খুঁজে নিও পদচিহ্ন

কখনো চাই ঊষার আলো,
কখনো অমানিশা।
কখনো চাই নীরব আঁধার,
কখনো দীপশিখা।
কখনো হই কাজের ঘোড়া,
কখনো জবুথবু,
কখনো ছড়াই আলোক রশ্মি,
কখনো নিবুনিবু।
সবাই চলেছে আপন ধারায়,
গতি তাদের ভিন্ন।
আমিও চলেছি আমার পথেই
খুঁজে নিও পদচিহ্ন।

ঢাকা
০৪ মে ২০১৬
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।

বিস্তারিত»

বৃষ্টি তোমায় ভাল লাগে

বৃষ্টি তোমায় ভাল লাগে
রাতে কিংবা প্রাতে
তোমাকে ছাড়া কিংবা সাথে
বৃষ্টি তোমায় ভাল লাগে।
টিনের চালে, গাছের ডালে
নদীনালা কিংবা খালে
বৃষ্টি তোমায় ভাল লাগে।
বৃষ্টি ছোঁয় আমায়
ক্রোধ কিংবা ক্ষমায়
বৃষ্টি তোমায় ভাল লাগে।
মাথার ছাতায়, চোখের পাতায়
হৃদয়কোণে, মনের খাতায়
বৃষ্টি তোমায় ভাল লাগে।

বিস্তারিত»

কৈশোরের চাঞ্চল্য, একটি অপমান ও কিছু কথা (২)

(প্রথম পর্বের পর)

পুরো ক্লাস কে নাস্তা নাবুদ করার পর ভিপি স্যার আমাকে দাঁড় করালেন। বাঘ তার শিকার কে পাকড়াও করার পর যেমন একটা  বিজয়ীর হাসি/হুঙ্কার দেয়, তার মুখে তেমন এক ক্রুর হাসি। নিজেকে খুব অসহায় মনে হয়েছিল সেদিন, কমপ্লিটলী ডিফেন্সলেস 🙁 কোন উত্তর নেই আমার কাছে।ছোটবেলা থেকে ভাল ছাত্র ছিলাম, তাই অপমানটা বেশি গায়ে লেগেছিল। জানিনা অতটা অপমানিত হওয়া ঠিক ছিল কিনা।

বিস্তারিত»

শিক্ষণীয় গল্প/কবিতা থেকে শিক্ষা নেয়ার শিক্ষা…

১। যে আমলের কথা বলছি তখন ‘মিথ্যাবাদী রাখাল’ গল্পটি খুব বেশি মানুষ জানত না। একবার এক বিদ্বান ব্যক্তি কিছু ছাত্র-ছাত্রীকে এই গল্প শুনিয়ে তাদের কাছে জানতে চাইলেন তারা এই গল্প থেকে কী শিক্ষা পেল। সবাই জবাব দিল-‘মিথ্যা বলা খুব খারাপ, মজা করেও মিথ্যা বলতে হয় না। মিথ্যার পরিণাম ভাল হয় না’।

তিনি একই গল্প এরপর শোনালেন কিছু রাজনীতিবিদকে এবং যথারীতি গল্পটির শিক্ষা জানতে চাইলেন।

বিস্তারিত»

অশান্ত শহরটি যেভাবে বশ মেনেছিল

( বিখ্যাত ব্রাজিলিয়ান লেখক পাওলো কোয়েলহোর How the city was pacified গল্পের মর্মানুবাদ এটি।)

অনেককাল আগের কথা। পিরিনীজ পর্বতমালার পাদদেশে ছিল এক শহর। কিংবদন্তি অনুসারে, শহরটা নাকি গুণ্ডা-বদমাশদের জন্যে ছিল রীতিমতো অভয়ারণ্য। আর দুষ্টের শিরোমণি ছিল আহাব নামের এক আরব। এহেন দুষ্কৃতিকারীর জীবন পুরোপুরি বদলে গেল স্থানীয় পাদ্রীর কাছে ধর্মবাণী শোনার পর। তার বোধোদয় হলো যে, শহরের পরিস্থিতি বিশৃঙ্খলভাবে চলতে দেওয়া উচিত হচ্ছে না।

বিস্তারিত»

“মানুষ মূলত একা”

অনেকদিন এপাড়ায় আসা হয় না।
ইচ্ছে যে হয় না, তা নয় কিন্তু পুরনো লিখা এগোয় না, আর তারিখ বদলে যে নতুন লিখা ঢুকাতে হয়, সেটা আবার ভাল লাগে না।
তাছাড়া লিখতে না এলে পড়াও হয় না। সময়টা অন্য কোনোখানে খেয়ে ফেলে যে, তাই।
এরমধ্যে বিভিন্ন সময় যে ভাবনাগুলো এসেছিল, তা ভাগ ভাগ করে ফেবুতে দিয়েছি স্ট্যাটাসাকারে।
সেটাও মন্দ না। কেউ না কেউ তো পড়ছেন।

বিস্তারিত»

শেকড়ের সন্ধানেঃ বাঙালি মুসলমানের আত্মপরিচয়- সমাপ্তি

পর্ব-১
পর্ব-২
পর্ব-৩
পর্ব-৪

বাংলার মুসলিম কৃষকসমাজের উদ্ভবের পেছনে যেসব নিয়ামক কাজ করেছে, তা’র সবগুলোই বঙ্গীয় ব-দ্বীপটির বর্ধিষ্ণু অংশের পশ্চিম থেকে পূর্বদিকে সড়ে যাওয়ার প্রক্রিয়ার সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। এই প্রক্রিয়ায় পূর্বদিকে ক্রমাগতভাবে কৃষিজমি গড়ে ওঠায় উত্তর ও পশ্চিম বাংলার তুলনামূলক কম উর্বর এলাকা থেকে কিছু মানুষ পূর্বে মাইগ্রেট করেছে।

বিস্তারিত»

মুসাফিরের সফরনামাঃ মক্কা মদীনা-

প্রথম পর্বে লিখেছিলাম  ছুটিতে দেশে যাওয়ার পথে কায়রো ভ্রমণ নিয়ে। এবার ফেরার গল্প। ঢাকা থেকে  গন্তব্য জুবা, দুবাই,জেদ্দা আর কায়রো হয়ে। উদ্দেশ্য জেদ্দায় ৭২ ঘণ্টা ট্রানজিট নিয়ে মক্কা ও মদীনা দর্শন এবং অবশ্যই উমরাহ্‌ পালন।

বাংলাদেশ থেকে উমরাহ পালনের জন্য অবশ্যই কোন না কোন একটি  অনুমোদিত ট্র্যাভেল এজেন্সির থেকে প্যাকেজ নিতে হয়। এক্ষেত্রে  দিন,হোটেল এবং প্যাকেজভেদে পার পারসন খরচ ১,১০,০০০/- থেকে ১,৪০,০০০/- এর মত (প্লেন ফেয়ার সহ,

বিস্তারিত»

পর্বতশৃঙ্গে

পর্বতশৃঙ্গে

“পাহাড়-চুড়ায় দাঁড়িয়ে মনে হয়েছিল

আমি এই পৃথিবীকে পদতলে রেখেছি

এই আক্ষরিক সত্যের কাছে যুক্তি মূর্ছা যায়”। – সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়

সত্যজিত রায়ের ‘কাঞ্চনজঙ্ঘা’ ছবিটি আমি দেখি ১৯৯২ কি ৯৩ সনে। ১৯৬২ সনে কলকাতায় মুক্তি পাওয়া এই ছবিটা যদিও ব্যবসা সফলতার মুখ দেখেনি অথবা আন্তর্জাতিক কোন চলচ্চিত্র উৎসবে পুরস্কার পায়নি, তারপরেও আমার মনে হয়েছে সত্যজিতের চলচ্চিত্রগুলোর মধ্যে অন্যতম শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র এটা।

বিস্তারিত»

নিমগ্ন অন্তরীক্ষে

নিমগ্ন অন্তরীক্ষে।
মো ও খা ও

নিমগ্ন যখন অন্তরীক্ষে কিছুই ছোবেনা আর
না প্রেম না পূজা, বয়ে যাক বৈশাখী ঝড় নৈঋতে,
অথবা হউক পুড়ে খাক অধর্ চৈত্রের দাবানলে,
প্রকৃতি উন্মুখ হবে না আর উন্মাদ রোষানলে।

প্রয়োজন যখন পরাহত শুদ্ধ নিয়ন্ত্রনে সকল সত্বা
না লোভ না লালসা, নাচুক নটি কটি দুলে রঙিন রাতে,
অথবা ত্যাজি হউক ঘর সংসার রাজন সন্যাসী,

বিস্তারিত»

আজও কাঁদে কাননে , কোয়েলিয়া……

কবি কাজী নজরুল ইসলামের এই গানটি আমার অনেক প্রিয়। গানটি তানপুরার উপর গেয়েছি। সাথে যোগ হয়েছে বাঁশির সুর। আশা করি ভাল লাগবে।

বিস্তারিত»

টিটি’র একদিন

বিমান বন্দর স্টেশন ছেড়ে ট্রেন খুলনা অভিমুখী। ধীরে ধীরে গতি বাড়ছে। সময়ের বুক থেকে বের হওয়া আরো অনেক কু-ঝিকঝিকের সাথে ট্রেনের গুলোও মিলায়.. বাতাসে.. শব্দ তরংগ।

যুবক ওরা চারজন। এক টেবিল মাঝে রেখে সামনাসামনি। টুয়েন্টি নাইন খেলছে। অপর পাশে ভিন্ন বয়সের নারী- পুরুষ শিশু। একেবারে শেষ মাথায় দুজন দুপাশের বন্ধ দরোজার ওপরের খোলা অংশ দিয়ে বাইরে তাকিয়ে আছে। সেদিকের অপর বগি থেকেই আসলেন টিটি।

বিস্তারিত»

কায়রোর দিনলিপি

ছবিতে দেখা সুবিশাল গগনচুম্বী পিরামিড,পবিত্র কুরআনে পড়া অত্যাচারী ফেরাউন, নীলনদ, মুসা নবী আর মমির গল্প- মিশর সম্পর্কে আগ্রহহীন মানুষ সম্ভবত পৃথিবীতেই বিরল।পিরামিড,মরুভুমি, নীলনদ, ফেরাউন আর মমি আমাকে যেমন টেনেছে, তেমনি কৈশোরের নায়ক মাসুদ রানার কায়রোর বিভিন্ন মিশনও আমাকে করেছে দুর্নিবার আকর্ষণ। আবার একই সাথে আরবের বেদুঈন আর মহানবী (সঃ) এর মক্কা মদীনাও আমাকে টানে সমানভাবে। কিন্তু বাংলাদেশে বসে এত দূরদেশে ভ্রমণের চিন্তা বিলাসিতার পর্যায়ে পড়ে।

বিস্তারিত»

“মা” – স্মৃতি রোমন্থন আর অনুধাবন

FB_IMG_1462551329951

ছবিটা অসাধারন হয়েছে!
ছবির বক্তব্যটাও আনপ্যারালাল!

ইদানিং ফেসবুকে এই ছবিটা অনেকেই শেয়ার করছেন। বেশ ইমোশন প্রভোকিং একটা ছবি। কিন্তু এটা কি বাস্তব চিত্র, নাকি শুধুই একটা মডেলিং ফটোগ্রাফ, সেটা নিয়ে আমার সন্দেহ আছে। কোথায় যেন একটা ত্রুটি আছে এই ফটোগ্রাফে। বাচ্চাটার যে বয়স, তাতে সুঁচ ফোটানোর বিষয়টিতে তার ভয় পাবারই কথা, কিন্তু সেটা তার চোখেমুখে নেই। আবার বাচ্চা যদি এতটাই সাহসী বা সুঁচ ফোটানোতে এতটাই নির্ভীক,

বিস্তারিত»

ক্ষমা

আমি যখন নিজের দোষ বুঝতে পেরে
লজ্জিত হই,
অনুতপ্ত হই,
ক্ষমাপ্রার্থী হই,
কিন্তু মুখে ক্ষমা চাইতে পারিনা,
তখন খুব করে চাই,
কেউ আমার চোখ দুটো দেখে পড়ে নিক
আমার নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনার আবেদন।

আমার প্রতি যখন কেউ অন্যায় করে,
আমি অপেক্ষা করতে থাকি,
সে নিজের ভুল বুঝুক,
লজ্জিত হোক,
অনুতপ্ত হোক,
ক্ষমাপ্রার্থী হোক।

বিস্তারিত»