পরিক্রমা

এক বৈশাখ থেকে আরেক বৈশাখ
খরতাপে, গরমে নাভিশ্বাস
তারপর ঝড়জল পাড়ি,
সাদা মেঘে উজ্জ্বল ঘুড়ির ডানা
নতুন ধান, শিশির ভেজা ঘাস
বসন্তের ফুল, পাখি আর গান
এই সবই এক দারুণ অপেক্ষার মানে।

বাতাসে তার আসার আবাহন
শরীর জুড়ে প্রজাপতি,
সে আসবে বলেই এই ঋতুচক্র
বারবার বাঁধে মায়াজালে।
কে ডাকে? কাক না কোকিল?
বুকের ভেতর এক হলুদ পাখি
অপেক্ষায় থাকে,

বিস্তারিত»

জীবনের জার্নাল – ৩০

প্যারেন্টস’ ডে
সপ্তম থেকে নবম শ্রেণীতে পড়া পর্যন্ত প্যারেন্টস’ ডে গুলো আমার খুব ভালো লাগতো। প্রতি মাসের শেষ রবিবারে প্যারেন্টস’ ডে হতো। যে মাসে দু’সপ্তাহের কম কলেজে থাকতাম, সে মাসে হতো না। দিবসগুলোর দিকে মুখিয়ে থাকতাম। প্যারেন্টসদেরকে আমাদের হাউসে আসতে দেয়া হতোনা। কলেজ অডিটরিয়াম, ক্লাসরুম, করিডোর, গ্যালারী, কলেজ হাসপাতালের সামনের খোলা জায়গা, ইত্যাদি স্থানে প্যারেন্টসরা এবং ভাইবোনসহ অন্যান্য আত্মীয় স্বজনেরা ক্যাডেটদের সাথে নিভৃতে বসে কথাবার্তা বলতে পারতেন।

বিস্তারিত»

মেঘবালিকার ছবি।

মেঘবালিকা হারিয়ে গেছে
এক ভিন্ন মেঘের দেশে,
আকাশটা তাই মেঘশূন্য,
নীরব হয়ে আছে।

মেঘের ঘরেই গড়তে বসত
চেয়েছিলেন এক কবি,
স্বপ্ন ভেঙে জেগে দেখেন,
মিথ্যে হলো সবই।

জানালাটা খোলাই রাখেন
তারপরেতেও কবি,
আকাশ মাঝে খুঁজে ফেরেন
মেঘবালিকার ছবি।

ঢাকা
২৭ ফেব্রুয়ারী ২০১৬
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।

বিস্তারিত»

সাম্প্রতিক কবিতা

সম্পর্ক যেন প্রাথমিক বিদ্যালয়।
প্রতিদিন হাজিরা, ইয়েস স্যার, উপস্থিত ম্যাড্যাম,
হাজির…..

দু একদিন ক্লাস মিস গেলেই দরখাস্ত,
জবাবদিহীতা…কারণ দর্শাও নোটিশ।
প্রতিদিন জানান দিতে হয়, আছি, আছি, আছি।
সম্পর্কগুলো কেমন যেন, নড়বড়ে…
একটু গ্যাপ বাড়লেই তুই থেকে তুমি,
আর তুমি থেকে আপনি….

অচেনা অচেনা ভাব, আন্তরিকতার অভাব।
যেন মাত্রই পরিচয়,

শেষ যে কে কবে বলেছিল,

বিস্তারিত»

অন্যরকম মমতার বন্ধন

পাছে বিব্রত হও,
কিংবা বিরক্ত,
তাই, আজকাল আর
সরাসরি তাকাই না
তোমার দিকে।

আড় চোখে তাকিয়ে,
অথবা না তাকিয়েই-
কেবল শব্দে-বর্নে-গন্ধে,
অনুভব করে যাই,
কতটা ভাল আছো তুমি,
অথবা কতটা ভাল নাই।

আজকাল জানো তো,
তোমার ভাল থাকাটা,
অতি জরুরী আমার কাছে।
তুমি ভাল থাকলেই কেবল
একরাশ প্রজাপতি উড়ে বেড়ায়
আমায় ঘিরে।

বিস্তারিত»

~ আমার দেশ আমার ভাষা আমার কৃষ্টি আমার ঐতিহ্য – ভালবাসা ও যতনে আমারই মাতা আমারই আত্মজার মতো ~

ঈদ, পূজা, বড়দিন, এসব আমাদের ধর্মীয় উৎসব। পহেলা ফাগুন বা পহেলা বৈশাখ, অগ্রানের উদযাপন কি বর্ষা বরণ বা ধরুন পিঠা উৎসব। বলি এমন সব দিনগুলো কি? এমন কি ১১ জৈষ্ঠ বা ২৫ বৈশাখ? আমাদের কৃষ্টি ও ঐতিহ্যের অংশ এবং উদযাপনের উৎস নয় কি? ২১ ফেব্রুয়ারী, ২৬ মার্চ, ১৬ ডিসেম্বর? রক্ত ঝরা অর্জনের উদযাপন নয় কি?

একটা জাতির, একটা দেশের, একটা স্বাধীন ভূখন্ডের জনগোষ্ঠীর (সকল ধর্ম বর্ণের সব্বাইকে মিলিয়ে যে সমষ্টি) উৎসবের উদযাপনের স্মরণের একটা ঐতিহ্য ও কৃষ্টির ধারাবাহিকতায় আমার আপনার রক্ত প্রবাহের মতোই আমাদের ত্বকের নীচে শোণিতের সাথে মিশে আছে এই দিনগুলো।

বিস্তারিত»

নতুন বছর (১৪২৩) ও কিছু ভাবনা

১৪২৩। শুভ নব বর্ষ। নতুন বছর শুরু হল। বছর শুরুর সাথে সাথে একটা নতুন সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেললাম–লেখালেখি।  অনেক আগে সিসিবি তে নিবন্ধন করেছিলাম, কিন্তু কখনও লেখা হয়নি। প্রথমত বাংলা লেখাটা বেশ কষ্টকর, খুব বেশি চেষ্টা করা হয়নি কখনও। দ্বিতীয়ত, হাতে সময় কম ছিল। কলেজ থেকে বের হয়েছি ২০০৩। দেখতে দেখতে ১৩ বছর পার হয়ে গেল। কলেজে টুকটাক লিখতাম, ওয়াল মাগাজিন, ক্রনিকাল এ কিছুটা হাতে খড়ি হয়েছিল।

বিস্তারিত»

চৈতালি

গাড় সবুজের গলায় লাল মাফলার মোরগ ডাকা ভোর থেকে শুরুখুরের ঘায়ে ধুলি উড়িয়ে গোপালের গোয়ালে ফেরা অব্দি টুকুরুক টুকুরুক টুকুরুক টুকুরুক বিটপ বদলানোর সময়টুকু ছাড়া টুকুরুক টুকুরুক টুকুরুক টুকুরুকএ কি মাছরাঙা না কি হুদহুদ ?

শুকনো পাতার মর্মরেকড়ই  বীজের ঐকতান। ঘেঁটু ফুলে মৌমাছির গুঞ্জন। রক্ত লাল শিমুল ফুলেসাত ভাই ছ্যাতারে শালিকটুনটুনির পতঙ্গ অভিযান। মউ মউ মউ আমের মোলে মউমাছি হতে চায় মন। সবুজের বুকে সোনার কারুকাজ পাকা গম আর চৈতালী বিরুত।

বিস্তারিত»

~ মহল্লার ভিতরে গুলাবী আছর, গইড়া উঠছে তাজমহল ~

আতকাই কি জানি কি ডাইকা চাউর করলা গল্লির বেবাক মানষেরে !
সোন্দর আলীর গোলাপী পাঞ্জাবীর থিকা ভকভকা আতরসুবাসরে –
য্যান তুমি দিলা সান্ধাইয়া বেবাক মরদের কইলজার ভিতরে।

মহল্লার তামাম নূরজাহান ছোক ছোক কইরা নাক টাইন্না আহারে !
বাদসা হুমায়ুন বানায়া দিবো ভি আইজকা তুমারে।
সুরমা-আতইরা রুমাল লইয়া জিগিরি দোস্তের লাহান –
লাইটপোস্টের খাম্বা হইয়া খাড়াইয়া রইছে গল্লির বেবাক পোলাপান !

বিস্তারিত»

চার গুন শূণ্য = শূণ্য (পর্ব-০০১)

ঢাকা-চিটাগাং হাইওয়ে, ঘুটঘুটে অন্ধকার চারপাশ। রাত অনেক, দুইটা-তিনটা তো হবেই। হাইওয়ের পাশ দিয়ে হাটছি, কোথায় যাবো জানি না। এত রাত্রে এখানে আমি কি করছি তাও ঠিক মনে পরছে না। একটু পর সাই-সাই করে পাশ দিয়ে বাস চলে যাচ্ছে। দমকা বাতাস গায়ে এসে লাগছে, একটু একটু ভয়ও হচ্ছে, কখন যেন গায়ের উপর এসে চাপা দিয়ে চলে যাবে একটা গাড়ি।
একটা এম্বুলেন্স খুব জোরে জোরে সাইরেন বাজাতে বাজাতে পাশ কেটে চলে গেল।

বিস্তারিত»

শেকড়ের সন্ধানেঃ বাঙালি মুসলমানের আত্মপরিচয়-৪

১ম পর্ব
২য় পর্ব
৩য় পর্ব

পারভেজ ভাইয়ের (১৯৭৮-৮৪) মন্তব্যের সূত্র ধরে এই পর্বের আলোচনা শুরু করছি এই অনুমান থেকে যে, পূর্ববাংলায়, তথা বাংলাদেশের ৭০%-৮০% ভাগ জনসংখ্যার মুসলমান হওয়ার ঘটনাটি ঘটেছে ‘ইন্টার্নালি এবং গ্র্যাজুয়েলি’। বাংলার বাইরে থেকে এতো অধিক সংখ্যক মুসলমান মাইগ্রেট করার কোন তথ্য না-থাকায় এই অনুমান সঠিক হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।

বিস্তারিত»

দিনাজপুর – শিবরামপুরের জোড়া মন্দির

উত্তরবঙ্গে বিশেষ করে দিনাজপুর জেলায় দিনাজপুর রাজবংশের কীর্তিকলাপ সর্বজনবিদিত। জেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলে যে প্রাচীন সভ্য জনপদ প্রাগৈতিহাসিক কাল থেকে কালের পরিক্রমায় গড়ে উঠেছিল সে ধারাবাহিকতায় ঈতিহাসে দিনাজপুর রাজবংশের একটি আলাদা স্বকীয়তা রয়েছে। শিবরামপুর গ্রামে পাশাপাশি অবস্থিত শিব মন্দিরদ্বয় তারঈ এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত।

জেলা সদর থেকে উত্তরমুখী যে সড়কটি দিনাজপুর – পঞ্চগড় বরাবর চলে গেছে সে রাস্তা ধরে এগোলে চেহেলগাজীর মাযার হতে প্রায় ১ কি.মি.

বিস্তারিত»

একটি আইডিয়ার পোস্টমর্টেম, অথবা(শূন্য + শূন্য)=দুই

আজ একটা হিসেব কষা যাক –

“সত্য আর স্বপ্নের মাঝে    দূ    র    ত্ব   কতখানি?”

 

সত্য – সুন্দর,

স্বপ্ন – স্বপ্নময় ।

সত্য কে আঁকড়ে আমরা বাঁচতে চাই –

আর স্বপ্ন যোগায় সেই প্রেরণা ।

স্বপ্ন যদি হয় শরতের রাতের আকাশ জুড়ে জ্যোৎস্নার প্লাবন – আলো আঁধারের প্রেমালাপ,

তবে,

বিস্তারিত»

স্রষ্টার আজাব: রজনীর ঘুম ঘোরের আজব ভাবনা

6a00d8341bf7f753ef01538fb4c4ff970b
জানেন নাকি, আমরা আগে একত্রে ছিলাম।
পৃথিবীতে কেবল একটি মাত্র মহাদেশ ছিল, প্যানজিয়া
না, কোন ধর্মীয় গ্রন্থের কথা নয়,
আমি টেক্টোনিক প্লেটের কথা বলছি
স্রষ্টা আমাদের কিভাবে আজাব দেন তার কথা বলছি

সেই একক মহাদেশটিতে প্রধান আটটি প্লেটের খন্ডন ছিল
ছিল আরো ছোট ছোট অনেক অপ্রধান প্লেট
পৃথিবীর অভ্যন্তরে গলিত তরল ধাতুর প্রবাহের কারনে
প্লেটগুলো পরস্পরকে ঠেলে দিচ্ছে
দক্ষিন থেকে উত্তরের দিকে ধীরে ধীরে সরে যাচ্ছে তারা

ফলে সৃষ্টি হয়েছে মহাসাগর,

বিস্তারিত»