আতকাই কি জানি কি ডাইকা চাউর করলা গল্লির বেবাক মানষেরে !
সোন্দর আলীর গোলাপী পাঞ্জাবীর থিকা ভকভকা আতরসুবাসরে –
য্যান তুমি দিলা সান্ধাইয়া বেবাক মরদের কইলজার ভিতরে।
মহল্লার তামাম নূরজাহান ছোক ছোক কইরা নাক টাইন্না আহারে !
বাদসা হুমায়ুন বানায়া দিবো ভি আইজকা তুমারে।
সুরমা-আতইরা রুমাল লইয়া জিগিরি দোস্তের লাহান –
লাইটপোস্টের খাম্বা হইয়া খাড়াইয়া রইছে গল্লির বেবাক পোলাপান !
সবতে মিল্লা এই মহল্লায় বানাইবো আ’জকা তাজমহল একখান –
পিড়িতির বয়ান রাখবো তার গতরে লেইখখা ঠিক চোক্ষে সুরমার লাহান।
আগ্রা উগ্রা যাইয়া আর কাম কি ঢাকাইয়া পোলাপানের !
মহল্লায় জুলেখা যদি ইউসুফের লাইগা মরবার পারে !
দেবদাস হওনের কও দেহি এহন কি জরুরত পড়ে !
আপসে পার্বতী যদি পিরিতের গলায় ঝুইল্লা মরে !
গল্লির চিপায় অহন শাজাহান খাড়াইয়া চিক্কুর পারে …
কলিজার ভিতরে তার গুলাবী কাঁটায় রক্ত খালি ঝইরা পড়ে !
[উৎসর্গ : নূপুর কান্তি দাশ ~ যার লেখায় মন্তব্য ধরে এ কবিতার সূত্রপাত]
যথারীতি দারুণ ! মাস্টারস্ট্রোক !!
অপার ধন্যবাদ কৌশিক। 🙂
লুৎফুল ভাই,
আমার অপরাধ মার্জনা করবেন। বহুকাল এদিকে আসা হয়নি। মূলত ফেসবুকের সেই কবিতা-সংক্রান্ত পেজ এ অনেকটা সময় কোলে যাবার কারণেই।
আপনার এই কবিতাটি আমার জীবনের অন্যতম সেরা উপহার। এবং আমার লেখাটির চেয়ে বহুগুনে বাঙ্ময় ও বর্ণময়। মনে হল, একটা সিনেমাই বুঝি।
আমার কৃতজ্ঞতা জানবেন অশেষ। হয়তো আপনার লেখায় এই মন্তব্যের মাধ্যমেই সিসিবিতে আবার ফেরা হবে আমার।
আমারও লগ ইন করা হলো যেনো এক যুগ পর।
তোমারও দেখছি একই অবস্থা।
তোমার লেখাইতো ভাবিয়ে তোলে দশ দিগন্ত আর মনের মধ্যে দাঁড় করিয়ে দ্যায় শব্দের পর শব্দ, পংক্তির বিন্যাস।
সময়ের সন্ত্রাস কি দেবে সুযোগ সিসিবিতে ফিরবার !?!?
এসে যাও ...
দারুণ কবিতা ... মাত্রই চোখে পড়লো!
আমার বন্ধুয়া বিহনে
অনেক অনেক ধন্যবাদ রাব্বী।
প্রাণিত হলাম ভালো লাগায়।
অনেক দিন এদিকে আসা হয়নি তাই অনেক দেরীতে প্রতিমন্তব্য দেয়া হলো।