মুভিঃ বেলাশেষে(২০১৫)
জেনার/রীতিঃ ফ্যামিলি ড্রামা।
পরিচালানাঃ নন্দিতা রায় / শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়।
অভিনয়ঃ সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়,স্বতীলেখা সেনগুপ্ত,ঋতুপর্না সেনগুপ্ত,খরাজ মুখোপাধ্যায়,প্রমুখ।
কোন সাধারন বা ক্লিশে কাহিনী সঠিক কারিগরের হাতে পড়লে সেটা কতটা নান্দনিক রূপ নিতে পারে বেলাশেষে দেখে আর একবার উপলব্ধি করালাম।নন্দিতা রায় ও শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় জুটির ইচ্ছে,মুক্তধারা ও রামধনু দেখে আগেই বুঝেছিলাম সাবলীল গল্প বলা একটা শিল্পের নাম;আর সেইধারার সর্বশেষ সংযুক্তি বেলেশেষে।
বিশ্বনাথ মজুমদার(সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়)ও আরতি মজুমদার(স্বতীলেখা সেনগুপ্ত)বিয়ের পর একই ছাদের নিচে পার করেছে দীর্ঘ ৪৯টি বছর।জীবন তরীর শেষ অধ্যায়ে এসে যখন তাদের জীবন খুব সাধারাণ ও পূর্ণ মনেহচ্ছিল তখনই বেলাশেষে নাটকীয় মোড় নেয় এবং সামনে নিয়ে আসে হাজারটা প্রশ্ন।মুখোমুখি করে এক পাহাড়সম সংকটের।ভিতরের গল্পটা আরও আবেগে ঠাসা; হৃদয়স্পর্শী।কথায় প্রাকাশের চেয়ে যা অনুভব করা যায় ঢের বেশী।
কাহিনী জমতে শুরু করে যখন সিনিয়র মজুমদার পূজার উৎসবে পরিবারের সবসদস্যকে একত্রিত করে হটাৎ তার স্ত্রীর সাথে বিবাহ বিচ্ছেদের কথা বলেন।তারমতে এমন নির্জীব সম্পর্কের বাঁধনে থাকার কোন মানে হয় না।কারন সেখানে ভালোবাসার কোন উপস্থিতি নেই যা আছে সেটা নিছক অভ্যাস।তার চাই মুক্তি।এমতাবস্থায় তার পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা তাকে কোর্টে হাজির করে।বিচারক রায় হিসেবে এই দম্পতিকে ১৫ দিনের জন্য সাংসারিক কাজ থেকে ছুটি নিতে বলেন একান্ত নিজেদেরমত করে কাটাতে বলেন।এই সময়ে মজুমদার দম্পতি নিজেদেরকে নতুন ভাবে আবিষ্কার করে।সত্যিকার ভালবাসার সম্পর্ক কি,সংসারের প্রতি মূল্যবোধের প্রয়োজনীয়তা,একান্ত ব্যক্তিগত ভালোবাসা, বাস্তবিকতাসহ নানান প্রশ্নের সহজ ও সাবলীল মনস্তাত্বিক বিশ্লেষণের দেখা মেলে এই অংশে।মূল কাহিনীর ভাজে ভাজে প্রকাশ পেয়েছে মজুমদার দম্পতির সন্তানদের পারিবারিক জীবনের নানান সমস্যা।তাদের অসুখী দাম্পত্য জীবনের খন্ড খন্ড চিত্র।এই দম্পতির জীবনথেকে জানা যায় সম্পর্কের শিক্ষা যা দেখে যতটা সহজ মনে হয় ঠিক ততটাই কঠিন মেইনটেইন করা।
এই সিনেমায় সত্যজিৎ রায়ের ঘরে বাহিরের সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় ও স্বতীলেখা সেনগুপ্ত জুটি ৩০ বছর পরে একসাথে অভিনয়ের মাধ্যমে বুঝিয়ে দিয়েছেন পর্দায় তাদের কেমিস্ট্রি কতটা শক্তিশালী; পর্দায় তারা কতটা বাস্তব ও নিখুঁত।বিশেষত স্বতীলেখার অভিনয় আমার মনে বেশী দাগ কেটেছে কারণ তার অভিনয়ে পুরোটা সময়ে একবারও মনে হয়নি এটা কোন সিনেমার কাহিনী…চোখের সামনে ভেসেছে কোন বাঙ্গালী নারীর জীবনচিত্র।পার্শ্বচরিত্রে অন্যান্যরাও সমানভাবে সপ্রতিভ।খরাজ মুখোপাধ্যায় বরাবরের ন্যায় হালকা ও রসিক চরিত্রে, ঋতুপর্ণা সেখানে কমান্ডে। ইন্দ্রানী দত্ত ও শংকর চক্রবর্তীর চরিত্রে সম্পর্কের গভীরতা ফুটেছে প্রবলভাবে। অন্যান্য ছোট চরিত্রে সুজয় প্রাসাদ,অপরাজিতা,মোনামী ও অনিন্দ্য চ্যাটার্জী পারিবারিক ভারসম্যতা রক্ষা করেছে দারুণভাবে।সিনেমার শেষে এসেদেখা মেলে সবচরিত্র নিজ নিজ ভাবে তাদের ভালোবাসার মানুষকে আবিষ্কার করেছে।
সাংসারিক জীবনের নানা অধ্যায়কে ভালোবাসা,দায়বদ্ধতা,পারস্পরিক সমঝোতা ও শ্রদ্ধাশীলতার আবরনে মুড়ে প্রকাশ করেছে বেলাশেষে।নিখুঁত পরিচালনার মাধ্যমে খুব ছোট ছোট ব্যাপারগুলো গভীরভাবে ফুটে উটেছে যদিও এটি খুব সাধারণ একটি পারিবারের গল্প।এটিকে শুধু একটি সিনেমা না বলে জীবনদর্শন বলাযেতে পারে।আমার মতে মধ্যবয়স পারকরা প্রত্যেক বাঙ্গালী দম্পতির জন্য এই সিনেমা দেখা আবশ্যক কেননা অভ্যাস আর সত্যিকারের ভালোবাসার পার্থক্যটা জীবনের পড়ন্তবেলায় গুলিয়ে যেতেও পারে।
মুভিটা দেখতে হবে B-)
পুরাদস্তুর বাঙ্গাল
মোস্তাফিজ ভাই, দেরী কেন.... এখনই দেখে ফেলুন।ভালো লাগবে আশাকরি।
অফটপিক : নেটওয়ার্কের বাহিরে থাকায় উত্তর দিতে দেরী হলো.... 🙂
তানভীর আহমেদ
:thumbup:
পুরাদস্তুর বাঙ্গাল
দেখতে হবে।
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
রাজীব ভাই, আমি যতটুকুন প্রকাশ করতে চেয়েছি তার থেকে অনুভবের জন্য সিনেমাটা। দেখে ফেলুন সময়সুযোগ করে।
তানভীর আহমেদ
দেখছি গেলো সপ্তাহে।
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
বহুদিন ধরে পড়ে আছে।
দেখতে হবে।
গুঁতো মারার জন্য ধন্যবাদ।
ঐ দেখা যায় তালগাছ, তালগাছটি কিন্তু আমার...হুঁ
জুনাদা, এবার আর দেরি না করে বসে পড়ুন তাড়াতাড়ি... . 🙂
তানভীর আহমেদ
বেশ কিছুদিন ধরেই কলকাতার বাংলা ছবি নতুন নতুন চমক নিয়ে আসছে ছবি নির্মাণের ভাবনা ও আংগিকে। উপস্থাপনা আর পরিবেশনা থেকে বিষয়বস্তু, ঢঙ, মোচর বা ট্যুইস্ট, মেসেজ সব কিছু এমন কি গান বা টোটাল মিউজিক প্রেজেন্টেশনেও।
আমাদের দেশেও মাঝে মাঝে আসছে এমন কিছু। তবে তা কলকাতার তুলনায় অনেক অনেক নগন্য সংখ্যায়।
লুৎফুর ভাই, পড়ার ও মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
সত্যি গতকয়েকটা বছর ধরে কলিকাতার সিনেমায় বেশকিছু ভালো সিনেমা এসেছে। চিন্তা, চেতনা, ভাবধারা, উপস্থাপনায় আমরা এখনো ঢের পিছনে।
বিশেষত আর্টফিল্মে তাদের কাজ দেখে খুব আনন্দ পাই।
তানভীর আহমেদ
সবার মুখে এত প্রশংসা শুনে আমিও দেখতে বসেছিলাম কোন এক আবোল তাবোল রাতে। কিছুদূর দেখার পরে স্লো মনে হল খানিকটা আর দেখতে পারলাম না। সেদিনের উলটপালট মস্তিষ্ককে একবার দোষ দিলাম ছবিটা ভাল না লাগার জন্য কিন্তু বিপত্তি ঘটল সেদিনও, যেদিন দ্বিতীয়বারের মত আবার দেখতে বসলাম। কিন্তু না আর এগুতে পারলাম না। কেন যেন আমি ছবিটার সাথে যেতেই পারলাম না। যেখানে ওরা ওদের বাবা মা'র ঘরে ক্যামেরা সেট করল এরপর আর এগুতেই পারলাম না।
হেরে যাব বলে তো স্বপ্ন দেখি নি
দিবস, তোমার মন্তব্যের সাথে আমি একমত হতে পারলাম না....কেননা প্রথমত তুমি দেখে শেষ করলে না।আর এমন একটা জায়গায় এসে তুমি দুবার থমকে গেলা যার ঠিক পর থেকেই মূলত সম্পর্কের মনস্তাত্ত্বিক বিশ্লেষণ শুরু হয় এবং ভালো লাগতে থাকে, মন ছুঁয়ে যাওয়ার শুরু হয়।
দ্বিতীয়ত, আমি মনে করি না যে পরিচালক ক্যামেরা সেট করে খুব ভুল করেছে কারন সবগুলো ছেলেমেয়েরা যেখানে ভিতরে হাপিয়ে উঠছিলো তাদের ব্যক্তিগত জীবনের নানান সমস্যাদি নিয়ে তখন বাবা-মায়ের কথোপকথন এর সাথে সাথে তাদের সমস্যার সমাধানের পথ বাতলে যায়। এমন ভাবে প্রকাশ আমি বলবো পরিচালকের মুন্সিয়ানা।
তানভীর আহমেদ
আহ, মুভি ব্লগ ! ভাল্লাগলো পড়ে !
ধন্যবাদ, নাফিস পড়ার ও মন্তব্যের জন্য।
আমার ও ভালো লাগলো তোমার মন্তব্য পেয়ে 🙂
তানভীর আহমেদ
ভালো লিখেছ। ছবি দেখার ইচ্ছে হচ্ছে। কিন্তু অনলাইনে প্রিন্ট ভালো পেলাম না। কলকাতার মুভিগুলো কিছু বেশ লাগে।
“Happiness is when what you think, what you say, and what you do are in harmony.”
― Mahatma Gandhi
আপু,কলকাতার সিনেমার প্রেমে পড়ি অপর্না সেনের পরমা দেখার পর। তারপর খুঁজে খুঁজে সত্যজিৎ রয়, মৃণাল সেন,গৌতম ঘোষ,ঋত্বিক ঘটক দেখেছি সব। মাঝের কিছুটা সময় শুধু অপর্না আর ঋতুপর্ণ দেখে কাটিয়েছি। এখন অনেকেই চলে এসেছে প্রিয়তে সৃজিত, মৈনাক, অনিরুদ্ধ, কৌশিক সবাই কি দারুণ কাজ করে চলেছে....!!!!
পড়ার ও মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ, আপু।
তানভীর আহমেদ
আমি তো অনলাইনেই দেখলাম, ইউটিউবে।
ঐ প্রিন্টটা কিন্তু ঝকঝকে ছিল।
হতে পারে, ওটার কোনো জিওগ্রাফিক রেসট্রিকশন আছে, তোমাদের ওখানে ওপেন করায়।
লিংক পাঠাবো?
Do not argue with an idiot they drag you down to their level and beat you with experience.
ছবিটা পরে দেখতে পেলাম। থিমটা খুব ভালো লাগলো। ঘরের কাজগুলোকে যে ছেলেরা অতো মূল্য দিতে চায় না সেটি খুব ভালোভাবে বুঝিয়ে দিয়েছে।
“Happiness is when what you think, what you say, and what you do are in harmony.”
― Mahatma Gandhi
ঘরের কাজ ছেলেদের গুরুত্ব দিতে না চাওয়াটা খুবই নৈমিত্তিক একটা ব্যাপার। তবে কাজগুলা যে খুব সহজ, এ জন্য যে সেটা করে - তা হয়তো একমাত্র কারন না।
এটা করার একটা কারন হতে পারে, নারীরা কাজগুলোকে এত অবলীলায় ও উৎসাহের সাথে করেন যে ইট লুকস প্রিটি ইজি এন্ড সিম্পল।
কখনো নিজেদের তা করতে হলে বোঝা যায় - কত ধানে কত চাল।
আমি অনেক সময় ভাবার চেষ্টা করেছি, এই কঠিন ও কষ্টের কাজ গুলা নারীরা এমন অবলীলায় কি করে করে যান?
বেশিরভাব ক্ষেত্রেই আমার মনে হয়েছে, কাজটা তারা করেন খুব ভেবে চিন্তে ঠান্ডা মাথায়। আর তা তাদের পুরুষটিকে নিজের উপরে নির্ভরশীল করে ফেলার জন্য।
বিশেষ করে যাঁদের অর্থনৈতিক স্বাধীনতা নাই বা কম, মানে অর্থনৈতিক কারনে সম্পুর্ন বা প্রায় সম্পুর্নভাবে স্বামীর উপরে নির্ভরশীল, দেখা যাবে তারা জীবনযাপনে স্বামীকে যথাসম্ভব নিজের উপর নির্ভরশীল করে ফেলতেই এই কাজটা বেশি করে থাকেন।
এইটা কোন রিসার্চ ফাইন্ডিং না।
আমার চেনাজানাদের মধ্য থেকে নিজ পর্যবেক্ষনজাত উপলব্ধি...
এই সিনামায়, তার কিছুটা ইংগিত আছে।
Do not argue with an idiot they drag you down to their level and beat you with experience.
আপনার বিশ্লেষণ ঠিক আছে। আমি একটু স্বাধীনচেতা মানুষ। তাই চাকরী ব্যাপারটাও আমার যে খুব ভালো লাগে তা নয়। তারপরও করি। কারণ না করলে পুরোপুরিই শ্রমজীবির জীবন হয়ে যায়।
“Happiness is when what you think, what you say, and what you do are in harmony.”
― Mahatma Gandhi
মুভিটা দেখার পর আমার যে অনুধাবনগুলো হলো -
১) একটি যুগলের সম্পর্ক ভাইব্রেন্ট রাখায় কমুনিকেশনটা খুবই গুরুত্বপুর্ন। ভালবাসাটা যে বেচে আছে, সেটার প্রমান হলো কমুনিকেশন। আর কমুনিকেশন ছাড়া নিজে নিজে কিছু একটা ধরে নেয়াটা হলো সবচেয়ে ফ্যাটাল।
২) নির্মাতারা এটাও এসটাবলিশ করলেন যে, যুগলের অভ্যাসও ভালবাসাজাত। আর সেটা জানার জন্য কমুনিকেশনটা হলো খুবই গুরুত্বপূর্ন একটা অনুষঙ্গ।
আমি তাদের এই দুইটা মতামতের সাথেই একমত...
Do not argue with an idiot they drag you down to their level and beat you with experience.
"বেশিরভাব ক্ষেত্রেই আমার মনে হয়েছে, কাজটা তারা করেন খুব ভেবে চিন্তে ঠান্ডা মাথায়। আর তা তাদের পুরুষটিকে নিজের উপরে নির্ভরশীল করে ফেলার জন্য।"
পারভেজ ভাই, আমি আপনার এই মতামতের সাথে পুরোপুরিভাবে একমত হতে পারলাম না। কেননা আপত পক্ষে এমন মনেহলেও এখানে নারীকুলের সহজাত প্রবৃত্তিকে কিছুটা ছোট করা হয়।
দেখুন আমরা পুরুষজাতি অধিকাংশ ক্ষেত্রে শুধুই অর্থনৈতিক সমাধা দিয়েই পকারপার কিন্তু বাকি সকলদিক নারীরাই সামলাচ্ছে ঘর,সন্তান, পরিবারপরিজন ব্লা ব্লা ব্লা। নারীরা একটা বয়সের পর আমার মনেহয়না স্বামীকে ততটা ভাবে না যতটা সে সার্বিক সাংসার নিয়ে চিন্তাকরে।সেখানে স্বামীকে তাদের উপর নির্ভরশীল করে তোলার মটিভ মনে হয় না ঠিক।
আপনি উল্লেখ করেছেন যে এটা রিচার্স ফাইন্ডিং না....বুঝেছি সেটা আর আমার বক্তব্য মূলত আমাদের পারিবারিক আবহথেকে নেয়া।
মুভি দেখার পরের অনুভবের সাথে আমিও একমত।
তানভীর আহমেদ
"নারীকুলের সহজাত প্রবৃত্তিকে কিছুটা ছোট করা হয়" - সর্বংসহা, অন্নপুন্না কোনো সহজাত প্রবৃত্তি যদি সত্যিসত্যিই থেকে থাকে, তার অমর্জাদা করাটা আসলেই অন্যয়।
বিরাট অন্যয়।
কিন্তু কথা হলো পারিবারিক, সামাজিক ও ধর্মিয় বিধিবিধানে আষ্টেপৃষ্টে বেঁধে যখন একজন নারীর জন্য ঐ সর্বংসহা ও অন্নপুন্না রোল ছাড়া আর কোনো রোল নেয়ার সুযোগ রাখা হয় না, বরং, ঐ রোলগুলাকে এমন ভাবে গ্লোরিফাই করা হয় যে ওগুলো না নিলে তারা বোঝেন যে তাদের পতন অবসম্ভাবি, তখন সেগুলা কতটা সহজাত আর কতটা চাপিয়ে দেয়া, তা নিয়ে আমার সংশয় থেকেই যাবে।
ঘোর হিজাবধারী অনেককেই বলতে শুনেছি, তারা নাকি সম্পুর্ন স্বেচ্ছায় তা করছেন।
আবার হিজাব ত্যাগের সুযোগ অবলীলায় সদ্ব্যবহার করতে দেখে মনে হয়েছে, আগের ঐ স্বেচ্ছায় হিজাব করার কথাটা আসলে খুব সেনসিটিভ কাউকে রক্ষার জন্য মিথ্যা করে বলা।
নারীদের এই এক দ্বিচারী জীবনযাপনে বাধ্য করা, আর তা করতে পারলে সেটাকে মহানুভবতার নানা মোড়কে গ্লোরিফাই করা, এটাকে আমার কাছে নারীকে নিয়ন্ত্রনের আরেকখানা পুরুষতান্ত্রিক ষড়যন্ত্র ছাড়া আর কিছুই মনে হয় না......... (সম্পাদিত)
Do not argue with an idiot they drag you down to their level and beat you with experience.
দেখেছি মুভিটা।
অনেক ভাল লেগেছে।
চ্যারিটি বিগিনস এট হোম