লোকমুখে শুনলাম কাল ইফতারের আগে এবং আজান দেবার পরপরই মোট তিনবার ভূমিকম্প হয়েছে ঢাকাতে। বাংলাদেশে আমার ভূমিকম্পের তেমন কোন স্মৃতি আমার মনে পরে না। অনেক ছোট থাকতে (১৯৮৮ সালের দিকে) একবার ভূমিকম্পের কথা অস্পস্ট মনে আছে কিছুটা। ২৬ ডিসেম্বর ২০০৪ এর সুনামীর ভূমিকম্প বাংলাদেশে অনুভুত হয় সকাল ৮ টার দিকে। আমার সকাল ৮ তার ঘুমের তীব্রতা ছিল সেবারের ভুমিকম্পের চেয়ে বেশি, তাই সেবারের ভুমিকম্পও আমার টের পাওয়া হয়নি।
তবে বর্তমানে আমি জাপানে অবস্থান করার কারনে ভুমিকম্পের সথে প্রায়ই দেখা হয় আমার। আজকে সকালেও এখানে ৫ মাত্রার ভুমিকম্প হয়। “প্রথম প্রথম ভুমিকম্প হলে দেয়ালে দাগ কেটে হিসাব রাখতাম। এখন অনুভুতিগুলো একেবারে ভোতা হয়ে গেছে।” মাসে ৩/৪ টা ভুমিকম্প এখানে নরমাল ব্যাপার। এখানে ভুমিকম্প বৃষ্টি, ঝড়, টাইফুনের মতই বিবেচিত হয়। বাংলাদেশে বৃষ্টি হলে যেমন কেউ অবাক হয়না। এখানে ভূমিকম্প হলেও কেউ অবাক হয়না।
যাই হোক মুল ঘটনায় আসি। ১৯৯৩ সালে আমরা ক্লাস সেভেনে। আমি ছিলাম B ফর্মের। একদিন নাইট প্রেপে ডিউটিতে ছিলেন ভুগোলের সানাত জয়সুরিয়া স্যার (স্যারের আসল নামটা মনে নাই, উনার চেহারা জয়সুরিয়ার মত ছিল)। উনি তখন মাত্র আমাদের কলেজে আসছে (খুব সম্ভবত বরিশাল ক্যাডেট কলেজ থেকে)। আমাদের ফর্মের ঠিক উপরের তালায় ছিল ক্লাস টুয়েলভ। টুয়েলভের তখন গায়ে বাতাস লাগিয়ে বেড়ানোর সময়। কারন, আর কিছুদিন পরেই কলেজ থেকে চলে যাবে। তাই কাউকে কেয়ার করে না তারা। নাইট প্রেপ শেষ হবার ঠিক কিছুক্ষন আগে হঠাৎ অনেক বড় ভুমিকম্প টের পেলাম আমরা। সবাই ভয়ে মাঠে গেলাম। জয়সুরিয়া স্যারও চেয়ার উল্টাইয়া ফালাইয়া ভয়ে দৌড় দিলেন মাঠে। কিন্তু কিছুক্ষন পরে দেখা গেল যে অন্য কোন ক্লাস মাঠে বের হয় নাই। শুধু ক্লাস সেভেন আর জয়সুরিয়া স্যার তখন মাঠে। পরে অনুসন্ধান করে জানা গেল আমাদের উপরের তালার ক্লাস টুয়েলভের ভাইয়ারা সবাই একসাথে অনেক জোরে পা দিয়ে আরটিফিসিয়াল ভুমিকম্প তৈরি করেছিল (মারাত্মক প্রতিভা)। পরে অবশ্য আমরাও প্রাপ্তবয়স্ক হবার পর ভুমিকম্প দিতাম জুনিয়রদের। কিন্তু পোলাপান পরে আর ভয় পাইত না।
হা হা হা .....বাহা তুই ভুমিকম্পের কথা মনে করিয়ে দিলি । ভুমিকম্প গুলা ছিল ক্লাস টুয়েলভের নিজস্ব সম্পত্তি , সম্ভবত ইউনিকলি রংপুর ক্যাডেট কলেজের ও। অন্য কোন কলেজে এই ট্রেডিশন ছিল কিনা জানতে ইচ্ছে করছে।
মান্নান, তোর খেতাব স্যারকে দেয়া কবিতাটা এই ব্লগে দিতে চাচ্ছি। কোন অসুবিধা আছে?
অসুবিধা নাই , এতে আমার কবি সুনাম আরো বিস্তৃত হইবেক 😀
হা হা হা....ভাইয়া, তখন আমরা ছিলাম ক্লাস সেভেন এ
😀
এই জয়সুরিয়াডা আবার কোন্ডা ছিল?
খুব সম্ভবত ভূগোলের মোস্তাফিজুর রহমান স্যার (তিতুমীরের বংশধর)।
ইয়েস, মুস্তাফিজ স্যার। মনে পরছে। ধন্যবাদ সাব্বির।
ইহ বাহালুল, তুমি তো চুপ থাকতে দিলা না। অনেক কিছু মনে করায় দিলা।
এই বান্দা তো তখন টুয়েলভ এ। কিন্তূ তোমার চেহারা তো মনে পড়ে না। পিচ্চি ছিলা তো।
ভাইয়া, আমাকে তো চিনার কথা না। আপনাদের আমরা ৭ দিনের জন্য পাইছিলাম। আমি ছিলাম তিতুমীর হাউজের, আর আপনি জাহাঙ্গীর হাউজের। তাই মনে হয় দেখা হয় নাই।
আপনাকে ব্লগে ওয়েলকাম।
ওহ, তুমি রেজার হাউসে ছিলা।
আমরা কেমন ছিলাম বলো তো, খুব ভালো তাই না?
আমাদের গুনগান গাইয়া আরো দুই তিনটা Post দাও, জলদি। যদিও ed দেয়া পছন্দ করি না, কিন্তূ in future কি করব কইতে পারি না।
ওরে খাইছে।আপনেরা এতো সিনিয়র কেন????বাহলুল ভাই হইলো গিয়া আমাগো ইলেভেন,আমরা সেভেনে থাকতে উনারা ইলেভেনে,যমের মত ডরাইতাম উনাগো ব্যাচ(জেসিসি) রে।এখনো কেন যানি ভয় টা কাটে নাই,দেখা হইলেই ডর লাগে... 🙁
আর ফয়েজ ভাইরা হইলো গিয়া ভিয়েতনাম ভেটগো আমলের...কলেজে আমাদের জন্মের বহু পূর্বে তাঁহাদের পদচারণা মুছিয়া গিয়াছে... 😛
দিলা তো গিট্টু লাগাইয়া। আমার তো নিজেরে এখনো পোলাপাইন পোলাপাইন মনে হয়।
তুমি, জেসিসির। মজার একটা ঘটনা মনে পড়ল। আচ্ছা,জেসিসিতে এখনো মিল্ক টাইমে কি গরুর দুধ দেয়, নাকি পাউডার।
বস্, দুধ নিয়া কাহিনিডা কইয়া ফালান প্লিজ, শুনার লাইগা অতিশয় আগ্রহ বোধ হইতেছে B-)
সংসারে প্রবল বৈরাগ্য!
কিসের যেনো গন্ধ পাইতেসি।
:grr:
সংসারে প্রবল বৈরাগ্য!
=)) =)) =))
টুয়েলভরে ভয় পায় না? 😛
:pira: :pira: :pira: =))
"Never think that you’re not supposed to be there. Cause you wouldn’t be there if you wasn’t supposed to be there."
- A Concerto Is a Conversation