আমি একজন নারী। নিজেকে মাঝে মাঝে খুব অসহায় মনে হয়েছে, আবার কখনও কখনও দূর্গার মত শক্তিধর মনে হয়েছে। যখন নাটক নভেল গুলোতে নানা রঙ্গে ঢঙ্গে নায়িকার শৈল্পিক উপস্থাপন পড়েছি তখন নিজের অজান্তেই অনেক মজা লাগতো, হিরোইনের জায়গায় নিজেকেই কল্পনা করে ফেলতেও সামান্য দ্বিধা হয়নি কখনোই। জোরে শব্দ করে হাসার কারণে খুব টিপিকাল আমার মা যখন বলতো “মেয়েদের এভাবে হাসতে হয়না” মায়ের উপর রাগের পাশাপাশি নিজের উপরও মেয়ে হয়ে জন্মানোর জন্য যে সামান্যও অনুশোচনা হয়নি তা বোধহয় বুকে হাত দিয়ে বলতে পারবো না। ছেলে হয়ে জন্মাইনি বলে বড় বয়সে রাস্তায় সাইকেল চালাতে পারিনি, চলন্ত ট্রেনের ছাঁদে বসে চলার ইচ্ছাটাও এ জীবনে পূরণ হবার নয়। অবশ্য নারী না হলে মা হতে পারতাম না, গর্ভে নয় মাস ধারণ করে এক বিন্দু ভ্রূণকে রক্ত, মাংস, নখ, চুল, পাপড়ি, শিরা, হাড় সব তিলে তিলে তৈরী করে দাঁড় করিয়েছি মানব সন্তানে। আবার যখন আমার এক পরিচিতা তার স্বামীর কাছে প্রহৃত হয়ে শাশুড়ির কাছে থেকে সান্তনাবাণী শুনেছে, “কি করবে বল মা, মেয়ে হয়ে জন্মেছ এটুকু তো সহ্য করতেই হবে” তখন ক্ষোভে ফেটে পড়তে ইচ্ছে করেছিল সেই নারীদেরই উপর। আমার উপর আমার সংসার দাঁড়িয়ে আছে। আমিই তৈরী করব আগামীর ভবিষ্যৎ। সম্পর্কের টানাপোড়ন সামাল দিয়ে, সংসারের হাজারটা কাজের ঝড়ঝাপটা ম্যানেজ করে এখন আমি ঘরে বাইরে দৃপ্ত পায়ে এগিয়ে চলছি। কিন্তু কষ্ট লাগে তখনই, যখন বাচ্চার অসুখ কিম্বা পরীক্ষার সময় অফিস থেকে আমাকেই ছুটি নিতে হয়, আমার স্বামীকে নয়। নিজেকে এই সংসারটার জন্য শেষ করে দিচ্ছি। বিনিময়ে একটা ধন্যবাদ পর্যন্ত পাইনি। ছেলেপুলে গুলো বড় হয়েছে। ওদের জন্য স্বামীর কাছে কম কথা শুনিনি সারাটা জীবন। এখন বলে “মা, তুমি কিছুই জান না!” মাথায় হাজারটা টেনশন, বাচ্চার অসুখ, পড়াশুনা, শশুরবাড়ির সবার মনরক্ষা, লিমিটেড টাকায় মাস চালানো, পরিবারের পুষ্টি স্বাস্থ্য নিশ্চিত করা, বাজার করা, কাজের বুয়ার নাটকীয় পর্ব… সব মিলিয়ে মাঝে মাঝে খুব অধৈর্য আবার মাঝে মাঝে নিজেকে বিশাল কিছু একটা মনে হতে থাকে। পাবলিক ট্রান্সপোর্টে আমার জন্য আলাদা সিট থাকবে, সে তো আমার অবশ্যই প্রাপ্য, এই নিয়েও ছেলেরা হিংসা করে। মেয়েদের সমঅধিকার না কেবল, আমার তো মনে হয় অধিক অধিকার দেওয়া উচিৎ।
আমি একজন পুরুষ। নারীবাদ নারীবাদ নিয়ে যত যা চিৎকারই হোক না কেন, আমি কেন এই গোটা বিশ্বের কীট-পতঙ্গও জানে আমিই পিতা, আমিই শক্তির উৎস। পেশীশক্তি না কেবল, আমার ম্যানেজমেন্ট স্কিলের কারণেই আমি সংসারে মুখ্যকর্তা। আমি আমার স্বাধীনতার প্রতিটি বিন্দু উপভোগ করি। রাত করে পাড়ার রাস্তা দিয়ে হাতে সিগেরেট ফুঁকে শীস বাজাতে বাজাতে বাড়ি ফিরেছি যখন নিজের পুরুষ হওয়ার উপর কিছুটা গর্ব কি হয়নি? বাড়ির মহিলারা সংসারের তুচ্ছাতিতুচ্ছ বিষয় নিয়ে কানের সামনে ঘ্যান ঘ্যান করলে আমি বিরক্তিতে বাড়ি ছেড়ে বেড়িয়ে পরলে আমাকে কেউ কিছু বলার নেই। আমার মঙ্গল প্রার্থনায় আমার মা, বোন বা স্ত্রী যখন জায়নামাজে পড়ে থাকে আমি লুকিয়ে লুকিয়ে প্রশান্তির মুচকি হাসি দেই। অথচ এই আমাকেই কি প্রচন্ড জীবন যুদ্ধে অবতীর্ণ হতে হচ্ছে প্রতিদিন, জীবনের জন্য, জীবিকার জন্য। আমার জন্য প্রার্থনা করবে নাই বা কেন? আমিই তো ভরসা, আমিই যে ওদের আশ্রয়। বোনের বিয়ের ভাবনা, ছোটটার পড়ার চিন্তা, নিজের গুলোর সার্বিক ভালোমন্দে আমার টেনশনের কথা কেউ কি ফিল করে একবারও? তখন মনে হতে থাকে দূর ছাই পুরুষ হয়ে জন্মানোটাই আসলে ভুল হয়েছে। এতো দায়িত্বের বোঝা আর বইতে ভালো লাগে না। ইদানীং তো আবার কর্মক্ষেত্রে নারীর সম অধিকার প্রতিষ্ঠা হয়েছে। কিন্তু সম অধিকার খালি নামেই। মেয়েরা মা হলে বিশাল এক ছুটি পাচ্ছে, ঠিক আছে তা না হয় পাবেই। কিন্তু রাতের পর রাত জেগে সিজার হওয়া বউ এর যত্ন আত্তি করা থেকে শুরু করে বাচ্চার কেও মেও শুনে সারা রাত না ঘুমিয়ে সকালে রেড কার্ড চোখে নিয়ে দেরী করে অফিসে হাজিরা দেবার সময় বসের রেড এ্যালার্টটা যখন পাই তখন আসলে কারো উপর অভিযোগ করার মত অবস্থাও আর থাকে না। এতো করি সংসারটার জন্যে, ছেলেপুলের জন্য, অথচ বাচ্চাগুলো মা বলতে অজ্ঞান। একটা মাথায় আমাকে সংসারের বোঝা, অফিসের মিটিং, ফাইল, ক্লায়েন্ট, বস, বোর্ড অফ ডিরেক্টর, গাড়ির লোন, এসির লোন, ফ্ল্যাটের কিস্তি সব কিছু সামালতে গিয়ে মাঝে মাঝে মনে হতে থাকে “খোদা, তুমি আমাকে কেন পুরুষ বানালে, আর বানালেই যখন, সুপারম্যান বানালে না কেন?”
আমি একজন মানুষ। সৃষ্টিকর্তা বানিয়েছেন আমাকে সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ জীব হিসেবে। আমি আমার শ্রেষ্ঠত্ব উপভোগ করি ভীষণ ভাবে। এই পুর দুনিয়াতে আমার মত বিচক্ষণ প্রাণী দ্বিতীয়টি নেই। আমি বিজ্ঞান দিয়ে আবিষ্কার করি, সাহিত্য দিয়ে মানুষের মনে ভাবনা জাগাই, সংবিধান তৈরী করি, মাঝে মাঝে সৃষ্টিকর্তাকেও তুচ্ছজ্ঞান করি, প্রকৃতির রঙ তুলে আনি ক্যানভাসে, ইটের পর ইট গেঁথে সভ্যতা বানাই, সুর ছন্দ লয় দিয়ে রচনা করি মূর্ছনা, নিজের বুদ্ধি খাটিয়ে সুস্বাদু মুখরোচক খাবার রান্না করি, সুতার কারসাজি দিয়ে নিজেকে সাজাই নিত্যি নতুন সাজের পোষাকে, ছাই থেকে খুঁজে নেই সোনা, বিনিময়ের খেলায় অর্থনীতির মোড় ঘুরাই লাটাইয়ের মত। আমার আসলে কিন্তু কোন তুলনাই চলে না। তারপরও যুগে যুগে কবির কালিতে ফুটে উঠছে হাজারো মানুষের মনে ঘাসফরিং কিংবা শালিক অথবা প্রজাপতির রূপ নিয়ে পূনর্জন্মের বাসনা। এতো শ্রেষ্ঠত্বের পরও আমরা বীরত্বের জন্য ব্যাঘ্র, ধুর্ততার জন্য শেয়াল, ক্ষিপ্রতার জন্য চিতা বা আরব্য অশ্ব, শক্তির জন্য সিংহের উপমা টেনে দেই! আমরাই এই গোটা বিশ্বেকে কাগজের মত টূকরো টুকরো ছিড়েছি, দেশ, মহাদেশে বিভক্ত করেছি, সীমানা টেনেছি, বাহিনী বানিয়েছি সেটা আবার রক্ষার জন্য, পাসপোর্ট, ভিসা আর কত কি যে করেছি…করেই যাচ্ছি, আবার এই আমরাই “গ্লোবালাইযেশন” নামের প্রহসন করে যাচ্ছি। সম্পদ নিয়ে, সীমানা নিয়ে, জমি নিয়ে এই জবরদখল প্রথা গ্রাম থেকে আরম্ভ করে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ছড়িয়ে আছে, হয়ত মাত্রা আর পন্থায় সামান্য রদবদল আনা হয়েছে। আমরা আমাদের মারছি, পোড়াচ্ছি, কাটছি, রক্ত নিয়ে খেলা করছি। এই আমরাই আবার অন্যের কষ্টে মরিয়া হয়ে সাহায্যের জন্য জীবন দিতেও দ্বিধা করছি না কখনো কখনো। নিজেরা অমর হবার আশায় ঘর বাঁধছি, সন্তান আনছি এই পৃথিবীতে। ঘর ভাঙ্গছি, আইন করে সন্তানকে ভাগ করে নিচ্ছি। সভ্যতা এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি। এই সভত্যায় এখন ঘর বাঁধারও প্রয়োজন পরছে না আজকাল, সন্তান এসে যাচ্ছে আকাশ থেকে টুপ করেই যেন! পুরুষ দোষ দিচ্ছে নারী কে, নারী পুরুষকে। কাঁদা ছুড়োছুড়ি চলছে অবিরত। নারী পুরুষ যে যার নিজ নিজ কষ্ট, তার ত্যাগ, তার ক্ষমতা বোঝাতে ব্যাস্ত। এই ব্যাস্ততায় আমরা ভুলে যাই মানুষ হিসীবে আমাদের শ্রেষ্ঠত্বের কথা, মানুষ হিসেবে আমাদের ব্যার্থতার কথা, মানুষ হিসেবে আমাদের অপারগতার কথা, মানুষ হিসেবে আমাদের দায়বদ্ধতার কথা, সীমাবদ্ধতার কথা।
আসুন আমরা নারী বা পুরুষ হিসেবে নিজেদের মহৎ” না ভেবে মানুষ হিসেবে নিজেদের আরেকবার শ্রেষ্ঠ প্রমান করি। একবারের জন্য হলেও দুইজন দুইজনের কষ্টটা উপলব্ধি করি। নীচে একটা গল্প দিলাম কিছুদিন আগে ফেইসবুকে পাওয়া জনপ্রিয় অভিনেতা আবুল হায়াত অভিনিত একটা খুব সম্ভব কোন নাটকের অংশবিশেষ। আমি কিছুটা এডিট করেছি। মূল গল্পে “মানুষ” এর স্থলে “পুরুষ মানুষ” বলা হয়েছে বারবার। কিন্তু আমার মনে হয়েছে এইটা খুব বেশি সত্য “মানুষের” বেলায়।
গাধাকে সৃষ্টি করার পর তাকে বলা হল সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত তাকে অক্লান্ত পরিশ্রম করতে হবে। সারাজীবন তাকে অন্যের বোঝা বইতে হবে এবং তার মাথায় কোন বুদ্ধি থাকবে না, খাবে কেবল ঘাস। তার আয়ু হবে ৫০ বছর। গাধা করজোড়ে সৃষ্টিকর্তার কাছে আবেদন করে বলল, “আমি এত বছর বাঁচতে চাই না, আমাকে ২০ বছর আয়ু দেওয়া হোক।” সৃষ্টিকর্তা তা মঞ্জুর করলেন।
কুকুরকে সৃষ্টি করে বলা হল সে হবে মানুষের সবচেয়ে বিশ্বাসভাজন বন্ধু কিন্তু সে খাবে মানুষের উচ্ছিষ্ট আর তার আয়ু হবে ৩০ বছর। কুকুর বলল, “আমি এত বছর বাঁচতে চাইনা, আমাকে ১৫ বছর আয়ু দেওয়া হোক।” সৃষ্টিকর্তা তাও মেনে নিলেন।
এরপর বানর। বলা হল, “তুমি কেবল এডাল থেকে ওডলে ঝুলবে আর নানা রকম ফন্দি ফিকির করে মানুষকে আনন্দ দিবে। আর তোমার আয়ু হবে ২০ বছর।” বানর সেটা কমিয়ে ১০ বছরে নিয়ে আসল।
এর পর আসল মানুষের পালা, বলা হল, “তুমি হবে প্রানীকূলের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ, বিচক্ষণ এবং বুদ্ধিমান। তাই তোমাকে করা হল প্রানীদের শিরমনি। তোমার আয়ু হবে ২০ বছর। তখন মানুষ করজোড়ে বলল, “২০ বছর অত্যন্ত কম, আমি আরো বাঁচতে চাই। ওই যে গাধার না নেওয়া ৩০ বছর, কুকুরের না নেওয়া ১৫ বছর আর বানরের না নেওয়া ১০ বছর আমাকে দেওয়া হোক।” সৃষ্টিকর্তা সেটা মঞ্জুর করে দিলেন। সেই থেকে মানুষের জীবনের প্রথম ২০ বছর কাটে মানুষের মত, এর পরের ৩০ বছর কাটে গাধার মত সংসারের বোঝা বইতে বইতে, পরের ১৫ বছর ছেলেমেয়েদের দেওয়া উচ্ছিষ্ট খেয়ে কাটায়, আর শেষের বৃদ্ধ বয়সে বানরের মত এই ছেলের বাড়ি থেকে ওই ছেলের বাড়ি ঝুলে থাকা আর নানা রকম ফন্দি ফিকির করে নাতি নাতনীর মনোরঙ্গন করে।
সবার উপরে মানুষ সত্য তাহার উপরে নাই :boss: :boss:
রেশাদ, তোর লেখার উপর নাই 😛
You cannot hangout with negative people and expect a positive life.
ইটা রেখে গেলাম।
বানানভুলের লিস্টি নিয়া আইতাসি।
লেখা পড়ে মনটা খারাপ ভালো দুই-ই হলো।
ডরাইছিইইইইই............ :no: :no: :no: :bash: :bash:
You cannot hangout with negative people and expect a positive life.
৩ নং ইটা।
পইড়া আবার কমেন্টামু।
চ্যারিটি বিগিনস এট হোম
😛
You cannot hangout with negative people and expect a positive life.
পুরো লেখাটা পড়লাম। অসাধারন।
চ্যারিটি বিগিনস এট হোম
:thumbup:
চ্যারিটি বিগিনস এট হোম
মাষ্টার সা'ব আহমদ বস আমার লেখা অসাধারন বলছে :awesome: । ওরে আমি কত ভস (বসের বোন) রে B-)
You cannot hangout with negative people and expect a positive life.
ছেলে এবং মেয়েদের দৃষ্টিকোণ থেকে ব্যাখ্যাটা খুব সুন্দর ছিল,মানুষের অনূভুতির শাশ্বত রূপ এমনই বোধহয়।
ধন্যবাদ আমিনুল।
You cannot hangout with negative people and expect a positive life.
খুব ভাল লিখছস দোস্ত। রূপের জন্মের সময় আমি মাত্র নয় দিন ঘুমাই নাই, কিন্তু রূপা (রূপের মা) যে দিনের পর দিন নির্ঘুম, অস্থির সময় পার করেছে তার তুলনায় আমিতো কিছুই করিনি। পুরুষ হিসেবে আমার কিছু বলার নেই তবে মানুষ হিসেবে বারবারই আমার মনে হয় পুরুষেরা হয়তো একটু বেশীই সুবিধা পাওয়ার দলে।
বানানদা কিন্তু ঠিকই কইছে। :grr:
জিতু,
দারুন!
মানুষ হিসেবে আমাদের ভিতরকার দ্বৈতসত্ত্বাটা বেশ ভালো তুলে ধরেছো। (সম্পাদিত)
There is no royal road to science, and only those who do not dread the fatiguing climb of its steep paths have a chance of gaining its luminous summits.- Karl Marx
মাহমুদ ভাই, অসংখ্য ধন্যবাদ।
You cannot hangout with negative people and expect a positive life.
রেশাদ, তুই যে অন্তত এটা উপলব্ধি করতে পারছিস, সেই বা কম কি? অনেকে সেটাও তো করে না। রূপ আর রূপা ভাবী দুইজনকেই শুভেচ্ছা।
You cannot hangout with negative people and expect a positive life.
রেশাদ ভাই ,ভাবী আর ভাতিজির নাম দেইখা মজা পাইলাম .....!বরই সৌন্দর্য্য 🙂
আবার ঘাপলা, রূপ তোর ভাইস্তা। 😀
😮 .....
😮 😮 😮
যেমন রক্তের মধ্যে জন্ম নেয় সোনালি অসুখ-তারপর ফুটে ওঠে ত্বকে মাংসে বীভৎস ক্ষরতা।
জাতির শরীরে আজ তেম্নি দ্যাখো দুরারোগ্য ব্যাধি - ধর্মান্ধ পিশাচ আর পরকাল ব্যবসায়ি রূপে
- রুদ্র মুহম্মদ শহীদুল্লাহ
রিফাত, কিবরিয়া, এই তোমাদের মুখে মাছি ঢুকলো বলে!!!
You cannot hangout with negative people and expect a positive life.
দুই দিক থেকেই যেভাবে পর্যবেক্ষণ করেছেন তা অতুলনীয় :clap: :clap:
ধন্যবাদ আরিফ আমীঈঈঈঈণ!
You cannot hangout with negative people and expect a positive life.
সবার উপর শেখ হাসিনা সত্য তাহার উপরে নাই।।
(আগামী ইলেকশনের আগে পর্যন্ত 😀 )
:)) :((
ইহারাও মানুষ 😮 😮
You cannot hangout with negative people and expect a positive life.
সন্দেহ আছে মনে হচ্ছে। 😀
;))
You cannot hangout with negative people and expect a positive life.
কী ভাবে যেন নিজেকে মানুষ হিসেবে ভাবার আগেই নিজের অজান্তেই পারিপার্শ্বিকতার (!) প্রভাবে নিজেকে আমরা মানুষ ভাবার আগে নারী কিংবা পুরুষ ভাবতে শুরু করে দেই। নারীর সমানাধিকার নিয়ে আলোচনা করি, কিন্তু মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে নারী-পুরুষ উভয়ের সাম্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করতে ব্যর্থ হয়ে পড়ি। 🙁
আপু কয়েকটা বানান একটু বদলে দিয়েনঃ
নোভেল- নভেল
ধারন- ধারণ
ভ্রূনকে- ভ্রূণকে
হাঁড়- হাড়
তৈরী- তৈরি (প্রমিত রীতি অনুসারে)
প্রহারিত- প্রহৃত
শাশুরির- শাশুড়ির
টানাপোরন- টানাপোড়ন
ঝরঝাপ্টা- ঝড়ঝাপটা
অধৈর্য্য- অধৈর্য
স্বাধীণতার- স্বাধীনতার
প্রচণ্ড- প্রচন্ড
অজ্ঞ্যান- অজ্ঞান
ভীষন- ভীষণ
বিচক্ষন- বিচক্ষণ
প্রানী- প্রাণী
দ্বিতিয়টি- দ্বিতীয়টি
তুচ্ছজ্ঞ্যান- তুচ্ছজ্ঞান
মূর্ছণা- মূর্ছনা
মুখোরচক- মুখরোচক
খুজে- খুঁজে
অর্থনিতীর- অর্থনীতির
ঘুড়াই- ঘুরাই
অফটপিক-১: নারী-পুরুষ ছাড়াও নাকী আরো একটা গ্রুপ আছে 😛 ।
অফটপিক-২: ক্ষিদা লাগছে, ডিনার করান আজকে 😀
বানান ভুলে আমি দেখি রেকর্ড করতে যাচ্ছি :bash: :bash: :bash: :bash:
You cannot hangout with negative people and expect a positive life.
ধুরু আপু, উপরের বেশি ভাগগুলোই টাইপিং মিস্টেক। আর হ্রস্ব-ই কার এবং দীর্ঘ-ঈ কারের ব্যাপারটা প্রমিত রীতি অনুযায়ী বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই দীর্ঘ-ঈ কার হয়ে গেছে। নূপুরদা ভালো বলতে পারবেন।
আমি তবু বলি:
এখনো যে কটা দিন বেঁচে আছি সূর্যে সূর্যে চলি ..
তাইলে এইবার চা খাওয়া। অনেকগুলো বানান বুঝলাম না কেম্নে ভুল হইল। আসলে আমার অনেক বেশী কেয়ারফুল হওয়া উচিৎ।
You cannot hangout with negative people and expect a positive life.
দূর্গা: দুর্গা [ দ-এর পর শুধু দূরত্ব অর্থে ঊ-কার হবে। আর নেতি অর্থে উ-কার। এখানে দুর্গা শব্দটি এসেছে দুর্গতিনাশিনী থেকে।]
যায়গা: জায়গা
জোড়ে: জোরে। [জোরে শব্দ করে হাসলে মা যদি বকা দেন তাহলে জোড়ে হাসলে যে কী করবেন!]
জার্নী: জার্নি
বানী: বাণী
ভবিষ্যৎ, উচিৎ: 'ত' হবে প্রমিতরীতি অনুযায়ী।
দম অধিকার: সমঅধিকার ?
কীট পতঙ্গ : কীট-পতঙ্গ
পেশী শক্তি : পেশীশক্তি [এটা একটাই শব্দ]
শীষ : শিস বাজাতে বাজাতে [ ধানের শীষ নয়]
তুচ্ছাতি তুচ্ছ : তুচ্ছাতিতুচ্ছ [তুচ্ছ+অতি+তুচ্ছ, এক শব্দে]
ঘাস ফরিং : ঘাসফড়িং [ এক শব্দে]
পূনঃজন্মের : পুনর্জন্ম
বিরত্ব: বীরত্ব
ধুর্ততা : ধূর্ততা
ক্ষীপ্রতা: ক্ষিপ্রতা
জবর দখল : জবরদখল
আমরা আমাদের মারছু, পুড়াচ্ছি, কাটিছি : মারছি/পোড়াচ্ছি/কাটছি
প্রয়োজন পরছে না : পড়ছেনা
কাঁদা ছুড়োছুড়ি : কাদা
ব্যাস্ত : ব্যস্ত
ব্যার্থ : ব্যর্থ
গাধা কে : গাধাকে
করজোরে : করজোড়ে
সৃষ্টি কর্তা: সৃষ্টিকর্তা [এক শব্দ]
বিচক্ষন : বিচক্ষণ
মনরঙ্গন : মনোরঞ্জন [ঞ+জ = ঞ্জ]
রকিব :
টানাপোড়ন নয়, টানাপোড়েন হবে।
আমার মনে হয় প্রচণ্ড হবে। চ-এর পর ণ হবে।একটু দেখে নিও।
আসলে হ্রস্ব-ই কার হয়ে গেছে।
দাদা, লেখাটা কেমন হল তা যদি একবারো বলতেন 🙁
You cannot hangout with negative people and expect a positive life.
নূপুরদা, প্রচণ্ড বানানটা আমিই ভুল করেছি। :((
"টানাপোড়ন"- এটাই বোধহয় ঠিক; কেবল মাত্র বাংলা একাডেমীর অভিধান চেক করলাম।
দীর্ঘ-ঈ কার আর হ্রস্ব-ই কারের ঐ ভেজালটা আসলে টাইপো ছিল 🙁 , পরীক্ষার ধাক্কায় এলোমেলো করে ফেলছি।
বানান বিষয়ক একটা চিন্তা মাথায় আছে। পরীক্ষা শেষ করে আপনার দ্বারস্থ হবো।
আমি তবু বলি:
এখনো যে কটা দিন বেঁচে আছি সূর্যে সূর্যে চলি ..
জিতু,
আসলে তোমার লেখা নিয়ে অনেক কিছুই বলার।কিন্তু বলতে গিয়ে কি বলবো বুঝে পাইনা।মায়ের কথা ভেবে মন খারাপ হলো, বউ এর কথা ভেবেও। মেয়েটি যেন মানুষ হিসেবে বড় হয়, মেয়েমানুষ না হয়ে। এটুকু কি খুব বেশী কিছু চাওয়া? আমি দেখেছি যে পুরুষরা মায়ের সান্নিধ্য বেশি পেয়েছে তারা কোমল হয় কিন্তু দুর্বল হয়না। এ পর্যবেক্ষণ একপেশেও হতে পারে।
তোমার লেখা পড়ে আমার শুধু এটাই মনে হলো, লিখতে চেয়েছিলে কবিতা। অনুভূতিগুলো হু হু করে আসছিলো বলে আর সামাল দিতে না পেরে শেষে গদ্যই লিখে ফেললে।
ঠিক কি ভুল বললাম জানিও।
আর
টানাপোড়েন-ই ঠিক। টানাপোড়ন নয়।বাংলাএকাডেমীর অভিধানেও ভুল! কোথায় যাই।সংসদ বাংলা অভিধানটা দেখো একটু।
আর 'প্রচণ্ড' বানানে কি কোন আপডেট এনেছে বাংলা একাডেমী?
হতে পারে। চ এর পরে হয়তো ণ না বসিয়ে ন বসানো শুদ্ধ। এটা কোন বিরাট ব্যাপার না। ণ আর ন নিয়ে এত গোলমাল না করে একটা বেছে নেয়া।তবে ণত্ব-ষত্ব বিধান কি বলে একটু জানাবে কোন ব্যাকরণ বই ঘেঁটে? আমার কাছে কোন ব্যাকরণ বই বা বাংলা অভিধান নাই। 🙁
জিতু,
ব্যাপারটা আসলে তা না।একটু গুবলেট করে ফেললাম।ব্যাপারটা হচ্ছে ড-এর সংগে যুক্তাক্ষর হবার সময় ণ বা ন, কোনটি ব্যবাহার করতে হবে।
যেমন : গণ্ডগোল হবে, না গন্ডগোল। আমার যেমন পরেরটিই ভালো লাগছে।
ণ-ত্ব বিধানে বোধহয় আছে যে ট-বর্গীয় অক্ষরের সাথে যুক্তবর্ণে ণ আর ত-বর্গীয় অক্ষরের সাথে যুক্তবর্ণে ন ব্যবহৃত হবে।(স্মৃতি থেকে লেখা, ভুল হতে পারে)
দাদা, আসলে অভিধানটা বাবার বাসায় ফেলে এসেছিলাম। কিন্তু সেটি দেখে বানান রিভাইস করে পোষ্ট দিতে আর তাড়া সইছিল না 😛
হাতে আজ পেয়েছি বাইবেল আমার!!! দেখি আমারে আমার বদ্দা এবার কেম্নে আটকায় :grr:
You cannot hangout with negative people and expect a positive life.
আসলে দাদা আমি গদ্যের ফর্মেই লিখতে চাচ্ছিলাম। ফেইসবুকে ভিডিওটা দেখার পর থেকে মাথায় ঘুরছিল কথাগুল। আসলে যেভাবে একজন মেয়ে বা একটা ছেলে ভিতরে ভিতরে ভাবে সেভাবেই লিখতে চেয়েছি। তাই ভাবনাগুলোর প্রকাশভঙ্গীটা হয়তো খুব আটপৌড়ে হয়ে গেছে।
You cannot hangout with negative people and expect a positive life.
হুমম্। এটা একারণে বলা যে তোমার গদ্যটাই কবিতার মতো লাগছিলো। মনে হচ্ছিলো কবিতা লিখতেই চেয়েছিলে।
:khekz: :khekz:
চ্যারিটি বিগিনস এট হোম
আহমদ,
তুমিও দেখি জোড়েই হাসতে আছো...
এখন অবশ্য বকা দেবার কোন কারণ নাই,
এখন মা খুশিই হবেন।কি বলো?
🙂
চ্যারিটি বিগিনস এট হোম
রকিব,
তোমাকে মন্তব্যের জবাবটা জিতুর বক্সে দিয়ে দিয়েছি।
:clap:
অনেক কিছুর সংগেই একমত হয়নি।
পড়তে পড়তে মনে হল, তুমি কোন কারনে ক্ষেপে আছো। আসলেই নাকি?
পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না
ক্ষেইপা নাই মানে? কাল এ্যাসাইনমেন্ট জমা দিতে হইব আর আজ এমন ব্লগ লেখার প্লট ঘুরে মাথায়। না ক্ষেইপা থাকার কোন কারণ আছে, ফয়েজ ভাই? কিসের সাথে একমত হন নাই সেটা বলবেন?
You cannot hangout with negative people and expect a positive life.
😀
এইটা কমু না। আমি মাইয়া মানুষ হইলে কইতাম, কিন্তু হায় আফসোস, আমি তো পুরুষ 😛
পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না
আমার সীমাবদ্ধতাটাও তো সেইখানেই। মাইয়া হইয়া পুরুষের মত ভাবতে গিয়া মনে হয় ফাউল করলাম!
You cannot hangout with negative people and expect a positive life.
ফাউল বইলা কিছু নাই আসলে। মানুষের মন বড় বিচিত্র জিনিস।
তবে ব্যাপার কি, মেয়েরা এক পারস্পপেক্টিভে চিন্তা করে, পুরুষরা অন্য পারস্পপেক্টিভে। বেস্ট সল্যুশন আসে যখন দুইটার মধ্যে চেক এন্ড ব্যালান্স হয়। নাহলে বড় বিপদ।
যাউজ্ঞা,
পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না
আমি পুরুষদের পারসপেক্টিভ থেকে লেখার চেষ্টা করেছি এবং আপ্রান চেষ্টা করেছি বায়াস না হতে। এখনো সেই পর্যায় পৌছাতে পারিনি যে ছেলেদের মনের কুচিন্তা ধরতে পারবো ;;;
এই রে, আমিই তো আবার কাঁদা ছুড়ছি 😛 :frontroll: :frontroll: :frontroll:
You cannot hangout with negative people and expect a positive life.
????
চ্যারিটি বিগিনস এট হোম
এই প্রথম ভোটাইলাম। 😀
কি ভোটাইলি? লেখা নাকি মন্তব্য? :-/
You cannot hangout with negative people and expect a positive life.
এমনভাবে লিখেন যে মন্ত্রমুগ্ধের মত পড়ে যাই/
জটিল কনসেপ্ট,৫ তারা :boss:
আছিব, "এভাবে বলবে না, আমি লজ্জা পাই!" (রবির বিজ্ঞাপনে সাদিক ভাই যেভাবে বলে সেভাবে)
You cannot hangout with negative people and expect a positive life.
:))
সুন্দর পর্যবেক্ষণ ! :thumbup:
নিচের গল্প টা দেখছিলাম ........কঠিন বাস্তব 🙁 গত দুই বছর ধইরা গাধার জীবন পার করছি .......... :bash:
বাকি তো পড়েই আছে :grr:
You cannot hangout with negative people and expect a positive life.
আচ্ছা, কেউ যদি মনে করে যে সে মানুষ, গরু, গাধা কোনটাই না, সে হলো রবিবার বিকাল - তাইলে কি কোন সমস্যা আছে? আর যে তৃতীয় লিঙ্গ তাকে তো কেউ মানুষই মনে করে না, শেষ্ঠত্ব তো অনেক পরের ব্যাপার।
আমার বন্ধুয়া বিহনে
ড়াব্বী ব্রো, আপনে আমার উপর ক্ষেপছেন ক্যান, কন তো?
You cannot hangout with negative people and expect a positive life.
আরে না, বরং একদম উল্টা। ভালো মুডে ছিলাম তখন। ... এইবার উত্তর দাও। 🙂
আমার বন্ধুয়া বিহনে
ড়াব্বী ব্রো, আপনি হিজরা দের কথা বলছেন। আমি হিজরাদের নিয়ে একটা লেখা অনেকদিন আগে শুরু করেছিলাম। এখনো আমার স্টোররুমে পড়ে আছে, লেখাটা শেষ করতে পারছি না কোন ভাবেই। ওদের সমাজটার সাথে একসময় কাজের সুবাদে সামান্য মেশার সুযোগ হয়েছিল। অনেক জটিল কিছু ইস্যু দূর্ভেদ্য জালের মতন বিছিয়ে আছে যা ছিড়ে ওরা বেড়িয়ে আসতে পারে না।
মানুষ রে আপনে বেমালুম "রবিবারের বিকাল" বানায় দিলেন বস! কবিতা করেন আমার সাথে???
You cannot hangout with negative people and expect a positive life.
উত্তর দিচি ড়াব্বী ব্রো, এইবার "শিরোনামহীন কথোপকথন পাঁচ" নামান জলদি। (সম্পাদিত)
You cannot hangout with negative people and expect a positive life.
রাব্বী ভাই , আপনি তৃতীয় লিঙ্গ বলতে যাদের নিশ্চয়ই নপুংশক দের বুঝিয়েছেন। ওদের প্রতি ভালো লাগা থেকে অনেক আগে আমি একটি পোস্ট দিয়েছিলাম। তবে সেটা পোস্ট দেয়ার অনেক পরে এসে আরো কিছু তথ্য আমার চিন্তা জগতে আলোড়ন তুলেছে। তবে সেগুলো এখনি শেয়ার করতে পারছি না। কারণ এর টেকনিক্যাল টার্ম গুলো আমি বুঝে উঠতে পারি নি ( আমি এলজিবিটি বিষয়ে বলছিলাম)। এর ফলে এসব বিষয়ে ভাবনা গুলো বেশি মাত্রায় অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। তবে আপনার ভিন্ন চিন্তাকে স্যালুট।
:hatsoff:
:just: অসাধারণ।
ভাষা হারিয়ে ফেলেছি।
কিপ ইট আপ।
নঈম ভাইয়া,
কেমন আছেন?
চ্যারিটি বিগিনস এট হোম
ভাল। তোমার মাষ্টারী কেমন চলছে?
আহমদ ভাই আরো দশবার করে হোমওয়ার্ক করাচ্ছেন তার ছাত্রীদের 😛
:frontroll: :frontroll: :frontroll:
You cannot hangout with negative people and expect a positive life.
এখানে ছাত্রীদের হবে না, একমাত্র ছাত্রী আমাদের ভাবীসা'ব :shy:
You cannot hangout with negative people and expect a positive life.
নঈম ভাই, অসংখ্য ধন্যবাদ অনুপ্রেরনার জন্য। কিন্তু ভাষা হারাইলে কেম্নে কি?
You cannot hangout with negative people and expect a positive life.
🙁 মন খারাপ 🙁
অঃটঃ কেমন আছ আপি? ফোন দিলেনা কেন?
দিহান, আমার ফোনের স্ক্রীনটা সাদা হয়ে গেছে এই নিয়ে তৃতীয় কি চতূর্থ বারের মত। তাই এইবার হাল ছেড়ে বসে আছি, আর ঠিক করাবো না x-(
You cannot hangout with negative people and expect a positive life.
:hatsoff: :hatsoff:
আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷
অসংখ্য ধন্যবাদ আকাশ। আমার আপন ভাই ম্যাশ আজ এখানে থাকলে বলতোঃ
মিস্করছি ম্যাশটাকে :((
You cannot hangout with negative people and expect a positive life.
:thumbup: (সম্পাদিত)
ধন্যবাদ সাকিব।
You cannot hangout with negative people and expect a positive life.
আপু যা বলেছেন সত্যই বলেছেন। শুধু আমি নারীর সমাধিকার হিসেবে পাবলিক ট্রান্সপোর্টে নারীদের বরাদ্দ আসনের ব্যাপারের আপনার কথাটার সাথে একমত হতে পারলাম না।
একমত হতে পারলাম না এই ভেবে যে, আমার কাছে নারীদের সম অধিকার মানে শুধু বাসের সামনের ৯টা সিটে বসে কিছুক্ষন পর পর ড্রাইভারের বাকা দৃষ্টি হজম আর পাশের কন্ট্রাক্টর আর দাঁড়ানো পুরূষদের অশ্লীল দৃষ্টিপাত সহ্য করা না।
আমার কাছে নারীদের সম অধিকার তখনি দেখব যখন নারীরা শুধুমাত্র ওই ৯টা সিটে বসে নিজেকে সুরক্ষিত ভাববে না, আমার পাশেই একই সিটে নারী-পুরূষ বসবে- কোন ভেদাভেদ থাকবে না, জাতীয় সংসদের পুতুল সংরক্ষিত আসনের সাংসদ না হয়ে পুরূষের সাথে কম্পিটশন করে অর্ধেক আসন নিয়ে নিবে, প্রধানমন্ত্রী- বিরোধীদলীয় নেত্রী- পররাষ্ট্র-স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী নারী হয়েও আত্নহত্যার শিকার নারীদের খুনীরা প্রকাশ্য দিবালোকে ঘুরে বেড়াবে না, শুধুমাত্র রাজনৈতিক কারণে। কিংবা যখন সত্যই এই দেশটাকে "অর্ধেক তার করিয়াছে নারী- অর্ধেক তার নর"এর মতন গড়ে তুলবে সোনার দেশের মতনই। নারীদের অধিকার চাই, অধিকার চাই বলে চিৎকার করতে হবে না। সেই সময়।।
(একান্ত ব্যাক্তিগত অভিমত, কাউকে আঘাত করার জন্য নয়)
যেমন রক্তের মধ্যে জন্ম নেয় সোনালি অসুখ-তারপর ফুটে ওঠে ত্বকে মাংসে বীভৎস ক্ষরতা।
জাতির শরীরে আজ তেম্নি দ্যাখো দুরারোগ্য ব্যাধি - ধর্মান্ধ পিশাচ আর পরকাল ব্যবসায়ি রূপে
- রুদ্র মুহম্মদ শহীদুল্লাহ
এই এতোদিনে একটা ঠিক কথা বল্লা কিবরিয়া। "সম" অর্থাৎ" সমান। আর মানুষ হিসেবে আলাদা করে সুবিধা পাওয়া যেমন অনুতিৎ তেমনি অধিকার বঞ্চিত হওয়াটাও কাম্য না।
You cannot hangout with negative people and expect a positive life.
খুবই চমৎকার পোস্ট আপু। এই বিষয়ে আরো পরিষ্কার করে বললে আমাদের দেশের নারীদের মনোজগত এবং দাম্পত্য জীবন বিষয়ক একটা পোস্ট লিখা শুরু করেছিলাম অনেক আগে। এখনো ড্রাফটের ঘরে পরে আছে। সেই কথাগুলো না আসলেও এখানে অনেক চমৎকার কিছু কথা আসছে। পোস্টের অনেক ব্যাপারে সহমত। আর কিছু কিছু ব্যাপারে নারী নির্যাতনের প্রকৃত চিত্র উঠে আসেনি। যাহোক, এসব নিয়ে ভাবার দরকার নেই। পোস্ট টা দারুণ। পাঁচ তারা।
আমিন, আমি নির্যাতনের দিকটা তুলতে চাইনি। একটা সামগ্রিক চিত্র দেখাতে চেয়েছিলাম। শারিরীক বা মানসিক দিক থেকে মাক্সিমাম নারীই যদিও নির্যাতনের শিকার, তারপরও অনেক নারীরা এর বাইরেও আছে। আর আমি অনেক্কেই আজকাল বলতে শুনি পুরুষরাকি নির্যাতনের বাইরে। আমি জেনে অনেক অবার হয়েছি যে অনেক স্বামীরাই স্ত্রীদের হাতে শারিরীক নির্যাতনের শিকার। 😐 এই কারণে আমি একটা জেনারেল লেখা দিয়েছি।
You cannot hangout with negative people and expect a positive life.
নির্যাতন বলতে আমি স্বামীর হাতে নয় বরং সমাজ দ্বারা নির্যাতিত মহিলাদের কথা বলছি। যার বলয় থেকে বেরুতে হয়তো আরো কয়েক দশক লেগে যাবে।
কয়েক দশক? আদৌ কি সম্ভব?
You cannot hangout with negative people and expect a positive life.
আমি বিশ্বাস করি সম্ভব।কেন মনে করি আজ বললাম না। পরে ডিটেইলস আলোচনা করে যাবো।
আপনার এই লেখাটি পড়তে পারিনি। সময় করে পড়ব....................
:clap: :clap: :clap: