তিনটি প্রতিক্রিয়া (//)

এক

দুই

একটি কৌতুক দিয়ে শুরু করি। খুব সম্ভবতঃ হুমায়ুন আহমেদের এলেবেলে তে পড়েছিলাম। উচ্চ শিক্ষার্থে এক মেধাবী শিক্ষার্থী গেছে মার্কিন মুলুকে। কিছুদিনের মধ্যেই সেখানকার অন্যান্য ছাত্রছাত্রীদের সাথে পরিচয়, বন্ধুত্ব হয়ে গেল। সেখানকার ছেলেমেয়েদের মাঝে সে একটা অদ্ভুত ব্যাপার লক্ষ্য করল। কথাবার্তার মাঝে কেউ একজন হঠাৎ একটা নাম্বার বলে ওঠে আর অন্যরা হো হো করে হেসে ওঠে। বিদেশী ছেলেটি কিছু বুঝতে না পেরে বোকার মত তাকিয়ে থাকে।

বেশ কয়েকবার এরকমটি হবার পরে সে একদিন তাঁর নতুন বন্ধুদের একজনের কাছে এব্যাপারে জানতে চায়। বন্ধুটি তাকে জানায়, ওই নাম্বার গুলি হল জোকস নাম্বার। এভাবেই আমরা জোকস বলি। বাজারে কিছু বহুল প্রচলিত জোকসের বই আছে। সেখানে প্রতিটা জোক এর একটা করে নাম্বার আছে। আমরা বলার সময় খামোখা পুরো জোকটি বর্ননা না করে শুধুমাত্র নাম্বারটি বলি, এতেই পুরো জোকটি বলা হয়ে যায়। শুধু দরকার সঠিক সময়ে সঠিক নাম্বারটা উচ্চারণ করা।

বন্ধুর কাছে এটা জানার পরে সে দোকান থেকে সেরকম একটা জোকসের বই কিনে পড়ে পড়ে সবগুলো জোকস এর নাম্বার মুখস্ত করে ফেলে। এরপর একদিন আড্ডার মাঝে সে মওকা মত দুম করে একটা নাম্বার বলে ওঠে। সবাই ক্ষণিকের তরে স্থবির হয়ে গেলেও একটু পরেই আবার আড্ডা সরব হয়ে ওঠে। ছেলেটি দমে না গিয়ে কিছু সময় পরে আরেকটা নাম্বার বলে উঠলো। এবারেও কেউ হেসে উঠলো না। এভাবে তৃতীয়বারও যখন একই ব্যাপার ঘটলো তখন ছেলেটি রবার্ট ব্রুসের অনুপ্রেরণা ভুলে গিয়ে সতীর্থদের কাছে জানতে চাইলো, কী ব্যাপার, আমার জোকস শুনে তোমরা কেউ হাসলে না কেন?

বন্ধুদের একজন খুব গম্ভীর গলায় উত্তর দিল, “সবাই জোকস বলতে জানে না।”

এবার আমার বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের এক বড়ভাইয়ের গল্প বলি। জব্বার ভাই (ছদ্মনাম) ছিলেন পোশাক-আশাকে খুবই ধোপ দুরস্ত মানুষ। পুরো ছাত্র জীবনটা কাটিয়েছেন ইন করা শার্ট পরে। তা সে তিনি টার্ম ফাইনালের ভাইভাতেই যান, কিংবা বিকেল বেলায় ছেলেদের মেঠো-ক্রিকেটে আম্পায়ারিং করতেই যান। ইদানীং অবশ্য সোশ্যাল মিডিয়ার কল্যাণে জব্বার ভাইয়ের টিশার্ট-শর্টস পরা অনেক ছবিই মাঝে মধ্যে দেখতে পাই। তবে সেকালে তিনি নিজের এবং অন্যান্য ছেলেমেয়েদের স্মার্টনেসের (ওনার ভাষায়, ইছমার্টনেছ) রক্ষণাবেক্ষণের প্রশ্নে ছিলেন রীতিমত আপোষহীন। আমি ওনার সাথে সবসময় বেশ তমিজ সহযোগে কথাবার্তা বলতাম, বোধহয় সেই কারণেই উনি আমাকে মোটামুটি ইছমার্ট ছেলে হিসেবে গণ্য করতেন। যদিও আমি কখনওই ইন করে শার্ট পরেছিলাম কিনা মনে করতে পারছি না।

তো, সেরকম একদিন হলের ক্যান্টিনে বসে চা-সিঙ্গাড়া খাচ্ছি। পাশের চেয়ারে জব্বার ভাই আছেন। এসময়ে পাশের এক টেবিলে পেপসির বোতল নিয়ে বসা এক ছোটভাই ক্যান্টিন বয়কে ডেকে বলল, “এই একটা নল দাও তো”। সাথে সাথে পাশে বসা জব্বার ভাই রাগে গজগজ করতে করতে অনুচ্চস্বরে আমাকে বললেন, “দেইখলে মুজিব, কী রকম আনইছমার্ট ছেলে! পাইপ রে বলতিছে নল!” কথাটা বারদুয়েক বলার পরে ব্যাপারটা বুঝতে পারলাম। তখন ধাতস্থ হবার ভান করে তাড়াতাড়ি বললাম, ওহ খেয়াল করিনি, ও কি স্ট্র কে নল বলেছে? তা এতে অসুবিধা কী? জব্বার ভাই মোটামুটি ক্ষেপে গিয়ে বললেন, “ঈশট্র হবে কেন? এখানে খড়কুটোর কুয়েশ্চেন আসতিছে কেন? ও পাইপ রে বলতিছে নল! একটা ইছমার্ট ছেলে হইয়েও তুমি বুঝতি পারতিছো না, ও পাইপ রে বলতিছে নল!!” এরকম অবস্থায় অগ্নিশর্মা জব্বার ভাইয়ের উষ্মা প্রশমন করার জন্য সেদিন “ঠিইইইক, ঠিক ঠিক” জাতীয় কিছু কথাবার্তা বলে নিজের ও আশেপাশে বসে থাকা ছেলেদের “ইছমার্টনেছ” – এর হেফাজত করেছিলাম।

এর পর থেকে আমাদের বন্ধুদের মাঝে “পাইপ রে বলতিছে নল” কথাটা ছোটখাট একটা প্রবাদে পরিণত হয়ে গিয়েছিল। আমরা যারা কম্পিউটিং এর ছাত্র তাঁরা জানি যে, AI এর পরিভাষায় এই ধরনের প্রবণতাকে ‘লোকাল ম্যাক্সিমা জনিত সমস্যা’ বলে অভিহিত করা হয়।

তাহলে এবার আসা যাক মুল প্রসঙ্গে। জনৈক রমিজ রাজা কিংবা রাজাদের রমিজ অতি সম্প্রতি আবারও বেফাঁস কথা বলে নিজের ও প্রায় সমগ্র পাকি-কুলের ইছমার্টনেছ এর স্বাক্ষর পেশ করেছেন। তামিম ইকবালের সাথে তাঁর সেই কথোপকথনের ভিডিও তে সোশ্যাল মিডিয়া সয়লাব। আমরা প্রায় সবাই বিভিন্ন ফোরামে এই বিরক্তিকর প্রাণীটির সম্পর্কে নিজেদের রাগ ও বিরক্তি প্রকাশ করে আসছি। তবে এবার আমি একটু ডেভিল’স অ্যাডভোকেট খেলতে চাচ্ছি। এই রমিজের প্রজাতিটির পক্ষ নিয়ে ওকালতি করার কথা ভাবলেই আমার মনের ভেতরে একটা গা ঘিনঘিনে অনুভূতির জন্ম হয়। তারপরেও যেহেতু বিষয়টি “আন্তর্জাতিক”, এবং খুবই “স্বচ্ছ” ভাবেই ভিডিওতে সব দেখা যাচ্ছে, তাহলে “নিরপেক্ষ” টা আর বাদ থাকবে কেন? অতএব, আমি এখন সম্পুর্ণ “নিরপেক্ষ” দৃষ্টিতে রমিজের আচরণ বিচার করব, মানে রমিজের আয়নায় রমিজের কীর্তি বিশ্লেষণ করব।

 

 

রমিজ আসলে কোন কালেই বাঙালীদেরকে অপমান করতে চায়নি, চেষ্টাও করেনি। নেহায়েত আহাম্মকি বশতঃ এবং একাত্তরের… ওহ নাহ খেলার সাথে রাজনীতি মেশানো ঠিক হবে না… হ্যাঁ, যা বলছিলাম, নেহায়েত আহাম্মকি বশতঃ সে মাঝে মাঝে নিজের ইছমার্টনেছ দেখানোর জন্য বাংলাদেশ ও বাঙালীদেরকে নিয়ে উল্টোপাল্টা কথাবার্তা বলে ফেলে। তবে রমিজ কিন্তু ছেলে হিসেবে খুবই ভালো, একেবারে সুকুমার রায়ের গঙ্গারামের মত। আসলে হয়েছে কী, গত বছর দুয়েক ধরে রমিজ ক্রমাগতভাবে বাংলাদেশের ক্রিকেট নিয়ে একটু আধটু টিকা-টিপ্পনী কেটে চলছিল। কিন্তু খেলাশেষে তাঁর সেই টিকা-টিপ্পনী গুলো অসাড় প্রমাণ হওয়াতে সে মানসিক ভাবে খুব ভেঙ্গে পরে। এরপর থেকে বাঙালী দেখলেই রমিজ সাংঘাতিক রকম নার্ভাস হয়ে যায়। এই নার্ভাসনেসের কারণেই আগেরদিন সাকিবের বদলে সিমন্সের নাম ঘোষণা করে ফেলেছিল। এমনকি সেই ঘোষণার ভুলটি বুঝতে পারার পরেও খুব একটা স্মার্ট ভাবে সেটাকে সংশোধন করতে পারেনি। কেমন যেন একটা লেজেগোবরে অবস্থা তৈরি হয়ে গিয়েছিল।

এরকম একটা লেজেগোবরে অবস্থা তৈরি করার পর থেকে রমিজ আরও ভেঙ্গে পরে। তাঁর মনের গহীনে বাঙালীদের নিয়ে এক অজানা শঙ্কা, ভয়, লজ্জা, আতঙ্ক মিলেমিশে একাকার হয়ে যায়। এই দুরাবস্থার হাত থেকে রেহাই পাবার জন্যেই পরের দিন তামিম কে সামনে দেখে একটু রসিকতা করে ইছমার্ট হবার চেষ্টা করেছিল। সে ভেবেছিল, একটু পরেই এ পাড়ার খাঁ বাড়ির আফ্রিদি আসবে মঞ্চে, সে সদাই উর্দুতে বাৎচিত করে। সেই আবেশেই রমিজ অবচেতনে ভেবেছিল ওপাড়ার খান, তামিম বাঙ্গালও হয়তো উর্দুতেই কথা বলবে। কিন্তু শেষ মুহুর্তে মনে পরে যায় তামিম তো বাঙালী, উর্দু/পশতু বলেনা, আবার রমিজ নিজেও তো বাংলা জানেনা। এখন আমার কী হবে গো? আবারও লেজেগোবরে অবস্থা, আবারও নার্ভাসনেসের কালো মেঘ চারিদিক থেকে জোঁকের ঝাঁকের মত জেঁকে ধরে রমিজকে। সেই জোঁকের আক্রমণ থেকে বাঁচার জন্য রাজা মশাই একটা ইছমার্ট জোক করে পরিবেশ হালকা করার চেষ্টা করেছিলেন মাত্র। সত্যি বলছি, এখানে তাঁর মনে কোন দোষ ছিল না। এখানে কোন তঞ্চকতা ছিল না। এটা ছিল নিছকই একটি জোক। কিন্তু হায়! “সবাই জোকস বলতে জানে না।”

ওহ রমিজ, আহ রমিজ, হোপলেস রমিজ! খামোখাই নিজের ইজ্জতের ফালুদা বানানো ছাড়া তোমার হয়ে ওকালতি করার আর কোন পরিণতি তো কল্পনাতেও আসছে না!

শুধু এই রাজা মশাই নন, তিনি ছাড়াও মোটের উপর বেশিরভাগ পাকিস্তানীর কথাবার্তা শুনলে আর হাবভাব দেখলে আমার কেমন জানি শ্রদ্ধেয় জব্বার ভাইয়ের চেহারাটা মানসপটে ভেসে ওঠে।

 

(চলবে …)

৫,৮১৯ বার দেখা হয়েছে

১৫ টি মন্তব্য : “তিনটি প্রতিক্রিয়া (//)”

  1. রাজীব (১৯৯০-১৯৯৬)

    ভিডিও দেইখা ব্যাপক বিনোদন পাইলাম।
    আফ্রিদি দেখি ভালোই ইঙরেজি বলে।


    এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ

    জবাব দিন
  2. পারভেজ (৭৮-৮৪)

    রমিজ রাজা তার এই হ্যাংলামোগুলো থেকে ভবিষ্যতে কোন শিক্ষা যদি নেয় তাহলেই হয়।
    তাঁর কৌতুকগুলাও নিম্নমানের।
    আবদুল হাফিজও কিন্তু দাড়ির রং নিয়ে করা কৌতুক প্রচেষ্টা পছন্দ করে নাই।
    এই লোকটা কবে যে মানুষ হবে???


    Do not argue with an idiot they drag you down to their level and beat you with experience.

    জবাব দিন
  3. রাজীব (১৯৯০-১৯৯৬)

    বটম লাইন এই যে বাঙলাদেশের খেলোয়াড় দের নিশ্চয়ই বিসিবি পাকিদের সাথে লীগ খেলতে বাধ্য করে নাই।
    সেক্ষেত্রে ক্যানো ওরা ওখানে খেলতে যাবে???


    এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ

    জবাব দিন
  4. তানভীর (২০০১-২০০৭)

    পাকিস্তানিদের ইংরেজি জ্ঞানের বহর!
    ========================
    ১৯৯২ সালের বিশ্বকাপে পেকো ক্রিকেটার ইনজামাম উল হক নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে ম্যাচসেরা হবারপর প্রেজেন্টেটর একটি ভিন্ন ধরণের প্রশ্ন করলেন। যার জন্য মোটু ইনজামাম মোটেও প্রস্তুত ছিলেন না। ম্যাচ জেতার পর পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের জন্য তিনি কিছু গদবাঁধা কমন বাক্য মুখস্ত করে রেখেছিলেন। বেরসিক উপস্থাপক জিজ্ঞেস করলেনঃ
    So Inzamam, that’s fantastic, your wife is pregnant for the second time and you must be happy!

    ইনজামাম খুশিতে গদগদ হয়ে উত্তর দিলেনঃ
    Actually all credit goes to the boys!
    Everyone worked hard for it, especially Wasim Akram. It was tight situation when He helped me.
    Also our coach Intikhab Alam was Keeping close eye on progress and giving instructions. It’s all team effort. We all will work together as a team, put in big effort and deliver good result all the time and will be able to repeat the same result!

    ভাই, জানিনা খবরের সত্যতা কতটুকুন তবে ব্যাপক মজা পাইলাম এইটা পড়ে.....
    কমেন্টে ইইংরেজি ব্যবহার না করে পারলাম না সে জন্য দুঃখিত। (সম্পাদিত)


    তানভীর আহমেদ

    জবাব দিন
    • আমিন (১৯৯৬-২০০২)

      ছোট ভাই, খবরের সত্যতা চাইলেই চেক করতে পারো। প্রথমত, কিছু লজিক্যালি চিন্তা করার চেষ্টা করি। উইকি দেখাচ্ছে ইনজামাম এর জন্মসাল ১৯৭০ সালে। সো ১৯৯২ সালে তার বয়স ছিল ২২ বছর। এটা দেখেই প্রথমে প্রশ্ন জাগার কথা ২২ বছর বয়সে সে দুই বাচ্চার বাপ হয়েছিলো কিনা? একটু চেক করে জানতে পারলাম ইনজামাম এর একটি ছেলে আছে যার জন্ম ২০০০ সালে। সে কিছুদিন আগে ইনজামাম এর সাথে ঘরোয়া ক্রিকেটে একসাথে ওপেন করেছে। ইনজামামের বিয়ের ব্যাপারে সঠিক তথ্য না থাকলেও বলা আছে নব্বই দশকের কোন এক সময়। ১৯৯২ সালে দ্বিতীয় বাচ্চার বাপ হওয়ার ব্যাপারটা একটু আশ্চর্যের নয় কি!!

      আমি যতদূর ক্রিকেট ফলো করি তাতে জানি ইনজামাম ইংরেজি বলার প্র্যাকটিস শুরু করেছে অধিনায়ক হবার পরে।পাকিস্তানি বেশিরভাগ ক্রিকেটারই ইংরেজি পারে না। সেখানে অজো পাড়া গা থেকে উঠে আসা ইনজামামের ১৯৯২ সালে ইংরেজি সাক্ষাৎকার দেয়াটা মোটামুটি অসম্ভবই বলা যায়। আর যদি ১৯৯২ সালের ম্যাচগুলোর এক্সটেনডেড হাইলাইটস দেখো তাহলে জানবে তখন পুরষ্কারের ট্র্যাডিশনটা একটু ডিফারেন্ট ছিল।

      মোটা দাগে আমার এত গুলো কথা বলার কারণ হলো ইনফো গত ভুলে ডাউট দেয়া। ফেসবুকে এ জাতীয় ব্যাপার লক্ষ্য করেছি। তার করেকটিতে ইনজামামের সেঞ্চুরির কথাও উল্লেখ ছিলো (১৯৯২ সালে ইনজামাম কোন সেঞ্চুরি করেনি)। পাকিস্তানিদের ইংরেজি যথেষ্টই খারাপ। এবং ইনজামামের ইন্টারভিউ আসলেই খুব ফানি ছিল (সিসিবিতে অনেক আগে শওকত হোসেন মাসুম ভাই ইনজামাম কমেন্ট করতেন মজা করে)। তুমি যে সাক্ষাৎকারটি লিখেছ সেটা আমি অন্য ভার্সনে শুনেছি (ইনজামাম অধিনায়ক হিসাবে এবং আকরাম ইমরানের জায়গায় আফ্রিদির নাম), তবে সেটা টেলিভিশনে লাইভ নয়। কথ্য কৌতুক হিসাবেই।

      এত গুলো কথা বলার উদ্দেশ্য হলো এটাই যে, যখন গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু নিয়ে আলোচনা হবে তখন ইনফোগুলো যত্ন নিয়ে চেক করে বলা উচিত। অন্যথায় বিপক্ষ মূল ইস্যু থেকে দূরে সরে ইনফো ভুল দেখি ত্যানা পেচিয়ে পিছলে যাবে।

      জবাব দিন
      • তানভীর (২০০১-২০০৭)

        আমিন ভাই,আমি নিজে জেনেছি এই খবর সত্যি নয় এবং এই ধরনের একটা তথ্য শেয়ার করেছি শুধু মাত্র মজার ছলে....আমি আমার কমেন্টে এই কথাটি উল্লেখ করছি সম্পাদনের মাধ্যমে। আগেই করা উচিৎ ছিলো কিন্ত তথ্য বিভ্রাট হতে পারে সেটা মথায় আসেনি.....যেহেতু স্যাটায়ার তাই এমন ভাবে বলেছি.....ধন্যবাদ আপনাকে ব্যাপারটা সম্পর্কে অবগত করার জন্য।


        তানভীর আহমেদ

        জবাব দিন
  5. আমিন (১৯৯৬-২০০২)

    ভাইয়া লেখাটা ভালো লাগলো। লেখার বেশিরভাগ জিনিসের সাথেই একমত। রমিজের সস্তা লেভেলের রসিকতা এবং কমেন্ট্রিতে বাংলাদেশকে খাটো করে দেখানোর চেষ্টা বিরক্তিকর।তবে এই বিষয়ে কিছু অবজারভেশন বলি। আমার কাছে মনে হয়েছে রমিজ তামিমের ইংরেজি জ্ঞানকে কটাক্ষ করার চেষ্টা করে নি। বরং সে তামিমের মুখ দিয়ে উর্দু বলিয়ে নিতে চেয়েছিল। তবে এই ব্যাপারটা সাথে ক্রিকেটিয় জ্বলুনি তো আছেই তার চেয়ে বেশি কাছ করেছে আসলে জাতিগত সমস্যা।

    কারণ আমার ব্যাক্তিগত অবজারভেশনে আমার এইখানে পাকিস্তানিরা বাংলাদেশি শুনলেই গদগদ ভাবে মুসলিম ব্রাদার টাইপ একটা হ্যাংলামি শুরু করে। আর সেই হ্যাংলামির পরের ধাপ যায় উর্দু বুঝি কিনা। তো আগি প্রতিবার কড়া ভাবে বলি আগি বাংলা ইংরেজি বাদে আড় কিছু বুঝি না। কিন্তু সমস্যা হলো আমাদের জাতিগত হীনমন্যতা এখনো যায় নাই। ভারতীয়দের সামনে হিন্দী আড় পাকিদের সামনে উর্দু বলে বর্তে যাওয়ার হিরোইজম (!!!) আমাদের অনেক বাঙালির মাঝেই দেখি। তো এই খানেই যখন এই অবস্থা তো দএশের অবস্থাও তার চেয়ে ভালো হবার কারণ নেই। যদি লক্্য করেন দেখবেন, আইসিএলে গিয়ে আমাদের আফতাব কাপালি আহলাদের সাথে হিন্দিতে গদগদ করে আসছে। লোটাস কামাল মশাই খুব সম্ভবত গায়ে পড়ে পাকিস্তানে গিয়ে উর্দু বলে এসেছিলেন। আর হাল আমলে ওয়ার্নিং খাওয়া সালমার কথা নাই বললাম। তো আমাদের এইসব জাতিগত হীনমন্যতা দেখেই আসলে পাকিগুলা বড়ভাই সুলভ হ্যাংলামির সুযোগ করে।

    সমস্যা হলো বাস্তবে এই জাতীয় হ্যাংলামি যারা করে তারা সবাই আমার আপনার বড় ভাই ছোট ভাই বন্ধু। এদেরকে কড়া করেকিছু বলটে চাইলেও সেইভাবে বলা হয়ে উঠে না।

    জবাব দিন

মন্তব্য করুন

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।