অসমাপ্ত স্বপ্ন

খন্দকার গোলাম বেগ
এখনও গুপ্তি হাতে
হ্যাঁচকা টানে
উপড়াবে শেকড় ?

এ তো মহীরুহ
বিষবৃক্ষ
অনেক গভীর
কোথা আছে সেই
পরশুরামের কুঠার ?

এখনও আছে
চাটার দল
আছে চাটুকার
আত্মপ্রচার।

বিচিত্র চিত্র প্লটারে ছাপা
চলে কেবল আত্ম প্রচারণা !
আমায় মুক্তি দে রে মা
আমি যে সবার
শুধুই তোর না !

বিস্তারিত»

প্রত্যাবর্তন

আবার দেখা হবে

সেই খোলা প্রান্তরে, পাগলা হাওয়ায়

উড়বে তোমার চুল,

তোমার শাড়ীর আঁচলে

ছেয়ে যাবে কাশবন।

সমগ্র শরীরে প্রজাপতি

উল্লসিত ঘাসফড়িঙ,

এসো আবার উল্টে দেই

সময়ের বালিঘড়ি।

বিস্তারিত»

তুমি যত্ন না নিলেই

তুমি যত্ন না নিলেই সবকিছু অযত্নে পড়ে থাকে,
চশমার কাচ ঘোলা হয়,
অশাষণে বেড়ে ওঠে নখ, মসৃণ গালে রাজত্ব করে অমসৃণ দাঁড়ি।
বড় হয় চুল- আরো কতো ভুল, আরো কত কি।
চিরুনি বসে থাকে অলস হয়ে,
লুকিং গ্লাসে দেখা হয় না নিজেকে।
ইস্ত্রী না করা শার্ট পড়ে বের হই যত্রতত্র।
তুমি যত্ন না নিলেই সবকিছু ক্যামোন জানি মনে হয়,

বিস্তারিত»

চেতনায় একেশ্বরবাদ, হৃদয়ে বুদ্ধের বাণী – পর্ব ৩

চেতনায় একেশ্বরবাদ, হৃদয়ে বুদ্ধের বাণী – পর্ব ৩
ড. রমিত আজাদ

সম্রাট অশোক এবং মগধ-বাংলার অহিংস ও সাম্যের দর্শন বৌদ্ধ দর্শন:
ব্রাহ্মণ্যধর্মের প্রতি নিষ্ঠাবান যুদ্ধপাগল এক সম্রাট ছিলেন অশোক, তাঁর নেশা ছিলো একটিই – বিজয়। ক্ষুরধার বুদ্ধিসম্পন্ন চাণক্যের পরামর্শে বিশাল মৌর্য সাম্রাজ্যের অধিকারী হন অশোকের পিতামহ চন্দ্রগুপ্ত মৌর্য, (বিশ্বজয়ী মহাবীর আলেকজান্ডারের নামজাদা সেনাপতি সেলুকাসের কন্যাকেও বিবাহ করেন তিনি)। তাই উত্তরাধিকার সূত্রেই বিশাল সাম্রাজ্যের মালিক হন সম্রাট অশোক।

বিস্তারিত»

মজিলা ফায়ারফক্সের তিনটি দরকারী অ্যাডঅন

পিসি বা ল্যাপটপের একটি জনপ্রিয় ব্রাউজার মজিলা ফায়ার ফক্স। অনলাইনে বিচরণ মনের মত করার জন্য মজিলাতে আছে হাজারো আ্যডঅন।এর মধ্যে কয়েকটি অামার খুব প্রিয়। কাজে লাগবেই এমন তিনটি অ্যাডঅন – ইমেজ অ্যাণ্ড ফ্ল্যাশ ব্লকার,ফায়ারশট এবং ভিডিও ডাউনলোড হেল্পার। যারা ব্যবহার করেননি তাদের জন্য শেয়ার করলাম।

ইমেজ অ্যাণ্ড ফ্ল্যাশ ব্লকার

কোন ওয়েব পেজের ছবি কিংবা ফ্ল্যাশ ব্লক করা যায়। ব্যবহার করা খুব সহজ।

বিস্তারিত»

স্বাধীনতা-পরবর্তী ভারতীয় সেনা প্রত্যাহারে বঙ্গবন্ধুর ভূমিকা প্রসঙ্গে

শোকাবহ পনেরই আগস্টে বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলী অর্পন করতে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছিলাম। যার একটি অংশ ছিল এরকমঃ

“দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শেষ হয়েছে ষাট বছরেরও আগে, জাপানে পড়াশোনা করতে এসেছে একাত্তর সালে স্বাধীন হওয়া দক্ষিণ এশিয়ার ছোট্ট একটি দেশের এক যুবক। অবাক হয়ে সে লক্ষ্য করে, এই এতবছর পরেও সেখানে বিপুল দাপটের সাথে পরম তাচ্ছিল্যে ঘোরাফেরা করছে মার্কিন সেনাদল। প্রজন্মের পর প্রজন্মান্তর ঘটেছে, তাও এর পরিবর্তন ঘটেনি।

বিস্তারিত»

ইসলামের স্বর্ণযুগ – পর্ব ১

ইসলামের স্বর্ণযুগ – পর্ব ১
———- ড. রমিত আজাদ

কোন যুগ বা জাতিকে বুঝতে হলে আমাদের সেই যুগ বা জাতির দর্শনকে বুঝতে হবে, আবার সেই দর্শনকে বুঝতে গেলে সেই যুগ বা জাতির অতীত-বর্তমান তথা সামগ্রিক অবস্থা বুঝতে হবে। এখানে একটি পারস্পরিক কার্য-কারণ সম্পর্ক রয়েছে। মানবজীবনের পারিপার্শিক অবস্থা তাদের দর্শন নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। আবার বিপরীতক্রমে তাদের দর্শন, তাদের পারিপার্শিক অবস্থা নির্ধারণে আরো বেশি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

বিস্তারিত»

নতুন ঠিকানা


গত বছর সামারে ঘুরতে গেছি ইউসেমিটি ন্যাশনাল পার্কে। পাহাড়, বনানী, ঝর্ণা, নীলাভ লেক আর গ্ল্যাসিয়ারের চাপে পাথুরে মাটি দিয়ে শিল্পীর এক অপূর্ব ভাস্কর্য। তো একদিন যাচ্ছিলাম বগা লেকের (পড়তে হবে তেনাইয়া লেক) পাশ দিয়ে। মে মাসেও সেই লেকের উপরিভাগ বরফ জমে স্থির-শীতল। ভাবলাম যাই কাছ থেকে ছুঁয়ে দেখি বরফের ঘনত্ব কতখানি। পরিবারসহ, মানে স্বামী আর আণ্ডাবাচ্চা, লেকের পাশে গাড়ি থামিয়ে একটু জলকেলির ভাব নিলাম।

বিস্তারিত»

জীবন চাপ দিচ্ছে

একটি দিনলিপি সিরিজ চালাচ্ছিলাম। সেটার মাঝে বিভিন্ন স্বাদের মসলা দেয়ার চেষ্টা করতাম। সেটায় হঠাৎ করেই খেই হারিয়ে ফেললাম। এরমাঝে ঘটে গিয়েছে অনেক কিছু। এতকিছু ঘটেছে যে সেগুলো নিয়ে লিখতেও ইচ্ছা করছে না। পাছে লোকে কিছু বলে (কিংবা বলতে পারেন পাছে লোকে কোপ মারে?) বলতে বলতে কোপ নিয়ে কিছু মরবিড রসিকতা করতে ইচ্ছে হচ্ছে। নাহ। সেটাও ঢোক হিসেবে গিলে ফেলি। তখন যদি আবার টিকটিকি পিছু নেয়?

বিস্তারিত»

জীবনের জার্নাল – ১০

আগে বলতে ভুলে গিয়েছিলাম, আমাদের ভাইভা আর মেডিকেল টেস্ট শেষ হবার পর পরই চূড়ান্তভাবে নির্বাচিতদের পোষাক আশাকের মাপযোখ নেবার জন্য কলেজ থেকেই এক টেইলর মাস্টারকে ঢাকায় নিয়ে আসা হয়েছিলো। তিনি বেশ মনযোগ দিয়ে আমাদের শরীরের মাপযোখ নিচ্ছিলেন আর তা রেজিস্টারে লিখে রাখছিলেন আমাদের পোষাক তৈ্রীর জন্য। তখন আমাদেরই মধ্যকার একজন, হ্যাংলা পাতলা, চোখে মোটা ফ্রেমের চশমাধারী ছোটখাট ধরণের কাজী ইকবাল হোসেন (১৮৮), খুব ফুরফুরে মেজাজে ফড়িং এর মত এদিক সেদিক ঘুরে ঘুরে বেড়াচ্ছিলো আর অনর্গল কথা বলে যাচ্ছিলো।

বিস্তারিত»

অর্থহীন

সবই আছে, তবু যেন কিছুই নেই।
চারিদিকে শুধু নেই নেই, কিছু নেই।
আছে শুধু শূন্যতা, দিবসে নিশীথে,
গৃহকোণে, শয্যায়, লেখার টেবিলে
অলিন্দে, ছাদে, মনের ঘুলঘুলিতে।
এসব শুন্যতার কারণ জানা নেই।

এ কেমন শুন্যতা, যখন সবকিছু
এমন অর্থহীন হয়ে যায়!
যাপিত জীবনটা থেকে রঙিন স্মৃতি
বাসি ফুলের পাঁপড়ির মত ঝরে যায়।
জ্যোৎস্নালোকে নিভৃত স্নান, মাঝরাতে
পিয়ানোর ঝঙ্কার,

বিস্তারিত»

ধানসিঁড়িটির তীরে


সিসিবি আসলে আমার জীবনের একটা অংশ হয়ে গেছে – এখানে আমি ঢুঁ মারি। চেনাজানা মানুষদের দেখে ভাল লাগে। সুন্দর সুন্দর লেখা পড়ি। কেউ আমাকে বলেনি, তারপরও নিজের কাছেই এক ধরণের দায়বদ্ধতা বোধ করি। মনে হয় গত এক বছর ধরে কিছু লিখি না। কেন লিখি না তার অনেক ব্যাখ্যা আছে। আমার জীবন সরলরৈখিক নয়। এখানে অনেক আকঁ-বাঁক আছে। তাই কখনো কোথাও থামতে হয়, কখনো দৌড়াতে –

বিস্তারিত»

আবোল তাবোল দিনলিপি

একঃ
বিগত কয়েকদিনের বিক্ষিপ্ত ভাবনায় তারার প্রি-কে স্কুলের একটি গল্প মনে পড়ে গেল আজ!

প্রাচীন চীনে পরিবারের বড় সন্তানের নাম রাখা হতো খুব ঘটাপটা করে। প্রথমটির পরে একটা দুটো বাচ্চা হলে চং, মং, চিয়াং, মিয়ান কিছু একটা রাখলেই হলো কিন্তু বড়জন ভবিষ্যতে পরিবারের ত্রানকর্তার ভূমিকা পালন করবে তাই তার নামের গুরুত্ব অনেক। আমরা যেমন মোমেনা কে আদর করে মুমু বলি, হোসনে আরা কে হাসু অথবা ক্যাটরিনাকে ক্যাট বলি ওদের নিয়ম ছিল ভিন্ন।

বিস্তারিত»

তাড়াহুড়ো

তুমি যখন খুব তাড়াহুড়ো করতে গিয়ে,
চোখের কাজল লেপ্টে ফেল,
কিংবা মেজেন্টা রঙের জামার সাথে,
ভুল করে পড়ে ফেল নীল চুড়ি।
অথবা তোমার টিপ পয়তাল্লিশ ডিগ্রী কোণ করে,
সরে যায় কপাল থেকে।
তখন মনে হয় এই অগোছালো তুমিই বুঝি,
আমার অসমাপ্ত পৃথিবীর অবিন্যস্ত দেবী।

আচ্ছা,
তখন কেমন লাগে বলবে?
যখন তুমি আমার কনিষ্ঠা আঙুল ধরতে গিয়ে,

বিস্তারিত»

ক্যাডেট রোমিও

ক্যাডেট কলেজে পড়ার প্রেক্ষিতে আমাদের অধিকাংশ ক্যাডেটের কোনদিন কোন কিশোরীকে নিয়ে ফ্যান্টাসি করার সুযোগ হয়নি। আমরা নাইট প্রেপ শেষে দৌড়ে টিভি রুমে এম টিউনসে নায়িকাদের নাচ দেখতে যেতাম, লাঞ্চের পর পেপারের বিনোদন পেজের ছবি কেটে নিয়ে স্ক্র্যাপবুকে লাগাতাম, কলেজে কোন ইয়াং ম্যাডাম আসলে তার ক্লাসে প্রথম সারীতে বসার জন্য সিরিয়াল দিতাম। আমাদের ফ্যান্টাসি ছিল এইটুকুই। আর তিন নম্বর গ্রাউন্ডে ফুটবল খেলার সময় পাশের রাস্তা দিয়ে কোন বালিকা একক কিংবা দলগতভাবে হেঁটে গেলে আমাদের পায়ে মেসি রোনালদোর জাদু ভর করত।

বিস্তারিত»