এক ছোট বোনের আঁকা এই ছবিটা চোখে পড়লো সকাল।
লিখলাম “ছবি দেখার সময়, অনেক দৃষ্টিভঙ্গি নিয়েই সেটা দেখি।
এই যেমন: শিল্পির হার্ডওয়ার্ক, ক্রিয়েটিভিটি, কালার কম্বিনেশন, টেক্সচার, ইত্যাদি।
এর যে কোনোটাই দর্শক হিসাবে আমাকে আকৃষ্ট করলে, ছবিটা দীর্ঘক্ষন নিয়ে দেখে যাই।
কিন্তু সবচেয়ে বেশি আন্দোলিত হই, যখন প্রথম দর্শনেই ছবিটা একটা গল্প শোনায়।
তখন শুধু ছবিটা দেখেই ক্ষান্ত হই না, তা মনের মধ্যে গেঁথে যায় গল্পটা সহ। সামনে না থাকলেও ছবিটা ভেসে ভেসে ওঠে মনের পর্দায়।
তোমার এই ছবিটার বিশেষত্ব হলো, এটা আমাকে একটা না, দুই-দুইটা গল্প শুনিয়েছে।
আর তাই সেগুলা বলতেই এই কমেন্টে আগমন।
শুনবা, গল্পগুলা?”
ছোটবোন তখন গল্প শুনতে আগ্রহ দেখালো।
এই দুইটা অনুগল্প লিখে পাঠালাম তাঁকে
গল্প-১: সংশয়
অফিস থেকে বেরিয়ে সোজা রেস্তোরায় গিয়ে পৌছুলো নীলা তাদের উইকএন্ড আড্ডায়।
সবাই তখনো এসে পৌছেনি।
কিন্তু আজও সমির ঠিকই এসে অপেক্ষা করছে।
আর নীলাকে দেখে আজও ওর মুখেটা খুশিতে একইভাবে আলোকিত হয়ে উঠলো।
নীলার চোখ এড়ালো না।
বাকিরা এসে পৌছুনোর আগে আটপৌরে আলাপই চললো ওদের মধ্যে, যা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বারুনোর পর গত দশ বছর ধরে চলে আসছে।
আড্ডা ভাঙ্গতে ভাঙ্গতে ঘড়ির কাটা প্রায় বারো ছুই ছুই করছে।
আজ নীলা দেখলো, সমির অন্য দিন থেকে একটু ভিন্ন।
বেশ ক’সপ্তাহ ধরেই সে বুঝতে পারছে, সমির কিছু বলতে চায়, আজ কি সেই দিন, কিছু একটা বলার?
আজো বাসায় ফেরার সময় সমির লিফট দিল।
কিন্তু অন্যদিনের মত বকবক করছে না। সারা গাড়ি জুড়ে থমথমে নিরবতা।
নীলা বুঝতে পারছে, সমির প্রস্তুতি নিচ্ছে কিছু একটা বলার জন্য।
কিন্তু নীলা বুঝতে পারছে না, সে নিজে কি প্রস্তুত, শোনার জন্য?
নীলা বোঝে, “চুপ করে আছিস, যে? কিছু বল?” বা এজাতিয় কিছু বললেই আজ সমির উগরে দেবে তাঁর যাবতিয় মনের কথা, কিন্তু বলি বলি করেও সেটা বলা হয়ে ওঠে না তাঁর।
গাড়ি পৌছে যায়, তাঁর বাসার গেইটে।
নিঃশব্দে নেমে যেতে যেতে নীলা বলে, “আরেকদিন শুনবো তোর কথা। আজ বাই…”
সম্বিত ফিরে পেয়ে কিছু বলতে গিয়ে সমির দেখে ততক্ষনে গেইট পেরিয়ে গেছে নীলা।
নিজের কক্ষে গিয়ে পোষাক ছাড়তে ছাড়তে নীলা ভাবে, কাজটা কি ঠিক হলো তাঁর???
গল্প-২: ক্লান্তি
“ঐ যে দোলা এসে গেছে। আর কোনো চিন্তা নাই কারো……”
ঢোকার সময় কথাটা কানে এলো দোলার।
ঘাড় ঘুরিয়ে দেখলো, কথাটা বলেই কি নিশ্চিন্ত একটা হাসি মুখে এঁকে বসে আছে মিতু।
“হ, আমিই তো হৈলাম তোদের কামলা। আমি সব সামাল দেবো, আর তোরা খালি পায়ের উপ্রে পা তুইলা মজা নিবি”। কপট রাগ দেখিয়ে এগুতে এগুতে বলে দোলা।
“ডার্লিং, মাইন্ড খাইস ক্যান? তুই তো জানিসই যে তোর জন্যই আজ এত কিছু। তুই না থাকলে আমরা আজ কোথায় ভেসে যাতাম যে যার মতো। এই যে ক’বছর ধরে তুই আমাদের বেঁধে রেখেছিস, মাসে মাসে এভাবে ডেকে ডেকে, তার জন্য আমরা শুধু কৃতজ্ঞই না ঋণীও”।
“বুঝছি, বুঝছি, ঐ একই প্যাচাল আবার শুরু করবি। তারচেয়ে এসে হাত লাগা, সব ঠিক ঠাক করি আগে। একটু দেরী হয়েছে আমার, আর কেউ কিছুই দেখি রেডি করিস নাই। টূ ব্যাড!!” বলতে বলতে বসার এরেঞ্জমেন্ট ঠিক করতে, রান্না-বান্নার অগ্রগতি তদারক করতে এগিয়ে যায় দোলা।
মাসিক এই আয়োজনটা ক্লাবের রেস্তোরায় করছে বেশ কিছুদিন ধরে।
ওরাও আজকাল জেনে গেছে, কি কি চাহিদা দোলা ম্যাডামের। খুব একটা কিছু আজকাল করতে হয় না তাঁকে। তবুও যা যা করে, মনের সবটুকু ভালবাসা উজার করেই, মনের আনন্দেই তা করে সে।
আজও এতে কোনো ব্যাতিক্রম হয় না দোলার।
সবাইকে আগে থেকে জানানো, ভেন্যু-মেন্যু ঠিক করা, এডভান্স দেয়া, সকালে সবাইকে রিমাইন্ড করা, কস্ট এস্টিমেট করে জানানো, টাকা কালেক্ট করা, আর সবশেষে বিলটিল দিয়ে সবাই কে বিদায় করে সবার শেষে বাড়ি ফিরে যাওয়া।
পুরো কাজটা এতটাই উৎসাহ আর উদ্দিপনার সাথে সে করে যে কে বুঝবে, এ কাজটা শেষে ওর মনের অবস্থা কেমন হয়?
আসলেই তো, সেটা বোঝা কি আর ওদের কারো পক্ষে সম্ভব?
সম্ভব না।
কারন ওরা কেউ তো আর মেলা ভাঙ্গার পর ওর সাথে বাসায় ফিরবে না।
ওরা সবাই মেলা ভাঙ্গার উত্তেজনা নিয়ে স্বামী-সন্তানসহ বাসায় ফিরবে, আর এই ফুর্তিটা এবং উইক এন্ডটা সেলিব্রেট করবে বাচ্চাকে দ্রুত ঘুম পড়িয়ে।
সকালে উঠে দেখবে ভাইবারে একে একে ফিরিস্তি আসছে সারারাত ধরে কে কবার কি কি ভাবে সেলিব্রেট করলো আজকের এই গেট টুগেদারের আনন্দ।
ওদের এসব ভাইবার আলাপে দোলার কোনো পার্টিসিপেশন থাকে না।
পার্টিসিপেট করার মত কোনো কথাও যে নেই তাঁর কাছে।
দোলা জানে বাসায় ঢোকার পর রাজ্যের ক্লান্তি এসে ভর করবে শুধু তাঁর দেহেই না, মনেও।
কি ভাবে যে তা কাটবে, তাও জানে না সে।
ক্লান্তি কাটাতে নয়, ভুলতে, হয়তো দু’টো টাকিলা শট নিয়ে এভাবেই বিছানায় গা এলিয়ে দেবে সে।
নয়তো একটু হালকা হয়ে, কেওয়াই জেলিটা হাতে নিয়ে কম্ফোর্টারের নীচে ঢুকে যাবে………
আচ্ছা আপনার লিখায় আমি কমেন্ট করলে আমার কমেন্ট গুল দেখানো হয়না কেটে দেয়া হয় একটা গল্প দিলাম ছোট কিন্তু কেটে দিল কেন??!!!
🙁 এই ব্লগ টা আমার সাথে সত্রুতা শুরু করছে আমার একটা কমেন্ট ও দেখানো হয়না সব কেটেদেয়া হচ্ছে ইদানিং অপমানিত হচ্ছি আমি x-(
অনেক দিনপর আবার দেখলাম ছবিটা আবারো।
আমাকে আরেকটা গল্প শুনাল ছবিটা।!!
*******
ইশ কিগড়ম পরেছে কিছুদিন জাবত।
কলেজ বন্ধ ১৫ দিনের,।কাল আবার বাবা মাও চলে গেল দেশেরবাড়ি কি এক জরুরী তলবে। এদিকে কাজের বুয়াটাও ১ সপ্তার ছুটি নিয়েছে। বাসায় সুধু আমি আর আমার ছোট বোন। একটু আগে হুট করেই দউরে এসে বলছে আপু.......
রাতে বন্ধু দের দাওয়াত করেছি বাসায়, কি করবো বল ওরা খুব করে ধরলো তোমার হাতের রান্না খাবে তাই আর মানা করতে পারলাম না প্লিজ আমার লক্ষি আপু তুমি কস্ট করে একটু মেনেজ করেনাও...
কি আর করা ছোট বোনের আব্দার কি আর ফেলতে পারি!
ঠিকাছে জাহ তুই ভাবিস না হয়ে জাবে, এত করে বলতে হবেনা কখনো কি না করেছি? হাসি মুখে বললাম।
খুশিতে ৩০ দাত বের করে হাসি দিয়ে জরিয়ে ধরে বল্ল আমার লক্ষি আপুনি আই লাভ ইউ......
আচ্ছা আপু তুমি একটু ওপেক্ষা কর আমি সপিং এ জাচ্ছি এসে তোমাকে সাহাজ্য করব আচ্ছা বায় ওমমমমাহ বলেই দউর লাগালো।
ওর ছেলেমানুষি কান্ড দেখে আন্মনেই হেসে ফেল্লাম পাগল মেয়ে সব সময় কিছু একটার আব্দার করলেই ও এভাবেই করে।
নাহ জাই চুল টা বেধে কাজে নেমেপরি।
কি গল্পরে বাবা :bash:
গল্পের শুরু...
মন্দ না!!!
এরপর???
Do not argue with an idiot they drag you down to their level and beat you with experience.
বানান গুলো একটু কি ঠিক করে দিবেন?
মানুষ* হতে চাই। *শর্ত প্রযোজ্য
এরপর আর নাই এটা তো অনুগল্প।
সে ভাবছে আর চুল বাধছে
that's all 🙂
:boss:
মানুষ* হতে চাই। *শর্ত প্রযোজ্য