পড়াশুনা কইরা কে কবে দুইন্নায় কি করছে?লাস্ট ৯ মাস রেগুলার দিনে অন্তত ১০ ঘন্টা পড়াশুনা করসি-এই বিসিএস কোয়ালিফাই করলে আব্বার আগে সিভিল সার্ভিসে ঢুকতে পারুম,জীবনে কোনদিন আব্বা আম্মারে তো খুশি করতে পারিনাই এইটা একটা চান্স ইত্যাদি ইত্যাদি… এই আশায়।কোচিং থিকা শুরু কইরা মডেল টেস্ট কিচ্ছু বাদ রাখিনাই-যেহেতু আমার বয়স কম আর পরীক্ষা দিতে হইতেছে ইয়া বয়স্ক মানুষদের সাথে-ভাল করার একটা তাগিদও ছিল।শুধু এই পরীক্ষা ধরার জুন্যে লাস্ট দুই সেমিস্টারের পড়া একসাথে নিয়া এন এস ইউ রেকর্ড টাইপ প্রেশার নিছি(এক সেমিস্টারে ২১ ক্রেডিট)।আর এইটা করতে গিয়া ডিপার্ট্মেন্টে দৌড়াদৌড়ির কথা আর নাই কইলাম।প্রশ্ন যে কঠিন হইছিল এইটাও কওয়া যাইবোনা-হালকা ট্রিকি আর এক্টু আনকনভেনশনাল ছিল বড়জোর।
বিস্তারিত»শোক সংবাদ
অনেকেই হয়তো জানেন না।
ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল দুপুরে। ময়মনসিংহ গার্লস ক্যাডেটের সপ্তম শ্রেণীর ক্যাডেট তাসনুবা আত্মহত্যা করেছে।
গার্লস ক্যাডেটের শিক্ষিকা দেলোয়ারা ম্যাডামের কাছে ফোন করে জানা গিয়েছে, বার্ষিক পরীক্ষায় অনুত্তীর্ণ হবার কারনে মেয়েটি এই পথ বেছে নেয়। বাসা থেকে তার উপর ভালো ফলাফলের চাপ ছিল- সেই চাপ সইতে না পেরে সে আজীবনের জন্য চাপমুক্ত হবার পথ বেছে নিয়েছে।
একজন চিকির আত্মকাহিনী
(লেখকের বক্তব্যঃ আগেই বলে রাখি, আমি কোনো চিকি না। :shy: আমার ক্যাডেটজীবনে ‘দেখা’ এবং ‘শোনা’ চিকিদের ভালমন্দ ব্যাপারগুলোই এখানে প্রকাশের প্রয়াস পেয়েছি। ক্যাডেট কলেজে একজন চিকির অভিজ্ঞতা কেমন হতে পারে, তা ফুটিয়ে তোলাই এই লেখার উদ্দেশ্য।)
আমি একজন চিকি। ক্যাডেটদের নিজস্ব সংজ্ঞায় আমি ‘চিকি’। ক্যাডেটদের বিচিত্র চিন্তাধারায় আমি চিকি। তাদের দৃষ্টিতে আমি অন্য সবার থেকে একটু আলাদা, একটু স্পেশাল, একটু স্থূল। আমার নাম শুনতেই কান খাড়া হয়ে
উঠে সবার,
টুশকি ১৫
দ্য মুখ অফ আলটিমেট “ক” ভাই…
নামকরণ রহস্যঃ
এককালে টাংগাঈলের বেবীস্ট্যান্ড নামক জায়গাটি ভাইয়ের পদচারণায় মুখর থাকতো। সেই পল্লীর ললনাদের কাছে ভাই এতটাই বিখ্যাত হয়ে গিয়েছিলেন যে তিনি পল্লীতে পা দেওয়া মাত্রই রব উঠতো, ভাই আসছে… ভাই আসছে। সেই থেকে তিনি ভাই। জুনিয়র, সিনিয়র সবার কাছে…
ক্লাস সেভেনে মান-যাচাই পরীক্ষার ফলাফলের পর আমাদের ফলিন করা হয়েছে হাউস অফিসে। টাল বাবা মুস্তাফিজুর রহমান আমদের উপর ঝাল মেটাচ্ছেন পরীক্ষায় ফেল করার জন্য।
বিস্তারিত»ভগি জগি পোষ্ট …
১। কত জায়গায় কত আড্ডা দিলাম, কিন্তু একাডেমিক ব্লকের টয়লেটের আড্ডার স্বাদ আর পেলাম কই। টয়লেটের ভেতরের লাইট বন্ধ করে দিয়ে সুইচ গুলির ‘জয়স্টিক’ ভেঙ্গে এমন করে রাখতাম যে শক্ত, সূক্ষ্য কিছু দিয়ে অনেকক্ষণ খোঁচাখুঁচি না করে লাইট জ্বালানো ছিল অসম্ভব। সেকেন্ড প্রেপ চলছে, আমরা ছয় জন টয়লেটে আড্ডাচ্ছি, হঠাৎ ভিপি জি,সি, বড়ুয়া’র আগমন। উনি উনার স্থূল আঙ্গুলের সাহায্যে লাইট জ্বালাবার অনেক চেষ্টা করেও ব্যার্থ হয়ে হুঙ্কার দিলেন,
বিস্তারিত»ডায়লগঃ ময়মনসিংহ পর্ব
*ক্লাস সেভেনে প্রথম গেছি, ফল ইনে যে ঠিকমত দাঁড়ায় থাকতে হবে এইটাই মাথার মাঝে কেন জানি ঢুকতে চায় না। মাঝে মাঝে এক লাইনে চারজনও দাঁড়ায় পড়তাম, গল্পের তালে খেয়াল থাকত না। এরকম একদিন কোন এক ক্লাসমেট জানি ফলইন থেকে আগায় গেছে। বেরসিক জুনিয়র প্রিফেক্ট (নাম দিতে চাচ্ছি না) ফায়ার হয়ে চিৎকার:
ক্লাস সেভেন, কোন ক্লাসে পড়??
*প্রিন্সিপাল ইন্সপেকশনে লাস্ট মোমেন্টে হাউস প্রিফেক্ট রাউন্ডে আসছে,
বিস্তারিত»টুশকি ১৪
লুলা কাহিনী
আমাদের ব্যাচটা এমনিতেই অদ্ভূত। আর কিছু ব্যাপার এমনই অদ্ভূত যার কোনো ব্যাখ্যা নাই। একজনের জ্বর হলো তো টানা বিশ ত্রিশজনের একসাথে জ্বর, হসপিটালে জায়গা নাই, শেষ পর্যন্ত বিশেষ ব্যাবস্থায় রুমে রাখতে হল। হাম, লুলা, এপেন্ডিসাইটিস সব ক্ষেত্রেই তাই।
লুলা কাহিনীর স্টার্টিং আমাদের বিখ্যাত সামিয়া বিবির, আমাদের তখন ওয়াল ম্যাগাজিনের কাজ চলতেসিল। শীতকালে প্রায় সারারাত জেগে কাজ করসি। যতটুকু সম্ভব বেশি ঘুমানো যায় সেজন্য সে নাইটির উপর কার্ডিগ্যান,
বিস্তারিত»ঝালমুড়ি
ব্লগ লিখতে খুব আলসেমি লাগছে। কিন্তু কিছুদিন পরপর সিসিবিতে কিছু না দিলে এখন কিরম কিরম জানি লাগে। তাই ফাঁকিবাজি ।
নিতান্তই টাইম পাস করার জন্যে কিছু জোকস। বেশির ভাগই আহসান হাবীবের ‘জোকস সমগ্র’ থেকে নেয়া। কিছু অন্তর্জাল থেকে কপি-পেস্ট করা।
কিছু একেবারে সাদামাটা। কিছু আবার হালকা সেইরকম।
সামরিক কল্প-কাহিনী!!!
[কলেজে আমাদের দুইটা গ্রুপ ছিল- এক পার্টি ইন্টারের পর ফৌজিতে যাইব আর এক পার্টি যাইব না…আমি ছিলাম দ্বিতীয় দলে…তো আমরা বিজ্ঞ প্রতিপক্ষকে পঁচানোর জন্য বিভিন্ন কিছু করতাম…এর মধ্যে একটি ছিল গল্প বানানো…আজকের এই গল্পটি মূলটি হতে একটু আলাদা হলেও থিম এক…সময় বিবর্তনে ও কাহিনীর প্রয়োজনে হালকা রঙের প্রলেপ টানা হয়েছে মাত্র…তবে একটা কথা, খোদার কসম, কাউকে আঘাত করার উদ্দেশ্যে গল্পটি লেখা হয় নি…]
রাত দশটা আট।
বিস্তারিত»লিটুর ঘুম আসে না
লিটুকে নিয়ে বড় একটা সমস্যা হয়েছে। বড় বলতে বিশাল। লিটু কয়েকদিন ধরে ঘুমাচ্ছে না।
এমনিতে লিটু বাঁদর প্রকৃতির ছেলে। হেন কোনো অপকর্ম নেই যা লিটু করতে পারে না। ১২ বছরের ছেলের পক্ষে সম্ভব এমন প্রায় সবকিছুই সে ইতিমধ্যে করে ফেলেছে। যেগুলো করেনি সেগুলো সম্ভবত এজন্য যে এখনও সময় হয়ে ওঠেনি। সময় এবং সুযোগ পেলে সেগুলোও সে করবে সে বিষয়ে লিটুকে যারা চেনে তারা মোটামুটি নিশ্চিত।
বিস্তারিত»আমার এমওআই শিক্ষা
ক্যাডেট কলেজে নতুন শিক্ষক যারা যোগদান করতেন তাদেরকে একটা স্বল্পমেয়াদী কোর্স করতে পাঠানো হতো ফৌজদারহাট ক্যাডেট কলেজে। সেখানে তাদেরকে শেখানো হতো “মেথড অফ ইন্সট্রাকশন” বা এমওআই (অনুমানে নির্ভর করে বলছি)। এর উদ্দেশ্য কিভাবে বিভিন্ন ট্রেনিং এইডের সাহায্যে ক্লাস নিতে হয়, কিভাবে ছাত্রদেরকে শতভাগ ইনপুট দেয়া যায় সেটা শেখানো । আমরা কলেজে থাকতে থাকতেই ব্যাপারটা বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। এই কোর্স করে স্যারদের কতখানি উত্তরণ ঘটত তার মূল্যায়ন করার যোগ্যতা আমার ছিল না।
বিস্তারিত»ফটো ব্লগ : আমার জাস্ট সেলোগ্রাফী
অনেকদিন থেকে লেখার সময় করে উঠতে পারতেছিনা। অফিসে খুব ই প্রেসার এ আছি। খালি কাজ আর কাজ।
এর মাঝেই একটু পর পর সিসিবি চেক করি আর কমেন্ট দেই। (যাতে ইমোই থাকে বেশি)।
আজকে রায়হানের বিরিশিরি এর ছবি গুলো দেখে আমারো শখ চাপলো আমার তোলা কিছু ছবি শেয়ার করার।
বিস্তারিত»সদাচারিয়ান
তেসরা জুন, ১৯৯৯, নিরাপদ কাউন্টার, মহাখালী বাসস্ট্যান্ড।
ওয়েটিং রুমে আমার সামনেই দুই ঝুটি করা গাপুস গুপুস একটা মেয়ে বসে আছে, সাথে বাপ মা ভাই বোন…। তাদের সাথে অনেক ব্যাগ বোঁচকা, একটা থেকে উঁকি মারছে বাটার জুতার প্যাকেট। মিট করে একটা হাসি আসলো ভেতর থেকে, মনে হয় সমগোত্রীয়। জিজ্ঞাস করব কিনা ভাবতে ভাবতেই ওপাশের আপুটা হঠাৎ জিজ্ঞাস করে বসলো, আচ্ছা শুন, তুমি কি ক্যাডেট কলেজের?