একটি বিরিসিরি ভ্রমণ…

১…

ঘর থেকে দু’ পা ফেলে আশুলিয়া কিংবা ফ্যান্টাসী কিংডম যাওয়ার তিনদিন আগে থেকেই, পোলাপান সবাইকে সেটা জানান দেয় ফেসবুকের কল্যানে। এসে আরেকদফা। বেলা এগারোটায় জিহাদ ফোন করে একঘন্টার মধ্যে বিরিসিরি যাওয়ার প্রস্তাব দিতে শুরুতেই আমার মনে আসলো আগের কথাটা। ইসস!! এতো সুন্দর একটা জায়গায় যাচ্ছি, অথচ মাইক দিয়ে জানান দিতে পারলাম না। আমার কাছে পয়সা-পাতি কখনোই তেমন একটা থাকেনা। কিন্তু সেদিন (শনিবার) প্রায় সাতশ টাকার মতো ছিল।

বিস্তারিত»

সাডেন চেক

ক্যাডেটদের কাছে খুব ভয়ংকর একটা শব্দ হল “সাডেন চেক”। কারণ সাডেন চেকের সময় কিছু না থাকলেও ধরা খাওয়ার চান্স থাকে। কিছুদিন আগের হারিয়ে যাওয়া ১০০ টাকার নোট কিংবা ভরসা ম্যাচ কিভাবে যেন সাডেন চেক কিংবা inspection এর সময় বের হয়ে আসে। ~x(
তো সেবার পেরেন্টস ডেতে আমরা এবং এস.এস.সি পরীক্ষার্থীরা টেবিল পার্টির জন্য প্রচুর খাবার হাউসে ঢুকাই। যথারীতি ৫/৬ টা টেবিল ধরা খেয়ে যায় টেবিল পার্টি তে।

বিস্তারিত»

টুশকি ১৩

টুশকি [১] [২] [৩] [৪] [৫] [৬] [৭] [৮] [৯] [১০] [১১] [১২] [১৪]

১. আমার এক ইউনিট অফিসারের ছবির এ্যালবাম দেখতে বসলে শাড়ি পরিহিত একজনকে পরিচয় করিয়ে দিয়েছিলেন, “তোমার গোয়িং টু বি ভাবী” বলে। প্রায় বছর তিনেক পর সেই প্রসঙ্গ মনে করিয়ে দিতেই একটা হাসি দিয়ে বললেন,

বিস্তারিত»

ক্যাডেট নম্বর ১৮৬২-অসময়ে হারিয়ে যাওয়া অতি আপনজন(শেষ পর্ব)

[পর্ব-১] [পর্ব-২]
ক্যাডেট কলেজ থেকে বের হবার পর আলাদা হয়নি আমরা একেবারে। বের হয়ে ঢুকে পড়লাম বুয়েট কোচিং এ।কেউ গেল মেডিকেল কোচিং কেউ আই বি এ আবার কেউ বা আর্মি।তাতে কী?সবার কোচিং সেন্টারই ছিলো ফার্মগেট।ফল দাড়াতো এই আমরা কোচিং করতাম এগারোটা পর্যন্ত তারপর সারাদিন আড্ডা মারতাম ডিব্বা নামক এক জায়গায়।সেটা অবশ্য কোচিং করতে আসা সকল ছেলেরাই চিনতো।সেই দিন গুলো কেটে যেত বৈচিত্র‌হীন অথচ আনন্দময়।প্রতিদিন শেষেই মনে হত যেন এমনভাবে দিন কেটে যেত অনেকদিন -অসীম সময়।

বিস্তারিত»

আচার০০৭ : অবিবাহিতের অভিজাত পেটপূজা

২০০৬ সালের অক্টোবরের শেষ অথবা নভেম্বরের শুরু। বাংলাদেশে তখন ক্ষমতার মসনদ নিয়ে দুই দলের শকুন শেয়ালের টানাটানি চলছে। কোরবানী ঈদের পরপরই আমার বিশেষ প্রয়োজনে ঢাকা আসতে হলো। ঢাকায় তখন থাকি নিকুঞ্জে, ব্যাচেলারদের মেস বাসায়। বুয়া এসে রান্না করে দিয়ে যান, আমরা খাই। ঈদের ছুটিতে সবাই যে বাড়ি গিয়েছিল, ফেরেনি তখনো কেউ, বুয়াও ফেরেননি। আমি একলাই ফিরে আসলাম এবং মাইঙ্কা চিপায় ধরা খেলাম। ঢাকার ভেতরের দিকে তখন চরম গন্ডগোল,

বিস্তারিত»

পাইলাম, আমি ইহাকে পাইলাম

তৌফিক ভাইয়ের আচার পোস্ট পৈড়া মনে হইলো এখনি সময়। তাওয়া গরম থাকতে থাকতেই পরোটা ভেজে ফেলা ভাল। দেখতে দেখতে এই ব্লগের বেশ ভাল সময় পার হয়ে গেল। আর কয়দিন পরেই এক বছরে পড়তে যাচ্ছে সি সি বি। সদস্যও আল্লায় দিলে খারাপ না। প্রত্যেকদিনই টুকটাক মেম্বার জয়েন করতে করতে তিনশোর ল্যান্ডমার্ক পার হয়ে এখন সাড়ে তিনশোর দিকে‍‍‍ যাচ্ছে । তো যেই জন্য এত কিছু বলা। আমাদের ব্লগের কে ক্যামনে এই ব্লগের হদীস পাইলেন সেটা জানতেই একটা হালখাতা খুল্লাম।

বিস্তারিত»

আচার০০৬ : বাংলা ব্লগোস্ফিয়ার

ব্লগ বলতে আমি শুধু বুঝতাম টেকি ব্লগ, টেকনোলজিক্যাল কোন সমস্যায় পড়লে যেখানে সমাধান পাওয়া যায়। বাংলা ব্লগিং কি জিনিস জানতামই না। বাংলা ব্লগিং-এর সাথে আমার পরিচয় হয়েছিল কানাডায় আসার পর। এক বন্ধু ফেসবুকে একটা লিংক পাঠিয়ে জিজ্ঞেস করেছিল আমাদের আরেক বন্ধু যে ব্লগ লিখে তা জানি কিনা। সত্যি বলতে কি ব্লগিং শব্দটার মানেই তখন আমার কাছে পরিস্কার ছিল না। যাহোক লিংক ধরে চলে গেলাম সেই বন্ধুর ব্লগে,

বিস্তারিত»

খেরোখাতা -আমার সাদামাটা দিন

বয়স বাড়ার ব্যাপারটা আমার কাছে খুব বিভ্রান্তিকর মনে হয়। আমরা জন্ম তারিখকে কন্সট্যান্ট রেখে বয়সের হিসাব করি। আচ্ছা এমন যদি হয়, জন্মের সময় আমরা কোন ভাবে জেনে গেলাম কবে আমি মারা যাব, আর বয়সের জন্য মৃত্যুর দিনকে কন্সট্যান্ট রেখে হিসাব করা শুরু করলাম। একটা করে দিন যাবে, আর বয়স ধীরে ধীরে কমে যাবে। লিমিটের মত, আস্তে আস্তে তা জিরো হবে। তাই যদি হত, তাহলে দিনগুলো কি এত সাদামাটা ভাবে আমি কাটাতে পারতাম।

বিস্তারিত»

ঘুড়ে এলাম মেঘের দেশে

অনেকদিন পরে আবার কম্পিউটারের সামনে একটু সময় করে বসার সুযোগ পেলাম। বাস্তবতা এবং কর্মব্যস্ততা কোনটিই সুযোগ দেয়নি অতি পরিচিত এবং অতি আপন সিসিবিতে আসার। খুব একটা যে অবসর মিলেছে তাও ঠিক না। তবে যতটুকু পেয়েছি, তার সবটুকুই এই মুহুর্তের জন্য সিসিবিকে দিতে চাই। তবে একথা অনস্বীকার্য যে, এই কয়টা দিন ভীষন মিস করেছি সিসিবিকে। শত ব্যস্ততার মাঝেও মনে পড়েছে অতি প্রিয় সিসিবিকে। আশা করি সবাই এই ক’টা দিন ভালোই ছিলেন।

বিস্তারিত»

আসুন সবাই মশিউর ভাইয়ের জন্যে দোয়া করি।

ব্যস্ততার কারণে অনেকদিন ধরে ব্লগেও তেমন আসা হয়না, মেইল বক্সও চেক করা হয়না, আজকে মেইল বক্স খোলার আগেই বন্ধু মান্না এম.এস.এনে নক করে বলল কিরে, মশিউর ভাই এর খবর জানিস? আমি বললাম, না। কি হইছে ক? উনি তো ইউ.এন মিশনে। ও বললো ,একক (acoc) গ্রুপে যা, আমার ভাল্লাগছে না, কিছু কইতে পারুম না, তুই মেইল দেখ।

এই মুহুর্তে আমিও বেশি কিছু বলতে পারব না,আমার সারা শরীর কেমন যেন ভারি হয়ে আসছে.।

বিস্তারিত»

ইস্মার্টনেস…

মাই-লাইন বাসে যাচ্ছি…সকাল সাড়ে ১০টার মতো বাজে। বাস মোটামুটি ফাঁকা। একটু পর কল্যানপুর থেকে দুই জন উঠলেন। দুজনেই লুঙ্গি পরা।

বাসে উঠেই তারা জমি জমা সংক্রান্ত আলোচনা শুরু করে দিলেন। কথা-বার্তায় বোঝা গেল, একজনের জমি সংক্রান্ত কোন ঝামেলা হয়েছে, সেই ঝামেলায় মামলা হয়েছে, আজকে তার রায় হবে। আর আরেকজন দালাল। দুনিয়ার সকল সমস্যার সমাধান তার হাতের মুঠায়…ফাঁপরে ফাঁপরে একাকার করে দিচ্ছেন সবকিছু…

বিস্তারিত»

টুশকি ১২

টুশকি [১] [২] [৩] [৪] [৫] [৬] [৭] [৮] [৯] [১০] [১১] [১৩]

১. কুমিল্লার একটা ইউনিটে জনা ত্রিশেক নতুন সৈনিক যোগদান করেছে। এ্যাডজুট্যান্ট জিজ্ঞেস করল, “সামনে বক্সিং কম্পিটিশন আছে, কে কে বক্সিং করবি”? কেউ হাত তোলে না। যথারীতি সিএসএম ঘন্টাখানের রগড়ায়ে নিয়ে আসে।

বিস্তারিত»

পি কে পাল স্যার এবং আমার ধরা খাওয়ার কাহিনী

তখন আমি ক্লাস টুয়েলভে। তারিক হাউসের এক নম্বর রুম আমার ঠিকানা (হাউসের একদম প্রথম রুমটাই আমাদের আর কি)।কাধে ছয় দাগই উঠেছে এর বাইরে কিছু যোগ হয়নি, যাইহোক আসল গল্পে আসা যাক। আগেরদিন ছুটি থেকে কলেজে ফিরেছি তো ওইদিন আমাদের প্রেপ ছিল না। আমার মন খুব খুশি কারণ এইবার ছুটিতে যেয়ে একটা মহা কাজ করে ফেলেছি। আমি আর মিরজাপুরের কয়েকজন আমরা ঢাকায় বেইলী রোডের অফিসারস কলোনীতে আড্ডা দিতাম।

বিস্তারিত»

বাংলা ভার্সেস ইংরেজি

[মরতুজা ভাইয়ের “আমার বাংলা শেখা আর আমাদের হিজড়ারা” ব্লগে শার্লীর কথাগুলো পড়ার পর মনের ভিতর যা যা এসেছিল তার প্রায় সবই বলে দিয়েছে মাসরুফ। থ্যাংকস ব্রাদার, কথাগুলো যথার্থভাবে তুলে ধরার জন্য। এর বিপরীতে মন্তব্য করতে যেয়ে ওভার ওয়েট হয়ে গেল। তাই সেটাকে ব্লগের সম্মানে সম্মানিত করলাম। কয়েকদিন না লেখার গ্যাপটাও চামে পূরণ হবে…. 😛 ]

ক্যাডেট কলেজে ভালো অনেক কিছু শিখেছি।

বিস্তারিত»

একটু শুনবেন গল্পটা

আচ্ছা আপনার কি একটু সময় হবে আমাকে দেবার? আমার কাছে একটা গল্প আছে আপনাকে বলার জন্য। গল্পটা আমি একটু খুলে বলতে চাই, “মন খুলে বলা” যাকে বলে। আর এই কাজটা তো এক তরফা জমে না, বুঝতেই পারছেন, তাই আপনাকেও “একটু মন খুলে” শুনতে হবে। তা না হলে তো আমি বলে ঠিক তৃপ্তি পাব না। আর একটা ছোট্ট শর্ত আছে আমার, গল্প শুনে আপনার মন একটু “ক্যামন ক্যামন” করলে আমাকে কিন্তু কিছু বলতে পারবেন না।

বিস্তারিত»