অভিসার


বাধন ছুড়ে বাইরে এস
জড়িয়ে ধর বুক
মাতাল ঝড়ে ঝরুক পড়ে
স্বপ্ন ধোয়া সুখ।
ছোয়ায় ছোয়ায় কাপবে ধরা
মদির ঢলে নেশা
সতেজ ফুলের মধু বনে
বহ্নি জলে মেশা।


লজ্জা ভুলে বাড়িয়ে দাও
কোমল দুটি ঠোঁট
অণল দোহে ভস্ম হউক
হৃদয় ক্ষত চোট।
চপল চপল চোখের ভাষা
জারি সারি গান
কৃষ্ণ রাধার কুনজ বনে
বষর্া বাদল বান ।

বিস্তারিত»

চীনের মসজিদ (শেষ পর্ব)

চীনের মসজিদ ২
– তুমিও জান?
– আমি তো তোমাকে বলেছি, তুলনা মূলক ধর্মতত্ত্ব আমার পছন্দের বিষয়। মুসলমানরা এদেশে প্রথম এসেছিল ট্যং ডাইনেষ্টির সময়। ধর্মপ্রচারের কোন মরীয়া উদ্যোগ তখন লক্ষ করা যায়নি। তাই ইসলামের প্রসারে বড় কোন বাঁধাও আসেনি। মুসলমান বনিকরা কনফুসিয়ান,তাওবাদী আর বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের সাথে মিলেমিশে বসবাস করেছে। প্রাচীন ধর্মগুলির তুলনায় ইসলাম অনেক বেশি আধুনিক হওয়ায় জনগণ ধীরে ধীরে এই ধর্মের প্রতি আকৃষ্ট হয়েছে।

বিস্তারিত»

খইমুদ্দির খাট

খইমুদ্দি কখনো কোনদিন খাটে শোয়নি।
এবাড়ী ওবাড়ী গেছে দিনমজুর হিসেবে,
গায়ে গতরে খেটেছে। কাঠমিস্ত্রীর সাথে
শ্রমিক হিসেবে ফুট ফরমাস খেটেছে,
একটা একটা করে অংশ জোড়া লাগিয়েছে।
এভাবেই সে তাদের ঘুমের ব্যবস্থা করেছে।

আনমনে খইমুদ্দি অবাক বিস্ময়ে ভেবেছে,
কি করে এমন খাটের উপর মানুষ ঘুমায়!
খইমুদ্দির জীবনের আধেক রাত কেটেছে
একটি গোয়াল ঘরের স্যাঁতস্যাঁতে কোণে,
বাকী আধেক বাঁশতলার একটি ছাপড়ায়,

বিস্তারিত»

নিঃসঙ্গ এক ফুল

বনের মাঝে কত রঙের ফুল ফোটে,
নীল-বেগুনি, লাল-সাদা আর হলদেটে।
রঙ্গিন ফুলের রঙ্গিন শোভার মাঝখানে,
কোনটা হাসে, কোনটা কাঁদে কে জানে?

প্রজাপতি, ফড়িং এর দল সব ছোটে,
রঙের নেশায়, মধুর আশায়, তা বটে।
পাখনা মেলে হাওয়ায় ভেসে যায় উড়ে,
ফুলের মধু খেয়ে বেড়ায় ঘুরে ঘুরে।

পুষ্পরেনু জড়িয়ে তাদের হাল্কা গায়ে,
বয়ে নিয়ে পাখায় পাখায়,

বিস্তারিত»

আর্থার অ্যাশের উইম্বলডন বিজয়ের ৪০ বছর পূর্তি!

দীর্ঘ ২৭ বছর কারাগারে কাটিয়ে মুক্তির পর নেলসন ম্যান্ডেলা যে গুটিকতক মানুষের সাথে দেখা করার আগ্রহ প্রকাশ করলেন- তাদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন সাবেক উইম্বলডন চ্যাম্পিয়ন আর্থার অ্যাশ! দক্ষিণ আফ্রিকার বর্ণ-বৈষম্য ও সারা পৃথিবীর জাতিগত ভেদাভেদ দূর করার অভিপ্রায়ে এই দু’জন কিংবদন্তীর মধ্যে দারুণ বন্ধুত্ব গড়ে উঠেছিল! পরবর্তীতে তাঁরা এইডস এর ব্যাপারে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য কাজ করেছেন। শেষ পর্যন্ত সেই এইডস এর করাল গ্রাসেই ১৯৯৩ সালে আর্থার অ্যাশ এর জীবনের অবসান ঘটে।

বিস্তারিত»

প্রথম দিন

১। নোঙ্গর তোলা

উনিশ শো আটাত্তরের জুন, বাংলা তেরোশো পঁচাশি সনের আষাঢ় মাস। সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশ সবে সাত বছরের কিশোর তখন। মৌসুমী হাওয়ায় বঙ্গোপসাগরের জলভরা মেঘ এসে বাংলার সবুজ প্রান্তরের উপরে ফেলেছে প্রগাঢ় ছায়া। দুরন্ত ছেলের মত থেকে থেকে মাটির বুকে আছড়ে পড়ে ঝমাঝম বৃষ্টি। আবার ক্ষনিকের বিরতিতে সূর্য তার রাজ্যপাট দেখে যায়। এই মেঘবৃষ্টি রৌদ্রছায়ার খেলায় বিভোর যখন চরাচর, আমি এবং আমার মতো আরো জনা পঞ্চাশেক কিশোরের জীবনে এক আশ্চর্য্য ভ্রমনের শুরু ঠিক অখন।

বিস্তারিত»

মিল-অমিলের খেলা

এবার একটু মিলের কথা পাড়ি। ছন্দ বুঝা যতটা কঠিন, মিল কিম্বা অমিল বুঝা ততোটা নয়। জানি, ‘সহজ কথা যায় না বলা সহজে’। তবু এ সামান্য প্রয়াস।

কথা যখন বলব তখন কোন একটি কবিতাকে তো বেছে নিতে হয়, তাই না? এমন একজন কবির সন্ধান করা যাক, যিনি আধুনিক কবি হিসেবে পেয়েছেন ব্যাপক খ্যাতি। সাকুল্যে ১৩০ খানা কবিতা লিখেছেন মাত্র। তবু মহৎ পাঁচের খাতায় নাম লিখিয়েছেন অনায়াসেই।

বিস্তারিত»

আবোলতাবোল বাজনা – ৩

রাগ ভীমপলাশী। শুনলেই কেন জানি বিষণ্ণ হয়ে পড়ি। এত দীর্ঘ বাদনের শেষপর্যন্ত যেতে পারাটা চ্যালেঞ্জিং হবে।
প্রচুর বিচ্যুতি এবং ভুলভালসমেত নিবেদন করছি। আলস্য এবং অক্ষমতা কবুল করতঃ ক্ষমাপ্রার্থনা করছি।

বিস্তারিত»

থ্রি মিলিয়ন চিয়ার্স ফর অল দোওজ ফ্রেন্ডস সিন্স থার্টি সেভেন ইয়ার্স । অল দোওজ ফ্রেন্ডস ফর এভার ।

[ কলেজের প্রথম দিনের প্রথম স্মৃতির টুকরোগুলো যা উজ্জ্বলতম পূর্ণচাঁদকে ছাপিয়ে অম্লান থাকে আমাদের সবার মনে, সেই কথা ফি বছর একবার করে ভাগাভাগি করি নিশ্চিত বছরের অন্তত এই একটি দিনে । হ্যাঁ । এই ২৫ জুন ছিলো আমাদের ইনটেক ডে । সেইদিন সূর্য সমান উজ্জ্বল সখ্যতার প্রতি স্মৃতিশ্রদ্ধার্ঘ্য আর ভালোবাসায় আমার ফেসবুক উচ্চারণ্টুকু এখানেও দিলাম । আমাদের সবার এমন দিনের অনুভূতির বিম্বিক সাযুজ্যের কথা ভেবে ।

বিস্তারিত»

বাসর

বলবো না কথা আর কারো সাথে এখন গভীর রাত
চামচিকি বাদুর উড়ছে আঁধারে আকাশে বুড়ো চাঁদ ,
চুপচাপ বুকের ভিতরে মুখ সুখে অকাতরে বিভোর
জোছনার লুটোপুটি প্লাবিত জোয়ারে পরান দুয়োর।
শুভ্র কামিনি জেগে সারারাত সোহাগে গন্ধ মাতাল
বাহূডোরে বাঁধা আকসিলতা পোড়া মন মগ্ন উথাল,
জোনাকির আলো নিভে জ্বলে মিটিমিটি তারার হাসি
হাস্নাহেনার সুবাস মদির দখিনা বাজায় মরমি বাঁশি।

বিস্তারিত»

চীনের মসজিদ ২

চীনের মসজিদ ১

মিনিট দশেক অপেক্ষার পর বাস পাওয়া গেল।বাসে বসার জায়গা খালি নেই। দাড়ানোর জায়গা পাওয়াই মুসকিল। কেভিন বলল আমাদের যেতে হবে শেনহুই রোড হয়ে । সুয়ালং মেট্রোস্টেশনের নিচ থেকে ছড়বে আমাদের বাস। ১২ মিনিটে পৌছলাম শেনহুই রোড। দূরত্ব খুব বেশি নয়, মাঝে ৫টি স্টপে থামার জন্যে সময় বেশি লাগে। শেনহুই রোডের কাছে লোঙ্গাং লাইনের শেষ স্টেশন সুয়ালং। শেনঝেন মেট্রোর পাঁচটি লাইনের অন্যতম এই লাইনটি ২০০৫ সালে চালু করা হলেও,

বিস্তারিত»

আমাদের এন্টোনিও

২০৬৫ সাল……

ভিক্টোরিয়ার আন্তঃপ্রদেশ ক্রিকেট শিল্ডের ফাইনাল ম্যাচ। শেষ বলে দরকার ৪ রান।ব্যাটিংয়ে ভিক্টোরিয়া হিরোজ এর ক্যাপ্টেন গ্রাহাম আর বোলিংয়ে মার্লবরো ইউনাইটেডের বাংলাদেশী বংশদ্ভুত ১৬ বছরের তরুন তুর্কি খালিদ।টান-টান উত্তেজনা। কে জিতবে?? বল করল খালিদ। পুরা স্টেডিয়াম ফেটে পড়ল উল্লাসে।শেষ বলে গ্রাহামের মিডল স্ট্যাম্প উড়িয়ে দিলো খালিদ। আর তারপর সেই চিরচেনা উদযাপন। ম্যাচ এর পর খালিদের বেস্ট ফ্রেন্ড ফিলিপ এসে বলল, কিরে তুই নাকি ফুটবল পছন্দই করিস না!!

বিস্তারিত»

প্রতিকার

হাত বাড়ালেই যদি মেলে
গণিকা বা গঞ্জিকা
এমন হলে খবর খারাপ
তোলা তোলে রাজ পেয়াদা।
মানি লোকের মান থাকে না
সত্য বলে বোকা হয়
ধান্দাবাজে ফন্দী খোঁজে
সাদা মগজ ধোলাই হয়।
অল্প বিদ্যা চরম ভাবে
সত্য মিথ্যা জড়িয়ে ভবে
বর্ষে শুধুই বিপর্যয়।
নইকো মোরা আলাদা কেউ
বিশ্বমানব দল থেকে
বাঁচতে এবং বাঁচাতে হবে
বিপদ থেকে বিশ্বকে।

বিস্তারিত»

অাট বাহানা

[ মাদকাসক্তের বাহানা ]

এক

যে ভাবে দিন যায় চলে যাক
তোমরা দেখ পঞ্জিকা
লালন শাহের ভক্ত আমি
সাধন করি গঞ্জিকা।

দুই

দুই এক ছিলিম
টানলে ভায়া
হবে না কেউ রোগী
তার মহিমায়
শিব ঠাকুরে হলেন
মহা যোগী।

তিন

বারাক হুসেন ওবামা
কৈশরতে ছিলিম টেনে
সাথে নিয়ে ভাই ব্রাদার
তিনি বটেন ইয়াঙ্কিদের
হাল জমানার সরদার।

বিস্তারিত»

নী ল ম স লি ন

~ এক ~

হেমন্তের রোদের এমন তেজ। অবাক করা ব্যাপার। বছরের এই সময়ের কোন দিনের এমন খরতপ্ত ধৃষ্টতা ! স্মৃতির দেরাজ হাতড়ে পাওয়া গেলো না কিছুতেই। বেশ কিছুক্ষণ হলো সমীক হাঁটছে। ব্যস্ত, বাধা-বিঘ্নময় ফুটপাত। তবু আজ তুলনামূলকভাবে অনেক কম মানুষ পথে। হাঁটছে আরও কম জন। যাদের বেরুতেই হবে তেমন কেউ বাদে অন্যরা বোধ করি কেউই আজ বাইরে নেই।

রিকসা, স্কুটার, কিছুই মিলছিলোনা।

বিস্তারিত»