দ্য নাইট ইজ স্টিল ইয়াং!

রাত নামলে নিশাচর সকল প্রাণিদের মাঝে একটা প্রাণচাঞ্চল্য দেখা যায়। যেমন করে দিবাচর প্রাণিরা সকালে সূর্যকে মানে, উনি উঠে গেলেই তারা বিছানা-বালিশ ছেড়ে উঠে পড়ে। তারপরে বিমূঢ় ত্বকে পানি ঝাপটা দিয়ে জেগে ওঠে। জেগে ওঠার ক্ষণ থেকেই তাদের বোধসমূহ সজাগ হতে থাকে। শৌচ শেষ করে নাশতার পরে ধূমায়িত চা খেতে খেতে সকল পাপ ঘাড়ে নিয়ে জাগতিক বোধেরা ফিরে আসে।

সেরকম ভাবে নিশ্চয়ই নিশাচর প্রাণিরা জেগে ওঠে।

বিস্তারিত»

ঈদ নামচা

সবার ঈদ কত দিনের আমি জানি না, কিন্তু আমার ঈদ আমার ক্যাডেট কলেজের বন্ধুদের সাথে ঘোরাঘুরি শেষ হওয়ার সাথে সাথে শেষ হয়ে যায়। আজ আমার ঈদ শেষ। প্রতিবার এই ঈদ শেষ হওয়ার পর কি করব বুঝতে পারি না। কিন্তু আজ আমি জানি আমার একটা দায়িত্ব আছে, আর তা হল সিসিবিতে সবাইকে জানানো যে আমার ঈদ কেমন গেলো। এমন নয় যে সবার খুব জানতে ইচ্ছা করছে কিন্তু আমার খুব জানাতে ইচ্ছা করছে।

বিস্তারিত»

আপনারে আমি খুঁজিয়া বেড়াই-১

শালার চেহারা ছবি এতই আনইম্প্রেসিভ যে অপরিচিত লোকজন তো বটেই, আমার খুব কাছের বন্ধু-বান্ধবরাও মাঝে মাঝে সন্দেহ করে আমি মনে হয় কোন গ্যারেজে অথবা মেশিন ফ্যাক্টরিতে অপারেটর হিসেবে পার্ট টাইম জব করি! 🙁 ড্রেস-আপ গেট-আপের জন্য জীবনে কম ধরা খাইনি। টিউশনির ছাত্র-ছাত্রী থেকে শুরু করে বাসায় বাবা, এক সময়ের পার্বতী, ইউনিভার্সিটির শিক্ষক এমনকি আমার কাছের বন্ধুরা, সবার একই অভিযোগ আমার টার্ন-আউট ঠিক নেই। ঠিক যে নেই সেটা আমিও টের পাই।

বিস্তারিত»

শীতের শুরুতে আর বছরের শেষে জমে থাকা কথারা কম্বলের ওম পোহাতে চায়

শুরুঃ
শুরু বলে আদৌ কিছু নেই। সেখানে পেছোতে পেছোতে আমরা একেবারে পিছনে গিয়েও একটা আদি সুতো পাই, যার মাথায় আরো অন্য সুতোর লেজ বাঁধা থাকে। এই আপ্ত সিদ্ধান্ত মেনে নিলে আমরা অনায়াসে হাল ছেড়ে দিতে পারি। তখন বাকি থাকে যেকোনও একটা শুরু বেছে নেয়া। যেকোনভাবে ঠেলা দেয়ার মতো একটা কথা বলতে শুরু করে দিলে পরের কথা গুলো এমনি এমনি চলে আসবে। এদেশে মানুষের অভাব নাই,

বিস্তারিত»

আমার বিসিএস পরীক্ষা…!!!

আমার খুব শখ ছিল বিসিএস পরীক্ষাটা হেব্বি মাস্তি করে দেব…একে তো জীবনের প্রথমবার, তার উপর আবার চান্স পাব কিনা- এরকম কোন টেনশন নেই। কারন আমি নিশ্চিৎ যে আমার হচ্ছে না। জীবনে আর বিসিএস দেয়া হয় কিনা-কে জানে!! সুতরাং মাস্তি না করার কি আছে??

কিন্তু হায়! মানুষ ভাবে এক, হয় আরেক…সিট প্ল্যান দেখে জানতে পারলাম, আমার সিট পড়েছে কাজী নজরুল ইসলাম কলেজ, লক্ষ্মীবাজার!!! অর্থাৎ কিনা সদরঘাটের কাছাকাছি…আমি থাকি বনানী,

বিস্তারিত»

বন্ধুত্বের ৩৪ বছর : জীবনের তিন চতুর্থাংশ

ফৌজদারহাটের ২১তম ব্যাচটা একটা জিনিষ! কলেজে যেমন ছিল তেমনি বাইরে এখনো সবগুলো দারুণ প্রাণবন্ত। সুযোগ পেলেই আড্ডাবাজি, খাওয়া-দাওয়া, বেড়ানো আর ছেলেমানুষি কান্ডকারখানায় প্রায় পঞ্চাশ ছুঁইছুঁই এই বালকগুলোর জুড়ি মেলা কঠিন। বন্ধুদের মধ্যে সম্পর্কটা যেমন দূর্দান্ত, তেমনি সম্পর্ক তাদের স্ত্রীদের মধ্যেও। রবীন ও রায়হানের প্রদর্শিত ব্লগীয় ধারা বজায় রেখে ২১তম ব্যাচের একটি ফটোফিচার।

বিস্তারিত»

ইট হ্যাপেন্‌ড ওয়ান নাইট

এই ২৫শে জুলাই ড়্যান্ডি পাউশ মারা গেলেন। জীবনে তার অর্জন কম ছিল না। কিন্তু মৃত্যুর ঠিক আগে যা করে গেলেন তাই তাকে চির স্মরণীয় করে রাখবে। না, তিনি কোন যুগান্তকারী আবিষ্কার বা উদ্ভাবন করে যাননি। মৃত্যুর আগে তিনি কেবল একটি বক্তৃতা দিয়েছিলেন, একটি পাবলিক বক্তৃতা। তার বক্তৃতার বিষয় ছিল, “Really Achieving Your Childhood Dreams“। সত্যিই পাগল করে দেয়ার মতো ভাষণ।

বিস্তারিত»

ফোনালাপ

: কিরে কাকে ফোন দিচ্ছিস?
: আমার গার্ল ফ্রেন্ডরে।
: গার্লফ্রেন্ড? কোন গার্লফ্রেন্ড?
: মনে আছে সেই ১৯৯৬ সালে মেসে আমি আমার এক গার্লফ্রেন্ডরে নিয়ে এসে খাওয়াইছিলাম? সেই গার্লফ্রেন্ড।

বিস্তারিত»

কমেন্ট পোস্ট

আরে ভাই, ১.৫ সপ্তাহ ধইরা রুমে নেট আছিলোনা। সিসিবিরে বড় মিস করতেছিলাম। ~x( আজকে যখন কানেকশন ঠিক হইলো, ঝাঁপাইয়া পড়লাম সিসিবির বুকে, ইচ্ছা চর্ব-চোষ্য-পেয়-লেহ্য সব ছিড়াবিড়া খাইয়া ফেলমু। 😕
কোথায় কি, একখান লেখা পইড়াই মাথামুথা খারাপ হইয়া গেল। :-B

আমার বন্ধুবর মাসরুফকে নিয়ে সচিত্র প্রতিবেদন ছাপা হয়েছে। নিচে আছে একগাদা সরস মন্তব্যের ঝুড়ি, বলা যায় কলম-যুদ্ধ, একদিকে জিহাদ-মাসরুফ-রিমঝিম অন্যদিকে আমরা সবাই।

বিস্তারিত»

ঘুড়ে এলাম মেঘের দেশে

অনেকদিন পরে আবার কম্পিউটারের সামনে একটু সময় করে বসার সুযোগ পেলাম। বাস্তবতা এবং কর্মব্যস্ততা কোনটিই সুযোগ দেয়নি অতি পরিচিত এবং অতি আপন সিসিবিতে আসার। খুব একটা যে অবসর মিলেছে তাও ঠিক না। তবে যতটুকু পেয়েছি, তার সবটুকুই এই মুহুর্তের জন্য সিসিবিকে দিতে চাই। তবে একথা অনস্বীকার্য যে, এই কয়টা দিন ভীষন মিস করেছি সিসিবিকে। শত ব্যস্ততার মাঝেও মনে পড়েছে অতি প্রিয় সিসিবিকে। আশা করি সবাই এই ক’টা দিন ভালোই ছিলেন।

বিস্তারিত»

জীবনটাকে উপভোগ করে গেল বন্ধু সঞ্জীব চৌধুরী

[এক বছর আগে এইদিনে চিরবিদায় নিয়েছিল বন্ধু সঞ্জীব চৌধুরী। তাকে নিয়ে এই লেখাটা সামেহায়ারইনে গতবছর এইদিনে দিয়েছিলাম। লেখাটায় কোনো পরিবর্তন না করে এই ভূমিকাটুকু যুক্ত করে ক্যাডেট কলেজ ব্লগে দিলাম।]

জীবন একটাই, আর সেটাকে পুরোপুরি উপভোগ করে আমাদের চোখের আড়ালে চলে গেল সঞ্জীব চৌধুরী। আমার বন্ধু। আমাদের কাছে এই মৃত্যু ভাবনায় ছিল না, কামনার তো নয়ই। মাত্র ৪৪ বছরের জীবন! কেউ এই সময়টাকেই যথেষ্ট মনে করেন,

বিস্তারিত»

এই শহরে আমার পথে মগ্ন হয়ে যায় বাসের শিস

এই যে ঢাকা শহরে হেঁটে চলে বেড়াই, দিন যায়, মাস যায়, গরমের দিনগুলো পেরিয়ে শীতের বাতাস আসে। তারও আগে বৃষ্টি ঝুম করে দারুন ভিজিয়ে যায়। সিক্ত নগরীও একসময় শুকিয়ে ওঠে। তারপরে আবার কুয়াশা কেটে চরাচরে উৎসব জমে ওঠে। এরকম দিনাতিপাতে খেয়াল থাকে না কখন বেড়ে উঠছি। বয়েসের কোঠা একটা একটা ধাপ পেরুচ্ছে। সেখানে ধাপে ধাপে কতমুখঃ চেনা-অচেনা-সাদা-তামাটে-কালো-কালিমাখা। এইসব মুখের ভীড়েও কাউকে চিনে ফেলি স্বজন মনে করে।

বিস্তারিত»

তোমাকে ভালবাসি বাবা

আমি সারাজীবন নিজের মতো চলতে চেয়েছিলাম। নিজের যা পড়তে ভালো লাগে, যা করতে চাই, যা হতে চেয়েছিলাম- সবই একে একে অর্জন করে চলেছি।
শুরুতে বাবা চেয়েছিলেন সেনা কর্মকর্তা হই, পরে চেয়েছিলেন অর্থনীতি পড়ি, অবশেষে সরকারি কর্মকর্তা হই। বাবার চাওয়া এসবের কোনোটাই আমি পুরণ করিনি।
এককালে রাজনীতি করেছি। সাংস্কৃতিক আন্দোলন করেছি। প্রিন্ট মিডিয়ায় দীর্ঘদিন সাংবাদিকতা করেছি। এখনও মিডিয়ায় আছি।

বিস্তারিত»

শিরোনামের ফুটনোট

খেয়াল করলাম গত অগাস্টে এখানে রেজিস্ট্রেশন করেছি। কিন্তু লেখা হয়নি একটুও। সেটা বেশ অবাক করা কারণ এ কয়মাসে আমার জীবনে একটা উজ্জ্বল অংশ এই লেখালেখি করাটাই। এই সময়ে অনেকটা সিরিয়াস হয়ে গেছি নিজের লেখা নিয়ে, চিন্তা নিয়ে, ভাবনা নিয়ে। সেগুলো এখানে কেন শেয়ার করিনি জানি না। অনেক সময় নজরের আড়ালে থাকলে অনেক গুরুত্বপূর্ণ জিনিশই খুঁজে পাওয়া যায় না। এখন হঠাৎ করেই মনে হলো ক্যাডেট কলেজ ব্লগেও লেখাগুলো ধীরে ধীরে দিবো।

বিস্তারিত»

আচার ০০৫: পরবাসীর রোজনামচা

ল্যাপটপের কোনার ঘড়িতে সময় দেখাচ্ছে সকাল ৭ টা বেজে ০৪ মিনিট। গতরাত ঘুমাইনি। একটা ছোট ডাইনামোমিটার ডিজাইন করেছি, এখন কাজ হচ্ছে বিভিন্ন কম্পোনেন্ট জোড়া লাগানো। কিছু কিনে এনেছি আর কিছু বানাতে হচ্ছে মেশিন শপে আর র‌্যাপিড প্রোটোটাইপিং মেশিনে। রাতে দুটো জিনিস বানাতে দিয়েছিলাম র‌্যাপিড প্রোটোটাইপিং মেশিনে এবং আরও কিছু কাজ ছিল। কখন সকাল হয়ে গেছে টের পাইনি। র‌্যাপিড প্রোটোটাইপিং মেশিনটাকে আমার চমৎকার লাগে। মেশিনের কম্পুটারে আপনি যে জিনিস বানাতে চান তার ক্যাড মডেল দিতে হবে,

বিস্তারিত»