পায়ে পায়ে উঠে আসে জল;
যদিও মৌন সমতল
ছিল আদিতে।
কিসের ঈষৎ স্পর্শে অত:পর
বৃত্তাকার বিক্ষেপ —
বিকেন্দ্র বিচ্ছুরণ!
আলতো চুম্বন ছুয়ে গেলে পাড়
সে কোন পাহাড় হয়ে
নেমে আসে সুর,
ধেয়ে আসে প্রশান্ত গড়ানে
বাঁশরীর হাত ধরে
পায় পায় জল উঠে আসে —
স্পর্ধায় লাফিয়ে লাফিয়ে
পাকিয়ে ওঠে
হাওয়ার প্রবল আহবানে,
ক্রিস্টালের হাঁস হতে গিয়ে
উল্লাসে ফের
জলেই
আছড়ে পড়ে
বিপুল হরষে
কী মত্ত রোষে
ত্রিতাল নেমে আসে —
ঘুঙুর হতে চায়
‘নেবে না আমায়?’
বলে পিছু পিছু
ছোটে জলাভূমি
সবুজ পাড় জুড়ে
হে ধ্বনি,
তুমি হংস হলে কবে
এমন উড়ে উড়ে
চরাচর ভাসালে তুমি
মোহিনী কলরবে!
————————–
নমেম্বর ১ সন্ধ্যা,
ফারমিংটন হিলস, মিশিগান।
পণ্ডিত রনু মজুমদারকে শুনে
অসাধারণ বাঁশীর সুর ও মূর্ছনা পদ্যে পদ্যে মূর্ত হয়ে উঠলো যেন নূপুর। :clap: :clap: :clap:
Pride kills a man...
অনেক ধন্যবাদ জানবেন ওমর ভাই!
হঠাৎই জানতে পারি পাশের শহরেই এঁর অনুষ্ঠান ঘন্টাখানেকের মধ্যেই। ছুট লাগালাম।
যথারীতি মুগ্ধ হলাম।
আমার খুবই প্রিয় রাগ হংধ্বনি দিয়েই শুরু করেছিলেন। আ হা, সে কি যে যে বাজনা!
:clap: :clap: :clap: :clap: :clap: :clap:
বছর দশেক আগে পন্ডিত হরিপ্রাসাদ চৌরাসিয়া আমাদের শহরে এলেন। ফক্স থিয়েটারে পৌঁছে খানিক ধন্দে পড়ে যাই আমি, ঠিক জায়গায় এসেছি তো? চারপাশে বাহারি ইভনিংগাউন আর সু্যট টাই পরা সুবেশী নারী পুরুষের মাঝে নীল তাঁতের শাড়িতে আমাকে কেমন যেন বেমানান লেগেছিল! আমার সাত বছরের কন্যারত্নটি গুটুরপুটুর গল্প করছে পাশে বসে। সব আলো নিভে গেলে ধীরপ্রকৃতি ওস্তাদজী এলেন স্টেজে। কী যে বিনয় আর কথার যাদু তাঁর! পিনপতন নিরবতায় রাগ শিভানজলি দিয়ে শুরু হলো আসর। অবুঝ তারা কানে কানে বললো, মা আই হার্ড দিজ ব্যাংস ইন ইয়োর কার টু!
(যার অন্তর্নিহিত মানে হলো, এসব তো তোমার গাড়িতেই শুনতে পাই, তার জন্য এখানে আসা কেন?)
ফক্স থিয়েটারের কৃত্রিম তারাজ্বলা রাতে আমার ঘুমিয়ে পড়া তারাটিকে কোলে নিয়ে বুঁদ হয়ে শুনেছিলাম তাঁর বাঁশির নূপুর!
আমি পন্ডিত রনু মজুমদারের নাম শুনিনি আগে। অপূর্ব! ঘুমঘুম কাল রাতে তাঁর হংসধ্বনির সাথে তোমার লেখা পড়তে পড়তে সুদূরের এক হংসীর চোখে কার মুখ ভাসে যদি জানতে!
আপা,
কেবল বাঁশিরই অনুষ্ঠান ছিল না অবশ্য। দুর্দান্ত বীণা বাজিয়েছিলেন আরেকজন শিল্পী -- যুগলবন্দী অনুষ্ঠান ছিল এটা।
রনু মজুমদার অত্যন্ত পরিচিত একজন শিল্পী। কি করে যে তিনঘণ্টা কেটে গেল টেরও পাইনি।
তোমার রোদচশমাওয়ালা প্রোফাইল ছবিতে কবি নূপুরের বদলে এখন ড্যাশিং নূপুরকে দেখতে পাচ্ছি B-) B-) যা দিনকাল পরসে, ড্যাশিং না হইয়া উপায় আছে :clap: :clap:
আর এই কাজগুলো একজন অন্তরালে থেকে যে করাচ্ছে, সেটা সাবিনা, তোমার চেয়ে আর কে বেশী ভাল বুঝবে, বলো।
Pride kills a man...
অন্তরালে কে যে কলকাঠি নাড়ে বন্ধু সে কি আর অজানা কারোর? অবশ্য মাথায় কালো একখানা ব্যান্ডানা থাকলেও থাকতে পারতো....জাস্ট ওয়েট এন্ড সি! নূপুর কাউকে নিরাশ করেনা, ওমর!
ঠিকই বলেছ সাবিনা। তোমরা সবাই খুবই সুবোধ। কেউই নিরাশ করো না আমাকে। থ্যাঙ্ক ইউ অল।
😀 😀 😀
বাশিটা শুনলাম প্রথম দিনই।
কবিতাটাও পড়লাম তখনি কিন্তু লিখার জন্য আসা হয়ে উঠছিল না।
এখন সুনিধি চৌহানের গান শোনা জন্য বসে বসে অপেক্ষা করছি।
এই ফাকেই লিখাটা।
দারুন লাগলো সব: বাশি, লিখা এবং মন্তব্য....
গত দু'তিন দিন সিসিবি এত নিশ্চুপ কেন, ভাবছি....
পুনশ্চ: ছবিটা ফাটাফাটি, নূপুর। শুভ্রদেবের জমজ ভাই বলে মনে হচ্ছে.... 🙂 🙂 (সম্পাদিত)
Do not argue with an idiot they drag you down to their level and beat you with experience.
অনেক ধন্যবাদ পারভেজ ভাই আপনার মন্তবয়ের জন্যে।
আমি নিজেও বেশ ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছি।
সিসিবিতে এলেও ব্লগ পড়ার এবং মন্তব্য করার মত যথেষ্ট সময় পাইনা
চোখে রোদ
ঢেকে রাখো তারে
অনুরোধ
দাবানলে পোড়ে যদি ধরা ! আহারে !
B-)
আর কবিতা !
মৌন সমতলে হোঁচট খেয়ে
পড়তেই যেনো উদগ্রীব হয়ে ছুটে যাওয়া ধেয়ে ...
আহা বাঁশী ও বীণা
মোক্ষ জীবন দক্ষিণা ...
:clap: :clap:
লুৎফুল ভাই,
প্রথম ভাগ শুনে কি বলব বুঝতে পারছিনা। 🙂 🙂
পরের ভাগ পড়তে গিয়ে মনে হল
তালে বাজল পুরোটা।
:boss: :boss: :boss:
নভেম্বরের শেষে বেঙ্গলের রাগ উৎসবে আসবেন?
এমন মানব জনম, আর কি হবে? মন যা কর, ত্বরায় কর এ ভবে...
না রে ভাই!
আসা হবে না।
মাঝে মাঝে কি মনে হয় জানো, এই রাগ উৎসবেই না আবার কি না কি ঘটে যায়
এভাবে বলতে নাই, গতবার এই মঞ্চেই কাইউম চৌধুরী চলে গেলেন...
এমন মানব জনম, আর কি হবে? মন যা কর, ত্বরায় কর এ ভবে...