……
তোমাকে কি সম্বোধন করবো ঠিক বুঝতে পারছিনা,কারন আমাদের সম্পর্কটাতো কখনো কোন সম্বোধনের বেড়াজালে জড়ায়নি। কখনো বন্ধু,কখনো বন্ধুর চেয়েও বেশি-যখন যেমন প্রয়োজন তেমন ভাবেই তুমি আমার কাছে এসেছিলে। আমি বুঝতে পারিনি ঠিক কখন তুমি আমার সমগ্র সত্তায়,আমার’আমি’তে মিশে গেছো।বুঝতে পারিনি তুমি ছাড়া আমি কতটুকু অসহায়,বুঝিনি আসলেই আমি তোমায় কতটুকু ভালোবাসি। আজ যখন আমি সব বুঝতে পারছি তখন তুমি আমার থেকে অনেক অনেক দুরে,অথবা তোমার দুরে চলে যাওয়াতেই হয়তো আমি বুঝতে পারছি তুমি আমার কত কাছের ছিলে,আমার ঠিক কতটা জুড়ে ছিলে।
ষড়ঋতুর ছড়া !!!!!
এক বন্ধুর আভিযোগ প্রেম ছাড়া কবিতা লিখতে পারিস না! 😉 টপিক খোঁজলাম :dreamy: -ষড়ঋতু!কবিতা লিখতে চেয়েছিলাম, শেষে বাচ্চাদের ছড়া হয়ে গেছে! ব্লগে দেবার যোগ্য কিনা সন্দিহান! তবে মনে হয় পাঠ্যপুস্তকে স্থান পেতে পারে!
বিস্তারিত»“আমরা এক ভাই দুই বোন। আমি, সালমা আর নূরী”
“নূরী, দরজাটা খুলোতো। কে যেন কলিংবেল দিসে।” হাতের আধ-কাঁটা শাক রেখেই রান্নাঘর থেকে ছুটে দরজাটা খুললো নূরী। সাকিবের যে কোন কথাতেই নূরীর প্রাণবন্ত বহিঃপ্রকাশ পাওয়া যায়, সাকিবের বোনটাকে কেমন যেন লাগে নূরীর কাছে। সাকিবেরই ছোট বোন সালমা স্কুল থেকে বাসায় ফিরেছে। নূরীর কাছে কাঁধের ব্যাগটা দিয়ে ড্রয়িং রুমের সোফায় শুয়ে নূরীকে গোসলের জন্য গরম পানি আর এক গ্লাস শরবত করে দিতে বলেই রিমোট চেপে টিভি অন করে সে।
বিস্তারিত»আচার ০১২: নাথিং এলস ম্যাটারস
মেটালিকার বিখ্যাত নাথিং এলস ম্যাটারস গানটি শোনেনি এরকম মেটাল ভক্ত কম পাওয়া যাবে। আমি নিজে মেটাল গানের হার্ডকোর ভক্ত না। সেই প্রগৈতিহাসিক কালে একবার গিটার হাতে তুলে নিয়েছিলাম। অপেক্ষায় আছে আইজুদ্দিন, এখনো আমার গিটারে দখল যেকোন শিক্ষানবিশ গিটার বাদকের মতোই। তখন মেটাল শুনতাম, কারণ গিটারে ওদের গানগুলো তুললে অনেক টেকনিক শেখা যায়। গিটারে ওদের কাজগুলোও ভালো। সেইভাবে শুনেছিলাম মেটালিকার নাথিং এলস ম্যাটারস। আমার প্রিয় গানগুলির একটা।
বিস্তারিত»বিবাহিতদের গল্প, পোলাপাইনের পড়া নিষেধ
১.
ডাকাত পড়লো ব্যাংকে। ভল্ট থেকে সব অর্থ তুলে নেওয়ার পর ব্যাংকের ভিতরে থাকা সবাইকে এক লাইনে দাড়াতে বললো ডাকাতরা। ডাকাত সর্দার দবিরকে জিজ্ঞাসা করলো-তুমি কি দেখোছে যে আমরা ডাকাতি করেছি।
কাপঁতে কাপঁতে দবির বললো- জি দেখেছি। সাথে সাথে এক গুলি, লুটিয়ে পড়লো দবির।
পাশে দাঁড়ানো ছবির আর তার বউ জরিনা। ডাকাত সর্দার এবার ছবিরের কাছে জানতে চাইলো-তুমিও কি দেখেছো যে আমরা ডাকাতি করেছি।
জয় বাংলা বাংলার জয়, শুভ হোক দু’হাজার নয়
নতুন বছরের শুরুতে নাকি যা করা হয় পুরো বছর জুড়ে তার পুনুরাবৃত্তি হয়। তাই লিখছি….
এমনিতে আমার আলস্য প্রবাদসম। গড়িয়ে চলি গড়িয়ে খাই, কচ্ছপকে হার মানাই। তাতে কিছু সুবিধা পাই, কিছু হারাই। সুবিধা হল কাজের কথা কেউ সহজে বলে না। অসুবিধা হল আমার নিজের প্রয়োজনীয় অনেক কাজ যা দিয়ে আমার ভবিষ্যত তৈরী হতে পারে তাও আর করা হয় না।
একবার ভার্সিটির হল বদলের সময় আমার বন্ধু আহসানের(আমার আগের ক্যাডেট নম্বর ওর ছিল) কিছু সার্টিফিকেট আমার ব্যাগে রযে যায়।
বিস্তারিত»শুভ নববর্ষ ২০০৯ (or Happy NewYear?)
এখন পর্যন্ত নিউ ইয়ার নিয়ে কোন অফিসিয়াল ব্লগ না দেখে লোভটা সামলাতে পারলাম না। কোবতে একটা দ্যাক্লাম, আর রায়হানের পিলান প্রগ্রাম, মাগার তাও…ফাকা মাঠে গোল দেওয়ার ধান্দা আর কি। সবাইকে নতুন বছরের শুভেচ্ছা। আহারে, পোলাপাইন/মাইয়াপাইন সব বুড়া/বুড়ি অয়া যাইতাচে।
ফুটনোটঃ আজকে বিকালে বাইরে ঘুরতে গিয়েছিলাম। হঠাৎ রাস্তার পাশে দোকানের নাম দেখলাম “Animal Eye Clinic”. আমেরিকার গরু ছাগলেরা মনে হয় আইজকাইল চোখে কম দেক্তাচে আমার মত।
বিস্তারিত»২০০৯:- পিলান পোগ্রাম…
২০০৮ এর প্রথম তিন ভাগের দুই ভাগ ভালো কাটে নাই। হাইড আউটে ছিলাম পুরা পাঁচ মাস। বাসা ত্যাগ করেছিলাম। এই পুরা সময় নিজের মাথা বের করছি শুধু ব্লগে আর মেসেঞ্জারে। শেষের দিকটা আবার ভালো কাটছে। ঘরের ছেলে ফিরে আসলাম ঘরে। আম্মু- আব্বুও বেশী ঘাটায় না এখন। পুরা বছর জুড়েই প্রেমের গ্রাফ ছিল নিম্মমূখী।
বছরের উল্লেখযোগ্য ঘটনা, সিসিবির দাঁড়িয়ে যাওয়া। কামরুল ভাইয়ের বাসা চিনা।
বিস্তারিত»আওয়ামী সরকারের যে সব বিষয় বোঝা উচিৎ
সিসিবি তে এটা আমার প্রথম লেখা। যদিও আমার প্রথম লেখা হওয়ার কথা ছিল লিন্ডাও সম্মেলনের ওপর, কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনা করে আমার মনে হল এই রকম একটা লেখা দেয়া দরকার।
আমি প্রথমেই বলে নিতে চাই যে আমি কোন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ নই, আমি পদার্থবিদ্যার একজন সামান্য ছাত্র। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই রাজনৈতিক সমীকরণ আইন্সটাইনের ফিল্ড ইকুয়েশন এর চেয়ে কোন অংশে কম জটিল না, ক্ষেত্রবিশেষে আরো জটিল। ফিল্ড ইকুয়েশন সমাধান এর কিছু অভিজ্ঞতা আমার থাকলেও দেশের রাজনীতি নিয়ে কোন লেখা আমি আগে কখনো লেখিনি,
রম্য আমার কম্ম্য নয়…!
আমার অনেক দিনের শখ একটি রম্য রচনা লেখার। কিন্তু কখনো সাহস করে লেখা হয়ে ওঠেনি…
অনেকে আছেন যারা ‘রম্যরচনা’ শিরোনামে কোন লেখা দেখলে ভ্রু কুঁচকিয়ে সেসব পড়তে শুরু করেন, ভাবটা এমন যেন- ‘এরা আর কি রম্য রচনা লিখবে??? এসব তো ছিল আমাদের সময়ে…ইন দ্যা ইয়ার নাইনটিন…’ কেউ আবার আছেন এক কাঠি সরেস, পুরো ব্যাপারটাকে ব্যক্তিগতভাবে নিয়ে ‘দেখি কিভাবে আমাকে হাসায়’ ভেবে পড়া শুরু করেন…!!!
শেখ হাসিনা, নির্বাচনী সফর ও আমি
তখন আমি সংবাদে। অর্থনীতি নিয়ে রিপোর্ট করি। ১৯৯৬ এর নির্বাচন। মনে হলো নির্বাচনী সফরে যাই একটা। চিফ রিপোর্টার কাশেম ভাই আমাকে দিলেন অ্যাসাইনমেন্ট। শেখ হাসিনার সঙ্গে যেতে হবে সিলেট। সড়ক পথে কুমিল্লা হয়ে। সকালে ধানমন্ডি থেকে রওয়ানা দিলাম। লম্বা গাড়ি বহর। দুই মাইক্রোবাসে আমরা সাংবাদিকরা।
গাড়ির সামনের সিটে ইত্তেফাকের শফিক ভাই (এবার চাদপুর থেকে নির্বাচনে দাঁড়িয়ে হেরে গেছেন আওয়ামী লীগ থেকে)। কুমিল্লার পথে গাড়ি।
আমি খুব ভয় পাই
সানা ভাই,তৌফিক ভাই ও মান্নান ভাইয়ের বিদগ্ধ জ্ঞানপ্রসূত আলোচনার পর আমার ক্ষুদ্র মস্তিষ্কজাত চিন্তা-ভাবনা এইখানে সবার সাথে শেয়ার করতে বুকটা ঢিব ঢিব করছে।
তার চেয়েও বেশি ভয় পাইছি এবারের নির্বাচনের ফলাফল দেখে। বাঙালী বরই আজিব জাতি! আমি নীতিগত ভাবে বঙ্গবন্ধু ও তার দলকে সাপোর্ট করি, এবং অবশ্যই হুজুগে নয়। এই ফলাফলে আমার খুব বেশি খুশি হবার কথা।কিন্তু কেন যেন খুশি হতে পারছি না।
বিস্তারিত»রাজাকারদের বিচারঃ জিজ্ঞাসা ও আশংকা
প্রথমেই ক্ষমা চেয়ে নেই। আমি এ ব্যাপারে বিশেষজ্ঞ নই। তার উপর যে বিষয়ের উপর লিখব, তার জন্য যতোটুকু গবেষণা আর সময় দেয়া প্রয়োজন তাও দেইনি। তবু লিখছি। কারণ, যারা এ ব্যাপারে ভালো জানেন, আশা রাখি, তারা কমেন্টের মাধ্যমে মূল্যবান মতামত দেবেন। আর আমার মতো নাদানেরা শিখতে পারবে। ব্লগ বলার চেয়ে বরং এটাকে থ্রেড ইনিসিয়েশন বলাই ভালো হবে। গৌরচন্দ্রিকার পাট এখানেই শেষ করি, আসুন চলে যাই মূল বিষয়ে।
বিস্তারিত»উত্তপ্ত কড়াই থেকে জলন্ত চুলায় : এক
আমরা কি উত্তপ্ত কড়াই থেকে জলন্ত চুলায় পরিলাম? ২৯ ডিসেম্বরের জনরায় দেখিয়া, পড়িয়া এবং জানিয়া আমার প্রাথমিক প্রতিক্রিয়াটা এই রকমই দাঁড়াইয়াছে।
জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দুই-তৃতীয়াংশ আসন পাইয়া ২০০১ হইতে ২০০৬ পর্যন্ত চারদলীয় জোট সরকারের অপশাসনে পিস্ট হইয়া রীতিমতো চিড়াচেপ্টা হইয়া গিয়াছিলাম আমরা। দুর্নীতি-সন্ত্রাসের লাগামহীন বিস্তার দেশকে নৈরাজ্যের শেষপ্রান্তে নিয়া গিয়াছিল। গ্রেনেড-বোমা নিয়া একদল মধ্যযুগীয় জঙ্গি সন্ত্রাসী গোটা জাতিকে জিম্মি করিয়া রাখিয়াছিল। আর এক দল গণহত্যা,
বিস্তারিত»এক নতুন উৎসব
শেষ রাতের দিকে ঘুমিয়েছিলাম বলে অনেক বেলা পর্যন্ত বিছানায় শুয়েছিলাম। ঘুমটাও ভাংতোনা হয়তো যদি না মা ফোন করতেন। খুশীতে তরল হয়ে যাওয়া মায়ের কন্ঠস্বরে আমিতো অবাক। কি এমন ঘটলো যে মা এত খুশী?
– “কিরে এখনো ঘুমাচ্ছিস? ফ্রেশ হবি কখন, নাস্তা করবি কখন, আর রেডী ই বা হবি কখন?”
অনেকটা যেন আমি ঈদের ছুটিতে না গেলে নামাযের আগে মা আমাকে যেভাবে ফোন করে বলতেন ঠিক তেমন।