১.
বিকেলের সময়টায় কোন কাজ থাকে না সৌরভের। প্রায়ই হাঁটতে হাঁটতে ধানমন্ডি লেকে চলে যায়। তারপর একটা জুতসই জায়গা দেখে বসে পড়ে। আমোদপ্রবণ মানুষগুলোর ছুটে চলা দেখে , আর দেখে প্রেমিক যুগলের খিলখিল শব্দে লুটোপুটি খাওয়া। বিচিত্র মানুষের সমাগম ঘটে, কেউ আসে মজা করতে কেউ আসে লুটতে। সৌরভ আসে মানুষ দেখতে। এক একটা মানুষের মুখ দেখে গল্প খুঁজে বেড়ায় সে, জীবনের গল্প। মানুষকে বিভিন্ন শ্রেনীতে ফেলে,
টুশকি ১৬
আলতু ফালতু
আগেই বলি এই লেখা পুরাই ফালতু পোষ্ট কেউ পড়ার রিস্ক নিলে আমি দায়ী থাকবনা।
বহু বহু দিন সিসিবিতে আসিনা। সময় হিসাব করলে বলা যায় প্রায় দেড় মাস সিসিবির সাথে যোগাযোগ নেই। ব্যস্ততার কারণে আসতে পারিনা বুকে হাত দিয়ে বলতে পারবনা। কেন যেন কিছুই ভাল লাগত না। নেটে এসে মাঝে মাঝে বসে থাকতাম ঠিকই কিন্তু কোথাও যাওয়া হত না। ব্রাউজারের www লিখে বসে থাকতাম কোথায় যাওয়া যায় এই ভাবনায়।
মোবাইল বিড়ম্বনা- আমার কাহিনী…!!
[সায়েদ ভাইএর মোবাইল ফোন নিয়ে পোস্টটা পড়ে আমার নিজের মোবাইল বিড়ম্বনার কথা মনে পড়ে গেল…সবার সাথে শেয়ার করার লোভ ছাড়তে পারলাম না…]
মোবাইল ফোনের বিড়ম্বনার সাথে আমরা কমবেশি সবাই পরিচিত। সপ্তাহে দু’এক দিন ‘সরি রঙ নম্বর’ কিংবা ‘আপনি ভুল নম্বরে ডায়াল করেছেন’…এসব কথা বলতে হয় না-এমন লোক এখন খুব কমই আছে…কলরেট কমে যাওয়ার কারনে মানুষ এখন আর আগের মতন সাবধানী নেই,
বিস্তারিত»যেমন কুকুর তেমন মুগুর
অফিসের দূরন্ত ব্যস্ততার মধ্যে মেসেজটা পড়ে মেজর সোহেলের মেজাজটা গেল খচরে। হাতের কাজ ফেলে রেখে প্রেরকের নম্বরে ফোন দিলেন – ওপাশে মেসেজের মতোই উদ্ধত ব্যবহার। প্রতিটা শব্দ মেপে মেপে যথেষ্ট ওজন দিয়ে বাক্য গঠন করে মেজর সোহেল নিজের পরিচয় দিলেন। র্যাব-৪ এর অপারেশনস অফিসারের অবর্তমানে তিনিই যে দায়িত্ব পালন করছেন তাও জানালেন। কিন্তু কানে পানি গেল না। “এইরকম বহুত র্যাব দেখা আছে” বলে জানালেন ওপাশের ভদ্রলোক।
বিস্তারিত»হাউস পদক
সোহরাওয়ার্দী হাউসের ক্যাডেটঃ
২০০১ এর বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা। দ্বিতীয় দিনে ৪*৪০০ মিটার সম্পূরক দৌড়, বড়দলের। দৌড়ের এক কৃতি দৌড়বিদ কোন এক অজানা কারণে অংশ নিতে পারবেন না। খোঁজ খোঁজ রব উঠলো চারিদিকে। কাকে পাঠানো যায়- কাকে? কাকে? কাকে? হাউসের চালনে ওয়ালারা তখন শরণাপন্ন হলেন দ্বাদশ মানের এক ক্যাডেটের কাছে। তার বড় বড় দু’ পা দেখে চালনেওয়ালাদের বুঝতে অসুবিধা হয়নি- তার মাঝে লুকিয়ে আছে অমিত সম্ভাবনার বীজ।
বিস্তারিত»আমার বিসিএসঃ কবীর ভাইয়ের বিপ্রতীপ গল্প
পড়াশুনা কইরা কে কবে দুইন্নায় কি করছে?লাস্ট ৯ মাস রেগুলার দিনে অন্তত ১০ ঘন্টা পড়াশুনা করসি-এই বিসিএস কোয়ালিফাই করলে আব্বার আগে সিভিল সার্ভিসে ঢুকতে পারুম,জীবনে কোনদিন আব্বা আম্মারে তো খুশি করতে পারিনাই এইটা একটা চান্স ইত্যাদি ইত্যাদি… এই আশায়।কোচিং থিকা শুরু কইরা মডেল টেস্ট কিচ্ছু বাদ রাখিনাই-যেহেতু আমার বয়স কম আর পরীক্ষা দিতে হইতেছে ইয়া বয়স্ক মানুষদের সাথে-ভাল করার একটা তাগিদও ছিল।শুধু এই পরীক্ষা ধরার জুন্যে লাস্ট দুই সেমিস্টারের পড়া একসাথে নিয়া এন এস ইউ রেকর্ড টাইপ প্রেশার নিছি(এক সেমিস্টারে ২১ ক্রেডিট)।আর এইটা করতে গিয়া ডিপার্ট্মেন্টে দৌড়াদৌড়ির কথা আর নাই কইলাম।প্রশ্ন যে কঠিন হইছিল এইটাও কওয়া যাইবোনা-হালকা ট্রিকি আর এক্টু আনকনভেনশনাল ছিল বড়জোর।
বিস্তারিত»শোক সংবাদ
অনেকেই হয়তো জানেন না।
ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল দুপুরে। ময়মনসিংহ গার্লস ক্যাডেটের সপ্তম শ্রেণীর ক্যাডেট তাসনুবা আত্মহত্যা করেছে।
গার্লস ক্যাডেটের শিক্ষিকা দেলোয়ারা ম্যাডামের কাছে ফোন করে জানা গিয়েছে, বার্ষিক পরীক্ষায় অনুত্তীর্ণ হবার কারনে মেয়েটি এই পথ বেছে নেয়। বাসা থেকে তার উপর ভালো ফলাফলের চাপ ছিল- সেই চাপ সইতে না পেরে সে আজীবনের জন্য চাপমুক্ত হবার পথ বেছে নিয়েছে।
একজন চিকির আত্মকাহিনী
(লেখকের বক্তব্যঃ আগেই বলে রাখি, আমি কোনো চিকি না। :shy: আমার ক্যাডেটজীবনে ‘দেখা’ এবং ‘শোনা’ চিকিদের ভালমন্দ ব্যাপারগুলোই এখানে প্রকাশের প্রয়াস পেয়েছি। ক্যাডেট কলেজে একজন চিকির অভিজ্ঞতা কেমন হতে পারে, তা ফুটিয়ে তোলাই এই লেখার উদ্দেশ্য।)
আমি একজন চিকি। ক্যাডেটদের নিজস্ব সংজ্ঞায় আমি ‘চিকি’। ক্যাডেটদের বিচিত্র চিন্তাধারায় আমি চিকি। তাদের দৃষ্টিতে আমি অন্য সবার থেকে একটু আলাদা, একটু স্পেশাল, একটু স্থূল। আমার নাম শুনতেই কান খাড়া হয়ে
উঠে সবার,
টুশকি ১৫
দ্য মুখ অফ আলটিমেট “ক” ভাই…
নামকরণ রহস্যঃ
এককালে টাংগাঈলের বেবীস্ট্যান্ড নামক জায়গাটি ভাইয়ের পদচারণায় মুখর থাকতো। সেই পল্লীর ললনাদের কাছে ভাই এতটাই বিখ্যাত হয়ে গিয়েছিলেন যে তিনি পল্লীতে পা দেওয়া মাত্রই রব উঠতো, ভাই আসছে… ভাই আসছে। সেই থেকে তিনি ভাই। জুনিয়র, সিনিয়র সবার কাছে…
ক্লাস সেভেনে মান-যাচাই পরীক্ষার ফলাফলের পর আমাদের ফলিন করা হয়েছে হাউস অফিসে। টাল বাবা মুস্তাফিজুর রহমান আমদের উপর ঝাল মেটাচ্ছেন পরীক্ষায় ফেল করার জন্য।
বিস্তারিত»ভগি জগি পোষ্ট …
১। কত জায়গায় কত আড্ডা দিলাম, কিন্তু একাডেমিক ব্লকের টয়লেটের আড্ডার স্বাদ আর পেলাম কই। টয়লেটের ভেতরের লাইট বন্ধ করে দিয়ে সুইচ গুলির ‘জয়স্টিক’ ভেঙ্গে এমন করে রাখতাম যে শক্ত, সূক্ষ্য কিছু দিয়ে অনেকক্ষণ খোঁচাখুঁচি না করে লাইট জ্বালানো ছিল অসম্ভব। সেকেন্ড প্রেপ চলছে, আমরা ছয় জন টয়লেটে আড্ডাচ্ছি, হঠাৎ ভিপি জি,সি, বড়ুয়া’র আগমন। উনি উনার স্থূল আঙ্গুলের সাহায্যে লাইট জ্বালাবার অনেক চেষ্টা করেও ব্যার্থ হয়ে হুঙ্কার দিলেন,
বিস্তারিত»ডায়লগঃ ময়মনসিংহ পর্ব
*ক্লাস সেভেনে প্রথম গেছি, ফল ইনে যে ঠিকমত দাঁড়ায় থাকতে হবে এইটাই মাথার মাঝে কেন জানি ঢুকতে চায় না। মাঝে মাঝে এক লাইনে চারজনও দাঁড়ায় পড়তাম, গল্পের তালে খেয়াল থাকত না। এরকম একদিন কোন এক ক্লাসমেট জানি ফলইন থেকে আগায় গেছে। বেরসিক জুনিয়র প্রিফেক্ট (নাম দিতে চাচ্ছি না) ফায়ার হয়ে চিৎকার:
ক্লাস সেভেন, কোন ক্লাসে পড়??
*প্রিন্সিপাল ইন্সপেকশনে লাস্ট মোমেন্টে হাউস প্রিফেক্ট রাউন্ডে আসছে,
বিস্তারিত»টুশকি ১৪
লুলা কাহিনী
আমাদের ব্যাচটা এমনিতেই অদ্ভূত। আর কিছু ব্যাপার এমনই অদ্ভূত যার কোনো ব্যাখ্যা নাই। একজনের জ্বর হলো তো টানা বিশ ত্রিশজনের একসাথে জ্বর, হসপিটালে জায়গা নাই, শেষ পর্যন্ত বিশেষ ব্যাবস্থায় রুমে রাখতে হল। হাম, লুলা, এপেন্ডিসাইটিস সব ক্ষেত্রেই তাই।
লুলা কাহিনীর স্টার্টিং আমাদের বিখ্যাত সামিয়া বিবির, আমাদের তখন ওয়াল ম্যাগাজিনের কাজ চলতেসিল। শীতকালে প্রায় সারারাত জেগে কাজ করসি। যতটুকু সম্ভব বেশি ঘুমানো যায় সেজন্য সে নাইটির উপর কার্ডিগ্যান,
বিস্তারিত»