অনেকদিন কিছুই লেখা হচ্ছে না। পড়ালেখার মধ্যে থাকলে ৬ মাস অন্তর অন্তর সবাইকে যে একখানা ঝামেলায় পড়তে হয় আমি এখন সেই ঝামেলায় আছি। সামনে পরীক্ষা ১০ তারিখে শুরু হবে। ক্লাস শেষ হয়ে গেছে, সারাদিন তাই বাসায় বসে বসে পড়ার চিন্তাভাবনা করি কখনো পড়তে বসি আবার কিছুক্ষণ পরেই দেখি পড়া বাদ দিয়ে অন্য কাজ শুরু করে ফেলেছি। এই যাচ্ছে কিছুদিন। তাই বলে অবশ্য আমার অন্য কোন কাজ থেমে নেই এই শনিবারে গিয়েছিলাম এক বড় ভাইর বাসায়। ওনারা দেশে ঘুরে এসেছে। আসার সময় সবাই বেশ কিছু খাওয়া দাওয়া নিয়ে আসে, তাই কেউ দেশ থেকে ঘুরে আসলে ওখানে বেড়াতে যাওয়ার একটা মজা আছে। এবার আমি দীর্ঘ ৫ বছর পরে বরই খেলাম। বরই বলে যে একখানা ফল আছে বাংলাদেশে তা ভুলেই গিয়েছিলাম। তাই ভাবতে বসেছিলাম আর কি কি খাইনা বহুদিন। লিষ্ট অনেক বড় হয়ে গেছে ইতিমধ্যেই। খাওয়া দাওয়া দেশে থাকতে খুব একটা পাত্তা দিতাম না কিন্তু বিদেশে এসে কেন যেন কি মিস করছি ভাবলে প্রথমেই খাওয়ার কথাই মনে আসে। আমি অবশ্য ইমোশনাল এটাচমেন্ট গুলা বেশি মিস করি তবে সেটা ডিফাইন করা অনেক বেশি ঝামেলার।
আমার এক খালাত ভাই আছে অস্ট্রেলিয়ায় থাকে। ওই খালা গিয়েছে ভাইয়ার কাছে বেড়াতে ওর মেয়ে হয়েছে সেই উপলক্ষ্যে। আমি ফোন করেছিলাম কি যে হিংসিত হলাম আহারে কি মজায় আছে এখন ভাইয়া। পরীক্ষা শেষ হলে দুই মাসের একটা বন্ধ পাব। খুব একটা খুশি লাগছে না। দুই মাসের ছুটিতে যদি দেশে যেতে পারতাম। আগে ভাবতাম দেশে বছরে একবার গেলে বাকি বছরের জন্য গিয়ার পাওয়া যায়। দিনদিন এইটা দেখি কমে যাচ্ছে। এখন দেশে থেকে ঘুরে আসলে ৩ মাস পার হলেই আর ভাল লাগে না। দিনদিন দেখি বাচ্চা হয়ে যাচ্ছি।
আলমের পোষ্টটা পড়ে তাড়াতাড়ি হাউসফুল নাটকটা দেখলাম। আমিও ইদানিং এই নাটক দেখছিলাম। (আগে থেকে কাহিনী বলে দেওয়ার জন্য আলমের ব্যাঞ্চাই) মিথিলার অসুস্থ হওয়ার পর্বটা দেখে চোখে পানি চলে আসল। সবাই জানে আমার আবার বোনের জন্য একটা বিশাল সফট কর্ণার আছে। কেন যেন আমার খুব খারাপ লাগল মনে হল নিজের বোনের এরকম হলে কি হত ফিলিংসটা অনুভব করলাম। ফ্যামিলি আসলেই এমন একটা জিনিস এর আবেগগুলা কখনোই কারো জন্যই বদলায় না। মা মনে হয় মানুষের সেরা সম্পদ। কোথায় যেন পড়েছিলাম বিধাতা সবার সাথে থাকতে পারে না বলেই নাকি সবাইকে একটা করে মা দিয়েছে। আর ভাই বোন এর স্থান মনে হয় এর পরেই। বাবারা কি একটু খানি পিছিয়ে থাকে এই জায়গায়? দায়িত্ববোধ আর কর্মব্যস্ততা? আমি অবশ্য ঠিক বুঝি না কারণ আব্বুর সাথের স্মৃতিগুলা সেই পিচ্চি বয়সের তখন ভয় পেতাম। বড় হয়ে ফ্রি একটা সম্পর্ক হলে কেমন হত তা ঠিক কল্পনা করতে পারি না। এখনকার পিচ্চিদের যাদের বাবা মা দুজনই চাকরী করে তাদের বাবা মার প্রতি ফিলিংস গুলা কেমন হয় আমার খুব জানতে ইচ্ছা করে।
একটা ছোট কাহিনী বলি। এটা আমার অনুকাহিনী সিরিজে দেওয়া যেত। কেমন লেখাটা একটু ভারী হয়ে গেল শেষে এসে তাই একটু হালকা গল্প
” আমার এক মামাতো বোন (পিয়াপু) এর বাচ্চা হওয়ার পর ওকে দেখতে গিয়েছিলাম হাসপাতালে। ও ছিল মনোয়ারা না আনোয়ারা বলে কি একটা হাসপাতাল আছে বেইলি রোডে সেখানে। তো হাসপাতালে গিয়ে নিচে ভাইয়ার সাথে দেখা। ওনাকে জিজ্ঞস করলাম ভাইয়া আপু কেমন আছে , পিচ্চি কেমন হল। বলল যা দেখ তোর আপুকে আর আমার পিচ্চি হইছেই সেইরকম। জিজ্ঞেস করলাম মানে কি? বলে যে তোর আপু যেই কেবিনে আছে সেটার পাশে একটা জানালা আছে যেটা দিয়ে তাকালেই সামনে ভিকারুন্নিসা স্কুল দেখা যায়। আমার পিচ্চি হওয়ার পর থেকে একচোখ বন্ধ করে সেদিকে তাকিয়ে আছে। ”
২৮ টি মন্তব্য : “প্রবাসে প্রলাপ ০০৪”
মন্তব্য করুন
আমি আবারো প্রথম। 😀
দোস্ত ঠিকই কইসস, আমি দেশরে মিস করি যখন খাইতে বসি। 🙁
কে প্রথম হয় সেটা দেখার জন্য একটা কৌতুহল হচ্ছিল। অনেকেই অনলাইনে। তুই হওয়াতে ভাল লাগল । ক্লাসমেট ফিলিংস। দোস্ত ঐদিন রান্নার বই দেখে দেখে রেজালা রান্না করছি। নিজের রান্না খেয়ে নিজেই মুগ্ধ হয়ে গেছি। খুব ভাল হইছে তা না আসলে আগে খুবই খারাপ ছিল।
আমি কিছুদিন ধইরা রান্ধি না। খাই সব রেডিমেট খাওয়া, বার্গার, হটডগ, সাব এইগুলা। একটু শুঁটকি ভর্তা দিয়া এক গামলা ভাত খাইতে ইচ্ছা করতেছে। কিন্তু উপায় নাই। 🙁
বিধাতার অনেক রুপ যা বাবা আর মায়ের মধ্যে ভাগ করে দেন। কোথাও মা বেশী আদর করে আবার কোথাও বাবা। দূজনের যোগফলই বিধাতার বৈশিষ্ট। সুধু আদর পাইলে তো মাথায় উঠতা, তাই ডান্ডার ব্যবস্থা বিধাতাই করে দিয়েছেন পৃথিবীতে।
ঠিক বলছেন ভাইয়া। :boss:
জটিল দিলেন তো বস।
পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না
mujib bhai apnar kotha ta asholai sotti.
আরে তুমি কমেন্ট করছ? হাহাহাহাহা। এইটা আমার আর কনকের বড় ভাই।পান্থ । ভাইয়া এখানে স্বাগতম। পড়তে থাক।
মানুষ এরকম উক্তি করে কিভাবে। বুকের ভেতরটা এফোড়-ওফোড় করে দেয়। আজীবন মস্তিস্কে পারমানেন্ট ইমপ্রিন্ট হবার মত কথা।
বসের বাপের বেল নাই দেখছেন।
ইসরে আমি তো বাপ হইছি.........। 🙁
পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না
:pira:
কি খবর আপু , পরীক্ষা শেষ হয়না লেখা দাও কিছু...
আমরা দুই ভাই বাপ-মা ভাগাভাগি করে নিয়েছিলাম... B-)
ভাইয়ার ভাগে মা, আমার ভাগে বাবা... 😀
ঐ দেখা যায় তালগাছ, তালগাছটি কিন্তু আমার...হুঁ
সুষম বন্টন। আমরা ৩ ভাই সুষম বন্টনের কোন উপায় ছিল না। একজনকে বাদ পড়তেই হইত। আমিই বাদ পড়ছিলাম মনে হয়।
দূরে আছ বলে বললে নাকি? :-B
ঐ দেখা যায় তালগাছ, তালগাছটি কিন্তু আমার...হুঁ
নাহ ভাইয়া, এখন সবাই বলে আমাকেই নাকি আম্মু বেশি আদর করে। শুনতে ভালই লাগে খুব একটা ভুলও না মনে হয়। ছোট বেলার কথা বলতেছিলাম। একটা কথা আছে না বড়রা বাড়ির বড় ছেলে বলে আদর পায় আর পিচ্চিটা পায় ছোট বলে মাঝেরটা ফাঁকতালে পড়ে যায়। সেইরকম কিছু একটা হবে ।
আমাদের দ্যাশে কয় "মাইজ্জা শয়তান"।
পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না
😛 =))
লেখা ভাল লাগসে কিন্তু মন খারাপ করানোর জন্য কামরুলরে ব্যান্চাই । :thumbup:
ভাইয়া লাস্টে একটা মজার গল্প দিলাম তো। সেটা সামিয়া ছাড়া কারো চোখেই পড়ল না।
চোখে পরসে মজাও পাইসি কিন্তু ব্যান্চানোর সুযোগ কে ছাড়ে । 😀
ওই তুমি একটা বিয়া কইরা ফেল, এইটা তোমার পার্মানেন্ট ট্রিটমেন্ট।
পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না
কি যে বলেন ভাইয়া, (লজ্জা পাচ্ছি) ...
দোস্ত, মনটা এমনিতেই খারাপ ছিল। তোর লেখাটা পড়ে আরো খারাপ হয়ে গেল। 🙁 🙁 🙁
মনটা বড়ই অসহযোগিতা করেরে সবসময়। মনরে তাই বিরোধী দলে পাঠাইয়া দিতে চাই এরপর স্পীকাররে কমু একদম যেন ফ্লোর না দেয়।
🙂 🙂 🙂
শেষের লাইন পড়ে বুঝলাম পিচ্চিটা পুত্র সন্তান 😀 :awesome: 😉