ক্রস ড্রেস বলে যে কিছু থাকতে পারে ক্যাডেট কলেজে না গেলে কোন দিন জানা হত না। কলেজের প্রথম দিনেই ক্রস ড্রেস বিষয়টা জানতে পারি। আমার গাইড আমাকে উদাহরণ দিলেন হাফ শার্টের সাথে ফুল প্যান্ট পড়া, তারপর স্লিপিং ড্রেস এর সাথে শার্ট পড়া, বা পাঞ্জাবির সাথে প্যান্ট পড়া,, সাদা শার্টের সাথে কালো প্যান্ট, খাকি প্যান্টের সাথে খাকি শার্ট ছাড়া অন্যকিছু ইত্যাদি ইত্যাদি। বলা বাহুল্য আর সব বিষয়ের মত ক্রস ড্রেস পড়াও ক্লাস সেভেনের জন্য নিষিদ্ধ।
ক্লাস সেভেনে কিছু দিন যেতেই প্রেপ এর ড্রেস হিসেবে সাদা শার্ট সাদা প্যান্টের পরিবর্তে সাদা শার্ট কালো প্যান্ট চালু হয়ে গেল। আর আমরা ক্লাস সেভেন পড়ে গেলাম মহা সমস্যায়। যেহেতু ড্রেসটা অফিসিয়াল অর্ডারে পড়তে হচ্ছে তাই আমাদের জন্য নিয়ম করা হল শুধু প্রেপ টাইমেই কালো প্যান্ট সাদা শার্ট পড়া যাবে কিন্তু প্রেপ থেকে আসার পর রুম থেকে বের হতে হলে ড্রেস চেঞ্জ করে বের হতে হবে। যাই হোক পরবর্তীতে আস্তে আস্তে নিয়মটা শিথিল হয়েছিল।
সিনিয়রিটির সাথে তাল মিলিয়ে বিভিন্ন ধরনের ক্রস ড্রেস পড়ার পারমিশন দেওয়া হত।যেমন ক্লাস এইটে ফুল প্যান্টের সাথে হাফ শার্ট পড়া যাবে কিন্তু পাঞ্জাবীর সাথে প্যান্ট পড়া যাবে না। ক্লাস নাইনে উঠলে অবশ্য যে কোন ধরনের ক্রস ড্রেস পড়া যেত কিন্তু সব ক্ষেত্রেই একটা নিয়ম প্রযোজ্য ছিল আর তা হল ক্লাস ইলেভেনে উঠার আগে পর্যন্ত ক্রস ড্রেস পড়ে কখনই সিনিয়র ব্লকে যাওয়া যাবে না।কোন সিনিয়র মিট করতে বললেও ক্রস ড্রেসে যাওয়া নিষেধ ছিল। এত এত নিষেধাজ্ঞা থাকায় ক্রস ড্রেস পড়ার পারমিশন পাওয়ার আনন্দটাও বেশি ছিল। মনে পড়ে যেদিন আমাদেরকে ক্রস ড্রেস পড়ার পারমিশন দেওয়া হল আমাদের এক বন্ধু ক্রস ড্রেস পড়েই সবাইকে সুখবরটা দিচ্ছিল।
আরেকটা বিষয় ছিল আর তা হল পাঞ্জাবীর হাতা ভাঁজ করে পড়ার ফ্রিনেস। আর সব ফ্রিনেস এর মত এটাও সিনিয়রিটি অনুযায়ী মেইনটেইন করা হত।ক্লাস এইটের পাঞ্জাবীর হাতা ভাঁজ করার স্বাধীনতা ছিল না। ক্লাস নাইন ও ক্লাস টেন কতটুকু হাতা ভাঁজ করতে পারবে তাও সুনির্দিষ্ট ছিল। আর সব ফ্রিনেস এর মত এই ফ্রিনেসও ক্লাস ইলেভেন টুয়েলভ এর জন্য ছিল উন্মুক্ত।
ক্রস ড্রেস নিয়ে শুরু করেছিলাম, শেষ করব ক্রস ড্রেস নিয়ে একটা ঘটনা দিয়ে।তখন আমরা ক্লাস নাইনে পড়ি। আমাদের এক বন্ধুর এলাকা থেকে এক জুনিয়র আসছে ক্লাস সেভেনে। একদিন ছুটিতে সেই বন্ধু গেছে জুনিয়র এর বাসায় দেখা করতে। আমাদের বন্ধুটি ড্রইং রুমে বসে আছে, পাশের রুম থেকে জুনিয়র আসতে ইতস্তত করছে। তো আমাদের বন্ধুটি জিজ্ঞেস করল “কি হয়েছে? কোন সমস্যা?” জুনিয়রের উত্তর “জী না ভাইয়া, ক্রস ড্রেসে আছি তো।”
=)) =)) =)) :pira:
চ্রম হইছে ভাই... লেখতে থাকেন হাত খুলে। প্রথম লেখার অভিনন্দন, আর নেন চা খান :teacup:
আরেক কাপ :teacup: রাখেন কিছুক্ষন পর সব সিনিয়র ভাইরা এসে আপনারে কি জানি জানি করবেতো...
যেমন রক্তের মধ্যে জন্ম নেয় সোনালি অসুখ-তারপর ফুটে ওঠে ত্বকে মাংসে বীভৎস ক্ষরতা।
জাতির শরীরে আজ তেম্নি দ্যাখো দুরারোগ্য ব্যাধি - ধর্মান্ধ পিশাচ আর পরকাল ব্যবসায়ি রূপে
- রুদ্র মুহম্মদ শহীদুল্লাহ
চা এর জন্য অনেক ধন্যবাদ। লেখার চেষ্টা অব্যাহত থাকবে।
:boss: :boss: অনেক ভালো লিখছেন :boss: :boss:
জাহিদ নিয়ম অনুযায়ী দশটা গড়াগড়ি পেড়ে নাও।
লেখা সুন্দর হয়েছে। (সম্পাদিত)
১০ টা :frontroll:
জাহিদ ভাই, ওই ঘটনা আমি দেখছি । আমাকে নিয়ে রিফাত ভাই গিয়েছিলেন হাবিবের বাসায়।হাবিব ভয় পেয়ে ফাটা বেলূনের মত হয়ে গেছিল ।
খুব ভাল লাগলো ভাইয়া 😀
অনেক ধন্যবাদ।
ভাল লিখেছো... চালিয়ে যাও 🙂
ক্লাস নাইন থেকে কি পাঞ্জাবীর সাথে হাফ প্যান্ট পরতে নাকি 😛
আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷
উপস... হাফ শার্ট পড়তে পড়তে পরেরটা হাফ প্যান্ট পড়ে ফেলেছি... দুঃখিত।
আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷
😉 😉 😉
"আমি খুব ভাল করে জানি, ব্যক্তিগত জীবনে আমার অহংকার করার মত কিছু নেই। কিন্তু আমার ভাষাটা নিয়ে তো আমি অহংকার করতেই পারি।"
কলেজে যারা তোমার মত doubt দিত তাদের আমরা ফ্লপার বলতাম।
সাবাস জাহিদ.........চালায় যা...। :thumbup: :thumbup: :thumbup:
কিন্তু গোলটা দিতে ভুইল না। :grr: :grr: :grr: :grr: :grr:
:frontroll:
moja pelam. amader collegeo silo, amra obossho cross dress boltam na.
nighty er sathe blue color er trsr porata silo elegance, seniorityr status. hahaha...
sorry for benglish..
আপনাদের মনে হয় অপশনই কম ছিল (সম্পাদিত)
দোস্ত দারুন হইছে, আর সিনিয়ররা কিছু বললে সোজা প্রিফেক্টকে(?) বলে দিবি 🙂
ডাইরেক্ট এ্যাডজুট্যান্টরে কইয়া দিমু।
:)) দারুন বারি ভাই
প্রথম ৭ দিনের টার্মে শুক্রবার বিকেলে ঘুমাচ্ছিলাম। ঘুম থেকে উঠে দেখি মাগরিবের নামাজের সময় হয়ে গেছে। তাড়াহুড়ো করে পাঞ্জাবী তা পরেই অজু করতে যাচ্ছি। পিছন থেকে ক্লাস XII এর এক ভাই ডেকে আরেক ভাই কে দেখিয়ে বললেন_"দ্যাখ, জুনিওর কি পরসে!!!"
পরে জানতে পারলাম ২য় ভাই টি তৎকালীন কলেজ প্রিফেক্ট!!! :bash:
ভাল হইসে লেখাটা... কলেজের ছোট ছোট ট্রেডিসন গুলো মনে করিয়ে দিলা...
Shabash Jahid ........chaliye jao .........
thanks dosto.....
vaia. Cross dress ekhono ace b8 prep time er pore kalo pant er freeness ekhon r nai.ekhon sobai kalo pant pore.
তাই নাকি? থাকারই কথা।
কলেজের এখনকার ট্রেডিশন গুলো নিয়ে লিখতে পারো।