আজ যে ঘটনাটি বলব তার ঘটনকাল ২০০৯ এর ফার্স্ট টার্মে, এপ্রিলের ১ তারিখ। আমরা ক্লাস নাইনে। তখন কলেজে চলছে “১০,০০০ যুগ”। ১০,০০০ যুগ বলার কারন, তখন ১০,০০০ টাকা জরিমানা খাওয়া ইডি খাওয়ার চেয়েও সহজ। ঠিক এমনই দিনে লাঞ্চের পর মাত্র হাউসে এসেছি। ঠিক তখন তৎকালীন জুনিয়র প্রিফেক্ট মাকসুদ ভাই (ছদ্মনাম) রুমে এলেন। ভাবলাম হয়ত রুম চেকিংয়ে এসেছেন। তড়িঘড়ি করে প্লেস গোছাতে শুরু করলাম। কিন্তু উনি চেকিং না করে বললেন,
বিস্তারিত»শাকুর ভাই এবং আমি
২০০৮ সালে আমি যখন ক্লাস এইটে, তখন আমাদের কলেজের সুবর্ণ জয়ন্তী পালন করা হয়। কলেজের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী ২৮ এপ্রিল হলেও কোন এক কারনে সুবর্ণ জয়ন্তী পরে পালন করা হয়। দুর্ভাগ্যবশত সে সময় আমিও কলেজ হাসপাতালে ভর্তি ছিলাম। পায়ে সমস্যা থাকায় আমাকে অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের অনুমতি দেয়া হয়নি। তবুও রাতে কনসার্টে যেতে পেরেছিলাম।
যদিও তারিখটা মনে নেই, দিনটি ছিল শুক্রবার। যেহেতু অনেক এক্স-ক্যাডেট আসবেন, আগের দিন প্রিন্সিপাল ইন্সপেকশন ছিল।
বিস্তারিত»ভ্রমণ বিড়ম্বনা……
(প্রত্যেকবার যখন ট্রেনে বা বাসে বড় কোন জার্নিতে যাই তখন ভাবি অনেক কিছু। কিন্তু বাস্তবে হয় তার পুরো উল্টো। অনেকবার নানা রকমের অভিজ্ঞতা হয়েছে। সেই গুলোই এখানে বলার চেষ্টা করলাম। )
কল্পনায়-
যাবো ট্রেনে বসবে পাশে, অচেনা এক মেয়ে;
সুন্দরী হবে খুব-দেখবো চেয়ে চেয়ে।
কথা হবে, হাসি হবে,হবে পরিচয়।
বিদায়ের আগে হবে নাম্বার বিনিময়।
অতঃপর দেখা হবে, প্রেম হবে এবার।
ইয়াবা আছে, ইয়াবা???
অনিঃ দোস্ত, তোদের কারো কাছে ইয়াবা আছে?
- অনন্তঃ ক্যান কোন মাইয়ারে খাওয়াবি?
-
অনিঃ ইয়াবা কি শুধু মাইয়ারা খায়?
-
অনিঃ টাইগারে সেক্স নাই দোস্ত।
-
অনন্তঃ তা না, কিন্তু আগেই যদি খাওয়াইতে পারিস তাইলে পটাইতে সুবিধা হবে। ভাবলাম এই প্রজেক্ট হাতে নিসিস মনে হয়।
-
অনিঃ তুই কি ইয়াবা খাওয়ায় পটাইছিলি?
ক্যাডেট কলেজ কড়চা-২
২০০২ থেকে ২০০৮।আমার ক্যাডেট লাইফ।ভালোয় মন্দে মিশিয়ে কেটেছে জীবনের সবচেয়ে রোমাঞ্চকর এই ছয়টি বছর।যেকোন ক্যাডেটের এই ছয়টি বছর কাটে অনেক ঘটনাবহুল।আমিও ব্যাতিক্রম না,মাঝে মাঝে মনে হয় আমার ক্যাডেট লাইফ একটু বেশিই উরা-ধুরা।কলেজের গল্প করতে কার না ভালো লাগে?ছয় বছরের ছোট ছোট ঘটনা নিয়ে আমার এই সিরিজ ‘ক্যাডেট কলেজ কড়চা’।আগেই বলে নেই ঘটনাগুলো ক্রমানুসারে সাজানো নয়।যেটা আগে মনে আসবে সেটাই লিখবো আগে।
(ডিসক্লেইমারঃধূমপান ক্যানসার সহ নানা প্রকারের দুরারোগ্য ব্যাধির কারণ হতে পারে)
বয়স তখন ১৩ কি ১৪।ক্লাস এইটের কোন এক ছুটি।দুই দুষ্টু (ক্যাডেট)বন্ধুর প্ররোচনায় সিগারেটে হাতেখড়ি।আমার ভাব তখন দেখে কে?২ দিনে মনে হলো অনেক বড় হয়ে গেছি।অসম্ভব(!)স্মার্ট লাগতে লাগলো নিজেকে।তার উপর বিলবোর্ডে নেভির প্যাকেট সামনে রেখে জাহিদ হাসানের ছবি,লেখা “শেষ পর্যন্ত সিগারেটটা ধরেই ফেললাম”।ভ্যাকেশনে লুকিয়ে লুকিয়ে সিগারেট খেতাম বাথরুমে,অনেক রাতে সবাই ঘুমিয়ে পড়লে।মাঝে মাঝে মিসটাইমিং হয়ে যেত।আম্মা বলতো রাতদুপুরে নাকি বিড়ির গন্ধ পায়।নানী এগিয়ে আসতো আমাকে বাঁচাতে,বলতো পাশের বাসার আঙ্কেল রাতে বিড়ি খায়।
বিস্তারিত»গোলাম আজমের এসি চাই।
একজন আলেম বুজুর্গ ব্যক্তিকে ৯০বছরের জেল !!! আল্লাহর লানত পরবে। গজব আসবে, গজব। অতিশয় বৃদ্ধ, অসুস্থ, মৃতপ্রায় একজন আলেম মানুষের ওপর বড় জুলুম !!! আল্লাহ আমাদের এই অন্যায় থেকে রক্ষা করুন।
মানলাম আদালতে ওনার শাস্তি হইছে ৯০ বছরের জেল। সরকারের হয়ত কিছুই করার নাই, সবই আদালতের রায়। তাই বলে উনার জন্য তো সরকার এই ৯০বছর সামান্য আরাম আয়েসের ব্যবস্থা করতে পারে। পিজি তে ওনাকে এটাচ বাথ ওয়ালা কেবিন দেয়া হয়েছে এজন্য ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছি সরকারের প্রতি।
বিস্তারিত»বনলতার চুলঃএকটি কনফেশন!!!
কয়দিন আগে ডক্টর’স ক্লাবে লাঞ্চ পূর্ববর্তী বিনোদন হিসেবে ক্যারম খেলতেছি! লাঞ্চের জন্য প্রচুর ডাক্তারদের আনাগোনা। অধিকাংশই সিনিয়র,ডাক্তার।দু একজন স্টুডেন্টস দের মধ্যে আমি একজন।
আমার চেয়ে ১৮ বছরের একজন এবং ১৩ বছরের একজন সিনিয়র এসে ক্যারম বোর্ডের পাশে দাঁড়ালেন। কথাবার্তায় বোঝা গেল পোস্ট গ্য্রাজুয়েশন লাইব্রেরি থেকে সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত MBBS পরবর্তী উচ্চতর ডিগ্রী অর্জনের প্রস্তুতি হিসেবে একটানা পড়ালেখা করে লাঞ্চ ব্রেক এ আসছেন উনারা!
যে কবিতার লাইন গুলো আমি কখনো ভুলবো না !
কবিদের প্রতি আমার অনুভূতি সবসময়ই খানিকটা ঈর্ষা মেশানো সম্মানের। তাদের প্রতিভায় অবাক হই বারবার। রবীন্দ্রনাথ, জীবনানন্দ,নির্মলেন্দু গুণ,সুনীল কিংবা সিসিবি র নূপুর দা সবার প্রতি একধরনের ঈর্ষা কাজ করে। তাদের কবিতা পড়ি আর মনে মনে বলি কিভাবে পারেন? আমি আমার ক্যাডেট লাইফে একজন কবি র পরিচয় পেয়েছিলাম। তিনি কলেজের ই একজন শিক্ষক ছিলেন।। সঙ্গত কারনেই নাম টা বলছি না। স্যার , বিভিন্ন অকেশনে কবিতা লিখতেন ও আবৃত্তি করতেন।
বিস্তারিত»ডাল সমাচার
ঘটনা ১ : ডিনার এ গেলাম ডাইনিং এ। দুপুরে ইউএস গভর্নমেন্ট এক্সাম ছিল। পরীক্ষা থাকলে যা হয় আরকি ! পেটের ভেতর অদ্ভুত কিছু আওয়াজ হচ্ছিল। খাওয়া দাওয়ার রুচি কমে গিয়েছিল ভয় এর চোটে! তাই পরীক্ষার এই সীমাহীন টেনশনে লাঞ্চ ই করা হয় নাই ! সো ডিনারের সময় বিশাল ক্ষুধার্ত অবস্থায় টেবিল আসলাম। টেবিলে বসে দেখি একটা স্পেশাল টাইপের সুপ সার্ভ করা। আমার স্কোয়াড লিডার আমাকে বললো ওটা টেস্ট করতে।
বিস্তারিত»লুঙ্গি ফ্যান্টাস্টিক!
প্রথমেই সবাইকে ধন্যবাদ দিচ্ছি আমার আগের পোষ্ট টায় উৎসাহ দেয়ার জন্য। আপনাদের অনুপ্রেরণায় অনুপ্রাণিত হয়ে আবার লিখার সাহস করলাম।
আজকের পোষ্টটা আমাদের এক সিনিয়র এর কাছে শোনা । নাম জিজ্ঞেস করলেও বলবোনা , কারণ মাইর খাওয়ার চান্স আছে 😛 । আগে শানে নুজুল বলে নেই । তখন আমরা ক্লাস ৯ এ। লাইটস অফ এর পর ডিউটি মাষ্টার রাউন্ড দিয়ে গেলেন । আর তারপর আমাদের ক্যাডেট দের দিন শুরু হলো ( আই মিন রুম এর লাস্ট বেড এ গিয়ে আড্ডা ) 😛 ।
বিস্তারিত»বড়দের গল্প
কয়ডা ঘটনা লখতে মন চাইল হঠাৎ। এগুলা বড় ভাইয়াদের মুখে শোনা গল্প।
১) ডাক্তার আতিক ভাই, একবার ওনাদের ক্লাস হচ্ছে মেডিকেলের। সেদিন পড়ানো হচ্ছিল পুরুষের স্থায়ী জন্ম বিরতিকরন পদ্ধতির ওপর। এই পদ্ধতিতে নাকি ছোট একটা অপারেশন করে একবার প্রডাকশন অফ করে আবার ইচ্ছাকরলে পরে আরেকটা অপারেশন করে চালু করা যায়। তো পড়ানোর সময় এ বিষয়ে বলতে বলতে, টিচার এটাও বলছিল যে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রনের জন্য বাংলাদেশ সরকার এই পদ্ধতিকে উৎসাহিত করতে,সরকারী সাস্থ্যকেন্দ্র কেও এই পদ্ধতি গ্রহন করলেতাকে একটা ছাতা আর ২০০টাকা দেয়।
বিস্তারিত»চাপাবাজী!!
কয়েকদিন ধরেই নাফিস(০৪-১০) ব্যাচ এর গ্রুপ এ বলছিলো সিসিবি তে আয়,সিসিবি তে আয়। কিন্তু কি লিখবো আইডিয়ার অভাবে আর লিখা হয় না। তো গতকাল আড্ডা মারার সময় কথায় কথায় মুয়াম্মার বললো যে আমি নাকি কলেজে চাপা মারতাম না। মির্জাপুরিয়ান দের ভাষায় যাকে “গ্যাজ” বলা হয় ।কথাটা গায়ে লাগলো। ক্যাডেট আবার চাপা মারে না কিভাবে?? তাই আজকে একটি ঘটনা শেয়ার করছি ।
ঘটনা কোনো এক প্যারেন্টস ডে’র ।
বিস্তারিত»মেমোরি কার্ড
একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণীর সবাই একাডেমির ওয়াশরুমকেই নিজেদের আড্ডাখানা মনে করতো। বোরিং মফিজ স্যারের ক্লাস কিংবা জহির স্যারের গাইড দেখে দেখে ম্যাথ করানোর টাইমটাতে ওয়াশরুমে আড্ডা কিংবা ফোনে গান শুনাটা সিনিয়র ক্যাডেটদের নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপার ছিলো। তাছাড়া ল্যাব পিরিয়ডে এবং প্রেপ টাইমেও ক্যাডেটদের বিনোদোন খুঁজে নেওয়ার একমাত্র স্থান ওই ওয়াশরুম। ফোনে গান শোনা কিংবা ফেসবুক গুতানোর জন্যে ওই জায়গাটা তুলনামূলকভাবে অনেক নিরাপদ। আমাদের একাডেমিতে সিনিয়র ব্লকে চার টা টয়লেটের মাঝে চার নাম্বার টয়লেটে কেউ কাজ সারতো না।
বিস্তারিত»আমার ব্যাচমেট দের জানাই ঈদ মোবারক
নতুন জুতা (সাদা ও কালো), নতুন স্যান্ডেল(চামড়ার ও স্পঞ্জ), জুতার কালি(সাদা ও কালো), জুতার ব্রাশ…। লিস্টে এগুলা দেখে আমি ভাবতেছিলাম পড়তে যাচ্ছি নাকি জুতা পালিশ করা শিখতে আল্লাহই জানে। সুঁই থেকে শুরু করে আন্ডারওয়ার সব কিছু নতুন নিয়ে ২০ইঞ্চি ট্রাভেলীং ব্যাগের ওজন প্রায় এক মণের কিছু বেশী বানিয়ে ১৯৯৮ সালের এই দিনে বিকেল বেলা স্বেচ্ছায় গিয়ে জেল খানায় ঢুকলাম। ঐ দিন এই সময়ে (দুপুর বেলা) পাবনা শহরে বসে বিরীয়ানী খাচ্ছিলাম আর বাপের দিকে তাকাইয়া তাকাইয়া ভাবতেছিলাম একটা লোক কতখানি হারামী হলে নিজের এতটুকুন নিস্পাপ ছেলেকে এরকম করে বাসা থেকে দূরে পাঠিয়ে দিতে পারে।
বিস্তারিত»কিছু কৈশোর… (৩য় খন্ড)
(শিরোনামটি আমার সবচেয়ে প্রিয় লেখক হুমায়ুন আহমেদ’র একটি আত্মজৈবনিক গন্থ হতে অনুপ্রাণিত)
ক্যাডেট কলেজের শিক্ষা বা পুরো ব্যাবস্থাটা বাইরে থেকে অনেক আলাদা। কোন সন্দেহ নাই। একটা স্কুল বা কলেজের যে সকল কর্মকান্ড বাইরেও হয় সেগুলোও ক্যাডেট কলেজে একটু অন্যভাবে হয়। তবে কিছু আছে যেগুলো খালি ক্যাডেট কলেজেই সম্ভব। এমন একটা জিনিস ছিলো কারেন্ট এফেয়ার্স ডিসপ্লে বা চলতি ঘটনা প্রদর্শনী। সব কলেজেই এই প্রতিযোগীতাটা হতো।
বিস্তারিত»