসিবিতে কিছু একটা লিখার জন্য দুদিন যাবত আমার আঙ্গুল চুলকাচ্ছে।

বিস্তারিত»

অসংলগ্ন ভাবনাচিন্তা ……… হা পিত্যেশ পর্ব

বহুদিন হয় কোনো কিছু লেখা হচ্ছে না। আসলে লেখা তো দূরে থাকুক, সিসিবির পোস্টগুলো পড়ে ঠিকঠাক মতন কমেন্টও করা হচ্ছে না। দুই সপ্তাহ আগে মনে হয়, ছোট্ট রকিব মেইল দিয়ে বলেছিলো একটা লেখা দিতে। আসলে লিখতে কিন্তু খুব ইচ্ছে করে। বহুদিন ধরে একটা গল্পের প্লট মাথায় ঘুরছে, শব্দে রুপ দেয়া হচ্ছে না সেটাকে। মাঝখানে শখ হয়ে ছিলো অনুবাদ লিখবো। কিন্তু যে বইগুলো পড়ছি, সেগুলো সুন্দর করে অনুবাদ করার সাধ্য এবং ধৈর্য- দুইটারই অভাব আছে আমার মধ্যে।

বিস্তারিত»

আড়াই চক্কর

একটা জীবন শেষ করলাম। ঘোরের মধ্যে ছিলাম, আছিও হয়ত। ভাল লাগাটা এই পর্যায়ে ছিল যে লোকনাথের দোকানে বসে ডালপুরি খাওয়া এক বালকের টক দিয়ে সালাদের মাখামাখিতেও আমার মুগ্ধতা ছিল, কিংবা দুপুর বেলাতে শুয়ে শুয়ে বিছানার পাশের জানালা দিয়ে আকাশে খাবারের খোঁজে পাক খাওয়া পাখিদের দেখাতেও। আফিসার্স ক্লাবের ছাদে বসে চানাবুট আর পিঁয়াজু চিবুতে চিবুতে এক ঝাক চড়ুইয়ের সাথে সখ্যতা, আকাশে তাদের কিচির মিচির আর একপাশে শীতলক্ষ্যা।

বিস্তারিত»

কৈশোর

56

রাত দুইটার সময় যদি কেউ ঘুম ভাঙিয়ে বলে “স্যার আপনারে ডাকে”-তাহলে কেমন মেজাজ গরম হয়!ঠিক সেই ঘটনাই ঘটলো!রাত দুইটায় হাউজ বেয়ারা গফুর ভাই দরোজা ধাক্কিয়ে ঘুম ভাঙালো,বললো
-আপনারে স্যার ডাকতাসে!
-“স্যার মানে?কোন স্যার?”আমার গলায় তীব্র বিরক্তি!
-ডি এম সাবের স্যার।স্যার ওইখানে খাড়ায়া আছে।
জানালায় দাঁড়িয়ে দেখলাম ডি এম রুমের লাইটা জ্বালানো,বাইরে একটা ছায়ামূর্তি দাঁড়িয়ে!সাবের স্যার,ক্যাডেট কলেজে সবচেয়ে অপছন্দ করি এমন স্যারদের একজন।আমাদের ইংরেজী পড়ায়।পড়ায় মানে ক্লাসে আসে আর কি!পড়াশোনা কিচ্ছু নাই!আর ক্যাডেটদেরও নাক একটু উঁচু,ইংলিশ ভার্সনে পড়ি…ইংরেজী তো আমরা পারিই!তাই স্যারও অবসরে শুধু কার কী ফল্ট আছে এইসব খুঁজে বেড়ায়!আর সবসময় দেখেছি ইংলিশ ডিপার্টমেন্টটাই বজ্জাত হয় সবচেয়ে বেশী।আর ইয়াং টিচারদের গ্রুপদেরও নাম থাকে আলাদা,যেমন বন্ড,ডগ স্কোয়াড ইত্যাদি!

বিস্তারিত»

ছোটবেলার ঈদ কিংবা বড় বেলার কম্পু দিন

“আজ ঈদ, মদীনার ঘরে ঘরে আনন্দ”- কোন একটা ছোট ক্লাসের বাংলা বইয়ের এই লাইনটা সম্ভবত আমাদের অনেকের ছোটবেলার ঈদের সবচেয়ে উজ্জ্বল বিজ্ঞাপন। ঈদের আগের সন্ধ্যায় চাঁদ দেখার জন্য ব্যস্ততা, সকাল বেলা গোসল শেষে নামায আর তারপর বাড়ি বাড়ি ঘুরে ঘুরে সালাম আর সেই সাথে সালামীর ভাগ। আর কোরবাণী ঈদের সময় পশু নিয়ে আমারা ছোটদের ছোটাছুটি মাঝেমাঝে বড়দের ব্যস্ততাকেও ছাড়িয়ে যেত নিশ্চিত। এত এত ব্যস্ততার মাঝে তখন বুঝতে পারিনি কিন্তু এখন নিশ্চিত কলোনী কিংবা গ্রামের বাড়িতে করা সেইসব ছোটবেলার ঈদ স্মৃতির দৌড়ে এগিয়ে থাকবে বহুদূর।

বিস্তারিত»

আমার দু’চোখ উপড়ে ফেলে অন্ধ করে দিও

আমার দু’চোখ উপড়ে ফেলে অন্ধ করে দিও
হৃদয়টাকে হিঁচড়ে টেনে শূণ্য করে দিও
বোধের ঘরে নষ্ট ঘুণে
পুড়িয়ে দিও নীল আগুনে
জ্বালিয়ে দিও অস্থি-মজ্জা যেটুক থাকে বাকি
পারলে দিও নির্বাসনে একলা যেন থাকি!

কেউ যেন না পায় এ আমার নীরব প্রেমের জল
কেউ যেন না হয় আর অমন হঠাৎ বিহবল
তোমার প্রেমের অনন্তলোক
আমার আকাশ নিবদ্ধ হোক
কেবল যেন তোমায় আমি দেবী বলে মানি,

বিস্তারিত»

কবি

যখন বয়েস কম ছিলো, অনেক সাহসী ছিলাম তখন। একেকটা ছোট ছোট রুলটানা কাগজের ডায়েরি, সেগুলোতে গোল গোল হরফে নানা রকম হাবিজাবি লিখে রাখতাম। কেউ জিজ্ঞেস করলে যে “কী এগুলো?”, নেপোলিয়ান অথবা আলেকজান্ডারের চেয়েও বেশি অহমিকা নিয়ে উত্তর দিতাম, “এগুলো কবিতা। কবিতা লিখেছি। ”
তারপর অনেকদিন গেলো। দিন যেতে যেতে পৃথিবীতে সবচেয়ে বাজে যে ব্যাপারটা ঘটল তা হলো যে, আমি বড় হয়ে গেলাম।

কেন যে বড় হলাম,

বিস্তারিত»

দিনলিপিঃ ঈদ মোবারক এবং অন্যান্য

সিসিবি তে প্রথম দিকে লিখতে গেলে যেমন লাগতো, এখন অনেকটা সিরকম লাগছে। কারন অনেক অনেক দিন পর লিখতে বসলাম।

নাহ, আসলে তেমন কোনো কারন নাই না লিখার।বিভিন্ন কারনে লেখা হচ্ছিলো না। আর নতুন নতুন অনেক লেখকের লেখা দেখতে ভালোই লাগে। কিন্তু গত কিছুদিন ধরেই সিসিবি কেমন যেনো একটু আস্তে আস্তে যাচ্ছে। লেখা কম, কমেন্ট কম। আগে যেখানে দুই ঘন্টা কমেন্ট এর ট্র্যাক না রাখলে আর খুজে পাওয়া যেতো না,

বিস্তারিত»

হঠাৎ করে মনে হলো ভুল করেছি ভালোবাসায়

হঠাৎ করে মনে হলো ভুল করেছি ভালোবাসার
শুকনো হ্রদে নাও ভাসিয়ে
কপাল বেয়ে নেমে আসা স্বেদের ধারা স্ফুলিঙ্গ হয়
ভিজিয়ে দেয় ক্লান্ত প্রহর শ্যামল ছাতের নিওন বাতি
প্রবাহমান আলোর রেখা
সবুজ আলোয় হাত পুড়িয়ে ভুল করেছি ভালোবাসার
নীল হাওয়াতে উড়িয়ে ঘুড়ি
স্বপ্নস্রোতের রাজফটকে পেন্সিল হাতে দ্বারপ্রহরী
খসড়া আঁকে নাটাই হাতে এক বালকের উদাস চোখের
আগুন যত গুমড়ে মরে বুকের ভেতর
মাটির চুলোয় মন পুড়িয়ে ভুল করেছি ভালোবাসার
লালচে ঠোঁটে চুমু খেয়ে
কালকে রাতে চাঁদের সাদা জোৎস্না মাঠে খেলতেছিল
মেঘের সাথে,সেই সুযোগে এই দু’জনার হাটাহাটি
সমস্ত রাত আবছা ছায়ায় হাতটি ধরে গল্প বলা
বিদায়ক্ষণে আলতো ছুঁয়ে ভুল করেছি,ভুল করেছি!

বিস্তারিত»

ফৌজদারহাটের সুবর্ণজয়ন্তী : লেখা চাই

ফৌজদারহাটের ৫০ বছর পূর্ণ হয়েছে গতবছর। একই সঙ্গে এদেশে ক্যাডেট কলেজ শিক্ষারও ৫০ বছর পার হয়েছে। ডিসেম্বরের ২৫ থেকে ২৭ ফৌজদারহাটে তাই সুবর্ণজয়ন্তী উৎসব হবে। ফৌজদারহাটের অনেকেই সেই উৎসবে সামিল হবো।

“ফৌজদারহাট ক্যাডেট কলেজের ৫০ বছর : ক্যাডেট কলেজ শিক্ষার ৫০ বছর” শিরোনামে একটা দ্বিভাষিক সংকলন বের হবে। এতে ফৌজদারহাটের ক্যাডেট, শিক্ষক, ক্যাডেটদের দেখেছেন-কাজ করেছেন এমন ব্যক্তিত্ব এবং বাকি ক্যাডেট কলেজগুলোর ক্যাডেটদের লেখা থাকবে।

বিস্তারিত»