প্রথম অভিসারটির রঙ ধুসর।
অবিশ্বাস্য দ্রুততায় কেটে যায় তা
পরিচিতিই ঘটে কেবল,
স্মরণে থাকে না আর কোনো কিছুই
কিন্তু কানে কেবলই বাজে একটা সুর,
“আবার কবে দেখা হবে, প্রিয়তমেষু………”
দ্বিতীয় অভিসারের রঙ বেগুনি।
কত কত নিরীক্ষায়ই না ঘটে তখন
আর সময়টা কাটতে থাকে
অভিজ্ঞতায়, অর্জনে,
যার কতক টেকে
আর কতক ঝরে পড়ে
গন্তব্যহীন হয়ে।
তৃতীয় অভিসারের রঙ গোলাপী।
মন রাঙিয়ে সমন্বয় ঘটে
যা যা ছিল সংশয়ের,
তার সব কিছুতেই।
দুজনেই বুঝতে পারে,
“হ্যাঁ, এবার থেকে তাহলে সবকিছুই
চলবে ঠিকঠাক………”
চতুর্থ অভিসারটি হয় লালে লাল,
যে সে নয়, এক্কেবারে আগুনে লাল
আর তাই হয়তো সে পরমানন্দে পৌছুনো
দুজনকেই না হোক,
অন্ততঃ একজনকে পোড়ায়,
আর ভাবায়, “এই সুখ, এই আনন্দ,
কেন পেতে হলো অভিসারে এসে?”
“কেন নয় অধিকারের মানুষটির সাথে?”
পঞ্চম বা তৎপরবর্তি অভিসার বলে
তাই আর কোনো কিছু নাই।
যদি কেউ চারবারের পর
আর কখনো অভিসারে যায়,
সেটা আর কোনো অভিসার থাকে না।
কারন চার পরবর্তি প্রতিটি
অভিসার প্রচেষ্টাই হলো বর্নহীন।
যদিও কারো কারো জন্য
তা কেবলই হয়ে ওঠে
একধরনের নিরুত্তাপ ঘানী টেনে চলা………
কি সুন্দর 'ডপলার শিফট' হইতেছিল, শেষে আইসা বর্ণহীন হইয়া গেল ক্যান বুঝলাম না! 😕 (সম্পাদিত)
এমন মানব জনম, আর কি হবে? মন যা কর, ত্বরায় কর এ ভবে...
😀 😀 😀 😀 😀
দ্যাট ইজ দ্যা ট্রাজিডি অব লাইফ!!!
আসলে ইনফ্রারেড।
আর ওটা তো দেখা যায় না।
তাই এক অর্থে বর্নহীনই.........
Do not argue with an idiot they drag you down to their level and beat you with experience.
একেবারে ছহীহ সায়েন্টিফিক ব্যাখ্যা দিলেন তো! বিজ্ঞানময় কবিতা বৈকি! B-)
এমন মানব জনম, আর কি হবে? মন যা কর, ত্বরায় কর এ ভবে...
শুধু কবিতা কেন, আবেগ-অনুভূতি-বিশ্বাস, সবকিছুই দেখছি বিজ্ঞানময় করতে পারলে পাবলিকে ভাল খায়।
তাই.........
😉 😉 😉 😉 😉
Do not argue with an idiot they drag you down to their level and beat you with experience.
শুধুই বিজ্ঞানের গোপন উপস্থিতির কারনে আমার মত কাব্যরসবোধে সদাই অক্ষমজনও উহাকে খাইলো! 🙂
গৌড় দেশে জন্ম মোর – নিখাঁদ বাঙ্গাল, তত্ত্ব আর অর্থশাস্ত্রের আজন্ম কাঙ্গাল। জাত-বংশ নাহি মানি – অন্তরে-প্রকাশে, সদাই নিজেতে খুঁজি, না খুঁজি আকাশে।
চমৎকার! তবে শ্রীকৃষ্ণের রাঁধার তো সবগুলোই অভিসার ছিল! I think few continuous years !
:boss: :boss:
চরম বিজ্ঞানময় একটা কবিতা। e^(-x) এর বর্ণিল ও কাব্যিক ডেসিক্রিপশান 😀 আবার ইলেক্ট্রিক্যালের transient state এর বর্ননা বলেও চালিয়ে দেয়া যায়। 😉
btw, 'অভিসারী লেন্স' র ফোকাল পয়েন্টে এসে ভিন্ন ভিন্ন রঙের আলো মিলেমিশে বর্নহীন (শাদা) হয়ে যায়। এটাই কি লেন্সটির এরকম নামকরণের কারন?
গৌড় দেশে জন্ম মোর – নিখাঁদ বাঙ্গাল, তত্ত্ব আর অর্থশাস্ত্রের আজন্ম কাঙ্গাল। জাত-বংশ নাহি মানি – অন্তরে-প্রকাশে, সদাই নিজেতে খুঁজি, না খুঁজি আকাশে।
:))
এমন মানব জনম, আর কি হবে? মন যা কর, ত্বরায় কর এ ভবে...
"'অভিসারী লেন্স' র ফোকাল পয়েন্টে এসে ভিন্ন ভিন্ন রঙের আলো মিলেমিশে বর্নহীন (শাদা) হয়ে যায়। এটাই কি লেন্সটির এরকম নামকরণের কারন?" - যথার্থ অনুধাবন বৎস!!!
শেষ লাইন দু'টা দেখে এক বন্ধু ভ্রমাক্রান্ত হলেন -
"তা কেবলই হয়ে ওঠে
একধরনের নিরুত্তাপ ঘানী টেনে চলা………"
উনি ধরে নিলেন, বর্নহীন মানে আগ্রহহীনতা, আর তাই নিরুত্তাপ ঘানি টানা মানে অনিচ্ছা স্বত্তেও সম্পর্কটা চালিয়ে যাওয়া।
যেহেতু পাঠক নারায়ন, তাঁরা যা বোঝেন, সেটাই কবিতার আসল মানে, আমি যাই মানে করতে চাই না কেন - বুঝলাম, বড় কোন গোল পাকিয়ে ফেলেছি...
আসলে লালের পর বর্নহীন মানে যে বুঝিয়েছি, সকল আবিষ্কার শেষে অভ্যাস অর্জন, সেটা বোধহয় ঠিক মত বুঝাতে পারি নাই।
কিন্তু তোমার লিখাটা পড়ে বুঝলাম তুমি যেটা বলেছো, সেটাই যে বুঝাতে চেয়েছি - মানে সব রং মিলে মিশে বর্নহীন বা সাদা, ধরতে পেরেছো।
আমার ধারনা, অভিসারের এই চারটা পর্যায় অতিক্রমের পর, যুগলের সম্পর্কটা একটা স্ট্যাবিলিটিতে উত্তরন ঘটে।
তাঁরা আর নিরিক্ষার বস্তু থাকে না নিজেদের কাছে।
পরস্পর হয়ে পড়ে পরস্পরের কাছে প্রয়োজনিয়। বর্নহীন পানি যেম্ন প্রয়োজনিয়, তেমনই। আর তা সব রং মিলে মিশে...
এখন কথা হলো, তা যদি হবে, তাহলে ঐ "ঘানি টানার" প্রসঙ্গটা আনলাম কেন?
এটা আসলে একটা সারকাস্টিক প্রেজেন্টেশনের প্রচেষ্টা।
কাউকে কাউকে দেখেছি (বা শুনেছি), এই চার পর্যায় পার করার পর, হঠাৎ বেকে বসেন - "নাহ্, কি জানি কম পড়ছে..." বলে।
তাদেরকে একটু খোচা দেয়ার ইচ্ছা হলো বলে ঐ কথাটা ঐভাবে বললাম।
আলাদা স্টেনজায় বলাটা, ওদেরকে আলাদা করার ইচ্ছা থেকেই।
তাদের নিয়ে আমি আসলেই বিরক্ত, যারা গদ গদ ভাব করে নিজে থেকে এগিয়ে আসে, আবার সব কিছু এজ এক্সপেক্টেড চললে অকারন বোরড হয়ে বলে বসে, "ওহ্ নো? লাইফে তো দেখছি কোনো চ্যালেঞ্জই নাই। আমি বোরড।
আমি শুধু বোরডই না, আমি হিউমিলিয়েটেডও।
যাও তুমি ব্লক............"
ব্লক! 😛
ব্লক!! 😛 😛
ব্লক!!! 😛 😛 😛
Do not argue with an idiot they drag you down to their level and beat you with experience.
পারভেজ ভাই,
ক্ষমা করবেন। বহুদিন আসা হয়নি এদিকে।
এই চমৎকার লেখাটি এখুনি পড়লাম।
আপনার লেখায় পশ্চিমী ভাবধারা এবং বাচনভঙ্গী প্রচুর --- নৈর্ব্যক্তিক, আপনি নিজে থেকেও যেন নেই।
মুগ্ধ, মুগ্ধ --- মুগ্ধ!
তিন তিনটা মুগ্ধ দেখে তো সংকুচিত হয়ে যাচ্ছি রে ভাই।
কবিতা লিখার প্রচেষ্টা হলো আমার সবচেয়ে দুর্বল জায়গা।
দুর্বলতারও।
কাটাছেড়া করতে করতে যেটা দাঁড়ায়, সেটা নিয়ে এমনিতেই খুব সংকুচিত হয়ে থাকি। তারমধ্যে এরকম কমেন্ট দেখলে তারও অধিক কিছু না হয়ে আর কোনো উপায় থাকে না।
অনেক ধন্যবাদ, সাতসকালে এমন একটা মন্তব্য রেখে বাকি দিনটার জন্য মন ভাল করে দেয়ায়.........
😀 😀 😀 😀 😀
Do not argue with an idiot they drag you down to their level and beat you with experience.
বাহহ! সার্কাজম আর সাইন্স তার ভাঁজে ভাঁজে কবিতার কুশলী বক্রতার শরীর ভাবনায় লাগালো বুঝি ভীষণ গোল।
চমৎকৃত বন্ধু। চমৎকৃত!
আবারও ভোরবেলায় মন্তব্য পেয়ে মন ভাল হয়ে যাওয়া।
এই জাতীয় লিখাগুলা যদি ভেবে চিন্তে লিখতে পারতাম, তাইলে নিজেরে একটু কবি-টবি ভাবতে পারতাম।
কিন্তু এগুলো নিজ থেকে আসে হঠাৎ হঠাৎ, তাই পরে যখন ভাবি - কি লিখলাম? নিজেই অবাক হয়ে যাই।
নিজের লিখা নিয়ে এরকম ভাবনা চিন্তা বিড়ম্বনাকর।
তাই কোনো প্রশংসা শুনলে ভাল লাগে, পুলকিতও হয় আবার বিব্রত না হয়েও পারি না।
নিজের সাধ্যতো বুঝি, তাই ভাবি, আবার কবে যে এরকম কিছু একটা লিখতে পারবো, কে জানে???
Do not argue with an idiot they drag you down to their level and beat you with experience.
:clap: :clap:
:boss: