ফিল্মি ফ্যান্টাসিতেই এতোকাল সম্ভব ছিল এমন নির্মমতা। এবার কল্পলোক থেকে বুঝি তা নেমে এসেছ তা বাস্তব জীবনের রোজনামচায়। নিত্য নিত্য ঘটছে হত্যাকাণ্ড। ঘটছে বারংবার। ভয়ংকর রকম ক্ষুদ্র বিরতিতে। আজ পাদ্রী তো কাল সাদা চামড়ার স্বেচ্ছাসেবী চিকিৎসক। একদিন এনজিও কর্মী তো অন্যদিন মসজিদের ইমাম বা মুয়াজ্জিন। কোনদিন সমকামী বা তৃতীয় লিংগের মানবাধিকার সমর্থক কি পরদিন হিন্দু দর্জী। কোনোদিন খ্রীস্টান মুদি দোকানী তো পরদিন মন্দিরের পুরোহিত। লাগাতার অপমৃত্যুর তালিকা দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হচ্ছে বিরামহীন। আর ঘটনাগুলো ঘটবার প্রায় সাথে সাথেই সেই হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করে কেবল নয়, যেনো দায়িত্ব পালনের গৌরবময় উচ্চারণ নিয়ে হাজির হচ্ছে ধর্মভিত্তিক কোন চরমপন্থী দলের গর্বিত ঘোষণা।
হত্যার বর্বরতা মানব সভ্যতায় নতুন কোনো বিষয় নয়। নিশ্চিতভাবে তা হাজার বছরের পুরোনো। তবে এর বিপরীতে সাধারণ মানুষের প্রতিক্রিয়ার পরিবর্তনটি গত চার দশকেই যেনো পালটে গেছে আমূল। আজ থেকে তিন-চার দশক আগেও শুধুমাত্র একটা অস্বাভাবিক মৃত্যু মানুষের জীবনকে প্রভাবিত করতো যার-পর-নাই। ঘরে ঘরে, জনে জনে, মানুষের মুখের উপর সেঁটে থাকতো শোক-শংকা-ক্রোধের ছবি। অফিসে আদালতে জনে জনে কথা চলতেই থাকতো। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে, শ্রেণীকক্ষেও মাপা সময়ে ভাগ বসাতো একটা অপমৃত্যু নিয়ে ভাবনা-দুর্ভাবনার আলাপ-আক্ষেপ। এক কথায় বলা যায় কেউই মেনে নিতে পারতো না এসব। মেনে নিতে পারতো না একটা অপমৃত্যুও। তাই নানানভাবে বারাধিবার প্রকাশ পেতো না মেনে নিতে পারার সেই অভিব্যক্তিটুকুন তার কথায়, আচরণে।
ফুয়াদের গল্পের কথা মনে আসে। সেই যে, তারপর ফুড়ুৎ, তারপর আবার ফুড়ুৎ। তবে কি অতীতের সেই আবেগমথিত অভিব্যক্তিসম্পন্ন মানুষগুলো সব আজ দেশ থেকে উধাও হয়ে গেছে! অন্য দেশে বেড়াতে বা অভিবাসনে গেছে! দেশ শুদ্ধ কি সব নতুন মানুষ পয়দা হয়েছে! এই তিন-চার দশকে প্রজন্ম পাল্টেছে, আবেগ কমেছে। মনুষত্বের সংজ্ঞাও কি পাল্টেছে! কতো জনার ক্ষেত্রে এমন পরিবর্তনটি ঘটেছে! মানুষ তো বেড়েছে সংখ্যায়। অনেক বেড়েছে। তবুও কি করে একটা অস্বাভাবিক মৃত্যুতে আলোড়িত হওয়ার, শোকাভিভূত হওয়ার মানুষ সংখ্যায় এমন কমে গেলো যে আমরা টেরই পাই না মানুষের আদৌ কষ্ট হয় কিনা কারণে অকারণে মানুষ এভাবে খুন হলে! তাহলে একটা মাত্র মৃত্যুতে বিমর্ষ হয়ে পড়া, শোকার্ত হয়ে পড়া এই মানুষগুলো আজ যখন পত্রিকার প্রতি পাতায় একাধিক হত্যা-মৃত্যুর খবরের কালো অক্ষরগুলোকে ডিংগিয়ে পাতা উল্টিয়ে যায় নির্বিকার ভাবে। তখন একে কি বলা যায়!
জানি কাউকে কাউকে আজো কম-বেশী ছোঁয় অপমৃত্যুর সংবাদগুলো। তবে তা নিয়ে সেভাবে অভিব্যক্তি প্রকাশের তাগিদ বা ফুরসত হয়তোবা তার মেলে না। এই যে কিছু মানুষের এই উত্তাপ আর আবেগাপ্লুত অভিব্যক্তিটুকুন, এটা সম্ভবত একটা বিশাল জনগোষ্ঠীর তুলনায় এতো বেশী নগন্য যে তাতে কারো বিন্দুমাত্র নজর কাড়বার কারণ ঘটে না, ভ্রুক্ষেপেরও প্রয়োজন তৈরী হয়না। অথচ ভাবতে অবাক লাগে আমাদের এই জনতাই – ভাষা আন্দোলনের মতোন পৃথিবীময় নজিরবিহীন ত্যাগের ঘটনা ঘটিয়েছে, একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে নির্দ্বিধায় প্রাণ দিয়ে ছিনিয়ে এনেছে স্বাধীনতা, রক্তস্রোতের ওপর দাঁড়িয়ে অর্জন করেছে নব্বুইয়ের স্বৈরাচার পতনের সাফল্য। তাহলে! তাহলে আর কিছু নয়। আমাদের নিত্য দিনের ভোগবাদ আর বস্তুবাদের দৌড় এবং আমাদের কর্তাবাবুদের পকেটপুর্তির লাগাতার উৎসব গোটা দেশটাকে একটা হোলি খেলার মঞ্চ বানিয়ে ছেড়েছে। তাতে কার প্রাণ গেলো বা থাকলো তা দিয়ে কারো কিচ্ছুটি যায় না, কিচ্ছুটি আসেও না। এর সাথে গোদের উপর বিষফোঁড়ার মতোন যুক্ত হয়েছে ধর্মের জুজু ও তার বিশাল এক সুদীর্ঘ কালো হাত।
কেউ মানুক আর না মানুক, আমি বলবো বস্তুবাদের রেসের ঘোড়া বনে পরিপূর্ণ আত্মকেন্দ্রিক হয়ে ওঠার পাশাপাশি এমনটা হবার সবচেয়ে বড় কারণ হলো এই যে, দিনের পর দিন একের পর এক অগণন মৃত্যুর অনবরত হানতে থাকা আঘাত সম্ভবত মানুষের অনুভূতির বিশেষ স্তরটিকে এমন মাত্রায় ক্ষতিগ্রস্ত করেছে যে, তা আজ সম্পূর্ণভাবে ভোঁতা ও অনুভূতিশুন্য হয়ে পড়েছে। এখন তাই কোনো অপমৃত্যুই আমাদেরকে সেভাবে স্পর্শ করবার তাকত পায় না। সামাজিক সহিংসতা ধীরে ধীরে স্লো পয়জনিং-এর মতোন গোটা সমাজের ভিতর এক ভয়ংকর মনস্তাত্বিক পরিবর্তন ঘটিয়েছে। সেই সাথে আছে বিশ্বব্যাপী আগ্রাসী পারমানবিক অস্ত্রের পরের নতুন অস্ত্র ‘ভয়’। গোটা সমাজে যে গুটিকয় মানুষের তবু কিছু বোধের বিপত্তি ঘটে এমন অপমৃত্যুর প্রতিক্রিয়ায়, তাদের টুঁটি চেপে ধরেছে এই নতুন মারণাস্ত্র ‘ভয়’।
এই নতুন অস্ত্র ভয়ের এক বিশেষ ডোজ হয়ে যেনো চট্টগ্রামের ব্যস্ত জিইসি মোড় চত্তরে ঘটলো মিতু হত্যাকাণ্ড। খোদ পুলিশ সুপারের স্ত্রীকে হত্যা করে কি ওরা এটাই বুঝালো না যে সৎ বা যোগ্য অফিসায় হবার ধৃষ্টতা দেখিয়ে তোমার খুব একটা কিছু পাওয়ার নেই। বড়জোর এমন একাধিক বোকার মাঝে এক-আধজনের জুটতে পারে অর্থহীন সন্মাননা মেডেল। কিন্তু তাতে তাদের হার্মাদিপনার ব্যঘাত ঘটলে বড় রকমের মাশুল যে নির্বোধ সাহসীকে দিতেই হবে, তাতে ভুল নেই। তো মেসেজ আমাদের কাছে সুনিশ্চিত ভাবেই খুব স্বচ্ছ ও স্পষ্ট।
কথা হলো এটা কি আমাদের রাষ্ট্রযন্ত্রের নির্বিকার চিত্তের কফিনে ঠোকার শেষ পেরেকের বাক্স থেকে ছুঁড়ে দেয়া কোনো ধাতব ঘাতক যা বিঁধলো নিরপরাধ এক স্ত্রী-মাতা-কন্যার গায়ে! এমন কাপুরুষোচিত নির্মমতা ঘটা সম্ভব কেবলমাত্র ড্রাগলর্ড অধ্যুষিত আমেরিকা-মেক্সিকো সীমান্ত বা ল্যাটিন আমেরিকান কোনো দেশে যেখানে মাদকের বাজার বা উৎস নিয়ন্ত্রণের সাথে আপন অস্তিত্বও জড়িয়ে যায়। তো আমাদের দেশেও কি তাহলে তেমন প্রভাব-প্রতিপত্তিময় ড্রাগলর্ডের উত্থান ঘটেছে! নাকি জংগী সন্ত্রাসীরা বাস্তবিকই এমন শক্তিমত্তায় পৌঁচেছে যে, প্রশাসন বা আইন-শৃংখলা রক্ষা বাহিনীকে তারা থোরাই পাত্তা দেয়।
বিষয়গুলোকে নিয়ে ভাববার উৎকৃষ্ট সময় ছিল গতকাল বা তারও আগের কোনো দিন। তবে কথা হলো – দেরী যেহেতু হয়েই গেছে তবে আজই সেই দ্বিতীয় শ্রেষ্ঠ দিন। এটা কিন্তু আজ কেবল ভোট ব্যাংককে ছাড় দিয়ে যাবার মতোন সহজ সমীকরণে নেই। নেই স্রেফ ধর্মীয় জংগীবাদের নকশাকাটা তকমা গায়ে ঝুলিয়ে একটা ঝকমকে ব্যাখ্যা দিয়ে পার পাবার পর্যায়ে।
আমি আরো কয়টা বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাই। পাটিগণিতে দুধে পানি মেশানোর অংক নিয়ে যেমন আমাদের বোধোদয় হয়েছে যে এটার ভেতর অংকের পাশাপাশি শঠতা শেখাবার এক অপকৌশল ওৎ পেতে আছে আমাদের অজান্তেই। আমাদের শিশুরা এর ভিতর দিয়ে খুব সহজে শিখে যাচ্ছে ভেজালের চিন্তা বা বুদ্ধি, যা তাদের চেতনায় সহজাত হয়ে স্থান তৈরী করে নিচ্ছে। গোয়ালা দুধে পানি মেশানোটা তাই সেই মাত্রায় অপরাধ বলে গুণতে রাজী নই আমরা আদৌ। মুখে যা-ই বলি মনস্তাত্বিক অবস্থানটা কিন্তু এমন ভাবেই গড়ে উঠছে। তো তেমনি, আজকাল বাচ্চাদের ভিডিও গেমগুলোতে জনপ্রিয়তার সহজ উপায় মারামারি খুনাখুনি। টিনএজারদের কাছে প্রিয় হলো গিয়ে হরর ম্যুভিগুলো, যার বেশীরভাগ ম্যুভিতে বীভৎস কায়দায় খুনের দৃশ্যের ছড়াছড়ি। আমরা কি এভাবে তাদের তৈরী করে দিচ্ছি না খুনোখুনি সহজ ভাবে মেনে নেয়ার এক মনস্তাত্বিক গড়নে! সেই সাথে আমাদের সমাজে নিত্য দিনের প্রতিকার এমনকি প্রতিবাদবিহীন মৃত্যুর লাগাতার যে উৎসব – এটাও কিন্তু গড়ে দিচ্ছে আমার শিশুর সেই মনস্তাত্বিক বিকাশ, যা তাকে জানতে বা বুঝতে শিখায় যে খুনোখুনি একটা খুব সাধারণ মামুলি ব্যাপার। কারো কারো কাছে তা আরো এক কাঠি সরেস মাত্রায় উপভোগ্য বিষয় বলে গন্য হচ্ছে। আমরা নিশ্চিত ভাবেই আমাদের শিশুদের উপর এসবের মনস্তাত্বিক প্রভাবের কিছুমাত্র টের পাচ্ছি না বা ধর্তব্যে আনতে রাজী না। কিন্তু এসবই আজকে অপমৃত্যু বা অপরাধের সহজ প্রতিক্রিয়ার মুখ্য কারণ। দ্বিধাহীন ভাবে মানুষের এমন সব অপরাধের সাথে সম্পৃক্ত হবার পেছনেও আপাত কারণ এসবই।
এর বাইরে যা কিছু বিবেচ্য তা বড় বেশী বড় মাপের। আন্তর্জাতিক প্রভাব প্রতিপত্তি বিস্তার বা পরের ঘরে অশান্তি লাগিয়ে রাখার অপকৌশল। যা নতুন কিছু নয়। পৃথিবীতে বহু বহু বছর আগে থেকেই, শত শত বছর ধরে, বিদ্যমান ছিল এমন অপচর্চা। তবে সাধারণ মানুষ ওটুকু না বুঝতে পারলেও রাষ্ট্রযন্ত্রের না বোঝার তেমন কোনো কারণ নেই। রাষ্ট্রের আজ তাই কোণঠাসা সময়। দ্রুত কঠোর পদক্ষেপে সকল প্রকার জংগী, সন্ত্রাসী, চোরাকারবারী, হঠকারীকে চিহ্নিত করা, দমন করা, নির্মূল করা। এর গভীরেই কিন্তু লুকিয়ে আছে জনতার দীর্ঘমেয়াদী আস্থা। এ নিয়ে দ্বিধান্বিত বা ধীর পদক্ষেপে সময় অপচয়ের সময় আমরা খেয়ে ফেলেছি গতকাল বা তার আগের দিনটিতেই।
আর এসবকিছুর প্রেক্ষিতে কথা এটাই যে উল্লেখিত সবগুলো আংগিকের বিবেচনায় এসবের সমর্থনে মনস্তাত্বিক অপঃবিকাশের পথকে রুদ্ধ যেমন করতে হবে তেমনি এর বিপরীতে সু ও সৎ চিন্তা চেতনার বিবিধ কর্মকাণ্ডকে সমাজে আরো পৃষ্ঠপোষকতা দিতে হবে। সব স্তরেই ভয়াবহ ও হঠকারী চিন্তা এবং কর্মকাণ্ডকে ঠেকিয়ে দেবার মতোন সামাজিক শক্তিকে জাগ্রত ও বেগবান করতে হবে। সেজন্যে গড়ে তোলা উচিৎ আরো আরো সুস্থ্য সামাজিক ও সাংস্কৃতিক বিকাশের কেন্দ্র। বিকশিত করতে হবে এর চর্চা। দূরে সরিয়ে আনতে হবে সমাজের সর্বস্তরের মানুষ ও আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে সকল অপ ও অন্যায়ের চর্চা কিংবা প্রশ্রয় থেকে।
০৮ জুন ২০১৬ | প্রথম প্রহর
৮ টি মন্তব্য : “~ অপঘাত, হত্যা, রক্তপাত ও আমাদের স্বাভাবিক মনস্তাত্বিক উর্বীরূহ ~”
মন্তব্য করুন
ছবিটা একটু বেশি ভয়ংকর হয়ে গেছে।
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
কথা সত্য। তবে দে ছুট টাইপের কাজ করতে গিয়ে বরাবরই অনেক কিছু ভালো করে খেয়াল করা হয় না। লেখাটা পোস্ট করবার ঠিক আগে মনে হলো একটা ছবি জুড়ে দেই। সার্চ দিয়ে অসংখ্য থেকে এটাকে দিয়ে দিয়েছিলাম ঝটিকা। ছবিটা তাহলে পালটে দেয়াই মনে হয় যৌক্তিক হবে।
ছবি যে দিতে পেরেছিলাম তাতেই ধেই ধেই অবস্থায় ছিলাম। এখন পাল্টাবার প্রসংগ আসায় মর্ত্যে নেমে এলাম ...
এখন সময় বড্ড অসময়.. অসহায়।
নিজের মনের আনন্দে লিখালিখি করি।
আসলেই। সময়টা ভীষণ বৈরী।
এ থেকে পরিত্রাণের পথে ফিরে আসাটা যারপরনাই জরুরী।
সেজন্যে গড়ে তোলা উচিৎ আরো আরো সুস্থ্য সামাজিক ও সাংস্কৃতিক বিকাশের কেন্দ্র। বিকশিত করতে হবে এর চর্চা। দূরে সরিয়ে আনতে হবে সমাজের সর্বস্তরের মানুষ ও আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে সকল অপ ও অন্যায়ের চর্চা কিংবা প্রশ্রয় থেকে। - আরো অনেক কিছু করতে হবে, তবে এগুলোও অবশ্যই করতে হবে। ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে হবে প্রতিটি গৃহকোণ থেকে। জন্ম থেকেই যেন একটা শিশু দেখতে পায় ন্যায়বিচার সমৃদ্ধ এবং বৈষম্যহীন পরিবার ও পাড়া। মেধার মূল্যায়ন করতে হবে, যেন চামচাগিরি করে গন্ডমূর্খরাও সমাজ ও রাষ্ট্রযন্ত্রের উচ্চসোপানে না উঠতে পারে। সমাজের সর্বস্তরে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হলে সুশাসন স্বয়ংক্রিয়ভাবে প্রতিষ্ঠিত হয়ে যাবে। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষা করে চলতে হবে। সত্যকে সত্য এবং মিথ্যাকে মিথ্যা বলার সাহস ছোটবেলা থেকেই শিশুদের মনে যুগিয়ে দিতে হবে।
খুব ঠিক কথা ভাই।
এতো দীর্ঘ সময় আমরা সব ভুল আর অপকে অবলীলায় বেড়ে উঠতে দিয়েছি যে তা নির্মূলে আমাদের করণীয় অনেক অনেক।
বিচার ব্যবস্থার স্বাধীনতা আর সামর্থ ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করছে এ চর্চাটি আর সত্য মিথ্যা - সাদা কালোকে যথাযথ চেনা ও সে অনুযায়ী আচরণকে নিয়ন্ত্রিত করবার চর্চায় পৌছালে পরে বাকী সব সমস্যাই তরল হয়ে যাবে। আর সেটার শুরু হতে হবে পরবার, সমাজ ও রাষ্ট্রে কর্তাদের কাছ থেকেই।
অস্বাভাবিকতাইঈ এখন স্বাভাবিক হয়ে গিয়েছে। আদৌ কি আবার সত্যিকারের স্বাভাবিক অবস্থা ফিরে আসবে?
আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷
কি জানি কখন স্বাভাবিকতা ফিরে আসবে। মানুষের সহ্যসীমা বোধ করি অসীম হয়ে গিয়েছে। আর এই যে জনতার হাতে লাঠি তুলে দেয়ার বিষয়টা, এটাও কিন্তু এক রকম পরিবর্তনের সূত্র শুরুর ইংগিত।
সবার উপরে প্রয়োজন স্যেকুলার শিক্ষা ব্যবিস্থা আর সুস্থ্য শিক্ষা ও সংস্কৃতির বিকাশ এবং চর্চার পথটাকে প্রশস্ত ও সুগম করা। তাহলে নিউক্লিয়াস থেকে প্রতিরোধ প্রকৃয়াটি শুরু হতে পারবে। আর সেটাই দীর্ঘমেয়াদী পরিবর্তনের দিকে সমাজ-সমষ্টিকে ধাবিত করবে।