কলেজ হাসপাতালে কয়েকদিনঃ
সেই সপ্তম শ্রেণীতে প্রথম টার্মেই গণজ্বরে ভোগার পর আল্লাহ’র রহমতে আমার আর কোনদিন তেমন অসুখ বিসুখ হয় নাই। বন্ধু বান্ধব কিংবা ছোট বড় কেউ কেউ মাঝে মাঝে হাসপাতালে কয়েকটা দিন থেকে এসে খবর দিত, সেখানে থাকতে তাদের খুব ভালো লেগেছে। ওদের কথা শুনে মনে মনে খুব ইচ্ছে হতো, কয়েকটা দিন আমিও যদি হাসপাতালে থেকে আসতে পারতাম! শীঘ্রই সে সুযোগও এসে গেলো।
ট্যানজির গল্প
ম্যানিটোবা ইউনিভার্সিটিতে বাসের অপেক্ষায় দাঁড়িয়েছিলাম।ক্যালেন্ডারে ফাগুন এসে গেছে । মনে এবং বনে আসেনি। তুষার গলা শেষ হয়ে চকচকে সুর্য উঠেছে। সেই সূর্য সিনেমার পর্দায় দেখা সূর্যের মত। আলো আছে উত্তাপ নেই। আর যাকে দেখতে পাচ্ছিনা, সেই বাতাস কোথা থেকে এসে যে গা কাঁপিয়ে দিয়ে যাচ্ছে বোঝাও যাচ্ছেনা। বাসস্টপের সামনে ঘাসে মধ্যে জুবুথুবু হয়ে বসে থাকা এক জোড়া বুনো হাঁস আর আমি ছাড়া আশে পাশে আর কোন প্রাণি নেই।
বিস্তারিত»আরন্যক
আরন্যক
“আমার হাতের তালুতে আকাশ/রাতের গভীরে ঢাকা সপ্তর্ষি/কে আমাকে খুঁজে পাবে?” – সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
ছোট বেলা থেকেই বনে বনে ঘুরে বেড়ানোর ইচ্ছে আমার! একদম প্রাগৈতিহাসিক ঘন বনে, যেখানে ঢুকলে নিজেই বেরোনোর পথ খুঁজে পাব না কোনোদিন!পথ হারিয়ে আমি ঘুরতে থাকব নিবিড় বন-পাহাড়ের ভেতরে অনন্ত কাল!
আমার সেনাবাহিনীতে প্রথম বদলি হয়েছিল চট্টগ্রাম সেনানিবাসের ৫ সিগন্যাল ব্যাটালিয়নে।
বিস্তারিত»ABCD অথবা বাংলা শক – ১
বিঃ দ্রঃ ঘটনা গুলো সব সত্য, কিছুটা পরিমার্জিত (নাম, পরিচয়, স্থান উহ্য রেখে)। কাউকে অসম্মান অথবা আঘাত করার উদ্দেশ্যে নয়, বরং নিজের চিন্তার শুদ্ধতার লক্ষেই এই অসলগ্ন চিন্তাকে লেখায় রূপান্তর। অন্যকারো অভিজ্ঞতার সাথে মিনিয়ে বিচিত্র মানুষের ততধিক বিচিত্র কর্মকান্ডের ব্যাখা খোঁজার অপচেষ্টা।
কালচারাল শক !!! দেশের বাইরে প্রথম যে বিষয়টি ফেস করেতে হয় তা হল, নিজেকে অন্য একটি দেশের/জাতির সংস্কৃতির সাথে মানিয়ে নেয়ার চেষ্টা।
বিস্তারিত»উইনিপেগে নববর্ষ
উইনিপেগে আজ পহেলা বৈশাখ। স্কুল কলেজে সরকারি ছুটি। সিটি মেয়র ব্রায়ান বাওম্যান এসেছিলেন বাঙালিদের বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে। তাপমাত্রা এখনও বাংলাদেশের বৈশাখের পর্যায়ে পৌছেনি। শীতের মধ্যে পান্তাভাত ভালো লাগেনা। বাঙালি বউরা গরম টরম করে বহু কষ্টে পান্তা ভাতে বাংলাদেশি স্বাদ ধরে রেখেছেন। মরিচ ভর্তা দিয়ে সেই ভাত খেতে গিয়ে ব্রায়ানের মুখ চোখ লাল হয়ে, যাচ্ছে তাই অবস্থা। তারপরও তিনি দুইবার ভাত চেয়ে নিয়েছেন।
বিস্তারিত»বদসুরত
ক্লাসে ঢুকল সোহানা । ও একবার আমার দিকে তাকাল ।তারপর ফারিয়ার পাশে গিয়ে বসে পড়ল ।সোহানা যে আহামরি সুন্দরী টাইপের কিছু তা কিন্তু না ।ও খুব ভালো মেয়ে ।আমাদের ক্লাসের ছেলেরাও আমার সাথে কথা বলে না ,মেয়েরা তো দূরের কথা ।কারণ কাছে এর । ছোটবেলায় মার হাত থেকে গরম দুধ ছলকে পড়ে আমার মুখে । পুড়ে গিয়েছিল বেশীর ভাগ অংশ । সেই পোড়া দাগ আমার মুখটাকে করে দিয়েছে ভয়ংকর ।সবার কাছে আমি বদসুরত ।
বিস্তারিত»ও মাঝিরে
নৌকা আমার পথ হারা মাঝ সাগরে
আঁধার রাতি শেষ তো না হয়
দয়াল মাঝি পার কর আমায়।
যতই নৌকা বাইতে থাকি
ঝামেলা ততই বাড়ে
ভয়ের সাথে মনটা ভাঙ্গে
পাগলা জোয়ার,কূলের দেখা না মেলে।
আমি ফিরতে পাগল বাড়ীর পানে
দাঁড় তো বাই প্রাণপনে
নৌকা তবু এগোয় না
আঁধার রাতি শেষ তো না হয়
দয়াল মাঝি পার কর আমায়।
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডকে বলছি…
১। কয়েকমাস আগে আমাদের ঝিনাইদহ ক্যাডেট কলেজে ১২ তম পুনর্মিলনী অনুষ্ঠান হয়েছে। ৩ দিন ধরে চলা এই অনুষ্ঠানে বর্তমান-প্রাক্তন ক্যাডেটদের মিলনমেলা বসেছিল। বিভিন্ন ধরনের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, স্মৃতিচারণ, সম্বর্ধনা, খেলাধুলাও এই মিলনমেলার অংশ ছিল।
আমাদের ইনটেক (ব্যাচ) থেকে আমরা একটি উদ্যোগ নিয়েছিলাম যে পুরো অনুষ্ঠানটি আমরা ইউটিউব চ্যানেলে লাইভ টেলিকাস্ট করব। আমাদের এক বন্ধু পুরো কলেজে ওয়াই-ফাই এর ব্যবস্থা করেছিল। আমাদের শুধু দরকার ছিল ভাল মানের কয়েকটি ওয়েব ক্যাম।
বিস্তারিত»শেষ অণুগল্প
হাসপাতাল তা সে যতই ‘নিট এন্ড ক্লিন’ থাকুক না কেন, মৃত্যুর এক ঘ্রাণে এর আবহ সবসময়েই উদ্দীপ্ত থাকে। বিভিন্ন ধরণের ঔষধ, ডিটারজেন্ট-ফিনাইল সহযোগে ঘ্রাণেরা নিজেদের ভেতরে এক ‘ফ্রি-স্টাইল’ কুস্তির মহড়া দিতে থাকে… দর্শণার্থীদের নাসারন্ধ্রে থেকে থেকে নিজেদের জাহির করার দ্বারা।
খুশবু কেবিন নাম্বার ৩২১ এর সামনে দাঁড়িয়ে এই কথাগুলি-ই ভাবছিল। একটা বদ্ধ দরোজার সামনে দাঁড়িয়ে আছে। ভেতরে অতি প্রিয় একজন মানুষ। যে ওকে এই পৃথিবীর আলো-বাতাস দেখিয়েছে।।
বিস্তারিত»কৈশোরের চাঞ্চল্য, একটি অপমান ও কিছু কথা (১)
পনের বছর আগের কথা। তখন ২০০১ সাল, এস এস সি পরীক্ষা দেবার প্রস্তুতি নিচ্ছি। সম্ভবত, কলেজে শুধু আমরাই আছি। পরীক্ষার দিন তিনেক বাকি। সবার মন খারাপ, গ্রেডিং সিস্টেম চালু হচ্ছে। কেউ জানেনা কিভাবে গ্রেডিং হবে। স্যাররাও কনফিউজড। সবারই বেশ টেনশন । এর মধ্যে কারো একজনের উর্বর মাথা থেকে আসলো, শেড ক্রিকেট খেলতে হবে। টেনশন কমে যেতে পারে। যেই কথা সেই কাজ, কর্ক এর বল জোগাড় করা হল,
বিস্তারিত»ভাল আছি …. ভাল নেই
জীবন বড়ই বিচিত্র। খুব কম সময়ই আমরা নিজ নিজ অবস্থানে থেকে খুশি থাকি, ভাল থাকি। সেই সাথে জীবনের নিরাপত্তা নিয়েও সদাসংশয়। এই উইকএন্ডে আম্মার কথায় চাপা ঊৎকন্ঠা, অদূর ভবিষ্যতে ভূমিকম্পে ঢাকা দাঁড়িয়ে থাকবে কিনা তা নিয়ে। ক্যান্সার সার্ভাইবার মা আজ অপরিকল্পিত নগরায়ণের ভয়ে নিজেই সদাকম্পিত।
ব্যক্তি আমি হয়তবা ভূমিকম্প হতে নিরাপদ (ভৌগলিক অবস্থানগত কারনে)। কাগজে কলমে জীবনের নিরাপত্তাও আছে।আসলে কি তাই ……
ঘটনা একঃ স্প্রিং ব্রেকে ০৪ দিনের ছুটিতে আমার স্ত্রী বেড়াতে এসেছে।
বিস্তারিত»শুভ জন্মদিন ম্যালকম মার্শাল!

ম্যালকম মার্শালের জন্ম ১৮ এপ্রিল ১৯৫৮। ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের বিখ্যাত পেস এটাকের তিনি ছিলেন সেরাদের মধ্যে অন্যতম সেরা, ভয়ংকরতম তো অবশ্যই! ১৯৯৯ সালে মাত্র ৪১ বছর বয়সে এই লিজেন্ডারি ক্রিকেটার ক্যান্সারের আক্রমণে মারা গিয়েছেন। তাঁকে স্মরণ করে এই লেখাটি লিখেছিলেন ক্রীড়া সাংবাদিক অরুনাভ সেনগুপ্ত।
সেরাদের সেরা
৭০ ও ৮০’র দশকে ওয়েস্ট ইন্ডিজ দল আক্ষরিক অর্থেই ক্রিকেট বিশ্বকে শাসন করেছে,
বিস্তারিত»ছবি থেকে শোনা দু’টি অনুগল্প
এক ছোট বোনের আঁকা এই ছবিটা চোখে পড়লো সকাল।
লিখলাম “ছবি দেখার সময়, অনেক দৃষ্টিভঙ্গি নিয়েই সেটা দেখি।
এই যেমন: শিল্পির হার্ডওয়ার্ক, ক্রিয়েটিভিটি, কালার কম্বিনেশন, টেক্সচার, ইত্যাদি।
এর যে কোনোটাই দর্শক হিসাবে আমাকে আকৃষ্ট করলে, ছবিটা দীর্ঘক্ষন নিয়ে দেখে যাই।
কিন্তু সবচেয়ে বেশি আন্দোলিত হই, যখন প্রথম দর্শনেই ছবিটা একটা গল্প শোনায়।
তখন শুধু ছবিটা দেখেই ক্ষান্ত হই না,
পরিক্রমা
এক বৈশাখ থেকে আরেক বৈশাখ
খরতাপে, গরমে নাভিশ্বাস
তারপর ঝড়জল পাড়ি,
সাদা মেঘে উজ্জ্বল ঘুড়ির ডানা
নতুন ধান, শিশির ভেজা ঘাস
বসন্তের ফুল, পাখি আর গান
এই সবই এক দারুণ অপেক্ষার মানে।
বাতাসে তার আসার আবাহন
শরীর জুড়ে প্রজাপতি,
সে আসবে বলেই এই ঋতুচক্র
বারবার বাঁধে মায়াজালে।
কে ডাকে? কাক না কোকিল?
বুকের ভেতর এক হলুদ পাখি
অপেক্ষায় থাকে,
জীবনের জার্নাল – ৩০
প্যারেন্টস’ ডে
সপ্তম থেকে নবম শ্রেণীতে পড়া পর্যন্ত প্যারেন্টস’ ডে গুলো আমার খুব ভালো লাগতো। প্রতি মাসের শেষ রবিবারে প্যারেন্টস’ ডে হতো। যে মাসে দু’সপ্তাহের কম কলেজে থাকতাম, সে মাসে হতো না। দিবসগুলোর দিকে মুখিয়ে থাকতাম। প্যারেন্টসদেরকে আমাদের হাউসে আসতে দেয়া হতোনা। কলেজ অডিটরিয়াম, ক্লাসরুম, করিডোর, গ্যালারী, কলেজ হাসপাতালের সামনের খোলা জায়গা, ইত্যাদি স্থানে প্যারেন্টসরা এবং ভাইবোনসহ অন্যান্য আত্মীয় স্বজনেরা ক্যাডেটদের সাথে নিভৃতে বসে কথাবার্তা বলতে পারতেন।