ক্যাডেট কলেজ এর সাথে আমার সম্পর্ক যেমন তেমন খুব একটা বেশী মানুষের নেই। বাবা ক্যাডেট কলেজ এর শিক্ষক হওয়াতে জন্ম থেকেই ক্যাডেট কলেজ পরিমন্ডলে বড় হয়েছি।
আজকাল প্রায়ই একটা কথা শুনি ক্যাডেটরা নাকি এখন আর আগের মতন নেই, পড়ালেখার মান পড়ে যাচ্ছে, খেলাধুলা এবং অন্যান্য যায়গায় তাদের আগের সেই আধিপত্য নেই।
ক্যাডেট কলেজ এর অসুখ হয়েছে এই কথা সবাই জানে, অসুখ হওয়াতে কি লক্ষন দেখা দিয়েছে এই কথা সবাই বলছে কিন্তু অসুখ কেন হয়েছে এই কথা কি কেউ ভেবে দেখেছে ????
লক্ষন: পড়ালেখার মান কমে যাচ্ছে। ক্যাডেটরা আগের মতন আর বুয়েট-মেডিক্যাল এ চান্স পাচ্ছে না।
কেন: কথাটা এক দিক দিয়ে সত্যি এবং আরেকদিক দিয়ে সত্যি না। ৫০ জন এর মধ্যে আগে বের হতে পারত বড়জোর ৪০-৪৫ জন।
সেদিক দিয়ে আমরা ভাগ্যবান। কেউ ঝরে পড়েনি। ৫০ জনের মধ্যে ৪৭-৪৮ জনই ভাল জায়গায় চান্স পেয়ে গেছে। মোটামুটি সব কলেজেরই একই অবস্থা।
তাও অস্বীকার করবনা যে পড়ালেখা করিনি। অন্তত ১১শ-১২শ তে যেরকম করার কথা ছিল অতুটুকু তো নয়ই। কিন্তু এর জন্য আমরা একা দায়ী নই।
# আগে টেস্ট প্রি-টেস্ট এর আগে এম্নেই পিটি মাফ করে দেওয়া হত আর এখন অফিসে গিয়ে ধর্না দিয়ে পড়ে থাকতে হয়। HSC এর দোহাই দিয়ে জানুয়ারী মাসে কোন ইন্টার হাউস গেমস করতে না দিলেও মার্চ-এপ্রিল এর অবস্ট্যাকল আর ক্রস কান্ট্রি ঠিকই করতে হয়।
# এমনকি এমন ঘটনাও দেখেছি যে প্রেপ টাইম এ স্যার এর কাছে কোন কিছু বুঝতে গেলে উনি বুঝাতে চান না! অন্য কোন ফর্ম চিল্লা-চিল্লি করলে ভিপি স্যার উনাকে ধরবেন এই ভয়ে! অথচ আমি নিজেই এমনও দেখেছি স্যাররা প্রেপ থেকে ১০:৩০ এ বাসায় গেছেন ক্যাডেট দের সময় দেওয়ার জন্য।
# আগে ক্লাস এ টেক্সট বইয়ের অনেক কিছুই প্র্যাক্টিকাল করে দেখান হত [আমাদের Physics আর Chemistry Lab এই এর হাজারও প্রমান আছে] আর এখন প্র্যাক্টিকাল গুলোই সব করে দেখান হয় না। এতে ক্যাডেটদের অনীহা আছে তা ঠিক কিন্তু আর কিছুই কি নেই ????
# একদিন কোন একটা সমস্যা নিয়ে একজন স্যার এর কাছে যাওয়ার পরে উনার উত্তর,
– “বই দেখ”
– “স্যার বই এরটা বুঝি নাই”
– “গাইড দেখ”
– “গাইডে নাই স্যার”
– “কোন বোর্ড?”
– “কোন বোর্ডই না স্যার”
– “বোর্ড এও নাই গাইডেও নাই এই প্রশ্ন জীবনেও আসবে না। বাদ দে”
আমি কসম কেটে বলতে পারি স্যার খুবই ভাল মানুষ এবং আমাদেরকে যথেষ্ট সাহায্যও করতেন, সমস্যাটা হল দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তিত হয়ে গেছে।
লক্ষন: কলেজ এ নাকি আগের মতন “পরিবেশ” নেই। এখানে “ভদ্র ঘর” এর ছেলেরা পড়ে না। এখানে নাকি পৈশাচিকভাবে পেটানো হয়!
কেন:
# আমি কোন প্রিফেক্ট ছিলামনা কিন্তু আমার রুমে একজন ছিল যাকে দেখে যা শিক্ষা হওয়ার হয়ে গেছে। সেই হাউস কালচারাল প্রিফেক্ট বন্ধুটি নিজের জন্য জীবনেও অফিস এ যায়নি কিন্তু ক্লাস ৭-৮ এর জন্য তাকে দিনের পর দিন অফিস এ যেতে দেখেছি। সব চেয়ে মজার ব্যাপার যাদের জন্য যেত তারা লাঞ্চ এর পরে হাউস এ এসে নাক ডেকে ঘুমাত আর তাদেরকে গেমস টাইম এ কিছু করাও যেত না কেননা তাদের কারো বাবা হয়ত আর্মির কোন কর্নেল অথবা ব্রিগেডিয়ার, কিছু কিছু ক্ষেত্রে সচিবালয় এর উচ্চপদস্থ কেউ। তারা চান না তাদের সন্তান এর “সোনার অঙ্গে” কেউ হাত দিক। আমি এমন ঘটনাও দেখেছি যেখানে ৭ম এর একজন জিজ্ঞাসা করছে হাউস প্রিফেক্ট যদি এত দেরীতে ফল-ইন এ আসে তাদের এত আগে আসার দরকার কি?
এর মানে এই না যে তারা সবাই খারাপ বা সবাই একি রকম ব্যবহার করেন। আমি ব্যাক্তিগত ভাবে একজন হাউস প্রিফেক্ট ভাই ও আমাদের ক্লাস মেট এর কথা বলতে পারি যাদের কে দেখে বুঝার কোন উপায় নেই তাদের বাবা-মা এত উচ্চপদস্থ কেউ।
# একজন ৭ম এর ক্যাডেটকে ৮ম এর একজন ক্যাডেট পিটিয়ে কি করতে পারে সেটা নিয়ে আলোচনা না করে একজন এ্যাডজুট্যান্ট কি করতে পারেন ওইটা নিয়ে আলোচনা করা উচিত। ৭ম এর ক্যাডেটকে প্রহার করা যদি বিকৃত মানসিকতা হয় তবে ৮ম-৯ম এর একজন ক্যাডেটকে পেটানোও হওয়া উচিত যা কিনা হরহামেশাই কলেজে হয়ে থাকে, তাও আবার অথরিটির মাধ্যমে!
তারমানে এইনা যে পেটানো ভাল কিন্তু পেটানোর বদলে পেটানো কেমন বিচার!!!! কেই যদি বলেন তারা জানেন কতটুকু মারা উচিত তাহলে বলব আপনারা সম্পুর্ন ভুল জানেন। মারার সময় কেউই ভাবে না কতটুকু মারা উচিত। আমি নিজে কতবার মার খেয়েছি সেটা না বলাই ভাল। আমি ব্যাক্তিগত ভাবে কিছু কারনে জুনিয়র বিটিং খুব একটা করিনি কিন্তু আমার মনে হয় এটা অল্প হলেও থাকা উচিত। যখন বিটিং ছিল ক্যাডেটরা ভালই ছিল। এখন নেই দেখেই ক্যাডেটদের এই অবস্থা।
লক্ষন: ক্যাডেট কলেজ এর ছেলেরা এখন আর আগেওর মতন “Broad Minded” না।
কেন: আমরা “Broad Minded” কিনা সেটা আলোচনার আগে বলে নেই।
“শিশু যদি বড় হয় সমালোচনার মাঝে,
তবে সে নিন্দা করতে শেখে।”
ক্যাডেট কলেজে ঢোকার পরে কোন ভাল কথা শুনেছি বলে মনে পড়ে না। এখনো মনে আছে ICCBVM এর বাস্কেটবল এ চ্যাম্পিয়ন হয়ে কলেজে যখন যাই তখন অডিটোরিয়াম এ অনুষ্ঠান হচ্ছিল। কাপ হাতে অডিটোরিয়ামে ঢোকার পরে প্রথম যেই কথা শুনলাম,
– “জাননা অডিটোরিয়ামে রাতের বেলা খাকি পরে আসতে হয় না ? যাও ড্রেস চেঞ্জ করে আস।”
কোন এককালে আমাদের কলেজে একজন Rhodes Scholar এর পদধুলি পড়েছিল যিনি আমাদেরই এক্স-ক্যাডেট ছিলেন। উনার মুখে কলেজ এর বর্ননা শোনার পরেই বুঝতে পেরেছিলাম আমাদের অবস্থা এরকম কেন।
* পাকিস্তান আমলে বিশ্ব-চ্যাম্পিয়ন টিম তাদের উইনিং স্কোর করা হকি স্টিকটি পর্যন্ত আমাদের কলেজে নাকি দিয়েছিল [যদিও আমাদের চর্মচক্ষু ওই বস্ত চাক্ষুষ করার সৌভাগ্য অর্জন করতে পারেনি]
* তারা রাঙ্গামাটি-খাগড়াছড়িতে হাইকিং-ক্যাম্পিং করতে যেতেন, সকালে পিটির সময় সাগরের তীরে দৌড়াতেন। হাইকিং-ক্যাম্পিং তো দুরের কথা, নিজের কলেজেই অ্যাথলেটিক্স গ্রাউন্ডে গেলে এখন 5 x E.D খেতে হয়।
* ভার্সিটির শিক্ষকরা নাকি আগে ক্যাডেট কলেজের লোভনীয় অফার ফিরিয়ে দিতে না পারে চলে আসতেন, আর এখন নতুন কোন শিক্ষকই ১-২ মাসে বেশী থাকেন না। তারা আসেন খালি ‘অভিজ্ঞতা’র জন্য।
লক্ষন:ক্যাডেট কলেজ এখন আর Co-Curricular Activities এ পারদর্শী না।
কেন:
হ্যা, হ্যা এবং হ্যা …………
এই এক জায়গায় আমি সম্পুর্ন একমত যে এটা আমাদের দোষ। এটা আমাদেরই দোষ যে ম্যাথ অলিম্পিয়াড এ যেতে হলে HQ থেকে লিখিত অনুমতিপত্র লাগে যার জন্য অনেক সময়েই যাওয়া হয় না [আমি দেশের বাইরে ১ বছর সুতরাং অবস্থার উন্নতি হলেও জানব না]।
এটাও আমাদেরই দোষ যে টিভি ডিবেট এ আজকাল টাকা অনেক বড় ভূমিকা রাখে। বেশ কয়েক বছর ধরেই ক্যাডেট কলেজে ভর্তির জন্য মেধাকে এত বেশী গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে যে কলেজে আলু-পটল সবই চান্স পাচ্ছে [যদিও আমি নিজেও ওই রকমই]। তাদের আচার আচরন নিয়ে আমার কোন সমস্যা নেই যদি না তারা পুর্বের সুমস্যাগুলোর হোতা না হয়ে থাকে কিন্তু আমার মনে হয় এদিকেও একটু নজর দেওয়া দরকার !!!!
সর্বোপরি, ক্যাডেট মানে শুধু ভাল ছাত্র না, সাথে আরো অনেক কিছু। আমি আবারো বলছি সাথে আরো অনেক কিছু। ভাল ছাত্রর জন্য অনেক কিছু বিসর্জন দিলে তো মুশকিল 🙁
এত কিছুর পরেও কিন্তু ক্যাডেটরা খুব একটা খারাপ করছে না।
বোর্ড রেসাল্ট থেকে শুরু করে সব যায়গায়ই নিজেদের আলাদা যায়গাটা এখনো তারা ধরে রেখেছে। ::salute::
তবে এইভাবে চললে কতদিন পারবে তা প্রশ্নের বিষয়।
আমার কাছে এই প্রশ্নের উত্তর নেই, কারো কাছে থাকলে দয়া করে জানাবেন।
পাবন,
তুমি যা লিখেছ সেটা আমি আমাদের সময়েও (৯২-৯৮) পেয়েছি। সমস্যা গুলো আমরা জানি, কিন্তু কেউ এটা নিয়ে কাজ করতে চায় না। আমরা মনে হয় সবাই এক ধরনের ভাইরাসে আক্রান্ত। যা চলছে তা তো খারাপ না, এই মানসিকতা।
তোমার লেখাটা ভাল হয়েছে। চালিয়ে যাও...
ভাই,
আমরা কলেজ এ থাকতেও অনেকে কিছু দেখেছি কিন্তু খারাপ হওয়ার গতি ক্রমশই বাড়ছে।
Punishment দেওয়ার জন্য যখন প্রিফেক্ট এর বাসায় চিঠি যায় তখন আর বলার কিছু থাকে না ........... 🙁
Proud to be a Cadet,
Proud to be a Faujian.
:boss:
সারোয়ার
:shy:
Proud to be a Cadet,
Proud to be a Faujian.
ভালো লিখছিস দোস্ত... অতি সত্য কথা............।। 😡 😡 😡
রক্তিম প্রসাদ প্রাচীরে বন্দি সবুজ মায়া
এরি মাঝে খুজে ফিরি নিজের অচেনা ছায়া..
good work পাবন...
so true...
ইন্টারেস্টিং টপিক।
ক্যাডেট কলেজের বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে জানা গেলো। আমাদের সময়কার অবস্থা যে এর চেয়ে ভালো ছিলো এমন দাবি করা খুব বেশি যৌক্তিক হবে না। তবে অবস্থা গ্রাজুয়ালি খারাপের দিকে যাচ্ছে সেটাই হলো ভাবনার বিষয়।
এজি এসেছে কলেজ ভিজিটে। একাদেমী আওয়ার। ক্লাস নিচ্ছেন জনৈক শিক্ষক। এজি ক্লাসের বাইরে দিয়ে হেঁটে যাচ্ছেন। ছেলেরা বাইরে ঘাড় ঘুরিয়ে তাকালো এক ঝলক।
শিক্ষকের দৃষ্টি তা এড়ায় না। তিনি বেশ জোরেই বলে উঠলেন, "বাইরে দিয়ে কি শেয়াল-কুকুর হেঁটে যাচ্ছে যে তাকাচ্ছো?"
আজ জাতির মেরুদণ্ড নেই; শিক্ষকদের মেরুদণ্ড আসবে কোত্থেকে? সিনিয়রদেরেই বা?
প্রিন্সিপাল, এডজুট্যান্ট যদি জেনারেলদের পোলাপানদের আব্বা আব্বা করে তাইলে কি আর হইবো?
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
পবন,
ভাইরে তোর লেখা ভালো হইছে।
কিন্তু ভার্সিটি নিয়া এইটা কি বললি।
যে নিশ্চিত ভার্সিটির টিচার হবে সে কখনো ক্যাডেট কলেজের টিচার হইয়া যাবে না।
এইসব ফালতু কথা কে বলেছে তোদের?
তবে এটা হয়েছে যে ক্যাডেট কলেজের অনেক শিক্ষকের রেজালট খুবই ভালো ছিলো।
অনেকে ভিন্ন ধর্মের হওয়ার কারণে ভার্সিটির শিক্ষক হইতে পারেন নাই।
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
😀
আমি নিজে এইরকম ২ জন আঙ্কেলকে চিনি ..........
রাজশাহী ভার্সিটির টিচার ছিলেন ........ কলেজে চলে এসেছেন ........
Proud to be a Cadet,
Proud to be a Faujian.
আমরা ১১ এ থাকার সময় কুমিল্লা ম্যাথ অলিম্পিয়াডে প্রথম হয়ে ছিলাম, কিন্তু ঢাকায় ফাইনাল রাউন্ডে যেতে পারি নাই, তার কারন ছিল কলেজ বাসের টিকেট করতে পারে নাই 😮 😮 (কলেজ ইছা করলেই কাজটা করতে পারত কিন্তু কারো সেটা নিয়ে কোন মাথা ব্যাথা ছিল না)। (সম্পাদিত)
জুনায়েদ
আমি দোস্ত CCC এর কথাই বলসি ...........
আমাগো কলেজ তো গেসিল ......... 😀
[Principal Sir HQ রে জানানোর প্রয়োজন মনে করেন নাই]
Proud to be a Cadet,
Proud to be a Faujian.
খুবই ভাল লিখেছো। আসলে ক্যাডেট কলেজের মত অর্গানাইজেশনে সিনিয়রিটি জুনিয়রিটি মেইনটেইন করার বিকল্প নেই। বিটিং না থাকুক ফিজিক্যাল পানিশমেন্ট অথরাইজড করা উচিত। আর বি এম এ তে কিন্তু জেনারেলদের ছেলেরা আলাদা কোন প্রিভিলেজ পায় না, ক্যাডেট কলেজেও তা করা উচিত। (সম্পাদিত)
BMA তে থাকেনা কারন তারা জানে ওই কাজ না করলে পরে এইসব "গাধা" গুলোকেই তাদের স্যার ডাকতে হবে .............. ~x(
কলেজে তো আর অই সমস্যা নেই ............. 😡
Proud to be a Cadet,
Proud to be a Faujian.
আমার এখনো মনে পড়ে, এক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল প্যারেন্টস ডে তে এলে কলেজের লনে সোফা দিতে হত। দুজন ওয়েটার খেদমতে ব্যাস্ত থাকতো। আবার আমার বন্ধুর বাবাকেও দেখেছি, তিনি তৎকালীন এ জি ছিলেন ( মেজর জেনারেল)। অভিভাবক দিবসে বাসা থেকে নিয়ে আসা চাদর কাঁঠাল গাছের নিচে বিছিয়ে বসতেন।
ক্যাডেট কলেজে দামি মোবাইল, দামি ঘড়ি নেয়া যাবেনা, কারণ তাতে যে যারা আনতে পারবেনা তাদের খারাপ লাগবে। খুবি ভালো একটা ব্যাপার।
কিন্তু আব্বা-আম্মা আর্মির বড় অফিসার বা সচিব তাদের স্যাররা এসে দেখা করে যায় সালাম দিয়ে যায়, কিন্তু আমাদের বাবা-মা কে ওয়ার্কিং রুম এ দেখা করার আদেশ আসে। হাস্যকর।
পাবন, তোমার লেখা খুব ভালো লেগেছে।
যারা আমাদের শিক্ষক, তাদের যদি ভিপির ভয়ে,ক প্রিন্সীপাল/এডজুটেন্ট এর ভয়ে আধমরা হয়ে থাকে, তাহলে বলার কিছু নাই।
আমাদের কলেজের এক এ্যাডজুট্যান্ট, সে খুব কড়া মানুষ। তার কাছে কলেজ প্রিফেক্ট এর জন্য কোনো ছাড় নাই। খুব কড়া অফিসার, কিন্তু কলেজ মেস এ বিশাল চুরি হইতেসে, ডিউটি ক্যাডেট রিপোর্ট করতেসে, কিন্তু কড়া অফিসার এর কোনো মাথা ব্যাথা নাই। মেস এর কর্মচারীকে সে বাপ-মা তুলে গালি দিয়ে দিল, হাউজ বেয়ারার কলার ধরে ঝাড়ি দিল, কিন্তু মেস এর চুরির ব্যাপারে নিশ্চুপ।
খুব ভালো লাগে এই ব্যাপার গুলা, যেমন আমার ক্লাস-মেট জুনিয়র এর গায়ে হাত তোলার জন্য তিন হাজার টাকা জরিমানা দিল, আর এ্যাডজুট্যান্ট আমাকে জুতা দিয়ে মাথা ঘষার জন্য কিছু হবেনা।
এই শিক্ষক এর নাম না বললেই হয়না, মোস্তাফিজ স্যার এর কথা বলবো, ক্লাস এইট এর ছেলেকে জামা খুলে ৪/৫ টা বেত ভাংগার পর ও কিছু হইলোনা।
🙁
এই টাইপ মানুষগুলার জন্যই ............. :bash: :bash: :bash: :bash:
Proud to be a Cadet,
Proud to be a Faujian.
কি কমু মামা, ১১ - ১২ তো পাইলাম না - জানিনা এতে "বাঁইচা" গেসিলাম কিনা!
কিন্তু আমগো কলেজে যেইটা সবচেয়ে বেশী "ধাক্কা" দিসিল - সেইটা ছিল ৭ম থেকে ৮ম -এ ওঠার পর... এ্যাডজুটেন্ট পাল্টাইল - আমাদের বাঁশ খাওয়াও শুরু হইল... ৭ম এও পাঙ্গা খাইলাম, ৮ম এও পাঙ্গা খাইলাম ৭ এর লাইগা - কিন্তু ওদের আর "Touch" করা যাবে না!! যাই হোক পরে এ্যাডজুটেন্ট কি কারণে জানি আবার লাইনে আসলেন, মোটামুটি সব ভালই ছিল -
কিন্তু এইবার যখন গেলাম (২০১০) - এথলেটিক্সের দিন আরেক ক্যাপ্টেন-রে দেখলাম এ্যাডজুটেন্ট... বাহ! কি ব্যাবহারটাই না পাইলাম!! :duel:
আমরা তো এতই খারাপ ছিলাম না!! ... জানিনা Recent ব্যাচগুলার উপর সবার এমন ধারণা কেন!!
নাহিয়ান এর নামে এক ৭ [৭ এর বাপ মেজর] রিপোর্ট করার পরে অরে এ্যাডজুটেন্ট ডাইকা বাপ দাদার ১৪ গুষ্টি উদ্ধার কইরা ফেলসে .........
নাহিয়ান তহনো কিসু কয়নাই দেইখা তার মেজাজ গরম হয়া গেসে ............
কইসে নাহিয়ান এর বাপরে এহনি কল দিব যাতে নাহিয়ান রে কলেজ থেইকা বাসায় নিয়া যায় বা ওই টাইপ কিসু ............
নাহিয়ান রে জিগাইসে বাপের নাম কি ????
সে কইল ব্রিগেডিয়ার ******** ............. :-B
এ্যাডজুটেন্ট কয় "বাবা এই কথা আগে বলবা না ! " ............... ~x( ~x(
আমি শুইনা :khekz: :khekz: :khekz: :khekz:
Proud to be a Cadet,
Proud to be a Faujian.
“বাবা এই কথা আগে বলবা না ! ” =)) :))
জুনায়েদ
হ এইটা সত্যি, ভাল পোলাপাইন সহজে "আমার বাপ অমুক" টাইপ ভং ধরেনা! 🙂
তয় পোলাডা বেশীই ভাল ............ 🙁
আমি হইলে একটু হইলে ধরতাম ........ :grr:
Proud to be a Cadet,
Proud to be a Faujian.
Oshadharon likhesis.
:shy: :shy: :shy:
Proud to be a Cadet,
Proud to be a Faujian.
এক্কেবারে ঠিক কথা!
:-B
Proud to be a Cadet,
Proud to be a Faujian.
একটা ব্যতিক্রমের কথা বলি-যদি মন খারাপ ভাবটা কিছুটা দূর হয়...
আমি তখন ক্লাস নাইনে-আমার ডর্মে আমি ছাড়া বাকি সবাই ক্লাস সেভেনের।এদের দেখাশোনা করার সময় মাঝে মাঝে বেশ কড়া হতে হত।একদিন একটা ছেলে একটু বেশি দুষ্টামি করায় ধরে বেশ কিছু চড়-থাপ্পড় দিলাম(এই বেলা বলে নেই কাজটা করা যে ঠিক না এটা এখন বুঝি)।পরের দিন প্যারেন্টস ডে...হঠাৎ শুনি ওই ছেলে তার বাবাকে জিজ্ঞাসা করছে-আব্বু,সিনিয়র ভাইয়া থাপ্পড় দিলে কি করব? বাবার উত্তর- থাপ্পর মারার আগে ভাইয়ার কাছ থেকে পারমিশন নিয়ে চশমাটা খুলে রাখবা।
ছেলেটার নাম বলেই ফেলি-সানি(৯৯ ব্যাচ)।ওর বাবা তখন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এবং যশোর ক্যান্টনমেন্টের সেকেন্ড ম্যান।শুধু তাই না,তিনি নিজে জেসিসির এক্স ক্যাডেট এবং এককালীন দোর্দন্ডপ্রতাপ হাউস প্রিফেক্ট।
আমার ডর্মে যেসব আর্মি ব্যাকগ্রাউণ্ডের যেসব ক্লাস সেভেন ছিলো তাদের বাবাদের সর্বনিম্ন পদমর্যাদা ছিল লেঃকর্নেল।মোটামুটি চার বছর এদের সাথে কলেজে থাকার সময় এক মুহূর্তের জন্যেও এদের প্রচন্ড ক্ষমতাধর বাবারা একটি বারের জন্যেও ছেলের কলেজ লাইফে নাক গলাতে চেষ্টা করেননি। আমার ক্ষুদ্র জ্ঞানে মনে হয়-এঁনারা যে এত বড় পদে আসীন হয়েছিলেন এবং এঁদের ছেলেরা যে বর্তমানে প্রত্যেকেই নিজ যোগ্যতায় খুব ভালোভাবেই সুপ্রতিষ্ঠিত- তার পেছনে এই দৃষ্টিভংগীর ভূমিকা একেবারে কম নয়।
::salute::
আমিও বলে রাখি এক্সক্যাডেট বাবারা খুব কমই এইসব নিয়ে চিল্লাপাল্লা করে ..........
ভেজাল করে ............. ~x( ~x( ~x( ~x( ~x(
[ না বলাই ভালো, আব্বু এখনো চাকরি করে 🙁 ]
অনেক সময় আবার বাবারা কিছু না করলেও কলেজ এর BOSS এরাই করে ফেলেন ....
পাম্পিং বলে একখান কথা আছে না ............ 😡 😡 😡
Proud to be a Cadet,
Proud to be a Faujian.
::salute::
বাই দা ওয়ে পাবোইন্না-জটিল লিখছোস...চালায়া যা...(তোর বরাদ্দ ১০টা ফ্রন্টরোল কি দেওয়া হইছে??)
:frontroll: :frontroll: :frontroll: :frontroll: :frontroll: :frontroll: :frontroll: :frontroll: :frontroll: :frontroll: :frontroll: :frontroll:
১০ দিলে ২টা ফ্রি ............ O:-)
Proud to be a Cadet,
Proud to be a Faujian.
ক্যাডেট কলেজগুলোতে সামরিক ভি আই পি-দের কারণে যতটা বৈষম্য হতে দেখেছি, তাকে ছাড়িয়ে যেতে পারে এমন আর কিছু চোখে পড়েনি।
যাঁরা দূরদর্শী অভিভাবক ছিলেন, তাঁদের সন্তানদের অবশ্যই আলাদা করে চোখে পড়তো বিনম্র সাধারণ অ্যাটিচিউডের জন্যে। নইলে বড় দৃষ্টিকটু লাগতো প্যারেন্টস ডে বা অন্য যে কোন সময় এই নির্লজ্জ চাটুকারিতা। 'সূর্যের চেয়ে যেমন বালুর তাপ বেশি' তেমনই বাপেদের চেয়ে পোলাদের হামবড়া ভাব বেশি ছিলো।
এমন অবস্থায় কারই বা মেরুদণ্ড বেশিদিন সোজা থাকে। বাজারে আরেকটা চাকরি জোটানো তো সহজ ব্যাপার না। কুপ্রভাবটা গিয়ে পড়ে অপরিণত মনগুলোর ওপর।
কেউ আর তাদের কথা ভাবেনা। একবার যে শ্রদ্ধাবোধ উবে গেছে, তা কি আর কোনদিন ফিরে আসে? শিক্ষক, অথোরিটি এই সহজ ব্যাপারটা উপলব্ধি করেন নিশ্চয়ই। কিন্তু এর জন্য যে মূল্য দিতে হয় তা দেবে কে?
তবু এত বৈপরীত্যের মধ্যেই আমরা বড় হই, মানুষ হবার স্বপ্ন দেখি।
আমাদের ক্যাডেট কলেজ সময়ে এমন অনেক ক্যাডেটের কথাই আমি বলতে পারি (নাম আর নিচ্ছিনা) যাদের ক্যাডেট কলেজে চান্স পাবার কোন কারণই ছিলোনা।
আমাদের ব্যাচে ভর্তি হয়েছিলো পরবর্তীতে বিমানবাহিনী প্রধানের ছেলে (ওর ওপেন হার্ট সার্জারি হয়েছিলো খুব ছোটবেলায়), পিটি প্যারেড কিছু করতে পারতোনা, সবসময় এক্সকিউজড থাকতো; পরীক্ষার পর পরীক্ষা ফেল করতো। কি করে এডমিশন টেস্টে চান্স পেয়েছিলো বোঝাই যেতো। বেশিদিন আর টিকতে পারেনি। কিন্তু যে স্পেসটা ওর কারণে নষ্ট হলো, তা তো আর পূরণ হয়নি। ক্যাডেট কলেজে তো আর ওয়েটিং লিস্ট নেই।
তো বিখ্যাত আর ক্ষমতাধর বাবারা যদি চান ছেলেকে ক্যাডেট কলেজে পড়াবেন, কার সাধ্য আছে মানা করার।
তবে আমার মনে হয়, এই সমস্যার সমাধান হচ্ছে: একটা আলাদা ক্যাডেট কলেজ বানানো যেখানে শুধু এদের ভর্তি করিয়ে বছর বছর পাশ করানো হবে। পিটি প্যারেড অ্যাথলেটিক্স একাডেমিক্স কিচ্ছু দরকার নেই, শুধু ৬ বছর সেখানে কাটিয়ে আমোদফূর্তি করে, ইচ্ছেমতন প্যারেন্টস ডে/উইক/মান্থ করে বেরিয়ে আসা। তাহলেই সবাই খুশি থাকলো।
সিসিবিতে এদের মেম্বার করা হবে কি না সটা অবশ্য প্রশ্নসাপেক্ষ। 😀 😀
:pira: :pira: :pira: :pira: :pira:
কলেজে ভর্তি হয়েও যদি CADET হয়ে থাকত তাহলে হয় কিছু বলার থাকত না ............
আমাদের কলেজে একজন Principal Sir ছিলেন যার শিক্ষক ছিলেন আমাদের VP। শুধুমাত্র একজন VP কে স্যার বলার জন্য উনি সব শিক্ষক কেই SIR ডাকতেন ::salute::
আবার এমনও দেখেছি ক্যাপ্টেন হওয়ার পরেই কলেজে গিয়ে হাউস বেয়ারা আর মেস ওয়েটার দেরকে নাম ধরে ডাকছে ......... [Not FCC though] 😡 😡 😡
Proud to be a Cadet,
Proud to be a Faujian.
অফটপিক পাবন:
স্যারের নামটা কি বলা যাবে? কি জানি হ্য়তো পেয়েছি উনাকে।
আমার আব্বু ????
মোহাম্মদ নুরুল হোসেন ........... আপনি পাননি ।
আব্বু 84-90 যতদুর জানি BCC আর JCC তে ছিল।
Proud to be a Cadet,
Proud to be a Faujian.
পাবন,
ভাই এটা তুমি কোন কলেজের কাহিনী লিখলে? পরিচিত কিছুই তো খুজে পাচ্ছি না।
সাধারনত কোন প্রতিষ্ঠান যত দিন যায় তত আরও সুন্দর হয়ে ওঠার সুযোগ পায়। কিন্তু এ কোন ধরনের ঘটনা শুনছি?
আমাদের সময় ব্যক্তিগত বেল্ট পর্যন্ত পড়া মানা ছিল। সহজে জানার সূযোগ ছিল না কার বাবা (বা মামা) কে কি করে।
সব চাইতে কষ্ট হত পরীক্ষার সময়ও কোন নিয়মের ব্যতিক্রম ছিল না। সকালের পিটি এবং ড্রিল বা খেলা সবই করতে হত। আর রাগবী খেলা মানেই তো আঘাতে হাত পায়ে ব্যাথা। আঙ্গুল মচকে অনেক সময় লিখতে অসুবিধা হত পরীক্ষার খাতায়। অনেকে লাইটস অফের পরে বিছানায় নিজেকে সম্পূর্ণ কম্বলে ঢেকে ছোট একটা টর্চ জ্বালিয়ে পরীক্ষার আগের রাতের ফাইনাল রিভিশন শেষ করতো। এক দিকে কম্বলের কারনে গরম অন্য দিয়ে ভয় যদি 'মুলার্ড' হঠাৎ চক্কর দিয়ে চলে আসে। ধরা পড়লে নির্ঘাত লম্বা ছুটি।
কারও গায়ে হাত তোলার ঘটনা কদাচিৎ ঘটেছে। এক্সট্রা ড্রিল ছিল এক মাত্র শাস্তি। আমি প্রথম এক্সট্রা ড্রিল পেয়েছিলাম সোমবার বিকেলের ড্রিলের ব্রেকে মাঠের সবুজ ঘাসে বসার জন্যে।
নিজের হাতে কাজ করার বাধ্যবাধকতা থেকে একটা সুন্দর অভ্যাস গড়ে উঠেছিল ফলে এখনো যখন ঘর নিজে হাতে ধোয়া-মোছা করি কখনো খারাপ লাগেনা।
সব চাইতে বড় শিক্ষা পেয়েছি নিজে থেকে নিজের পায়ে আত্ব-বিশ্বাস নিয়ে দাঁড়াতে।
নাহ, এখন বরং বাইরে হাটতে যাই - মনটা তুমি খারাপ করে দিলে পাবন, তোমার এই সত্যনিষ্ট লেখা দিয়ে।
সাইফ শহীদ ভাই,
আমি মাত্রই ৯৫-২০১০ এর কাহিনী এর ভিত্তি ভালভাবে বলতে পারব।
তার আগের কাহিনী কারো না কারো কাছ থেকে শুনতে হয়েছে।
পরিক্ষার এই কথাও আমি শুনেছি, এও শুনেছি যে আগে একি দিনে প্রথম এবং দ্বিতীয় পত্র পরীক্ষা হত। কিন্তু আমাদের সেই সৌভাগ্য অথবা দুর্ভাগ্য কোনটাই হয়নি।
লেখাতে আবেগের বশে একটু আক্রমনাত্তক ভাষা ব্যবহার করেছি কিন্তু মিথ্যা কিছু নেই ........
এটাই এখনকার ক্যাডেট কলেজ ................. 🙁
অফটপিকঃ নেক্সট রিউনিয়নে আমি বের করব এই জুনিয়র বিটিং কোন ব্যাচ এর আবিষ্কার ............. :-B
কারন প্রথমদিকের সবাই বলেছেন ছিলনা এবং ৮০-৯০ এর ভাইরা বলেন "রাতের বেলা বিছানার চাদর আর পিঠ রক্তে এক হয়ে যেত" ............ O:-)
Proud to be a Cadet,
Proud to be a Faujian.
ভালো লিখেছ :thumbup:
:dreamy:
Proud to be a Cadet,
Proud to be a Faujian.
dst seriously heavvvvvvvvvy liksis.................onek din por cadet college somporkey kisu bastob sotti kotha suntey parlam..........jnr cls e hoito onek kisu clr buji nai............but @ 11 12 e sob e bujsi.............. ::salute::
dst banglai liktey partasilam na....tai mixed korey liklam................. :no:
again ::salute:: ::salute:: ::salute::
::salute::
Proud to be a Cadet,
Proud to be a Faujian.
::salute:: ::salute::
নতুন লেখা দে ! 😡