সংসদ নির্বাচনের জন্য আমাদের প্রচলিত নির্বাচন পদ্ধতির একটা গালভরা কেতাবি নাম আছে – simple plurality। তবে এর বাইরেও এই পদ্ধতিটির একাধিক প্রচলিত নাম আছে আর তা হলো – ১) ফার্স্ট-পাস-দ্যা-পোস্ট (FPTP) ২) উইনার টেকস অল ইত্যাদি।
এর বাইরে আনুপাতিক প্রতিনিধিত্বের (Proportional representation বা সংক্ষেপে পি আর) কিছু পদ্ধতি কোন কোন দেশে প্রচলিত আছে জানতাম তবে তার বিভিন্ন ফর্ম যে এখন পৃথিবীর প্রায় অর্ধেকের বেশী দেশে ব্যবহৃত হচ্ছে, তা জানতাম না।
সম্প্রতি এটা জানলাম এবং জেনে বেশ চমকৃত হলাম।
যেকোন পদ্ধতিরই কিছু না কিছু দুর্বলতা থাকে, সেটা সত্যি তবে পদ্ধতিটির মধ্যে সেসব দুর্বলতা অতিক্রম করার উপায় আছে কিনা সেটা খুবই গুরুত্বপূর্ন। তাছাড়া একটা নতুন পদ্ধতি যদি নানাভাবে অগ্রসর দেশের লোকজন ক্রমান্ময়ে গ্রহন করতে থাকেন, তার বাস্তব উপযোগিতার বিষয়টি আলোচিত হওয়া উচিৎ বলে আমি মনে করছি।
আমাদের রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গের মধ্যে আনুপাতিক প্রতিনিধিত্বের বিষয়ে কোন সচেতনতা দেখছি না। তবে তা সৃষ্টি হলে চলমান নানাবিধ অস্বাস্থ্যকর রাজনৈতিক চর্চ্চা কমে আসবে বলে আমার ধারনা।
এই মুহুর্তে আমরা এটা প্রচলনের জন্য বেশ সুবিধাজনক একটা পরিবেশে আছি। আনুপাতিক প্রতিনিধিত্বের জন্য একটা গুরুত্বপূর্ন শর্ত হল সুনির্দিষ্টভাবে জানা যে প্রতিনিধিত্ব প্রত্যাশি দলগুলো কোন কোনটি? বেশ কিছু দিন থেকে রাজনৈতিক দল নিবন্ধনের একটি প্রক্রিয়া চলে আসছে বলে আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব চালুর এই বড় প্রতিবন্ধকতাটি আর সেভাবে নেই।
দেশে ক্ষমতার বাইরে থাকা বৃহত্তম দলের নির্বাচনে জিতে ক্ষমতায় আসার যে প্রচলিত ধারা চলছে তা এই পদ্ধতির কারনে আরও নির্বিঘ্ন হবে। সমমনাদের নিয়ে জোট করার ক্ষেত্রে বিজয়ি দলটিকে অনেক কম ছাড় দিতে হবে। আবার জোটে যোগ দেয়া পক্ষগুলো তাঁদের প্রকৃত শক্তি নিয়েই দর কশাকশি করতে পারবে। তাঁদের এই দর কশাকশির সময় কোন অকারন দুর্বলতা থাকবে না।
ক্ষমতাসীন দল, যারা হেরে বিরোধিদলে যাবেন, তাঁরা যথেষ্ট ভোট পেয়েও লজ্জাজনক সংখ্যক আসন পাওয়ার মনঃকষ্ট থেকে মুক্ত থাকবেন যা বিগত দুটি নির্বাচনে ঘটেছে। তাছাড়া একটি ভারসাম্যপূর্ন আসনে পাচ-দশ ভাগ ভোটারকে প্রভাবিত করে ফল বদলানো যত সহজ, গোটা দেশের ভোটের অনুপাত বদলানো ততটা সহজ না। সেক্ষেত্রে নির্বাচনে কারচুপির প্রবনতাও নিরুৎসাহিত হবে।
এতসব সম্ভাব্য ইতিবাচক আউটকাম এর বিপরীতে সবচেয়ে বেশী সমালোচিত নেতিবাচক আউটকামটি হল এই যে সরকারে থাকা দলটি দুর্বল থাকবে।
এ বিষয়ে আমার ব্যক্তিগত মত হল, দু-দুবার আমরাতো মহা শক্তিশালী ক্ষমতাসীন দল পেলাম। তাথেকে জনগনের কি লাভ হয়েছে আর ক্ষমতা-সংশ্লিষ্টগনের কি কি ব্যক্তিগত লাভ হয়েছে তা সবাই কম-বেশি জানি। স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা কোন পর্যায়ে গিয়ে ঠেকেছে তাও খুব অজানা নয়। তাহলে এত শক্তির ফসলটা কার গোলায় যাচ্ছে? দু-চারবার থাকুক না দুর্বল ক্ষমতাসীন দল। যদি খুব কোন সমস্যা হয়, তখন তা নিরসন করা যাবে। আর তা কিভাবে করা হয়, সে উদাহরনও এই পদ্ধতিতে আছে। (থ্রেসহোল্ড বাড়িয়ে। ইসরাইলে যা ২%, কোন কোন দেশে এটা ৫-৮% পর্যন্তও আছে। তুরষ্কে এটা ১০%)।
এই পদ্ধতির আরেকটা সমালোচনা হল, এতে প্রার্থিকে নির্বাচকদের কাছে ব্যক্তিগত জবাবদিহীতা করতে হয় না।
প্রথমেই বলতে ইচ্ছা হচ্ছে যে প্রচলিত পদ্ধতিতে প্রার্থিগন জবাবদীহি করে কি হাতি-ঘোড়া উলটে দিচ্ছেন যা মাইক্রোস্কোপেও খুঁজে পাওয়া দায়। তবে তা না বলেও এটা বলা যায় যে পি আর-এর যেহেতু বিভিন্ন ফরমেট আছে, জবাবদিহীতাটা গুরুত্বপূর্ন মনে হলে এমন একটা ফরমেট বেছে নেয়ার সুযোগ থাকবে যেখানে যথেষ্ট পরিমানে ব্যক্তিগত জবাবদিহীতা নিশ্চিত করা সম্ভব।
পি আর সম্পর্কে একটা ভুল ধারনা হল, এতে ইন্ডিপেন্ডেন্ট ক্যান্ডিডেটের কোন স্থান নেই। এটা সত্য যে পি আর পদ্ধতিটা প্রচলিত পদ্ধতির মত অতটা ইন্ডিপেন্ডেন্ট ক্যান্ডিডেট-বান্ধব নয়। তবে ইন্ডিপেন্ডেন্ট ক্যান্ডিডেটের কোন স্থান নেই এটা ঠিক না। পি আর-এর বেশ কয়েকটি ফরম্যাট-এই ইন্ডিপেন্ডেন্ট ক্যান্ডিডেট-কে একোমোডেট করার সুব্যবস্থা আছে। যদিও তাঁকে জিতে আসার জন্য সাধারনভাবে বিজয়ীগণের সমপর্যায়ের জনপ্রিয়তা প্রমান করতে হয়।
পি আর-এর ইতিবাচক দিক গুলো হলো – ১) এই পদ্ধতির নির্বাচন অনুষ্ঠান অর্থনৈতিকভাবে অনেক বেশি সাশ্রয়ী, ২) রিগিং নিরুৎসাহিকর, ৩) ভোটার উপস্থিতি বৃদ্ধি-বান্ধব,৪) নির্বাচন পরিচালনা পদ্ধতি সহজতর। এছাড়াও এতে দেশে নমিনেশন বানিজ্য নামে যে ঘৃন্য একটা প্রাক্টিস চলে আসছে তা বেশ নিরুৎসাহিত হবে। যেহেতু প্রতিনিধিত্ব-প্রত্যাশী দলগুলোকে সম্ভাব্য সাংসদগণের একটি র্যাংকড তালিকা জমা দিতে হয়, সেক্ষেত্রে হঠাৎ করে কারোপক্ষে তালিকায় আসা সম্ভব হলেও উপরের দিকে নাম ওঠানো খুব সহজ হবে না। এধরনের যেকোন প্রচেষ্টাতে দলের মধ্য থেকেই বাঁধা আসবে। রাজনীতিতে মুলতঃ রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গেরই প্রাধান্য ফিরে আসবে। ভুঁইফোড় রাজনীতিবিদ হিসাবে প্রাক্তন সামরিক/বেসামরিক আমলা, ব্যবসাহী ইত্যাদি গণের রাজনীতিতে অনুপ্রবেশ নিরুৎসাহীত হবে।
নির্বাচনের উদ্দেশ্য যদি হয় জনপ্রিয়তার পরিমাপ তাহলে পি আর পদ্ধতিই সবচেয়ে উপযুক্ত পদ্ধতি। প্রচলিত পদ্ধতিতে স্ট্র্যাটেজিক ভোটিং, ট্যাকটিকাল ভোটিং, স্পয়েলার ক্যান্ডিডেট ইত্যাদি আইনতঃ সঠিক কিন্তু বাস্তবে অনৈতিক প্রাকটিসের মাধ্যমে প্রকৃত জনমতকে ভিন্নভাবে উপস্থাপনের সুযোগ থাকে। এর মধ্য দিয়ে নির্বাচন হয়ে পরে মোর অব এ গেইম শো। ফলাফল নির্ভর করে যে সমীকরনের উপর তা হলঃ ভালো খিলাড়ী = বেশী আসন, ভোট যাই থাকুক বা না থাকুক। কিন্তু পি আর পদ্ধতি তে বেশী আসনের একমাত্র শর্তই হল বেশী ভোট। জনপ্রিয়তা অর্জনের কন্টিনিউয়াস প্রচেষ্টা ছাড়া অন্য কোন সমীকরন এক্ষেত্রে কাজে দেবে না।
পি আর পদ্ধতিটা যে প্রচলিত পদ্ধতির চেয়ে উন্নতমানের তার প্রমান হল, দিন দিন এটা বেছে নেয়া রাস্ট্রের সংখ্যা বৃদ্ধিতে। আর নতুন করে যেসব দেশ গনতন্ত্রের চর্চ্চা শুরু করছে তারা প্রায় সবাই-ই এই পদ্ধতিতে এগুচ্ছে। সিম্পল প্লুরালিটি ছেড়ে পি আর-এ আসার ভুরি ভুরি উদাহরন পাওয়া গেলেও পি আর ছেড়ে সিম্পল প্লুরালিটি ফিরে যাওয়ার কোন উদাহরন খুঁজে পেলাম না। তবে হ্যাঁ, পি আর-এর মডিফিকেশন হয়েছে, হচ্ছে। এটা পি আর-এর একটা ইতিবাচক ক্যারেক্টার। কারন এটা ভুল চিহ্নিত করার ও তা দূর করার সামর্থ্য রাখে।
আমার এই আলোচনা শুরুর উদ্দেশ্য হল এটা জানতে চাওয়া যে, কেমন হয় এই আনুপাতিক প্রতিনিধিত্বের (Proportional representation) কোন একটা পদ্ধতি এদেশে প্রচলন করা গেলে?
ভবিয্যতে আরো আলোচনার ইচ্ছা রইলো। এজন্য এটার নম্বর দিলাম “১” তবে সাধারনভাবে রাজনীতী বিমুখ ক্যাডেট-ভাইএরা উৎসাহ না দেখালে প্রথম পর্বেই এই আলোচনার সমাধি রচনা করতে হতে পারে।
সবাইকে শুভেচ্ছা রাশি রাশি…
চমৎকার লেখা ভাই। আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব নিয়ে যদি দু-চার লাইন শুরুতে যোগ করে দেন তাহলে আমজনতার বুঝতে কিছুটা সুবিধা হবে। নিজে থেকে একটু ইন্টারনেট ঘেঁটে একটি বিষয় সম্পর্কে জেনে নেয়া আমাদের সহজাত গুণ নয়। আর যদি বিশেষ পাঠকবৃন্দের উদ্দেশ্যেই লিখে থাকেন তাহলে ঠিক আছে।
ক্যাডেটদের এই যে রাজনৈতিক নিস্পৃহ মনোভাব এটা নিয়ে আসলেই চিন্তা করার সময় এসে গিয়েছে। এক অর্থে হতাশাজনক যে দেশের মেধাবী এই জনগোষ্ঠী বাক্সের মধ্যে থেকেই চিন্তা ভাবনা করতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করছে। চর্চা বিষয়টি শুরু করার একটি ব্যাপার। "ছিঃ ছিঃ রাজনীতি মানুষ করে?!" বলে নাক শিঁটকানো সম্মোহন থেকে ক্যাডেট তথা দেশের যেকোন মেধাবী জনগোষ্ঠী যতদিন বের হয়ে আসতে না পারছে ততদিন পরিবর্তন হচ্ছে না! দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য রাজনৈতিক নিস্পৃহ মনোভাব এক্স-ক্যাডেটদের মাঝে সবচেয়ে প্রবল।
\\\তুমি আসবে বলে, হে স্বাধীনতা
অবুঝ শিশু হামাগুড়ি দিল পিতামাতার লাশের ওপর।\\\
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। ঠিক, আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব বিষয়টার আরেকটু ব্যাখ্যা দেয়া উচিৎ ছিল। পরবর্তি পর্বসমুহে আশা করছি সে চেষ্টা থাকবে।
Do not argue with an idiot they drag you down to their level and beat you with experience.
২য় প্যারার সাথে সহমত।
ক্যাডেটদের রাজনৈতিক নিস্পৃহতা থেকে বেরিয়ে আসা উচিত খুব দ্রুত।
গ্যালারিতে বসে থাকার দিন শেষ হোক।
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
🙁 🙁 🙁
• জ্ঞান যেখানে সীমাবদ্ধ, বুদ্ধি সেখানে আড়ষ্ট, মুক্তি সেখানে অসম্ভব - শিখা (মুসলিম সাহিত্য সমাজ) •
আমার মনে হয় একটি 'শুরু'র জন্য পুরো ব্যাপারটি আটকে আছে (রাজনীতিতে থাকা ঐ জেনারেল ভাইকে গোনায় ধরছি না)। কোন এক্স-ক্যাডেট যদি একবার জাতীয় পর্যায়ের রাজনীতিতে নিজের শক্ত অবস্থান তৈরি করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে পারেন-খুব দ্রুত অনেকেই তাঁর পদাংক অনুসরন করবে... :dreamy:
ঐ দেখা যায় তালগাছ, তালগাছটি কিন্তু আমার...হুঁ
কথা কিন্তু সত্য। বেস্ট প্র্যাক্টিসটাই শুরু করা হয়নি! আমি সাধারণত তুলনামূলক চিত্র তুলে ধরতে পছন্দ করি না কিন্তু আজকে মার্কিনি সিনেটর, প্রেসিডেন্টদের প্রোফাইল ঘাঁটাচ্ছিলাম। সবচাইতে মাথামোটা জুনিয়ার বুশও ইতিহাসে স্নাতক। রাজনৈতিক ক্যারিয়ারে পড়াশোনাকে একটি গুরুত্বপূর্ণ মানদন্ড হিসেবে ধরা কতটুকু উচিৎ সেদিকে যেতে চাইছি না কিন্তু বিশেষভাবে শিক্ষিত জনগোষ্ঠী হিসেবে এক্সক্যাডেটরা রাজনীতিতে আসা শুরু করলে অপেক্ষাকৃত ভালো কিছু হবে বলেই আমার বিশ্বাস।
\\\তুমি আসবে বলে, হে স্বাধীনতা
অবুঝ শিশু হামাগুড়ি দিল পিতামাতার লাশের ওপর।\\\
জেনারেল ভাই টাইম ওয়েষ্ট করতেছে।
দুঃখজনক হলেও সত্যি এই যে উনি নিজেকে ক্লাউনে পরিণত করেছেন।
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
ভালো লেখা।
সময়োপযুগীও বটে।
নির্বাচনের পদ্ধতি নিয়ে আরো বেশি আলোচনা হওয়া উচিত।
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
কেইস নং-১
"ইহা একটি ধুমপান, মাদক, সন্ত্রাস ও রাজনীতি মুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান" অথবা
কেইস নং-২
- "তো ছেলে কি করে?"
- "রাজনীতি"
- "সরকারী দল না বিরোধী দল?"
- "এখন সরকারী"
- "ও বুঝছি, কিছু করে না। আসলে বেকার। টাউটারি চাদাবাজি করে চলে। বিরোধীতো হলো বলে। বিয়ে করার শখ ক্যান। বউরে কি খাওয়াবে তখন?"
কেইস নং-৩
- "তো এখন কি করবা বলে ভাবতেছো" (ক্যারিয়ারের ক্রান্তিকালে একজনকে)।
- "চাচা, রাজনীতিতে যোগ দেবো বলে ভাবছি"
- "হ, বুঝছি। হালুয়া রুটির ধান্দা। তবে সাবধান। ঐরাস্তা কিন্তু খুবই রিস্কই। যেকোন সময় জান নিয়ে টানাটানি বাধে।"
এই তিনটা কেইসের অবতারনা আমাদের দেশের রাজনীতি ও তাতে সংশ্লিষ্টগন সম্পর্কে জনমনে পারসেপশন কি, তা বুঝাতে।
প্রধান রাজনৈতিক দলসমুহে নেতা হবার, নেতৃত্ব দেবার যোগ্যতাসম্পন্ন কারো অন্তর্ভুক্তিকরনের স্বীকৃত কোন সরল পন্থা নেই। যে পথগুলি আছে প্রত্যেকটাই হয় বাঁকা, নয়তো অনৈতিক। এই অবস্থায় আত্মসম্মানবোধ সম্পন্ন, সৎ, ন্যায়পরায়ন কেউ যদি রাজনীতি বিমুখ হন, তাঁকে কতটা আর দোষারোপ করে যায়?
Do not argue with an idiot they drag you down to their level and beat you with experience.
ব্যাপারটা একটা vicious cycle। আত্মসম্মানের কথা চিন্তা করে সৎ ও যোগ্যতা সম্পন্ন মানুষেরা রাজনীতি থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন ফলাফল সরূপ দেহের যেই পঁচা রক্ত সেটাই ঘুরেফিরে পরিচালিত হচ্ছে। অথবা যোগ্যতাসম্পন্ন লোকজন সততার নিষ্ঠার পথ থেকে সরে অনৈতিক, শর্টকাট পদ্ধতি অনুসরণ করছেন! ঘুরেফিরে ফলাফল শূণ্য।
\\\তুমি আসবে বলে, হে স্বাধীনতা
অবুঝ শিশু হামাগুড়ি দিল পিতামাতার লাশের ওপর।\\\
একদমই ঠিক কথা। আর এই সাইকেলটা খুবই সযত্নে লালন করা হয় রাজনীতিকে প্রতিযোগিতা মুক্ত রাখার জন্য। ফলাফল শুধু শুন্য না, রীতিমত নেগেটিভ।
Do not argue with an idiot they drag you down to their level and beat you with experience.
:thumbup:
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ