বন্ধু এবং বিশ্বাস……(শেষ পর্ব)

ধন্যবাদ সবাইকে। আমি ভাবি নাই আমার একটা লিখা এতো সাড়া পাবে। তাও আবার একটা স্পাই নিয়ে লিখে। যারা আমার প্রতি সমবেদনা দেখিয়েছেন তাদের কে ধন্যবাদ। ভেবেছিলাম ওইটাই হবে আমার প্রথম ও শেষ লেখা। কিন্তু এতো সাড়া পাবার পর ফিনিশিং না দিয়ে পারলাম না।

যারা আমাকে মন্তব্য দিয়েছেন তাদের ভালোবাসা পেয়ে আমি অভিভূত। আমি এই ব্লগের নীরব পাঠক ছিলাম, ইনশাল্লাহ থাকবো। আহসান ভাই, মাশরুফ, জিহাদ সহ সবাই আমার ব্যাপারটা বোঝার জন্য। আর দেখলাম কিছু কারেন্ট ক্যাডেট আছে। তাদের কাছে অনূরোধ, প্লিজ, কাউকে স্পাই বলার আগে ভালও মতো নিশ্চিত হয়ে নিও। আমি চাই না, আমার মতো স্পাই না হয়েও কেউ এই যন্ত্রনা বয়ে বেড়াক। এটা শুধু আমি জানি, কতোটা কষ্টকর। সারাজীবন বন্ধু দের থেকে দূরে থাকার জ্বালা।
সবাই ভালো থাকবেন।

আগের পর্ব

৮১২ বার দেখা হয়েছে

৫ টি মন্তব্য : “বন্ধু এবং বিশ্বাস……(শেষ পর্ব)”

  1. কমল ভাই
    আপনার লেখাটা আবার পড়লাম। এই নিয়ে বেশ কয়েকবার। বাকি সবার মতো আমারো খুব কষ্ট লাগছে আপনার জন্যে। কিছু কিছু কষ্ট ঠিক লিখে বুঝানো যায় না। আমিও তাই আর লিখতে যাইনি।
    কিন্তু আজকে আরেকবার পুরো লেখাটা পড়ার পর মনে হলো কিছু কথা বলা দরকার।

    প্রথমত,আমার মনে হয়েছে, একেবারে বাইরের কেউ (নন-ক্যাডেট) যদি এসে আপনার লেখাটা পড়ে তাহলে ক্যাডেটদের বন্ধুত্ব সম্পর্কে একটু বিরুপ ধারনা নিয়ে ফিরে যাবে। ভাববে, এই তাহলে ক্যাডেট কলেজ। বন্ধুরা ভুল বুঝে একটা ছেলেকে বছরের পর বছর অস্পৃশ্য করে রেখেছে। কোন প্রমান ছাড়া একজন মানুষ কে এতোটা মানসিক যন্ত্রনা যারা দিয়ে আসছে তাদের অমানুষ ভাবা ছাড়া আর কিইবা করার আছে।
    কিন্তু ভাইয়া আপনি জানেন এটা সত্যি না। ক্যাডেট কলেজের বন্ধুরা আর যাই হউক এতোটা অবুঝ না। আপনার সাথে হয়তো ওদের কারো কারো ভুল বুঝাবুঝি হয়েছে। হতেই পারে। তার মানে এই না যে ওদের সম্পর্কে আপনি অন্যদের বিরুপ ধারনা দিয়ে দিবেন। আমি এটা বলছি কারন এরকম একটা কমেন্ট আমি দেখেছিও আপনার লেখায়-

    কমল ভাই,এত কিছুর পরেও যদি কেউ আপনাকে স্পাই ভেবে শান্তি পায়-আমি দুঃখিত, এ কথা বলতে হচ্ছে-তাদের মনটাই কলুষিত।

    আমার কাছে মনে হয়েছে আপনার নিজেরও কিছু করার ছিলো। আপনি বলেছেন

    বের হবার পর আমি তবু চেষ্টা করলাম সব ভুলে থাকতে। বন্ধু দের সাথে নরমাল থাকতে। দেখলাম কয়েক জন ছাড়া সবাই আমার সাথে নরমাল।

    তার মানে বেশিরভাগ বন্ধুই স্বীকার করে নিয়েছিলো আপনি স্পাই ছিলেন না। তাহলে

    আমি নিজে থেকেই আমাদের কোনো আড্ডায় যাই না। থাক না, আমার বন্ধুরা হয়তো আমি গেলে নরমাল হয়ে কথা বলতে পারবে না।

    এটা কেন করলেন?

    আমি চাই না, আমার জন্ন্য তোদের আড্ডা নষ্ট হোক। আমি রিইউনিয়নে যাই না, যদি বন্ধু দের মজা খারাপ হয়।

    আপনি কখনো গিয়ে দেখেছেন তাদের আড্ডা নষ্ট হয় কিনা? তাদের মজা খারাপ হয় কিনা? করে দেখতেন। একবার নিজের কথা গুলি বলে দেখতেন তারা কি বলে। আমার ধারনা তারা বুঝতে পারতো। কারন ৫০ জন ছেলে (সবাই ক্যাডেট কলেজে পড়া) কখনো একসাথে ভুল করতে পারে না। ২/১ জন ভুল করলেও বাকিরা শুধরে দিতো তাদের।

    নাকি আপনি বলতে চাননি? আর না চাইলে সেটার কারনই বা কি? আপনি তো আপনার বন্ধুদের মিস করছিলেন।

    তারপর আপনার নাম, পরিচয়, কলেজ গোপন করাটাও আমার কাছে রহস্যময় লেগেছে। কেন?

    bhai ami barishal er na. debate erate onno college er nam disi.

    এবং

    sorry bhai. ami asole mis unerstanding korte chai nai. amar college er nam dile hoito fri ra aro vul bujto j ami CCB te eisob kotha boltesi tai onno college bolsilam.

    এই ব্যাখ্যাটা একটু বোকামি হয়ে গেলো না ভাইয়া? বরং নাম পরিচয় দিলেই আপনার বন্ধুরা এটলিষ্ট জানতে পারতো আপনার মনের কথা গুলি। বা কেউ না কেউ তাদের কাছে আপনার কথাগুলি পৌছানোর চেষ্টা করতো। তাতে সবকিছু মিটমাটের একটা উপায় হতেও পারতো। যেহেতু আপনার বন্ধুদের কেউ এখানে নাই তাই তাদের পক্ষ হয়ে তাদের কথাগুলি বলারও কেউ নাই। মিছেমিছি কেন আপনি এক তরফা ভাবে সব দোষ তাদের উপরে দিয়ে দিচ্ছেন।

    যে কথাগুলি আপনি এখানে, এই ব্লগে লিখেছেন, সেই কথাগুলি যদি একবার আপনার বন্ধুদের সবার কাছে গিয়ে বুঝিয়ে বলতেন তাহলে আমার ধারনা এতদিনে সব ঠিক হয়ে যেতো। একটা কমেন্ট আমার খুব ভালো লেগেছে-

    আপনার নিজেকে দূরে সরিয়ে রাখার ব্যাপারটা মনে হয় ঠিক হয় নাই…আপনি যদি ফ্রেন্ডদের সাথে সময় বেশী কাটাতেন তাইলে মনে হয় তাদের ভুল আরও আগেই ভাংত…

    আমরা তো আপনাকে কোনদিন দেখিনি। চিনিনা। তারপরো আমরা যেহেতু বুঝতে পেরেছি । আর যারা আপনাকে এতো বছর ধরে চিনে, যাদের সাথে আপনি ছোট থেকে বড় হয়েছেন তারা আপনাকে বুঝতো না বলে আপনার ধারনা? মনে হয় না। আপনি নিজেই বলেছেন-

    apnader valobasa peye amar mone ja dukho chilo onektai dur hoye jache. cadet feelings j civilian na abaro apnara prove korlen.

    আপনার বন্ধুরাও তো ক্যাডেট। ওরাও আমাদের মতই ভালোবাসা দিয়েই আপনাকে বরন করবে।

    সবশেষে জিহাদের সাথে সহমত হয়ে বলি-

    ভাইয়া , এখন কি খোলস ছেড়ে বেরিয়ে আসা যায়না? আমার মনে হয় তাতে লাভ হতেও পারে। আমরা সবাই আপনার ব্যাপারটা ফিল করছি।কাজেই এখনো বোধহয় সমাধাণ সম্ভব।

    একটু ভেবে দেখবেন।
    ভালো থাকবেন। খুব ভালো।