স্মৃতির ঝাঁপি : চুয়াত্তরের দুর্ভিক্ষ

প্রথম পর্ব ।। দ্বিতীয় পর্ব ।। তৃতীয় পর্ব

‘৭৩ সালের শেষ দিক থেকে পরিস্থিতির আরো অবনতি শুরু হলো। যুদ্ধে বিধ্বস্ত দেশ। পূনর্গঠন, পূনর্বাসন দরকার। কিন্তু সরকারের কাছে টাকা নেই। মার্কিন বিরোধীতার কারণে বৈদেশিক সাহায্য আসছে সামান্যই। কিউবায় পাট রপ্তানি করায় মার্কিন সরকার বাংলাদেশে খাদ্য সাহায্যের জাহাজ আটকে দিলো। কৃষি দেশের অর্থনীতির মেরুদণ্ড। কিন্তু যুদ্ধে কৃষকের মেরুদণ্ড ভেঙে গেছে।

বিস্তারিত»

বউকে আমি একটুও ভয় পাই না : ছবিব্লগ

দরবার বসেছে রাজার। সেখানে উজির-নাজির, পাইক-পেয়াদা থেকে শুরু করে রাজ্যের মানুষ হাজির। খুবই দুশ্চিন্তায় আছেন রাজা। রাজ্যে বউকে ভয় পায় না এমন মানুষ পাওয়া যাচ্ছে না! এইটা একটা কথা হইলো? রাজা বলে, আমি ভয় পাই, উজির ভয় পায়, এমনকি তাবৎ দুনিয়ার মানুষ যারে ডরায় আমার যুদ্ধবাজ সেনাপতি- সেও নাকি বউরে ভয় পায়!! কথা হইলো এইডা? রাজার পন বউকে ভয় পায় না এমন একজন প্রজা খুঁজে পেতেই হবে।

বিস্তারিত»

২০ বছর আগের দুটি ডায়েরি, কয়েকটা কবিতা, কিছু স্মৃতি

পুরানো বুকসেল্ফটা পাল্টাতেই হলো। পোকা এখন সেল্ফ শেষ করে বই-এ আক্রমন করতে শুরু করেছে। মুজতবা আলীর দেশে-বিদেশে বইটাই সবচেয়ে উপাদেয় বলে মনে হলো পোকাদের কাছে। বইটা ধরতেই পৃষ্ঠাগুলো ঝুর ঝুর করে পরলো আমার হাতের মুঠোয়। তাই নতুন একটা বইয়ের সেল্ফ কিনতেই হলো।
আমার বই রাখার সেল্ফ চারটা। পাল্টালাম সবচেয়ে পুরোনোটা। এটার বয়স কম করে হলেও ২৫ বছর। বা তারও বেশি। প্রথম যখন সেল্ফটা কিনি তখন তিন তাকের এক তাক মাত্র ভরতে পেরেছিলাম জমানো বই দিয়ে।

বিস্তারিত»

ফ্ল্যাশব্যাক ০৩

১। আমার ফ্রেণ্ড মাহবুবের ওয়াইফের নাম হাসি। হাসির মামাত ভাই রাজ়ীব মাহবুবকে পরিচয় করিয়ে দিচ্ছে ওর এক চাচার সাথে-

চাচা, এইটা হইল হাসির ভাতাড় ।
জামাইকে অনেক জায়গায় ভাতাড় বলা হয়। সম্ভবত ভাতের জোগান দেয়ার পুরস্কার সরূপ এই নাম।

২। আমার মামীর ব্লাড ক্যান্সার। গত মাসে উনি ছিলেন কাকরাইলে ইসলামি ব্যাংক সেন্ট্রাল হাস্পাতালে। ব্লাড দরকার ছিল তাই আমার এক কলিগকে (কৃতজ্ঞতা মাছুম ভাইকে) নিয়ে গেলাম।

বিস্তারিত»

সশস্ত্র বাহিনীতে গণহত্যা: মঞ্জুরের হত্যাকান্ডসহ কিছু অজানা তথ্য ও আমাদের সুশীল সমাজ।

অভ্যুত্থান ঘটে গেছে। নিহত প্রেসিডেন্ট জিয়া। লাশ তখনো পড়ে আছে চট্টগ্রামের সার্কিট হাউজে।
মেজর রেজা সকালে ঘুম থেকে উঠে জানলেন সব। প্রথমে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল পড়ে থাকা লাশ সরিয়ে নেওয়ার। অন্য কাজ চাইলে দেওয়া হয় চট্টগ্রামের জিওসি মেজর জেনারেল মঞ্জুরের দেহররি দায়িত্ব। শেষ সময় পর্যন্ত এই কাজটি করেছেন।
মেজর রেজা শুরু থেকে পুরোটা বলেছেন প্রমান্য চিত্রটিতে। এটাই তার প্রথম সাক্ষাৎকার। জিয়া হত্যা থেকে শুরু করে দায়ী হিসেবে চিহ্নিত সেনা কর্মকর্তাদের ফাঁসি পর্যন্ত ঘটনা নিয়ে অসংখ্য গল্প চালু আছে।

বিস্তারিত»

স্মৃতির ঝাঁপি : মুক্তিযুদ্ধোত্তর অস্থিরতা

প্রথম পর্ব
দ্বিতীয় পর্ব
তিন.
স্রোতে স্মৃতির ভেলা ভাসিয়েছি। লগি-বৈঠা কিছু নেই। তাই বাতাস আর স্রোতের টানে কোথা থেকে কোথায় যে যাই, নিজেও জানি না। সময়টা মনে রেখে ঘটনাগুলোকে শুধু সুতোয় গাঁথছি যেন! লিখতে বসেছিলাম ঢাকায় আমার-আমাদের পরিবারের বাড়িগুলোকে নিয়ে। এখন তার সঙ্গে চলে আসছে সমসাময়িক রাজনীতি, ব্যক্তিগত স্মৃতি, ঘটনাক্রম, আশেপাশের মানুষ কত্তো কি! এটা কি আত্মজীবনী? তা তো নয়।

বিস্তারিত»

ফ্ল্যাশব্যাক ০২

১। আমরা ক্লাস নাইনে (১৯৯৫ সাল) হাইকিং এ গিয়েছিলাম। ৩ দিনের আমাদের ফাইনাল ডেস্টিনেশন ছিল ফেনীর ছাগলনাইয়া থানা। প্রথমদিন আমাদের স্টপেজ ছিল সীতাকুন্ড থানায়। আমরা কলেজ থেকে সকালে রেললাইন ধারে হাটতে থাকি।১১ টার দিকে হালকা নাস্তা দেয়া হয় রেললাইনের পাশেই। আমাদের সাথে ছিলেন এডজুটেন্ট মেজর রেজা (আরসিসি এক্স ক্যাডেট) স্যার। বিরতির সময় বললেন আজ রাতে তোমরা যে যা পার পারফর্ম করবা।
আমরা বললাম কি কি হবে স্যার?

বিস্তারিত»

ফ্ল্যাশব্যাক

চলার পথে অনেক টুকরো ঘটনা আছে যেগুলো একেকটা গল্প হওয়ার জন্য যথেষ্ট নয়। কিন্তু সবার সাথে শেয়ার করা থেকে বঞ্চিত হতে চাইনা। তাই কিছু শেয়ার করছিঃ

১।
আমার এক মেয়ে ফ্রেণ্ডের সাথে ঠিক রমজান মাস শেষ হওয়ার পর ফোনে কথা হচ্ছে। আমাকে জিজ্ঞেস করল রোজা কয়টা রাখছ। আমি বললাম ৩০টাই রাখছি। তুমি ?
সে বললো আমিও সব কয়টা রাখছি। আমি বললাম মেয়েরা তো সব রাখতে পারার কথা না।

বিস্তারিত»

বাদলা দিনে মনে পড়ে, ছেলেবেলার গান

ঢাকার আকাশে তুমুল, বৃষ্টি। গতকালকে যে prelude শুরু হইসিলো আজকে তা পুরাই Concert এ রূপ নিছে। সারাটা দুপুর মেঘলা করার পর ধুমায়া বৃষ্টি হইতেসে। বারান্দার ফাঁক দিয়া কফির কাপ হাতে বৃষ্টি দেখি, সাথে এক মিনিট করে নিজের আয়ূ কমাই।

বৃষ্টি দেইখা একটা গানের কথা খুব মনে পড়তেসে, ভাবলাম সিসিবিতে শেয়ার করি।
১৯৯৮ সাল এ রিলিজ হওয়া খুব ভূয়া ধরণের একটা ছবি ‘দাহেক’।

বিস্তারিত»

পারসনাল আউটিং।। আলমাস দিনার

আমাদের ব্যাচ যখন পানি সমস্যার জন্য কলেজে একা ছিলাম তখন বস্তুত ডিসিপ্লীন বলে কিছু ছিলনা । আমরা ইচ্ছামত কলেজের বাইরে যেতাম । শুধু খেয়াল রাখতে হত ডাইনিং হলে কাঊণ্ট করে কিনা । পিটি প্যারেড না থাকায় প্যারেড স্টেটমেণ্টের কোন ঝামেলা ছিলনা । আমি আমার আগের আর্টিকেলে ঊল্লেখ করেছি আমাদের প্রিন্সিপাল ছিলেন মহামান্য বশীরুদ্দীন ভাইয়া । আমাদের কলেজে কোন বাঊণ্ডারী দেয়াল ছিলনা । আমাদের পিছনে সমহিমায় দাড়িয়ে আছে পাহাড় যার গায়ে লেখা আছে ‘কথা নয় কাজ’।এটি আমাদের কলেজ মটো ।

বিস্তারিত»

প্রবাসে প্রলাপ ০১১

১।
আজ রুমে ফিরেছি হাসপাতাল থেকে। সোমবারে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলাম তার দুদিন আগেই রুম থেকে বের হয়ে সাকেব ভাইদের বাসায় ছিলাম। ওনাদের ওখান থেকে হাসপাতালে গেলাম। একদিন পরেই অপারেশন ছিল রাতের বেলায় ঘুম আসল না। অপারেশনের চিন্তায় নয় অবশ্য জেনারেল বেডে ছিলাম সেখানে দুজন মনের সুখে নাক ডাকার কম্পিটিশন দিয়ে গেল আমাকে রেফারি বানিয়ে।

বিস্তারিত»

স্মৃতির ঝাঁপি : নরক ছেড়ে পালালাম

প্রথম পর্ব
দুই.
বাবার একটা পদোন্নতি হলো। মুক্তিযুদ্ধের আগেই আমরা বাসা বদল করে কলোনীর আইডিয়াল স্কুল অঞ্চলে চলে গেলাম। এফ-৪৯ নম্বর ভবনে। এই বাসাটা কমলাপুর রেল স্টেশনের কাছে। ‘৭০-৭১ সালে কলোনীর ভেতরে প্রায় প্রতিদিনই মিছিল-সভা হতো। সন্ধ্যায়-রাতে নিয়মিত ছিল মশাল মিছিল।

‘৭১-এর ২৫ মার্চ সন্ধ্যা থেকেই বাইরে রাস্তায় প্রবল উত্তেজনা দেখছি। তরুণ-যুবক বয়সীরা কেউ বাসায় নেই। সবাই রাজপথে নেমে গেছে।

বিস্তারিত»

এই তো জীবন….

ক্যাডেটরা দুষ্টু হয়, ক্যাডেট কলেজে ঢুকার আগেই তা কানে এসেছিল। কলেজে পা ফেলার প্রথম দিন থেকেই তার প্রমাণ পাওয়া শুরু করলাম । অভিভাবকদের নিয়ে ডাইনিং রূমে যাওয়ার সময় দেখলাম একটা ছাগল শ্যান্ডো গেনজি আর জাঙ্গিয়া পরে ঘুরে বেড়াচ্ছে। এতগুলা বাইরের লোকের সামনে যেন লজ্জা না পায়, এ কারনেই হয়তো কোন সিনিয়র ভাই এ ব্যাবস্থা নিয়েছিলেন। কিন্তু পাশেই একটা গরুকে কেন এ ব্যাবস্থার আওতায় আনা হয়নি,

বিস্তারিত»

স্মৃতির ঝাঁপি : ভবন নম্বর ১১

গত এক মাস ধরে এক ধরণের উত্তেজনার মধ্যে বাস করছি। বাসার অবস্থা বেরাছেড়া! সব লন্ডভন্ড, কোনো কিছু জায়গামতো নেই! অতিথি ঘরটা ফাঁকা পড়ে আছে। ভেতরের ঘরগুলোর অবস্থাও তাই। উত্তেজনায় টানটান হয়ে আছি একা আমি নই, বাসার সবাই। কেমন একটা উৎসব উৎসব ভাব। সব বাধাছাদা হয়ে গেছে। গাড়িতে, ঠেলায় করে হাড়ি-পাতিল, থালা-বাসন, কাপড়-চোপড়, কিছু কিছু ফার্নিচার চলে গেছে আরেক বাসায়। আমাদের নতুন বাসায়। কবে যাবো সেখানে?

বিস্তারিত»

দিনলিপি ০৪: আবোলতাবোল

১.১- ইদানিং কেনো জানি অফিস করতে একদমই ভালো লাগে না। বুঝতেছি না কেনো। এখনি এই কাহিনি হলে আরো তো সময় অনেক পড়ে আছে। কি যে হবে। প্রথমে ভাবতাম শুধু আমার। কিন্তু না, পরে অফিসে তানভীর বা অন্যান্যদের সাথে কথা বলে দেখি একি কথা সব দিকে। আগের দিনের মানুষ রাও কি এতো তাড়াতাড়ি বোরড হয়ে যেতো? কি জানি। নাকি যুগের অনূভুতি এটা। হতে পারে এক জায়গায় বেশকয়েক বছর চাকুরি করার ক্লান্তি।

বিস্তারিত»