ত্যাল

ইঞ্জিনে ঢালে, খাবারে মেশায়,
কুন্তলে মাখে বালিকা;
তরল সে এক পদার্থ ভাই,
তেল- জগতের চালিকা।

কিন্তু ভ্রাতারা, জান কি তোমরা, সকল তেলের মাসী-
আছে সে ‘ত্যাল’ এক, অসীম শক্তি, সিংহকে করে খাসী?
মাখামাখি ওই তরলে আবাল-বৃদ্ধ-বণিতা-জনগণ,
সেই ত্যালেরই গুণ গাহি আজ, শুনিও ভ্রাতারা দিয়া মন।

ত্যালের প্রকৃতি অদ্ভুত বড়, মধুর মতই মিষ্ট;
কষ্ট ছাড়াই আনিবে ঠিক সে,

বিস্তারিত»

প্রজন্ম-প্রজন্মান্তর

রংপুর ক্যাডেট কলেজের আমাদের ব্যাচ (১৯৮৮-‘৯৪)-এর দুজন (লেঃ কর্নেল হুমায়ুন এবং অবসরপ্রাপ্ত ক্যাপ্টেন শহীদ)-এর সন্তান বর্তমান প্রজন্মের ক্যাডেট। হুমায়ুনের বড় ছেলে ফৌজদারহাটে ক্লাস এইটে পড়ছে, আর শহীদের বড় মেয়ে আজ জয়পুরহাটে সপ্তম শ্রেনিতে ভর্তি হলো। নতুন প্রজন্মের সবার জন্য দোয়া, অভিন্দন, শুভকামনা এবং ভালবাসা!

আমার মেয়েটার কেবল সাড়ে তিন বছর বয়স। স্বপ্ন দেখি তাকেও ক্যাডেট বানানোর। কিন্তু ইদানিং কালের দূর্ঘটনাগুলো আসলেই মনে চাপ ফেলছে।

বিস্তারিত»

গল্প হলেও সত্যি

ছেলেটি পড়ত রংপুর ক্যাডেট কলেজে।নাম আসিফ।দুষ্ট ক্যাডেটডের লিডার ছিল সে।কিন্তু মনটা পানির মত পরিস্কার আর সরল।আমার বেস্ট ফ্রেন্ড।তাই বলে তাকে এই কমপ্লিমেন্ট দিচ্ছিনা।যে বা যারা তাকে চিনে সবাই একই কথাই বলবে।
মেয়েটি পড়ত জয়পুরহাট গার্লস ক্যাডেট কলেজে।নাম নিশাত।শান্ত শিষ্ট লেজ বিশিষ্ট মেয়ে।মনের দিক দিয়ে হয়তো সৃষ্টিকর্তা ই তাদের এক বিন্দুতে মিলিয়েছিলেন।তবে আশ্চর্যের ব্যাপার হচ্ছে গল্পের এই ২ চরিত্র কলেজ জীবনে একে অন্যকে সেভাবে চিনতই না।বলে রাখা ভাল যে ছেলেটার আগে আমি নিজে মেয়েটার বাসা ঘুরে এসেছি!!!:-p
চেনা বলতে ছেলেটার বাসা ছিল গাইবান্ধায় আর মেয়েটির কুড়িগ্রামে।তো মেয়েটির কিছু কলেজমেটের বাসা ছিলো গাইবান্ধায় আর ছেলেটির কিছু কলেজ মেটের বাসা ছিলো কুড়িগ্রামে।তো দেখা যেত যে ছুটির পরে কলেজে গিয়ে তারা সারাদিনই ছুটির গল্পই কেবল করত।এটুকুই তাদের একে অন্যকে চেনার পর্ব ছিল শুরুতে।

বিস্তারিত»

ছয়টি তারে (গীটার উপাখ্যান)

ছয়টি তারে পাঁচটি আঙুল
বাজিয়ে দিলাম সুর,
একটি তারে ঝুমকা বাজে
একটিতে নূপুর।

একটি তারে ঠমক-ঠামক
বিছায় আলোড়ন,
একটি তারে রেশমি চুড়ি
উদাস করে মন।

একটি তারে সুখ-দুঃখে
জড়িয়ে থাকার পণ,
আর একটি তারে ভালোবাসি
তাকেই অনুক্ষণ।

বিস্তারিত»

শেকড়ের সন্ধানেঃ বাঙালি মুসলমানের আত্মপরিচয়-৩

পর্ব-১

পর্ব-২

প্রথম পর্বে পর্যালোচনা করে দেখেছি যে, বাইরে থেকে মুসলমানদের ভারতবর্ষে মাইগ্রেশন, মুসলিম শাসকদের তলোয়ারের মাধ্যমে জোরপূর্বক হিন্দুদেরকে ইসলামে ধর্মান্তর অথবা সুফিদের মাধ্যমে সাম্যবাদী ইসলামে হিন্দুদের স্বেচ্ছায় ধর্মান্তর কোন তত্ত্বই ঐতিহাসিক তথ্য এবং যুক্তির বিচারে টেকেনা, বিশেষ করে যখন আমরা ভারতবর্ষের কেন্দ্রে নয়, বরং প্রান্তিক অঞ্চলে মুসলমানদের সংখ্যাধিক্য দেখি, যেমন পূর্ববঙ্গ তথা আজকের বাংলাদেশ।

বিস্তারিত»

একজন সুখী মানুষের কথা (অনুবাদ কবিতা)

Edwin Arlington Robinson এর “A Happy Man” কবিতাটি পড়ে আমার খুব ভালো লেগেছিলো। “When these graven lines you see, Traveller, do not pity me;” (“হে পথিক, রেখাঙ্কিত এ সমাধিগুলো দেখে কখনো আমার প্রতি করুণা কাতর হয়োনা”) এই পংক্তি দুটো পড়ার সাথে সাথে আমার মনে গভীরভাবে রেখাপাত করে। আমি কবিতাটি অনুবাদ করার সিদ্ধান্ত নেই এবং কবির জীবনী সম্পর্কে জানতে আগ্রহী হই। তাঁর জীবনী পড়ে বিস্ময়ে অভিভূত হই।

বিস্তারিত»

বইমেলার টুকিটাকি

এবারের একুশে বইমেলায় নিজের বই বিক্রী হোক বা না হোক, কোন কোন দিনে বেশ চমকপ্রদ অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করেছি। যেমন একদিন একটা নয় দশ বছরের বাচ্চা মেয়ে আমার “জীবনের জার্নাল” এর প্রচ্ছদের ছবিটার দিকে অনেকক্ষণ ধরে তাকিয়ে দেখছিলো। তার পরে কয়েকটা পৃষ্ঠা উল্টিয়ে একটা চ্যাপ্টার পড়া শুরু করলো। দুই একটা পৃষ্ঠা একনাগাড়ে পড়লো। ততক্ষণে ওর মা কয়েকবার ওকে ডেকে পাশের একটা স্টলের দিকে হাঁটতে শুরু করলেন।

বিস্তারিত»

~ বোহেমিয়ান সেই কবির জীবন মন্তাজ : যোদ্ধা, প্রেমিক, দ্রোহী এক স্বপ্নবাজ ~

কোথায় আলো জ্বেলে অপেক্ষায় বসে আছে আমার বিদায় উৎসব তোরণ! কে জানে কোন ক্ষণে আমি পৌঁছে যাবো সেইখানে। আমার প্রস্থান লগ্নটিকে ছুঁয়ে দিতেই বুঝিবা নিভে যাবে তার সমস্ত আলোকসজ্জা।
টিকিটের গায়ে অদৃশ্য গন্তব্য স্টেশনের নামটি ঠিক ঠিক বুঝি তখনই দৃশ্যমান হয়ে উঠবে – আমার যাত্রাশেষের ইংগিত আলোকবর্তিকার মতোন। অদৃশ্য ট্রাফিক হাতের ইশারা বলবে যখন, থামো। এটাই শেষ স্টেশন। নামো।
ভালোবেসে যা কিছু প্লাবন এনেছো মাটির গায়ে পাললিক আহলাদে,

বিস্তারিত»

ঘোলা জল – পরিষ্কার জল – পুরানো কথা – নতুন কথা

জাতি হিসাবে আমরা বেশ অদ্ভুত। যদিও নিকট অতীতে এক সার্ভেতে আমরা ১১তম সুখী রাষ্ট্র কিন্তু পরচর্চা, পরনিন্দা, পরকে ঘৃণা করা আমাদের জাতীয় বৈশিষ্ট্য বললে মনে হয় কম বলা হয় না। প্রতিবেশি ব্যাগ উপচে পড়া বাজার নিয়ে ঘরে ফিরলে বলি, এই দুর্মূল্যের বাজারে এতো টাকা পায় কই! আর খালি হাতে বা তলানি নিয়ে বাড়ি ফিরলে বলি, ছোটজাত, কোনদিন খেয়েছে নাকি, বাজার করা শিখবে কোথা থেকে!
আমরা ভালো কে ভালো,

বিস্তারিত»

সম্পর্ক: ভার্চুয়াল বনাম একচুয়াল

মুখবই বন্ধ করেছো জানি
বুকের বইটা বন্ধ করতো দেখি?

হিসাবখানা নিস্ক্রিয় করেছো জানি
আলাপগুলো নিস্ক্রিয় করতো দেখি?

সুখস্মৃতি অস্বীকার করতে পারো
সঙ্গসুখ অস্বীকার করবে কি করে?

মুখবই-এ বাধা দিতে পারো
মনটা তোমার বাঁধবে কেমন করে?

বিস্তারিত»

হিন্দু, ভারত, একজন চাষার ছেলে

দিনকয়েক আগে ছড়ানো হচ্ছিলো বাঙলাদেশ ব্যাংকে ডাইরেক্টর হিসাবে কতোজন হিন্দু ধর্মাবলম্বী বা হিন্দু নামধারী আছেন তাদের নাম। গতকাল থেকে ছড়ানো হচ্ছে ২২শে সেপ্টেম্বর ২০১৫ সালে সমকাল পত্রিকায় প্রকাশিত বাঙলাদেশ ব্যাংকের ভল্ট থেকে চুরি যাওয়া ৫ লাখ টাকা র সংবাদ। বিষয়টি অহেতুক আলোচনায় তুলে আনছেন আসিফ নজরুল, প্রমুখ। 

 এটা ছড়ানোর পিছনেও মূল কারণ টাকা লোপাট এর পিছনে ভারত ও হিন্দু ষড়যন্ত্র খুঁজে বের করা।

আপনাদের সুবিধার জন্য দৈনিক সমকালে প্রকাশিত সংবাদটির স্ক্রিন শট দিয়ে দিলাম।

বিস্তারিত»

আর্কেডিয়া

(উৎসর্গঃ কবি রফিক আজাদ শ্রদ্ধাভাজনেষু)

ভুল করে তুমি একদিন নেমেছিলে বুঝি ভুল জলে
অথবা সে ভুল নয়, হৃদয়ের প্রিয় অপচয়,
কারুচারীর জন্মগত অভিশাপে!
শরীরের বাঁকে বাঁকে কে করেছিল একদিন মরণের খোঁজ
আরক্ত নবীন প্রেম, দুর্দান্ত প্রবল প্রতাপে!

সর্বগ্রাসী ক্ষুধার জ্বালায় একদিন ভাত দে বলে
চেঁচিয়ে কে উঠেছিল? করেছিল মানচিত্র ছিঁড়ে-খুঁড়ে
জটিল ক্ষুন্নিবৃত্তির সন্ধান!
প্রিয় শাড়ীগুলো দেখে সে-ই ফের উঠেছিল গান গেয়ে
অথবা কালের ঘুংঘুর বেঁধেছিল অসম্ভবের পায়ে!

বিস্তারিত»

আমরা বুড়িকে মেরে ফেলেছি

ইতালির টুরিস্ট সিটি ভেনিসের মূল আকর্ষন তার খালগুলো, খাল্গুলোকে কাজে লাগিয়েই শহর চলছে, লন্ডন, সেন্ট পিটারসবার্গ, আর্মস্টারডাম ইত্যাদি শহরের চমৎকার অতিথিপরায়নতার মধ্যে আছে নদী, নেভা নদী, রাইন নদী। নদী আমাদেরও ছিল, ঢাকার মধ্যেই ছিল, নদীর নাম বুড়িগঙ্গা। বুড়িগঙ্গায় গত দশ বছরেও নাকি মাছ নেই, আগে হেথায় সেথায় দু একটা শুশুক লাফিয়ে উঠত, এখন সেটাও নেই।

পৃথিবীর বসবাস অযোগ্য শহরের মধ্যে ঢাকা শহর এক নাম্বারে অবস্থান করছে,

বিস্তারিত»

বিপ্লব, যুদ্ধ এবং শৈশব (প্রথম পর্ব)

বিপ্লব, যুদ্ধ এবং শৈশব (প্রথম পর্ব)

শান্তির সময়ে শিশুদের বয়স দ্রুত বাড়েনা! কিন্তু আন্দোলন, বিপ্লব, যুদ্ধ, এমনকি দুর্যোগ বা দুর্ভিক্ষের সময়ে তারা দ্রুত বেড়ে ওঠে। আমি এই কাল, সেই কাল, এই দেশ, সেই দেশ এবং যুদ্ধ বা শান্তির সময়ের পরিক্রমা থেকে এধরনের একটা সিদ্ধান্তেই উপনীত হয়েছি! কারন এই সময়গুলোতে বড়রা এমন সব বিষয়ে নিজেদেরকে সর্বক্ষণ নিয়োজিত রাখেন যে, শিশুরা কখনই তাদের স্বভাবগত শিশুসুলভ কোন বৃত্তি সমূহকে লালন বা পরিচালনা করতে পারেনা।

বিস্তারিত»

যদি উপেক্ষা করতে না পারো, ভালবেসো না

“পথে চলে পারে পারাপারে
উপেক্ষা করিতে চাই তারে;
মড়ার খুলির মতো ধরে
আছাড় মারিতে চাই, জীবন্ত মাথার মতো ঘোরে
তবু সে মাথার চারিপাশে!
তবু সে চোখের চারিপাশে!
তবু সে বুকের চারিপাশে!
আমি চলি, সাথে সাথে সেও চলে আসে!”
– জীবনানন্দ দাশ
=======================

যদি উপেক্ষা করতে না পারো,

বিস্তারিত»