ডাক্তারী পড়া হইলো না আর

(BCS-কর্তৃক ছ্যাঁকা খাইয়াও ব্যাকা না হওয়ায় জুনায়েদ কবীর ভাইকে উৎসর্গ করে এই লেখাটি। সমস্ত লেখা জুড়ে আপনাদের চোখে পড়বে আমার অতিরিক্ত বায়োলজি-প্রিয়তার নিদর্শন।)

ভার্সিটি লাইফের শেষ পরীক্ষা শেষ করিলাম। এখন আমি একজন প্রকৌশলী। ;)) জীবনের এই টার্নিং পয়েন্টে আসিয়া একখানা আফসোসের বিস্ফোরনঃ ডাক্তারী পড়া হইলো না আর। ;;)

মনে পড়ে, যেইদিন ১ম শ্রেনীতে ভর্তি হইতে যাইব। স্কুলের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হইবো, বাবাও রেডি,

বিস্তারিত»

কলেজ জীবনের Ctrl+Z আর Ctrl+Y গুলো…

প্রথম পোস্টে জীবনে রিউইণ্ড-পজ-প্লে আর undo সম্পর্কে লিখেছিলাম। ভাবনা যখন লিখা হয়ে ভূমিষ্ঠ হয় তখন মনে হয় এর ডালপালা গজাতে থাকে। আমার বেলা হলও তাই। Undo কথাটা লিখার পরেই মনে হল আচ্ছা সুযোগ পেলে আর কি কি undo করতাম আমি। কল্পনাই যখন করছি, তখন redo নিয়ে চিন্তা করতে তো বাধা নেই। (লেখাটা আমাদের ব্লগের সাইন্স ফিকশন গুরুদের ‘যোগাযোগ মডিউলে’ একটা চিন্তার খোরাক দিতে পারে)।

সত্যিই যদি জীবনের কিবোর্ডে Ctrl+Z প্রেস করা যেত তাহলে এই সমস্ত ইভেণ্টগুলোকে undo করতামঃ (সংগত কারণে সারা জীবনের ইপ্সিত undo গুলো ক্লাসিফায়েড,

বিস্তারিত»

“যুদ্ধাপরাধের বিচার শুরু হোক, রায় যা হয় আমরা মেনে নেবো”

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার দেশে ইতিমধ্যে একটা প্রধান ইস্যুতে পরিণত হয়েছে। নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে মহাজোটের ভূমিধ্বস বিজয়ের পেছনেও কাজ করেছে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারে তাদের দেওয়া প্রতিশ্রুতি। তারা সেটা করবে বলে এখনও ওয়াদা করে যাচ্ছে। আমরা তাদের প্রতিশ্রুতিতে বিশ্বাস স্থাপন করতে চাই।

আমাদের মুক্তিযুদ্ধের মতোই গুটিকয় মানুষ ছাড়া যুদ্ধাপরাধীদের বিচার দাবিতে আজ গোটা দেশ ঐক্যবদ্ধ। যুদ্ধাপরাধীদের পক্ষ নিয়ে জামাত এবং এর সহযোগী বলে পরিচিত চিহ্নিত পক্ষটিও আজ তেমন জোরালোভাবে বিচারের বিরোধীতা করতে পারছে না।

বিস্তারিত»

পোস্ট যখন গান নিয়েই….তবে তাই সই…..কলেজের সময়ের গান

ক্যাডেট কলেজের সময়টুকুতে অনেক কিছুর সাথে মনে হয় গানটাও শুনতে শিখেছিলাম। যতদূর মনে পড়ে গান-পাগলামিটা সেভেন-এইট থেকেই শুরু। ঢাকার ছেলে, ঢাকায় থাকি – তাই ঢাকার হাওয়াটাই গায়ে লেগেছিল। বাংলায় সোলস-মাইলস-ফিডব্যাক-চাইম এর সাথে ইংরেজি গানের দিকে যে কখন ঝুঁকে পড়লাম, টেরই পেলাম না।

বিস্তারিত»

মন খারাপ হলে আমি শুনি বব মার্লের ‘গেট আপ স্ট্যান্ড আপ’

গায়ক বব মার্লেকে (অথবা মার্লি) কোনো বিশেষণে আখ্যা দেয়া আমার পক্ষে অসম্ভব। একরকম বালককাল থেকে অবশ্য ফৌজদারহাটে তার গানের সঙ্গে পরিচয়। জনপ্রিয়তার তুঙ্গে এক গায়ক। মুখে মুখে ফিরতো তার গান, “নো ওমেন, নো ক্রাই”, “বাফালো সোলজার” তো বটেই আমার প্রিয় হয়ে ওঠেছিল, “গেট আপ স্ট্যান্ড আপ”। বন্ধু শাহীন (এখন কানাডা প্রবাসী) তো গানটিকে তার জাতীয় সংগীতে পরিণত করেছিল।

সংবাদপত্রের জগতে ঢুকে মাথা থেকে গান,

বিস্তারিত»

লালনের গান আনুশেহ’র গলায় আর মিনারের গলায় ‘সাদা’

লালনের (১৭৭৪-১৮৯০) প্রেমে মগ্ন নয়, এমন বাঙালি কমই আছে। লালনের গীতিকবিতা সহজ-সরল, কিন্তু অসাধারণ। আমার তো মনে হয়, লালন এখন বেঁচে থাকলে আর এসব গান গাইলে তাকে নির্ঘাৎ মুরতাদ ঘোষণা করা হতো। হয়তো দাউদ হায়দার বা তসলিমার মতো পালিয়ে বাঁচতেন, নয়তো হুমায়ুন আজাদের মতো কুড়ালের নিচে যেতো মাথাটা।

“প্রাতিষ্ঠানিক ধর্ম ও শাস্ত্রকে অগ্রাহ্য-অস্বীকার করে তিনি যে মরমী ভূবন নির্মাণ করেছেন তা মানবিক চেতনা ও বোধে ঋদ্ধ।”

বিস্তারিত»

অদ্ভূত মুগ্ধতা নিয়ে শুনি সাবিনার গলায় “সুন্দর সুবর্ণ”

আরেকটি অসাধারণ গান। দেশ নিয়ে। মনটাকে এক অদ্ভূত মুগ্ধতায় নিয়ে যায়। “সুন্দর সুবর্ন তারুণ্য লাবন্য অপূর্ব রূপসী রূপেতে অনন্য/ আমার দুচোখ ভরা স্বপ্ন ও দেশ তোমারই জন্য”।

সাবিনা ইয়াসমিনের দারুণ মিস্টি গলায় গানটি প্রাণ পেয়েছে। শুনতে শুনতে যেন গোটা দেশটা চোখের সামনে ভেসে বেড়ায়। আমার ভীষণ প্রিয় গান।

Sundor Suborno : Sabina Yasmin

বিস্তারিত»

যদি লাইফটাকে রি-উইন্ড করা যেত

মাঝে মাঝেই কল্পনা করি – যদি লাইফটাকে রি-উইন্ড করা যেত, তাহলে কোথায় গিয়ে থামতাম। একটা রেডিমেড উত্তর আছে আমার কাছে। ক্যাডেট কলেজের ক্লাস ইলেভেন-এ। ওখানে জীবনটাকে নিয়ে যেয়ে একটা দুই-নম্বরী কাজ করতাম। ‘প্লে’ বাটন এর জায়গায় ‘পজ’ বাটনটা চেপে দিলাম পারমানেণ্ট ভাবে।

ক্লাস ইলেভেন এর লর্ডের স্টাইলে জীবন কি আর ফিরে আসবে? আমি নিশ্চিত যে আমারা সবাই এই ক্লাসটাকে এনজয় করেছি যার যার মত।

বিস্তারিত»

আপাতত সটান চিন্তা

একটু পরে একটা ক্লাশে ঢুকতে হবে। কন্ট্রোল সিস্টেমস এর ক্লাশ। মোট ছাত্রসংখ্যা পঞ্চাশ। ক্লাশে ঢুকতেই ড্যাব ড্যাবে ১০০টা চোখ আমার দিকে চেয়ে থাকবে। তাদের সরলরৈখিক দৃষ্টিতে বিদ্ধ হতে হতে ডায়াসে উঠবো, তারপরে রোলকল্‌, এবং গত ক্লাশের কথা বার্তা একটু বলে বকবক শুরু করবো। কন্ট্রোল একটা বাজে সাবজেক্ট, গাদাগাদা ল্যাপ্লাস করতে হয়। ইলেক্ট্রিকালের যে স্যারটা পড়াতেন, তিনি বড়ো বিশ্রিভাবে পড়িয়েছেন। কিছু বুঝিনি তখন। পি.এল.-এ গায়ে বাতাস লাগিয়ে বেড়ালাম।

বিস্তারিত»

ক্যাডেট কলেজের দিনগুলো- (৪)

আমার ক্যাডেট জীবনে শিক্ষকদের পরিচিতি

আমি আমার আমার ক্যাডেট জীবনে যে সকল শিক্ষকদের পেয়েছি তাদের অবদান আমার কাছে অনেক গুরত্নপূর্ন এজন্য যে বাবা মা বাদে যা শিখেছি তার বেশিরভাগই শিক্ষকদের কাছ থেকে পাওয়া। আর আমার জীবনের সবচেয়ে সুন্দর সময় ছিলো ক্যাডেট জীবন। যে সকল শিক্ষকদের সংস্পর্শে এসেছি তাদের নাম দিলাম। পরে তাদের ব্যাপারে লিখবো।

বিস্তারিত»

উত্তপ্ত কড়াই থেকে জ্বলন্ত চুলায় : দুই

ভোটের ফলাফল দেখে-জেনে বেশ আতংকিত হয়েই পরদিন ৩০ ডিসেম্বর সিসিবিতে লিখেছিলাম, “উত্তপ্ত কড়াই থেকে জ্বলন্ত চুলায়”। এটা নিয়ে ব্লগে বেশ প্রাণবন্ত আলোচনাই হয়েছিল। অনেকে আমার মতোই সংশয় জানিয়েছিল। আবার অনেকে ছিল আশাবাদী। মনে করেছিল, অতীত থেকে শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগ শিক্ষা নেবে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে মহাজোট মন্ত্রিসভা শপথ নেয় ০৬ জানুয়ারি।

ভোটের পর সময় গেছে তিন সপ্তাহ, আর সরকার গঠনের পর দুই সপ্তাহ।

বিস্তারিত»

প্রবাসে প্রলাপ ০০৩

গত সপ্তাহ পুরাটা জুড়ে অসুস্থ হয়ে ঘরে শুয়ে শুয়ে দিন কাটিয়েছি। সেটা থেকে বের হয়ে এই সপ্তাহে কেমন যেন কোথাও যেতে নিলেই খালি মনে হয় অসুস্থ ছিলাম আর যাই ছিলাম গত সপ্তাহ তো কোথাও বের হতে হয়নি শান্তিই ছিল। টার্মের শেষের দিকে এসে এখন পড়ালেখার কথা মাথায় আনতে হচ্ছে ভার্সিটিতেও দেখি বেশ কিছু রিপোর্ট জমে গেছে। যাই হোক কষ্ট করে এক মাস কাটিয়ে দিতে পারলে পরের দেড়মাস ছুটি কাটাব আপাতত সেটাই গিয়ার।

বিস্তারিত»

লাইবেরিয়া : ভূ-প্রকৃতি ও জলবায়ু

এখানের একটা লেবানিজ দোকানে মালামাল অর্ডার করে অপেক্ষার ফাঁকে মালিক ভদ্রলোকের সাথে কথা হচ্ছিল। আমাদের ইউনিফর্মের সাথে দেশের নাম আর পতাকা লাগানো থাকে বলে অনেক সময়ে সেটাই হয় কথা শুরু করার প্রথম টপিক। দোকানদার ভদ্রলোক কথায় কথায় আমাদের জনসংখ্যা জানতে চাইলেন। সংখ্যাটা ১৬০ মিলিয়ন জানতে পেরে চোখ কপালে তুলে দিয়ে বললেন, “ইউর কান্ট্রি মাস্ট বি ভেরি বিগ”। আমি খানিক হেসে তাকে জানালাম আমার দেশ লাইবেরিয়ার চাইতে সামান্য একটু বড়।

বিস্তারিত»

তথ্য চাই

তথ্য সংগ্রহের জন্য সাময়িক ব্লগ
আমার এই লিখাটি আসলে কোন ব্লগ নয়। এই লিখা মূলত সবার জন্য যারা আমকে তথ্য দিয়ে সহায়তা করতে পারবেন। আমি শুধু হুজুগের বশবর্তি হয়ে সিসিবিতে লিখতে গিয়ে ধরা খেয়ে গেছি। যেহেতু ক্যডেট কলেজে ওয়াল ম্যগাজিন বা বার্ষিকিতে কখনও কিছু লিখার স্থান পায়নি তাই ভাবলাম, এখানে একটু ফুটায়। কারন এখানে তো হাউস মাস্টার বা হাউস টিউটর নাই যে আমার লিখা নিয়ে বলবে,”

বিস্তারিত»

ক্যাডেট কলেজের দিনগুলো- (৩)

পরিচিতি পর্ব

দ্বিতীয় দিন আমদের ক্লাশ সেভেন এর নতুন বই ইস্যু করা হলো। আমরা যেহেতু প্রথম ক্লাশ সেভেন তাই বইগুলো আনকোরা নতুন। আমরা হাউস টিউটর ফনি ভূষণ বোশ সারের কাছে প্রত্যেকে ৫০ টাকা করে জমা দিলাম। কারন তখনকার দিনে ক্যাডেটদের জন্য মাসে ৫০ টাকা খরচ করা খুব কঠিন ছিল। তাছাড়া যেহেতু কোন ক্যন্টিন ছিলনা বিধায় খরচ করবো বা কোথায়? আমদের খরচ বলতে পেন্সিল,

বিস্তারিত»