কুয়ো

কুয়োটা বেশ গভীর ছিলো, কালো জলে টলমল।নির্বিকার সুনসান গোপনে ঠায় বসে ছিলো,অস্তিত্ব জানান দেয়ার তাড়া ছিলোনা।ইটের গাঁথুনিতে বার্ধক্যের ছাপ লাগা প্রৌঢ় জলাধার।

শুন্য ভিটের এক কোণায় দিব্যি নিরুপদ্রব পড়ে ছিলো। দেয়াল বেয়ে খাপছাড়া বেড়ে ওঠা লতাপাতার অলংকার।গত কিছুদিনের প্রবল বর্ষায় পানি একদম মুখে এসে ঠেকেছে। জীবনের অস্তিত্ব বলতে শুধু একঘেয়ে ডেকে যাওয়া ব্যাঙ, একটা-দুটা ঝি ঝি, খুব কাছের কোন গাছে একলা বসে থাকা শ্যামা পাখি।

অবাধ্য ঘাসে ঢাকা পরিত্যাক্ত উঠোন। সাপ খোপের উপদ্রব নেই।মাটির নিচে নির্বিঘ্নে ঘর বেঁধেছে কেঁচোরা। মাটির ভিত ক্ষয়ে ক্ষয়ে এসেছে। টানা দোচালা তবু অবাক করার মত সবল। বহু বছর এই চালের নিচে আলো জ্বলেনি। রাতের পর রাত জোছনা গলে গলে পড়েছে মেঝেতে। গায়ে মাখার কেউ ছিলোনা। বৃষ্টি ভিজিয়েছে, তাতিয়ে ওঠা রোদে পুড়িয়েছে। এই সবকিছুর মাঝে বাড়িটা একটা আশ্চর্য স্থবিরতা নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে,পোকামাকড়ের ঘর-বসতি হয়ে। এমন একটা বাড়িতে কুয়োটার অবস্থান বড্ড বেমানান। এই প্রাণচাঞ্চল্যহীন পোড়ো বাড়ির প্রতীক হয়ে নিষ্প্রাণ পড়ে ছিলো কুয়োটা।

হঠাত একদিন অদৃষ্টের মতো কুয়োর পানিতে একটা মুখের প্রতিবিম্ব এসে পড়লো।কালো মার্বেলের মতো স্থির পানি অল্প যেনো কেঁপে উঠলো। গোলগাল একটা মুখ। কালো চুল পানির কালোর সাথে মিশে গেছে। জলে ভেসে আছে উৎসুক দৃষ্টি।

-এ মা! কি বিচ্ছিরি নোংরা পানি। এই পানি আমি খেতে পারবোনা বাবা!

চিকন, সুরেলা একটা কণ্ঠ। জলের প্রতিফলনের ঠোঁট নড়ে উঠলো।

-কই নোংরা। আলো কম।তাই কালো লাগছে। ইঁদারার পানি খারাপ হয়না।খেয়ে দেখো। ঠান্ডা হবার কথা। আশেপাশে ১০ মাইলের মাঝে এরচে ভালো অপশন আমাদের হাতে আর নেই। খেয়ে নাও। ডিহাইড্রেটেড হওয়া যাবেনা।

ভারী পুরুষ কন্ঠটা শোনা গেলো আগে।একটু পড়েই একটা আবছা শ্মশ্রুমণ্ডিত মুখ ভেসে উঠল প্রথম মুখটার পাশে। প্রতিবিম্বেই ক্লান্তি আর দুশ্চিন্তার স্পষ্ট ছাপ।

-আমি হাত দিবনা।তুমি হাত দিয়ে তুলে দাও। ভয় করে। সাপ কামড় দেয় যদি?

রিনরিন করে ওঠে সরু গলা। জলে আলতো কাঁপন ধরিয়ে দিয়ে যায়। কন্ঠে আহ্লাদের ছাপ স্পষ্ট।

জলে আন্দোলন হয়। প্রতিবিম্বরা জলতরঙ্গে অজস্র ভাগে ভেঙ্গে যায়। ছেলেটা আঁজলা ভরে পানি তুলে দেয়। মেয়েটা সশব্দে নিমিষেই পুরোটা পান করে ফেলে।

-আহ!কি ঠাণ্ডা!

-প্রাকৃতিক কারণে ডিপ টিউবওয়েল আর কূপের পানিতে একটা চমৎকার শীতলতা আছে। ছোটবেলা আমার নানার বাড়িতে একটা ডিপওয়েল ছিলো। চাষের জমিতে পানি দিতে লাগত। সে কি ঠাণ্ডা পানি! আমরা কাজিনরা দল বেঁধে হুল্লোড় করতাম। ব্যাঙ ধরতাম। ছোট ছোট মাছ ও মিলে যেত মাঝে মাঝে।

কথা শেষ হতেই মেয়েটা প্রশ্ন করে উঠলো,

-থাকবো কই? আসার সময় ঘরটা যেমন দেখলাম, চালা খুলে মাথায় পড়বে তো। আরো এগুতে থাকবে?

-নাহ।ম্যালা জার্নি করে ফেলেছি। আর এরচে ভাল আশ্রয় মনে হয় না পাবো।

ভারী কন্ঠের উত্তর আসে।

-তোমার কি মনে হয় ওদের কোনো ধারণা আছে আমাদের অবস্থানের ব্যাপারে?

-‘এখানে আমরা নিরাপদ,আশেপাশে তো কাউকেই দেখলাম না’,খানিকটা অস্বস্তি নিয়ে বলে ছেলেটা,যেনো নিজেকে বোঝানোর চেষ্টা করছে।

-তারপরেও কালকে ভোরের দিকেই আরেকটু ঘাটবো। খুঁজে দেখবো এরচে ভাল একটা ঘর পাই কি না।

আশ্বাসের সুর শোনা যায়।

-আমার বড্ড ভয় করছে।

নালিশ করে ওঠে মেয়েটা।কন্ঠে একটু আগের চপলতা নেই। আহ্লাদ এর জায়গা দখল করে নিয়েছে শঙ্কা।

ছেলেটা ছোট্ট করে দীর্ঘশ্বাস ফেলে। খসখস করে কাছে আসার আওয়াজ হয়।

কুয়োর পানিতে দুটি শরীরের প্রতিবিম্ব মিলে একটা হয়ে যায়। কুয়োর জলের সাথে বাতাসেও কাঁপন ওঠে।
শিশুর মতো মেয়েটার মাথা বুকে চেপে চুলে আঙ্গুল বুলিয়ে দেয় পরম মমতায়। বাতাসে ভেসে যায় বৃষ্টির কণার মতো ভালবাসাবাসি।

এরপর অনেকটা সময় চলে যায়। নিশ্চুপ। যেন দুজন নিঃশব্দে কথার খেই খুঁজে বেড়াচ্ছে।

-জানো, ভাবতেও পারিনা আশেপাশে চেনা মানুষের মাঝে পশু লুকিয়ে ছিলো।আমাদের পাশের বাসার শিলাকে ওরা …ওরা…ওরা…..।

অব্যাক্ত ভীতি নিয়ে মেয়েটার কথা থমকে যায়। বোবা কান্না এসে জমে তার কন্ঠে।

নিস্তব্ধতা কাটিয়ে বলার কারণেই কি না,একটা অসম্ভব ভয়াবহ ব্যাপার আরো ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠে।

-আমি এরচে আগুনে পুড়ে মরতে রাজী আছি। ধরো ওরা যদি আমাদের খুঁজে পেয়ে যায়, আমি এই কূপটাতে ডুবে মরবো?তুমি ঝাঁপ দেবে আমার সাথে?

ছেলেটা বেশ কিছুক্ষণ চুপ থাকে। মেয়েটার চোখের দিকে তাকিয়ে কিছু একটা বোঝার চেষ্টা করে।

কিছু বলেনা সে।মেয়েটা আবার শুরু করে

-জানো,মনে হয় বাসায় ফিরেই দেখবো বাবা-মা বলছে এতদিনের জন্য কেনো উধাও হয়েছিলাম।মন্টুটা দৌড়ে এসে জড়িয়ে ধরবে…

ওর কন্ঠ রোধ হয়ে আসে।

এবার জলে ডুকরে কেঁদে ওঠা শরীরের ছায়া পড়ে।

ছেলেটা তার নিস্তব্ধতা ভাঙ্গে। মন খারাপের গুমোট বাতাস সরাতেই কি না আচমকা রোমান্টিক অবতার ধারণ করে সে।

-আজ আকাশে কি তারা দেখেছো।মন চাইছে তোমাকে জড়িয়ে ধরে এই কুয়োর পাড়ে ভাস্কর্য হয়ে যাই। তারপর অজস্র যুগ এখানেই কাটিয়ে দিই। কেমন হবে বলো তো?

মেয়েটা অবাক চোখে ছেলেটার মুখের দিকে তাকায়। পৃথিবীতে সে শুধু এই মানুষটার মুখেই অভয়ারণ্য খুঁজে পায়। ঝাঁপ দিয়ে প্রেমিকের বুকে পড়ে। সে আলিঙ্গনে প্রবল আকুতি।

বুকে জড়িয়ে ধরে ছেলেটি কথা থামায় না।

-আমি তোমাকে পৃথিবীর সবকিছু থেকে আগলে রাখবো।এই ঘোর দুঃসময় তোমাকে স্পর্শ করতে পারবেনা। একদিন এসব থেমে গেলে হয়ত মানুষ আমাকে কাপুরুষ বলবে…

-কেনো?-মেয়েটা কৌতূহলী চোখে তাকায় মুখ তুলে।

-ওই যে, এখন যৌবন যার……বাকিটা তো জানোই।আমি পরোয়া করিনা।তুমি আমার সবচে বড় দায়িত্ব। আমাদের তো এখন একজন আরেকজন ছাড়া সত্যি সত্যি কেউ নেই।আস এগেনস্ট দা ওয়ার্ল্ড।

আবার চুপ হয়ে যায় কুয়োর পার।পুরনো কৃষ্ণবটের ডালের মতো জড়াজড়ি করে থাকে প্রেমিক-প্রেমিকা।
তাদের আলিঙ্গন ভাসতে থাকে কুয়োর জলে। ভালোবাসার প্রতিবিম্ব তারার মৃদু আলোয় অতিপ্রাকৃত হয়ে ধরা দেয়।

আচমকা আহ্লাদ মেখে মেয়েটা বলে,”শোনো,চলো এসব কথা আপাতত বাদ দিই। এমনিতেই বিপদের অন্ত নেই। এরচে সুন্দর কিছু ভেবে সব ভুলে থাকি চলো। আর আরেকটা জরুরী কথা,আমি কিন্তু ভুলেও ওই ঘরের ভেতরে যাবোনা।কি ঘুটঘুটে অন্ধকার! নিশ্চিত সাপখোপ আছে।চলোনা এখানে ঘুমোই?!!!! তারার আলোয়?”

দাবি জানায় সুরেলা গলা। গভীর ভালোবাসায় মনে একটা প্রবল মাতৃত্বভাব সৃষ্টি হয়। ছেলে মেয়ে নির্বিশেষে এই বোধের জন্ম। তাই ভালোবাসার মানুষের সব চাওয়া পূরণ করার একটা দুর্নিবার আকাঙ্ক্ষা আমরা অনুভব করি। মেয়েটার কথায় অনেক সারল্য ছিলো, এতোটা সারল্য নিয়ে করা দাবি এড়ানোর ক্ষমতা সৃষ্টিকর্তা মানুষকে দেননি।

পানিতে ছেলেটার হ্যা-সূচক মাথা নাড়ানোটা অস্পষ্ট ভাবে দেখা যায়।

অস্ফুট স্বরে ওরা আরো কত কি বলে যায়। আকাশের তারায় তারায় ভালবাসা মেখে দেয় ওদের কূজন।
দুচোখ ভেঙ্গে ঘুম আসে ওদের। কুয়োর দেয়ালে হেলান দিয়ে চোখে বুজে একে অপরের অস্তিত্বে মিশে যায় ওরা। পা ছড়িয়ে শুয়ে পড়ে পরম নির্ভরতায়।অনেকদিন পর আজ তারা নিরাপদ। অনেকদিন পর আজ নির্বিঘ্ন ঘুম নেমে এসেছে চোখের পাতায়। আলতো করে ছুঁয়ে যায় দুজোড়া ঠোঁট। তারপর গভীর ডুবে যাওয়া তন্দ্রা। যেন তাদের ঘিরে আছে অস্পৃশ্য জল। মাতৃগর্ভের মতো।

ছেলেটার ঘুম ভাঙ্গে হুট করেই।

ঘুম ভেঙে পৃথিবীর সবচে অবিশ্বাসের দৃষ্টি নিয়ে সে অল্পই চোখ মেলতে পারে। তারা নিংরোনো আলোয় সে দেখে তার কণ্ঠনালীর দিকে ধেয়ে আসছে চকচকে বেয়নেট। তার অবাক চোখের মণি আর বেয়নেটের ইস্পাতের মাঝে অদ্ভুত সাদৃশ্য,অলৌকিক আভা।খচ করে একটা শব্দ হয়।ফিনকি দিয়ে বের হয়ে আসে তাজা রক্ত।

না,ক্লান্তিমাখা ঘুমের ঘোরে এক ঝাঁক বুটের আওয়াজ তার কানে আসেনি, কানে আসেনি ভাঙ্গা ভাঙ্গা গলায় বলা উর্দু ,”স্যার,হাম সাচ্চা বলতে হ্যায়, মেরা দোস্ত দেখা হ্যায়, জাওয়ান লাড়কী…আন্দার গায়ে…আন্ধেরা মে…চুপে চুপে…ইস হাভেলি কা আন্দার”। মৃত্যুর ঘোরে তেমনি তার কানে মেয়েটির চিৎকার আর ধস্তাধস্তির আওয়াজও আসেনা।

ভাঙ্গা ইটের গাঁথুনি চুইয়ে তার টকটকে লাল রক্ত পানিতে যেয়ে মেশে। ঘোর কৃষ্ণবর্ণ পানির রঙে তাতে তেমন একটা পরিবর্তন হয়না।

৩,৭৩৫ বার দেখা হয়েছে

২৪ টি মন্তব্য : “কুয়ো”

  1. মোস্তফা (১৯৮০-১৯৮৬)

    যেমন বর্ণনার বিভা, তেমনি অতিসূক্ষ্ম শলমা-জরির কারুকাজ। সুকারু শব্দের বুননে, আঁটসাঁট বাক্য-বল্লরীতে, বর্ণনার চমৎকারিত্বে জড় যেন প্রাণ পেয়েছে। তা কুয়োই হোক, আর পরিত্যক্ত দো'চালাই হোক। নিখুঁত 'পারসনিফিকেশন' বুঝি একেই বলে!
    আর পাই আবহ তৈরির দক্ষতা। অসাধারণ!


    দেখেছি সবুজ পাতা অঘ্রানের অন্ধকারে হতেছে হলুদ

    জবাব দিন
  2. পারভেজ (৭৮-৮৪)

    কাব্যিক শুরুটা আকর্ষনিয় লেগেছে।
    প্রথম ব্লগ হয়ে থাকলে লিখার ঝরঝরে গতিটা, চমৎকৃতকর।
    একটানে পড়ে গেলাম এবং পছন্দ হলো।

    সিসিবি দেখছি জাত লেখকে ভরে উঠছে।
    কাকে ছেড়ে কাকে পড়ি....


    Do not argue with an idiot they drag you down to their level and beat you with experience.

    জবাব দিন
  3. আরিফুল হক শোয়েব (২০০২-২০০৮)

    আপনাদের কথায় প্রচন্ড অনুপ্রাণিত হচ্ছি। মিনস এ লট! সি সি বি তে এটাই আমার প্রথম লেখা। কিছুটা স্কেপ্টিক ছিলাম। কিন্তু প্রশংসায় উদ্বুদ্ধ হলাম! ধন্যবাদ!

    জবাব দিন
  4. মোকাব্বির (৯৮-০৪)

    হামীম, রেজাদের পরে ভাল গল্প লেখকের শূন্যতা বোধ করছিলাম গত প্রায় এক বছর ধরে। লিখার বিস্তারিত নিয়ে বলতে যাব না। আমার হিসেবে যতদূর বুঝতে পারছি, লিখা পড়ে নেশা করবার মত আরেকজন লেখক পাওয়া গেল সিসিবিতে। ক্যাডেট কলেজ ব্লগে স্বাগতম। লেখা চলতে থাকুক সিসিবির সাথে। :hatsoff:


    \\\তুমি আসবে বলে, হে স্বাধীনতা
    অবুঝ শিশু হামাগুড়ি দিল পিতামাতার লাশের ওপর।\\\

    জবাব দিন
  5. লুৎফুল (৭৮-৮৪)

    অনবদ্য দৃশ্যকল্প বর্ণনা ।
    আমার দু'চোখে সেলুলয়েডের মতোন স্পষ্ট হয়ে উঠছিলো ক্রমাগত ।
    এক সময় মনে হচ্ছিলো সব কিছু স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছি চোখের সামনে ।
    শেষ অংশের মুনশিয়ানাও মুগ্ধ করেছে ।
    একটা দুর্দান্ত ছোটোগল্প ।
    ইতোপূর্বে কোথাও ছাপা না হয়ে থাকলে একট লিটল্ম্যাগের জন্য লেখাটা চেয়ে রাখলাম ।

    জবাব দিন
  6. জিহাদ (৯৯-০৫)

    কুয়োর জলে আমি একজন ভালো লেখকের ছায়া দেখতে পেলাম।

    সিসিবিতে স্বাগতম, শোয়েব। লিখতে থাকো হাত খুলে। আর প্রোফাইলের সব ফিল্ডগুলো বাংলা করে দিতে ভুলোনা 🙂


    সাতেও নাই, পাঁচেও নাই

    জবাব দিন
  7. নাফিস (২০০৪-১০)

    ব্লগে স্বাগতম ভাই ! ইয়ে মানে ইয়ে, কেউ যখন কিছু বলতেছেনা , তাই ভাবলাম আমি ই বলি...
    প্রথম ব্লগ দেওয়ার পর ব্লগে কিছু ট্রেডিশনাল কাজ করতে হয়। এর মাঝে একটা হলো ভার্চুয়াল ফ্রন্টরোল দেওয়া। ইমোটিকন এর ঘরে গেলেই খুঁজে পাবেন ইমো টা। দিয়ে দেন ভাই। আমরা যারা জুনিয়র আছি তারা লুক ডাউন হলাম। 😛

    জবাব দিন
  8. রাজীব (১৯৯০-১৯৯৬)

    বিষয় নির্বাচন করে দিও, মানে গল্প হলে গল্প, প্রবন্ধ হলে প্রবন্ধ।
    ব্লগে স্বাগতম।


    এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ

    জবাব দিন
  9. অরূপ (৮১-৮৭)

    চমৎকার লেখা, হক। শব্দের গাথুনি, শব্দ দিয়ে তৈরি ছবির পাজল ... অসাধারন লাগলো।
    সিসিবে তে স্বাগতম। প্রচন্ড খুশী লাগছে, সিসিবিকে প্রাণবন্ত হয়ে উঠতে দেখে।
    :clap: :clap: :clap: :clap: :clap: :clap: :clap: :clap:


    নিজে কানা পথ চেনে না
    পরকে ডাকে বার বার

    জবাব দিন
  10. আহসান আকাশ (৯৬-০২)

    সিসিবিতে স্বাগতম হক। প্রথম লেখায় প্রত্যাশা অনেক বাড়িয়ে দিলে।

    হ্যাপি ব্লগিং


    আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
    আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷

    জবাব দিন
  11. খায়রুল আহসান (৬৭-৭৩)

    সিসিবিতে সুস্বাগতম! :clap:
    উপরে অনেকেই লেখার পরিমিতিবোধের প্রশংসা করেছেন, আমার চোখেও তা প্রথমেই ধরা পড়েছে। ওয়েল ডান!
    লেখাটা পড়ে একটা পোরো বাড়ী আর পরিত্যাক্ত কুয়োর ছবি আমারও চোখের সামনে ভেসে উঠলো, যার সাথে গল্পের বিবরণ হুবহু মিলে যায়। লালমনিরহাট জেলার হাড়ীভাঙ্গা গ্রামে ছোটবেলার স্মৃতিবিজড়িত আমার নানার বাড়ীর কথা মনে পড়ে যায়। মিল থাকার কারণেই হয়তোবা, গল্পটা পড়ে খুব ভালো লাগলো।
    আরও ভালো লেগেছেঃ
    "শুন্য ভিটের এক কোণায় দিব্যি নিরুপদ্রব পড়ে ছিলো। দেয়াল বেয়ে খাপছাড়া বেড়ে ওঠা লতাপাতার অলংকার।"
    "বহু বছর এই চালের নিচে আলো জ্বলেনি। রাতের পর রাত জোছনা গলে গলে পড়েছে মেঝেতে। গায়ে মাখার কেউ ছিলোনা।" - এসব কথা।
    তোমার লেখার হাত খুব ভালো। চালু রেখো।

    জবাব দিন

মন্তব্য করুন

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।