এই দিনগুলোর জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম অনেকদিন ধরেই। ২০০৮ সালে হতে হতেও হলো না। ফলে বিদেশ থেকে আসা বেশ কয়েকজন বন্ধু ফেরত গেল। কিন্তু দেশে যারা আছি বা থাকি, বেঁচে থাকলে ঠেকায় কে? ফৌজদারহাটের পূণর্মিলনী, তাও আবার সুবর্ণজয়ন্তীতে। ৫১ বছর বয়সী একটা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, আমরাও বেরিয়েছি ২৯ বছর হয়ে গেল। কি একটা অদ্ভূত টান! বারবার ফিরে গেলেও আবার যাওয়ার আকাঙ্খা এতোটুকু কমে না। এ কেমন ভালোবাসা? গত এপ্রিলেও গিয়েছিলাম। তারপরও ডিসেম্বরের এই শেষ সপ্তাহটার জন্য কতো অপেক্ষা!
আগেরবার আমরা অনেক গোছানো ছিলাম। ঢাকা থেকে একটা ভলভো বাস চার্টার করে কলেজে গিয়ে নেমেছিলাম। ভাবখানা রাজ্য জয় করতে এসেছি। তখন সবাই মজা করে বলেছিলাম, পরেরবার হেলিকপ্টারে করে গিয়ে নামবো। কিন্তু কারো কারো বাচ্চার পরীক্ষা, কেউ কেউ অসুস্থ হয়ে পড়া- এমনসব নানা সমস্যা। শেষ পর্যন্ত ঢাকা থেকে একটা বড় অংশ গেল ট্রেনে, কেউ গেল উড়োজাহাজে আর কেউ নিজের গাড়ি নিয়ে।
আমি এবার আগে থেকেই ঠিক করেছিলাম অফিস থেকে পাওয়া নতুন গাড়িটা নিয়ে যাবো। রাতে যেহেতু শহরে থাকবো, তাছাড়া বান্দরবান যাওয়ারও একটা ইচ্ছা আছে- তাই এটাই ভালো সমাধান মনে হয়েছিল। ২৫ থেকে ২৭ ডিসেম্বর, ২০০৯ সুবর্ণজয়ন্তী উৎসব। আমরা রওয়ানা হলাম ২৪ তারিখ। আমরা মানে ছবি (আমার স্ত্রী), উদয় (ছেলে), গাড়ির চালক রেজাউল আর আমি। সকাল থেকে তোড়জোড় শুরু হলেও তৈরি হয়ে বাসা থেকে বেরুতে বেরুতে বেজে গেল পৌণে বারোটা। বৃহস্পতিবারের ঢাকা শহর পেরুতেই আমাদের “বারোটা” মানে তিনটা বেজে গেল। ততক্ষণে সবার ক্ষিধে লেগে গেছে। হাইওয়ে ইন পর্যন্ত এই অবস্থায় যাওয়ার সাহস হলো না। মেঘনা সেতু পেরিয়ে মেঘনা ভিলেজে পৌছুলাম সাড়ে তিনটায়। সেখানেই পেট পুজো দিয়ে আবার ছুটলাম। দাউদকান্দি পেরুনোর পর দেখলাম আমার গাড়ির চালক কিছুটা নার্ভাস আচরণ করছে। স্বাভাবিক গাড়ি চালাতে পারছে না। দুয়েকবার বকাঝকা করলাম। কাজ হলো না। ময়নামতির আগে গাড়ি পার্ক করিয়ে চালককে পেছনের আসনে পাঠিয়ে নিজে বসে গেলাম ড্রাইভিং সিটে।
গাড়ি চলছে, সন্ধ্যা নেমে এসেছে। চৌদ্দগ্রামের কাছে একটা রেস্টুরেন্টে নেমে ফ্রেশ হয়ে চা খেয়ে আবার ছুট। তখনো পর্যন্ত ধারণা করছি রাত ১০টা, সাড়ে ১০টার মধ্যে চট্টগ্রাম পৌঁছে যাবো। কিন্তু সাড়ে ৯টায় আটকে গেলাম ভাটিয়ারির আগে কুমিরায়। সামনে পেছনে বিরাট জট। দুপথেই। ডান-বাম, রং-রাইট নানাভাবে বাস আর ট্রাকগুলোকে পেছনে ফেলে এগুতে থাকলাম। কখনো ঠায় বসে থাকা, কখনো পিপড়ার গতি- এভাবেই। কেন জট, কোথায় জট- কিছুই জানি না। কতোক্ষণে পৌঁছাবো তাও জানি না। মেজাজও তিরিক্ষি। এভাবে করে ৩-৪ কিলোমিটার পাড়ি দিয়ে ফৌজদারহাট ক্যাডেট কলেজের ফটকে পৌছুলাম রাত সাড়ে বারোটায়। চট্টগ্রামের বন্ধু সোহেলে জানাল, সেও রাস্তায়। কলেজে আসছে। সাজ-সজ্জার কিছু কাজ আছে। আমিও বউ-বাচ্চাকে রাজি করিয়ে গাড়ি ঢুকিয়ে দিলাম কলেজ ফটক দিয়ে। ভেতরে রঙিন আলোকসজ্জা। নাইট গার্ড আর প্যারেড গ্রাউন্ডে বিশাল প্যান্ডেল বাঁধার লোকজন ছাড়া কেউ কোথাও নেই। থাকবে কি করে! শীতের রাত সাড়ে ১২টা, পৌণে একটা বাজে না! ফোন করলাম ওফা মহাসচিবকে। উনারা প্রিন্সিপালের অফিসে সভা করছেন। ঢুকলাম। সবার সাথে হাত মিলিয়ে বুঝলাম আমার এখানে কোনো কাজ নাই। বিদায় নিয়ে বেরিয়ে আবার ফোন সোহেলকে। সেও যানজটে আটকে পড়েছে। বললাম, “গুড নাইট। আমি শহরে যাচ্ছি।”
কলেজ থেকে বেরিয়ে আবার যানজটে আটকা। “পুরা মাইকাচিপা” বোধ হয় একেই বলে! শেষ পর্যন্ত স্যারসন রোডের “কর্ণফুলী”তে পৌঁছুলাম রাত দুটোয়। আগে থেকে জানানো ছিল, তাই খাবার মিললো। পারিবারিক বৈঠকে পরের দিনের পরিকল্পনা সম্পন্ন করে ঘুম।
২৫ ডিসেম্বর সপরিবারে ঘুম থেকে জাগলাম ১০টায়। খোঁজ-খবর নিয়ে জানলাম বন্ধুরা কে কোথায়, কি অবস্থায়। একেবারে তৈরি হয়ে নাস্তার টেবিলে গেলাম দুপুর ১২টায়। ব্রাঞ্চ!! কলেজ স্টাইলে ব্রেকফাস্ট। টোস্ট পাউরুটি, বাটার, জেলি, ডিম ওমলেট, পোচ, সব্জি এবং সবশেষে অতি অবশ্যই চা। হোটেল থেকে বেরুলাম একটায়। সোজা কলেজে। আগে আগে রেজিষ্ট্রেশন সেরে ফেলতে হবে না!
কলেজের দীঘির পাড়ে রেজিষ্ট্রেশন ক্যাম্প। এখান থেকে রবীন্দ্র হাউসের হলুদ রিবনের আইডি কার্ড, গিফটসহ সব কিছু বঝে নিলাম। এরমধ্যে ঢাকা থেকে যাওয়া ট্রেনটা একেবারে কলেজের ফটকে থামলো। হুড়মুড় করে সেখান থেকে নামতে থাকলো ঢাকার পার্টি। আমি আবার আইডি কার্ডে একটা “অফিসিয়াল ট্যাগ” লাগিয়ে ভাব নিয়ে গাড়ি সোজা কলেজে ঢুকিয়ে দিলাম। অন্যরা তখন তাদের গাড়ি পার্ক করছে এক নম্বর ফুটবল মাঠে।
বর্নিল ফৌজদারহাট ক্যাম্পাস আমাদের স্বাগত জানালো
এটা চট্টগ্রাম বন্দর না! ফৌজদারহাটের এক নম্বর ফুটবল মাঠ
২৫ ডিসেম্বর বিকেলে সেই যে কলেজ ক্যাম্পাসে ঢুকলাম, মাঝে রাতে ঘুমোতে শহরে যাওয়া ছাড়া পরের তিনটা দিন হুটোহুটি, লুটোপুটি, ঝাঁপাঝাঁপি- চললো তো চললোই। বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা, ক্যাম্পাস ঘুরে দেখা, কিছুক্ষণ পরপর খাওয়া-দাওয়া, প্যারেড (এইবারও ফাঁকি মেরেছি!), খেলা দেখা, মজা করা, বন্ধুদের পঁচানো, গভীর রাত পর্যন্ত ব্যান্ড শো উপভোগ করা, পাহাড়ে চড়া- সবই হলো। এইসব বিস্তারিত বর্ননা দিতে গেলে পোস্টটা আর আলোর মুখ দেখবে না। তাই কিছু ছবি (আলোকচিত্র) দেওয়াটাই উত্তম।
ইয়ালো ইয়ালো আপ আপ……… পরপর চারবার চ্যাম্পিয়ন! কি দেখাইলা লায়ন ভাইরা!!
একুশতম ব্যাচের এক্সক্লুসিভ টি-শার্ট! পেছনে ৫৬ জন বন্ধুর নাম লেখা। দুই বছরের গোপন পরিকল্পনার বাস্তবায়ন!! ডিজাইন সোহেল আর স্পনসর কলেজ সময়ের ওজন ধরে রাখা ব্যবসায়ী হেলাল। পুরা ব্যাচ ভাব লইয়া কলেজে পইড়া বেড়াইছি!
এবারের সুবর্ণজয়ন্তী উৎসবেও চ্যাম্পিয়ন ২১তম ব্যাচ। সপরিবারে উপস্থিত ২৪ জন। এখানে তার কিছু। আমাদের বন্ধুত্বের আসলে তুলনাই হয় না!!
কলেজের তৃতীয় আর চতুর্থ শ্রেনীর কর্মচারীরা আমাদের সঙ্গে এসাথে মেজবানে। গরু রান্নাটা যা হইছিলো না! আহ্ ভাবলে এখনো মুখটা ভিজা যায়!! কব্জি ডুবাইয়া খাইলাম (কপিরাইট : মনে নাই)!!
২০-২০ ক্রিকেট। আমাদের আর্কিটেক্ট বন্ধু সোহেল এবারও খেলা দেখাইলো……. বাউন্ডারির পর বাউন্ডারি। যদিও বেচারা ওল্ড ক্যাডেটদের পরাজয় ঠেকাইতে পারে নাই!!
জিহ্বায় পানি আসতাছে নাকি? এইটা হইলো মাত্র একটা। আরো ৫টা ছিল এই সাইজের!!
মাস্ফ্যুর মতো খাদকদের ভয়ে কড়া পাহারায় সুবর্ণজয়ন্তী কেক!!
আতশবাজি!! ২১তম ব্যাচের আয়োজন। ২৬ ডিসেম্বর রাতটা গরম কইরা দিছিল।
লালে লাল দুনিয়া! (কপিরাইট : বন্ধু মহারাজা জিয়াউল)
গানে-নাচে ভাসাইতে ২৫ ডিসেম্বর রাতে সোলস আর শিরোনামহীন, ২৬ ডিসেম্বর ক্যাডেটস, প্রাক্তন ক্যাডেটদের ব্যান্ড সময় আর দলছুট ছিল। পোলাপাইনরে আরো নাচাইছে ডিজে ফাহাদ!! ছবিটা শিরোনামহীনের।
মঞ্চের সামনেটা ক্যাডেটরাই দখল কইরা রাখছিল। ওদের নাচানাচি!!
অ্যাকাডেমিক ব্লকের সামনে ফুলের বাগান পেছন রেখে সিসিবি প্রিন্সিপাল দম্পতি!!
পাহাড়ে চড়তে হবে। জঙ্গলের ভেতর দিয়ে কাটার গুতা খেয়ে এগিয়ে চলছে আমাদের নারীবাহিনী!!
অবশেষে “কথা নয় কাজ” পাহাড় জয়। আমার ইটিটি টেস্টটা মনে হয় হয়েই গেল!!
রাতে আলোকসজ্জায় ঝলমলে ক্যাম্পাস, প্রিন্সিপালের অফিস। ক্যাডেট থাকতে প্রিন্সিপালের অফিসে উৎসাহ নিয়ে কেউ কি কখনো গিয়েছে? এবার ঢুকেছি। সেখানে বসে সিগেরেট ফোঁকা, আড্ডাও হয়েছে। প্রিন্সিপাল আবার মির্জাপুরের লে. কর্নেল হুমায়ুন কবির। একটা সিডান গাড়িও পেল ও ওফার কাছ থেকে।
২৭ ডিসেম্বর দুপুরে মেজবান খেয়ে আমরা তিন পরিবার ছুটলাম কলেজ ছেড়ে বান্দরবানের উদ্দেশ্যে। এবারও গাড়ির নিয়ন্ত্রণ আমার হাতেই ছিল। সাকুরা হিল রিসোর্টে পরদিন ভোর সাড়ে ৬টা এই ছবিটা তুলেছি। অসাধারণ প্রকৃতি!!
৯টার দিকে ছুটলাম নীলগিরির উদ্দেশ্যে। রাস্তাটা দারুণ। মাঝে-মধ্যে থেমে থেকে প্রকৃতি দেখা আর ছবি তোলা। এই রাস্তায় গাড়ি চালাতে হয় বামে চেপে। বাঁকগুলো দারুণ! ড্রাইভিংয়ে মজাও পেয়েছি অনেক। উদয় পেছনে বসে বাপকে নিয়ন্ত্রণ করছিল!!
এবার নীলগিরি পাহাড় চূড়ায়। এবিসি শুনলাম! ফূর্তিও পেলাম। আর চললো খালি ছবি তোলা। এখানে আমাদের তিন বন্ধুর বউ আর বাচ্চারা।
২৮ ডিসেম্বর ফিরলাম আবার চট্টগ্রামে। কিন্তু চরম সারপ্রাইজ দিল ফয়েজ। শারমিন আর মেয়েসহ গাড়ি থেকে নামলো ও। এক হাতে কেক আর আরেক হাতে ফুলের তোড়া। ওদের রেখে এক শিক্ষকের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলাম। রাতে হোটেলে ফিরে ফয়েজের কেক কেটে জন্মদিন পালন করলাম। ধন্যবাদ ফয়েজ। শারমিনকে শুভেচ্ছা আর মেয়েকে আদর দিও।
রাতে সাংবাদিক বন্ধু মামুনের বাসায় ছিল খাবারের নিমন্ত্রণ। ফয়েজের কল্যাণে ও জেনে গেছে আমার জন্মদিনের কথা। তাই ওর বাসায় কেক কাটছে আমাদের ছেলে আর মামুনের মেয়ে।
ঢাকায় ফিরাও শান্তি নাই!! স্যাম, আবীর অফিসে কেক নিয়ে হাজির। আরে বাবা কতো কেক কাটবো! তাই তিনজনে জবাই করলাম সেটা। আর গ্রেট মাস্ফ্যু সেই ছবি তুললো।
জন্মদিন আমার। কেক আনলো আমার জন্য। কৈ আমারে দিবো, তা না; ওরাই দেখো কেমনে কেক খাইতাছে!! ঝাতি জানুক, চিনে নিক এই কেক খোরদের! তবে কেকের অর্ধেকটা এবিসির লোকজন সাবাড় করছে। পরদিন আমার নামে এবিসিতে সবাই আবার কেক খাইলো!! ২৮ থেকে ৩১ ডিসেম্বর কেক কাটতে কাটতে আমার হাত ব্যাথা হইয়া গ্যাছে। আর এখন এই পোস্ট নামাইতে জান শ্যাষ!!
সবাইকে ধন্যবাদ আর কৃতজ্ঞতা। এক জন্মদিন নিয়া সিসিবিতে এতোগুলো পোস্ট বেশ বাড়াবাড়িই হয়ে গেছে। আগে টের পেলে ঠেকানোর চেষ্টা করতাম। কিন্তু মোবাইল নেটওয়ার্কে থাকলেও ২৪ থেকে ২৯ ডিসেম্বর নেটের পুরো বাইরে ছিলাম। আমাকে আর এভাবে লজ্জা দিও না। ফোন, পোস্ট, মেইল, ফেসবুকে বার্তা আর মুঠোফোনে ক্ষুদেবার্তার বন্যায় আমি আপ্লুত। কালাকুর্তার ভাষায় বলতে হয়, “ইমোশনাল হইয়া গেলাম।”
চিৎকার করে বলছি, আই লাভ ইয়ু অল। তোমরা সবাই ভালো থেকো। ভালোবাসা নিও আমার।
আলোকচিত্র সৌজন্য : বন্ধু জিয়াউল এবং আমি
১ম 🙂
🙂
এক্সিলেন্ট...
ভাইয়া, এক পিস কেক ঢিল দিলেও তো আমার অফিসে আইয়া পড়তো। সবাই কেক-কুক খাইয়া ফাডাইয়া ফালাইছে, আর আমি খবরও পাইলাম না। আমি মনে হয় গাংগের জলে ভাইসা আইছি। :grr:
সিসিবি প্রিন্সিপাল দম্পতির ছবিটা সুন্দর আসছে। বড় কইরা দেয়ালে বান্ধাইয়া রাখেন। দেখবেন, ভালো লাগবে।
---------------------------------------------------------------------------
বালক জানে না তো কতোটা হেঁটে এলে
ফেরার পথ নেই, থাকে না কোনো কালে।।
আপনেরে ফোন দিলে কার কার সাথে কই কই থাকেন, আর বলেন গাঙ্গের জলে ভাইসা আইসেন নাকি?? গাঙ্গের জল কেন, ট্যাপের জলও আপনারে ছুইয়াও দেখব না B-)
:)) :)) :)) =)) =)) =))
:party: :awesome: :bash: :gulli2:
আমি ফৌজদারহাটের প্রিন্সিপাল হইতে চাই 😐
মেজবান খাইতে মঞ্চায় 🙁
কেক খালি আমরা খাইছি?? 😡 ...কিছু বললাম না।
দেখে মনে হচ্ছে খালি কেক কাটছেন আর পাহাড়ে উঠছেন। + আর -। ফলাফল শূন্য। কোনই অর্জন হলো না।
“Happiness is when what you think, what you say, and what you do are in harmony.”
― Mahatma Gandhi
:hug:
সানা ভাই রকস
:hug:
চ্যারিটি বিগিনস এট হোম
ভাইরে ভাই ... .... সানা ভাই ... ...
রিউনিয়নটা খুব মিস্ করেছি। কলেজ থেকে বের হয়ে একবারও যেতে পারিনি। সামনের বার ইনশাল্লাহ, যাবই।
জম্পেশ ... :clap: :clap:
:boss: :boss: :boss:
"আমি খুব ভাল করে জানি, ব্যক্তিগত জীবনে আমার অহংকার করার মত কিছু নেই। কিন্তু আমার ভাষাটা নিয়ে তো আমি অহংকার করতেই পারি।"
একটা কমেন্ট লেখসিলাম, কই যে গেলো, সিসিবি'র মডুরা ফালায়া দিসে নাকি, ব্যান চাইলাম :((
যাহোক, লাবলু ভাই কেকের টুকরা ঢিলা দিলে একদম আমার বাসায় আইসাই পড়তো 🙁 স্যামসোনাইট আর তার লেঞ্জাটা বাসার সামনে দিয়া গেলো, একটা কিসসু কইলোনা, একটা ফোনও দিলোনা। ভাবীকে রিউনিয়নে দেখসিলাম কিন্তু সাথে পুরা ২১ব্যাচ থাকাতে খামাখা যাইচা পিড়া পাংগা খাইতে যাই নাই 😛 আর লাবলু ভাই আপনাদের গেঞ্জিটা চাইলাম কেউ দিলোনা 🙁 তার উপর গ্রান্ড ফুড কোর্ট থেইকা বাইর হবার সময় যে আপনারে উর্ধপতিত জনিত দূর্ঘটনার হাত থেকে জীবনবাজি রেখে উদ্ধার করলাম সেটার কথাও কইলেননা 🙁
নাহ, কেউ বুঝলোনা, কেউই না 🙁 নিজেরে কর্ণফুলীর জলে ভাসা পদ্ম মনে হইতাছে 🙂
সংসারে প্রবল বৈরাগ্য!
কাম্রুল গাংগের জলে ভাইসা আপনারে তুলবার লাইগা আইতাছে :-B
আপনারে আমি খুঁজিয়া বেড়াই
আরেকজন আসছেন...জ্বী আপনাকেও ফোন্দেয়া হইসিলো। আপনের মোবাইল বন্ধ ছিল x-(
🙁 বন্ধ ছিলোনারে 🙁
সংসারে প্রবল বৈরাগ্য!
কেক খাইতে মঞ্চায় !!!!
ছবিগুলো তুমুল হইছে। কলেজের রিইউনিয়ন আসলেই দারুণ জিনিস।
তুলুম আড্ডা হইছে ভাবী-উদয়ের সাথে, মেলা গপসপ। খালি ইন দ্যা ইয়ার অফ আর্টি এইটিজ, ঢাকা উইনির পুয়া, ক্যামনে জাহাংঙ্গীরনগরের পুরির লগে ভাবের আদান-প্রদান করত এইটা জানা হয় নাই, ইনফ্যাক্ট তখন তো আর তখন তো আর মোবাইলের জমানা ছিল না, তাই না। 😛
বিয়াপার না, নেক্সট টাইম।
কেকের আর্ধেক যে আমরা কাইটা হাপিস কইরা বাকী আর্ধেক আপনারে দিছি কাটতে এইটা আর কইলেন না দেখি 😀
পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না
রিইউনিয়ন খালি এক্স ক্যাডেটদের মজা...ক্যাডেটদের জন্য মহা মুসিবত ... 😛 😛
People sleep peaceably in their beds at night only because rough men stand ready to do violence on their behalf.
কেক খাইতে মঞ্চায় !!!!
এতোগুলা কেক কাটলেন আর একটা টুকরাও পাইলাম না :((
রিইউনিয়নে যাইতে চাই
আরো এক বছর লাগবো যাইতে 🙁
এত্ত কেক....একটা টুকরাও খাইতে পারলাম না! 🙁
শেষ ছবিতে তিন কেক-খাদকের একটাকে মুখ হা করা অবস্থায় দেখা যাইতেছে! ইচ্ছা করতেছে ঐটারে এখনই লুংগি পিড়া.... x-(
তানভীর, মাঝখানেরটারে?? তাইলে দেরী করতেছিস ক্যান? জানিসনা শুভ কাজে দেরী করতে নাই :grr: :grr:
সংসারে প্রবল বৈরাগ্য!
কাইয়ূম ভাই, মাঝখানেরটাই তো মুখ হা কইরা আছে!
ব্লগীয় শালা.....লুংগি পিড়া লংআপ হয়ে যাও তাড়াতাড়ি। :grr: :grr:
🙁 🙁 তানভীর ভাই আপনের পায়ে পড়ি ঘটনা ফাঁস কৈরেন না-ব্লগে আমার মান ইজ্জত যা আছে সব যাইবো
দারুণ পোস্ট লাবলু ভাই :hatsoff: :guitar: ....হিংসা লাগতাছে.অনেক অনেক মজা করছেন :bash: :bash:
অফিসে প্রচলিত লাইন দিয়ে বলি- কাপাইছেন বস 😀
আপনারে আমি খুঁজিয়া বেড়াই
হিংসা...হিংসা...হিংসা... :bash: :((
ঐ দেখা যায় তালগাছ, তালগাছটি কিন্তু আমার...হুঁ
আফসুস :(( :((
There is no royal road to science, and only those who do not dread the fatiguing climb of its steep paths have a chance of gaining its luminous summits.- Karl Marx
এত কেক, তবুও কেক ভাগে পাইলাম না...... কি যে মিস করলাম...
কেউ এক পিস কেক পাঠাইতে পারলো না। সবাই খালি কথাই বলে, কেক খাবার সময় মনে থাকেনা। এত কাটাকাটি এতগুলো কেকের পিস অথচ পাই নাই। সবার কঠিন পেট খারাপ হবে।
ভাইজান আমার ভাগের কেকটা ছোট আপু'রে দিয়া দিসেনতো? :grr:
চিটাগাং এ এত্ত গুলান কেক কাটা হইল,আমি জানলাম ও না :(( :(( :((
দূর্দান্ত :hatsoff: :hatsoff:
আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷
লাবলু ভাই সবাইকে একটা কথা বলেন সবসময় সবুজ থাকার, মজার ব্যাপার লাবলু ভাই নিজেও এটা মেনে চলছেন । দোআ করি সবসময়ই এরকম আমাদের মাঝে সবুজ আর সতেজ থাকুন ।
আমিও কেক খাপো :(( (কপিরাইটঃ মাস্ফ্যুদা)
খুব ভালো লাগলো পড়ে ।
তবে "অ্যাকাডেমিক ব্লকের সামনে ফুলের বাগান পেছন রেখে সিসিবি প্রিন্সিপাল দম্পতি!!" ??