বই পড়া, বই কেনা

বই পড়ার অভ্যাসটা পেয়েছি আমার মায়ের কাছ থেকে। আমার মা বই কিনেও পড়তেন। তবে গ্রামে বড় হওয়া আমার মায়ের সংগ্রহশালায় ছিল নীহাররঞ্জন, ফাল্গুনি, আশুতোষ আর নিমাই ভট্টাচার্য। মনে আছে অল্প বয়সে নীহাররঞ্জনের কালো ভ্রমর পড়ে মুগ্ধ হয়েছিলাম। কাহিনী এখন আর কিছুই মনে নেই, তবে মুগ্ধ হয়েছিলাম সেটা বেশ মনে আছে।
নাখালপাড়া থাকতে তেজগাঁও পলিটেকনিক স্কুলে পড়েছিলাম ক্লাস ফোর থেকে সেভেন পর্যন্ত। স্কুলে ঢোকার মুখেই ছিল বইয়ের দোকান, ভাড়ায় পাওয়া যেতো। এখান থেকে নিয়েই প্রথম পড়ি দস্যু বনহুর সিরিজ। তাতেই একটা সময় পর্যন্ত মুগ্ধ ছিলাম। বনহুর সিরিজের কোনো বইই শেষ হতো না, এখনকার সাস ভি বহু কি টাইপ সিরিয়ালের মতো, একটা জটিল সময়ে শেষ হয়ে যেত। লেখিকার উদ্দেশ্য ছিল পরেরটি পড়ানোর। তাতে রোমেনা আফাজ সফল ছিলেন।
দস্যু বনহুরের দুই বউ ছিল। বনহুর দুই হাত বাড়িয়ে বউকে বাহুডোরে বন্দি করলেন টাইপ ঘটনা প্রায়ই থাকতো সিরিজে। ঐ বয়সে ভাবতাম আহা….। একদিন আমিও……
বইয়ের দোকানে নবী-রসুলদের জীবনীও পাওয়া যেতো। সেগুলোও গিলতাম। হযরত মুসা (র) জীবনী পড়ে মুগ্ধ ছিলাম সেটাও মনে পড়ে। তবে এসব বই বেশিদিন আর টানেনি। ক্যাডেট কলেজ জীবনে প্রথম পড়ি মাসুদ রানা। বাসা থেকে অনেক দূরে চলে আসায় প্রায়সই মন খারাপ করে থাকতাম। সে সময়েই একদিন হাতে আসে স্বণর্মৃগ। সেই আমার প্রথম মাসুদ রানা পড়া। ক্যাডেট কলেজ জীবনে মাসুদ রানা ছিল আমার কাছে মন ভাল করার ওষুধ। মাসুদ রানা পড়া শুরু করতেই দস্যু বনহুর একেবারেই পানসে হয়ে গেল। কী ছিল না মাসুদ রানায়। থ্রিল ও রহস্য তো ছিলই, আর ছিল নারী। কল্পনায় মাসুদ রানা হতে চাইতাম। নিত্য নতুন মেয়ে……..। স্বর্ণমুগের মেয়েটার নাম ছিল জিনাত। আরেকটায় সেই যে পাকিস্তান থেকে পালিয়ে আসার সময় কয়লা খনির মধ্যে…..সেন্সর করলাম।
তারপর শুরু হল বই কেনা। আরও স্পষ্ট করে বললে মাসুদ রানা কেনা। তখন মাসুদ রানা ১৫ টাকার মধ্যেই পাওয়া যেতো। সম্ভবত সবচেয়ে বেশি দাম ছিল আই লাভ ইউ ম্যানের, ১৯ টাকা। প্রথম পর্বের প্রচ্ছদে ছিল ছোট এক বিকিনি পড়া এক মেয়ের ছবি। এর পরে চোখের সামনে কত মেয়ে দেখলাম, নানাভাবে, কিন্তু সেই বিকিনি পড়া এখনও যেন চোখে লেগে আছে। সে সময় নিজের কোনো আয় ছিল না। হাত খরচ যা পেতাম সেখান থেকে বাঁচিয়ে বাঁচিয়ে কিনতাম মাসুদ রানা। ১৬০ পর্যন্ত সিরিজের প্রায় সব কটি বইই ছিল আমার।
একদিন মাথায় কী এক ভুত চাপলো। মনে হলে এসব পেপারব্যাক থ্রিলার পড়ে জীবন কাটালে চলবে কেন। পড়তে হবে ভাল ভাল বই, জ্ঞানের বই। ভাবা মাত্রই সবগুলো বই বেধে নিয়ে গেলাম নিলক্ষেতে । বিক্রি করে নিউ মার্কেট থেকে সুনীলের সেই সময় সহ আরও কয়েকটা বই কিনে আনলাম।
বই কেনা আমার এখনও থামেনি। ইউনিভার্সিটিতে থাকতে মনে হতো চাকরি পেয়েই আমার প্রথম কাজ হবে এক সেট রবীন্দ্র রচনাবলী কেনা। সেই সখ আমার পূরণ হয়েছে। কেনা ছাড়াও কত উপয়েই যে বই সংগ্রহ করেছি। নাখাল পাড়ায় যখন থাকতাম, পাশের বাসায় ছিল অনেক বই। সেই বাড়ির মেয়ে আমার চাচাতো ভাইয়ের প্রেমে মোটামুটি হাবুডুবু। তাঁর কাছ থেকে বই এনে পড়তাম। মনে আছে আশাপূর্ণার প্রথম প্রতিশ্রুতি মেরে দিয়েছিলাম। আরেকবার আমার জন্মদিনের আগে বাসায় একটি নোটিশবোর্ড বানিয়ে যে সব বই আমার নেই কিন্তু থাকা প্রয়োজন তার একটি তালিকা দিয়েছিলাম। বলা ছিল যে সামনে আমার জন্মদিন, এই দিনে এসব বই দিলে খুশী হবো। আমার মামা, খালা ও খালুরা নোটিশ বোর্ড পড়ার পর চক্ষু লজ্জায় হলেও বই গুলো আমায় দিয়েছিলেন। আবার ক্লাশের বইয়ের মধ্যে গল্পের বই পড়ায় ধরা পড়েছিলাম দুইবার। কলেজের ভাইস প্রিন্সিপল ডি কে দেওয়ারী স্যার সেসব বই জব্দ করায় তা আর ফেরত পাইনি। সেই বই দুইটার জন্য আজো মন কাঁদে। শেষ করতে পারি নাই, কি নাম ছিল তাও ভুলে গেছি।
মেমসাহেব পড়ে মনে হয়েছিল এই রকম একজন নাই বলেই জীবনে কিছু করতে পারছি না, কবির ছোট ঠাকুরণের প্রেমে এখনও মত্ত আমি। দৃষ্টিপাতের সুনন্দাকে এখনো বুঝতে চেষ্টা করি। আর মাসুদ রানার সোহানা ও রূপারা তো আছেই।
তারমানে কি আমার মাসুদ রানা পড়া বন্ধ? মোটেই না। অনেকদিন আর কিনিনি। তারপর বছর দুই আগে মনে হলো আহারে বইগুলো কেন বেঁচে দিলাম। থাকলে কি এমন আর ক্ষতি হতো। আর এটা তো ঠিক এখনও পড়ে মজা পাই। চাকরি করি, কিছু অর্থ থাকে পকেটে। তাই এবার কেনা শুরু করলাম। এবার কেনা শুরু করেছি ১ থেকে। এখন তো সুবিধা, দুই/তিনটা মিলিয়ে প্রকাশ করা হচ্ছে। আমার কাছে মাসুদ রানা আছে ২শ এরও বেশি। কিনেই যাচ্ছি।
আমার ঘর উপচে পড়ছে বইয়ে। রাখার জায়গা হচ্ছে না। নতুন করে র‌্যাক বানাতে হবে। ইচ্ছা একটা ব্যক্তিগত লাইব্রেরী হবে। সেখানে থাকবে বই, ডিভিডি আর গানের অ্যালবাম বিশেষ করে বন্যার রবীন্দ্র সঙ্গীত ও জাগজিৎ সিং-এর গজল। বাংলাদেশে পাওয়া যায় বন্যার সব অ্যালবাম ও জাগজিৎ আমার কাছে আছে। পৃথিবীর সব বই আর সিনেমার ডিভিডি যদি থাকতো!!!!

৬,১১৪ বার দেখা হয়েছে

৪৬ টি মন্তব্য : “বই পড়া, বই কেনা”

  1. ফয়েজ (৮৭-৯৩)

    বাহ, আপনি তো বিশাল মানুষ, বই প্রেমী :salute:

    মাসুদ রানা প্রথম পড়েছি "চ্যালেঞ্জ" পুরা বিখাউজ কাহিনী, তবে একগাদা নায়িকা ছিল। এর পর অনেক মাসুদ রানা পড়েছি, মাসুদ রানা পড়ে আমার অনুভুতি হত বারবার ছবি দেখতে সিনেমা হলে যাওয়া সেই ছেলের মত, নায়িকা কাপড় খুলে পুকুরে গোসল করতে নামার আগ মুহুর্তে ট্রেন এসে পড়ে, ছেলেটা বারবার ছবি দেখতে হলে যায়, তার আশা ট্রেন এক দিন না একদিন লেট করবে। তবে আমি বিশাল ভক্ত ছিলাম কিশোর ক্লাসিক, কিশোর থ্রিলার (আহারে মুসা আমান) আর ওয়ের্ষ্টান বইয়ের। বিশাল কালেকশন করে ফেলেছিলাম।

    কালেকশন বললাম কারন বই খুব বেশি কিনিনি। তবে প্রচুর বই চুরি করেছি। মার্ক টুয়েন নাকি বলে গেছেন, বই চুরি করলে পাপ হয় না।

    আফসোস সেই বইগুলো আর নেই, অন্য এক মার্ক টুয়েন নিয়ে গেছে আমার কাছ থেকে।

    এইবছর একটা ব্যক্তিগত লাইব্রেরী করার ব্যপারে হাত দিব, আরেকটু গুছিয়ে নেই, বই কিনব, অজস্র বই।


    পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না

    জবাব দিন
  2. আমিও এক সময় চুটিয়ে দস্যু বনহুর পড়েছি। প্রায় শ'খানেক। বড় মামার লাইব্রেরিতে ছিলো। তখন গোগ্রাসে গিলতাম। বনহুর ব্যাটার দুইটা বউ ছিলো আমারো মনে আছে। মনিরা আর নুরী। একটা একটু ডাকাত টাইপ আরেকটা এক্কেরে ভদ্র ঘোমটা দেয়া। হালায় টাইম পাইলেই দুইটারে আদর করতো।

    মাসুদ রানা শুরু করেছিলাম একেবারে প্রথম বই 'ধ্বংস পাহাড়' দিয়ে। প্রথম বইয়েই সুলতা নামে একটা নায়িকা ছিলো, ওরে পুরা লুটপাট কইরা ফেলাইছে। পরে সিরিয়াল ধইরা পড়া শুরু করলাম। আহা! কি মজাই না ছিলো। প্রতি পর্বে নতুন নতুন নায়িকা। মিতা, শায়লা, সোহানা আরো কতো। তবে সবচেয়ে ভালো লেগেছিলো 'অগ্নিপুরুষ' (এটা সম্ভবত ম্যান অন ফায়ারের এড্যাপশন ছিলো), 'আই লাভ ইউ ম্যান' আর 'দুর্গম দূর্গ'।

    মাঝখানে 'তিন গোয়েন্দা' পড়েছি আর 'কুয়াশা।' তবে সবচেয়ে ভালো লাগতো সেবা প্রকাশনীর অনুবাদ সিরিজ গুলি। একটা থেকে একটা দারুন। বিশ্ব সাহিত্যের সাথে আমার পরিচয় সেবা'র মাধ্যমে।

    আবার টানা হুমায়ুন আহমেদ পড়েছি এক সময় (এখন ধারে কাছেও যাই না)। ইদানীং আর গল্প উপন্যাস পড়া হয় না খুব একটা। বেছে বেছে পড়ি। প্রবন্ধ আর গবেষনামুলক লেখা ভালো লাগে।

    গানের বেলায় রবীন্দ্র সঙ্গীত আমারো প্রথম পছন্দ। ভালো লাগে বন্যা আর সাগর সেন।

    শওকত ভাই চমৎকার পোস্ট।
    স্মৃতি থাকে বেদনা হয়ে।

    জবাব দিন
  3. আলম (৯৭--০৩)
    বই পড়ার অভ্যাসটা পেয়েছি আমার মায়ের কাছ থেকে। আমার মা বই কিনেও পড়তেন

    আমার আম্মুরও এই অবস্থা। দিনের মধ্যে ১০-১২ ঘন্টা টেবিল-চেয়ারে!!!

    ডঃ কাজী মোতাহার হোসেনের "লাইব্রেরীতে" ব্যক্তিগত লাইব্রেরী'র একটা সংজ্ঞা ছিল এরকমঃ

    এখানে ব্যক্তি নিজেই স্বেচ্ছাচারী সম্রাট, স্বাধীনভাবে গড়ে তুলতে পারে তার কল্পনার তাজমহল।

    আপনার লেখা পড়ে মনে পড়লো। 🙂

    জবাব দিন
  4. মেহেদী হাসান সুমন (৯৫-০১)

    আমি দেবদাস পড়ছি, ক্লাশ থ্রী তে থাকতে, তখন থেকেই পবতীর খোজে আছি, আফসোস আজও পেলাম না ।

    ছোট বেলায় দস্যু বাহরাম নামের একটা বই পড়ছিলাম, এই বইটা বড় হয়ে অনেক খুজেছি, কোথায় পাব, জানালে খুব আনন্দিত হব ...

    জবাব দিন
  5. জ়ে এম সারোয়ার মুজিব ( এডিসন) (১৯৭৯-১৯৮৫)

    বন্ধু তোর এই ব্লগটা পড়ে নিজেরে আর থামাতে পারলামনা। মনে পড়ে গেল রোমেনা আফাজের দস্যু বনহুরের দুই বউ মনিরা আর নুরির কথা, মনিরা ছিল চৌধুরী পরিবারের মেয়ে আর নুরু দস্যুর মেয়ে। নুরির ছেলে ছিল জাভেদ (ডাকু) আর মনিরারা ছেলে কি যেন নাম পুলিস অফিসার। আমদের চাইল্ড হিরো ছিল।

    নিহারের কিরিটি রায়, কাল ভ্রমর, কুয়াশা আরও কত কি ? ঐ সময় আবার ধুমায়ে রুপকথার বই ঠাকুর মার ঝুলি টাইপের বই পরতাম। কোরান ও হাদিসের গল্প কম পড়িনি। আমি তখন বই কিনতাম না, ম্যানেজ করতাম(চুরী করি নাই); পয়সা পাইলে হজমী, আইস্ক্রিম, কাঠি লজেন্স, বুটভাজা খাইতাম। বুটভাজা এখনো আমার প্রিয়। একটা মজার কাহিনী মনে পরে গেল।তখন আমার বিয়ের মেয়ে দেখা চলছে। আমি বুট ভাজা পছন্দ করি এটা ঘটক জানে। একদিন চারটা মেয়ে দেখলাম (সব বাসায় জোরপূর্বক বুট ভাজা খেতে হয়েছিল)

    তখন আমরা বিটিভিতে দেখতাম সিক্স মিলিওন ডলার ম্যান, বাইওনিক ওম্যান, ইঙ্ক্রিডিবল হাক, জেমিনি ম্যান, টারজান, ফজলে লোহানীর যদি কিছু মনে না করেন, মুভি অব দা উইক আর কত কি দেখতাম।তখন বিটিভি কত পরিচ্ছন্ন ছিল।

    আর গান শুনতাম সোলস, জিংগো শিল্পগোষ্টি, আযম খান, ফেরদৌস ওয়াহিদ, পিলু, শাহনাজ রহমত উল্লাহ। তাছাড়া ভারতীয় বাংলার মধ্যে ভুপেন, অন্তরা, মান্না, রফি, কিশোর, লতা, আশা। ইংরেজী ব্যান্ড ছিল সলিড গোল্ড, অ্যাবা যার মধ্যে ব্রাউন গার্ল ইন দা রিং, রাসপুটিন আরো কতো কি মনে আসছেনা।

    জবাব দিন
  6. রকিব (০১-০৭)

    আমিও আম্মুর সংগ্রহ থেকে নিহার রঞ্জন এর বই পড়েছিলাম। আর ক্লাস ২ তে থাকতে আব্বুর সাথে চুক্তি হয়েছিল। প্রতি মাসে ২ টা করে বই কিনে দিবে, আর তার বদলে আমি ঠিক মত হোম ওয়ার্ক করবো। মগবাজারে সিদ্দেশ্বরী স্কুলের কাছেই একটা পুরনো বইয়ের দোকান ছিল (এখনো আছে), টিফিনের পয়সা জমিয়ে কত যে তিন গোয়েন্দা আর সেবার অনুবাদ কিনেছি।


    আমি তবু বলি:
    এখনো যে কটা দিন বেঁচে আছি সূর্যে সূর্যে চলি ..

    জবাব দিন
  7. সানাউল্লাহ (৭৪ - ৮০)

    দস্যু বনহুর দিয়ে আমারো শুরু। তারপর মাসুদ রানা, কুয়াশা........শরৎচন্দ্র, বনফুল, নিহার, নিমাই, আশুতোষ, ফাল্গুনী....... সব একই কাহিনী। এখনো আমি উপন্যাস, ছোটগল্পের ভীষণ মুগ্ধ পাঠক, তবে সময় পাই না। পড়াশুনা এখন রাজনৈতিক তর্ক-বিতর্ক, সাম্প্রতিক ঘটনাবলী নিয়ে বিশ্লেষণ-প্রবন্ধ, পত্রিকার কলামে এসে ঠেকেছে।

    তবে এখনো মনে আছে, কলেজ লাইব্রেরি থেকে প্রায় প্রতিদিন দুটি করে গল্প-উপন্যাসের বই ইস্যু করতাম। পরদিন ফেরত দিয়ে আবার নেয়া। লাইব্রেরির ওই অংশটার কিছুই শেষ পর্যন্ত পড়ার বাকি ছিল না। প্রেপে, রেস্ট টাইমে ধুমসে গিলতাম। কতোবার ধরা খেয়েছি!

    একটি ঘটনা: এসএসসি বা এইচএসসি পরীক্ষা চলছে, কোনো এক পরীক্ষার আগের দিন আমি গল্পের বই পড়ছি। বন্ধু সাঈদ (প্রকৌশলী ও দীর্ঘদিন ধরে মার্কিন প্রবাসী) এমন ঝাড়ি দিল!! এখনো সেটা চোখে ভাসে।


    "মানুষে বিশ্বাস হারানো পাপ"

    জবাব দিন
  8. মাহমুদ (১৯৯০-৯৬)

    আজব তো! আমার আম্মারও 'সংগ্রহশালায় ছিল নীহাররঞ্জন, ফাল্গুনি, আশুতোষ আর নিমাই ভট্টাচার্য'।তবে আরো ছিল ঈদসংখ্যা 'বেগম' পত্রিকা অগণিত। ছোটমামার ছিল মাসুদ রানা আর ওয়েস্টার্ন এর বিশাল সংগ্রহ। ক্লাস ফোর থেকেই, মনে পড়ে, এসব বই পড়তাম, তবে চুরি করে। কারন, ওগুলো নাকি "বড়"দের বই ছিল। 😛 😛

    আরো মনে পড়ে, মাসুদ রানা'র রিপোর্টার-২ পড়েছিলাম টিনের ঘরের সিলিং-এর উপর উঠে, সারাদিন :shy: ...ঠিক প্রাইমারী বৃত্তি পরীক্ষার আগের দিন!!!

    আই লাভ ইউ ম্যান এর প্রচ্ছদের ওই কন্যার ছবিটা আমারও মনে আছে "চোখের সামনে কত মেয়ে...নানাভাবে" না দেখেই :grr: (কপিরাইটঃ শওকত ভাই)


    There is no royal road to science, and only those who do not dread the fatiguing climb of its steep paths have a chance of gaining its luminous summits.- Karl Marx

    জবাব দিন
  9. জিহাদ (৯৯-০৫)

    বই নিয়া যে কত কাহিনি। লিখতে গেলে খালি লিখতেই ইচ্ছা করবো। তাই আর কিছু লিখলাম না 🙁

    তবে আমি সেবা প্রকাশনীর কাছে চিরকৃতজ্ঞ। ওরা না থাকলে আমার বই পড়ার অভ্যাস সেভাবে বোধহয় গড়ে উঠতো না কোনদিনই :hatsoff:


    সাতেও নাই, পাঁচেও নাই

    জবাব দিন

মন্তব্য করুন

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।