গত চাইনিজ নিউইয়ার ছুটিতে গিয়েছিলাম কাকঁড়া দ্বীপ, কিন্তু ছিলাম মাত্র কয়েক ঘন্টা, তখনি প্লান ছিল, আবার আসব এখানে, রাতে থাকতে হবে, এবারের থিম্পুসানের ছুটিতে আবার আমাদের সমুদ্র যাত্রা।
সকাল ১১ টাঃ ছুটির দিনের প্রাথমিক আলস্য কাটিয়ে যাত্রাহল শুরু, কে-এল সেন্টাল হয়ে ক্লাঙ্গ বন্দরের জেটিতে আসতে আসতে ১টা বেজে গেল। বেশি মজা করার জন্য ফেরি বাদ দিয়ে উঠলাম কাঠের মাছধরা ট্রলারে, প্রায় ১.৩০ ঘন্টা লাগল দ্বীপে আসতে, পাথে অবশ্য মানগ্রোভ বন দেখলাম, কারন, ট্রলার কিছুদুর যায় একটা দ্বীপ এর মাঝখানের একটা নদী দিয়ে, জনমানবহীন এই দ্বীপ জুড়ে শুধু গাছ আর গাছ।
দুপুর ২টাঃ সমুদ্রের সব চেয়ে কাছের হোটেল সি লায়ন, একটা ডাবল বেড এর রুম নিয়ে আর ২টা সাইকেল ভাড়া নিয়ে বের হলাম দ্বীপ ভ্রমনে, ৩ কিমি লম্বা এই দ্বীপ এব প্রায় পুরোটা চষে বেড়ালাম। রাতের খাবার খেলাম বিরাট একটা আস্ত মাছভাজি আর ভাত।
রাত ২টাঃ সামনে, বিশাল একটা সমুদ্র, আমি আর আমার বন্ধু বসে আছি জাহাজ থামার লম্বা জেটির মাথার খোলা জায়গায়, নিচে ঢেউ এর ছপাত ছপাত শব্দ, মাথার উপরে বিরাট একটা চাঁদ, দূর সমুদ্র থেকে আসা রাতের ঠান্ডাবাতাস, একটু দূরে, জেলেদের পল্লীথেকে ভেসে আসা গানের সুর, সাথে কয়েকটা “টাইগার” এর বোতল, আ হা জীবনটা আসলেই খুব সুন্দর,
সকাল ৮টাঃ প্রচন্ড বৃষ্টি হচ্ছে, হোটেলের বারান্দায় দাড়িয়ে বৃষ্টি দোখছি, হালকা সবুজ জলের সাগর বৃষ্টিতে ভিজছে, বৃষ্টি মাথায় করে বের হলাম খেতে, অনেক খুজে একটা দোকান পেলাম, খাবার, চাইনিজ ডাক রোষ্ট, হলুদ ভাত আর চাইনিজ চা। খবার খেতে খেতে আমার বমি চলে আসালো, মিল্লাত তাড়াতাড়ি বিস্কুট নিয়ে আসলো, আমি খালি বিস্কুট খেয়ে চলে আসলাম জেটিতে, ৯.৩০ এ ফেরি ছাড়বে,আবার ফিরে যাবার সময় চলে আসছে, কাল অফিস আছে, আবার সেই লুপবন্দী জীবন, বিদায় কাকঁড়া দ্বীপ।
খুব দ্রুত চলছে আমাদের ফেরি, আমার কানে বাজছে তপন এর গানটি, “আজ ফিরে না গেলেই কি নয় …”, কিন্তু ফিরে তো যেতেই হয়, চাইলেও আর না চাইলেও … এবার কিছু ছবি দেখুন
পরথম নাকি ? :gulli2: :gulli2: :gulli2:
কাঁকড়া দ্বীপের নাম শুনেছিলাম। কিন্তু সময়ের অভাবে যাওয়া হয়নি তখন। আসলে তখন রেডিমেড ট্যুরিষ্ট স্পট গুলোই দেখা হয়েছে। কিন্তু কনভেশনাল ট্যুরিস্ট স্পটের চেয়ে কাঁকড়া দ্বীপ বুঝি খারাপ হতো না।
শেষ ছবিটা কার, সুমন ভাই? ;;) ;;) ;;)
'কাকঁড়া দ্বীপ' জায়গাটা পছন্দ হইছে... :thumbup:
ঐ দেখা যায় তালগাছ, তালগাছটি কিন্তু আমার...হুঁ
আমিও কাক্রা দ্বীপে যাপো :(( :(( :((
মেহেদী'র নামের সাথে কলেজে অবস্থান সময়কাল সংযুক্ত করার অনুরোধ করছি। 😀
ওকে, করলাম বস, নামটা তো বিশাল হয়ে গেলো ...
শুধু মেহেদী (৯৫-০১) বা সুমন (৯৫-০১) দাও না, সমস্যা কি ? 😀
মেহেদী হাসান সুমন (১৯৯৫-২০০১) ... এইটাই ভালো, 😛 একটা বড় বড় ভাব চলে আসছে, 😀
আমিও যাপো :(( :((
কাকরাঁ দ্বীপ কোথায় ভাই ?
ভাই, এটা মালায়শিয়ার একটা দ্বীপ
আমি তাহিতী যাপো :(( :((
পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না