অনেকদিন কিছুই লেখা হচ্ছে না। পড়ালেখার মধ্যে থাকলে ৬ মাস অন্তর অন্তর সবাইকে যে একখানা ঝামেলায় পড়তে হয় আমি এখন সেই ঝামেলায় আছি। সামনে পরীক্ষা ১০ তারিখে শুরু হবে। ক্লাস শেষ হয়ে গেছে, সারাদিন তাই বাসায় বসে বসে পড়ার চিন্তাভাবনা করি কখনো পড়তে বসি আবার কিছুক্ষণ পরেই দেখি পড়া বাদ দিয়ে অন্য কাজ শুরু করে ফেলেছি। এই যাচ্ছে কিছুদিন। তাই বলে অবশ্য আমার অন্য কোন কাজ থেমে নেই এই শনিবারে গিয়েছিলাম এক বড় ভাইর বাসায়।
বিস্তারিত»সিসিবির সবার কাছে খোলা চিঠি
আমার দূর্ঘটনা ঘটে ২৮শে জানুয়ারী ২০০৯ বিকাল ৪টা ৫মিঃ এ আর আমি লেভেল-৩ হাসপাতাল থেকে হাতে পায়ে ধরে ছাড়া পাই ৩রা ফেব্রুয়ারী। জর্ডান হাসপাতালের চিকিৎসা খুবই উন্নতমানের কিন্তু ওখানকার খাবার আর কয়দিন খাইলে আমি আরো অসুস্থ হয়ে যেতাম। এমনিতে হাই এ্যন্টিবায়োটিক খাচ্ছি তারপর না খাওয়ার জন্য আরো দুর্বল হয়ে যাচ্ছিলাম।
ঠিক এই মূহুর্তে আমার ঘটনার সম্পুর্ন বিবরনী দেওয়ার একটু অসুবিধাও আছে। হয়তো ছ’মাস বা আরো পরে লিখবো ব্লগে ( ইতিমধ্যে ইংরেজীতে লিখে ফেলেছি বোর্ড অফ ইঙ্কয়ারির জন্য।) এখনো ইউ এন কতৃপক্ষ মৃত ব্যাক্তিদের প্রাপ্য টাকা পয়সা (কম্পেন্সেসন) বুঝিয়ে দেয়নি।
বিস্তারিত»কোন মন্তব্য নয়
বই পড়া, বই কেনা
বই পড়ার অভ্যাসটা পেয়েছি আমার মায়ের কাছ থেকে। আমার মা বই কিনেও পড়তেন। তবে গ্রামে বড় হওয়া আমার মায়ের সংগ্রহশালায় ছিল নীহাররঞ্জন, ফাল্গুনি, আশুতোষ আর নিমাই ভট্টাচার্য। মনে আছে অল্প বয়সে নীহাররঞ্জনের কালো ভ্রমর পড়ে মুগ্ধ হয়েছিলাম। কাহিনী এখন আর কিছুই মনে নেই, তবে মুগ্ধ হয়েছিলাম সেটা বেশ মনে আছে।
নাখালপাড়া থাকতে তেজগাঁও পলিটেকনিক স্কুলে পড়েছিলাম ক্লাস ফোর থেকে সেভেন পর্যন্ত। স্কুলে ঢোকার মুখেই ছিল বইয়ের দোকান,
টুশকির ছোট ভাই পুশকি (খুশকি – ১)
সায়েদের টুশকি গুলো যখন পড়ি তখন নিজের জীবনের অনেক ঘটনা মনে পড়ে যায় আমার। কিন্তু ওর মতো সুন্দর করে গুছিয়ে লিখতে বা উপস্থাপন করতে পারিনা। আজ কয়েকটা ঘটনা একসাথে মনে পড়ায় ভাবলাম একটু চেষ্টা করে দেখিনা। টুশকি না পারি, এর কাছাকাছি কিছুটা যদি পারি তাতে দোষ কি সবার সাথে শেয়ার করতে? কিন্তু নামকরন নিয়ে আবার পড়লাম বিপদে। নতুন নাম দেয়াটাও একটা কঠিন কাজ হয়ে দাড়ালো আমার জন্য,
বিস্তারিত»ডাক্তারী পড়া হইলো না আর
(BCS-কর্তৃক ছ্যাঁকা খাইয়াও ব্যাকা না হওয়ায় জুনায়েদ কবীর ভাইকে উৎসর্গ করে এই লেখাটি। সমস্ত লেখা জুড়ে আপনাদের চোখে পড়বে আমার অতিরিক্ত বায়োলজি-প্রিয়তার নিদর্শন।)
ভার্সিটি লাইফের শেষ পরীক্ষা শেষ করিলাম। এখন আমি একজন প্রকৌশলী। ;)) জীবনের এই টার্নিং পয়েন্টে আসিয়া একখানা আফসোসের বিস্ফোরনঃ ডাক্তারী পড়া হইলো না আর। ;;)
মনে পড়ে, যেইদিন ১ম শ্রেনীতে ভর্তি হইতে যাইব। স্কুলের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হইবো, বাবাও রেডি,
বিস্তারিত»কলেজ জীবনের Ctrl+Z আর Ctrl+Y গুলো…
প্রথম পোস্টে জীবনে রিউইণ্ড-পজ-প্লে আর undo সম্পর্কে লিখেছিলাম। ভাবনা যখন লিখা হয়ে ভূমিষ্ঠ হয় তখন মনে হয় এর ডালপালা গজাতে থাকে। আমার বেলা হলও তাই। Undo কথাটা লিখার পরেই মনে হল আচ্ছা সুযোগ পেলে আর কি কি undo করতাম আমি। কল্পনাই যখন করছি, তখন redo নিয়ে চিন্তা করতে তো বাধা নেই। (লেখাটা আমাদের ব্লগের সাইন্স ফিকশন গুরুদের ‘যোগাযোগ মডিউলে’ একটা চিন্তার খোরাক দিতে পারে)।
সত্যিই যদি জীবনের কিবোর্ডে Ctrl+Z প্রেস করা যেত তাহলে এই সমস্ত ইভেণ্টগুলোকে undo করতামঃ (সংগত কারণে সারা জীবনের ইপ্সিত undo গুলো ক্লাসিফায়েড,
বিস্তারিত»“যুদ্ধাপরাধের বিচার শুরু হোক, রায় যা হয় আমরা মেনে নেবো”
যুদ্ধাপরাধীদের বিচার দেশে ইতিমধ্যে একটা প্রধান ইস্যুতে পরিণত হয়েছে। নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে মহাজোটের ভূমিধ্বস বিজয়ের পেছনেও কাজ করেছে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারে তাদের দেওয়া প্রতিশ্রুতি। তারা সেটা করবে বলে এখনও ওয়াদা করে যাচ্ছে। আমরা তাদের প্রতিশ্রুতিতে বিশ্বাস স্থাপন করতে চাই।
আমাদের মুক্তিযুদ্ধের মতোই গুটিকয় মানুষ ছাড়া যুদ্ধাপরাধীদের বিচার দাবিতে আজ গোটা দেশ ঐক্যবদ্ধ। যুদ্ধাপরাধীদের পক্ষ নিয়ে জামাত এবং এর সহযোগী বলে পরিচিত চিহ্নিত পক্ষটিও আজ তেমন জোরালোভাবে বিচারের বিরোধীতা করতে পারছে না।
বিস্তারিত»পোস্ট যখন গান নিয়েই….তবে তাই সই…..কলেজের সময়ের গান
ক্যাডেট কলেজের সময়টুকুতে অনেক কিছুর সাথে মনে হয় গানটাও শুনতে শিখেছিলাম। যতদূর মনে পড়ে গান-পাগলামিটা সেভেন-এইট থেকেই শুরু। ঢাকার ছেলে, ঢাকায় থাকি – তাই ঢাকার হাওয়াটাই গায়ে লেগেছিল। বাংলায় সোলস-মাইলস-ফিডব্যাক-চাইম এর সাথে ইংরেজি গানের দিকে যে কখন ঝুঁকে পড়লাম, টেরই পেলাম না।
বিস্তারিত»মন খারাপ হলে আমি শুনি বব মার্লের ‘গেট আপ স্ট্যান্ড আপ’
গায়ক বব মার্লেকে (অথবা মার্লি) কোনো বিশেষণে আখ্যা দেয়া আমার পক্ষে অসম্ভব। একরকম বালককাল থেকে অবশ্য ফৌজদারহাটে তার গানের সঙ্গে পরিচয়। জনপ্রিয়তার তুঙ্গে এক গায়ক। মুখে মুখে ফিরতো তার গান, “নো ওমেন, নো ক্রাই”, “বাফালো সোলজার” তো বটেই আমার প্রিয় হয়ে ওঠেছিল, “গেট আপ স্ট্যান্ড আপ”। বন্ধু শাহীন (এখন কানাডা প্রবাসী) তো গানটিকে তার জাতীয় সংগীতে পরিণত করেছিল।
সংবাদপত্রের জগতে ঢুকে মাথা থেকে গান,
বিস্তারিত»লালনের গান আনুশেহ’র গলায় আর মিনারের গলায় ‘সাদা’
লালনের (১৭৭৪-১৮৯০) প্রেমে মগ্ন নয়, এমন বাঙালি কমই আছে। লালনের গীতিকবিতা সহজ-সরল, কিন্তু অসাধারণ। আমার তো মনে হয়, লালন এখন বেঁচে থাকলে আর এসব গান গাইলে তাকে নির্ঘাৎ মুরতাদ ঘোষণা করা হতো। হয়তো দাউদ হায়দার বা তসলিমার মতো পালিয়ে বাঁচতেন, নয়তো হুমায়ুন আজাদের মতো কুড়ালের নিচে যেতো মাথাটা।
“প্রাতিষ্ঠানিক ধর্ম ও শাস্ত্রকে অগ্রাহ্য-অস্বীকার করে তিনি যে মরমী ভূবন নির্মাণ করেছেন তা মানবিক চেতনা ও বোধে ঋদ্ধ।”
বিস্তারিত»অদ্ভূত মুগ্ধতা নিয়ে শুনি সাবিনার গলায় “সুন্দর সুবর্ণ”
আরেকটি অসাধারণ গান। দেশ নিয়ে। মনটাকে এক অদ্ভূত মুগ্ধতায় নিয়ে যায়। “সুন্দর সুবর্ন তারুণ্য লাবন্য অপূর্ব রূপসী রূপেতে অনন্য/ আমার দুচোখ ভরা স্বপ্ন ও দেশ তোমারই জন্য”।
সাবিনা ইয়াসমিনের দারুণ মিস্টি গলায় গানটি প্রাণ পেয়েছে। শুনতে শুনতে যেন গোটা দেশটা চোখের সামনে ভেসে বেড়ায়। আমার ভীষণ প্রিয় গান।
Sundor Suborno : Sabina Yasmin
বিস্তারিত»যদি লাইফটাকে রি-উইন্ড করা যেত
মাঝে মাঝেই কল্পনা করি – যদি লাইফটাকে রি-উইন্ড করা যেত, তাহলে কোথায় গিয়ে থামতাম। একটা রেডিমেড উত্তর আছে আমার কাছে। ক্যাডেট কলেজের ক্লাস ইলেভেন-এ। ওখানে জীবনটাকে নিয়ে যেয়ে একটা দুই-নম্বরী কাজ করতাম। ‘প্লে’ বাটন এর জায়গায় ‘পজ’ বাটনটা চেপে দিলাম পারমানেণ্ট ভাবে।
ক্লাস ইলেভেন এর লর্ডের স্টাইলে জীবন কি আর ফিরে আসবে? আমি নিশ্চিত যে আমারা সবাই এই ক্লাসটাকে এনজয় করেছি যার যার মত।
বিস্তারিত»আপাতত সটান চিন্তা
একটু পরে একটা ক্লাশে ঢুকতে হবে। কন্ট্রোল সিস্টেমস এর ক্লাশ। মোট ছাত্রসংখ্যা পঞ্চাশ। ক্লাশে ঢুকতেই ড্যাব ড্যাবে ১০০টা চোখ আমার দিকে চেয়ে থাকবে। তাদের সরলরৈখিক দৃষ্টিতে বিদ্ধ হতে হতে ডায়াসে উঠবো, তারপরে রোলকল্, এবং গত ক্লাশের কথা বার্তা একটু বলে বকবক শুরু করবো। কন্ট্রোল একটা বাজে সাবজেক্ট, গাদাগাদা ল্যাপ্লাস করতে হয়। ইলেক্ট্রিকালের যে স্যারটা পড়াতেন, তিনি বড়ো বিশ্রিভাবে পড়িয়েছেন। কিছু বুঝিনি তখন। পি.এল.-এ গায়ে বাতাস লাগিয়ে বেড়ালাম।
বিস্তারিত»ক্যাডেট কলেজের দিনগুলো- (৪)
আমার ক্যাডেট জীবনে শিক্ষকদের পরিচিতি
আমি আমার আমার ক্যাডেট জীবনে যে সকল শিক্ষকদের পেয়েছি তাদের অবদান আমার কাছে অনেক গুরত্নপূর্ন এজন্য যে বাবা মা বাদে যা শিখেছি তার বেশিরভাগই শিক্ষকদের কাছ থেকে পাওয়া। আর আমার জীবনের সবচেয়ে সুন্দর সময় ছিলো ক্যাডেট জীবন। যে সকল শিক্ষকদের সংস্পর্শে এসেছি তাদের নাম দিলাম। পরে তাদের ব্যাপারে লিখবো।
বিস্তারিত»