রম্য আমার কম্ম্য নয়…!

আমার অনেক দিনের শখ একটি রম্য রচনা লেখার। কিন্তু কখনো সাহস করে লেখা হয়ে ওঠেনি…
অনেকে আছেন যারা ‘রম্যরচনা’ শিরোনামে কোন লেখা দেখলে ভ্রু কুঁচকিয়ে সেসব পড়তে শুরু করেন, ভাবটা এমন যেন- ‘এরা আর কি রম্য রচনা লিখবে??? এসব তো ছিল আমাদের সময়ে…ইন দ্যা ইয়ার নাইনটিন…’ কেউ আবার আছেন এক কাঠি সরেস, পুরো ব্যাপারটাকে ব্যক্তিগতভাবে নিয়ে ‘দেখি কিভাবে আমাকে হাসায়’ ভেবে পড়া শুরু করেন…!!!

বিস্তারিত»

শেখ হাসিনা, নির্বাচনী সফর ও আমি

তখন আমি সংবাদে। অর্থনীতি নিয়ে রিপোর্ট করি। ১৯৯৬ এর নির্বাচন। মনে হলো নির্বাচনী সফরে যাই একটা। চিফ রিপোর্টার কাশেম ভাই আমাকে দিলেন অ্যাসাইনমেন্ট। শেখ হাসিনার সঙ্গে যেতে হবে সিলেট। সড়ক পথে কুমিল্লা হয়ে। সকালে ধানমন্ডি থেকে রওয়ানা দিলাম। লম্বা গাড়ি বহর। দুই মাইক্রোবাসে আমরা সাংবাদিকরা।
গাড়ির সামনের সিটে ইত্তেফাকের শফিক ভাই (এবার চাদপুর থেকে নির্বাচনে দাঁড়িয়ে হেরে গেছেন আওয়ামী লীগ থেকে)। কুমিল্লার পথে গাড়ি।

বিস্তারিত»

আমি খুব ভয় পাই

সানা ভাই,তৌফিক ভাই ও মান্নান ভাইয়ের বিদগ্ধ জ্ঞানপ্রসূত আলোচনার পর আমার ক্ষুদ্র মস্তিষ্কজাত চিন্তা-ভাবনা এইখানে সবার সাথে শেয়ার করতে বুকটা ঢিব ঢিব করছে।

তার চেয়েও বেশি ভয় পাইছি এবারের নির্বাচনের ফলাফল দেখে। বাঙালী বরই আজিব জাতি! আমি নীতিগত ভাবে বঙ্গবন্ধু ও তার দলকে সাপোর্ট করি, এবং অবশ্যই হুজুগে নয়। এই ফলাফলে আমার খুব বেশি খুশি হবার কথা।কিন্তু কেন যেন খুশি হতে পারছি না।

বিস্তারিত»

রাজাকারদের বিচারঃ জিজ্ঞাসা ও আশংকা

প্রথমেই ক্ষমা চেয়ে নেই। আমি এ ব্যাপারে বিশেষজ্ঞ নই। তার উপর যে বিষয়ের উপর লিখব, তার জন্য যতোটুকু গবেষণা আর সময় দেয়া প্রয়োজন তাও দেইনি। তবু লিখছি। কারণ, যারা এ ব্যাপারে ভালো জানেন, আশা রাখি, তারা কমেন্টের মাধ্যমে মূল্যবান মতামত দেবেন। আর আমার মতো নাদানেরা শিখতে পারবে। ব্লগ বলার চেয়ে বরং এটাকে থ্রেড ইনিসিয়েশন বলাই ভালো হবে। গৌরচন্দ্রিকার পাট এখানেই শেষ করি, আসুন চলে যাই মূল বিষয়ে।

বিস্তারিত»

উত্তপ্ত কড়াই থেকে জলন্ত চুলায় : এক

আমরা কি উত্তপ্ত কড়াই থেকে জলন্ত চুলায় পরিলাম? ২৯ ডিসেম্বরের জনরায় দেখিয়া, পড়িয়া এবং জানিয়া আমার প্রাথমিক প্রতিক্রিয়াটা এই রকমই দাঁড়াইয়াছে।

জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দুই-তৃতীয়াংশ আসন পাইয়া ২০০১ হইতে ২০০৬ পর্যন্ত চারদলীয় জোট সরকারের অপশাসনে পিস্ট হইয়া রীতিমতো চিড়াচেপ্টা হইয়া গিয়াছিলাম আমরা। দুর্নীতি-সন্ত্রাসের লাগামহীন বিস্তার দেশকে নৈরাজ্যের শেষপ্রান্তে নিয়া গিয়াছিল। গ্রেনেড-বোমা নিয়া একদল মধ্যযুগীয় জঙ্গি সন্ত্রাসী গোটা জাতিকে জিম্মি করিয়া রাখিয়াছিল। আর এক দল গণহত্যা,

বিস্তারিত»

এক নতুন উৎসব

শেষ রাতের দিকে ঘুমিয়েছিলাম বলে অনেক বেলা পর্যন্ত বিছানায় শুয়েছিলাম। ঘুমটাও ভাংতোনা হয়তো যদি না মা ফোন করতেন। খুশীতে তরল হয়ে যাওয়া মায়ের কন্ঠস্বরে আমিতো অবাক। কি এমন ঘটলো যে মা এত খুশী?
– “কিরে এখনো ঘুমাচ্ছিস? ফ্রেশ হবি কখন, নাস্তা করবি কখন, আর রেডী ই বা হবি কখন?”
অনেকটা যেন আমি ঈদের ছুটিতে না গেলে নামাযের আগে মা আমাকে যেভাবে ফোন করে বলতেন ঠিক তেমন।

বিস্তারিত»

একটা ইয়াতো বড় কাহিনী……

আমি তখন ক্যাডেট কলেজে মাত্র আসছি ক্লাস সেভেনে, একদম প্রথম সপ্তাহর কথা। লাঞ্চের একটু পরে পরে কমন রুমের দিকে যাচ্ছিলাম। কে জানি ধোপার কাপড় নিয়ে আসতে বলছিল……। হাউজলীডারের রুমটা ক্রস করে কমনরুমে ঢোকার আগেই তৎকালীন ২৮তম ব্যাচের ডাইনিং হল প্রিফেক্ট আমাদের হাউজের জুলফিকার ভাইয়ের একদম মুখোমুখি পরে গেলাম! উনার সাথে আগে কখনো কথা হয় নাই, সাথে সাথে পাকড়াও করলেন আমাকে……

নাম কী?

বিস্তারিত»

নির্বাচনী অভিজ্ঞতা এবং না ভোটকে না বলুন, জামায়াত-শিবিরকে না বলুন

১.
ছোটবেলায় ভোটের সময় আমার প্রধান আকর্ষন ছিল বিটিভি। ভোট শেষ হতেই টানা ৪৮ বা ৭২ ঘন্টা ধরে টিভি খোলা থাকতো। নানা ধরণের অনুষ্ঠান হতো, আর ফাঁকে ফাঁকে নির্বাচনের ফলাফল। নাটক ও বাংলা সিনেমাই দেখাতো বেশি। মনে আছে আমার মা টিভি রুমে নীচে ঢালাও বিছানা করে দিতো, আমারা সবাই ৪৮ বা ৭২ ঘন্টা কাটিয়ে দিতাম এই বিছানায়। তখন ফলাফল নিয়ে মাথা ঘামাতাম না, কে জিতলো তাতে খুব মাথাব্যাথা থাকতো না।

বিস্তারিত»

আফসোস রিটার্নস্‌…

– ‘কিরে ব্যাটা! কি করস??’
– ‘কি আর করুম, নেট ব্রাউজ করি…’
– ‘সারাদিন তো করিস ঐ এক কাজ…’
– ‘না করার কি আছে? আমার তো এখন অখন্ড অবসর…!’
– ‘হা হা হা…কবে তোর ‘অখন্ড অবসর’ থাকে না…???’
এই পর্যায়ে হাল্কা মাইন্ড খাইলাম, ‘হালায় আমারে পঁচাইল নাকি?’ ভাবতে ভাবতে বললাম,
– ‘ইয়ে…মানে…অফিসিয়ালি আর কি…কেবলই সেমিস্টার শেষ হইল তো…!!!’

সেদিন জাফরের সাথে কথা শেষ করে ফোনটা রাখার পর হঠাৎ করে অনেক পুরনো স্মৃতি পড়ে গেল…

বিস্তারিত»

সালাম তোমায় বন্ধু…(জীবনের গল্প)

বাবা-মা আর দুই বোন যখন রাতুল (ছদ্মনাম) এর সাথে প্রথমদিন ক্যাডেট কলেজে এসেছিল, তখন সবাই এই পরিবারের সদস্যদের সুখী মুখ দেখে তৃপ্ত ছিলেন। আর হবেই বা না কেন? এরকম ছোট নির্ঝঞ্জাট পরিবারের বড় ছেলেটি আজ ক্যাডেট কলেজে জয়েন করলো। দেখতে দেখতে ছয়টি বছর কেটে যাবে। এরপরে সংসারের বিদ্যমান এই সুখ আরো বহুগুনে বেড়ে যাবে। বোন দুটির ভালো বিয়ে হবে, নিজে বিয়ে করবে। বাবা হয়তো চাকুরী থেকে অবসর নিবেন।

বিস্তারিত»

পরিচিতি

আমি সাদামাটা একজন ক্যাডেট ছিলাম। কলেজ এ এ্যাপুলেট এ ১ দাগ দিয়া শুরু করছি আর ৬ দাগ নিয়া বের হইছি। সেহেতু বুঝতেই পারছেন !!!!
আমি মোটামুটি একজন Juiceless(রস হীন) মানুষ। ফান বুঝতাম খুব কষ্ট করে, কেউ বুঝিয়ে দিলে বুঝতাম। আর ফান এর এখন যতটুকু বুঝি তার কৃতিত্ব / অবদান বলতে গেলে আমার এক সিনিয়র এবং এক বন্ধু , না না দুই বন্ধু‘কে দিতে হবে।

বিস্তারিত»

আচার ০১১: ভাবুক বিনে ভাব জাগে না

২০০৬ সালের সেপ্টেম্বরের ১৯ তারিখ বোধ হয় সেইদিন। ১৮ ও হতে পারে, ঠিক মনে নেই। আমরা, মানে আই ইউ টি-র ০২ ইনটেকের সবার মনে তখন মিশ্র একটা অনুভূতি। পাস করার আনন্দ আর সেই সাথে সামনের অনিশ্চয়তার কথা ভেবে শংকা। সবার বললে হয়তো ভুল হবে, কারণ কিছু বস পোলাপান পাস করার আগেই মোটা বেতনের চাকরী বাগিয়ে বসে আছে। আর আমার মতো ক্যাবলাকান্তরা কি হবে কি হবে মনে করে মাথার চুল পাকাচ্ছে।

বিস্তারিত»

টুশকি ২০

টুশকি [১] [২] [৩] [৪] [৫] [৬] [৭] [৮] [৯] [১০] [১১] [১২] [১৩] [১৪] [১৫] [১৬] [১৭] [১৮] [১৯] [২১]

১. জনৈক অফিসার নতুন বিয়ে করে যেই না এক জুনিয়র অফিসারের সাথে ভাবীকে পরিচয় করিয়ে দিয়েছেন,

বিস্তারিত»

জীবনের গল্প – ২

জীবনের গল্প – [ ১ ]

    জর্জ

আমার খুব কাছের বন্ধুদের মধ্যে জর্জ একজন। সবসময় হসি খুশী থাকে, দেখলে বোঝার উপায় নেই কতবড় ভার তার বুকের উপড় চেপে বসে আছে। ওকে যখন থেকে দেখেছি তখন থেকেই ভাবতাম এই ছেলেটার মত হাসি খুশী আর মাস্তিবাজ যদি হতে পারতাম তাহলে কত মজাই না হত। কখনওই ভাবি নি ওর মনের মধ্যে কত কষ্ট লুকিয়ে আছে।

বিস্তারিত»