১
প্রখ্যাত লেখক+গবেষক, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলার অধ্যাপক এবং পরবর্তীতে লন্ডনে বিবিসিতে কর্মরত ডঃ গোলাম মুরশিদ যে বইটার জন্য বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক ইতিহাস চর্চায় চিরস্থায়ী আসন অর্জন করেছেন, তা হল “হাজার বছরের বাঙালি সংস্কৃতি” (২০০৫)। বই আকারে প্রকাশের আগে এর বেশ কয়েকটা অধ্যায় প্রথম আলো এবং ঈদ সংখ্যায় প্রকাশিত হয়েছিল। সেসময় বাংলা সাহিত্যের উপর লেখা অধ্যায়টি পড়ে পুরো বই সম্পর্কে বেশ আগ্রহ জেগেছিল। প্রথম আলো বইটিকে পুরস্কৃত করলে সেই আগ্রহ আরও বেড়ে যায়।
টুকিটাকি – ৪
১
আমাদের সময় এই সমস্যাটি অতো প্রকট আকারে ছিল না। এটি এই জেনারেশনের সমস্যা। তা হল ব্যক্তিগত সম্পর্কে ফেসবুক হানা দেওয়া। গত বছর শুনলাম আমার এক আত্মীয় বিয়ে করেছে। খুব ধুমধামে বিয়ে হল। ছেলে আর মেয়ে দুজনের বাবাই একসময় প্রভাবশালী উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা ছিলেন। ছেলেমেয়েরা সব প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়েছে। তাদের উপর তেমন অর্থনৈতিক চাপ নেই। বাবারাই ঢাকা শহরে ঘরবাড়ি করেছেন। সন্তান সংখ্যাও কম। চাকরীটা তাদের দরকার সামাজিক স্ট্যাটাসের জন্য।
একজন কিংবদন্তীর কথা বলছিঃ ক্লাইভ লয়েড (শেষ পর্ব)
শুধুই সামনে এগিয়ে যাওয়া
লয়েড সে সময় সম্ভবত জীবনের সেরা ফর্মে ছিলেন। সেরা ফর্ম দেখানোর জন্য তিনি বেছেও নিলেন সেরা প্ল্যাটফর্ম, প্রথম বিশ্বকাপ ক্রিকেটের ফাইনাল ম্যাচ! মাত্র ৮৫ বলে ১২ চার ও ২ ছক্কায় সাজানো তাঁর দৃষ্টিনন্দন ১০২ রানের ইনিংসটি আজও বিশ্বকাপের অন্যতম সেরা ইনিংস বলে স্বীকৃত। তিনি যখন মিড উইকেট দিয়ে অবলীলায় অসি বোলারদের পুল করছিলেন তা দেখে প্রখ্যাত সাংবাদিক জন আরলট লিখেছিলেন,
বিস্তারিত»সমুদ্রপারে তাদের পাড়ায় পাড়ায়! দ্বিতীয় পর্বঃ লাক্কা বীচ (Lakka Beach)

সমুদ্রপারে তাদের পাড়ায় পাড়ায়!
দ্বিতীয় পর্বঃ লাক্কা বীচ (Lakka Beach)
২০০২ সালের ফেব্রুয়ারি মাস। মজার অথচ বিষাদময় একটা ঘটনা ঘটেছে। ঠিক সমুদ্র থেকে মাত্র কয়েক শ’ গজ দুরেই আমাদের ব্যাটালিয়ন সদর দপ্তর। আমাদের ব্যাটালিয়ন সদর দপ্তর থেকে একটা প্রকাণ্ড পাথরের মাঠ পেরিয়ে ‘মিলটন মারগাই কলেজ অফ এডুকেশন এন্ড টেকনোলজি’ অতিক্রম করার পর ঘন নলখাগড়ার বনের ভেতরের ৫০/১০০ গজ পথ পেরুলেই গডরিচ বীচ।অথচ দলবদ্ধভাবে ইউনিটের তত্ত্বাবধানে ছাড়া আমাদের কারুরই এখানে আসার অধিকার নেই।
বিস্তারিত»রসনায় স্মৃতিযাপন
রিইউনিয়নের দিনতারিখ ঘনিয়ে আসছে, কিভাবে যাওয়া হবে কোথায় থাকা হবে এই ছুতোয় ক্যাডেট কলেজ ক্লাবে আড্ডা দিতে বসেছি এক শনিবার দুপুরে। কথার তুবড়ি ছুটছে, পেটে ছুঁচোর কেত্তনও শুরু হয়ে গেছে। দুপুরের খাবারের মেন্যুতে সেদিন ক্লাবে দেখি খিচুড়ি, দেখেই আমাদের আলাপের বিষয় হয়ে গেল কলেজে থাকার সময় বুধবার লাঞ্চের মেন্যু। খেতে খেতেও চলল একই আলাপ, কারণ ক্লাবের খিচুড়ির স্বাদ নাকি কলেজের খিচুড়ির মতই এবং এতক্ষণ ধরে চলে আলাপে আমাদের বহুমত থাকলেও এই একটা ব্যাপারেই আমরা দ্রুত একমত হয়ে গেলাম।
বিস্তারিত»ভাষার মত সকল নাগরিক অধিকার উন্মুক্ত হোক!
প্রথম সাইকেল চালানোর ব্যাপারটি কেমন?
কিংবা প্রথম সাঁতার শেখা?
অথবা প্রথম গাড়ি চালানো?
সবগুলো ক্ষেত্রেই প্রথম প্রথম মনের মধ্যে কাজ করে কিছুটা শঙ্কা, কিছুটা সংকোচ, আবার একই সাথে কাজ করে নতুন কিছু করার রোমাঞ্চ, শিহরণ। শুরুতে কিছুটা বেঁধে যাওয়া, গুঁতো-ব্যথা-পানি খাওয়া, ধীরে ধীরে অভ্যস্ত হওয়া এবং সবশেষে দারুণ পটু হয়ে যাওয়া! কিন্তু এই কাজগুলোই নিজের ইচ্ছের বিরুদ্ধে করতে কেমন লাগবে? নিশ্চয়ই আনন্দদায়ক কিছু নয়।
বিস্তারিত»পাতা ঝরার গান- ০৩
শাহাজাদা সেলিম , আনারকলির সাথে প্রেম প্রেম খেলে ১৬০৫ সালে নুর উদ্দিন মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর নাম ধরে সালতানাতে বসে অতঃপর ১৬১১ সালে ২০ তম!!! ২০ তম পত্নী হিসাবে মেহেরুন্নিসাকে বিয়ে করে ” নুরমহল” উপাধি দিয়ে দিলেই সেলিম- আনারকলি কিম্বা জাহাঙ্গীর- নুরমহল প্রেম হয়ে যায় অপরূপ প্রেমের নিদর্শন ।
আর আমি মুখে মুখে ৩-৪ টা প্রেম করতে চাইলেই আমার চারিত্রিক অবক্ষয় এর নিদর্শন হয়।
কৃষ্ণ করলে লীলা হয়,
বিস্তারিত»অনিশ্চিত তীর্থযাত্রা-১
যেদিন প্রকাশকের কাছে আমার প্রথম বই “গোধূলীর স্বপ্নছায়া”র পান্ডুলিপিটা ইমেল করে পাঠালাম, সেদিন থেকে মনে হচ্ছিল যেন হাঁফ ছেড়ে বাঁচলাম, আমার দায়িত্ব শেষ হলো। অপেক্ষায় থাকলাম, প্রকাশক কী বলেন, তা শোনার জন্য। কিন্তু তখন পীক টাইম, তাই প্রকাশক কেন, কর্মচারী কিংবা সাহায্যকারীদেরও কথা বলার সময় নেই। তাই দিন গুনতে লাগলাম। একদিন প্রচ্ছদ শিল্পী প্রচ্ছদ ডিজাইনটা মেল করে পাঠালেন। প্রথম দেখাতে ভালোই লাগলো, তবে কিছুটা খুঁতখুঁতের বিষয়ও থেকে গেল।
বিস্তারিত»ঝরা পলেস্তারা
তুমি যখন পেরেক ঠুকো শক্ত হাতে,
ঠকঠকিয়ে ঠুকতে থাকো দিনমনে
আমার জীর্ণ মনের দেয়ালটাতে,
নিঠুর তোমার আপন মনে…
তখন সেথা ঝুরঝুরিয়ে ঝরে কত,
সকাল বিকেল যখন তখন অবিরত,
ইতিহাসের স্বাক্ষী যত পলেস্তারা,
তুমি জানো কি তা, নয়নতারা?
ঢাকা
১৬ ফেব্রুয়ারী ২০১৬
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।
(ফেইসবুকে প্রকাশিত)
বিস্তারিত»পাথরের ঝর্ণা জানে জলের আঘাত
পাথরের ঝর্ণা জানে জলের আঘাত
তোমাতে মগ্ন থাকার ঘুমভাঙা রাত
সুবহে সাদিক জানে চোখের ধকল
তবুও বুঝছো না কেন্ বুকের দখল
বুকেতে ঘাস জমেছে, ঘ্রাণ নিতে রোজ
পানকৌড়িদের রাজা চাইছিলো খোজ
লুকোবে সাতার এবং ডুবের শেষে
তুমি তো মুখ ফিরিয়ে আলতো হেসে
ও রাণী, তোমার চোখের অমল দ্বিধায়
আমি যে রোজ ভুলে যাই মন যে কী চায়
পাথরের মন্দিরে রোজ ফুল দিয়ে যায়
দেবী মুখ চাইবে ফিরে এই তো আশায়
আমি ডুবি চায়ের কাপে,
বিস্তারিত»জুলিয়েটের ঝুল বারান্দায়

জুলিয়েটের ঝুল বারান্দায়
অনেক সময়ে কাল্পনিক চরিত্ররাও বাস্তব মানুষের চেয়ে বেশি জীবন্ত এবং প্রভাব সৃষ্টিকারী হয়ে উঠতে পারে! যেমন কথাশিল্পী শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের ‘দেবদাস’! ১৯১৭ সালের প্রকাশিত হবার পর থেকে দেবদাসের ক্রমাগত মৃত্যু দৃশ্যের বর্ণনা বা মৃত্যুদৃশ্যের অবলোকন চোখের কোণায় অন্তত জল টেনে আনেনি এমন পাষাণ হৃদয়ের বাঙালি আদৌ আছে/ছিল কিনা সে সম্পর্কে আমার ধারনা নেই। ১৯৩৫ সনে প্রমথনাথ বড়ুয়া নির্মিত এবং অভিনীত দেবদাস থেকে শুরু করে ২০০২ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত শাহরুখ খানের আধুনিক ‘দেবদাস’ সকলেই শুধুমাত্র বাংলা ভাষাভাষীদের নয়,
বিস্তারিত»আবোল-তাবোল (গ্রাভিটেশনাল ওয়েভ)
একশ বছর বছর আগে আইনস্টাইন নামে এক ইহুদি পণ্ডিত অংক কষে এর কথা অনুমান করেছিলো। প্রায় আধাশ’ বছর আগে হকিং নামের এক নাছারা বিজ্ঞানী উপায় বাৎলে ছিল, কোন ঘটনার দিকে নজর দিলে তারে ছোঁয়া যাবে, মাপা যাবে। আর এইতো সেদিন, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৫, আমেরিকা নামের এক নচ্ছার দেশের বিজ্ঞানীরা সেইসব কল্পনা আর অনুমানকে বাস্তবে পরিনত করে গ্রাভিটেশনাল ওয়েভকে পর্যবেক্ষন করে ফেলল। গোপনে বলি, এই ১৪ই সেপ্টেম্বর দিনটা আবার এই আধমের জন্মদিন ও বটে।
বিস্তারিত»অভিসারনামা
প্রথম অভিসারটির রঙ ধুসর।
অবিশ্বাস্য দ্রুততায় কেটে যায় তা
পরিচিতিই ঘটে কেবল,
স্মরণে থাকে না আর কোনো কিছুই
কিন্তু কানে কেবলই বাজে একটা সুর,
“আবার কবে দেখা হবে, প্রিয়তমেষু………”
দ্বিতীয় অভিসারের রঙ বেগুনি।
কত কত নিরীক্ষায়ই না ঘটে তখন
আর সময়টা কাটতে থাকে
অভিজ্ঞতায়, অর্জনে,
যার কতক টেকে
আর কতক ঝরে পড়ে
গন্তব্যহীন হয়ে।
কিছু সবুজ বাতির সারি এবং তুমি
মধ্য রাতে ও কিছু সবুজ বাতির ভিড়ে
তোমায় খুঁজে ফিরি
কিছু সবুজ বাতি, তুমি, আমি।
বাতাসের উষ্ণতা কমে,
আঁধারের চাদর আরো বেশি আঁটসাঁট হয়
সবুজ বাতি নিভে যেতে থাকে একে একে
তখন তুমি ধ্রুবতারা হয়ে জ্বলছ নয়ন মাঝে
তারা খসে পরে, আলো নিভে যায়
তুমি ঠিক রয়ে যাও দুরে
ভেসে উঠ তবু স্বপ্নে-সুরে,
বারেবার চলে যাও এভাবেই এসে ফিরে।।
কেন ‘দুষ্টু ক্যাডেটের গল্প’ লেখলাম
বাইরে থেকে ক্যাডেট কলেজগুলোকে অনেকের কাছে স্বপ্নপুরী মনে হয়। ওখানে বাচ্চারা খুব ভাল থাকে। আবার কেউ-কেউ মনে করেন ইট-পাথরের দালানের মধ্যে কিছু রুক্ষ ছাত্র-ছাত্রীর বসবাস। আসলে এই কলেজগুলোতে যারা বেড়ে ওঠে তাদের তৈরী করা হয় সশশ্রবাহিনীর উপযুক্ত করে। তিনশো-ষাঠ ডিগ্রি শিক্ষায় তাদের গড়ে তোলা হয়। সবাই হয়তো সশশ্রবাহিনীতে যোগ দেয় না, তবে তিনশো-ষাঠ ডিগ্রি শিক্ষা লাভ করে সারা দুনিয়ায় ছড়িয়ে পরে।