কি কাজে যেন বাইরে গেলাম ভুলে গিয়েছি। ভুলে যাওয়ার একটা কারনও আছে। কারণটা হচ্ছে আমার গল্পের শিরোনাম। বাহিরে কারেন্ট নাই। বাসা থেকে বের হয়ে একটা মোর ঘুরলাম। ম্যাক্সিমাম বাসায় কোন আলো জ্বলছে না। কিন্তু মনের যখন মিল হয় তখন তারা আর দূরে থাকতে পারে না এর প্রমান আমি আজই পেলাম। একটি বাসায় আলো জ্বলছিল তা আমি দূর থেকেই দেখলাম। একটা সময় আমি হাঁটতে হাঁটতে বাসাটার একদমই কাছে চলে আসলাম। দোতলায় আলো জ্বলছিল, রাস্তার পাসেই বিল্ডিং। ঐ যে বলেছিলাম মনের মিল যখন হয় তখন তারা আর দূরে থাকতে পারে না। সামনেই ভাঙা ম্যানহোল ছিল যেহেতু পরিচিত রাস্তা, আগে থেকেই জানতাম। চাদের আলো আমাকে দেখিয়ে দিল তা। কি ভেবে যেন চাঁদ মামাকে ওইদিন একটা থ্যাংকস দিলাম। ভাবলাম উপরে তাকিয়ে চাঁদ মামাকে একবার দেখেই না হয় নেই।
উপরে তাকিয়ে প্রথমবারের মত আমি হারিয়ে গেলাম প্রেমের সাগরে!! নাহ চাঁদ মামাকে ওইদিন আর দেখিনি। দোতলার বারান্দায় যাকে দেখলাম সে আর কেউ না! সে যেন স্বর্গীয় পরী! রাস্তায় আলো না থাকায় সে আমাকে দেখল না। কিন্তু আমি তাকে দেখেই চললাম। পরের দিন খোজ নিলাম আমার চেয়ে ২ ক্লাশ ছোট। প্রায় দিনই খেয়াল করলাম মেয়েটি বিকেলবেলায় প্রায় প্রতিদিনই বারান্দায় বসে। আমার আনাগোনা বিকেলে যেন আরো বেড়ে গেলো। মেয়েটি আগে তাকাত না, কিন্তু কেন জানি ইদানিং তাকায়। আমি মনে মনে ভেবে চলি ,আমি কি তার মনে কিছুটা হোলেও জায়গা পেয়েছি??
এখন আমি তাকে আমার মনের কথা কি করে জানাই তা সারাক্ষনি ভাবছি। কল অব ডিউটি খেলছিলাম । আগে ভালই আগাচ্ছিলাম কিন্তু এখন আর আগাতে পারছি না। ফিফা খেলার সময় আগে যেখানে ব্রাজিল নিয়ে আর্জেন্টিনা কে এক হালি গোল না দিয়ে উঠতাম না এখন সেখানে বিপক্ষ দলের মাছি নামক প্লেয়ার একাই ৪ টা দেয়। কিন্তু আমি গোলের দেখা পাই না! একদিন বিকেলে নামলাম দেখি পিচ্চিরা ওর বাসার সামনে ক্রিকেট খেলছে। আমি জোরপূর্বক যোগদান করলাম। মেয়েটি যখনি বারান্দায় আসলো সাথে সাথে মোবাইল বের করে কানে লাগিয়ে বললাম। “ হ্যালো দোস্ত কেমন আছিস??………………আমি কুমিল্লা ক্যাডেট থেকে এইবার এইচ এস সি দিলাম…………… আমি খুব ভাল ছেলে…………………।। আমার সম্পর্কে সবই বললাম কথিত বন্ধু কে। বলার ফাকে একটু তাকালাম দেখি পিচ্চিদের খেলা দেখছে আর মিটি মিটি হাসছে। কিছুটা হোলেও শান্তি পেলাম!
পরের দিনঃ
টুপটাপ করে বৃষ্টি পরছিল। আম্মু আমাকে পাঠালেন চিনি আনতে , মেহমান নাকি আসবে। ঐ যে বললাম মনের মিল; বারান্দায় বসে বই পড়ছিল; লালরঙের পোষাকে তাকে তখন দারুন লাগছিল!! তার মায়াবি চোখদুটো যেন মনের রঙে রাঙ্গানো, মেহেদি দেওয়া হাতদুটো যেন বাগানের লাল ফুল!! আমি তাকে মনের কথা বলার এর চাইতে ভাল সময় আর মনে হয় পাব না। ছাতাটা ফেলে দিলাম দাঁড়ালাম রাস্তার ঠিক মাঝখানে। ফোনটা হাতে নিলাম। কী প্যাডে কোন ছোঁয়া ছাড়াই বন্ধুকে কল দিলাম। বললাম “ হ্যালো দোস্ত কেমন আছিস? আজকে আমি তোকে একটা মেয়ের কথা বলব যাকে আমি ভালবেসে ফেলেছি। সে আমাকে ভালোবাসে কিনা জানি না…..” ।আমি উলটো দিকে ঘুরে ছিলাম। “সে কি ড্রেস পড়েছে জানিস?? লাল সালোয়ার, ওকে দারুন লাগছে আজ! কি করে বুঝব ও আমায় ভালবাসে কিনা??, কি বললি ?? ও একটা কিছু আমার দিকে ছুড়ে মারলে বুঝব যে ও আমায় ভালবাসে??”
ঠায় দারিয়া রইলাম কিছুক্ষন। একটু পর হঠাৎ মাথায় কি যেন এসে লাগে !! দেখলাম ও আমার দিকে তাকিয়ে আছে…… আমি আনন্দে অনেকটা আত্মহারা হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পরলাম……আঘাত একটু বেশিই লেগেছিল। কিছুক্ষনের জন্য সেন্সলেস হয়েছিলাম কত আর ৫ কি ছয় মিনিট। চোখ খোলার পর মনে হোল আমি যেন স্বর্গে চলে গেছি!! আমি গ্যারেজে! সেই মেয়েটি আমার মাথায় বরফ ডলছে!!
গ্যারেজে দারোয়ান ছিল। আমাকে বলল, “হঠাৎ পইড়া গেলেন কেন ভাই??” আমাকে কিছু বলতে দেওয়ার আগেই মেয়েটা বলল, আঙ্কেল দোষটা আমার। আসলে ছোট একটা ফুলের টব নিচে ফেলেছিলাম উনি নিচ থেকে চাচ্ছিলেন । ভুলে ওটা ওনার মাথায় ছুরে মারি।
যাওয়ার সময় আমাকে মেয়েটা বলল এখনো কি পেইন করছে?? আমি বললাম সারা জীবন আমি এরকম পেইন চাই!!! ফোন নম্বরটা দিয়ে বলল, “কথা হবে তো??”……………।ফেরার সময় পা ঠিক আসল জায়গায়ই পড়ল!! যাই হোক এইটাও অনেক সুইট লাগছে!!!!
আগেই বলে রাখছি যে নায়ক আমি না।
রিফাত//গ-১৩৬৮//কুমিল্লা ক্যাডেট কলেজ//০৬-১২ ব্যাচ
বন্ধু,ডলা খাইতে মানসিক প্রস্তুতি গ্রহন কর । গল্প পড়ে বিনোদিত হইলাম.......... 😀
চলো বহুদুর.........
:pira:
...একদিন সবকিছু মুছে যায় হিমেল হাওয়ায়, স্মৃতিমাত্র লিখে নাম...সেইখানে আমিও ছিলাম...
🙂
রিফাত//গ-১৩৬৮//কুমিল্লা ক্যাডেট কলেজ//০৬-১২ ব্যাচ
Ami apnar lekha golpo take ata audio story er rup dite chai.. Apnar ki tate kono apotti ache.. Lekhok apni e thakben... Please let me know
বিনোদিত এবং আবেগিত হইলাম! 😡 😡 😡
\"why does the weasel go pop? does it matter?
if life is enjoyable, does it have to make sense?\"
হ হ বেশি কইরা হ... :)) :))
রিফাত//গ-১৩৬৮//কুমিল্লা ক্যাডেট কলেজ//০৬-১২ ব্যাচ
ভাইয়া গল্পটা শেষ করবেন না? ভাল ই লাগল :thumbup: 😀
ধন্যবাদ ভাইয়া!! 🙂
রিফাত//গ-১৩৬৮//কুমিল্লা ক্যাডেট কলেজ//০৬-১২ ব্যাচ
মজা পাইলাম :))
:thumbup: 😡
=)) =)) :clap: :clap:
🙂
ভাইয়া গল্পটা শেষ করলেন না ভালোয় তো লাগছিল ।
ভাই ভালোই লাগলো!!
B-) মুটামোটি
ছেলেরা পটানো কত প্রকার ও কি কি সবি জানে হুহ
আমার জীবনের সাথে মিল আছে এই গল্গটির।
ভাল লেগেছে
কোনো রকম
🙂
অসাধারণ লাগল।