সৈয়দ মুজতবা আলীকে আমার ভাল লাগে। লোকটা মহারসিক ছিলেন। এত কনফিডেন্স নিয়ে বললাম, এখন কেউ যদি চেপে ধরে, “কেমনে জানলেন, আপনি তো মুজতবা আলীকে দেখেনই নাই?” তাহলে আমিও বিগলিত হেসে বলবো, তাঁর লেখা পড়ে মনে হয় জনাব। তিনি অত্যন্ত রসিক ছিলেন। আমাদের পাঠ্যেও তাঁর লেখা ছিল কি না মনে নেই, সদ্য পাশুরে ভাইয়েরা আমাকে কনফার্ম করো। তবে আমি পাঠ্যের পাশে তার বই রেখে বেমালুম পড়তাম।
বিস্তারিত»ক্যাডেট কলেজে মিছিল !!!
ক্যাডেট হিসেবে আত্নপ্রকাশ করার আগে থেকেই জেনে আসছি আমাদের কলেজের নাম ঐতিহ্যবাহী ফৌজদারহাট ক্যাডেট কলেজ । আমাদের কলেজের সবকিছুই ঐতিহ্যবাহী। যেকোন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি বা প্রিন্সিপালের ভাষনে অথবা বার্ষিকীতে বাণী লেখার সময় ঐতিহ্যবাহী শব্দটা ব্যবহার করতে কার্পণ্য করতেন না কেউই। আমাদের একটা ঐতিহ্যবাহী দীঘিও আছে যেটির সাথে সব হাউসের বাথরূমের লাইনের কানেকশন। বলা বাহূল্য আমাদের গোসলের পানির সাপ্লাই আসতো দীঘি থেকেই। বিড়াট বড় শান্ত দীঘি এবং ভরপুর পানি।
বিস্তারিত»পরিচয়
ক্যাডেট কলেজ ব্লগে এটাই আমার প্রথম পোষ্ট । বাংলা টাইপের অভ্যাস নেই এইজন্য লিখতে ইচ্ছা করেনা । প্রবাস জীবন কাটাচ্ছি গত ৮/৯ বছর প্রায় ।এখন দেশের জন্য খুব মন টানে। নিউজ পেপারে খবর দেখি অনেকউত্থান পতনের ,অনেক আশা নিরাশা আর অনেক স্বপ্নের খবর। ভাল খবরে ভাল লাগে কিন্ত যখন দেখি আমাদের এই দেশটাকে নিয়ে ওরা টানা হেঁচড়া করে তখন মাথা গরম হয়ে যায়। আমার মত যারা প্রবাসে আছে তারা বুঝতে পারবে আমার অনুভুতি।
বিস্তারিত»বাদল দিনের প্রথম কদম ফুল
চা খেতে বের হয়েছিলাম বাসার সামনের দোকানটায়, হঠাৎ ঝমঝমিয়ে বৃষ্টি। একেবারে কাকভেজা হয়ে বাসায় ফিরে এলাম আমরা তিন জন, আমি, মাসুদ, রুম্মান। সিগারেটের প্যাকেট ভিজে সবগুলো সিগারেট নষ্ট হয়ে গেছে, শার্ট-প্যান্ট থেকে টুপটুপ পানির ফোঁটা পড়ছে। তোয়ালে দিয়ে গা মুছতে গিয়ে দেখি মাসুদ ভেজা শরীরে বারান্দায় দাঁড়িয়ে আছে রেলিং ধরে। ‘কি রে গা মুছবি না?’ জিজ্ঞেস করতেই হেসে দিলো, বললো
ইচ্ছে করছে না।
কেন?
মসজিদে মোবাইল বন্ধ রাখুন
১ম পর্ব
মাগরিবের নামাজের আযান হয়ে গেছে অনেকক্ষণ আগেই । হতদন্ত হয়ে অজু করে মসজিদে ঢুকেই দেখি মুসুল্লীরা ততক্ষণে রুকুতে চলে গেছেন । আমি যথাসম্ভব তাড়াতাড়ি শরীক হলাম জামাআতে । সিজদায় গিয়ে হঠাৎ মনে হল “মোবাইলটা কি সুইচ অফ করেছি?”
আমি ঘামতে শুরু করলাম কারণ রিংটোন দেয়া ছিল হাই ভলিয়ম “তেরে নাম”
আমার তো নামাজ থেকে মন উঠে গেল ।
বিস্তারিত»আপনারে আমি খুঁজিয়া বেড়াই- ৪
১.
অলস বিকেলে টিভির সামনে বসে বসে চ্যানেল বদলাচ্ছিলাম, বিটিভেতে এসে থেমে গেলাম হঠাৎ। একেবারে বাধ্য না হলে বিটিভি দেখি না সাধারনত, দেখার রুচি হয় না আসলে। কিন্তু আজ থেমে কিছুক্ষণ দেখলাম কারণ সংসদের বাজেট অধিবেশন দেখাচ্ছে অথচ আলোচনা হচ্ছে বাংলাদেশ-আয়ারল্যান্ড খেলা নিয়ে। ভাবলাম দেখি আমাদের মাননীয় সাংসদরা কি ভাবছেন এহেন লজ্জাজনক পরাজয় নিয়ে।
বিরোধী দল, ম্যাডাম খালেদার বিএনপি সংসদে নেই, প্রথম সারিতে দাবি মোতাবেক আসন না পেয়ে সংসদ বর্জন করে আছেন।
বিস্তারিত»ফেল রেকর্ড
“ক্যাডেট কলেজে ছয় বছর থেকে যারা পাক্ষিকে ফেল করে নাই এই পোস্টটি তাদের জন্য নয়”
আমি সেই ক্যাডেট, যে প্রথম পাক্ষিকে অংকে ডাবল জিরো পেয়েও পরের পাক্ষিকে ২৪ পেয়েছিলাম :just:
ক্যাডেট কলেজে চান্স পাওয়ার আগে আমি মোটেই খারাপ ছাত্র ছিলাম না । তাই বলে কিন্তু আমি কলেজকে দোষারুপ করছি না 😛 😛
আসলে সবসময় মজা করতে গিয়ে পড়াশুনা থেকে খানিকটা ছিটকে পড়েছিলাম ~x(
ছয় বছরে সেভেন ছাড়া প্রত্যেক ক্লাসের ফার্স্ট টার্ম ইন্ডে আমার ফেল করার বিরল রেকর্ড রয়েছে :just:
নতুন ক্লাসে উঠে আমি খুব ফুর্তিতে থাকতাম :tuski:
মনে হত সারা বছর কষ্ট করে কেবল নতুন ক্লাসে উঠলাম,
ক্যাডেট আইডি কার্ডের ফায়দা
আমার অনেকদিনের ইচ্ছা ছিল স্টেডিয়ামে গিয়ে লাইভ ক্রিকেট খেলা দেখব :dreamy:
কলেজ থেকে ভ্যাকেশনে বাসায় এলে সাধারণত খেলা থাকত না, আর থাকলেও সময় সুযোগ বের করা কিছুটা কষ্টকর ছিল :bash:
ছয় বছরে ক্যাডেটের আইডি কার্ড দিয়ে কোন ফায়দা লুটতে পারি নাই, না সিএমএইচ, না ছাত্র ভাড়া, না অন্য কোন ডিসকাউন্ট :frontroll:
অথচ ক্লাস সেভেনে যখন আমাদের প্রথম আইডি কার্ড দেয়া হল তখন কার না মনে হয়েছিল এই কার্ড দিয়ে বিশ্ব জয় করা যাবে :just:
১১ অক্টোবর ২০০৮
বিভিন্ন ক্যাডেট কলেজের ১০-১২ জন বন্ধু মিলে মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে উপস্থিত হলাম বাংলাদেশ বনাম নিউজিল্যান্ডের ২য় ওয়ানডে ম্যাচ দেখার জন্য :-B
তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশ জয় পেয়েছিল আর সেজন্যই সিরিজ জয়ের স্বপ্ন ছিল সবার চোখে :gulti:
স্টেডিয়ামে দর্শকদের একটা বাড়তি চাপও ছিল চোখে পড়ার মতো কারণ এই ম্যাচ জিতলেই সিরিজ আমাদের :clap:
যেহেতু ঢাকায় ছিলাম সেহেতু ম্যাচটি দেখার লোভ সামলাতে পারি নাই :no:
অগ্রিম টিকিটের জন্য অনেক চেষ্টা করলাম কিন্তু কাজ হল না ।
বাসে একদিন
ছাত্র ভাড়া দেয়ার অভ্যাস আমার কোন কালেই ছিল না :clap:
২০০১ সালের ঘটনা :-B
আমি ক্যাডেট কোচিং করছিলাম টাংগাইলে । আকস্মিক ছুটি পেয়ে ৩ দিনের জন্য বাসায় যেতে হল । ছুটি শেষে টাংগাইল ফেরার পথে এলেঙ্গা থেকে বাসে উঠলাম । মাঝামাঝি একটা সিট পেয়ে বেশ ভাল লাগল :guitar:
মাঝে মাঝে কিছু স্মার্ট কন্ট্রাক্টর আছেন যারা ছাত্র ভাড়া দিতে গেলে আইডি কার্ড চেয়ে বসেন ।
বিস্তারিত»আশার কাছে খোলা চিঠি
দিনবদলের হাওয়াঃ ক্যাডেট কলেজে প্রেমপত্র
“মেয়েটির সৌজন্যে একটি চিঠি লিখেছিলাম কিন্তু আজো সেটা পোস্ট করা হয় নি”
এর পর থেকে শুরু করছি…
ব্লগের শিরোনামটি মাসরুফ ভাইয়ের দেওয়া । আমি আর পরিবর্তন করার দুঃসাহস দেখাই নি । হাজার হলেও বড় ভাই 😀
আদনান ভাই, তানভীর ভাই, মাসরুফ ভাই, রকিব ভাই এবং মাহমুদ ভাই এর নির্দেশে আমার পোস্ট না করা চিঠির অজুহাতগুলো লিখছি :-B
আমি ক্যাডেট কলেজে যাওয়ার পর থেকেই চিঠি লিখতে এবং পেতে খুব ভাল লাগত ।
বিস্তারিত»দিনবদলের হাওয়াঃ ক্যাডেট কলেজে প্রেমপত্র
আমি তখন ক্লাস সেভেনে । এক ফ্রেন্ডের কাছে কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স দেখে কি মনে করে যেন স্কুল কুইজটা পুরণ করে পাঠিয়ে দিলাম :-B
একরাতে প্রেপের পর সানি ভাই আমাকে বললেন যে আমার একটি পার্সেল আছে । পার্সেল খুলে দেখলাম কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স ২০০২ সালের আগস্ট সংখ্যা । প্রথমে ভেবেছিলাম আব্বু হয়ত বাসা থেকে পাঠিয়েছে । পরবর্তীতে ১০ জন কুইজ বিজয়ীদের তালিকায় নিজের নামটি ১ নাম্বারে দেখে কতটা আনন্দিত এবং বিস্মিত হয়েছিলাম সেটা আমার স্পষ্ট মনে আছে :dreamy:
ক্লাস সেভেন থেকে টেন পর্যন্ত মোট ২৯ বার কুইজ বিজয়ী হয়েছি :clap:
এর মধ্যে ২০০৪ সাল মানে ক্লাস নাইন খুবই ভাল কেটেছে :hug:
যেহেতু প্রায় মাসেই একটি কমন নাম কুইজ বিজয়ীদের তালিকায় থাকত সেহেতু আমি বেশ পরিচিতি লাভ করেছিলাম অচিরেই :shy:
তারপর থেকে শুরু হল আমার চিঠি আসা :chup:
দিনবদলের হাওয়ায় এখন তো সব কলেজেই মোবাইল ফোন দেয়া হয়েছে ।
বিস্তারিত»গোল্লাছোটঃ এক্স-ক্যাডেট বনাম ভিপি স্যার
বাসায় খুব বোরিং সময় কাটছিল 🙁
কোন কাজ নেই, শুধু খাওয়া, ঘুম আর টিভি দেখা ~x(
জোবায়ের ফোন করে জিজ্ঞাসা করল আমি কলেজে যাব কিনা । আমার মনটা নেচে উঠল কারণ এর চেয়ে মজার আর কি হতে পারে :guitar:
আমি ভাবলাম কলেজে গিয়ে সবার সাথে দেখা করে সার্টিফিকেটগুলো নিয়ে আসি । প্রায় ১১ মাস পর কলেজে যাচ্ছি, বেশ ফুর্তিতেই ছিলাম :tuski:
রাজশাহী শহর আমার বেশ ভাল লাগে কারণ এটি অনেক গোছানো :boss:
২৮ মে ২০০৯
সকাল আটটায় চিরচেনা সেই পদ্মাপাড়ে আসলাম :awesome:
ঝলমলে রোদ আর পদ্মার বুকে বয়ে চলেছে ছোট ছোট নৌকা ।
ফেসবুক, ই-মেইল আর মোবাইল যন্ত্রণা ও মাস্ফ্যুর জন্মদিন পাগলামির এক বিচিত্র অথচ আনন্দদায়ক অনুভূতি
আমি ব্যক্তিগতভাবে জন্মদিন, ম্যারেজ এনিভার্সারি ইত্যাদিতে আপ্লুত হইনা। আমার জন্মটা নিয়েই মাঝে মাঝে কিছুটা আক্ষেপ আর কিছুটা হতাশার উদ্রেক হয়। এটা নিয়ে আমার হোম মিনিস্টারের সাথে যথেষ্ট গ্যাঞ্জাম আছে। জন্মদিনের উইশ করলে আমি কিছুটা বিব্রত হই আর কিছুটা লজ্জা পাই। যার কারণেই হয়তো উত্তরে যা বলা দরকার, তা বলতে পারিনা। মানুষ আমাকে আন-সোশ্যাল ভাবে।
নিজের জন্মদিনের কথা বরাবরের মত এবারও ভুলে গিয়েছিলাম। এমনকি অফিসে যেয়ে যখন চিঠিগুলোতে ০১ জুন তারিখ লিখছি তখনও।
বিস্তারিত»গণ সমাচার
এই পোস্টটি দেয়ার আগে গণ শব্দটি নিয়ে অনেকক্ষণ ভাবলাম :-B
সিনিয়র ক্লাসের সব ক্যাডেট যখন জুনিয়র ক্লাসের সব ক্যাডেটকে একটি নির্দিষ্ট কারণে ধোলাই করে তখন তাকে আমাদের কলেজে গণ বলে :chup:
অন্য কলেজে এটাকে কি বলে সেটা নিয়েই চিন্তা করছিলাম :-/
নাম যেটাই হোক কাজ তো একটাই । গণ হল গণধোলাই এর সংক্ষিপ্ত রুপ ।
সবেমাত্র ক্লাস নাইনে উঠেছি আর তাই রক্ত গরম ।
বিস্তারিত»শৈশবে একচক্কর দিয়ে এলাম
শুক্রবার সকাল সাড়ে ৬টায় ঘড়িটা এলার্ম দিলেও আমার ঘুমে ব্যাঘাত ঘটাতে পারেনি। শেষ পর্যন্ত পৌনে ৮টায় ইকরামের ফোন পেয়ে লাফ দিয়ে বিছানা ছাড়লাম। উত্তরা থেকে রওয়ানা হয়ে ও তখন আমার বাসা থেকে মাত্র ৫ মিনিটের দূরত্বে। সোজা টয়লেট, তারপর দাঁতব্রাশ, দাড়ি কামানো, গোসল এবং হালকা নাস্তা সেরে ব্যাগ গুছিয়ে তৈরি হলাম ৪৫ মিনিটে। ২৯ বছর আগে কলেজ ছাড়ার পর এতো কাজ এতো অল্প সময়ে আর কখনো সেরেছি কিনা সন্দেহ!
বিস্তারিত»