সনেটীয় ছড়া

”আকাশ নীল,বাতাস কালো
আমি শ্যামলা,লাগে ভালো
সবাই ফর্সা,হাতে বর্শা
খায় ভাত, সোনার পাত
পৃথিবী সুন্দর, খাঁচায় বান্দর
করে চেঁচামেচি,আমি কিডনী বেঁচি”

(আমার ব্যাচ এ আমার নিক নেম ছিল কিডনী 😕 ।এই নামকরণের পিছনের কাহিনীও মজার ।তো SSC এর আগে আমার কবি প্রতিভার উন্মেষ ঘটেছিল এবং আমিও মাইকেল মধূসুদন দত্ত কর্তৃক অণুপ্রাণিত হয়ে “সনেট” লেখার প্রচেষ্টা চালিয়েছিলাম :gulli2: ।এই সনেটের বৈশিষ্ট্য হচ্ছে কোন লাইনের সাথে কোন লাইনের মিল খুজতে যাওয়া যাবে না এবং কোন আগা মাথা নাই :chup: )

এরকম আরও একটি ছড়া—-

“আকাশে চাদ,বাতাসে কান্না
তাই আমি করেছি রান্না
ভুলে দিয়েছি চিনি,পাপুয়া নিউগিনি
খেল না তো কেউ,

বিস্তারিত»

বরাবর, অধ্যক্ষ, পাবনা ক্যাডেট কলেজ, পাবনা। (এপিসোড-২)

আগের পর্বের লেজ…

দুই।) ছুটি শেষে কলেজে ফিরলাম। দেখলাম কলেজে সাজ সাজ রব পড়ে গেছে। পাবনা ক্যাডেট কলেজের ইতিহাসে প্রথম আর্মির প্রিন্সিপাল আসছে, কি না জানি হয়। কলেজের বারবার চুল কেটে মাথার সাদা চামড়া বের করে দিল, স্টাফ সামনে দাড়াইয়া থেকে সবার চুল কাটাইতেছে, ব্যাগ একবার স্টাফ চেক করল একবার মকবুল স্যার(ভুগোল ডিপার্টমেন্ট) নিজে। নতুন প্রিন্সিপালের নাম লেঃকর্নেল রেজাউল করিম। মধ্য বয়স্ক স্মার্ট একজন মানুষ।

বিস্তারিত»

সততার পুরস্কার

…অনেক দিন ধরেই ভাবছি কি লেখা যায়,মন খারাপ হলে একা একা এখানে আসি আর সবার লেখা পড়ে চুপচাপ মন ভাল করে চলে যাই …লেখার হাত খুবই বাজে বলে লেখার কথা ভুলেও ভাবতে যাই না তবুও একবার লিখেছিলাম;এত ছোট হয়েছিল যে এডজুট্যান্ট সাহেব আমাকে এত ছোট ব্লগ না লেখার ব্যাপারে অনুরোধ করলেন ,আসলেই এত সুন্দর লেখাগুলোর মধ্যে এরকম বোরিং লেখা মানাবে না যাই হোক,একটা মজার ঘটনা শেয়ার করি…আমি তখন ক্লাস ১১ এ,JP শীপ দেয়া হয়ে গেছে.মোটামুটি শিওর কারা প্রিফেক্ট হতে যাচ্ছে।এরই মাঝে parents day আসল,তখন আবার আম-কাঁঠাল এর সময়।parents day তে যতটুকু সম্ভব দান মেরে এবার হাউসে নিয়ে আসলাম।কিন্তু স্যার এর কড়া আদেশ সব হাউস অফিসে জমা রাখতে হবে।কি আর করা,রেখেও আসলাম।Night prep এর পর house master sir শুনি আমাদের সবাই কে হাউস অফিসে ডেকেছেন।গিয়ে দেখি ২ টা ঝুড়িতে ২ টা বিশাল সাইজ এর কাঁঠাল।তার মধ্যে একটা আবার খাওয়া হয়ে গেছে।

বিস্তারিত»

হাওয়া বিষয়ক উপদেশ

ছেলেটির মনে হাওয়া লেগেছে, উপদেশ  –

হাওয়া-রে যখন কিনেছিস হাট হতে
ছাড়িসনা তারে তুই সস্তাতে
হাওয়া-রে তুই মন ভরে ভালবাসলে
সে তোরে ভরিয়ে দিবে সুদেআসলে …..।।

মেয়েটির মনে হাওয়া লেগেছে,উপদেশ–

হাওয়া-রে তুই লাগতে দিলি কেন-রে
জানিস তো, হাওয়া থাকে না কোন ঘরে
যদি পারিস, দরজার খিল দিস শক্ত করে
হাওয়া যেন দম বন্ধ হয়ে ভালবাসে তোরে…।।

বিস্তারিত»

অতসীদের বাসায় আরেকদিন

অতসীদের পরিবারের সাথে আমার সম্পর্কটা এখন বেশ সহজ। তার বাবা বাদে ফ্যামিলির সবাই আমার সম্পর্কে জানে। তবে তার বাবা জানলে আমার অবস্থা যে কি হবে, সেটা আল্লাহ ছাড়া কেউই জানে না। আমার নিজের উচ্চতা ছয় ফিট (গর্ব করতাছি না…), সেজন্য মনে হয় আমার থেকে কম উচ্চতার মানুষদের দেখে কখনও ভয় পাব না আমি। কিন্তু এই পাঁচ ফিট দশ ইঞ্চি মানুষটাকে দেখে কেন জানি আমার গলা শুকিয়ে যায়,

বিস্তারিত»

লোডশেডিং ও একটি ভূতের গল্প

প্রায় একমাস ছুটি কাটিয়ে কলেজে পৌঁছাবার পর রাতেরবেলা আমাদের গল্প যেন আর ফুরাতেই চাইতোনা! একেজনের পেটে কত কথা! কার চুল কতো সে.মি বড় হলো এই ব্যপারে নিরীক্ষামূলক প্রতিবেদন উপস্থাপন থেকে শুরু করে ছুটিতে টিভিতে দেখে আসা বিজ্ঞাপনের মডেলদের অঙ্গভঙ্গি অনুকরণ- নানারকম আলোচনায় গভীর রাত পর্যন্ত ব্যস্ত থাকি আমরা। সেবারও ব্যতিক্রম হয়নি, ব্যাগ থেকে জিনিসপত্র বের করে লকারে গুছিয়ে রাখতে রাখতে অনর্গল বকে যাচ্ছি। তখনই মৌসুমি ব্যাগ থেকে একটা কি যেন ক্রিমের টিউব বের করে আমাদের সবাইকে দেখিয়ে সেটার গুণকীর্তন করতে লাগলো,

বিস্তারিত»

“প্রভু, তুমি ওদের ক্ষমা করে দিও”!

পচন ধরে মাথা থেকেই। আমাদেরও পচন ধরেছে একেবার শীর্ষ থেকে।সমাজপতি অধিপতি যাদের কে বলে আর কি!

তারাও প্রায় পুরো মাথাই খুইতে বসেছে।আমেরিকা-কানাডা-ওস্ট্রেলিয়ায় মাথা বন্ধক রেখে, ধড় ফেলে রখেছে এদেশে। একমাত্র কাজ, যতটুকু হাতিয়ে নেয়া যায়।

আঁখেরের শান্তিতো ওই দেশেই, এখানে একটু কষ্ট করে রাস্তাঘাট গরম করা,কালো-ধলা বিড়াল খুঁজে বেড়ানো, বিশ-পঞ্চাশ হাজার টাকার মূলধনে একশ কোটি টাকার ব্যবসা ফাঁদা, ব্যাংক ম্যানেজার কে ম্যনেজ করে ভোল্ট হাতিয়ে নেয়া,

বিস্তারিত»

ক্যান্টিনে ডাকাতি

পেটেতে ডাকিছে মেঘ, ক্ষুধায় যে মরি,

খালি পেটে বসে আছি, নাহি ফুটাকড়ি। ~x(

যতটা কুপন ছিল,   সবই আজি শেষ হলো

কুপনের খোসা হাতে রইনু পড়ি-

খালি পেটে বসে আছি,নাহি ফুটাকড়ি। :no:

 

ডাইনিং এ রুটি দিলো, মুখে নাহি রুচে,

সব্বার মুখে মুখে গালাগালি ছুটে। 😡

প্রেপ শেষে রুমে এসে, 

বিস্তারিত»

ডেইলি প্যাসেঞ্জার- পর্ব ২

শাহবাগের শিশু পার্কের সামনে হইতে ন্যাদা সাইজের দুই পিচ্চি, তাহাদের মাতা সহ বিশাল গুম্ফ বিশিষ্ট এক ভদ্রলোক তড়িঘড়ি করিয়া বাসে উঠিলেন। বলাই বাহুল্য, উনিই বিচ্ছু ( সম্ভবত জমজ) শিশুদ্বয়ের পিতা। ভদ্রলোক যতই গাম্ভীর্য বজায় রাখার চেষ্টা করিতেছিলেন , শিশুদ্বয় তাহার ঢোলকের ন্যায় ভুঁড়িতে সুড়সুড়ি আর গুম্ফ ধরিয়া টানাটানিতে তাহাকে ব্যতিব্যস্ত করিয়া তুলিতেছিল।  তাহাদের মাতা বার দুয়েক বালকগণ কে মৃদু তিরস্কার করিয়াছিলেন বটে কিন্তু শিশুগণ বড়ই বেহায়া। 

বিস্তারিত»

হাতি ও পিঁপড়া কৌতুক সমগ্র

এক্সক্যাডেট ফোরামে শরীফ ভাই এর দেয়া হাতি পিঁপড়া জোকস দেয়ার পর অনেক গুলো কমেন্টে আরো কিছু জোকস উঠে এল। সব গুলোর একটা কালেকশান করে ফেললাম। যদিও অধিকাংশ অনেকের ই জানা। তবুও নতুন ফ্লেভারে পুরাতন জোকস

হাতি আর পিপড়া প্রেম কইরা ধরা খাইছে।
পিপড়ার মা : তোর এত বড় সাহস তুই আমার
মেয়ে হইয়া হাতির লগে প্রেম করোস? আজ
থেকে হাতির সাথে তোর যোগাযোগ বন্ধ
পিঁপড়া: (কাঁদো কাঁদো কন্ঠে) তা হয়না মা আমার
পেটে হাতির বাচ্চা.

বিস্তারিত»

একটি ছারপোকার আত্মকাহিনী

এই ছারপোকা কলোনির সবচেয়ে দুঃখী মেয়ে আমি। অথচ একসময় কি সুখময় ছিল আমার জীবন!ছোটবেলা থেকেই আমি একটু দস্যি টাইপের ছিলাম। দিনরাত সঙ্গী সাথিদের নিয়ে বাঁদরামি করে বেড়াতাম আমি। আমাদের কলোনির পাশে যে মনুষ্য দৈত্যের বাস সে ছিল নিতান্ত নিরীহ ও অলস প্রকৃতির। সে আমাদের তেমন একটা ঘাটাতো না। রাতের বেলায় দলবেঁধে রক্ত খেতে বেড়াতাম আমরা। কখনো পায়ের আঙ্গুল, কখনো পায়ের পাতা সব জায়গা চষে বেড়াতাম আমরা।

বিস্তারিত»

বরাবর,অধ্যক্ষ, পাবনা ক্যাডেট কলেজ, পাবনা।

জীবনে যে কতবার লিখছি এই কথাটা তা গুনে শেষ হবে না। তো যাদের কাছে  এতগুলা চিঠি লিখলাম তাদের নিয়ে লিখতে বসছি আজ। আমার জীবন কালে আমি সাড়ে তিন জন  প্রিন্সিপাল পাইছিলাম।

এক.)  মাহবুবুর রহমান ফারুক স্যারকে পাইলাম গিয়া সেভেনে। তখন ক্লাশ এইটের ঠেলাতেই জানডা আলজ্বিভ ধরে ঝুলত, কখন জানি বাইর হইয়া যায় অবস্থা। প্রিন্সিপাল তো ভিন গ্রহের কথা। তখন মনে করতাম হাউস মাস্টারই সবকিছু কলেজের।

বিস্তারিত»

আসুন ইংরেজী শিখি: ZU মেথড

ছোট্ট একটা গল্প দিয়ে শুরু করি। কয়েক বছর আগের ঘটনা। জনৈক স্যার ক্লাস নিচ্ছেন। হঠাত্‍ করে পিয়ন এসে খবর দিল,স্যার আপনার ছেলে হয়েছে। স্যার তখন চরম উত্তেজনা আর আবেগের বশে বলেই ফেললেন, আলহামদুলিল্লাহ। credit goes to all the cadetz… :khekz: :khekz:

ক্লাসে তুমুল হাসির ঝড় বয়ে যাওয়ার পর একজন ক্যাডেট বলল, স্যার খাওয়াবেননা? স্যার তখন আরেকদফা তাঁর বিখ্যাত ইংরেজী ভাষায় বলল, ok ok,

বিস্তারিত»

আমি,ফেসবুক ও আমার ফেক আইডি

তখন ২০০৮ সাল। ইন্টার পরীক্ষা শেষ হইল কয়েকদিন আগে। সুকান্তের সেই বিখ্যাত ১৮ বছরে পদার্পণ করার পর থেকেই যত আজাইরা চিন্তা ভাবনা ঘুরে মনের মধ্যে।আর পড়ালেখা শিকেয় তুলে সব আজাইরা কাজ কাম বাস্তবায়ন করার ইন্ধন যোগাতে সেই সময় এগিয়ে এল ফেসবুক। কোন এক কুদিনে খুলে ফেললাম একটা ফেসবুক একাউন্ট। আগে ইয়াহু মেসেঞ্জারে টুকটাক চ্যাটিং করতাম। “হাই, হ্যালো? এ এস এল প্লিজ?মেল? ওকে, থ্যাঙ্ক ইউ,বাই” টাইপ।

বিস্তারিত»

আমাদের “সত্য” স্যার

“তারপর কী হল শোন, সেই ক্যাডেটকে খুঁজে পাওয়া গেল টয়লেটের মধ্যে । হাতে হুমায়ূন আহমেদ এর বই। ভাঙা দরজার সামনে যখন প্রিন্সিপাল দাঁড়িয়ে আছে তখনো তার চেতন নেই। এঁকেই বলে বইয়ের পোকা। ভাঁবা যায় টানা তিন দিন একটা ক্যাডেট বই পড়ে টয়লেটে কাঁটিয়ে দিয়েছে।” সত্য স্যারের গল্প শুনে কেউ অবাক হলনা। কারন মোটামুটি সবাই জানে স্যারের কথার অধিকাংশই মিথ্যে। ক্যাডেট কলেজের ভাষায় যার নাম গুল।

বিস্তারিত»