আমাদের ক্লাসের সবচেয়ে গাধা ছেলের নাম জহির।
গাধা জিনিসটা দেখতে ঠিক কেমন আমরা কেউই জানি না, কিন্তু জহিরের কাণ্ড-কীর্তি দেখে আমরা নিজেদের মধ্যে গাধার একটা ছবি তৈরি করে ফেলেছি। জহির যা করে অংক স্যারের মতে সেটাই গাধামি। তার মানে গাধাও এসব কাণ্ড করে থাকে। মানে এসব কীর্তি-কুকীর্তির জন্য গাধা গাধা হয়েছে।
বাংলাদেশে অনেক কিছ পাওয়া যায়। কত কিছু দেখতে মেলে। কিন্তু গাধা দেখা যায় না। অংক স্যারকে আমরা সবাই তাই একবার ধরলাম, স্যার গাধা দেখতে কেমন !
স্যাররা অনেক কিছুই বলেন, বলতে হয়, কিন্তু তারাও তো আমাদের মতোই। আমরা গাধা দেখতে না পেলে তারা দেখবেন কী করে ! এমন তো আর না যে গভীর রাতে তার দরজায় কড়া নেড়ে একটা গাধা বলবে, বাসিত স্যার নাকি ? কেমন আছেন ?
আপনি কে ?
আমি গাধা। আপনাকে দেখা দিতে এলাম। আপনার ছাত্ররা জানতে চাইছে গাধা দেখতে কেমন, আপনি ভীষণ বিপদে পড়েছেন, তাই আপনাকে বিপদ থেকে উদ্ধার করতেই…। এই দেখুন আমার পাগুলো এরকম। আর এই আমার কান।
এরকম কিছু একটা হলে স্যার খুব বেঁচে যেতেন। সগৌরবে বলতেন, গাধা দেখিসনি ! আরে গাধা হচ্ছে..
তারপর তিনি কেন পারেন এবং আমরা কেন পারি না এই দুয়ের তুলনামূলক বিশ্লেষণ শুরু হত। কয়েকজনকে কান মলা খেতে হত।
স্যারের কানমলার কোনো নীতিমালা নেই। দৈব চয়ন পদ্ধতির। দেখা গেল গাধাসুলভ কাণ্ড করেছে একজন, কিন্তু কান মলবেন অন্য আরেকজনকে।
তো যাই হোক জহির এবং গাধা শুনতে শুনতে আমরা এমন ক্লান্ত যে একদিন মনে হল স্যারকে জিজ্ঞেস করি আসলে গাধা কী রকম ?
ভয়ে ভয়ে জিজ্ঞেস করলাম, স্যার গাধা আসলে দেখতে কী রকম ?
স্যার প্রশ্ন শুনে প্রায় অট্টহাসিতে ফেটে পড়ে বললেন, গাধা কী রকম সেটা জানতে আর দূরে যেতে হচ্ছে কোথায় ? এই জহির দাঁড়া।
জহির দাঁড়াল। স্যার বললেন, এই হল গাধা।
স্যারকে বিপদে ফেলা যাচ্ছে না দেখে মন খারাপ হয়। শেষ চেষ্টা হিসেবে বলি, স্যার এ তো মানুষের মতো গাধা। আমরা চাইছি গাধার মতো গাধা দেখতে।
এবারও স্যার জহিরের কাধে বন্দুক রেখে শিকার করে ফেলতেন। কিন্তু পারা গেল না, কারণ ক্লাসের বেশিরভাগ হাততালি দিয়ে জানিয়ে দিল তারা গাধার মতো গাধার বর্ণনা শুনতে চায়।
শফিক বলল, স্যার বলেন না আপনি গাধা দেখেছেন কিনা !
এমন ঐকবদ্ধ শক্তি স্যার আশা করেননি। তিনি একটু তোতলাতে শুরু করলেন।
গাধা দেখেছি মানে…। জানোই তো আমি দেশ বিদেশ ঘুরেছি। কত কিছু দেখতে হয়েছে।
ক্লাসের ফার্স্ট বয় ইমরানের সবকিছুতে একটা ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার গল্প মনে পড়ে যায়। সে বলল, স্যার আমার এক কাকার কাছে আমি শুনেছি গাধা নাকি পানি ঘোলা করে খায়।
অবশ্যই। পানি এমন ঘোলা করে যে পানি দেখলে মনে হয়…
প্রস্রাবের মতো !
স্যার হাততালি দিয়ে উঠলেন, এই তো হয়েছে। কে বলল ! কে !
আমরা সবাই অবাক হয়ে দেখলাম উত্তরটা দিয়েছে জহির।
গাধা বিষয়ে জহিরের এই জ্ঞান আরো প্রমাণ করে দেয় জহির আসলেই গাধা। কাজেই জহিরকে আরো বেশি করে গাধা ডাকা হয়। জহিরের তাতে কোনো দুঃখবোধ নেই। তাকে যত গাধা বলা হয় সে তত হাসে। তা থেকে সত্যিকারের গাধা না দেখেও আমরা সবাই স্থির সিদ্ধান্তে পৌছে গেছি যে গাধারা খালি খেয়ে হাসে। মান-অপমান বোধ নেই।
এই গাধা জহিরের সঙ্গে আমার ভীষণ বন্ধুত্ব। এবং সেজন্য আমাকেও অনেক কথা শুনতে হয়। এমনকি বাসায় অভিযোগ পর্যন্ত এসেছে।
গত অর্ধবার্ষিক পরীক্ষায় অংকে ৪২ পাওয়ার পর আমার পড়াশোনার খবর নিতে মাকে ডেকে পাঠানো হয়েছিল স্কুলে।
আমার মা পৃথিবীর সেরা মা এবং তিনি বিশ্বাস করেন পৃথিবীতে যেসব ভালো কাজ এখনো করা হয়নি সেগুলো বাকি পড়ে আছে আমার জন্য। আমি বড়ো হয়ে এসব ভালো কাজ করব। শুনলে হাসবেন, কিন্তু সত্যি বলছি মায়ের একটা ডায়েরি আছে। সেই ডায়েরিতে আমি বড়ো হয়ে কী কী কাজ করব সেগুলো মা লিখে রেখেছেন। ডায়েরিটা খুব গোপন। রাতে আমি ঘুমিয়ে পড়লে মা লুকিয়ে লুকিয়ে লিখেন বোধহয়, কারণ আমি কখনও মাকে ডায়েরি হাতে দেখনি। একদিন স্কুলের বিজ্ঞান বই খুঁজে না পেয়ে সেলফ ঘাঁটতে গিয়ে ডায়েরিটা আবিষ্কার করি। নীল রঙের সুন্দর ডায়েরি, গোটা গোটা অক্ষরে লেখা গোপনীয়, আর গোপনীয় কোনো জিনিস ক্লাস সেভেনের ছেলের দেখা উচিত নয়। আবার দেখা উচিত সেটা দেখার চেষ্টা করাও সেভেনের ছাত্রের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য। কাজেই খাতাটা উল্টালাম এবং অবাক হয়ে লক্ষ করলাম আমাকে ঘিরে মায়ের কত স্বপ্ন !
মা লিখেছেন, পৃথিবীতে এখনো ক্যান্সারের কোনো ওষুধ আবিষ্কৃত হয়নি। আমার রাজিব যদি ডাক্তার হয় তাহলে ওটা সেই আবিষ্কার করবে।
মৃত্যুদণ্ড থাকা উচিত কিনা সেই নিয়ে পৃথিবীতে কত তর্ক হচ্ছে, আমার ছেলে আইনজীবী হলে সে প্রমাণ করে ছাড়বে মৃত্যুদণ্ড জিনিসটা ভীষণ অমানবিক।
সেই মাকে যখন ছেলের ব্যর্থতার জন্য ডাকা হয় তখন তার লজ্জায় মাথা কাটা যাওয়ার কথা। কিন্তু মায়ের কোনো প্রতিক্রিয়াই হল না। হওয়ার কথাও নয়। কারণ মার বিশ্বাস এই ব্যর্থতার দায় আমার নয়। আমাকে ভুল পরামর্শ দিয়ে আমাকে দিয়ে কেউ ভুল অংক করিয়ে রেখেছে।
অংক স্যারের মতে সেই কুমন্ত্রণাদাতা হল গাধা জহির। কিন্তু আমার কাছে জহিরের পরিচয় অন্য। তার যে গাধামি সেটারই একটা অদ্ভুত উপকারি দিক খুঁজে পেয়েছি।
আমার মাঝে মধ্যে কিছু পাগলামি করতে ইচ্ছে করে। স্যারকে বিপদে ফেলা। একে-তাকে জব্দ করা। সেসব কাজে সঙ্গী হিসেবে জহির বেমানান, ওর মগজে আর যাই থাক বুদ্ধি জাতীয় কোনো বিষয় নেই, কিন্তু আমি লক্ষ করেছি জহির প্রতিটা কাজের সময় খুব সাধারণ কিছু প্রশ্ন করে। দৃশ্যত হাস্যকর এবং গাধার মতো প্রশ্ন, কিন্তু সেসব প্রশ্নই পুরো বিষয়টাকে অন্যভাবে দেখতে সাহায্য করে। উত্তেজনার চোটে আমরা বুদ্ধিমানরা সাধারণত যেসব ভুলে যাই, গাধা জহিরের সরল-সোজা প্রশ্ন সেগুলো মনে করিয়ে দেয়। সত্যি বললে ওর এই গাধামি আমার বহু মিশনের সাফল্যের কারণ। ও সাধারণ এই বিষয়টা ধরিয়ে না দিলে বিপদ হত। আমার কাছে তাই জহির এবং জহিরের গাধামি যথেষ্টই গুরুত্বপূর্ণ।
তো যা বলছিলাম, অংক স্যার মাকে বললেন, বুঝলেন ম্যাডাম আপনার ছেলে তো খুব ভালো। অংকের মাথা এত পরিষ্কার যে ওর তো আসলে অংক করারই দরকার পড়ে না !
তাহলে ৪২ কেন ?
ঐ যে গাধা জহিরের জন্য। ঐ গাধা ছেলেটার সঙ্গে মিশে মিশেই তো আপনার ছেলেটা…
অতএব গাধা জহির সম্পর্কে সেদিন রাতে আমাকে জেরার মুখে পড়তে হল।
রাতের খাবার শেষে মা জানতে চাইলেন, জহির ছেলেটা কে ?
আমাদের ক্লাসের একটা ছেলে।
কেমন ছেলে ?
ভালো।
যাকে সবাই গাধা বলে তাকে তুমি ভালো বলো কেন ?
মা যখন আমার কাছ থেকে কোনো কথা বের করতে চান তখন তুমিতে উঠে যান। তার গলা থাকে ঠাণ্ডা। প্রতিক্রিয়ার কোনো অদল বদল হয় না।
মার আমাকে নিয়ে যেমন অনেক স্বপ্ন আছে, তেমনি মাকে ঘিরে আমারও অনেক স্বপ্ন আছে। মা আশা করেন আমি বড়ো হয়ে তার সব স্বপ্ন পূরণ করব, আর আমি হতাশা বোধ করি মা জীবনে কিছুই করতে পারলেন না। আমার জন্য তার সব গেল। এই যেমন জেরা জিজ্ঞাসার সময় মনে হয় মা খুব ভালো একজন আইনজীবী হতে পারতেন। কালো গাউন গায়ে দিয়ে মায়ের জিজ্ঞাসার মুখে পড়লে আমি নিশ্চিত ভয়ংকর অপরাধীও নিজের অপরাধ নির্দ্বিধায় স্বীকার করে ফেলবে। মানে স্বীকার করতে বাধ্য হবে।
আমি বললাম, সবাই তাকে গাধা বলে। কিন্তু আসলে সে সহজ-সরল। সবাই তার সরলতার সুযোগ নেয়।
ভালো। তুমি যে তোমার একজন বন্ধুকে আর সবার মতো খাটো করে দেখছ না তাতে আমি খুশি হয়েছি। কিন্তু আরো খুশি হব যদি সামনের পরীক্ষায় অংকে তুমি ৯০ পাও।
আমি চুপ করে থাকি। অংকে আমি ৯০ পাব কিনা জানি না, কিন্তু ৯০ পেলে অংক স্যারের মুখটা কেমন হবে ভেবে আমি হেসে ফেলি।
জহিরের সূত্রে ইদানিং স্যারের ঘোষিত শত্র“ তালিকায় আমিও ঢুকে গেছি। যারা স্যারের এই তালিকায় ঢুকে যায় স্যার মনে করেন এরা আর যাই পারুক অংকে কোনো দিন কিছু করতে পারবে না। এই যেমন আমি ৪২ পাওয়ার পর স্যার ভীষণ খুশি। সবাইকে ডেকে বললেন, দেখলে তো আমি বলেছিলাম না রাজিব অংকে ফেল করবে।
৪২ পেলে ফেল নাকি ? শফিক জিজ্ঞেস করল।
এবার ৪২, পরের বার ৩২। আসল জায়গায় ফেল করবে। বার্ষিক পরীক্ষায় ফেল।
মায়ের ৯০ এবং স্যারের ৪২ এর মাঝখানে পড়ে আমি একটু অপ্রস্তুত হয়ে যাই।
মা বলেন, ঠিক আছে যাও।
মায়ের ঘর থেকে বেরিয়ে দেখি মামা অপেক্ষায়। হ্যাঁ অপেক্ষাতেই।
মা যখন আমাকে নিয়ে বসেন তখন মামা তার ঘর থেকে জানালা দিয়ে কান খাড়া করে শোনেন মা ঠিক কী বিষয়ে জানতে চাইছেন।
মা ছেড়ে দিলে তিনি ধরে বসেন এবং মজার ব্যাপার হল তিনি মায়ের ঠিক উল্টা স্বরে জেরা করেন। এখন যেমন জানতে চাইলেন,
জহির বদমাশটা কে ?
আমাদের ক্লাসের একটা ছেলে।
বদমাশটার কান ছিঁড়ে আমি একেবারে হাতে ধরিয়ে দেব।
কেন মামা ?
এত বড়ো সাহস ! এত বড়ো…
মামা কথা খুঁজে পান না। খুঁজে পাওয়ার কথাও নয়। কথা পেতে হলে বাইরে যেতে হয়, মানুষের সঙ্গে মিশতে হয়। আমার মামা ঘর থেকে কখনো বের হন না।
ঘর থেকে যারা বেরোয় না, তারা ঘরে বসে কিছু একটা করে। বই পড়ে। টিভি দেখে।
তিনি কিছুই করেন না। ঘরে বসে থাকেন। খাবারের অপেক্ষা করেন, আর অপেক্ষা করেন বাইরে থেকে আমাদের বয়ে নিয়ে আসা গল্পের জন্য। সেসব গল্পে কীভাবে কীভাবে যেন তিনি ভিলেন বের করে ফেলেন এবং তারপর সেসব ভিলেনকে কীভাবে শায়েস্তা করা যাবে সেটার একটা ছক তৈরি করে ফেলেন।
একবার অফিস থেকে ফিরে মা একটু মন খারাপ করে বসেছিলেন।
মামা ঢুকে জানতে চাইলেন, সালেহা কী হয়েছে তোর ?
কিছু না ভাইয়া।
কিছু না মানে…। বল তোর সঙ্গে কে কী করেছে..
বললাম তো কিছু না। অফিসে একটু ঝামেলা হয়েছে !
অফিসে ঝামেলা হয়েছে অথচ আমাকে বলছিস না। তার মানে অফিসের বস ঝামেলা করেছে….। কী নাম যেন বজ্জাতটার !
কার কথা বলছ।
হ্যাঁ। মনে পড়েছে। আকরাম খান। সেই বদমাশটা। আমি ওকে পিটিয়ে একেবারে লাল বানিয়ে ছাড়ব।
আরে ভাইয়া উনি তো ট্রান্সফার হয়ে গেছেন সেই কবে !
ট্রান্সফার হয়ে গেছে না ! বেঁচে গেছে। অবশ্য তুই যদি বলিস তাহলে যেখানে আছে সেখানে গিয়ে…।
এত বড়ো সাহস।
তুমি যা ভাবছ সেরকম কিছু না। অফিসে সামান্য ঝামেলা। আমার পাশের টেবিলে বসেন অ্যাকাউন্টেন্ট সদরুল সাহেব। তার একটা হিসাব মিলছে না।
সদরুলের হিসাব মিলছে না। না !
ভুল করে বোধহয় কাউকে বেশি টাকা দিয়ে ফেলেছেন। অংকটাও কম নয়। দশ হাজারের মতো।
এখন সেটা তাকে ভরে দিতে হবে।
অবশ্যই ভরে দিতে হবে। দেয়া উচিত। টাকার হিসাব মিলছে না মানে কোনো একটা দুই নম্বরি করেছে। এদের আমার চেনা আছে। ধরে দুই ঘা না লাগালে…
আরে না। সদরুল সাহেব তেমন লোকই নন। আমার ধারণা তাকে বিপদে ফেলতে অন্য কেউ….
অন্য কেউ। হতে পারে। এসব অফিস মানেই তো ষড়যন্ত্র আর চক্রান্ত। যতসব বদমাশের দল। সবগুলোকে একেবারে পিটিয়ে ভর্তা বানিয়ে দেয়া উচিত।
মামার হিসাব মেনে চললে এদেশে কারো পিঠই অক্ষত থাকত না এবং পিটিয়ে ভর্তা বানানোর বিষয়টা সম্ভব হলে দেশে ভর্তারও অভাব হওয়ার কথা নয়।
কাজেই মামা প্রথমেই ঘোষণা করে দিলেন, জহির নামের গাধাটিকে পিটিয়ে তিনি মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দেবেন।
কিন্তু মামা জহির তো কিছু করেনি।
করেনি মানে…। এত বড়ো সাহস ! আমার ভাগ্নের সঙ্গে। কোথায় সে ?
আমার একটু দুষ্টুমির ইচ্ছে হল। বললাম, এই দুটো বাসা পরেই ওদের বাসা। গত মাসেই এই বাসায় উঠেছে। যাবে নাকি মামা ?
কোথায় ?
জহিরের বাসায়।
ওর বাসায় যাব ! বজ্জাত ছেলে। ওকে মেরে আমি যদি ওর হাড়-গোড় এক না করি…
কিন্তু হাড়-গোড় এক করতে হলে তো ওর সঙ্গে দেখা করতে হবে।
দেখা করব। আমাকে দেখলেই অবশ্য ভয়ে পালাবে। প্রস্রাব টস্রাব করে দিতে পারে। কোথায় সে ?
এমন হম্বতিম্বি শুরু করলেন যে আমার মনে হল সত্যিই না তিনি বেরিয়ে যান। একবার বাজার করতে গিয়ে পথ ভুল করে অন্য বাসায় চলে গিয়েছিলেন, এর বাইরে তার ঘর থেকে বেরোনোর রেকর্ড নেই, তবু আজ ভয় হতে লাগল।
চিৎকার-চেচামেচি মায়ের কানেও গিয়েছিল বোধহয়। মা দরজার ওপাশ থেকে কড়া গলায় বললেন, তোমার বেরোনোর দরকার নেই।
দরকার নেই। না ! ঠিক আছে। জহিরটা আজকের মতো বেঁচে গেল।
রাজিব। জহিরকে তুমি কাল বাসায় নিয়ে এসো।
কেন মা ?
আমি ওকে একটু দেখতে চাই।
আর আমি ওকে পেটাতে চাই। মামা ঘোষণা দিয়ে রাখলেন।
(চলবে…?)
বস আপনের ক্যাডেট নাম্বার ৫৯৫ পড়ার পর থেকেই আমি আপনের ফ্যান।প্রথম কমেন্ট করতে পেরে সম্মানিত বোধ করছি।চালিয়ে যান।
অফ টপিকঃ জহির তো আমার লং লস্ট ব্রাদার মনে হইতাছে,পুরা আমাড় মোটো বুদ্ধি শুদ্দি!
মাসরুফ, তোমাদের কোন ফ্যামিলি গান নাই??
কিংবা একই রকম লকেট??
মেলায় গিয়ে হাত ছুটে গেছিল???
আহারে... 😀
ঐ দেখা যায় তালগাছ, তালগাছটি কিন্তু আমার...হুঁ
হ আছে।আমরা দুইজনই গাছ ছিলাম।দুইজনই নিয়মিত সিসিবি তে লিখতাম 😀 সে ছিল খায়বার হাউসে।তার ক্যাডেট নাম্বার ছিল আমার ঠিক ১০০ আগে।চিনেন নাকি এমুন কাউরে? 😉
😛 😛 😛 😛
ঐ দেখা যায় তালগাছ, তালগাছটি কিন্তু আমার...হুঁ
ভাই, আপনার লেখা একটানে পড়ে ফেললাম... :clap:
একটার পর একটা ছাড়তে থাকুন...
নাইলে কিন্তু মামার কাছে আপনার নামে নালিশ করব... :grr:
ঐ দেখা যায় তালগাছ, তালগাছটি কিন্তু আমার...হুঁ
পর্তাছি। আপ্নের কথা শুনলাম আজকে রায়হানের কাছ থিকা। আপনের লগে দেখা করনের লেইগা মনডা আনচান কর্তাছিল। :bash: :bash: :bash:
আপনার "কলেজ প্রিফেক্ট" বইটা অসাধারন। আমি মনে করি প্রথম আলোতে আপনার সাথে অবিচার করা হয়েছে।
খুব সুন্দর হয়ছে ভাই। 🙂
অদ্ভুত হইছে ভাইজান ...। :clap: :clap:
মামুন ভাই,
সোজা সাপ্টা কথা আমি আপনার ফ্যান।
কত জায়গায় যে আপনার কথা বলি তার হিসেব নেই।
আমাদের কোন কোন ক্যাডেট কোথায় কোথায় আছেন তাতে আপনার নাম বলি সবার আগে ভাগেই।
"আরে বলদ মামুন ভাই রে চিননা? ওই যে প্রথম আলোতে স্পোর্টস বিভাগে লিখেন।"
http://www.somewhereinblog.net/blog/nahiidblog আমার হালকা পাতলা কলম চালানোর অভ্যাস হচ্ছে। মাঝে মাঝে পড়তে পারবেন? পইড়া ভাল যে হয় নাই এইটা অন্তত বইলেন।
আমি ঠিক জানি না কি লিখবো...
ভাইয়া আপনাকে এখানে দেখে আমার লাফ দিতে ইচ্ছা হইতেসে। 😕
আপনার বই (যয়টা বাইর হইসে আমার জানামতে) আমি কিনে আলাদা করে সাজায় রাখসি, তবে এইটা সত্যি ক্যাডেট কলেজ নিয়ে লেখা বই গুলা সবচেয়ে সুন্দর,
আমি পড়তেই শুরু করি কানতে কানতে :shy:
লিখা শেষ আরেক দফা কান্দি :shy:
যদিও কান্না কাটি এমনিতে আমার বিশেষ আসে না।
সামিয়া, শুন। তুই আরেকবার ক্যাডেট কলেজে ভর্তি হ।
তোরে আর কি কমু পিচ্চি, আমি ক্যাডেট হয়ে বের হয়ে সুইসাইড করতে চাইছিলাম প্রথম প্রথম ।
শাহবাগ এর এক ভাঙ্গা মসজিদের টাইলস ছিল আমার কলেজের মত। ভালো মসজিদ রাইখা সেই ভাঙ্গা মসজিদে রেগুলার নামায পড়তে যাইতাম নামায এর সময় পার হয়ে যাওয়ার পর। ক্যান জানোস?
যাতে মসজিদে গিয়া একটু কাঁদতে পারি লোকজনের আড়ালে।
;))
আর বইলেন না, ক্যাডেট কলেজ যে এত যন্ত্রণা দিবে এইটা জানলে কি আমি আর ভর্তি হই...
মামুন ভাই এত দিন পরে আসলেন। এটা খুলার পর থেকেই আপনাকে মিস করতেছি। দেশে গিয়ে আপনাকে ফোন দিয়েছিলাম। মনে হয় ব্যস্ত ছিলেন। আছেন কেমন?
ধন্যবাদ সবাইকে।
জিহাদের প্রেরণা এবং কামরুলের তাড়নায় একদিন ঢুকে গেলা ম এখানে। ঢুকে সত্যিই অবাক। ক্যাডেট জীবনের স্মৃতিতে ডুবে যাওয়ার এক দারণ মঞ্চ।
আমি মনে করি ক্যাডেট জীবনের গল্প লিখে অতোটা মজা পাওয়া যায় না, যতটা মজা পাওয়া যায় বলে। কারণ ওসব গল্পে সিচুয়েশন তুলে ধরার একটা ব্যাপার আছে, কখনও অভিনয়েরও দরকার পড়ে।
সেজন্য প্রথমে শুরু করলাম একটা উপন্যাস দিয়ে। সেখানে ঝুঁকি নেই। কেউ বলতে পারবে না, ভাই আমাদের জীবনের মজাটা ঠিক আসেনি।
সেই লেখাটা অনেকে পড়ছে। কিছু অনুকুল মন্তব্যও দেখছি। ক্যাডেট জীবন নিয়ে লেখার সাহস্ বোধহয় তৈরি হয়ে যাচ্ছে।
মোস্তফা মামুন
সিলেট ক্যাডেট কলেজ
দ্বাদশ ব্যাচ
বস, প্রথম প্রথম যখন আপনার লেখা বাইর হইছে তখন থিকাই আমি আপনার বই গুলা আমার বাইরের বন্ধু বান্ধব গো পরতে দিতাম যাতে তারা বোঝে আমাদের জীবন । ভাই আপনি গ্রেট :boss:
x-( x-( বস লেখকরা এই কথা কইলে আমরা পাতি লেখকরা কি করুম?
:clap: মারহাবা মারহাবা !!!! একমত :-B
মনে হচ্ছিলো হুমায়ূন আহমেদ এর উপন্যাস পড়ছি। বাস্তবতাই উপন্যাসকে ছাড়িয়ে যাচ্ছে না উপন্যাস বাস্তবতায় রুপ পাচ্ছে বুঝা মুস্কিল! আপনার লেখার হাত ভাল, চালিয়ে যান।
আর হ্যাঁ, এই ব্লগের বেশ কিছু পোস্ট পড়লাম... ইমপ্রেসিভ!
জিয়োঁ গুরু। পরবর্তী বইমেলায় ছাপার অক্ষরে পাব নিশ্চয়ই। অসাধারণ বস
আপনারে আমি খুঁজিয়া বেড়াই
অলরেডি ছাপার অক্ষরে আছে।
তাই? খুবই ভালো
আপনারে আমি খুঁজিয়া বেড়াই
খুব ভাল লাগল। মানুষে মানুষে সম্পর্কের বিষয়গুলো বেশী ভাল।
আর লিখছি না, কারণ পরের পর্ব পড়তে হবে।
ক্যাডেট কলেজ ব্লগে এই প্রথম একটা উপন্যাস সম্পূর্ণ হতে যাচ্ছে। আর সেটা লিখছেন একজন প্রতিষ্ঠিত লেখক।
ভাবতেই ভাল লাগছে।
মামুন ভাই,
পাগল বানাইয়া দিলেনতো...
অনেক কিছু শেখার বাকি আছে আপনার কাছ থেকে বস...
ছোটভাই গুলারে আপনার প্রতিভার কানাকড়ির ছোঁয়া দিয়েন একটু...
অন্ততঃ আমার অতেই চলবে... 😀