কলেজে মাঝে মাঝে খুব মেজাজ খারাপ হতো যখন দেখতাম একটা পার্টি সারাক্ষণ হুমায়ূন আহমেদের লেখা নিয়ে সমালোচনা করতো।ভালো লাগতো তাদের সমালোচনা যদি তারা অন্য লেখকদের বই পড়ে করতো কিংবা কেউ হুমায়ূন আহমেদের বই উপহার পেলে তারা প্রথম সিরিয়াল না দিত। তারা সমরেশ পড়তো না, তারা সুনীল পড়তো না এমনকি সেবা প্রকাশনীর বই ও পড়তো না। তাহলে কার সাথে কম্পেয়ার করে হুমায়ূন আহমেদের লেখাকে খারাপ বলতো বুঝতামনা।
বিস্তারিত»সমুদ্রপারে তাদের পাড়ায় পাড়ায়! (তৃতীয় পর্ব)

সমুদ্রপারে তাদের পাড়ায় পাড়ায়! (তৃতীয় পর্ব)
গডরিচ জেলেপাড়া
সমুদ্র সৈকতে যাবার অনুমতি এখনো মেলেনি!কারন সিয়েরালিওনের প্রত্যন্ত অঞ্চলে ধুলার ভেতরে লালমাটিতে স্থাপিত বাংলাদেশ সেক্টর সদর দপ্তর এখনো আমাদের ওপরে রুষ্ট। তারপরেও সমুদ্র প্রতিনিয়ত আমাদেরকে টানে। কারন মানুষের জীবনে জল একটা প্রধান অনুষঙ্গ।বিবর্তনের প্রাথমিক স্তরে জলজ জীবন থেকেই একদিন সে ডাঙায় উঠে এসেছিলো!
এপ্রিল ২০০২ সন। আমরা ইতিমধ্যেই জাতিসংঘের সরবরাহকৃত এ্যাম্বুলেন্স সাইজের ফ্রিজের ভেতরের বরফে রুপান্তরিত ফসিলের মতন কঠিন সামুদ্রিক মাছ-মাংশ ভক্ষন করতে করতে প্রথমে নিরাসক্ত এবং পরবর্তীতে ক্লান্ত হয়ে গেছি।বিশাল আকৃতির টার্কি মুরগিগুলোকে ফ্রিজ থেকে বের করার পর সকালের উজ্জ্বল আলোতে শিকারির গুলিতে নিহত হরিন শিশু বলে মনে হয়।
বিস্তারিত»মনে আছে
তুমি একটা গল্পের কথা বলেছিলে।
ছোট্ট গল্প, তবু গল্পটা মনে নেই।
তবে, গল্প বলার ভঙ্গিটা মনে আছে,
গল্প শোনার দিনক্ষণটাও মনে আছে।
ঢাকা
০৫ ফেব্রুয়ারী ২০১৬
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।
আম জনতার সরলতা
গতকাল ০১ ফেব্রুয়ারী ২০১৬ তারিখে এ বছরের একুশে বইমেলার উদ্বোধন করা হয়। উদ্বোধন করেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আগের রাতে আমি আমার প্রকাশকের সনির্বন্ধ অনুরোধে রাজী হয়েছিলাম, সকালে বাঙলাবাজারে তার অফিসে গিয়ে আমার প্রকাশিতব্য বই “জীবনের জার্নাল” এর চূড়ান্ত প্রুফ দেখে অনুমোদন দিয়ে আসবো। ছোটবেলায় স্কুলছাত্র থাকার সময়ে বাঙলাবাজারে বহুবার গিয়েছিলাম। দেশ স্বাধীন হবার পর মাত্র দু’বার বরিশাল যাবার সময় সদরঘাট যেতে ঐ পথে গিয়েছি।
বিস্তারিত»শুভ যাত্রা
চলতে চলতে হঠাৎ থমকে
জিজ্ঞেস করি আপন মন কে,
“যাচ্ছ কোথাও, না আসছো ফিরে?
পথ কি মেলে, পথের শেষে?”
পথ – সে তো বৃত্তরেখা
কেন্দ্র কবেই গেছে মিলিয়ে!
পথ কি চলে, না আমরা চলি?
মুখ টিপে হাসে কানা গলি –
ছুটতে ছুটতে স্বপ্ন হয়ে-
স্বপ্নের খোঁজে –
বিস্তারিত»পুনঃদৃষ্টি আকর্ষণঃ বইমেলা
একটি বই পর্যালোচনা
ভুমিকা
সেই অর্থে ‘বই পর্যালোচনা’ বা ‘বুক রিভিউ’ কখনও করা হয়ে ওঠেনি। এটা আমার প্রথম চেষ্টা। এই কাজটা করতে উৎসাহিত বোধ করার কারণ যে বইটা নিয়ে কাজ শুরু করলাম তার লেখক এবং বই নিজেরাই। বইটা আমার একজন সহকর্মী আমাকে উপহার দেন। ড. মুহাম্মদ জাফর ইকবাল স্যার এই বইটার ভুমিকা লিখেছেন। সেখান থেকে কিছুটা উদ্ধৃত না করলেই নয়-“ আমাদের দেশে লেখাপড়া নিয়ে অনেক সমস্যা- সবাই বছরের শুরুতে বই পেয়ে যায় কিন্তু বইগুলো খুব ভালো না;
বিস্তারিত»বৃষ্টি, সারস ও অন্যান্য
এইসব টুপটাপ বৃষ্টির রাতে,
সারস পাখির মত তোমার কাঁধে মাথা গুঁজতে সাধ হয়।
মাটির সোঁদা গন্ধ তখন তোমার-
পাঞ্জাবীর কলারে,
উৎসের খোঁজে-
প্রথমে তোমার গাল,
তারপর,
অ্যাডাম’স অ্যাপেল পেরিয়ে দেখা মেলে-
সব উপরের বোতাম দুটির।
ধরা পড়ে যাওয়া চাহনি নিয়ে
তোমার দিকে তাকাতেই-
আমার চিবুকে আলতো হাত রেখে বল,
বিস্তারিত»শেখ আমিন ঘুমিয়ে পড়েছে বন্ধুরা।
শেখ আমিন ঘুমিয়ে পড়েছে বন্ধুরা।
জীবন এমনই , এত হাসি এত কথা এত চিন্তা এত কল্পনা এত ভাবনা শেষ হয়ে যায় হঠাৎ করেই। জানিনা ” মরন কি টেনে দেবে অন্ধ আবরন” – উপলব্ধি থেকে কত কবিই তো কত কিছু লিখে গেছে। শেখ আমিন চলে গেলো, আমরাও যাবো কিন্তু মনে হয় জীবন এমনি মাতাল যে এত কাছে থেকে ও আমাদের একটু সময় হয়না কাছে বসার ,
বিস্তারিত»ভাল থাকা
কতদিন হয়ে গেল –
তোমার কাছে জানতে চাওয়া হয়নি,
“কেমন আছো তুমি?”
অথবা, “সব ভাল তো?”
সেই যে শেষবার, কবে যেন,
জিজ্ঞাসা করেছিলাম,
আর তুমি বলেছিলে:
“খুবই ভাল আছি, আর হ্যা,
আপনার কি দরকার জেনে,
আমি কেমন থাকি বা না থাকি……”
সেই থেকে তোমাকে
আমি আর জিজ্ঞাসা করি না,
কারন, ঠিকই তো,
ইঁদুর মরন
ইঁদুর মরন
আচ্ছা এই যে ইঁদুর টা মারা গেল
সে কি খুব ভালো হলো।
কাল রাতে উৎপাত করেছে ঘরে
সুর সুর শব্দে ভেঙেছে নিশব্দ
বাতিটা জ্বালাতেই পালিয়েছে
লজ্জায় নাকি প্রানভয়ে?
তা কেন? ওরাতো এ ঘরে ই থাকে
আমাদের সাথে । বেশ তো দেখাও হয়,
জানি দেখা হলেই ওরা লুকোয়
সেঁত আমার ছাত্রীরা করে
হয়তো ওরা সালাম ঠুকে না
তবে তাও সঠিক বলতে পারবো না
ভাষাতো আমাদের এক না
চ্যা চু করে যে পালায়,
স্বাধীনতার শৃংখল
স্বাধীনতা মানে কিন্তু বিশৃংখলতা নয়,
স্বাধীনতার মাঝে আছে এক শৃংখল।
যে শৃংখলে ঠিক শেকলের ঝনঝনানি শব্দ না পাওয়া গেলেও
বাঁধন কিন্তু ঠিকই কাজ করে।
যে বাঁধনে দম আটকানো হাঁশফাঁস করা
প্রকোষ্ঠের গুমোট বাতাসের ছোয়া তুমি পাবে না।
স্বাধীনতার মাঝেও আছে অন্যরকম
আটকে পরার আনন্দ, অন্যভাবে।
বিশৃংখলা কথাটার সাথে কেমন যেন
বেতাল একটা ভাব আছে-
গানের শ্রুতিমাধুর্য্য যে কারণে নষ্ট হয়,
কিন্নরকণ্ঠী নদী – ১৪
(পিলখানার শহীদদের স্মরণে আমার প্রথম উপন্যাসের এই অধ্যায়টি এখানে দিলাম। পিলখানা বিষয়ক অনেক তথ্য আমি এখানকার ব্লগার সাইফের ব্লগ থেকে নিয়েছিলাম।)
চৌদ্দ
হিয়া ভেবেছিলো বয়স্ক কোন ড্রাইভার আর অফিসের পিয়নের সাথে বোধহয় তাকে বান্দর বনে যেতে হবে। কিন্তু হোটেল লাউঞ্জ থেকে ফোন পেয়ে ভোর ছয়টায় যখন নিচে নেমে এল তখন দেখল যে তার অপেক্ষায় অল্পবয়সী এক আর্মি অফিসার একটা জীপের মধ্যে বসে আছে।
~ দৃশ্যপট : দৃশ্যের পর দৃশ্য, দৃশ্যের পর দৃশ্য …… দৃশ্যের অন্তর্ধান ~
~ দৃশ্য-এক
দীনবন্ধু মিত্র যখন নীলচাষীদের কান্নার ধ্বনিকে শব্দের সৌকর্যে সাজালেন কালোত্তীর্ণ সাহিত্য উপস্থাপনায় তখন রাজা রামমোহন বললেন “নীলচাষের জমির নিকটবর্তী অঞ্চলের অধিবাসীদের জীবনযাত্রার মান অন্যান্য অঞ্চলের জীবনযাত্রার মানের তুলনায় উন্নততর। নীলকরদের দ্বারা হয়তো সামান্য কিছু ক্ষতি সাধিত হতে পারে, ……. নীলকর সাহেবগণ এদেশীয় সাধারণ মানুষের অকল্যাণের তুলনায় কল্যাণই করেছেন বেশী”। দ্বারকানাথ বাবু বললেন, “নীলচাষ এদেশের জনসাধারণের পক্ষে সবিশেষ ফলপ্রসূ হয়েছে। জমিদারগণের সমৃদ্ধি ও ঐশ্বর্য বহুগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে এবং কৃষকদের বৈষয়িক উন্নতি সাধিত হয়েছে।” বৃটিশ শাসনের কল্যাণে এভাবে পশ্চিমা সুবাতাসে যখন আধুনিক ভারত জন্ম নিচ্ছিল গ্রাম্য কৃষকদের জীবন-শ্রম-ঘামের বিনিময়ে।
বিস্তারিত»শিলাজিৎ-এর “যা পাখি উড়তে দিলাম তোকে…” শোনার পর
যদি ভুলে যাওয়া যেতো
প্রথম ভাললাগা
প্রথম ছোঁয়া
প্রথম চুম্বন…
যদি ভুলে থাকা যেতো
উদ্ভিন্ন পংক্তিমালা
স্বলজ্জ আনত নয়ন
কবিতার উত্তাপ…
যদি ভুলে যাওয়া যেতো
মুখোমুখি বসা
হাতে হাত রাখা
শরীরের ঘ্রান…
যদি ভুলে থাকা যেতো
অস্বীকার
প্রত্যাখ্যান
উপহাস…
আমি ভুলতে পারি না
আমি ভুলতে চাইও না
তুমি পারো?