১
সিসিবি আসলে আমার জীবনের একটা অংশ হয়ে গেছে – এখানে আমি ঢুঁ মারি। চেনাজানা মানুষদের দেখে ভাল লাগে। সুন্দর সুন্দর লেখা পড়ি। কেউ আমাকে বলেনি, তারপরও নিজের কাছেই এক ধরণের দায়বদ্ধতা বোধ করি। মনে হয় গত এক বছর ধরে কিছু লিখি না। কেন লিখি না তার অনেক ব্যাখ্যা আছে। আমার জীবন সরলরৈখিক নয়। এখানে অনেক আকঁ-বাঁক আছে। তাই কখনো কোথাও থামতে হয়, কখনো দৌড়াতে –
আবোল তাবোল দিনলিপি
একঃ
বিগত কয়েকদিনের বিক্ষিপ্ত ভাবনায় তারার প্রি-কে স্কুলের একটি গল্প মনে পড়ে গেল আজ!
প্রাচীন চীনে পরিবারের বড় সন্তানের নাম রাখা হতো খুব ঘটাপটা করে। প্রথমটির পরে একটা দুটো বাচ্চা হলে চং, মং, চিয়াং, মিয়ান কিছু একটা রাখলেই হলো কিন্তু বড়জন ভবিষ্যতে পরিবারের ত্রানকর্তার ভূমিকা পালন করবে তাই তার নামের গুরুত্ব অনেক। আমরা যেমন মোমেনা কে আদর করে মুমু বলি, হোসনে আরা কে হাসু অথবা ক্যাটরিনাকে ক্যাট বলি ওদের নিয়ম ছিল ভিন্ন।
বিস্তারিত»তাড়াহুড়ো
তুমি যখন খুব তাড়াহুড়ো করতে গিয়ে,
চোখের কাজল লেপ্টে ফেল,
কিংবা মেজেন্টা রঙের জামার সাথে,
ভুল করে পড়ে ফেল নীল চুড়ি।
অথবা তোমার টিপ পয়তাল্লিশ ডিগ্রী কোণ করে,
সরে যায় কপাল থেকে।
তখন মনে হয় এই অগোছালো তুমিই বুঝি,
আমার অসমাপ্ত পৃথিবীর অবিন্যস্ত দেবী।
আচ্ছা,
তখন কেমন লাগে বলবে?
যখন তুমি আমার কনিষ্ঠা আঙুল ধরতে গিয়ে,
ক্যাডেট রোমিও
ক্যাডেট কলেজে পড়ার প্রেক্ষিতে আমাদের অধিকাংশ ক্যাডেটের কোনদিন কোন কিশোরীকে নিয়ে ফ্যান্টাসি করার সুযোগ হয়নি। আমরা নাইট প্রেপ শেষে দৌড়ে টিভি রুমে এম টিউনসে নায়িকাদের নাচ দেখতে যেতাম, লাঞ্চের পর পেপারের বিনোদন পেজের ছবি কেটে নিয়ে স্ক্র্যাপবুকে লাগাতাম, কলেজে কোন ইয়াং ম্যাডাম আসলে তার ক্লাসে প্রথম সারীতে বসার জন্য সিরিয়াল দিতাম। আমাদের ফ্যান্টাসি ছিল এইটুকুই। আর তিন নম্বর গ্রাউন্ডে ফুটবল খেলার সময় পাশের রাস্তা দিয়ে কোন বালিকা একক কিংবা দলগতভাবে হেঁটে গেলে আমাদের পায়ে মেসি রোনালদোর জাদু ভর করত।
বিস্তারিত»সবুজ প্রজাপতি ( যবনিকাপাত)
(গতকাল সন্ধ্যায়, বাসার কাছের গলিটাতে, ঘড়িতে সাড়ে সাতটা)
নিশ্ছিদ্র অন্ধকারের সাথে আমি মিলে মিশে এক হয়ে গেছি। ওঁৎ পেতে আছি অচেনা সঙ্গীনীর রুদ্ধশ্বাস প্রত্যাশায়। সে কি আসবে? এক যুগ কিংবা শতাব্দীর সমান দীর্ঘ মুহূর্ত শেষে? আমার লোহিত-বেদীতে গৌরবময় উৎসর্গের উপঢৌকন হতে। অদেখা মানুষটির জন্যে আমার অধীর আগ্রহ। ধনুকের ছিলের মত সটান আমার শিকারী শরীর। দেহের প্রতি কোষে উন্মাদনা, অদৃশ্যমান কাঁপুনি। চোয়ালের কাঠিন্য আসন্ন উত্তেজনার মন্ত্রমুগ্ধ করা উল্লাসের পূর্বাভাস দিয়ে যাচ্ছে ।
বিস্তারিত»বাড়ি ফেরা
দু’দিনের ছুটি, হাতে গোনা ক’টি টাকা
যেতে হবে বাড়ি বিকেলের ট্রেন ধরে
হাতে চিঠি ধরা বুকের ভেতর ফাঁকা
মা যে লিখেছেন কাঁপা কাঁপা অক্ষরে
বাবা তোকে খুব দেখতে ইচ্ছে করে!
রেলের বগিতে ভিড় বেশি এবেলায়
কাজ সেরে সব ধরেছে ফিরতি গাড়ি
বসে ঝুলে আর লেগে থেকে গায়ে গায়
চলার ছন্দে ঘামের গন্ধ মিশে
কু ঝিক ঝিক হারিয়ে ফেলেছে দিশে।
সাতটি তিলের তিমির
তিলের অধিক তিমির হয় না বুঝি!
তেরো নদী
সাত সমুদ্র খুঁজি
বরিশালের কবি শেষে
আকাশের ওপারে
আকাশ পেয়ে গেলে
ট্রে হাতে মেয়েটি
গ্রীন টি হয়ে আসে
অঘ্রানের আলতো বিকেল
সহসা অন্ধকার হলে
সাতটি তিলের
নিবিড় আশ্বাসে,
‘বরং নিজেই তুমি
আঁকোনাকো একটি তিল’!
সুজাতা হতবাক।
ভেতরে পালিয়েছে রুদ্ধশ্বাসে
আমার শহরে…
রীতিমতন কাকভেজা হয়ে গেছি, পেছন থেকে মামা তাড়া দিচ্ছিল তাড়াতাড়ি ঢুকে যেতে ঘরে, তবু দরজার সামনে পৌঁছে আনমনে দাঁড়িয়ে গেলাম হঠাৎ।
বৃষ্টি ঝরেই যাচ্ছে অবিরল, মাথা মৃদু ঝাঁকিয়ে খানিকটা বৃষ্টি ঝেড়ে ফেলার চেষ্টা করি আমি, কিছু ক্লান্তিও ঝরে পড়ে সাথে। কয়েক সেকেন্ড বিরতি দিয়ে অবশেষে বাসার দরজা দিয়ে ঢুকে পড়ি ভেতরে, বহুবার দেখা সিনেমার ছবিদের মতন পরিচিত ঘরদোর সব।
ডান হাতের ভারি ব্যাগটা বাহুল্যের মত জড়িয়ে ছিল যেন এতক্ষণ,
বৃষ্টি ভেজার দিন
আমার খুব বৃষ্টি ভেজার শখ। ঝুম বৃষ্টিতে দাঁড়ালে বৃষ্টির ফোঁটাগুলো কেমন যেন আশীর্বাদের মত গায়ে এসে পড়ে। শেষ কবে বৃষ্টি ভিজেছিলাম মনে নেই, তবে সংসদ ভবন চত্বরে সেই ভেজার পরে ভীষণ জ্বর হয়েছিল আমার। প্রায় দুই সপ্তাহ হাসপাতালে কাটাতে হয়েছিল। ডাক্তাররা নানান রকমের পরীক্ষা করে কিছুই ধরতে পারেননি, পূর্বে ম্যালেরিয়ার ইতিহাস থাকায় পুনরায় মুঠো মুঠো জেসোকুইন গিলতে হয়েছিল।
আজ সকালবেলায় ঝুম বৃষ্টি, আজ অফিসও নেই।
বিস্তারিত»আমি, আমরা হারিয়ে যাবো
অমরত্বের নিদান যেহেতু এখনো আসে নি তাই নিশ্চিত করেই বলা যায় আমি, আমরা সবাই মারা যাবো। কয়েক সপ্তাহ আগেই আমার প্রথম শিক্ষক যিনি আমাকে অ আ ক খ শিখিয়েছিলেন সেই লাভলু ভাই মারা গেলেন (মামাতো ভাই) । আরেক মামাতো ভাই জানালো ফেবু তে যে লাভলু ভাই নেই। ওনারা চার ভাই ছিলেন। মেজ জন এখন জীবিত। ৪০ থেকে ৫০ এর মধ্যেই সবাই মারা গেলেন। বছর দুই হল মা মারা গেছেন।
বিস্তারিত»কেন আমি ওকে ভুলে যাবো?

কেন আমি ওকে ভুলে যাবো?
———— ড. রমিত আজাদ
আমাকে অনেকেই প্রশ্ন করে, “এখনো ওকে ভুলতে পারলে না?”
আমি পাল্টা প্রশ্ন করি, “কেন আমি ওকে ভুলে যাবো?”
আমি তো অভিনয় করিনি, না করেছি প্রতারণা,
আমি তো মিথ্যে বলিনি, না করেছি ছলনা,
এই স্নায়ু শুধু তো স্নায়ু নয়, নয় শুধু প্রাণ-রসায়ন,
এই দেহ শুধু তো দেহ নয়,
জোনাথন সুইফট কি ডিমোস আর ফোবস এর মূল আবিষ্কারক?
অ্যামেরিকান জ্যোতির্বিজ্ঞানী আসফ হল ১৮৭৭ সালের ১১ আগষ্ট রাতে মঙ্গল গ্রহের ছোট চাঁদ ডিমোস আবিষ্কার করেন। তার ছয় রাত পর ১৭ আগষ্ট আবিষ্কার করেন বড় চাঁদ ফোবস। কিন্তু ১৭২৬ সালে প্রকাশিত গালিভার্স ট্রাভেলস এর ৩য় খণ্ডের ভয়েজ টু লাপুটায় মঙ্গল এবং তার উপগ্রহ দুইটির বর্ণনা আছে। তা হলে জোনাথন সুইফট কি ডিমোস আর ফোবস এর মূল আবিষ্কারক ?
Travels into Several Remote Nations of the World.
বিস্তারিত»অচেনা চীনে – সদাই পাতি ৩
কী কিনবেন, কোথায় কিনবেন।
চীনে ব্রান্ডশপের অভাব নেই। লোঙ্গাগের এই অঞ্চল্টায় নোকিয়া, স্যামসং আর রিবোকের পাশাপাশি নানান চাইনিজ ব্রান্ডের ছড়াছড়ি। সুপারস্টোর গুলির মধ্যে রেইনবো, পিংজো বায়হুয়ো, Maove, Zhuhai, জনপ্রিয়। দুনিয়ার প্রায় সব কিছুই চীনে পাওয়া যায়। বাংলাদশের মানুষ সাধারণতঃ কুনমিং হয়ে চীনে যায়। বেজিং এখান থেকে অনেক দূরের পথ। সেনঝেন থেকেই বিমানে বেজিং যেতে লাগে ৩ ঘন্টার বেশি। আর কুনমিং থেকে সেনঝেন প্রায় দুই ঘন্টার আকাশ দূরত্বে।
বিস্তারিত»জীবনের জার্নাল – ৯

My Alma Mater, MCC, etched permanently in my heart. The foundation of my education was laid in this building by capable scholars and leaders. This is the front view of the main Academic Building of the then Momenshahi Cadet College, now known as Mirzapur Cadet College.
(Photo credit: Mahbub Shaheed Bhai, Cadet No. 3)
যতই রিক্সা এগোচ্ছিলো, ততই আমার ভেতরে উত্তেজনা বাড়ছিলো।
বিস্তারিত»ভূধরের পাদদেশে এক নামহীন উপল
ভূধর পৃষ্ঠে ঘুমিয়ে ছিলাম
এক নামহীন উপলের মতো,
সময় হলে গড়িয়ে গেলাম,
ধুলো মেখে গায়ে যতো।
পথে পরিচয় কত ঝোপ ঝাড়
আর গুল্মলতার সাথে,
কত পাথরের বোবা কান্না
শুনেছি সন্ধ্যা প্রাতে।
বহু পথ ধরি গড়াগড়ি করি
আজ পড়ে আছি পাদদেশে,
বয়ে যাই কত অচেনা জনের
পদভার অক্লেশে!
ঢাকা
০৯অগাস্ট ২০১৫
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।