আজ আমাদের এখানে ঈদ। বাবা মা পরিবার থেকে দূরে একা একা আবার একটা
ঈদ চলে এল। বিদেশে এটা আমার ৩য় ঈদ। সকাল থেকে খুব বৃষ্টি হচ্ছে। বাইরে যাবার
কোন উপায় নাই। সারাদিন মনে হয় ঘুমিয়ে কাটাতে হবে।
দেশে এবং দেশের বাইরে সবাইকে ঈদ মুবারক। ভালো থাকবেন সবাই।
আজকে সক্কাল সক্কাল আমার মোবাইলে দেখি কল আসছে-আমাদের কমান্ডো আহসান ভাইয়ের চিরপরিচিত “মাসরুফ কেমন আছ ভাই” শুইনা মন এক্কেবারে আঁকুপাকু করা শুরু করল। বি-রা-ট খবর। সিসিবি ব্লগের কমান্ডিং অফিসার আহসান ভাই এখন ঢাকায়!!!! না, সিলেটের জঙ্গল,টিএসসির গলি অথবা বরিশালের চর কোথাও না-সিসিবির পোলাপানের অনেকেরই চারণভূমি আমাদের শহর ঢাকায়! উনি আমারে বললেন যে সন্ধ্যার দিকে একটা মিনি গেট টুগেদার করা যায় কিনা-আমি তো পারলে তখনই উনারে আমার বাসায় নিয়া আসি…!!
[ মাঝে মাঝেই কিছু গল্প উপন্যাস পড়ে আমার খুব ইচ্ছে করে এর পরে কি হল কিংবা এই একই ঘটনা যদি অন্য কারো মুখ থেকে আসত তাহলে কি হত। যেমন পদ্মা নদীর মাঝি উপন্যাসে কুবের আর কপিলা কোথায় গেল কিংবা সাতকাহনে দীপাবলি কি একাই কাটিয়ে দিল বাকি জীবন। আমার সাথে যদি লেখকদের চেনা জানা থাকত তাহলে আমি খুব অনুরোধ করতাম তাদের এই থিম নিয়ে লেখার জন্য।
কিংকু মেইল দিয়েছিল কয়েকদিন আগে একটা। তার পরিচিত এক ইন্ডিয়ান মুসলিম ইঞ্জিনিয়ার আছেন যিনি কিনা আমার ইউনিভার্সিটিতে মাস্টার্স করছেন। তার পরিচিত কেউ সেইন্ট জন’স – এ নাই, তাই আমি যেন তার সাথে দেখা করে এখানকার কমিউনিটির লোকজনের সাথে আলাপ করিয়ে দেই। একজনের উপকারে আসা যাবে ভেবে আমিই তাকে ইমেইল দিলাম। ব্যস্ততার মাঝে সময় বের করে দেখা করলাম। ইঞ্জিনিয়ারিং ক্যাফেতে বসে কফির চুমুকে চুমুকে অনেক কথা হলো।
অনেকদিন ধরে লেখা পরেই যাচ্ছি, কিছু লেখা আর হচ্ছেনা । আলসেমি কাজের চাপ বলতে গেলে কেন যেন হয়ে উঠছিলনা । আজকে মাস্ফুর পোস্টটা পরে কিছু লিখতে ইচ্ছ করছে । মুক্তিযুদ্ধের পর থেকেই মুক্তিযুদ্ধ , বংগবন্ধু , জিয়া ,আওয়ামী লীগ, বি এন পি, রাজাকার, এরশাদ সবকিছু নিয়ে কম বানিজ্য হ্য়নি । মুক্তিযুদ্ধের অনেক পরের প্রজন্ম হিসেবে মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে আমার এবং আরো অনেকেরই সম্যক ধারনা নেই ।
ভিডিও ৩ টা অনেক আগেই দেয়ার ইচ্ছা ছিল। কিন্তু তখন সাধারনত কেউ ক্যাডেট কলেজ ছাড়া অন্য বিষয়ে পোস্ট করত না। তাই সাহস পাইনি। ম্যাট্রিক্স স্টাইলে তৈরি করা ভিডিওগুলো আমার খুবি পছন্দের। আসা করি সবার ভালো লাগবে।
কোন এক পাকিস্তানি কূটনীতিকের উদ্দেশ্যে চিঠিঃ(নিউ ইয়র্ক রিভিউ অফ বুকস,২ সেপ্টেম্বর ১৯৭১)
ইকবাল আহমেদ
নিউইয়র্ক টাইমসে(১০ এপ্রিল ১৯৭১) আরো তিনজন পশ্চিম পাকিস্তানি পন্ডিতের সাথে স্বাক্ষরিত আমার একটি চিঠি প্রকাশিত হয়। পূর্ব বাংলায় পাকিস্তানি সামরিক সরকারের হস্তক্ষেপের বিরোধীতা করে আমার প্রদত্ত বক্তব্যের প্রতিক্রিয়া হিসেবে এরপর বহু পাকিস্তানি কর্মকর্তা প্রতিবাদ জানিয়েছেন।তাঁরা সবাই নির্দিষ্টভাবে নিম্নলিখিত বিষয়গুলো তুলে ধরেছেনঃ
১)জেনারেল ইয়াহিয়ার নেতৃত্বাধীন সেনাবাহিনী কেবলমাত্র একটি বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলন দমনের মাধ্যমে জাতীয় সংহতি বজায় রাখতে চাইছে-যে আন্দোলন সফল হলে ৭ কোটি পূর্ব পাকিস্তানি মানুষ সাড়ে ৫ কোটি পশ্চিম পাকিস্তানির কাছ থেকে পৃথক হয়ে যাবে।
ব্যাপারটা একদম ঠিক করছিনা। এখন একটা গল্প দেয়া উচিত সিসিবিতে। তা না, আমি লিখছি খেরোখাতা। গল্পের একটা প্লট আছে, একটু বিশ্বাসযোগ্যতা আনার জন্য বাংলাদেশের মানচিত্র কিনতে পাঠিয়েছি অর্জুনকে দিয়ে, সাতক্ষীরা আর সুন্দরবনের এক নাপিতের খ্যাপ মারার গল্প। গল্পের নামটা “খ্যাপ” রাখব ঠিক করেছি। পুরা দুনিয়া এখন খ্যাপের উপর চলে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, একটু ভাল নামওয়ালা ডাক্তার, উকিল, ব্যবসায়ী, মৌসুমি রাজনীতিবিদ, সবখানে খ্যাপের জয়জয়কার। কেউ যদি দু’পয়সা রোজগারের জন্য খুন করাকে খ্যাপ হিসাবে নেয় তবে এ আর এমন কি?
১.
বিকেলের সময়টায় কোন কাজ থাকে না সৌরভের। প্রায়ই হাঁটতে হাঁটতে ধানমন্ডি লেকে চলে যায়। তারপর একটা জুতসই জায়গা দেখে বসে পড়ে। আমোদপ্রবণ মানুষগুলোর ছুটে চলা দেখে , আর দেখে প্রেমিক যুগলের খিলখিল শব্দে লুটোপুটি খাওয়া। বিচিত্র মানুষের সমাগম ঘটে, কেউ আসে মজা করতে কেউ আসে লুটতে। সৌরভ আসে মানুষ দেখতে। এক একটা মানুষের মুখ দেখে গল্প খুঁজে বেড়ায় সে, জীবনের গল্প। মানুষকে বিভিন্ন শ্রেনীতে ফেলে,
আগেই বলি এই লেখা পুরাই ফালতু পোষ্ট কেউ পড়ার রিস্ক নিলে আমি দায়ী থাকবনা।
বহু বহু দিন সিসিবিতে আসিনা। সময় হিসাব করলে বলা যায় প্রায় দেড় মাস সিসিবির সাথে যোগাযোগ নেই। ব্যস্ততার কারণে আসতে পারিনা বুকে হাত দিয়ে বলতে পারবনা। কেন যেন কিছুই ভাল লাগত না। নেটে এসে মাঝে মাঝে বসে থাকতাম ঠিকই কিন্তু কোথাও যাওয়া হত না। ব্রাউজারের www লিখে বসে থাকতাম কোথায় যাওয়া যায় এই ভাবনায়।
[সায়েদ ভাইএর মোবাইল ফোন নিয়ে পোস্টটা পড়ে আমার নিজের মোবাইল বিড়ম্বনার কথা মনে পড়ে গেল…সবার সাথে শেয়ার করার লোভ ছাড়তে পারলাম না…]
মোবাইল ফোনের বিড়ম্বনার সাথে আমরা কমবেশি সবাই পরিচিত। সপ্তাহে দু’এক দিন ‘সরি রঙ নম্বর’ কিংবা ‘আপনি ভুল নম্বরে ডায়াল করেছেন’…এসব কথা বলতে হয় না-এমন লোক এখন খুব কমই আছে…কলরেট কমে যাওয়ার কারনে মানুষ এখন আর আগের মতন সাবধানী নেই,
অফিসের দূরন্ত ব্যস্ততার মধ্যে মেসেজটা পড়ে মেজর সোহেলের মেজাজটা গেল খচরে। হাতের কাজ ফেলে রেখে প্রেরকের নম্বরে ফোন দিলেন – ওপাশে মেসেজের মতোই উদ্ধত ব্যবহার। প্রতিটা শব্দ মেপে মেপে যথেষ্ট ওজন দিয়ে বাক্য গঠন করে মেজর সোহেল নিজের পরিচয় দিলেন। র্যাব-৪ এর অপারেশনস অফিসারের অবর্তমানে তিনিই যে দায়িত্ব পালন করছেন তাও জানালেন। কিন্তু কানে পানি গেল না। “এইরকম বহুত র্যাব দেখা আছে” বলে জানালেন ওপাশের ভদ্রলোক।
২০০১ এর বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা। দ্বিতীয় দিনে ৪*৪০০ মিটার সম্পূরক দৌড়, বড়দলের। দৌড়ের এক কৃতি দৌড়বিদ কোন এক অজানা কারণে অংশ নিতে পারবেন না। খোঁজ খোঁজ রব উঠলো চারিদিকে। কাকে পাঠানো যায়- কাকে? কাকে? কাকে? হাউসের চালনে ওয়ালারা তখন শরণাপন্ন হলেন দ্বাদশ মানের এক ক্যাডেটের কাছে। তার বড় বড় দু’ পা দেখে চালনেওয়ালাদের বুঝতে অসুবিধা হয়নি- তার মাঝে লুকিয়ে আছে অমিত সম্ভাবনার বীজ।