আমার চুল কখনও চুল তার কবে কার টাইপ ছিলো না। তাই বলে সফদার ডাক্তার মাথা ভরা টাকতার ধরণের হয়ে যাব এ ধারণা আমার কস্মিনকালেও হয়নি। আশঙ্কা শুরু হলো ১৯৮৮ সালে। আমি তখন পাহাড়ে। দিন রাত পেট্রোলিং করি হেলমেটে মাথা ঢেকে। রুমে যখন ফিরি তখন হ্যারিকেনের আলোয় আয়না দেখা হয়না। একদিন সকালে কোন কাজ ছিলো না। রুপ চর্চা করতে গিয়ে আঁতকে উঠলাম। কপাল বড় হয়ে গেছে।
বিস্তারিত»অজানা পথে অচেনা সাথী, স্মৃতির আকরে আজো আছে গাঁথি……
চাকুরী জীবনে বহুবার বিদেশ ভ্রমণ করেছি, কখনো কর্তব্য পালন উপলক্ষে, কখনো বা কর্তব্য পালন শেষে বহির্বাংলাদেশ ছুটি নিয়ে আশে পাশের দুই একটি দেশ ঘুরে দেখেছি। পাশের দেশ ভারত থেকে শুরু করে পশ্চিমে মধ্যপ্রাচ্যের কয়েকটি দেশ, আর পূর্বে অস্ট্রেলিয়া ও দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার কয়েকটি দেশ আগেই দেখা ছিলো। অবসর গ্রহণের পর সস্ত্রীক ও সবান্ধব এক সপ্তাহ ধরে নেপাল ঘুরে এসেছি। তার পরের বছর ভাবলাম, বহুদিন ধরে আমেরিকা প্রবাসী আত্মীয় স্বজন ও কিছু অন্তরঙ্গ বন্ধুবান্ধব তাদের আতিথেয়তা গ্রহণের আমন্ত্রণ জানিয়ে আসছে।
বিস্তারিত»হারানো বন্ধুরা
মুনির
সে হাসতে জানতো। অমন প্রান ফাটানো হাসি সবাই পারে না। বিষেশ আমি ছেলেবেলা থেকেই ব্যজারমুখো। তাই ওকে কিছুটা হিংসাই হতো। নিতান্ত সহজ সরল ভালোমানুষ বন্ধুটি আমাদের, কলেজের সীমানা পেরোবার আগেই তার মা কে হারিয়েছিল। এরপর বিশ্ববিদ্যালয়ের পর্ব ও পেশাদারী জীবন, ঘরকন্না সংসার ইত্যদির ঘুর্নিপাকে আমরা অনেকেই ছিটকে গেছি। সবার সাথে আগের মতন যোগাযোগ নেই। মাঝে মধ্যে ওর খবর পাই। মেলাতে পারি না।
বিস্তারিত»প্রথম কান্না
ক্যাডেট ক্কলেজের প্রথম সপ্তাহ কাটলো ঘোরের মধ্যে। সবার ঘোর লাগা শুরু হয় মা বাবা চলে যাবার পর। আমার শুরু হাউসে পৌছানোর পরপরই।
ডরমিটরিতে বাক্সো রাখার প্রায় সাথে সাথেই একজন সিনিয়র ভাই ধরে নিয়ে গেলেন কমন রুমে। তাঁর উদ্দেশ্য সাড়ে বারো বছরের শিশুটিকে নিজের পায়ে দাঁড়াতে সাহয্য করা। তিনি আমাকে যখন ক্যারাম খেলা শেখাচ্ছেন, তার ফাকে কখন ঘন্টা পড়ে গেল জানিনা। খেলা শেষ করে রুমে ফিরে গিয়ে দেখি মা বাবা ফিরে গিয়েছেন।
বিস্তারিত»উনিশ’শ একাত্তর: এক শিশুর স্মৃতিচারনা
পচিশে মার্চের স্মৃতিচারনা করতে গিয়ে পাঠকের আগ্রহ দেখলাম শিশুর স্মৃতিচারনা শোনার।
এখানে সেরকম দুটো স্মৃতিচারনা সন্নিবেশিত করে দিচ্ছি।
এগুলো একসময় ফেবু-স্ট্যাটাস আকারে দিয়েছিলাম। ব্লগাকারে দিচ্ছি কারন তা অনেক বেশী সার্চ ও পাঠ-বান্ধব।
প্রথমটি – যা ২৩শে মে ২০১৩ তে লিখা (কিছুটা এডিট করে দিচ্ছি):
==============================
আজ সেই ২৩শে মে। একাত্তরের এইদিনে আমাদের গ্রামে একটি গনহত্যা হয়েছিল। আমরা তখন গ্রামের বাড়িতেই ছিলাম।
পচিশে মার্চের টুকরো স্মৃতি
একাত্তর সালের ২৫শে মার্চ রাতে ডিনার করে অন্য আর দশটা দিনের মতোই ঘুমিয়ে পড়েছিলাম। হঠাৎ কি একটা হৈ চৈ-এ জেগে উঠি। দেখলাম সাংঘাতিক কিছু একটা ঘটে যাচ্ছে। আমরা তখন আগামসিহ লেনে থাকি। আমাদের বাসার সব বাতি নিভিয়ে মাটিতে শুয়ে পড়ি। উত্তর দিক, যে দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, সেদিক থেকে ঘন ঘন গোলাগুলির শব্দ আসছিল। ঐ অবস্থায় কতক্ষন ছিলাম মনে নেই। হঠাৎ শুনলাম আগুন আগুন। দক্ষিন দিক,
বিস্তারিত»অজানা অদেখা কোন এক নাজমা বেগম এর সমাধিতে…

২০১৩ এর এপ্রিল থেকে জুন, বেড়াতে গিয়েছিলেম মার্কিণ মুলুকে। সফরের এক পর্যায়ে পাঁচ দিনের জন্য ফ্লোরিডার নেপলসে, এক বন্ধুর (Half JCC half MCC) বাড়ীতে উঠেছিলাম তার বহুদিনের বকেয়া আমন্ত্রণে সাড়া দিয়ে। সেখানে থাকতেই, ২৭ মে ২০১৩ তারিখে তার এক মিসরীয় বন্ধুর অকস্মাৎ মৃত্যুর খবর আসে। দাফন হবে ‘টাম্পা বে’ এর কাছে, ‘স্কাইওয়ে মেমোরিয়াল গার্ডেন্স’ এর এক সমাধিস্থলে, শ্যামলিমায় ঘেরা নীরব প্রান্তরে।
সেটা ছিল বন্ধুর বাড়ী থেকে প্রায় ঘন্টা তিনেকের ড্রাইভ।
বিস্তারিত»দিনলিপিঃ আলো’র বাড়ি যাবো
পশ্চিমে জন্মালে মিলি আপার নিজের টিভি শো থাকতো, একটা দুটো ম্যাগাজিন থাকতো ওপরাহ উইনফ্রির মতো, বাড়ীর পেছনে অর্গানিক ভেজি গার্ডেন থাকতো আর প্রতি বৃহস্পতিবার রেড বেল পেপার আর ব্রাসেলস স্প্রাউটের ঝুড়ি হাতে ফটো শুট করতেন তার ফেইসবুক ফ্যানদের জন্য! কিন্তু আপা পূর্বে জন্মেছেন যেখানে রান্নাবান্না করে ঠিক জাতে ওঠা যায়না, আর মনি কাঞ্চনের কথা নাইবা বললাম এখানে!
আগের দিনে পালকি পাঠিয়ে নাইওরী নিতো গ্রামের বাড়ি আর এখন কেউ ভালবাসলে নিজেই ঘন্টাখানিক ড্রাইভ করে এসে চ্যাংদোলা করে সাথে নিয়ে যান।
বিস্তারিত»দিনলিপিঃ গডের স্টেক
এক গেলাস জল গড়িয়ে খেতে হয় নাই দেশে অথচ এখানে জুতো সেলাই থেকে চণ্ডীপাঠ সবই নিজেকে করতে হয়। বাজার সরকার থেকে শোফার, রাঁধুনি থেকে কবি অথবা জেনেটর বলতে সবই আমি এই জগত সংসারে!
বড়দিনের ছুটি কাটাতে বড় আপার ফ্যামিলি আসবে আমাদের আটলান্টার বাড়ী তাই মা মেয়ের আনন্দ আর ধরে না। তারা আর আমি বসে বসে খাবারের মেন্যু বানাই। বড় আপা আমার তিন বছরের বড় হলেও আমার প্রতি তার আচার আচরণ আমার মায়ের চাইতে কোন অংশেই কম নয়।
বিস্তারিত»শেষ ক’টি মুহূর্তের অভিজিৎ
ধুয়ে মুছে তৈরি হয়েছে তলোয়ার
সেজেগুজে গুঁজে গেছে কোমরে —
চারপায়ে তখন খুরের ধ্বনি,
মোবাইল বেজে উঠেছে
দিক আর নির্দেশ নিয়ে;
কীবোর্ডে অগুনতি ফলোয়ার
চাপাতি-কোপ দেবার জন্যে
নিয়ে নিচ্ছে দম
কেবল বইমেলার ধুলো পেয়েছিল টের
সেকেন্ড আগে ঢের
ওদের পা জড়িয়ে ছিল
ইনিয়ে বিনিয়ে
চেয়েছিল
আরেকটু দেরি হোক
কুশলাদি আর অটোগ্রাফ চেয়ে
আরো আসুক লোক
আরেকটু আটকে থাক
অভিজিৎ আর বন্যা
অথচ ধুলোর চেয়ে বেশি কে জানে
তা তো হবার না
এমন কি বইগুলো সব
পাতায় পাতায় অস্থির খসখস
বারংবার,
তবু মনে পড়ে……।।
কষ্টগুলো, দুঃখগুলো ভুলে থাকতে চাই। সব সময়। তবু মনে পড়ে যায়।
২৫শে ফেব্রুয়ারী এলেই মনে পড়ে মেজর শাহনেওয়াজ ভাই আর মেজর আজিজুল হাকিম স্যারকে। পিলখানায় যাদেরকে বিনা অপরাধের খুন করা হয়েছে আরো পাঁচ ডজন অভাগা বীর সেনানীর সাথে।
আল্লাহর কাছে তাদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করি।
বিস্তারিত»শহীদ মেজর মাহবুব
বেদনার সব কথা মানুষ বলে না!
– আহসান কবির (১/১৭; বিসিসি)
প্রিয় মাহবুব
তুই পড়বিনা জানি,তবু এই চিঠিখানা পাঠিয়ে দিলাম!
ফেসবুক আর এসএমএসের যুগে আজকাল আর কেউ চিঠি লেখে নারে মাহবুব। তুই না ফেরার দেশে চলে যাবার মাসে(২৮ ফেব্রুয়ারি,২০০৯) আকাশের ঠিকানায় তোকে একটা দীর্ঘ চিঠি লিখেছিলাম। শপথ নিয়ে বলেছিলাম,মাহবুব তুই বিশ্বাস কর,আমি আর কখনো পিলখানা যাব না।
ইস্তানবুলের ডায়েরী………কিছু স্মৃতিচারণ
স্বপ্ন নাকি বাস্তবতা… নাকি দুটোই…অনেকের মত আমিও হাতড়ে বেড়াই এই প্রশ্নের না জানা উত্তরটি। হয়ত সেই অজানা উত্তরের আশায় হাতড়িয়ে বেড়াতেই কেটে গেছে সময়ের গর্ভ থেকে নামবিহীন ২ টি বছর। খুলে দেখা হয়নি সেই পুরনো ডায়েরীর মলাটখানা। হয়তবা তারই আবর্তে ঢাকা পড়ে গেছে সেই অভিজ্ঞতার পাতা গুলো, জীর্ণতা ছেয়ে বসেছে প্রতিটি কোণে। আজ হটাৎ করেই অজানা এক বাস্তবতার বুক চিরে আবারো সেই ডায়েরীর মলাটখানায় হাত রাখলাম।
বিস্তারিত»অন্তর যন্তর অথবা জাদুর শহর
অদ্ভুত জাদুগন্ধময় এক পরাবাস্তব উৎসব ছিল তার শৈশবের ঈদ।
স্কুল কমিটির ফান্ড ক্রাইসিস, বেতনের এরিয়ার আর সোনালী ব্যাংক এর চেক এর চক্কর কে আম্মা কেমন করে যেন চান রাতে বানিয়ে ফেলতেন চকচকে বাটার জুতো অথবা বাচ্চামিয়া কাপুড়িয়ার দোকান থেকে কেনা নতুন নতুন “বাশনা-আলা” শার্ট। ইব্রাহীম খাঁ এর পুটূ গল্পের মত প্রতি বছরই নিজের সন্তানতুল্য পোষা খাসি কুরবানী দিয়ে সারাদিন কাঁদতেন বড় মা।
কোন এক সোনার কাঠি রুপোর কাঠির বলে তার সাম্যবাদী বাবা আর ধর্মবাদী বড় চাচা খেতে বসতেন একসাথে ওই এক দিনই।
বিস্তারিত»স্বীকারোক্তি
ঘটনা ১৯৯৭ সালের,এসএসসি পরীক্ষা প্রায় শেষের দিকে। আমাদের সাইন্স পার্টির শুধু টিউটোরিয়াল বাকী আর আর্টস পার্টির একটা শেষ পরীক্ষা। যাই হোক এই পরীক্ষা শেষে আর্টস পার্টির ভিতর বিরাট হৈ চৈ ,মহা অসন্তোষ ইতিহাসের এক স্যারকে নিয়ে।স্যার এর সঠিক নামটা ঠিক মনে নাই কিন্তু আমরা সবাই বড়ভাইদের দেয়া টিজনাম টাং টাং হিসাবেই চিনতাম। স্যার ক্যাডেটদের পিছনে খুবই লেগে থাকা টাইপএর ,অসম্ভব রোগা আর কথা বলার সময় কাপতেন,
বিস্তারিত»