অকারণে এলোমেলো…

গত কয়েকদিনে বেশ ক’জন প্রাক্তন সতীর্থ, জ্যেষ্ঠ্য-কনিষ্ঠ বন্ধু ও বন্ধুপত্নীদের গুরতর অসুস্থ হওয়া এবং পরপারে চলে যাবার মর্মান্তিক দুঃসংবাদে মনটা ভারাক্রান্ত হয়ে আছে। অনিবার্য মৃত্যু সম্পর্কে পবিত্র ক্বুর’আনে বহুবার আমাদেরকে সতর্ক করে দেয়া হয়েছেঃ “প্রত্যেক প্রাণীকে মৃত্যু আস্বাদন করতে হবে” । (সূরা আলে ইমরান, আয়াত নং ১৮৫); “তোমরা যেখানেই থাক না কেন, মৃত্যু কিন্তু তোমাদেরকে পাকড়াও করবেই। যদি তোমরা সুদৃঢ় দূর্গের ভেতরেও অবস্থান কর, তবুও”।

বিস্তারিত»

আমার শহীদ কাদরী

“সহসা সন্ত্রাস ছুঁলো। ঘর-ফেরা রঙিন সন্ধ্যার ভীড়ে
যারা তন্দ্রালস দিগ্বিদিক ছুটলো, চৌদিকে
ঝাঁকে ঝাঁকে লাল আরশোলার মত যেন বা মড়কে
শহর উজাড় হবে, – বলে গেল কেউ – শহরের
পরিচিত ঘণ্টা নেড়ে খুব ঠাণ্ডা এক ভয়াল গলায়
এবং হঠাৎ
সুগোল তিমির মতো আকাশের পেটে
বিদ্ধ হলো বিদ্যুতের উড়ন্ত বল্লম!”

‘বৃষ্টি, বৃষ্টি’ কবিতাটি প্রথম কখন পড়ি মনে নেই,

বিস্তারিত»

নিঃসঙ্গ সঙ্গী

“ও মাঝি! মাঝি ও…!”

যাহ্‌, শেষ নৌকাটাও গেলো চলে!

হতবিহ্বল আমি, ঘাটে দাঁড়িয়ে নিরুপায়,

সামনে এক বিশাল মরা নদী –

পানি যৎসামান্য, নিস্তরঙ্গ,

স্থির ধ্যানমগ্ন সন্ন্যাসী যেন এক!

বাঁধানো সিঁড়ি পাঁজরের হাড়ের মতন

সাক্ষ্য দিচ্ছে-

ক্ষয়ে যাওয়া অতীতের।

কান পাতলেই,

নিস্তব্ধতা ছাপিয়ে ওর দীর্ঘশ্বাস শোনা যায়-

হুহু করে বলতে থাকে যেন-

“আজও কেউ নেই!”

 

বিস্তারিত»

মুক্ত

লাইন ম্যানেজার আমাকে আমার ডেস্ক দেখিয়ে দিলেন। বিশাল ফ্লোরের একদম শেষ মাথার পশ্চিম কোণের কিউবিকলে। একেকটা কিউবিকলে তিনটা ডেস্ক। আমার চারপাশে একবার চোখ বুলিয়ে খানিকটা ঘাবড়ে গেলাম। আমার কিউবিকলের বাকি দু’জন সহকর্মী নারী। পাশের কিউবিকলের তিনজনই নারী। আমার আগে এ ডেস্ক যার দখলে ছিল তিনিও ছিলেন নারী। দেখে মনে হচ্ছে এখানটায় মেয়েরা নিজেদের বেশ একটা সুরক্ষিত সংরক্ষিত এলাকা বানিয়ে ফেলেছে। আমার অসহায় চেহারা দেখে লাইন ম্যানেজার পিঠ চাপড়ে বললেন,

বিস্তারিত»

স্মৃতি

মানবিক বিভাগের ছাত্র হওয়ায় মানব শরীরের কলকব্জা সম্পর্কে ধারনা অত্যন্ত সীমিত। তারপরও এর বেশিরভাগ অংশের কার্যপ্রণালী সম্পর্কে সাধারণ কিছু ধারনা আছে। শুধু মস্তিষ্ক কিভাবে কাজ করে সেটা সম্পর্কে প্রায় বকলম। আর এই মস্তিষ্কের কিছু কাজকর্ম দেখে মাঝে মাঝে ওখানে ঝড় তুলেও কূল কিনারা করতে পারি না কিভাবে কি হলো।

টিভিতে এখন বেশ কিছু বাংলা গানের চ্যানেল দেখা যায়। সেদিন মোটামুটি অখ্যাত এক গানের চ্যানেলে হঠাৎ করে একটু সুর শুনে মনে হলো পরিচিত।

বিস্তারিত»

রামসাগর – দিনাজপুর

রামসাগর শুধুমাত্র দিনাজপুর অঞ্চলেরই নয় বরং সারাদেশের একটি অতি পরিচিত আইকন। এটি বাংলাদেশের অন্যতম প্রত্ন-তাত্ত্বিক দ্রষ্টব্যও বটে। বহুল আলোচিত দিনাজপুর রাজবংশের এক অনন্য কীর্তি – রামসাগর। শ্রীমন্ত দত্ত কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত এ রাজবংশ সপ্তদশ শতাব্দী থেকে বিংশ শতাব্দী পর্যন্ত দিনাজপুর, ঠাকুরগাঁও’র বিভিন্ন স্থানে তাদের অবদান রাখতে সক্ষম হয়েছে। এ রাজবংশের সব থেকে কীর্তিমান ও প্রসিদ্ধ নৃপতি রাজা প্রাণনাথ। প্রাণনাথের পালক পুত্র রাজা রামনাথও তার পিতার মত ইতিহাসের পাতায় উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত রাখতে সক্ষম হয়েছে।

বিস্তারিত»

পার্সেপশন্স টুয়ার্ডস টিচিং কমিউনিটি

পার্সেপশন্স টুয়ার্ডস টিচিং কমিউনিটি

প্রাইভেট টিউটর হিসেবে অভিজ্ঞতা নিয়ে এক্স ক্যাডেটস ফোরামের ফেসবুক পেইজে কদিন আগে অনেকেই তাদের অভিজ্ঞতা শেয়ার করছিলেন। সেখানে একটা স্ক্রীণ-স্ন্যাপশটের পোস্টে নিজের অভিজ্ঞতা নিয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে দেখি বেশ লম্বা হয়ে গেল। লম্বা মন্তব্য অন্যদের বিরক্তির কারণ হতে পারে ভেবে তখন লেখাটা আলাদা করে লিখেছিলাম, যেখানে আমি আগেই পরিস্কার করে নিয়েছিলাম যে, আমার লেখাটাতে কেবলমাত্র প্রাইভেট টিউশন নয়, বরং সার্বিকভাবে টিচিং কমিউনিটির প্রতি প্রায়শই অন্যদের যে দৃষ্টিভঙ্গিটা কাজ করে,

বিস্তারিত»

নিজের সাথে যুদ্ধ

নিজের সাথে যুদ্ধ করে কাজ করার অভ্যাস সেই ছোট বেলা থেকে। ক্লাস সেভেন-টেন এ যখন হ্যান্ডস ডাউন করে পুশ আপ দিতে বলা হত, বিশেষ করে ৩০+ হলে এক পর্যায়ে নিজের মনের ইচ্ছার বিরুদ্ধে পুশ-আপ দিতাম। কিছু সিনিওর ভাই আমাদের শারীরিক সক্ষমতা বৃদ্ধির  ব্যাপারে খুবই সচেতন ছিলেন, যেমন জুনায়েদ ভাই, আরেফাত ভাই।একজন কলেজ প্রিফেক্ত, আরেকজন হাউস প্রিফেক্ত। তারা আমাদের ক্লাস টেন লাইফ টাকে তাঁরা মোটামুটি ঘটনাবহুল করে রেখেছিলেন।মনে পড়ে একবার আরেফাত ভাই জুনিয়র প্রিফেক্ত (জেপি) থাকার সময় ১০০ পুশ-আপ দিতে বললেন।

বিস্তারিত»

একদিনের বাংলাদেশ

দিন তিনেক আগে রাত সাড়ে বারোটার সময় ফোর্ট স্টেশন থেকে বাসে উঠে দেখি শমী আহমেদের (রাজশাহী ক্যাডেট কলেজ)  মত কেউ একজন বসা। থুতনির নিচে এক মুঠ দাড়ি গজানোয় তাকে দেখতে স্কুবি ডু’র শ্যাগির মত লাগছে। শমী ম্যানিটোবা ইউনিভার্সিটির ছাত্র। ফেসবুকে দেখেছিলাম সে এলবার্টা চষে বেড়াচ্ছে। তারপরও নিশ্চিত হবার জন্যে বললাম, তুমি! কোথা থেকে? তোমার না এলবার্টায় থাকার কথা!

সে বলল, আমি আপনাকে বাসে উঠতে দেখেও চিনতে পারিনি।

বিস্তারিত»

কিছু চাওয়া, কিছু স্বপ্ন

দুই রুমের একটা বাসা হবে আমার। একটা বেডরুম আর একটা কমনরুম। একটা কিচেন আর একটা বাথরুম ও থাকবে।বেডরুমের সাথে একটা বেলকনিও থাকবে। বেডরুমে কোন বেড থাকবে না। শুধু ম্যাট্রেস। একটা টেবিল, চেয়ার আর একটা বুকশেলফ। কমনরুমটাও ফ্লরিং হবে। একটা টিভি থাকবে। আর দেয়ালে দেয়ালে স্পোর্টস, মিউজিক ওয়ালপেপার। বাসাটা হবে কোন এক শহুরে নদীর তীরে। তিনতলা কি চারতলা। বেডরুমটা হবে নদীর ধারে, বারান্দায় দাড়ালেই যাতে দূর থেকে আসা কোন ইঞ্জিনচালিত নৌকা দেখা যায়।

বিস্তারিত»

কান্তজীর মন্দির – দিনাজপুর

আদি এক রত্ন মন্দির

রাজা প্রাণনাথ দিনাজপুর রাজ পরিবারের মধ্যে অন্যতম এবং তিনি নিজ গুনে তার বংশের সকল নৃপতিকে অতিক্রম করে ইতিহাসের খেরো-খাতায় অত্যন্ত সফলভাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হন। তিনি তার জীবণদশায় শুধু জনহিতকর কাজই করেননি বরং রাজ্য বিস্তারেও তার অবদান সর্বজনবিদিত। রাজ্য বিস্তারের ধারাবাহিকতায় তিনি তার বৈমাত্রীয় ভাই রাজা জয়দেব কর্তৃক অধিগৃহীত ঘোড়াঘাটের প্রজা-পীড়ক জমিদার রাঘবেন্দ্রের ৯ আনা, ভারতের মালদহ জেলার মালিগাঁও পরগনা ও দিনাজপুরের আশে-পাশের ১২টি ক্ষুদ্র-ক্ষুদ্র জমিদারি নিজ রাজ্যের অন্তর্ভূক্ত করতে সমর্থ হন।

বিস্তারিত»

স্থবির

এখনো দাঁড়িয়ে আছি সেখানেই,
যেখানে তুমি রেখে গিয়েছিলে।
কোন অগ্র পশ্চাৎ নেই,
কোন ভূত ভবিষ্যত নেই, তবু
সেখানেই ঠায় দাঁড়িয়ে আছি,
এখনও নির্বিকার, যেমন ছিলাম।

এখনো দাঁড়িয়ে আছি সেখানেই,
আনত পত্রপল্লব, শাখাপ্রশাখা সহ,
পাখিহীন, প্রজাপতিহীন দেবদারু
যেমন নির্বাক, নিথর, মৌ্ন থাকে।
বাতাস এলে শুনি মর্মর ধ্বনি,
বৃষ্টিতে ধুয়ে যায় যত নোনা পানি।

আকাশে এখনো চাঁদ ওঠে,

বিস্তারিত»

মানব মনের বিষন্নতা এবং প্রকৃতিঃ

গত বুধবার সকালে ল্যাপটপে লেখালেখির কিছু কাজ করছিলাম। হঠাৎ ছোট বোনটা ফোন করে জানালো, আম্মার শরীরটা বেশী ভালো নেই, যেন ফোন করি। কয়েকদিন আগেই ফোনে আম্মার সাথে কথা বলেছিলাম, তখন তিনি ভালো ছিলেন। আমার স্ত্রীও আগের দিনই কথা বলেছিলেন, তখনো ভালোই ছিলেন এবং অনেকক্ষণ ধরেই কথা বলেছিলেন। তাই হঠাৎ কি হলো, এ কথা ভাবতে ভাবতেই আম্মাকে ফোন করলাম। আম্মা জানালেন, তার কিছু ভালো লাগেনা। যেন একবার গিয়ে দেখা করে আসি।

বিস্তারিত»

পোকোমন গো বাংলাদেশে আসলে কি হতে পারে!! (সত্য কাহিনী অবলম্বনে)

নুরুর আলম নামক এক ব্যক্তি খুব দুষ্ট এবং লোভী একজন পোকো খেলোয়াড়। পোকোমন ধরার সময়, ভাগিনা ভাগ্নির মোবাইল সাথে নিয়ে যায়, যাতে নিজের ব্যাটারি শেষ হলেও তাদের ফোন দিয়ে খেলা যায়। সাধারণত নিজের ফোন পরেই ব্যাবহার করেন তিনি। অন্য যেকোনো অলস সন্ধ্যার মত সেদিন ও তিনি বসে বসে স্মার্ট ফোন ব্যাবহার করছিলেন। স্মার্ট ফোন টিপতে টিপতে রাত ১১ টা বাজিয়ে ফেললেন, এখন বিরক্ত তিনি। কি করবে কি করবে ভাবতে ভাবতে পোকোমন গোতে টিপ দিয়ে দিল।

বিস্তারিত»