(হঠাত সামহোয়ার ইন ব্লগে নিচের গল্পটা পড়লাম। অনেকেই হয়তো দেখেছেন। যারা দেখেননি তাদের জন্য।oঅনেকের ভালো নাও লাগতে পারে। অন্যরকম, তাই ভাবলাম শেয়ার করি)
আমাকে দেখেই ভদ্রমহিলা উঠে দাঁড়ালেন। তারপর হ্যাণ্ডশেক করে খুব কায়দা করে টেনে টেনে বলতে লাগলেন, আমাদের প্রতিষ্ঠানের কাছে আপনার মতো নবীন উদ্যোগতারা খুবই গুরুত্বপূর্ণ; আপনাদের যেকোন প্রশ্ন বা পরামর্শকে আমরা গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করি। আমাদের শ্লোগানই হচ্ছে-। আমি মহিলাটিকে বেরসিকের মতো থামিয়ে দিয়ে জিজ্ঞাসা করি, আমার প্রপোজালটা পেয়েছেন?
– পেয়েছি। চমৎকার প্রস্তাব। আমাদের দিক থেকে কোন সমস্যা নেই। আপনি কাজ শুরু করেদিন। আমরা যেকোন ধরনের সাহায্য করতে রাজি আছি আপনাকে।
– আমি এরমধ্যে একটি এলাকায় আপনাদের পণ্যের মার্কেট যাচাইয়ের চেষ্টা করেছি। ফলাফল খুব একটা মন্দ না। তবে, কয়েকটি জায়গায় দুই ব্যাচের পণ্যের স্বাদ কিছুটা আলাদা বলে জানিয়েছে ক্রেতারা। যাহোক, আমি আপনাদের ব্যাচ রিপোর্টগুলো দেখতে চাই।
ভদ্রমহিলা তার কম্পিউটার মনিটরটি আমার দিকে ঘুরিয়ে দেন। তারপর বলতে থাকেন, ‘ডান দিকের টেবিলটি হচ্ছে আমাদের স্ট্যাণ্ডার্ড; আর বা দিকে আছে ব্যাচ রেকর্ড। আপনার সুবিধা মতো ব্যাচ রেকর্ড দেখে নিন, গত তিন বছরের সব তথ্য পাবেন এখানে।’
আমি মনিটরে চোখ রাখি। না, তেমন কোন পার্থক্য নেই তথ্যগুলোতে। লবনসহ অন্যান্য মিনারেল-এর পরিমান প্রায় অভিন্ন। আমিষ আর চর্বির পরিমানেও গরমিল নেই। ভদ্রমহিলা আমাকে বলেন, ‘দেখুন, এগুলো ক্রেতাদের মানসিক সমস্যা। এই কিছুদিন আগপর্যন্ত কিছু মানুষ জিনেটিক্যালি মডিফাইড খাবারের স্বাদ পেতনা; এই শাক-সব্জীর কথাই ধরুন, বাজারে এখন যা দেখছেন তার প্রায় সবই জিনেটিক্যালি মডিফাইড। এক সময় মানুষ এগুলোকে সহজে কিনতে চাইত না, স্বাদ নেই বলে। আর এখন দেখুন- এখন সবাই কেমন দিব্যি স্বাদ-গন্ধ পাচ্ছে, কোন সমস্যা হচ্ছে না।’
আমি চুপ করে থাকি। আমার মাথায় একটাই চিন্তা, নির্ভুলভাবে ব্যবসা শুরু করতে হবে। কোনভাবে আমি টাকা নষ্ট করতে চাইনা। ব্যাংক থেকে আমার ঋণ নিতে হবে, ব্যবসায় কয়েকজন কর্মচারী লাগবে- তাদের প্রতিমাসে বেতন দিতে হবে- আমি শুরুতেই নিশ্চিত হতে চাই সব কিছু ঠিকঠাক মতো চলবে। আমি তাকে জিজ্ঞাসা করি, আপনাদের থার্ড পার্টির কোয়ালেটি রিপোর্টগুলো দেখতে পারি? তিনি মৃদু হেসে বলেন, ‘অবশ্যই।’ তারপর ড্রয়ার খুলে একটা ফাইল আমার দিকে বাড়িয়ে দেন। আমি খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে রিপোর্টটি দেখি। কোন গরমিল চোখে পড়ে না। ভদ্রমহিলা হাসি হাসি মুখে বলতে থাকেন, ‘কাস্টমার সাইকোলোজি অত্যন্ত জটিল। একই পণ্যকে দু’জন কাস্টমার দুইভাবে ভাবে বিচার করতে পারে। একজন ভাল বলবে, আরেকজনের পছন্দ হবেনা- এটাতো হরহামেশা ঘটছে। এক কাজ করুন, হাতে সময় থাকলে আপনি আমাদের ফ্যাক্টরিটা একবার ঘুরে দেখুন।’ আমি এই অফিসে আরো একবার এসেছি, সেবারও ওরা আমাকে ফ্যাক্টরিটা দেখাতে চেয়েছিল। কিন্তু আমার ইচ্ছে হয়নি। বিষয়টি খুব সাধারন- মোটাতাজা, জবাই করার উপযুক্ত কিছু প্রাণী আমার দেখতে ইচ্ছা হয়নি। কিন্তু আমি এবার রাজি হয়ে গেলাম।
– আমিই আপনার গাইড হিসেবে থাকব। এই প্রথমবার আপনি আমাদের ফ্যাক্টরি দেখতে যাচ্ছেন, তাইনা? আপনার কি কোন ধারনা আছে আমরা কিভাবে কাজটা করি?
– না, তবে অনেক ধরনের গল্প শুনেছি।
– কি কি গল্প শুনেছেন?
– এই আপনারা মুরগীর মতো প্রাণীগুলোকে খাঁচায় ভরে রাখেন; একটা একটা করে জবাই মেরে ফেলেন- এইসব আরকি!
– এটা কিন্তু একেবারেই ঠিক না।
– আবার কেউ কেউ বলেছেন প্রাণীগুলো কেঁচোর মতো।
– আপনার দোষ দেব না, অধিকাংশ মানুষেরই অস্পষ্ট ধারনা আমাদের সম্পর্কে। আশাকরি, এবার আপনার ভুল ভাঙবে। যাহোক, আমাদের ফ্যাক্টরিটা মোট তিনটি অংশে ভাগ করা। প্রথম অংশটাকে আমরা বলি ফার্টিলাইজেশন, দ্বিতীয়টাকে ইনকুবেশন, আর শেষটাকে বলি প্রশেসিং ইউনিট। আশাকরি আমাদের ফ্যাক্টরিটি পছন্দ হবে আপনার।
কথা শেষ করে ভদ্রমহিলা আমার হাতে একটি ফোল্ডার দিয়ে জানালেন এখানে খুব সাধারন ভাষায় বিকল্প প্রোটিনের উৎপাদন প্রক্রিয়া বর্ণনা করা আছে, আমি চাইলে একবার চোখ বুলিয়ে নিতে পারি। কাগজের প্রথম পৃষ্ঠার ছবিটায় আমার চোখ আটকে যায়। একটি শিশু খাবার খাচ্ছে, তার সামনে রাখা একটি বড় প্লেটের মাঝখানে একটুকরো মাংশের ছবি, নীচে লেখা- আগামী দিনের প্রোটিন, আগামী দিনের মানুষ। ফোল্ডারটি উল্টে-পাল্টে ছবিগুলো দেখি, পড়ার ইচ্ছে হয়না। ভদ্রমহিলা আবার শুরু করেন, ‘আমাদের প্রতিটি ইউনিটই বাইরের পরিবেশ থেকে একেবারে পৃথক। আর গুণগত মানে যাতে কোন হেরফের না হয় সেজন্য পুরো প্রক্রিয়াটি চলে মানুষের হাতের সংস্পর্শ ছাড়া। আপনার কোন প্রশ্ন থাকলে ইউনিট অফিসারের কাছে থেকে জেনে নেবেন। আমরা চাই বিকল্প প্রোটিন সম্পর্কে ক্রেতাদের যেকোন প্রশ্নের উত্তর আপনারা নির্ভুল জানাবেন। আপনাদের ব্যবসার সাফল্য নির্ভর করছে নতুন নতুন ক্রেতা তৈরী করার ওপর; যদিও বিশ্বের অধিকাংশ মানুষ এখন বিকল্প প্রোটিন সম্পর্কে জানে।’ ভদ্রমহিলা আমার দিকে তাকিয়ে একটু হাসেন, তারপর জিজ্ঞাসা করেন, ‘আমার কথাগুলো স্কুল টিচারদের মতো শোনাচ্ছে নাতো?’ আমি হেসে উঠি।
– বিষয়টিই একটু জটিল, আপনার দোষ দেব না।
– না না, মোটেই জটিল না; খুব সহজভাবে চিন্তা করুন। মায়ের পেটে শিশু কি করে জন্ম নেয় নিশ্চয় জানেন! বাবার শরীরের একটি কোষ আর মায়ের শরীরের একটি কোষ মিলে একটি ভ্রুণ তৈরী হয়- যা নয় মাস পরে একটি মানব শিশুতে পরিণত হয়, তাইনা?
– এটি জানি। কিন্তু মায়ের পেটে বাচ্চার বেড়ে ওঠা অত্যন্ত জটিল একটি প্রক্রিয়া।
– এই জটিল কাজটিই আমরা আমাদের ফার্টিলাইজেশন ইউনিটে করছি।
– তারমানে আপনারা ল্যাবরেটরিতে মানুষ তৈরী করছেন?
– মোটেই না, মানুষের ক্লোন করা নিষিদ্ধ।
– তাহলে, অন্য কোন প্রাণীর ক্লোন?
ভদ্রমহিলা কিছুটা সময় নেন। খুব সম্ভবত নতুন ব্যাবসায়ীদের প্রশিক্ষন দেয়ার এটিই সবচেয়ে কঠিন স্তর। বিকল্প প্রোটিন সম্পর্কে কাউকে মানসিকভাবে তৈরী করা সময় সাপেক্ষ। অনেকগুলো নীতিগত প্রশ্ন, রুচি সংক্রান্ত বিষয় এর সাথে জড়িত। ভদ্রমহিলা বুঝে গেছেন আমি বিষয়টাকে খুব সহজে গ্রহন করিনি। তিনি আবার শুরু করেন, এটি ঠিক কোন প্রাণীরই ক্লোন নয়। ধরুন, একটি প্রাণীকে ল্যাব্রেটরিতে আপনি এতটাই বদলে ফেলেছেন যে- এর আগের কোন বৈশিষ্ট্যই আর নেই, একে আপনি কি প্রাণী বলবেন?
– তারপরেও সেটি প্রাণীই।
– আপনি কি কোন মাংশকে প্রাণী বলবেন? ধরুন, গরুর মাংশকে কি কোন প্রাণী বলা যায়? কিংবা প্রাণী হিসেবে যার জন্মই হয়নি, কিন্তু মাংশপিণ্ড হিসেবে বেড়ে উঠেছে, যার সাথে মূল প্রাণীর কোন বৈশিষ্ট্যই আর নেই- সেটিকে কি বলবেন?
আমি ভাবনায় পড়ে যাই। ভদ্রমহিলা বলেন, ‘নিজের পণ্য সম্পর্কে নিজেকে সন্তুষ্ট করতে না পারলে আপনি ক্রেতাদেরও সন্তুষ্ট করতে পারবেন না। আপনার সব সংশয় দূর হওয়াটা জরুরী। তারচেয়ে চলুন, কথা বলতে বলতে আমাদের ফ্যাক্টরিটা ঘুরে দেখি।’ আমরা ফার্টিলাইজেশন ইউনিটের দিকে এগিয়ে যাই। বিশাল কাঁচ ঘেরা একটি রুমে ছোট ছোট চৌবাচ্চা রাখা, যেগুলো পানির মতো কোন তরলে পূর্ণ। ভদ্রমহিলা ফার্টিলাইজেশন ইউনিটের এক কর্মকর্তার সাথে আমার পরিচয় করিয়ে দেন।
– এখানে বিকল্প প্রোটিনের ভ্রুণগুলো তৈরী হয়। ঐ চৌবাচ্চাগুলো দেখতে পাচ্ছেন, ওগুলোতে বিশেষ ধরনের রাসায়নিক পদার্থ মেশানো আছে। মায়ের শরীরে ভ্রুন জন্ম নেয়ার জন্য যে ধরনের পরিবেশ লাগে এখানে সেটিই আমরা তৈরী করেছি। বাবা আর মায়ের শরীরের কোষদুটোকে এখানেই নিষিক্ত করা হয়।
– এগুলো কি মানুষের শুক্রানু-ডিম্বানু?
– হ্যাঁ, এগুলো মানুষের কাছ থেকেই আমরা সংগ্রহ করি। তবে প্রতিটি কোষই এমনভাবে বদলে ফেলা হয়েছে যে, এগুলোকে আর মানুষের মৌলিক কোষ বলা যাবে না। বিষয়টি এমন যে- পাথর বিচূর্ণ হয়ে মাটি তৈরী হয়, কিন্তু মাটি আর পাথর কিন্তু এক বস্তু নয়। এই ভ্রুণগুলোর ক্ষেত্রেও একই কথা বলা যায়। একটি মানুষ আর মুরগীর সাথে যতটুকু মিল, এই প্রোটিন-ভ্রুণের সাথে মানব-ভ্রুণের তারচেয়েও অনেক কম মিল।
– এত প্রাণী থাকতে মানুষের ভ্রুণকে কেন বেছে নেয়া হলো?
– কারনটি খুব সোজা, আমাদের জরিপে আমরা দেখেছি- ক্রেতারা এই মাংশটিই বেশী পছন্দ করেছে। অনেক প্রাণীর মাংশে মিনারেল, প্রোটিনসহ অন্যান্য উপাদান প্রায় অভিন্ন হলেও ক্রেতারা মানুষেরটিকেই বেছে নিয়েছে। কেন, আপনি আমাদের এই বিকল্প প্রোটিন পছন্দ করেন না? আমারতো খুব ভালো লাগে। আর মানুষের মাংশ সম্পর্কে পুরনো মিথগুলো তো জানেনই- যৌবন ধরে রাখতে এর নাকি কোন বিকল্প নেই। এসব গল্প সেই আদিকাল থেকে চলে আসছে। আর তাছাড়া এ প্রক্রিয়াতে খরচও অনেক কম পড়ে।
কথা বলতে বলতে আমরা সামনের দিকে এগিয়ে যাই। আমরা ইনকুবেশন ইউনিটের সামনে এসে দাঁড়াই। এখানেও একই ধরনের চৌবাচ্চা সমস্ত ঘর জুড়ে। ততে সেগুলোতে ডুবানো আছে বিভিন্ন ধরনের প্যাকেট। ইউনিট অফিসার বলতে শুরু করেন, ক্যান্সার সম্পর্কে কোন ধারনা আছে আপনার?
– না, কেন বলুনতো?
– ইনকুবেশন প্রক্রিয়ায় আমরা ক্যান্সার-কোষ বৃদ্ধির নিয়মটি অনুসরন করি। কিন্তু এখানে কাজটি করা হয় খুব নিয়ন্ত্রিতভাবে। আমরা ফার্টিলাইজেশন ইউনিট থেকে যে ভ্রুণগুলো পাই সেগুলোকে এখানে বড় হতে দেয়া হয়। ভ্রুণের বেড়ে ওঠার কাজটি খুব দ্রুত ঘটে এখানে। মায়ের শরীরে শিশুর বেড়ে উঠতে নয় মাস সময় লাগে। কিন্তু এখানে পুরো প্রক্রিয়াটি শেষ হয় মাত্র পাঁচ দিনে। শরীরে ক্যান্সার হলে আক্রান্ত কোষগুলো খুব দ্রুত বাড়তে থাকে, এখানেও ভ্রণের কোষগুলোকে দ্রুত বাড়তে দেয়া হয়।
– তারমানে আপনারা মাত্র পাঁচ দিনে একটি শিশুর জন্ম দিতে পারেন?
আমার কথা শুনে লোকটি হেসে ওঠেন। বলেন, ‘যদি কোন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গহীন, মানুষের বৈশিষ্ট্যহীন একটি মাংশপিণ্ডকে আপনি মানব শিশু বলতে চান- তাহলে তাই। চলুন, আমাদের একটি পণ্য হাতে নেড়েচেড়ে দেখুন।’ তিনি আমাকে প্রসেশিং ইউনিটে নিয়ে আসেন। হাজার হাজার মাংশপিণ্ড বাজারে পাঠানোর জন্য তৈরী হয়ে আছে এখানে। লোকজন ব্যস্ত হয়ে কাজ করছে চারদিকে। ‘একদিন আপনার জন্যও এখান থেকে আমাদের পণ্য যাবে আশাকরি’- লোকটি বলতে থাকেন, ‘এখান থেকে আপনার পছন্দ মতো একটা প্যাকেট তুলে নিন।’ আমি বেশ বড় একটি প্যাকেট হাতে নেই, উল্টে-পাল্টে দেখি। নিরিহ লালচে রঙের এক তাল মাংশ, গরু কিংবা ছাগলের মাংশের সাথে যার কোন পার্থক্য নেই। লোকটি আমাকে নিয়ে তার ল্যাব্রেটরিতে আসেন। তারপর প্যাকেট থেকে মাংশটি বের করে ছুড়ি দিয়ে ছোট একটি টুকরো কেটে আমার দিকে বাড়িয়ে দিয়ে বলেন, ‘খেয়ে দেখুন।’ ‘কাঁচা! কী বলছেন!’- আমি আঁৎকে উঠি। লোকটি মাংশের টুকরোটিকে মুখে পুরে দেন। তারপর আয়েশ করে চিবাতে থাকেন। ‘আপনি আপেলও রান্না করে খান নাকি! এ জিনিস আপেলের চেয়েও মজার।’ দৃশ্যটি দেখে আমার গা গুলিয়ে ওঠে। গোল্লায় যাক আমার বিকল্প প্রোটিনের ব্যবসা, আমি তাড়াতাড়ি বাইরে বেড়িয়ে আসি।
পরিশিষ্ট
একটি ব্যবসা শুরু করেছি আমি। সফল তরুণ ব্যবসায়ী হিসেবে পত্রিকায় ছবিও ছাপা হয়েছে আমার। বন্ধুরা অনেকেই ঈর্ষা করে আমার সাফল্যে। আবার অনেকে আমাকে নিয়ে তামাশাও করে- আমি নাকি মানুষের মাংশ বিক্রি করি! আমি এসব গায়ে মাখিনা। বিকল্প প্রোটিনের সাথে ব্যবসায়িক পার্টনারশীপ গড়ে উঠেছে আমার। ভালোই চলছে। দিন-রাত ব্যস্ত থাকতে হয়। তারপরও সময় করে ছেলে-মেয়েদের নিয়ে রাতে একসাথে খাবার খাই। আমার স্ত্রী ছেলে-মেয়েদের পাতে মাংশ তুলে দেয়। ওরা পছন্দ করেনা; কিন্তু আমি রাগ করতে পারি ভেবে খেয়ে নেয়। ইদানিং আমার স্ত্রী ওদের কাঁচা মাংশ খাওয়ানোর চেষ্টা করছে; কিছু কিছু প্রোটিনের গুণগতমান নাকি রান্না করলেই নষ্ট হয়ে যায়।
মূল লিঙ্কঃ
ওরে বাবা রে!ভয়াবহ!অবশ্য মাংসটা একাত্তরের কোন পাকসেনা বা রাজাকারের হইলে আপত্তি করুম না-জীবিত গা থিকা কাইটা পোড়ায় খাইলে আরো ভাল হয়।
ভালো বলছো :clap: :clap:
:-&
মুহাম্মাদ জাফর ইকবালের এইরকম একটা গল্প পরছিলাম মনে হয় । ব্যাপারটা দ্রুত মাথা থেকে সরাতে হবে , দুঃখিত ভাইজান 🙂
!!!!
অফটপিক: অন্য কারো গল্প দিলে সাথে লেখকের অনুমতি ও লেখকের নামটা দেয়া বোধহয় জরুরী।
সাতেও নাই, পাঁচেও নাই
সরি জিহাদ , তুমি মনে হয় একটু ভুল বুঝছ , জাফর ইকবালের গল্পটা একেবারে একি না , তবে মুল প্লটটা একি রকম , ঐটা আরো বিভত্স ছিল ।
না ভাইয়া, আমি জাফর ইকবালের টা বলিনাই। এইটা যদি সামহোয়ার ইন এর কোন ব্লগারের লেখা হয় তবে তার নাম এবং অনুমতি নেয়াটা প্রয়োজন বলে মনে করি। আমি সেটাই বলসি 🙂
সাতেও নাই, পাঁচেও নাই
জিহাদ, আমি মূল লিঙ্ক টা দিসিলাম। কিন্তু আসে নাই কেনো জেনো
চমৎকার এবং বিভৎষ।