একটা ইয়াতো বড় কাহিনী……

আমি তখন ক্যাডেট কলেজে মাত্র আসছি ক্লাস সেভেনে, একদম প্রথম সপ্তাহর কথা। লাঞ্চের একটু পরে পরে কমন রুমের দিকে যাচ্ছিলাম। কে জানি ধোপার কাপড় নিয়ে আসতে বলছিল……। হাউজলীডারের রুমটা ক্রস করে কমনরুমে ঢোকার আগেই তৎকালীন ২৮তম ব্যাচের ডাইনিং হল প্রিফেক্ট আমাদের হাউজের জুলফিকার ভাইয়ের একদম মুখোমুখি পরে গেলাম! উনার সাথে আগে কখনো কথা হয় নাই, সাথে সাথে পাকড়াও করলেন আমাকে……

নাম কী?

বিস্তারিত»

নির্বাচনী অভিজ্ঞতা এবং না ভোটকে না বলুন, জামায়াত-শিবিরকে না বলুন

১.
ছোটবেলায় ভোটের সময় আমার প্রধান আকর্ষন ছিল বিটিভি। ভোট শেষ হতেই টানা ৪৮ বা ৭২ ঘন্টা ধরে টিভি খোলা থাকতো। নানা ধরণের অনুষ্ঠান হতো, আর ফাঁকে ফাঁকে নির্বাচনের ফলাফল। নাটক ও বাংলা সিনেমাই দেখাতো বেশি। মনে আছে আমার মা টিভি রুমে নীচে ঢালাও বিছানা করে দিতো, আমারা সবাই ৪৮ বা ৭২ ঘন্টা কাটিয়ে দিতাম এই বিছানায়। তখন ফলাফল নিয়ে মাথা ঘামাতাম না, কে জিতলো তাতে খুব মাথাব্যাথা থাকতো না।

বিস্তারিত»

আফসোস রিটার্নস্‌…

– ‘কিরে ব্যাটা! কি করস??’
– ‘কি আর করুম, নেট ব্রাউজ করি…’
– ‘সারাদিন তো করিস ঐ এক কাজ…’
– ‘না করার কি আছে? আমার তো এখন অখন্ড অবসর…!’
– ‘হা হা হা…কবে তোর ‘অখন্ড অবসর’ থাকে না…???’
এই পর্যায়ে হাল্কা মাইন্ড খাইলাম, ‘হালায় আমারে পঁচাইল নাকি?’ ভাবতে ভাবতে বললাম,
– ‘ইয়ে…মানে…অফিসিয়ালি আর কি…কেবলই সেমিস্টার শেষ হইল তো…!!!’

সেদিন জাফরের সাথে কথা শেষ করে ফোনটা রাখার পর হঠাৎ করে অনেক পুরনো স্মৃতি পড়ে গেল…

বিস্তারিত»

সালাম তোমায় বন্ধু…(জীবনের গল্প)

বাবা-মা আর দুই বোন যখন রাতুল (ছদ্মনাম) এর সাথে প্রথমদিন ক্যাডেট কলেজে এসেছিল, তখন সবাই এই পরিবারের সদস্যদের সুখী মুখ দেখে তৃপ্ত ছিলেন। আর হবেই বা না কেন? এরকম ছোট নির্ঝঞ্জাট পরিবারের বড় ছেলেটি আজ ক্যাডেট কলেজে জয়েন করলো। দেখতে দেখতে ছয়টি বছর কেটে যাবে। এরপরে সংসারের বিদ্যমান এই সুখ আরো বহুগুনে বেড়ে যাবে। বোন দুটির ভালো বিয়ে হবে, নিজে বিয়ে করবে। বাবা হয়তো চাকুরী থেকে অবসর নিবেন।

বিস্তারিত»

পরিচিতি

আমি সাদামাটা একজন ক্যাডেট ছিলাম। কলেজ এ এ্যাপুলেট এ ১ দাগ দিয়া শুরু করছি আর ৬ দাগ নিয়া বের হইছি। সেহেতু বুঝতেই পারছেন !!!!
আমি মোটামুটি একজন Juiceless(রস হীন) মানুষ। ফান বুঝতাম খুব কষ্ট করে, কেউ বুঝিয়ে দিলে বুঝতাম। আর ফান এর এখন যতটুকু বুঝি তার কৃতিত্ব / অবদান বলতে গেলে আমার এক সিনিয়র এবং এক বন্ধু , না না দুই বন্ধু‘কে দিতে হবে।

বিস্তারিত»

আচার ০১১: ভাবুক বিনে ভাব জাগে না

২০০৬ সালের সেপ্টেম্বরের ১৯ তারিখ বোধ হয় সেইদিন। ১৮ ও হতে পারে, ঠিক মনে নেই। আমরা, মানে আই ইউ টি-র ০২ ইনটেকের সবার মনে তখন মিশ্র একটা অনুভূতি। পাস করার আনন্দ আর সেই সাথে সামনের অনিশ্চয়তার কথা ভেবে শংকা। সবার বললে হয়তো ভুল হবে, কারণ কিছু বস পোলাপান পাস করার আগেই মোটা বেতনের চাকরী বাগিয়ে বসে আছে। আর আমার মতো ক্যাবলাকান্তরা কি হবে কি হবে মনে করে মাথার চুল পাকাচ্ছে।

বিস্তারিত»

টুশকি ২০

টুশকি [১] [২] [৩] [৪] [৫] [৬] [৭] [৮] [৯] [১০] [১১] [১২] [১৩] [১৪] [১৫] [১৬] [১৭] [১৮] [১৯] [২১]

১. জনৈক অফিসার নতুন বিয়ে করে যেই না এক জুনিয়র অফিসারের সাথে ভাবীকে পরিচয় করিয়ে দিয়েছেন,

বিস্তারিত»

জীবনের গল্প – ২

জীবনের গল্প – [ ১ ]

    জর্জ

আমার খুব কাছের বন্ধুদের মধ্যে জর্জ একজন। সবসময় হসি খুশী থাকে, দেখলে বোঝার উপায় নেই কতবড় ভার তার বুকের উপড় চেপে বসে আছে। ওকে যখন থেকে দেখেছি তখন থেকেই ভাবতাম এই ছেলেটার মত হাসি খুশী আর মাস্তিবাজ যদি হতে পারতাম তাহলে কত মজাই না হত। কখনওই ভাবি নি ওর মনের মধ্যে কত কষ্ট লুকিয়ে আছে।

বিস্তারিত»

কলিকালের দিনলিপি

আমার এই মুহুর্তে এই ব্লগটা লেখার কথা ছিলোনা। লিখতে চেয়েছিলাম খুব প্রিয় একজন বন্ধুকে নিয়ে। যে আমার উষ্ণ অনুভূতিগুলোর খুব কাছাকাছি থাকে সবসময়। কিন্তু কখনো মুখ ফুটে বলা হয়নি আমি তাকে কতটা ভালবাসি। কিন্তু তা’ আর হলো কই। আমার সব ব্যাপার কিংবা ভাবনাগুলোই অনেকটা এরকম। প্রথমে ভাবি এক কিন্তু পরে হয়ে যায় অন্য কিছু। অনেকটা সিসিবির অনেক পোস্টের মত। হয়তো লেখা হয় সিরিয়াস কিছু ভেবে আর শেষ হয় মাস্ফু ভাইয়ের “আমিও কেক খাপো”তে গিয়ে।

বিস্তারিত»

আচার ০১০: পরবাসীর রোজনামচা

গত বছর সেইন্ট জন’স-এ বরফ পড়া শুরু হয়েছিল ডিসেম্বরের শুরুতে। আমার প্রথম শীত ছিল সেটা কানাডায়, আর প্রথম বরফ দেখা তো বটেই। বরফ পড়া তিন রকম দেখেছি- ফ্লারিজ, ব্লিজার্ড আর ফ্রোজেন রেইন। ফ্লারিজ হলো সবচেয়ে স্বপ্নীল তুষারপাত, আকাশ থেকে পেঁজা তুলার মতো বরফ পড়ে। দেখতে ভালোই লাগে। তাপমাত্রাও থাকে সহনশীল পর্যায়ে, শূন্যের দু’এক ডিগ্রী নিচে। বরফ পড়ার এই দৃশ্যটা মাথায় ছিল আগে থেকেই। বাসায় পুরোনো বইয়ের গাদা থেকে একটা বই পেয়েছিলাম,

বিস্তারিত»

একটু হাইসেন কিন্তু (সবার পিলিজ লাগে)…

১। ডিউটি মাস্টার বাচ্চি খান স্যার। কোন এক অদ্ভুৎ কারণে গেমসের পরে টি ব্রেক এর বাঁশি পড়ার সময় হাউসের বারান্দায় হাঁটাহাঁটি করছিলেন। আমার জনৈক বন্ধু গেমস না করার কারণে গোসলের ঝামেলা ছাড়াই নামাজের পোষাক পরে নিচ্ছিল। কেডস ও মোজা খোলার পরে হাফ শার্ট খুলে ফেললো। পরনে তখন হাফ প্যান্ট আর স্যান্ডো গেঞ্জি। এই অবস্থায় পাজামা না পরে আগে পাঞ্জাবী পরে ফেললো। ঠিক তখনই বাচ্চি খান স্যার রুমের পাশ দিয়ে হেটে যাবার সময় জানালা দিয়ে এই দৃশ্য দেখে আঁতকে চীৎকার করে উঠলেন,

বিস্তারিত»

উচ্চতা বিভ্রাট

কলেজে যখন যাই তখন আমার উচ্চতা ছিল সাকুল্যে চার ফুট সাড়ে দশ ইঞ্চি। অন্য কলেজে গাইড বলে, আমাদের বলে স্কড। আমার স্কড ছিলেন রেদোয়ান ভাই। তিনি প্রথম দিন নূর বকস ভাইয়ের সাথে পরিচয় করিয়ে দিচ্ছেন আমাকে, নূর বকস ভাই তো বলেই ফেললেন, এতো খাটো কেনো? রেদোয়ান ভাই আমাকে একটু আড়াল দেবার চেষ্টা করে বললেন, পিটি প্যারেড করলে লম্বা হয়ে যাবে। রেদোয়ান ভাই মনে হয় কথাটা বলেছিলেন বদান্যতা করেই,

বিস্তারিত»

সুইস আল্পস – পাথুড়ে পাহাড়

পর্বত আরোহনের জন্য পাথর বাওয়ার প্রাথমিক জ্ঞান অপরিহার্য। ফরাসিতে যাকে বলে escalade। অনেকে এটাকে sport climbing ও বলে থাকেন। দড়ি বাঁধার কৌশল থেকে শুরু করে rappelling (দড়ি বেয়ে নিচে নামার একটি কৌশল) এবং belay ( নিচে থেকে যিনি দড়ি ধরে রাখেন) সবকিছুই আয়ত্ত করে নেয়া চাই। কারন একটি দড়ির উপর নির্ভর করে থাকতে হয় top rope climber এবং তার সাহায্যকারী belayer কে। শুধু তাই নয় দড়ি কতটুকু ঢিল দিয়ে রাখতে হবে কখন তা টান টান রাখতে হবে তাও জানা খুব জরুরি।

বিস্তারিত»

আমার হুজুর হওয়ার কাহিনী!!!! (৫ মিনিট)

লাস্ট টার্মে কলেজে পৌছেই সিদ্ধান্ত নিলাম নিজের মাঝে পরিবর্তন আনতে হবে! কোন ধরনের নিয়ম বহির্ভুত কাজে যোগ দিব না! প্রপার ক্যাডেট বলতে যা বোঝায়,তাই হব! ঠিক করলাম নামাজ পড়তে হবে! পরদিন ফজর থেকে শুরু করলাম নামাজ পড়া। জুনিয়রকে বলে দিয়েছি রিভেল দিতে,ক্লাস সেভেন এইট নামাজ পড়ে,তাদের থেকে হুজুর দেখেই একটাকে বললাম “ফজরের নামজে জামাতের আগে ডাক দিবা”! জুনিয়রটাও মহাউৎসাহে ডাক দেয় প্রতিদিন! প্রথম দুদিন আমারও চরম ঊৎসাহ!

বিস্তারিত»