কলেজে যখন যাই তখন আমার উচ্চতা ছিল সাকুল্যে চার ফুট সাড়ে দশ ইঞ্চি। অন্য কলেজে গাইড বলে, আমাদের বলে স্কড। আমার স্কড ছিলেন রেদোয়ান ভাই। তিনি প্রথম দিন নূর বকস ভাইয়ের সাথে পরিচয় করিয়ে দিচ্ছেন আমাকে, নূর বকস ভাই তো বলেই ফেললেন, এতো খাটো কেনো? রেদোয়ান ভাই আমাকে একটু আড়াল দেবার চেষ্টা করে বললেন, পিটি প্যারেড করলে লম্বা হয়ে যাবে। রেদোয়ান ভাই মনে হয় কথাটা বলেছিলেন বদান্যতা করেই, আমি যাতে কষ্ট না পাই সেজন্য, কিন্তু তার কথা সত্যি হয়ে যাবে কে জানতো?
ছুটি শেষে বাড়ি থেকে ফেরার পর মেডিক্যাল চেক আপ বলে যে জিনিসটা হতো ক্যাডেট কলেজে, তার সাথে মনে হয় না আপনাদের পরিচয় করিয়ে দেবার দরকার আছে। গালভরা নাম হলে কি হবে, মেডিক্যাল চেক আপ মানে ছিল তিনটা জিনিস। উচ্চতা মাপা, ওজন মাপা আর বুকের মাপ নেয়া। তো সেই মেডিক্যাল চেক আপের সময় ক্লাস সেভেন আর এইটে একটা বাধাঁধরা নিয়ম ছিল আমার। প্রত্যেক চেক আপের সময় উচ্চতা এক ইঞ্চি আর ওজন এক কেজি বাড়া। আমার চার ফুটি দেহটা পাঁচ ফুটের দাগটা অতিক্রম করেছিল ক্লাস এইটে ওঠার সংগে সংগেই। তারপর আমার উপর কি যে ভর করল বলতে পারব না। যতোদূর মনে পড়ে, টার্মটা খুব লম্বা ছিল। আর সেই সাথে ছুটিটাও। লম্বা টার্ম আর ছুটির মাঝে সময় পেয়েছিলাম সাড়ে তিন মাসের মতো। পরের মেডিক্যাল চেক আপের সময় উচ্চতা নিচ্ছেন মেডিক্যাল এসিটেন্ট ক্ষীতিশ স্যার। আমার উচ্চতা মেপে লেজার বুকে লিখতে যাবেন, এমন সময় তার চেহারা হলো বজ্রাহত মানুষের মতো। তিনি যদি আমার উচ্চতা না মেপে এক্সরে বা ব্লাড রিপোর্ট দেখতে দেখতে এরকম চেহারা করতেন, নিশ্চিত ভেবে নিতাম আমার আয়ু আছে বড়জোড় তিন সপ্তাহ। যাই হোক, নিজেকে সামলে আমার উচ্চতা লিখলেন লেজার খাতায়। তারপর বললেন, তোমার উচ্চতা বেড়েছে গত টার্মে তিন ইঞ্চি। আমার খুশি দেখে কে, তিন ইঞ্চি!!!!!! সাড়ে পাঁচ ফুটের মাইল স্টোন আমার হাতের মুঠোয় তাহলে।
উচ্চতার এই আশীর্বাদ কিছুটা অভিশাপ হয়ে দেখা দিল এরপর। জামা কাপড় তো ক্যাডেট কলেজে কম লাগে না। সকাল বেলায় স্লিপিং ড্রেস থেকে পিটি ড্রেস। পিটি শেষে একাডেমিতে যাওয়ার জন্য ইউনিফর্ম, একাডেমি থেকে হাউসে ফিরে কোয়াইট আওয়ারের জন্য আবার স্লিপিং ড্রেস। ফার্স্ট প্রেপে যাওয়ার জন্য হাফ প্যন্ট হাফ শার্ট, তারপর হাফ শার্ট খুলে গেমসের জন্য ভেস্ট পরে রেডি হওয়া, গেমস শেষে পাজামা পাঞ্জাবী, নামাজ শেষে সাহেবী টাই, কালো প্যান্ট, সাদা শার্ট। প্রেপ থেকে ফিরে আবার স্লিপিং ড্রেস পরে বৃত্তায়িত হয় ক্যাডেট কলেজের ড্রেস চক্র। ক’বার হলো তাহলে? ছ’বার। প্রত্যেকটা ড্রেসের অন্তত দুটো সেট থাকতে হবে। সুতরাং, পাটিগণিতের হিসাবে একজন গড়পড়তা ক্যাডেটের দরকার হয় বারো সেট জামা কাপড়। এই বারো সেট জামা কাপড় প্রতি টার্মেই পাল্টাতে হতো আমার। আমার সরকারী চাকুরে বাবা চোখে সর্ষে ফুল দেখা শুরু করলেন। আমার জামা কাপড়ের সাপ্লাই দিতে গিয়ে তিনি অল্পের জন্য দেউলিয়া হওয়া থেকে রক্ষা পেয়েছিলেন বলে দাবী করে থাকেন। এই বারো সেটের মাঝে বাবা অবশ্য কিনে দিতেন এগারো সেট। কলেজের ইউনিফর্মের কাপড় বাইরে পাওয়া যেত না, বাইরের খাকি কাপড় কোন কারণে ইউনিফর্মের সাথে ম্যাচ করতো না। অগত্যা আমাকে কলেজের ইউনিফর্মই পড়তে হতো। কলেজের ইউনিফর্ম আবার দিতো বছরে একবার। ক্লাস এইটের শেষের দিকে তাই মোল্লা টাইপের হয়ে গিয়েছিল আমার খাকি প্যান্ট। গোড়ালির অনেক উপরে। ক্লাস নাইনের প্রথম দিকে সেটা হয়ে গেল একেবারে থ্রি কোয়ার্টার। হাউস মাস্টার স্যার এক প্রিন্সিপাল প্যারেডের আগে আমার ইউনিফর্ম দেখে জমা দেয়া পুরোন ইউনিফর্ম দিয়েছিলেন একটা। এরপর বেশ ক’বছর এভাবেই ইউনিফর্ম পরেছি। সিনিয়ারদের জমা দেয়া পুরোন ইউনিফর্ম ধুয়ে মুছে আবার নিজের করে নিতাম।
ক্লাস টেনের দিকে হয়ে গেলাম প্রায় ছ’ফুট। জামা কাপড়ের বিভ্রাট কলেজের গন্ডি ছেড়ে বাইরে এসেও ধরা দিল। ময়মনসিংহের বাজারে আমার মাপের কোন জিন্স বা শার্ট পাই না। যা হয় সব ছোট। বানানো কাপড় পরে আর হাল ফ্যাশনের সাথে তাল মেলানো হয় না। কি আর করা, একদিন ঢাকায় এসে বংগ থেকে কিনে নিয়ে গেলাম জিন্স আর টি শার্ট। সেই শুরু, বিদেশ আসার আগের কেনাকাটাও করেছি বংগ থেকে।
উচ্চতা নিয়ে বিড়ম্বনা কলেজেই শেষ হয়নি, এখনো সেটা আমার পিছু লেগে আছে। কলেজ থেকে বের হওয়ার পর চলে আসলাম ঢাকা, পাবলিক বাসে যাতায়াত করি। কিন্তু বাসের সিটগুলো এতো চাপা যে, কোনভাবেই বসতে পারতাম না। কয়েক দিন পর কায়দা বের করে ফেললাম, বাসের সিটের উপর পা তুলে বসি। খুব আরাম হয় যে তাতে, তা না। তবে আগের চেয়ে অবস্থা ভালো ছিল। একদিন তো পাশে বসা এক ভদ্রলোক বলেই বসলেন, এই ছেলে, ভদ্র হয়ে বসতে পারো না? আমি জবাব দেয়ার চেষ্টা করিনি, যার জ্বালা, সেই বোঝে। তবে বিড়ম্বনার পাশাপাশি ভালো একটা দিকও ছিল। ভীড় বাসে সবাই হ্যান্ডলে একটু ধরার চেষ্টা করে, যাতে ব্রেক করলে পড়ে না যায়। আমার কিন্তু তা করতে হতো না, বাসে দাঁড়ালে মাথাটা ছাদে ঠেকে একেবারে যাকে বলে লক হয়ে যেত। সুতরাং পড়ার কোন প্রশ্নই আসে না। ঘাড় মটকানোর একটা হালকা চান্স থাকত বটে, কিন্তু সময়ের চেয়ে জীবনের মূল্য বেশি – এই কথা কে কবে মেনেছে? আমার এই লক অবস্থা দেখে অনেক সহৃদয় যাত্রী তাদের সীটটা আমাকে ছেড়ে দিয়েছে- এরকম ঘটনাও কম নাই। আর লম্বা মানুষের বুদ্ধি হাঁটুতে থাকার অপবাদ তো সবসময়ই ছিল।
উচ্চতার বিভ্রাট এখানেই শেষ না, আরও আছে। আই ইউ টি-তে থাকতাম হলে, সবাই থাকে। ক্যাডেট কলেজ থেকে একটা অভ্যাস ছিল, শর্টস পরে থাকা। এমনকি বংগ ঘুরেও আমার সাইজের শর্টস পাইনি, লম্বায় হয় তো, কোমরে বড়। উপায় না পেয়ে একটু ছোট শর্টস পরতাম, আরামের সাথে তো আর আপস করা যায় না। আই ইউ টি লাইফ শেষ করে নিকুঞ্জে এসে আস্তানা গাড়লাম। টিউশনি করাই আর প্রফেসরদের তেল দিয়ে মেইল দেই, যাতে আমাকে এডমিসন দেয়। আমার সাথে থাকত এ আই ইউ বি-র কিছু ছেলে পেলে। আমার বন্ধু ওদের সাথেই পড়তো, বন্ধুর সূত্রেই উঠেছিলাম ওই বাসায়। এক দিন আমার এক বাসা মেট এসে বললো বনানীতে নাকি আই ইউ টি-র এক ছেলের সাথে কথা হয়েছে। আমাদের এক ব্যাচ জুনিয়ার। আই ইউ টিতে খুব খোলসবদ্ধ জীবন কাটিয়েছি, লোকজন তেমন একটা চিনতো না। ছেলেটিও তাই নাম বলায় আমায় চেনেনি। যথারীতি আমার বাসা মেট আমার ট্রেড মার্ক উচ্চতার কথা বলতেই সে বলল, “ও বুঝছি! ওই যে ছোট ছোট হাফপ্যান্ট পরতো যে ভাইয়াটা, ওইটা না?”
ওই ব্যাটা আমার ছোট হাফপ্যান্টই খালি দেখলো, লম্বা হওয়ার কষ্টটা বুঝলো না।
আহারে দোস্ত এইভাবে বলিস না কত দুঃখ নিয়ে যে থাকি লম্বা যদি আর একটু হইতাম... লোকে বলে লম্বা হইলেই নাকি স্মার্ট হয়ে যায় শালা লম্বাও হইতে পারলাম না স্মার্ট ও না। দুঃখ কই রাখি। কলেজে প্রথমে আমি মাঝারি সাইজের ছিলাম কিন্তু ১২ এ উঠে একেবারে পিচ্চি সাইজে চলে গেলাম। আমার সাথের সবাই লম্বা হয়ে গেল আমি হইলাম না। মাঝারি সাইজেই পড়ে থাকলাম।
তোর হাইট বাংলাদেশ অনুযায়ী ঠিক আছে। হুদাই টেনশন নিস না।
আমিও স্মার্ট হপো :((
স্মার্ট হয়া কি করবি? জাস্ট ফেরেন্ড বানাবি?? ;)) ;)) ;))
:khekz: :khekz: :khekz:
“ও বুঝছি! ওই যে ছোট ছোট হাফপ্যান্ট পরতো যে ভাইয়াটা, ওইটা না?”
=)) =)) =))
ভাইয়া এখন আপনার উচ্চতা কতো??????
আমি তবু বলি:
এখনো যে কটা দিন বেঁচে আছি সূর্যে সূর্যে চলি ..
ছয় ফুট তিন ইঞ্চি। B-)
(১৫ কেজি আন্ডারওয়েট 🙁 )
আমার হাইট ৪ ফুট ১০ ইঞ্চি ছিল বলে ক্লাস সেভেন এ যারা একটু লম্বা ছিল... তারা কি ভাব দেখাইত.. পরে দেখি ক্লাস ১২ এ তারা বাটুল... :)) :)) .
আর আমি তো এখন ৫ ফুট ১০ ইঞ্চি হয়েও ৩০ পাউন্ড আন্ডারওয়েট 🙁
হেঁহেঁহেঁহেঁ সবাই দেখেন.........জাফর ভাই আইসা পড়ছে......ওয়ে হোয়ে...ব্লগে আরো একজন জেসিসি বাড়লো 😀
আমারও সেইম অবস্থা। আই এস এস বি পাস করার পর সুইমিং টেস্ট দেয়ার সময় একটা ব্লান্ডার করে ফেলছিলাম। ৪০ মিটার ফ্রি স্টাইলে যাওয়ার পর বাকি ১০ মিটার ব্যাক স্ট্রোকে শেষ করেছিলাম। কলেজ ছাড়ার পর শারীরিক কোন কিছু করা হয়নি, অবস্ট্যাকল কোর্স দিয়ে মাসল ব্যাথা হয়েছিল। তাই শেষ ১০ মিটার ব্যাক স্ট্রোক, কষ্ট কম। কিন্তু যে অফিসার ছিলেন, তার পছন্দ হলো না। জেরা করলেন, কেন এরকম করলাম। কারণ বলার পর আমার হাড্ডি সর্বস্ব শরীরের দিকে আঙ্গুল তুলে বললেন, তোমার তো ফিট বডি (!!!!), তোমার মাসল ব্যাথা হবে ক্যান? যাহোক, আবার ৫০ মিটার সাঁতার কেটে তারপর রক্ষা। আর্মিতে কি আন্ডার ওয়েট হওয়াটা ভালো কিছু নাকি, জাফর ভাই?
এখন বলেন, প্রথম লেখাটা কবে দিবেন? 🙂
ওয়ে হোয়ে! জাফর ভাই চলে আসছেন! লেখা ছাড়েন তাড়াতাড়ি! 😀 😀
জাফর, বন্ধু...একটা পরিচিতিমূলক পোস্ট দিয়ে শুরু করে দে... :thumbup:
ঐ দেখা যায় তালগাছ, তালগাছটি কিন্তু আমার...হুঁ
🙁 আমি ৬ ফুট ২ ইঞ্চি(কোন হালায় এর পর আমারে তালগাছ হয় ??? x-( )
ওজন মনে হয় ১৫ কেজি ওভারওয়েট 🙁 🙁 🙁
মাস্ফ্যু, তোমার ওজন কত? ১০০ র বেশি না হলে ঠিকই আছে।
মাত্র ১৫ কেজি ?????
ধুররর... সত্যি কইরা কন না কতটুকু ওভারওয়েট??????
আমি তবু বলি:
এখনো যে কটা দিন বেঁচে আছি সূর্যে সূর্যে চলি ..
এই পোলা তুমি কি সারাদিন নেটেই থাক নাকি কাজ কাম নাই? সারা ব্লগে খালি ফার্স্ট লেইখা আস। আজকে অবশ্য পারনাই আমি আগে দিয়ে দিছি।
খালি কমেন্ট কেন লেখালেখি কর কিছু।
এতক্ষণ ছিলাম না তো... কেবল আইসা দেখি নতুন ব্লগ, তাও আবার জিরো কমেন্ট... লাফাইতে লাফাইতে কমেন্ট দিতে গিয়া দেখি আপনি Vini, Vidi, Vici বইলা কমেন্ট দিয়ে দিছেন :(( :(( :(( তাই এইবার ২য় হইছি 😕
মাথায় তো কিছু আছতেছে না, দাড়ান একটা ট্রাই দিয়া দেখি :ahem: :ahem:
আমি তবু বলি:
এখনো যে কটা দিন বেঁচে আছি সূর্যে সূর্যে চলি ..
আমিও রকিবরে ডজ্ দিছি! হা হা হা, নিজের পোস্টের প্রথম কমেন্টটা নিজেই করে ফেলছি! :goragori: :goragori: :goragori:
আমিও তোর পদ্ধতি অবলম্বন করবো, নিজের জালে নিজেই প্রথম গোল দিব, দাঁত কেলানি হাসি দিয়া বলব............... 1st
😀 খুব সুন্দর করে লেখছে তৌফিক।
লম্বা হওয়ার কষ্ট 🙂 ছয় ফিট তিন ! বাপ্রে, ডরাইসি ।
এক মাস্ফ্যুরে নিয়াই আমরা বিরাট ঝামেলায় আছি। তৌফিক দেখি অর চেয়েও লম্বা 😛
লেখা আচার সিরিজটার মতো মজা নিয়াই পড়ছি। :salute:
সংসারে প্রবল বৈরাগ্য!
ধন্যবাদ কাইউম ভাই। 🙂
আপনার ছবি দেখলাম আড্ডা থেকে। এখন আর চিনতে ভুল হবে না।
আর মাস্ফ্যুর কথা আর কি বলব, দেখবেন ব্যাটা আইসা ঠিকই নিজেকে আমার চেয়ে বেশি লম্বা দাবি করবে। x-(
🙂
সংসারে প্রবল বৈরাগ্য!
বিশাল মজা পাইলাম। 😀
কলেজে ঢুকার সময় ছিলাম ৫'২", বের হওয়ার সময় ৬'২"। গত দুই বছর ধরেই এই সাইজে আছি, আর মনে হয় বাড়মু না। 😀
হে হে... আমারো সেইম কেস। 😛
আমারে-ত কেউ দিল না এই পর্যন্ত। 🙁
:)) :))
বস এর লাইজ্ঞা হাফপ্যান্ট বানানোর সময় থ্রি কোয়াটার বানাইতাম।
তোমার চেহারায় আমার মতো গোবেচারা আর ভালো ছেলে ভাবটা নাই, নাইলে ঠিকই পাইতা। 😛
আছ কেমন? নতুন লেখা দাও না যে?? 🙂
লম্বা মানুষের বুদ্ধি হাঁটুতে থাকার অপবাদ তো সবসময়ই ছিল।
:(( :(( :(( :(( :((
বুদ্ধি হাঁটুতে মাইনা নিলেও খাদক অপবাদ মানি না মানব না
x-( x-( x-( x-( x-( x-( x-( x-( x-( x-(
লম্বা মানুষের বুদ্ধি হাঁটুতে থাকার অপবাদ তো সবসময়ই ছিল
আমারে যারা বলে বুদ্ধি হাঁটুতে, তাদের বলি, তোদের থেকে তাও বুদ্ধি উপরে আছে। এরপর আর কথা কয় না... 😀
মানে ওদের বুদ্ধি গোড়ালি তে... যাক... এতোদিনে বলার কিছু পাইলাম... থাঙ্কু... 😀 :party:
সোনাজাদু, তোমালে কে "খাদক" বলছে????
Life is Mad.
"লম্বা করে ভাইয়াটা"- বললে এখনও আপনাকে আইইউটি-তে অনেকেই চিনে। কিন্তু দুঃখ কইরেন না, আপনার ছোট ছোট হাফপ্যান্টের ব্যাপারটা আর অতোটা প্রচলিত নাই। সো নো টেনশুন..
মানির মান আল্লায় রাখে। 😀 😀 😀
তৌফিক ভাই,লম্বা হওনের আসল ঝামেলাডাই তো কন নাই-ক্যাডেট লাইফে কুনোদিন ডজ মারতে পারিনাই পাঙ্গা থিকা :((
ঠিকই কইছো। আমি ফল্ট কইরা কোনদিন বাঁচতে পারি নাই, আমারে ঠিকই বাইর কইরা ফেলত। 🙁
'আন্ডারওয়েট' এর জায়গায় 'ওভারওয়েট' হইলেই পুরাপুরি কপি-পেস্ট কইরা নিজের কমেন্ট বইলা চালায় দিতে পারতাম... 😕
"আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস"
ওয়েট দেওয়ার সময় দুইজন একসাথে উঠলে আর কেউ over/under ওয়েট হব না... 😀
:khekz: :khekz: :khekz:
জেসিসির লোকজন তো কমেন্টে বস। আগে ছিলেন জুনায়েদ ভাই, আর এখন জাফর ভাই।
:boss: :boss:
আমি তবু বলি:
এখনো যে কটা দিন বেঁচে আছি সূর্যে সূর্যে চলি ..
জুনায়েদ আর আমি ত যময ভাই... ছোট বেলায় মেলা 'য় গিয়ে হারিয়ে গিয়েছিলাম.. 😛 . কিন্তু এখন বাংলা ছায়াছবির মত Family Song টা মনে করতে পারছি না... :(( :bash:
:boss: :boss: :boss:
তুই হাত ছেড়ে দিয়ে 'ঐ আপুটার' পিছু না নিলে এই ট্রাজেডি হইত না... :((
কেন করলি এমন???? x-(
ঐ দেখা যায় তালগাছ, তালগাছটি কিন্তু আমার...হুঁ
কোনাপু? ঝাতি ঝান্তে ছায়! :-B
তৌফিক,
হমমমম...। নিজেরে যাও একটু লম্বা ভাইবা ভাব নেয়ার চেষ্টা করতাম, এখন দেখি তাও শেষ। এইখানের অনেকেই তো দেখি আমার চাইতেও লম্বা...।
আর্মি'র আন্ডারওয়েটের কথা জানতে চাইছোনা? শোন তাইলে বলি...
সব সময়ই জানতাম যে আন্ডারওয়েট হওয়া ভালো। কিন্তু আমার ব্যাপারে হইল উলটা । আমি যখন ফরেইন কোর্সের ইন্টারভিউ দিতে গেলাম প্রথমবার, তখন জনেক জেনারেল আমাকে দেখে বললেন, আমাকে সিলেক্ট করা যাবেনা। কারণ আমি প্রচুর মাত্রায় আন্ডারওয়েট। এই শরীরে আমি এই কোর্সের লোড নিতে পারবোনা। তাছাড়াও বিদেশের লোকজন আমাকে দেখে ভাববে বাংলাদেশের সব অফিসাররাই হয়তো এরকম আমার মত অপুষ্টিতে ভোগে। কি আর করা। এর পরে আরো ৬ বার টেষ্ট দিয়েছিলাম। প্রতিবারই পিটি টেষ্ট এ প্রথম হই, লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হই, ভাইভাতে সব প্রশ্নের উত্তর পারি, কিন্তু আমি সিলেক্টেড হইনা। অতঃপর একদা ক্ষেপিয়া গিয়া উক্ত জেনারেল কে জিজ্ঞাসিয়াছিলাম, "আমি যখন ৪৫ পাউন্ড আন্ডারওয়েট নিয়া আর্মি কমান্ডো কোর্সের মত অমানবিক একটা কোর্স করিয়াছিলাম, তখন কোথায় ছিল এত সহানুভূতি? তখন কেন কেউ আমাকে বলেনাই, এই শরীর নিয়া তুমি এত কষ্ট করিতে পারিবেনা। আজ বৈদেশিক কোর্সের বেলায় কেন আমার প্রতি এত সহানুভূতি????"
ফলাফল, আমাকে ৬ সপ্তাহের জন্য কম্ব্যাট ট্র্যাকিং'র নামে মালয়শিয়ার জঙ্গলে নির্বাসনে পাঠানো হইয়াছিল...।
বারবার ইন্টারভিউ শেষে ফেরত যাইবার সময় ভাবিতাম, ইস, হাইটটা আরেকটু কম হইলেই হয়তো আন্ডারওয়েটের খড়্গটা আমাকে এইভাবে মারিতনা...।
ধন্যবাদ আহসান ভাই, এবার বলেন, জংগল নির্বাসনের কাহিনী কবে শুনতে পাবো?
হবে ইনশাল্লাহ...
আমার বাপ হইল ৬ ফুট... ভাবছিলাম সেই সুবাদে আমিও একটু লম্বা টম্বা হব...কিন্তু আম্মিজান একটানে নামাইয়া দিসেন (৪'১১'') এখন আমি ৫'৯'' এ আইসা আটকাইয়া গেসি... 😀 😀
আমার আব্বু ৬ফুট ১.৫ইঞ্চি আর মা ৪ফুট ১০ইঞ্চি। ফলাফল ৫ফুট ৮ইঞ্চি। রেজওয়ান আয় :hug: :hug: তোর আর আমার একই কাহিনি।
আয় মামা... :hug: :hug: :hug: পার্টি করি... :awesome: :awesome:
আমি পুরা উলটা, বাবা ৫ ফুট ৫ ইঞ্চি, মা ৫ ফুট ২। অবশ্য দাদা আর নানা দুইজনেই ছয়ফুটি ছিল।
আমার আব্বা ৬ ফুট,আম্মা ৫ ফুট ৬,ছুড ভইন ৫ ফুট ৮ আর আমি ৬ ফুট ২।
অফ টপিকঃখালারা আমাগো পরিবাররে ফার্মের জাত কয় 🙁
রেজওয়ান, শার্লী........তোরা কি রে???? :khekz: :khekz: :khekz: :khekz: :khekz: :khekz: :khekz: :khekz: :khekz: :khekz:
Life is Mad.
:grr: :grr: :grr: :grr: :grr: :grr:
ওরে কত্ত উচা এইপোলাগুলা 😕
পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না
ফয়েজ ভাই,
নদীর এপাড় কহে ছাড়িয়া নিঃশ্বাস......
এই পোস্ট এত লম্বা কেন? তার মধ্যে সামনে এতগুলা লম্বা মানুষের জ্বালায় কিছু দেখতে পারতেসিনা। 🙁
খাড়ান, আর এফ এল এর একটা টুল নিয়া আসি। B-)
সাতেও নাই, পাঁচেও নাই
:khekz: :khekz: :khekz:
আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷
জেসিসির সাথে পাল্লা দিতে আমাদের জিহাদরে দিয়াই হবে।
নিজের হাইট এর কথা চিন্তা করে এখানে কমেন্ট দিতেই সংকোচ হচ্ছে। anyways size doesn't matter....
আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷
ডোন্ট ওরি ম্যান...আমাদের গরপরতা মাপ হচ্ছে ৪ ইঞ্চি থেকে ৬/৭ ইঞ্চি...তো আশা করি তোমার রেঞ্জ এর মধ্যেই... :-B
ঐ দেখা যায় তালগাছ, তালগাছটি কিন্তু আমার...হুঁ
আয় হায়...আগের কমেন্টে পাঁচ ফুট বাদ পড়ে গেছে...
বাক্যটা হবে এমন- আমাদের গরপরতা মাপ হচ্ছে পাঁচ ফুট ৪ ইঞ্চি থেকে ৬/৭ ইঞ্চি!
আশা করি, আগের কমেন্টের কারনে কারো মনে কোন কনফুশনের সৃষ্টি হয় নি... 😉
ঐ দেখা যায় তালগাছ, তালগাছটি কিন্তু আমার...হুঁ
বুঝা যাইতেছে ইদানিং ড্রাইভার হবার আর একসিডেন্ট করবার ব্যাপক ইচ্ছা হইতাছে তোর 😛
সংসারে প্রবল বৈরাগ্য!
প্রোফাইল পিকচার তো এই কারনেই বদলাইলাম... 🙁
ঐ দেখা যায় তালগাছ, তালগাছটি কিন্তু আমার...হুঁ
ঠিক বুঝলাম না। 😛 আর যা বুঝলাম তা বলতে গেলে তো বলবি " আমার মনে খোট" 😉
😮 😮 😮
সেইদিনের আড্ডায় সাইফ আল দীন ভাইয়ের গল্পের মত সেই ৫ ফুট যন্ত্র কি পিঠে ফেলে হাঁটে???
:khekz: :khekz: :khekz: :khekz: :khekz:
শাবাশ তৌফিক...............
কমেন্টে কমেন্টে তো বেশি মজা জমতেছে :awesome: :awesome: :awesome: :awesome: ।
Life is Mad.
আপনার সাইজটা বইলা গেলেন না? 😉 😉 😉
তৌফিক, একদম সিরাম লেখা হইছে। :clap: :clap:
সরাসরি পাঁচতারা।