দিনাজপুরের প্রাচীনতম নাগরিক এলাকায় ৪০০ বছরের অধিক কাল ধরে বাংলাদেশের অন্যতম একটি রাজবাড়ি সকল প্রাকৃতিক ও কৃত্রিম ঘাত-প্রতিঘাত উপেক্ষা করে অত্যন্ত জীর্ণাবস্থায় কালের স্বাক্ষী হয়ে নীরবে দাঁড়িয়ে আছে। জায়গাটির নামই আজ রাজবাড়ি। রাজবাড়িকে ঘিরেই দিনাজপুর শহরের গোড়া পত্তন। সেই কবে প্রাচীন অখন্ড বাংলার উত্তর রাঢ়ীয় এক কায়স্থ বংশের রায় উপাধিধারী পরিবার দ্বারা সূচিত হয়েছিল এ রাজবংশ তা আজ কিংবদন্তী। কে ছিল এ রাজবংশের আদি পুরুষ? তা নিয়ে আছে বিস্তর মতভেদ। দিনাজপুর নামকরণের সাথে যে সব ব্যাক্তির নাম বিভিন্নভাবে যুক্ত আছে ধারনা করা হয় তাদের কেউ হয়ত এ বংশের প্রতিষ্ঠাতা। তবে এ কথা অনস্বীকার্য যে, মুঘলামলে বাংলায় যে কয়টি বড় জমিদারি যেমনঃ যশোরের নলডাঙ্গা, রাজশাহী, বর্তমান ভারতের পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া ও বর্ধমান এবং সে সবের পাশাপাশি যে সব প্রতাপশালী রাজবংশের উত্থান হয়েছিল দিনাজপুর রাজবংশ তাদের অন্যতম। মুঘল সম্রাট আকবরের মৃত্যূর তিন বছর পর এ রাজবংশের সূচনা হয়।
মৌর্য্য সাম্রাজ্যের পুন্ড্রবর্ধন ভূক্তির বরেন্দ্র মন্ডলের দিনাজপুর মধ্যযুগে এসে বাংলার আর দশটি গ্রামের মতই ছিল সাদা-মাটা এক গ্রাম। ততদিনে বাংলার উত্তরাঞ্চল মুঘল পতাকাতলে সামিল হয়েছে। এ সময় বর্তমান ভারতের উত্তর রাঢ় থেকে জনৈক বিষ্ণু দত্ত মুঘল প্রশাসনের রাজ কর্মচারী হিসাবে বাংলার ততকালীন নায়েব/কানুনগো নিযুক্ত হয়। স্ব-পরিবারে কায়স্থ পরিবারটি সে থেকে দিনাজপুরে স্থায়ীভাবে বসবাস করা শুরু করে। বিষ্ণু দত্তের পুত্র শ্রীমন্ত দত্ত একজন ধর্মপ্রাণ ব্যক্তি এবং মোহন্ত কাশীনাথ ঠাকুরের শিষ্য। কাশীনাথ ঠাকুর যাকে অনেকে মনে করেন রাজা গনেশের বংশধর তিনি মূলতঃ একজন কালী উপাসক। ব্রম্মচারী কাশীনাথ ঠাকুরও বাস করতেন বাংলার উত্তর প্রান্তের বরেন্দ্র মন্ডলের দিনাজপুরে। তার ছিল অঢেল ভূ-সম্পত্তি আর তিনি তা পেয়েছিলেন কালীদেবীর নামে উতসর্গীকৃত দেবোত্তর সম্পত্তি থেকে।
১৬০৮ খ্রীঃ মুঘল সুবাহদার ইসলাম খাঁ চিশতী যখন মুঘল ঝান্ডা উড়িয়ে বাংলাদেশের ঢাকা কুক্ষিগত করার অভিপ্রায়ে লিপ্ত ঠিক সে সময় ব্রম্মচারী কাশীনাথ ঠাকুর জীবণ সায়াহ্নে এসে তার যাবতীয় স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি শিষ্য শ্রীমন্ত দত্ত’কে দেবদত্ত সম্পত্তি হিসাবে দান করেন। রাতারাতি শ্রীমন্ত দত্তের আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ। শ্রীমন্ত দত্ত চৌধুরী‘র ছিল হরিশচন্দ্র ঘোষ নামের এক পুত্র ও লীলাবতী নামের এক সুন্দরী কণ্যা।
ওদিকে রংপুর-গাইবান্ধার বিখ্যাত বর্ধনকোটির জমিদারের দেওয়ান হল জনৈক ভগবান ঘোষ। ভগবান ঘোষ ষড়যন্ত্র করে বর্ধনকোটির জমিদারের ক্ষেতলাল জমিদারির ৭ আনা সুকৌশলে কুক্ষিগত করে। ‘দেওয়ান’ ভগবান রাতারাতি হলেন, ‘জমিদার’ ভগবান। তার ছিল হরিরাম ঘোষ নামের এক পুত্র। সুতরাং গল্পের মত সব মিলে গেলে এক শুভ দিনে দিনাজপুরের শ্রীমন্ত দত্তের কণ্যা লীলাবতীর সাথে ক্ষেতলাল জমিদার ভগবান ঘোষের পুত্র হরিরাম ঘোষের ঘটা করে শুভ বিবাহ হয়ে গেল। যথাসময়ে তাদের কোল জুড়ে এল এক পুত্র সন্তান। নাম রাখা হল শুকদেব ঘোষ।
শুকদেবের পিতা হরিরাম ঘোষের মৃত্যুর পর উত্তরাধিকার সূত্রে শুকদেব পিতার জমিদারি লাভ করে। অল্পদিন পর শুকদেবের নানা শ্রীমন্ত ঘোষ দেহ ত্যাগ করলে তার মামা হরিশচন্দ্র ঘোষ তার নানার সমুদয় সম্পত্তির মালিক হন। কিন্তু মামা, ভাগিনা শুকদেব ঘোষকে জমিদারি পরিচালনার ভার অর্পন করেন। পুত্রহীন অবস্থায় হরিশচন্দ্র ঘোষ দেহ রাখলে মহা ভাগ্যবান শুকদেব বিনা যুদ্ধে বৃহত্তর রংপুর-দিনাজপুর-রাজশাহী-মালদহ(বর্তমান ভারতের অংশ) অঞ্চলের একচ্ছত্র জমিদার বনে যান। প্রজাকুল সম্মান জানিয়ে তাকে রাজা সম্মোধন করলে তিনি রাজা শুকদেব রায় হিসাবে সকলের কাছে পরিচিত হয়ে ওঠেন।
দিনাজপুর রাজবংশের উত্থান ও উতপত্তি নিয়ে প্রায় সাদৃশ্যপূর্ণ অন্য আরেকটি আখ্যান চালু আছে। অযোধ্যা নগরীতে ছিল রাজা শুকদেবের পূর্ব-পুরুষের বাস। সেখান থেকে তার ২০তম পুরুষ সোমেশ্বর ঘোষ মুঘল সুবা-বাঙলার দেওয়ান মুর্শদকুলী খানের নামে প্রবর্তিত ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ জেলার যজান গ্রামে ভাগ্নান্ষনে কিংবা অন্য যে কোন কারনে এসে বসতি গড়েন। সোমেশ্বর ঘোষের বংশজাত দেবকী নন্দন ঘোষের পুত্র হরিরাম ঘোষের সাথে কানুনগো/মোহন্ত শ্রীমন্ত দত্তের কণ্যা লীলাবতীর বিবাহ হয়। হরিরাম-লীলাবতী দম্পতি শুকদেব রায় ও বিশ্বনাথ রায় নামের দু’পুত্র রেথে গত হন। জ্যেষ্ঠ পুত্র শুকদেব রায় জমিদারি লাভ করে।
রাজবংশ
শুকদেব রায় (১৬৪৪-১৬৮১ খ্রীঃ) থেকে দিনাজপুর রাজবংশের গোড়া পত্তন শুরু হয়। শুকদেবের ২ স্ত্রীর ছিল ৩ পুত্র, যথাক্রমেঃ রামদেব রায়, জয়দেব রায় ও প্রাণনাথ রায়। জ্যেষ্ঠতা অনুযায়ী রামদেব ও জয়দেব উভয়ই ক্রমান্নয়ে জমিদারি পরিচালনার সুযোগ পান। কিন্তু তাদের অকালমৃত্যূতে অনধিক ৬ বছরের মাথায় শুকদেবের ২য় স্ত্রীর পুত্র রাজা প্রাণনাথ রায় (১৬৮৭-১৭১৮ খ্রীঃ) পিতার উত্তরাধিকারী নির্বাচিত হন। প্রাণনাথের কোন পুত্র সন্তান না থাকায় তিনি তার এক আত্মীয় বালক রামনাথ রায়কে দত্তক পুত্র হিসাবে গ্রহণ করেন এবং রামনাথ রায় (১৭১৯-১৭৬০ খ্রীঃ) পরবর্তী জমিদার হন। মুঘল সালতানাত তাকে মহারাজ উপাধিতে ভূষিত করে। দিনাজপুর রাজবংশ ‘রাজা’ থেকে ‘মহারাজ’ খেতাব গ্রহন করে। রামনাথের ছিল ৪ পুত্র, যথাক্রমেঃ মহারাজ কৃষ্ণনাথ রায়, রূপনাথ রায়, মহারাজ বৈদ্যনাথ রায় ও কুমার কান্তনাথ রায়।
বৈদ্যনাথ (১৭৬০-১৭৭৯ খ্রীঃ) উত্তরাধিকারী নিযুক্ত হয়ে পরবর্তী মহারাজ হন। বৈদ্যনাথের কোন পুত্র না থাকায় তিনি ১৭৭৬ খ্রীঃ আত্মীয় এক বালককে দত্তক নেন এবং নাম রাখেন রাধানাথ। অতপরঃ মহারাজ রাধানাথ (১৭৭৯-১৮০১ খ্রীঃ) জমিদারি লাভ করেন। মহারাজ রাধানাথ নাবালক থাকায় রাণী স্বরসতিকে তার পক্ষে উত্তরাধিকার এবং ১৭৮১ খ্রীঃ হতে দেবী সিংহকে বৃটিশ গভর্ণর জেনারেল হেস্টিংস কর্তৃক তত্ত্বাবধায়ক নিযুক্ত করা হয়। অতপরঃ ১৭৮৩ খ্রীঃ ও ১৭৯০ খ্রীঃ যথাক্রমে জানকীরাম ও রামকান্ত এ জমিদারির দেওয়ান হিসাবে দ্বায়িত্ব পালন করে। ১৭৯২ খ্রীঃ থেকে রাধানাথ নিজে জমিদারি পরিচালনার সুযোগ পায়। রাধানাথের মাত্র ২৪ বছর বয়সে অকালমৃত্যূ হলে তার স্ত্রী রাণী ত্রিপুরা সুন্দরী গোবিন্দনাথকে দত্তক নেয়।
মহারাজ গোবিন্দনাথ রায় (১৮১৭-১৮৪১ খ্রীঃ) পরবর্তী মহারাজ হন। গোবিন্দনাথের ২ পুত্র, যথাক্রমেঃ ত্রৈলোক্যনাথ রায় ও তারকানাথ রায়। তারকানাথ রায় (১৮৪১-১৮৬৫ খ্রীঃ) মহারাজ নিযুক্ত হন। তারকানাথের কোন পুত্র না থাকায় তিনিও অন্যদের মত গিরিজানাথকে দত্তক নেন। তারকানাথের স্ত্রী মহারাণী (বৃটিশ কর্তৃক প্রদত্ত উপাধি) শ্যামমোহিনী রাণী ১৮৮৩ খ্রীঃ অবধি তাদের দত্তক পুত্র, অর্থাত মহারাজ গিরিজানাথ রায় বাহাদুর (১৮৬৫-১৯১৯ খ্রীঃ) সাবালক না হওয়া পর্যন্ত যোগ্যতার সাথে রাজ্য পরিচালনা করেন। গিরিজানাথেরও কোন পুত্র না থাকায় তিনি জগদীশনাথকে দত্তক নেন। মহারাজ কুমার (বৃটিশ কর্তৃক প্রদত্ত উপাধি) জগদীশনাথ রায় (১৯১৯-১৯৬২ খ্রীঃ) মহারাজ হিসাবে শাসন দন্ড হাতে নেয়। জগদীশনাথের পুত্র জলধিনাথ (জম্ম – মৃত্যুঃ ১৯২৫-৪১ খ্রীঃ) রাজ দন্ড হাতে পাবার পূর্বেই প্রাসাদ ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে মাত্র ১৫ বছর বয়সেই অকালে জীবণ দেন এবং সে সাথে চিরতরে নিভে যায় এ বংশের শেষ প্রদীপটি। যবনিকা ঘটে রাজবংশের ১১ জন নৃপতির তিনশ বছরের রাজ্য শাসনের।
————————————————— চলবে
২৭ মে ২০১৬/খোলাহাটি
বর্ননার ঘটনা কতটা ঠিক, তাতে কিছু যায় আসে না।
এই লিখার আসল মূল্য এখানে যে এ থেকে সেই সময়ের পারিবারিক রাজনীতি সম্পর্কে একটা দুঃখজনক ছবি ফুটে উঠলো।
আর সেটা দুঃখজনক হলেও এ কথা কিন্তু সত্য যে, কাছাকাছি ঘটনা এখনকার জন্যেও প্রযোজ্য যতক্ষণ পর্যন্ত না আমরাও পারিবারিক রাজনীতি থেকে বেরুতে পারছি......
🙁 🙁 🙁
Do not argue with an idiot they drag you down to their level and beat you with experience.
ভাইয়া, আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। ভাল থাকবেন।
দেশ, ইতিহাস, ঐতিহ্য নিয়ে আপনার লেখালেখি চালু থাকুক।
শুভকামনা।
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
রাজীব,
তোমাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। ভাল থেকো।
অসাধারণ চিত্রসমৃদ্ধ লেখাটি ধীরে ধীরে পড়লাম। মুগ্ধ হলাম। জানলাম অনেক কিছু। অল্প সময়ের জন্য সেই সময়েও হারালাম।
মুগ্ধতার মোড়কে অনেক ভালোলাগা রইলো। (সম্পাদিত)
নিজের মনের আনন্দে লিখালিখি করি।
মামুন ভাই,
অনেক অনেক ধন্যবাদ রইল আমার পক্ষ থেকে। আপনার মন্তব্যটি পড়ে বেশ অনুপ্রাণীত হলাম। ভাল থাকবেন।
স্বাগত ভাইয়া।
নিজের মনের আনন্দে লিখালিখি করি।
দারুন ছবিগুলোর সুবাদে যেনো আমিও ঘুরে এলাম লেখার সেই রাজবাড়ী। দেখে এলাম মানুষগুলোকে।
তবে কাহিনীটায় (আই মিন ইতিহাসের বর্ণিত কাহিনীধারায়) সেই চেনা কুট পন্থায় জমিদারী দখল আর পরিণতিতে নির্বংশ হওয়া। মাতুল্বংশধারা বা দত্তকের হাত ঘ্যরেছে বেশ কবারই এই মাত্র এগারো পর্বের রাজ বংশের ধারাবাহিকতায়।
কি নির্মম বাস্তবতা ! কি নির্মম মিল জগতের এমন আরো আরো কাহিনীর সংগে।
চলুক ... ইতিহাসের সরোদ ...
লুৎফুল ভাই, আপনি ঠিক ধরেছেন। ষড়যন্ত্র, কুট-কৌশল, প্রাসাদ চক্রান্ত ইত্যাদির মন্দ-চক্রে রাজ পরিবারগুলো বিশেষ করে বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে এ এক ধ্রূব বাস্তবতা। অস্বীকার করার জো নেই, এ সত্য অপরাপর বিদেশী রাজ পরিবারগুলোর ক্ষেত্রেও সমভাবে প্রযোজ্য। ক্ষমতা ও লোভ আর এ দু’য়ের চিরাচরিত পরিনাম ... । ভাল থাকবেন।
তাই। এই একই চিত্র আসলে পৃথিবীব্যাপী।
লেখায় ইতিহাস উঠে এসেছে। নিঃসন্তান কিংবা পুত্রসন্তানবিহীন রাজা রাজড়াদের দত্তক পুত্র গ্রহন করে ক্ষমতাকে কুক্ষিগত রাখার কূট প্রচেষ্টার এই অন্তহীন ধারা দেখে মনে হলো, সে ধারারই একটা ক্ষীণ স্রোত আজ অবধি জগত মাতার কোল চিরে বয়ে চলেছে।
আপনার সুচিন্তিত মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। আমি মূলত: প্রত্নতত্ত্ব বিষয়ের প্রতি বেশী আগ্রহী। তাই লেখায় মূল ভাবটি ধারন করতে সব সময় সচেষ্ট থাকি। প্রত্নতত্ত্বের সাথে ইতিহাস, নৃতত্ত্ব ও ভূগোল ওতপ্রোতভাবে জড়িত বিধায় প্রাসঙ্গিকভাবেই চলে আসে। সমস্যা হলো ইতিহাস অনেকখানি অংশজুডেই থাকছে, সে তুলনায় প্রত্নতত্ত্বের অংশটির প্রাধান্য উল্লেখযোগ্যভাবে উপস্থাপন করতে পারছি না। এ ব্যার্থতা নি:সন্দেহে আমার।
একটা জিনিস লক্ষ্য করলাম যে তুমি অন্যের লেখায় খুব একটা মন্তব্য করনা। যদিও লেখালেখিটা কোন লেনদেনের বিষয় নয়, আশাকরি অন্ততঃ যারা তোমার লেখা পড়ে মন্তব্য রেখে যায়, তাদেরও দুচারটি লেখা পড়ে তুমি মন্তব্য করে তোমার অভিমত জানাবে। তবেই না ব্লগে লেখালেখি সচল থাকবে।
নিশ্চই.... নিশ্চই.... । আমার অনাকাঙ্খিত অপারগতা আমাকে শরমিন্দায় ফেলেছে। সময়ের অভাবে সব লেখা পড়া হয়ে ওঠে না বটে, তবে পড়ার চেষ্টা করি। আপনার স্নেহমাখা উপদেশ আমাকে আরো সক্রিয় করবে। ভাল থাকবেন।
রাজপরিবারের সদস্যদের ছবিগুলো কোন গ্রন্থ থেকে নেওয়া হয়েছে, জানালে বাধিত হবো। আর লেখার জন্য ধন্যবাদ।
অনিবার্য কারণে জবাব দিতে দেরী হওয়ায় আন্তরিকভাবে দুঃখিত। এই লেখার তথ্যসূত্রটি আপনার সুবিধার্তে এখানে দিলাম
তথ্যসূত্রঃ
১. দিনাজপুরের লোকসংস্কৃতি, এ.বি.এম. আব্দুস সাত্তার, পৃt ১০৯-১১০/
২. আলোকচিত্রে ইতিহাস, বৃহত্তর রংপুর ও দিনাজপুর, এরিয়া সদর দপ্তর, রংপুর, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, পৃt ৩১/
৩. দিনাজপুরের ইতিহাস সমগ্র-৫, মেহরাব আলী, পৃt ২৩/২৪/২৫/২৮/৪৭/৬০-৭৩/১৪৭/
৪. দিনাজপুরের ইতিহাস, ড. মুহম্মদ মনিরুজ্জামান, পৃt ১৬-১৯/৫২/১৪২/১৪৪-১৪৫/১৬৯/২৩৭/২৫৬/২৬৪-২৬৫/২৬৭-২৬৮/২৭০-২৭৩/২৭৭/২৮০/২৮৩/২৯৭/২৯৯/৩০১/
৫. বাংলাদেশের মন্দির, ড. সৈয়দ মাহমুদুল হাসান, পৃঃ /
৬. ৬৪ জেলা ভ্রমণ, লিয়াকত হোসেন খোকন, পৃঃ ৪৫৮/৪৭২/৪৭৫/৪১৮/৫৩০/
৭. বাংলায় ভ্রমণ, ইস্ট বেঙ্গল রেলওয়ে (১৯৪০)/BANGLAY BHRAMAN, a `Travelogue on historical documents and legends by E. B. RAILWAY (1940), পৃঃ ২২১/২০৫/
৮. প্রাচীন বাংলার ধুলো মাখা পথে, খন্দকার মাহমুদুল হাসান, পৃঃ ২২২-২২৬/
৯. কান্তজীর মন্দির, মেহরাব আলী, পৃঃ ১৯/২৫/
১০. বাঙ্গালার Bতিহাস, রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায়, পৃঃ ১৫৩-১৫৪/
১১. দৈনিক প্রথম আলো/দৈনিক Bত্তেফাক/দৈনিক আজকের কাগজ/দৈনিক মানবজমিন/সংবাদ/