আজকে রোদ উঠেছে। চড়চড়ে তামাটে করে দেয়া রোদ। সরাসরি চামড়ার ভাঁজে ঢুকে যাচ্ছে। আমি বাইরে বেরিয়েছি সকালেই, এক বন্ধুর সাথে। সে বাসায় এসেছিল, ওকে নিয়ে বেরিয়েই টের পেয়েছি তুমুল উৎসবে মেতেছে সূর্য। অনেকদূর থেকে তার উত্তাপ আসছে শলাকার মতো বিঁধে ফেলছে আর আমি জড়বৎ সম্মোহিত হচ্ছি। সেই রূপালি-রেলিং পেরিয়ে নিয়মানুগ রিকশায় উঠি/ কালো চামড়ায় ফুলে ওঠা রগ দেখি/ স্বল্পচুল মাথা থেকে গড়িয়ে পড়া জ্বলন্ত ঘাম দেখি।
বিস্তারিত»প্রবাসে প্রলাপ ০০৬
গতকালরাতে আমার ঘুম আসছিল না। শুয়ে শুয়ে কত কথা মনে পড়ে। অনেক আগে একসময় ঘুম না আসলেই একজনকে মেসেজ পাঠাতাম। ভার্চুয়ালি সে এসে আমার মাথায় হাত বুলিয়ে ঘুম পাড়িয়ে দিয়ে যেত। চোখ বন্ধ করলে ঠিক যেন অনুভব করতাম স্পর্শটা। কাল অনেক চেষ্টা করলাম, স্পর্শটা ভুলে গেছি। স্পর্শ মনে করার সেই চেষ্টা আমার ঘুমকে আরো দূরে সরিয়ে নিল। মাথায় হাত বুলানোটা আমার এত্ত পছন্দের।
বিস্তারিত»৪১৩০
ঠাস করে থাপ্পড় মারে সংখ্যাটা, প্রতিবার…যতবার দেখি।…থাপ্পড় খেয়ে আমি আবার কিছু বলি না, চুপচাপ খেয়ে যাই, ভালই লাগে, একটা নিষ্ঠুর আনন্দ হয়।
আর আমি… সেদিন উলটে ফেলেছিলাম বলে, আমার চারহাজার একশ তিরিশ হয়তবা কোনদিন এক বাড়বে, কোনদিন দুই, তারপর তিন, চার করে পাঁচহাজার হবে, কিন্তু আমি প্রতিদিন ঘরেই ফিরবো, আমার নীল নীল সাদা সাদা ঘর, সেখানে স্বপ্নেরা উড়ে বেড়াবে, কিন্তু স্বপ্নগুলো প্রজাপতির মত বসবে না আর কাঁধে,
কলেজের গন্ধ
কতই বা বয়স ছিল আমাদের। ১১/১২/১৩? ঐ অতটুকু বয়সে ছাড়লাম ঘর। আর ফেরা হয়নি। মা-বাবার আদরের সান্নিধ্য ছেড়ে শতাধিক ক্রোশ দূরে এক অজানা অচেনা জায়গাকে কি সহজেই আপন করে নিলাম। আসলেই কি আপন করতে পেরেছিলাম? হোম-সিকনেস আর ‘কলেজ ফিলিংসের’ একটা দ্বৈতস্বত্বা কি বাস করেনি আমার মাঝে? কলেজে থাকতে বাড়ির টান, আর ছুটিতে থাকতে কলেজের টান – এই দুইয়ের মাঝে পার করে দিলাম শৈশব-তারুণ্যের ছয় ছয়টি বছর।
বিস্তারিত»মানুষ ভালোবাসে পাগলের মতো, বোকার মতো নয়
আজ ভালোবাসা দিবস। সিসিবি’র সবাইকে আজকের দিনটিতে প্রচণ্ডরকম ভালোবাসা জানাচ্ছি। ভীষণ ভালোবাসার মানুষকে একেবারে বুকে আগলে ধরে যেভাবে পাগলের মতো ভালোবাসে, সেভাবেই। তোমাদের খুব কম মানুষকেই আমি মুখোমুখি দেখেছি, অধিকাংশকেই কখনো দেখিনি, কথা বলা তো দূরের কথা। অথচ এই ব্লগের মাধ্যমে তোমরা সবাই আমার কতো চেনা, কতো আপন, কতো ভালোবাসার- সেটা প্রতি মূহুর্তেই উপভোগ করি।
বলতে পারো, এইটা আর নতুন কি? আপনি তো প্রায়ই সেটা বলেন।
বিস্তারিত»১৯৭১ সাল -আমার দেখা প্রথম মুক্তিযোদ্ধা
সিসিবিতে এসে দেখলাম আজ মাত্র একটা পোস্ট। ভাবলাম আগামি কাল পোলাপান মন্তব্য করবে কিসে। তাই সামুতে প্রকাশিত আমার একটা গল্প আজ দিয়ে দিলাম এখানে। গল্প হলেও এটা একটা সত্যা ঘটনা। ২/১ মাস এদিক ওদিক হতে পারে কারন ৩৭ বছর আগের ঘটনা সম্পূর্ন স্মৃতি থেকে লেখা।
প্রায় ৩৭ বছর আগের ঘটনা। আমার বয়স তখন চার বছরের একটু বেশি।
বিস্তারিত»প্রবাসে প্রলাপ ০০৫
জুলহাস ভাইর টানা ৪টা পোস্ট পড়ে বিশাল অনুপ্রাণিত হয়ে গেলাম। আসলেই দেশের জন্য চায়ের কাপে আড্ডা ছাড়া কোনদিন কিছু করেছি বলে মনে পড়ছে না। রাজনীতিতে নামব বলে অনেক স্বপ্ন ছিল। কিন্তু দেশের বাইরে চলে এসেছি আর বাসায় যখন এটা বলতাম তখন সবাই মিলে ঝাড়ি দিত। জুলহাস ভাইর লেখা পড়ে অনেকক্ষণ ভাবলাম কি করা যায়। সবসময় এইসব নিয়ে কথা হয় কিন্তু কখনই শেষ পর্যন্ত কেউ কোন প্রস্তাবনা দেয় না।
বিস্তারিত»মেডেল প্যারেড ২০০৯ (আনমিল, বাংলাদেশ কন্টিনজেন্টস্)
গতকাল লাইবেরিয়াতে হয়ে গেল আমাদের এতদিনের বহু প্রতীক্ষিত “মেডেল প্যারেড”। দীর্ঘ দেড় মাস প্যারেড অনুশীলনের পর আমাদের এই ফাইনাল প্যারেড হলো। শেষ হলো আমাদের মেডেলের প্রতীক্ষার পালা। আমরা সবাই ইউ এন মেডেল পেলাম। প্যারেডের পরে হলো কেক কাটা, প্রীতি ভোজ এবং একটি কালচারাল প্রোগ্রাম। সমস্ত দিনের উল্লেখযোগ্য কিছু ছবি নিয়ে আমার আজকের এই ব্লগ, সেই সাথে আমার প্রথম ছবি ব্লগ
বিস্তারিত»ক্যাডেট কলেজের দিনগুলো- (৫)
ক্লাশ সেভেনে আমদের রুমমেট, বেস্টফ্রেন্ড আর কিছু ক্লাশমেটের কথা :
আমার রুমমেট দিয়েই শুরু করি। আমাদের কলেজের রুমগুলি পুরাতন ক্যাডেট কলেজের মতো নয়। রুমগুলো ছোট ছোট এবং এক রুমে তিনজন করে থাকতে হতো। আমার রুমমেট ছিল মোঃ খালেকুজ্জামান জর্জ( ১২৭) এবং মোঃ রেজাউল হক ( ১৪৯)। নতুন ক্যডেট কলেজ হবার সুবাধে আমরা কেউ ইংরেজীর চর্চা করতাম না। জর্জ সুযোগ পাক না পাক ইংরেজীতে কথা বলার চেষ্টা করতো এবং ক্যাডেট কলেজ সম্পর্কে অনেক কিছু আগে থেকে জানতো,
বিস্তারিত»মেমেন্টো
ইউনিভার্সিটিতে ক্লাস না করার শাস্তি আমি এখনো মাঝে মাঝে পাই। একবারে পথে ঘাটে।
ফার্স্ট ইয়ারে আমি কার্জন হল ভালো করে চিনতামই না। দিনরাত কাটতো কলাভবনে। টিএসসিতে। ওখানে মেয়েরা কতো সুন্দর করে সেজেগুজে আসে। দেখলেই মন ভালো হয়ে যায়। তার তুলনায় কার্জন হলের মেয়েরা একেবারে রসকষহীন। যেমন ডিপার্টমেন্ট, তেমনি তার ছাত্রী। দুই একটা ব্যাতিক্রম অবশ্য ছিলো। যেমন জুয়োলজি। আমরা বলতাম ‘লিপ্সটিক সাইন্স।’ এই নামের অবশ্য একটা মাহাত্ম্য ছিলো।
বিস্তারিত»ফেব্রুয়ারির নবমঃ দৈনিক খবরাখবর এবং বিষয়াশয়, অনুষঙ্গ
তেরছা হয়ে বাঁধা মশারিটা সকালে জানিয়ে দিল, এরকম অযত্নে টাঙানো হলে সে কালকে থেকে ধর্মঘট শুরু করবে। আমি সব শুনে একটু নিরুপায় বোধ করছি। ভাবলাম, দাবি-দাওয়া মেনে নেই; রাতে মশা খুব জ্বালায়। ঘরের কোণে কোণে খুঁজে পেতে কয়েক টুকরা দড়ি পেলাম। সেগুলো হাতে পায়ে জুড়ে দিতেই মশারির মুখে কী বিগলিত হাসি! আমারও ভালো লাগলো, যাক বাবা। এবারে খুশি, হলো তো?
এরকম ভেবে পা ডুবিয়ে উঠে দাঁড়ালাম।
বিস্তারিত»কাকঁড়া দ্বীপে আরেকবার
গত চাইনিজ নিউইয়ার ছুটিতে গিয়েছিলাম কাকঁড়া দ্বীপ, কিন্তু ছিলাম মাত্র কয়েক ঘন্টা, তখনি প্লান ছিল, আবার আসব এখানে, রাতে থাকতে হবে, এবারের থিম্পুসানের ছুটিতে আবার আমাদের সমুদ্র যাত্রা।
সকাল ১১ টাঃ ছুটির দিনের প্রাথমিক আলস্য কাটিয়ে যাত্রাহল শুরু, কে-এল সেন্টাল হয়ে ক্লাঙ্গ বন্দরের জেটিতে আসতে আসতে ১টা বেজে গেল। বেশি মজা করার জন্য ফেরি বাদ দিয়ে উঠলাম কাঠের মাছধরা ট্রলারে, প্রায় ১.৩০ ঘন্টা লাগল দ্বীপে আসতে,
বিস্তারিত»কনসার্ট ফর বাংলাদেশ এবং প্রিয় গান
জর্জ হ্যারিসনের “বাংলাদেশ” অনেকেরই প্রিয় গান। ১৯৭১ সালে আমাদের দুঃসময়ে মূলতঃ ওস্তাদ রবিশংকরের উদ্যোগে নিউইয়র্কের ম্যাডিসন স্কয়ারে লড়াকু বাংলাদেশের স্বাধীনতাকামী মানুষের পক্ষে জনমত গঠনে “কনসার্ট ফর বাংলাদেশ” একটা বড় ভূমিকা রেখেছিল। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধে মার্কিন সরকার ভীষণভাবে সক্রিয় থাকলেও মিডিয়া ও জনমত ছিল স্বাধীনতা সংগ্রামীদের পক্ষে।
ওই কনসার্টের অর্থ ভারতে আশ্রয় নেওয়া বাংলাদেশের উদ্বাস্তু জনতার সহায়তায় ব্যয় হওয়ার কথা থাকলেও শেষ পর্যন্ত তা নিয়ে নানা বিতর্ক রয়েছে।
বিস্তারিত»প্রবাসে প্রলাপ ০০৪
অনেকদিন কিছুই লেখা হচ্ছে না। পড়ালেখার মধ্যে থাকলে ৬ মাস অন্তর অন্তর সবাইকে যে একখানা ঝামেলায় পড়তে হয় আমি এখন সেই ঝামেলায় আছি। সামনে পরীক্ষা ১০ তারিখে শুরু হবে। ক্লাস শেষ হয়ে গেছে, সারাদিন তাই বাসায় বসে বসে পড়ার চিন্তাভাবনা করি কখনো পড়তে বসি আবার কিছুক্ষণ পরেই দেখি পড়া বাদ দিয়ে অন্য কাজ শুরু করে ফেলেছি। এই যাচ্ছে কিছুদিন। তাই বলে অবশ্য আমার অন্য কোন কাজ থেমে নেই এই শনিবারে গিয়েছিলাম এক বড় ভাইর বাসায়।
বিস্তারিত»সিসিবির সবার কাছে খোলা চিঠি
আমার দূর্ঘটনা ঘটে ২৮শে জানুয়ারী ২০০৯ বিকাল ৪টা ৫মিঃ এ আর আমি লেভেল-৩ হাসপাতাল থেকে হাতে পায়ে ধরে ছাড়া পাই ৩রা ফেব্রুয়ারী। জর্ডান হাসপাতালের চিকিৎসা খুবই উন্নতমানের কিন্তু ওখানকার খাবার আর কয়দিন খাইলে আমি আরো অসুস্থ হয়ে যেতাম। এমনিতে হাই এ্যন্টিবায়োটিক খাচ্ছি তারপর না খাওয়ার জন্য আরো দুর্বল হয়ে যাচ্ছিলাম।
ঠিক এই মূহুর্তে আমার ঘটনার সম্পুর্ন বিবরনী দেওয়ার একটু অসুবিধাও আছে। হয়তো ছ’মাস বা আরো পরে লিখবো ব্লগে ( ইতিমধ্যে ইংরেজীতে লিখে ফেলেছি বোর্ড অফ ইঙ্কয়ারির জন্য।) এখনো ইউ এন কতৃপক্ষ মৃত ব্যাক্তিদের প্রাপ্য টাকা পয়সা (কম্পেন্সেসন) বুঝিয়ে দেয়নি।
বিস্তারিত»