আমার বন্ধুয়া বিহনে-১
আমার রুমমেট শোয়েবের চেহারাটাই এমন, ও জেগে থাকলেও আমরা সন্দেহ করতাম শোয়েব ঘুমিয়ে আছে। করার অনেক কারনও ছিল।
প্রেপ কিম্বা ক্লাস আওয়ারে ফর্মে অনেক হিট ফ্লপ রস হতো। মাঝে মাঝে কেউ খুব হিট কোনো রস করলে আমরা সবাই দম ফাটিয়ে হাসতাম। কেউ চেয়ার থেকে পড়ে গড়াগড়ি খেতো। অতি উৎসাহী এবং সুযোগসন্ধানী কয়েকজন, ওরে মা রে, হাসতে হাসতে মইরা গেলাম রে বলে চামে পাশের জনকে কিল,থাপ্পড় মেরে দিতো। কিন্তু শোয়েব তখনও ডেস্কের উপর কনুই আর দুই গালে দুই হাত রেখে মুচকি মুচকি হাসতো শুধু। ও আছে না নেই এটা টের পাওয়া যেতো না। ফলে আমরা ধরেই নিতাম ও ঘুমাচ্ছে।
*
ফর্মে সব সময় শোয়েব আমার সামনের ডেস্কে বসতো, আর পরীক্ষার হলে পাশে। আমরা দুজন প্রায়ই এক সঙ্গে হেটে হেটে মিল্ক ব্রেকে যেতাম।
সেদিনও যাচ্ছিলাম। পথে দেখা হলো প্রিন্সিপাল সোহরাব আলী তালুকদারের সাথে। তখন সবে মাত্র এসএসসি’র টেস্ট পরীক্ষার রেজাল্ট দিয়েছে। যথারীতি ডাব্বা মেরে আমি অঙ্কে পেয়েছি ৪১ আর শোয়েব ৪২। প্রিন্সিপাল ধরলেন দুই জনকে
-শোয়েব টেস্টের রেজাল্ট দিছে নাকি?
-জি স্যার
-অঙ্কে কতো পাইছো?
-স্যার ফর্টি টু। শোয়েব আস্তে করে বলল।
-গুড, কিপ ইট আপ
-কামরুল কতো পাইছো অঙ্কে?
-স্যার একচল্লিশ
-কি? ২ বছর অঙ্ক করানোর পর এইটা বলতে তোমার লজ্জা লাগলো না? তুমি আর আমার সামনে আসবা না। তোমারে দেখলে আমার লজ্জা লাগে।
-জি স্যার। স্লামালিকুম স্যার।
আমি বুঝতে পারলাম না, ৪২ যদি ‘কিপ ইট আপ’ হয় তাইলে ৪১ কি এতোই খারাপ যে লজ্জা পাইতে হবে। শোয়েবকে জিজ্ঞেস করলাম,
-কাহিনীটা কি? তুই তো মাত্র ১ বেশি পাইছস। তাইলে তোরে ‘কিপ ইট আপ’ আর আমারে ঝাড়ি দিল কেন?
-আমি ইংরেজিতে বলছি ফর্টি টু। আমার মনে হয় স্যার শুনছে এইটি টু। তুই একচল্লিশ বলছিস, একচল্লিশই শুনছে। ৪১ কোনো নাম্বার হইলো, লজ্জা তো লাগবেই।
বলে শোয়েব একটা শয়তানি হাসি দিলো।
*
রুম ক্রিকেট বলে একটা খেলা আমাদের মধ্যে খুব জনপ্রিয় ছিল। মোজা দিয়ে বল আর কাঠের তক্তা দিয়ে ব্যাট বানিয়ে আমরা রুমের মধ্যে ক্রিকেট খেলতাম। শোয়েব ছিল অফ স্পিনার। রুমে জায়গা যেহেতু কম কেউই দৌড়ে এসে রান-আপ নিয়ে নিয়ে বোলিং করতো না। জায়গায় দাঁড়িয়ে হাত ঘুরিয়ে আমরা বোলিং করতাম। কিন্তু শোয়েব বোলিং করার আগে একটু রান-আপ নিতো। লকারের আড়াল থেকে দৌড়ে এসে ও বল ছুড়তো। এই নিয়ে একদিন নাসিরের সাথে লাগলো ঝগড়া। নাসির বলে
-তুই আৎকা লকারের চিপা থেইকা বের হইয়া আসস, তোরে দেখা যায় না। বল খেলতে সমস্যা হয়
-যেখান থেইকাই আসি, বোলিং তো জায়গা থেইকাই করি।
-না তুই দৌড়াইয়া আসতে পারবি না, দাড়াইয়া বোলিং কর
-করুম না, কি করবি তুই?
-কি করুম?
হাতে যেই কাঠের তক্তা ছিল ওইটা নিয়ে নাসির শোয়েবকে মারার জন্য দৌড়ানি দিল। শোয়েব দেখলো কেস খারাপ। জান বাচানো ফরজ। ও বল ফেলে দৌড় দিল। কপাল ভাল নাসিরের চেয়ে শোয়েব ভালো দৌড়াত। নইলে ওইদিন ধরা পরলে শোয়েবের হাড্ডি-গুড্ডি যে একটাও আস্ত থাকতোনা সে বিষয়ে আজো আমাদের কারো সন্দেহ নাই।
*
এরকম মুচকি মুচকি হাসি আর অফ স্পিন বোলিং করতে করতে শোয়েব একদিন ডাইনিং হল প্রিফেক্ট হয়ে গেলো। ও ‘বিসমিল্লাহ’ বললে সবার খাওয়া শূরু হয়, ‘আলহামদুলিল্লা’ বললে সবার খাওয়া শেষ হয়। কিন্তু শোয়েবের নিজের খাওয়া শেষ হয় না। ‘কলেজ আলহামদুলিল্লা হিরাব্বিল আলামিন’ বলে শোয়েব নিজেই আরেক দফা খাওয়া শুরু করতো এবং ডিউটি মাস্টার বের হয়ে যাওয়া পর্যন্ত খেতো। ওর ডাল খাওয়া আমাদের ব্যাচে বিখ্যাত হয়ে গেলো। বেয়ারারা ডাইনিং হল প্রিফেক্টের জন্যে বাটির পর বাটি ডাল সার্ভ করতে করতে ক্লান্ত হয়ে যেতো কিন্তু শোয়েব খেয়ে ক্লান্ত হতো না।
আজো শোয়েবের খাওয়া আমাদের জন্যে এক দারুন বিনোদন। একসঙ্গে ভরপেট খেয়ে আমরা চা খেতে বের হই বাসার পাশের চায়ের দোকানে। শোয়েব গিয়েই কয়েকটা সিঙ্গাড়া, সামুচা আর বিস্কিটের অর্ডার দিয়ে দেয়।
-কিরে তুই না এইমাত্র পেট ভইরা খাইলি আমাদের সাথে?
-আরে অইটা তো লাঞ্চ ছিল। চায়ের সাথে হালকা কিছু খাইতে হবে না !!!
*
একেবারে যাতা রকমের একটা ইন্টারমিডিয়েট পরীক্ষা দিয়ে কলেজ থেকে বের হয়ে আসলাম। মাথায় পাশ করবো কি করবোনা এই টেনশন। কিন্তু তাই বলে সংসদ ভবন আর ফার্মগেটে ‘ডিব্বা’র আড্ডাতো মিস করা যায় না। কোচিং বাদ দিয়ে ধুমধাম ঘুরতে চলে যাই বরিশাল, কক্সবাজার আর ঢাকায় থাকলে মধুমিতায় লাস্ট শো’ তে সিনেমা দেখি প্রতি সপ্তাহে।
এর মধ্যে একদিন রেজাল্ট দিয়ে দিলো। সবাই দল বেধে ফোন করলাম কলেজে রেজাল্ট জানার জন্যে। শোয়েব, আমি, আমরা আরো কয়েকজন ধরে রেখেছিলাম ফেল করে যেতে পারি।
পাশ করেছি এটা শুনেই খুশিতে লাফ দিলাম। শোয়েব সঙ্গে সঙ্গে কোকের বোতল কিনে শ্যাম্পেনের বোতলের মতো ঝাকি দিয়ে সবাইকে খাওয়ালো। আমরা ফার্মগেটের আকাশ বাতাস কাঁপিয়ে বললাম ‘চিয়ার্স !!!’
*
ইউনিভার্সিটি থেকে দুর্দান্ত রেজাল্ট নিয়ে বের হয়ে আমাদের মধ্যে সবার আগে চাকরিতে জয়েন করল শোয়েব। বিদেশি সফটয়ার কোম্পানির প্রোগ্রামার। একটাই সমস্যা, পুরো অফিসে কোনো মেয়ে নাই। সব পুরুষ কলিগ। ওই কোম্পানিতে কখনো কোনো মেয়ে চাকরি করেনি। পুরুষ কলিগরা বসে ওর সাথে গল্প করেন ‘জানেন শোয়েব সাহেব, আমাদের কোম্পানিতে একবার একটা মেয়ে ইন্টারভিউ দিতে এসেছিল… ইস চাকরিটা যে কেন হইল না তার!
কি আর করা ! শোয়েব প্রোগ্রামিংয়েই মনোযোগ দিলো।
*
তারপর কত চন্দ্রভুক অমাবস্যা চলে গেলো। বন্ধুদের কেউ কথা না রেখে একে একে ৫৫ জনের ২৯ জন যখন বিয়ে করে ফেলল তখন আমরা তিন ফাজিল (আমি, জাকারিয়া আর সিদ্দিকী) ভাবলাম এইবার শোয়েবরেও জোর করে একটা বিয়ে দিয়ে দেই। কিন্তু ওতো আবার যাবতীয় বিয়ে-শাদির বিপক্ষে সবচেয়ে সোচ্চার। কি করা যায়?
যথারীতি সিদ্দিকী(এইসব কাজে সে আবার আমাদের ওস্তাদ) মাস্টার প্ল্যান করলো।
-শোন, শোয়েবরে এমনে বললে রাজি হবে না। আমরা কোন রকমে ওরে একবার মেয়ে দেখাইয়া দেই। যদি বুঝি ওর পছন্দ হইছে তাইলে বাকি কথা বার্তা আন্টির (শোয়েবের আম্মা) সাথে কমু। আন্টি রাজি করাইবো।
-কিন্তু মেয়ে কই পামু? আমি প্রশ্ন করি
-আছে আছে। মেয়ে যাকে বলে এক কথায় সুন্দরী। তুই খালি ওরে অফিস থেইকা লাঞ্চ টাইমে বের কইরা অমুক জায়গায় নিয়া আসবি।
-কিন্তু ও যদি টের পাইয়া যায়? আস্তা রাখবো না কিন্তু। জাকারিয়া সন্দেহ প্রকাশ করে
-আরে কইবি একসাথে লাঞ্চ করতে মন চাইসে, ব্যাস। বাকিটা আমি দেখুম। সিদ্দিকী জোর দেয়।
সব ঠিকঠাক। আমি লাঞ্চ টাইমে ফোন দিলাম শোয়েবকে।
-মামা কি করতেছো?
-এই তো আছি আর কি
-চলো একসাথে লাঞ্চ করি
-চল
-আমি অমুক রেস্টুরেন্টে আছি, আইসা পরো
-আইতাছি।
শোয়েব আসলো এবং তার কিছুক্ষন পর ‘এক কথায় সুন্দরী’কে নিয়ে সিদ্দিকী। ভাবখানা এমন যেন ‘এই দিক দিয়েই যাচ্ছিলাম, হঠাৎ তোদের সাথে দেখা হয়ে গেলো’। পরিচয় পর্ব শেষ করে হালকা খাওয়া দাওয়া হলো। সেইসাথে টুকটাক আলাপ। মনে মনে চাচ্ছিলাম শোয়েব যেনো কিছু টের না পায়। কিন্তু সিদ্দিকী যেখানে আছে একটা অঘটন না ঘটলে ক্যামনে কি? বলা নেই কওয়া নেই হঠাৎ শোয়েবের দিকে তাকিয়ে ‘আচ্ছা তোরা দুজন কথা বল, আমি আর কামরুল একটু বাইরে থেকে আসি। চল কামরুল।’ বলে আমাকে নিয়ে হাঁটা দিলো।
ছয় বছর এক ডাইনিং হলের ডাল খেয়ে বড় হয়েছি, সুতরাং শোয়েবেরও ঘটনা বুঝতে সময় লাগলো না। বুঝলাম আজকে কপালে খারাবি আছে।
তার পরের ঘটনা হলো এই……এক কথায় সুন্দরীকে গাড়িতে তুলে দিয়ে শোয়েব আমাদের দুইজনকে দৌড়ানি দিলো। আমি আর সিদ্দিকী মটর সাইকেল নিয়ে ভাগলাম জান বাচানোর জন্যে। পেছন থেকে শোয়েব হুমকি দিলো- ‘আর যদি কোনদিন তোদের দুইটারে আমার অফিসের আশেপাশে দেখি তাইলে তোদের একদিন কি আমার একদিন। শয়তানের বাচ্চা।’
আমি সিদ্দিকীকে বললাম -হালার পুত মটর সাইকেলের স্পিড বাড়া।
পুনশ্চঃ শুনিয়াছি আন্টি (শোয়েবের আম্মা) পাত্রীর সন্ধান করিতেছেন। হয়তো একদিন শোয়েব আন্টির কথা অগ্রাহ্য করিতে পারিবে না। কিন্তু… থাক আর লিখিয়া কাজ কি।
:gulli: :gulli: :gulli: :gulli: :gulli: :gulli:
শোয়েব ছীল আমাগো শেওড়া পাড়ার মেসের মোরাল.........দোস্ত ওরে তো কখনো গালি দিতে শুনি নায়...।ভাল পোলাডারে কি যে হইল... :bash:
আর কি হইব, অসৎ সঙ্গে সর্বনাশ হইছে 😀
হ! শেউড়াপাড়া মেসের কাহিনী কইতে গেলে এখন আরেকটা ব্লগ লিখতে হবে।
সিরাজ মনে আছে, শোয়েব যে কেমিস্ট্রি বইয়ের ভিতর ৫০০ টাকা রাইখা ওই বই কেজি দামে ফেরিওয়ালার কাছে বেইচা দিছিল?
আমি আগেই বুঝছিলাম শোয়েব ভাই ছুপা রুস্তম।উনারে দেইখা তো বুঝা যায়না ভিতরে ভিতরে উনি এমন আইটেম। কিন্তু ঘটনা হইল,মাইয়া মাইন্ড করেনাই? কিন্তু শোয়েব ভাই এমন পাষাণ তা তো বুঝা যায়না...আহা কথা কইতে দোষ কি ছিল,সুন্দরী মাইয়া দেখলে আমার মত অধমেরও যেইখানে পরাণ ঝাপটা-ঝাপ্টি করে...
নাহ শোয়েব ভাই,খেলুম না। কামরুল ভাই, ভাবতাছি আপনেরে লইয়া একটা ব্লগ লিখুম... 😀
আমার ইজ্জতের ফেলুদা-তোপসে করার কিছু বাকি রাখছস তুই?বেশি বাড়াবাড়ি করলে আমি কিন্তু জিহাদরে তোর পিছে লেলেইয়া দিমু কাশেম বানানোর জন্য।
ভালো হইয়া যা।
@শোয়েব
মামা, মাসরুফ শয়তানটা তোরে'আইটেম' কইছে। পিডা হালারে।
জিহাদ রে ঈদের দিন ফুন দিছি ১০ টার সুময় বেটা নাকি তখন ঈদের জামাতে দাঁড়ায় আছে সেইখান থিকা ধরছে।৩ মিনিট কিছুই শুনলাম না ভাসা ভাসা খুতবা ছাড়া।বেটা ঈদের দিনেও কাশেম বানানো ছাড়ে নাই x-(
অতি সত্বর মুনালিসা আফা আর আমারে নিয়া সেই দুই ক্রস মার্কা মুভিডা বানাই লান নাইলে আপনার ইজ্জতের কতবেলের শরবত বানায়া সেইটা ব্লগে উপস্থিত হইব...।পূজার বন্ধ আছে, রোজাও শ্যাষ-আমিও ফিরি আছি। জিম কইরা আলগা মেদ ঝরায় ফেলতাছি,দুধ মধু খায়া স্ট্রেংথ ও সেইরকম হাইপার...(আর আগানো ঠিক না মুনে অয়)
অফ টপিক-আমার কমেন্ট গুলা ইদানিং কেমুন জানি হয়া যাইতাছে ...আমি আগে এইরাম ছিলাম না ...বুঝবার পারতাছিনা ঘটনা কি... 🙁
কেমন আবার?পড়লেই বুঝা যায় আবনার যৌবনরস চুইয়া চুইয়া পড়তাছে... ;))
এইহানেও????
তুহিন কি কইতে চাস?
এক টাইপ এর মেয়ে আছে যাদের দেখলে পরাণ ঝাপটা-ঝাপ্টি করে, আরেক টাইপ এর মেয়ে আছেন যাঁদের দেখলে শ্রদ্ধায় মাথা অবনত হয়ে যায়। ইদানীং আমার কিছু মেয়ে কলিগ হইছে। আফসোস, ইনারা সবাই দ্বিতীয় টাইপে পরেন।
উদাহরণঃ মল্লিকা শেরাওয়াত,রাখী সাওয়ান্ত,শেরলিন চোপড়া, এন এস ইউ এর আরজেএফ ম্যাম...(আমি উনার টিচিং এসিস্টেন্ট হমু কারো লগে ভিসির লিঙ্ক থাকলে এই আশা পূরণ কইরা দেন...ক্লাসে ট্রান্সপারেন্ট শাড়ী পড়ে আর পোলাপাইন পরথম বেঞ্চে বসার লাইজ্ঞা মারামারি করে... )
আমগো মিলা আফায় কি দোষ করছে?
আরজেএফ ম্যাম-এর কোন কন্টাক্ট নাম্বার আছে? তোর টিচিং এসিস্টেন্ট হওয়ার ব্যাপারে কথা বলুম।। 😉 😉
😀 হ কন্টাক্ট নাম্বার থাকলে এতদিনে টপ গান মুভি হয়া যাইতো ওই যে টম ক্রুজ তার টিচাররে...(নাউজুবিল্লাহ)
মাসরুফ রে...কিযে হবে তোর...।
:(( খেলুম না, সিও আমার উপরে কনফিডেন্স রাখে না আমি যুদ্ধ করুম না :((
আহ্সান ভাই
ওরে মানুষ করা আমাদের কাম না। বাদ দেন। ম্যাম টিচারের লগে কাহিনী করতে চায়। 😉 😉
আরে বদমাইশ, উনি তোর গুরুজন। একটু তো সম্মান করবি...। :grr: :grr:
খাড়া, মাসরুফের লাইগা ইস্পিশ্যাল একটা সিস্টেম করছি। কইতাছি একটু পরে...
সংসারে প্রবল বৈরাগ্য!
তাড়াতাড়ি কন। রিপ্লাই বাক্স কিন্তু ছোট হইয়া যাইতেছে। :grr: :grr:
সবার সামনেই কমু?
যত যাই হোক, পোলাডা কিন্তু ভালোই আছিলো, তার উপরে আমার ফিলিমের হিরু বইলা কথা B-)
সংসারে প্রবল বৈরাগ্য!
আমারে নিয়া উল্টা পাল্টা কথা কইলে কইলাম কাইন্দা দিমু ভ্যা কইরা
লাঞ্চে বাটির পর বাটি ডাল সাপ্লাই দিলে কি এই মুসিবত এড়ানো যেত 😀 😀 ???
দারুন কামরুল দারুন.... 😀 :)) =))
Life is Mad.
সায়েদ ভাই
এখন খালি ডালে আর ওর পোষায় না। গতকাল ডিনারেও ফাস্টে বিফ পরে চিকেন দিয়া কয়েক প্লেট সাবার কইরা দেখি আবার বিফ নিতেছে। 😛
কামরুল ভাই জটিল হইছে । কলেজের কথা মনে করাইয়া দিলেন , বিশেষ কইরা রুম ক্রিকেট ...... :clap: :clap: :clap:
হ। আমরা এখনো সুযোগ পাইলে বাসায় রুম ক্রিকেট খেলার চেষ্টা করি। কিন্তু কলেজের মতো জমে না 🙁 🙁
আহ কামরুল ভাই আপনার মধ্যে যে এত রস সেইটা সত্যি সামনে থাকলে বুঝা যায় না। কে কইছে ব্লগে লিখা মজা দেওয়া যায় না। আমি তো দুই দফা হুমড়ি খাইলাম...
তয় প্রতি বিষ্যুদবার রাইতে মনে হয় সামনা সামনিও আপনার এইরকম রসবোধ বাইর হয়। 😉
পেছনে থাকলে বুঝা যায়?
ক্যামনে কি?
খালি খ্রাপ কথা। B-)
ছি ছি আমরা আদ,সামুদ, লুত জাতির মত চিন্তা না করি 😀
আমার কেন্ আপনাগো মতন বন্ধু নাই...???? :bash: :((
ঐ দেখা যায় তালগাছ, তালগাছটি কিন্তু আমার...হুঁ
এইডা একটা কথা কইলা? ক্যাডেটদের তো আছেই একটা সম্পদ, বন্ধু।
আমার বন্ধুয়া বিহনে গো
সহেনা পরানে গো
একেলা ঘরে রইতে পারি না...
আসলে যে কার জন্যে সহেনা, আর কার উপরে চালায় দিতেসেন আল্লাহ মালুম। 🙂
সাতেও নাই, পাঁচেও নাই
দেখ জিহাদ আমার মুখ খুলাইস না। পাবলিকের মুখ একবার খুললে কিন্তু দুধ কা দুধ পানি কা পানি হইয়া যাইবো...। 😉 😉
আপনে কি পাবলিক? 😛
সাতেও নাই, পাঁচেও নাই
ক্যান? তুই কি পুলিশ?
পুলিস না এডজুটেন্ট। খিয়াল কইরা, খুব খিয়াল কইরা। B-)
দুনিয়াজুরা পোচুর গিয়ানজাম 😕 😕 😕
ওরে ফার্মগেটে ‘ডিব্বা’এর কথা মনে করাইয়া দিলিরে। 🙁
ওরে তুইও আবার মনে করাইয়া দিলিরে :(( :((
কামরুল ভাই, ইদানিং হেব্বি ডরে আছি ;)) ।
ব্লগ ভর্তি দেহি ১৯৯৪-২০০০.
কাহিনীডা হে-ই--ই---ই-----ই------ই রক্কম
(ডরে ডরে কইলাম) 😕 ।
ভয়ের কিছু নাই। ৯৪-০০ ব্যাচে সব ভদ্রলোক। কোন দুষ্ট প্রকৃতির ক্যাডেট নাই। 😉 😉
অনলাইনে আছেন
সদস্যঃ 7 জন অতিথিঃ 2 জন
আদনান (১৯৯৪-২০০০)
শোয়েব (৯৪ - ০০)
কামরুল হাসান (৯৪-০০)
টিটো রহমান (৯৪-০০)
সিরাজ (১৯৯৪-২০০০)
ফয়েজ (৮৭-৯৩)
তানভীর (৯৪-০০)
৭জনের ৬ জন ৯৪-০০ ব্যাচের। সাব্বাস। ৯৪-০০ জিন্দাবাদ।
ওরে সব ৯৪ এর ভিড়ে আমি দেখি একা।
বুড়া বয়সে একি বিপদ রে ভাই। 🙁
ফয়েজ ভাই ভয় নাই। আপনে আমাদের লিডার। 😉
ফয়েজ ভাই যেখানে আমরা আছি সেখানে 😀
ফয়েজ ভাইয়ের মার্কা কি?
ফয়েজ ভাইর চামড়া..
মেকাপ দিব আমরা.. :salute:
এইটা মনে হয় ফয়েজ ভাই দেখে নাই ...। দেখানোর ব্যবস্থা করা দরকার। 😉 😉
বন্য পোলাডা মনে হইত ভালই, আইজকা দেখি পুরা অন্য কেস।
চামড়া দিয়া ভলিবল বানাইতে চায়। এইটা এত দিন চোখে পরে নাই ক্যা। x-(
কামরুল তুমি একটু ডাক দিবা না, দেরী হইয়া গেল মনে লয়। পুরান ইস্যু।
যাক পুরান ইস্যু নিয়া কথা বলা পছন্দ করি না।
পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না
ডিব্বা ডিব্বা ডিব্বা শালার জীবনের একটা স্মরনীয় সময় আমরা এ খানে কাটাইছি...।আগে কি সুন্দর দিন কাটাইতাম...পে পু ...পে পু পে পু :party: :party:
পে পু …পে পু পে পু :party: :party: :party:
:clap: পে পু পে পু
আপনারে আমি খুঁজিয়া বেড়াই
দু:খিত, আমি ক্যাডেট কলেজের নই। কিন্তু এখানে পাস্ট এবং মন্তব্য পড়ে আনন্দ পেলাম.... কিপ ইট আপ... B-)
ত্রিভুজ,
আপনারে এইখানে দেইখা বড়ই বিরক্ত হইলাম।
আপনি এইখানে না আসলেই খুশি হই। অন্যকোনখানে গিয়া আপনার কিপিটাপ চালাইতে থাকেন।
*
মডারেটর আর ব্লগ এডজুটেন্টের দৃষ্টি আকর্ষণ করি। এইখানে জামাতী-মনা, স্বাধীনতাবিরোধী কিংবা রাজাকারমনা কাউকে লিখতে দেয়ার ঘোর বিরোধীতা করতেছি। দয়া করে সাবধানতা অবলম্বন করেন।
www.tareqnurulhasan.com
শালা...কঠিন লিখসিস! পুরা পাচতারা। এই সিরিজটায় অনেকদিন পর লিখলি! (তারেককে নিয়ে কবে লিখবি?) 😛
তারেকরে নিয়া লিখার আগে লাইফ ইন্সুরেন্স কইরা লই। হালায় তো আর আমারে জিন্দা ছাড়বো না।
তার আগে তোরে নিয়া লিখতে হবে। আমাদের ফালাইয়া একলা একলা ঢাকায় ঈদ করো। চান্স পাইয়া লই। এমন বাঁশ দিমু... 😉 😉
দোস্ত, আমারে মাফ কইরা দে রে! আমারে নিয়া লিখলে তো ইজ্জতের ফালুদা হইয়া যাইব!ঢাকায় তো ঠেকায় পইরা ঈদ করি রে! তোদের ছাড়া ঈদ করতে তো আমারও খারাপ লাগে!
দোস্ত রেটিং করে কম সবাই। যাই হোক .........অসাধারণ ফিনিসিং
আর শোয়েব ক্যাডেট কলেজে মেয়ে ছাড়া........অফিস করতাছে মেয়ে ছাড়া....এখন জীবন সাথিও মেয়ে ছাড়া করা যায় কিনা দেখ।
আপনারে আমি খুঁজিয়া বেড়াই
মন্তব্য না করে আর থাকতে পারলাম না।
দোস্ত তুই বিসিসি হইয়া পিসিসির মত পরামর্শ কেমনে দিলি……
দোস্ত পরিস্থিতি আমাকে বলতে বাধ্য করেছে।কাহিনীর প্রয়োজনে আর কি...
আর ছেলে খোজাঁর চিন্তাও নাই।নিচেই তানভিরের মতামত আছে । ও তোরে ভালোও পায় ...
আপনারে আমি খুঁজিয়া বেড়াই
তওবা আস্তাগফিরুল্লাহ! হাফিজ, এইরকম বেজায়েয থুক্কু নাজায়েয কাজের পরামর্শ কেমনে দিলি? 😀
শোয়েব খুব ভালো ছেলে! আমি অরে খুব ভালা পাই! 😛
সন্দেহ কিন্তু থাইকা যাইতেছে। তোরা দুইজনেই কম্পিউটার সাইন্স। ভালো মানাইবো। 😉
সাবাস দোস্ত। মনের কথা কওয়ার এখনই সময়.....
আপনারে আমি খুঁজিয়া বেড়াই
=)) =))
দোস্ত, আল্লার ওয়াসতে আমারে মাফ কইরা দে। কামরুল মামা, সেই “এক কথায় সুন্দরি“ মেয়েটা কই? তাড়াতাড়ি ওরে খুইযা বাইর কর। এখনি একটা বেবস্থা করা দরকার।
শোয়েব লাইনে আইয়া পরছে। কামরুল বেবস্থা কর। হারি আপ.....
আপনারে আমি খুঁজিয়া বেড়াই
:bash: :bash: :bash:
:gulli: :gulli: :gulli: :gulli:
হাফীজ এতদিন পর ...............
কেম............আমাদের ভাল সময় ছিল.........ঐ মেসে......।
:bash: :bash: :bash: :bash:
তুই খালি মাথা বাইরাইতেছিস কেন? কি হইসে?
বদের বদ ফাজিলের ফাজিল.........।গযব পড়বো তোগোর ঊপর :chup: :chup: :chup: কি বাজে কথা......।
:boss: :boss: :boss: :boss: :boss: :boss: :boss: :boss: :boss: :boss: :boss: :boss: :boss: :boss:
হা হা হা! কামস, তুই দিন দিন জিনিয়াস হইয়া যাইতেছিস। হাসতে হাসতে জান শ্যাষ!
শোয়েবরে দেইখা কিন্তু কেউ কইতেই পারবো না ও এত ডাইল, আই মিন, ডাল খায়। অতীব ভদ্র পোলা। 😀
www.tareqnurulhasan.com
কিন্তু আমি জিনিয়াস হইতাম চাই না। আমি তোর মতো সুন্দর লিখতাম চাই।
একটা ফুঁ দিয়া দে আমারে......
মশকরা করো, না? :grr:
আর চান্স পাইলেই আমারে ফাঁকিবাজ কইয়া গাইল দেস ক্যান? x-( তীব্র প্রতিবাদ। :duel:
www.tareqnurulhasan.com
ওই কামরুল ফাঁকিবাজকে ফাঁকিবাজ বলবি না। খবরদার
আপনারে আমি খুঁজিয়া বেড়াই
কেমস...তারেকের ফুঁ নেয়ার তো দরকার নাই তোর! তুই বরং আমারে ফুঁ দিয়া যা!
ত্রুকস...তুই আসলেই ফাকিবাজ হইয়া গেসস!
না রে দোস্ত, দৌড়ের উপরে আছি। ঘোড়ার ডিমের এক অনুবাদ লইয়া দিনাতিপাত করতেছি, শেষ না হইলে শান্তি নাই! :((
www.tareqnurulhasan.com
গ্যাব্রিয়েল গার্সিয়া মার্কেজের'স্ট্রেইন্জ পিলগ্রিমস'।
আমি সচলে তোর সিরিজটা পড়তেছি। অনুবাদ চলাকালীন সময়ের কথাগুলি পড়তে মজাই লাগছে।
সচলে কমেন্ট করা হয়া না। তাই এখানে বলে দিলাম।
আর যতই প্রতিবাদ করস, পাবলিকের মুখ তো তুই বন্ধ রাখতে পারবি না তারেক। পাবলিক একদিন না একদিন ফাঁকিবাজ কে ফাঁকিবাজ বলবেই।
আমিও তারেকের এই সিরিজটা পড়তেসি। ওই কঠিন লেখার চেয়ে তারেকের মতামতগুলা পড়তেই ভালো লাগতেসে।
bangla nai....amareo akta fuuu deee jate besi koira dal.........kaite pari...not dail...
৯৪-০০ ব্যাচের পক্ষ থেকে তাহলে আমরা কবে খাইতে যাইতেছি? সেই সাথে সামনে আরেকটা... না থাক বেশি কইয়া ফালাইতাছি।
:chup:
হুমমমমম
সংসারে প্রবল বৈরাগ্য!
ফৌজিয়ান ভাইয়ের কি ঘুমে ধরছে?
ঝিমানি ;))
সংসারে প্রবল বৈরাগ্য!
জিহাদ রে কমু বালিশ দিতে একটা?
আমরা এইটার নাম দিসিলাম গুপ্তঘাতক বল.. ;;)
আরেকটা আসে..সর্পরাণী বল..কালনাগিনীর মত দুই হাত তুইলা দাড়ায়া থাকতে হইব..কোন হাতে বল বুঝা যাইব না..হঠাত নাগিনীর মত ছোবল মাইরা বল ছুইড়া দিতে হইব...
বড়ই বিষাক্ত আছিল বলগুলা.. :((
এর মধ্যে তুমি কোনটা করতা? গুপ্তঘাতক না সর্পরাণী ? 😉
কামরুল,
অসাধারণ লেখা। লেখার প্রধান এবং কেন্দ্রীয় চরিত্র পছন্দ হইছে। তোমার সাবলিল বর্ণনা লেখাতে একটা অন্যরকম মাত্রা যোগ করেছে। সাবাস... :boss:
কমেন্টগুলা একটা আরেকটার চেয়ে জটিল। তবে মাসরুর কে নিয়া দিন দিন চিন্তায় পইড়া যাইতাছি। কি করা যায় ওরে নিয়া কওতো...।
আপনার কাছে পাঠাইয়া দিমু নাকি কন? 😉 😉
আমার মনে হয় ওর শরীর ও মনে তেল জমছে। তেল কমাইতে হবে। :grr: :grr: বডিতে এখনও সিভিল পানি রইয়া গেছে। পানি বাইর করতে হবে।
আপনে কয়দিন কমান্ডো করান ওরে দিয়া। :chup:
দেখি সাইজে আনা যায় কিনা। 😀 😀
স্যার, আই এম অলওয়েজ এট ইয়োর সার্ভিস,হোয়াই আর ইউ এনয়েড এবাউট মি? 😀
অফ টপিক-আমি আপনের লাইগগা পাত্রী খুঁজতাছি 😀
ভদ্র সমাজে সব কথা খুইলা বলা উচিত না, এটাও বুঝো না। 😉
ক্যাডেট সমাজ - ভদ্র সমাজ ... এক লগে যায় না।
আহারে, শোয়েব ভাইয়ের পোড়া কপাল। কাজের জায়গায় ও সব পুরুষ। 😛
কিংবা হয়তো নারীদেরই পোড়া কপাল ! শোয়েবের সঙ্গে কাজ করার সৌভাগ্য হচ্ছে না । :grr:
---------------------------------------------------------------------------
বালক জানে না তো কতোটা হেঁটে এলে
ফেরার পথ নেই, থাকে না কোনো কালে।।
শোয়েবের সংগে কি কাজ :-B
পথ ভাবে 'আমি দেব', রথ ভাবে 'আমি',
মূর্তি ভাবে 'আমি দেব', হাসে অন্তর্যামী॥
কাজ অথবা কাম... 😉
---------------------------------------------------------------------------
বালক জানে না তো কতোটা হেঁটে এলে
ফেরার পথ নেই, থাকে না কোনো কালে।।
আহা !!! :dreamy:
তুই কি গতকাল সারাদিন আমার পুরনো লেখা খুঁজে খুঁজে পড়েছিস নাকি পাগলা ? 😀
---------------------------------------------------------------------------
বালক জানে না তো কতোটা হেঁটে এলে
ফেরার পথ নেই, থাকে না কোনো কালে।।
৯৯
পথ ভাবে 'আমি দেব', রথ ভাবে 'আমি',
মূর্তি ভাবে 'আমি দেব', হাসে অন্তর্যামী॥
১০০ :goragori:
পথ ভাবে 'আমি দেব', রথ ভাবে 'আমি',
মূর্তি ভাবে 'আমি দেব', হাসে অন্তর্যামী॥