পার্ক সার্কাসের পশ্চিম কোনায় যেখানে পার্কস্ট্রিট আর সার্কাস এভিনিউ মিলে একটি ত্রিভুজ রচনা করেছে সেখান থেকে বেরিয়ে পার্কস্ট্রিট আর আচার্য জগদিশ চন্দ্র বসু (এজেসি) রোডের প্রায় সমান্ত্রাল একটি সড়ক পশ্চিমে জওহার লাল রোড পর্যন্ত গিয়েছে। আড়াই কিলোমিটার দীর্ঘ সড়কটির নাম শেক্সপিয়ার সরণী। এই সড়কেরই পুরনো নাম থিয়েটার রোড। এখন অবশ্য কলামন্দিরের কাছে একটি যাত্রীছাউনি ছাড়া থিয়েটার রোড নামটি আর কোথাও চোখে পড়েনা। শেক্সপিয়ার সরণী বিখ্যাত হবার অনেক কারন। পূর্ব দিকের সঙ্গীত কলা মন্দির আর পশ্চিমের এসি মার্কেট এই সড়কের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য দু’টি ল্যান্ড মার্ক। এছাড়া শেক্সপিয়ার সরণী থানা, মহারানা প্রতাপ উদ্যান, স্বামী অরবিন্দের আশ্রমের জন্যেও সড়কটি মানুষের কাছে পরিচিত।
সকাল থেকে এই সড়কে অভিজাত প্রাতঃভ্রমণকারিদের আড্ডা শুরু হয়। রং বেরঙের টি সার্ট, ট্র্যাক স্যুট, জগিং শর্টস পরে নানান রকমের মানুষ এই রোডের পাশে চেয়ার পেতে বসে মাটির ভাড়ে চা খান আর অন্যদেরকে চাখান। রাস্তার মোড়ে মোড়ে ফলের ঝুড়ি নিয়ে বসে যান হকাররা।
আমার অবশ্য সেরকম কোন কাজ নেই। আমি এখানে কাক ভোরে আসি ৮ থিয়েটার রোডে খুঁজে বের করতে। কলকাতার পিচ তেঁতে ওঠার আগে প্রায় প্রতিদিনই শুরু হয় আমার এই অভিযান। ৮ নম্বর থিয়েটার রোডে ছিলো প্রবাসী বাংলাদেশ সরকারের প্রথম অফিস।
আমি শেক্সপিয়ার রোডের বয়স্ক হাটিয়েদের (শব্দটি ঠিক হলনা,আমি প্রাতঃ ভ্রমণ কারিদের বুঝাতে চাইছি) জিজ্ঞাসা করেছি তারা আমার মুখের দিকে তাকিয়ে থেকেছেন। উত্তরদিতে পারেননি।
৮ নম্বর থিয়েটার রোডে স্বামী অরবিন্দের আশ্রম। দুই একটি বইয়ে লেখা হয়েছে, এখানেই ছিলো স্বাধীন বাংলা সরকারের সদরদপ্তর।।৩টি কারণে কথাটা মানতে পারিনি,
এক, এই ভবনের কোথাও সেটির উল্লেখ নেই।
দুই, এই রোডের ছেলে বুড়ো অনেকের কাছেই, জয় বাংলার অফিসের কথা জানতে চেয়েছি, কেউ কিছু বলতে পারেনি।
তিন, স্বামী অরবিন্দ আশ্রমের এই ভবনটিরই আগের নম্বর ছিলো ৪ থিয়েটার রোড।
এক সকালে শেক্সপিয়ার সরণি থানায় হাজির হলাম। ডিউটি অফিসার বেশ মনোযোগ দিয়ে শুনে বললেন, আপনাদের ডেপুটি হাইকমিশন আছে কলকাতায়, সেখানে যোগাযোগ করে দেখুন।থানা থেকে বের হচ্ছি তখন রাস্তার ওপারে পুরণো একটি বিল্ডিং চোখে পড়লো। দোতলা এই বাড়িটার সাথে কিছুটা হলেও সেকটর কমান্ডারদের ছবির বিল্ডিংএর মিল আছে।বাড়ির গেটে গিয়ে দেখি ৭/বি লাউডন স্ট্রিট। আমার এই বাক্যটি আবার সবকিছুতে জট পাকিয়ে দিলো তো? শেক্সপিয়ার সরণিতে আবার লাউডন স্ট্রিট এলো কোত্থেকে?
একেবারে পার্ক্সট্রিট থেকে শুরু করে জওহরলাল নেহেরু রোড পর্যন্ত অনেকগুলি রাস্তা শেক্সপিয়ার সরণিকে উত্তর দক্ষিণে এফোঁড় ওফোঁড় করছে । পূবদিক থেকে ধরলে প্রথমে রাউডন স্ট্রিট, তারপরে লাউডন স্ট্রিট, আউটরাম স্ট্রিট, হাঙ্গারফোর্ড স্ট্রিট, উডস্ট্রিট, ক্যামাক স্ট্রিট, আর সবচেয়ে পশ্চিমে লর্ড সিনহা রোড। লর্ড সিনহা রোডেরও একটু গুরুত্ব আছে আমার কাছে। কারণ এই রোডের ১০ নম্বর বাড়িটি আমাদের প্রথম সরকারের গুরুত্ব পূর্ণ কিছু মন্ত্রীর বাস ভবন হিসাবে বরাদ্দ করেছিলো। পশ্চিমবঙ্গ সরকার। ১০ নম্বর বাড়িটি খুঁজে পেলেও সুবিধা হয়নি। বাড়িটি ভেঙ্গে এখন বহুতল ভবন হয়েছে। নাম অংকুর এপার্টমেন্টস। ১৯৭১ সালের কথা শুনে এবাড়ির বাসিন্দারা তাকিয়ে থেকেছেন। বইয়াস ওই পর্যন্তই।
পরস্পর সমান্তরাল এই রাস্তাগুলি মূলতঃ শেক্সপিয়ার সরণিকে মাঝে রেখে পার্ক স্ট্রিটের সাথে বিভিন্ন পয়েন্টে এজেসি রোডকে সংযুক্ত করেছে।
প্রতিটি স্ট্রিটের সবচেয়ে কোনার বাড়িটি, পাশের রাস্তার নামে। ঠিক এই কারণেই শেক্সপিয়ার সরণি থানা পড়েছে লাউডন স্ট্রিটে।
আমার বেশ কয়েকবারের প্রচেষ্টায় শিখেছি, শেক্সপিয়ার সরণীর দক্ষিণ পাশের বাড়ি গুলি জোড় সংখ্যার আর বেজোড় সংখ্যা গুলি উত্তরে। তবে ১৪ নম্বর বাড়ির পর আবার একটি যন্ত্রণা আছে, ১০ এ,বি’র কারণে বাড়ি খুঁজতে ঝামেলা হয়।
যখন দেখলাম ৮ নম্বর থিয়েটার রোডের বাড়িটির আগের নম্বর ছিলো ৪, মনে হল কোন কারণ ৪টি নম্বর পরে সংযোজিত হয়েছে। থিয়েটার রোড শেক্সপিয়ার হয়েছে ১৯৬৪ সালে, সে সময় সম্ভবত স্বামী অরবিন্দের ভবনের নম্বর ৪ ছিলো। হিসেবমত এর চারটি বাড়ি পরে আমাদের প্রবাসী সরকারের অফিস হবার কথা। কিন্তু যে বাড়িটির চেহারার সাথে ছবির বাড়িটির চেহারা মেলে, সেটি ১৪ নম্বর। মাঝে ১০ এ,বি’র মত আরও বাড়ি যদি হয়ে থাকে তাহলে ১৪ নম্বরটিকেও সেই ঐতিহাসিক বাড়ি ধরে নেয়া যায়। মুশকিল হল, এই বাড়িটি ৩ তলা, আমাদের বাড়িটি ছিলো দোতলা। স্বামী অরবিন্দ আশ্রমের সামনে দাঁড়িয়ে এসব সাত পাঁচ ভাবছি। গেটের ভিতর থেকে গার্ড বলে উঠলো বাবু কিছু খুঁজছেন?
মনে হল, স্বামী অরবিন্দ আশ্রম ভালো মত দেখার একটা মওকা পেলাম। বললাম আশ্রমে ঢুকবো? তিনি বললেন আসুন বাবু।ভিতরে আসুন আপনাদের জন্যেই তো আশ্রম।
বললাম এখানে কতদিন?
মনে হলো আমার কথায় খুশিই হলেন। বললেন ‘সেই আঠারা বরস থেকে এখানে আছি এখোন চৌষাট। আগে ধুতি কুর্তা পরে ডিউটি নিভাতাম আর এখোন পেন্ট সার্ট পরছি, সে বাবু ওনেক দিন’।
লোকনাথ নামের এই ভদ্রলোক, জয়বাংলার কথা একটু একটু মনে করতে পারলেন। বিহার থেকে কলকাত্তা এসেছিলেন কাজের খোঁজে। প্রথমে এমনিই থাকতেন আশ্রমে, এক সময় চাকরি হয়ে গেলো, দেশে গিয়ে বিয়ে করলেন, তারপরই পাকিস্তান থেকে বাঙ্গালরা কলকাত্তায় আসতে শুরু করলো, যুদ্ধের কথা শুনতে লাগলেন, কিন্তু ‘এই মকানে জোয় বাংলারা কভি আসেননি ওফিসভি হোয়নি’।
লোকনাথের কথা শুনে সন্দেহ নিয়ে ফিরে এলাম, বাংলাদেশ সরকারের প্রথম সদর দপ্তর খুঁজে বের করা হলনা। বাংলাদেশ সরকার কলকাতাসহ পৃথিবীর অনেক দেশে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি বিজড়িত স্থানগুলিকে চিহ্নিত করেছে। কলকাতায়ই বেকার হোস্টেলে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর হয়েছে শুনেছি। আর আমার মত নাদান মানুষ তিন তিনবার কলকাতায় গিয়েও প্রবাসী বাংলাদেশ সরকারের প্রধান অফিসটি খুঁজে পায়নি। দিল্লিতে আমাদের হাইকমিশনে কথা বলার সৌভাগ্য হয়েছে। তাঁরা বাড়িটিকে আনুষ্ঠানিক ভাবে প্রথম অফিস হিসাবে চিহ্নিত করার ব্যবস্থা করবেন বলে জানিয়েছেন।
আমাদের প্রথম অফিস হোক না হোক অরবিন্দ আশ্রমের বেশ কিছু ছবি তুলে এনেছিলাম।
দেশে ফিরে নিশ্চিত হয়েছি। এটিই আমাদের সরকারের প্রথম অফিস। এখানে বসেই মুক্তি যুদ্ধ পরিচালনা করেছেন তাজউদ্দিন। মাত্র মাইল দুয়েক দূরে অন্যান্য মন্ত্রীদের মত তাঁরও বাসা বরাদ্দ হয়েছিলো সিআইটি রোডে।বাচ্চাদের নিয়ে সেখানে থাকতেন জোহরা তাজ উদ্দিন। অথচ দীর্ঘ নয় মাসের একটি রাতও দিন বউ বাচ্চার সাথে কাটাননি। তাঁর থাকা খাওয়া সবই ছিলো ৮ থিয়েটার রোড। এমন নেতা বাংলাদেশ আর কবে পাবে কে জানে।
শুধুই :salute: :salute: :salute:
ধন্যবাদ সাদিক
যে কথা কখনও বাজেনা হৃদয়ে গান হয়ে কোন, সে কথা ব্যর্থ , ম্লান
এমন যত্ন করে লেখা দিনলিপি সময় নিয়েই পড়তে হয় বৈকি। তাই-ই করলাম। সেইসাথে মিলিয়ে নিলাম শারমিন আহমেদ বিরচিত 'তাজউদ্দীন আহমদ নেতা ও পিতা'-র সাথে। লেখার পরতে পরতে আপনার যে অনুসন্ধিৎসার পরিচয় পেলাম তাতে নিঃসন্দেহ হয়েছি যে আপনি পর্যাপ্ত পড়াশোনা করে, স্থির লক্ষ্য নিয়েই পথে নেমেছেন। তাই আপনাকে নয়, পাঠককুলকে অনুরোধ করবো (যাঁরা এখনও পড়েননি), উদ্ধৃত বইখানার পৃষ্ঠা ১৫৭ থেকে ১৬০ পর্যন্ত পড়ে নিতে, আর সংশ্লিষ্ট ছবিগুলো দেখে নিতে। তবে ঐ বইখানাতেও ৮ আর ৪ এর গোলকধাঁধার উল্লেখ নেই। আপনার রচনায় এটি আমাদের বাড়তি পাওনা। ভবনখানার ছবি আছে, ১৫৮, ১৫৯ ও শেষ পৃষ্ঠায়। অবশ্য ছবি দেখে ঠাহর করা যায় না, সেটি দোতলা নাকি তিনতলা।
ঐ বইয়ের ৮৭ পৃষ্ঠায় একটি আটতলা বাড়ির সম্মুখভাগের ছবি আছে। ক্যাপশানে লেখা আছে,
বইয়ের ৯১ পৃষ্ঠায় একই বিল্ডিঙের কথা উল্লেখ করে দুটি ফ্ল্যাটের প্রবেশ দরজার ছবি দেয়া আছে। ক্যাপশানে লেখা আছে,
তাজউদ্দীন আহমদ যে পরিবারের কত কাছাকাছি থেকেও মহত্তম ব্রতের কথা স্মরণে রেখে সর্বদাই পৃথক থেকেছেন সে ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়া গেল।
দেখেছি সবুজ পাতা অঘ্রানের অন্ধকারে হতেছে হলুদ
মোস্তফা, তোমাকে অনেক ধন্যবাদ। তোমার তথ্য পোষ্টটিকে সমৃদ্ধ করেছে।
আমি আবার কলকাতা ২ এ লিখেছিলাম।কলকাতার সমস্যা হচ্ছে একই রাস্তার অনেক নাম। সি আইটি রোডের এই অংশটি সুন্দরী মোহন রোড নামেও পরিচিত।
(সম্পাদিত)
যে কথা কখনও বাজেনা হৃদয়ে গান হয়ে কোন, সে কথা ব্যর্থ , ম্লান
39 Sundari mohan road
যে কথা কখনও বাজেনা হৃদয়ে গান হয়ে কোন, সে কথা ব্যর্থ , ম্লান
আমার আনাড়ি হাতে দুইবার চেষ্টা করেও লিংক দিতে পারিনি। মূল পোষ্টে ছবি যোগ করেছি
যে কথা কখনও বাজেনা হৃদয়ে গান হয়ে কোন, সে কথা ব্যর্থ , ম্লান
সেরকম নেতা কখনোই কি দেখা যাবে কখনো?? সহমত ।
:boss: :boss: :boss: ::salute:: ::salute:: ::salute::
আমরা সেরকম নেতার প্রতীক্ষায়
যে কথা কখনও বাজেনা হৃদয়ে গান হয়ে কোন, সে কথা ব্যর্থ , ম্লান
ষোল কোটি মানুষের দেশে এরকম দু'চারজন নেতা সবসময়ের জন্য থাকবেন না, এটা বিশ্বাস করা কঠিন।
আমার ধারনা, আমাদের সিস্টেমের মধ্যে লিমিটেশন খুব বেশী যে কারনে ঐরকম নেতারা আজকাল খুব একটা এগুতে পারেন না।
ঘুনেধরা সিস্টেমটা বরং এমন লোকজন-বান্ধব, যার ওনার ধারে কাছেও নেই।
আমাদের দুর্ভাগ্য আরকি!!!
Do not argue with an idiot they drag you down to their level and beat you with experience.
সহমত
যে কথা কখনও বাজেনা হৃদয়ে গান হয়ে কোন, সে কথা ব্যর্থ , ম্লান
বরাবরের মতোই উপভোগ্য পাঠ । শুরু করে গড়গড়িয়ে এগিয়ে চলে যাই ।
উতসাহ আর অনুসন্ধিতসার এক অপূর্ব সংক্রমণ যেনো ঘটে যায় আপনার লেখা পড়তে শুরু করতে না করতেই ।
আর তাজউদ্দিন !
আমার ক্ষুদ্র জ্ঞানের পরিধিতে কতোটুকু জেনেছি তাঁর সম্পর্কে তা পরিমাপের কোনো অবকাশ কখনোই পাইনি ।
একবার ডকুমেন্টরী করবার কল্যাণে অনেক মানুষের সাথে কথা হয়েছিলো আগরতলা, মেলাঘর, সাব্রুম সহ ত্রিপুরার বেশ কিছু জায়গায় ।
খুব অবাক হয়ে লক্ষ্য করেছিলাম যে ওখানকার প্রত্যেকেই তাজউদ্দীনকে আমাদের আর সব নেতার চেয়ে উপরে স্থান দেন ।
আরো অবাক হয়েছিলাম এই জন্য যে সেই তালিকাটিতে যেমন ছিলেন ত্রিপুরার প্রথম দৈনিকের প্রথম সম্পাদক, হোমরা-চোমড়া রাজনীতিক, তেমনি সাধারণ মানুষও ।
যতোবার পড়ছি ততোই আবার কলকাতা যাবার জন্য আইঢাই করে উঠছে মনটা ।
মন চাইছে এই ভ্রমন যেনো আর না থামে ...
খারাপ হয় না। কলকাতা এখন আমার ভালোই লাগে
যে কথা কখনও বাজেনা হৃদয়ে গান হয়ে কোন, সে কথা ব্যর্থ , ম্লান
এই পর্বে "খোঁজ - দ্যা সার্চ" টাইপের একটা রোমহর্ষক ব্যাপার যুক্ত হলো।
তবে হঠাৎ করেই যেন শেষ হয়ে গেল।
তা হোক। কোন অসুবিধা নাই কারন এই পর্বটাও অন্যান্য পর্বের মতই সুখপাঠ্য ও গতিশীল...
তাই:
:boss: :boss: :boss:
Do not argue with an idiot they drag you down to their level and beat you with experience.
খোঁজ দি সার্চ শেষ হয়েছে
এখন আর কোন সন্দেহ নেই। এবার আমাদের দিল্লী হাই কমিশনের বড় কর্তারা যদি তাদের কথা রাখতে পারেন। আমার মত দিন কানারা খোঁজা খুঁজি না করেই সোজা সুজি এবাসায় যেতে পারবে।
যে কথা কখনও বাজেনা হৃদয়ে গান হয়ে কোন, সে কথা ব্যর্থ , ম্লান
আশায় বুক বাধলাম...
Do not argue with an idiot they drag you down to their level and beat you with experience.
আমিও আশাবাদী
যে কথা কখনও বাজেনা হৃদয়ে গান হয়ে কোন, সে কথা ব্যর্থ , ম্লান
খোঁজাখুজির উত্তেজনা, আনন্দ সবই পেলাম, পড়ার সুখ তো আছেই। বিষয়টাও খুব গুরুত্ত্বপূর্ণ সন্দেহ নেই। আমার ধারনা, টিপিক্যাল বাঙ্গালী চরিত্রের সাথে সঙ্গতি পূর্ন ভাবেই খোদ সরকারও ভুলে গেছেন ওই ইতিহাস গড়া বাড়ির কথা।
আমার সীমিত সামর্থ্যে সরকারকে জানাবার সাধ্যমত চেষ্টা করেছি। দেখি কাজ হয় কী না
যে কথা কখনও বাজেনা হৃদয়ে গান হয়ে কোন, সে কথা ব্যর্থ , ম্লান
সত্যান্বেষী ভ্রমনলিপি খুব ভালো লাগলো। তবে পুরো ব্যাপারটা পড়ে দুঃখই হয়, স্বাধীনতার এতবড় একটা relic এভাবে আমাদের অবহেলায় হারিয়ে গেলো বা যাচ্ছে।
জনাব তাজউদ্দিন ওভাবে বাড়ীটাকে বুকে করে আগলে না রাখলে হয়তো এমনটি হতোনা। জানিনা...
ড. রমিত আজাদ এর লেখা এর ঠিক আগের ব্লগটার কথাই মনে পড়ছে।
অশেষ ধন্যবাদ স্যার
যে কথা কখনও বাজেনা হৃদয়ে গান হয়ে কোন, সে কথা ব্যর্থ , ম্লান