কিছু কৈশোর… (৩য় খন্ড)

(শিরোনামটি আমার সবচেয়ে প্রিয় লেখক হুমায়ুন আহমেদ’র একটি আত্মজৈবনিক গন্থ হতে অনুপ্রাণিত)

 

ক্যাডেট কলেজের শিক্ষা বা পুরো ব্যাবস্থাটা বাইরে থেকে অনেক আলাদা। কোন সন্দেহ নাই। একটা স্কুল বা কলেজের যে সকল কর্মকান্ড বাইরেও হয় সেগুলোও ক্যাডেট কলেজে একটু অন্যভাবে হয়। তবে কিছু আছে যেগুলো খালি ক্যাডেট কলেজেই সম্ভব। এমন একটা জিনিস ছিলো কারেন্ট এফেয়ার্স ডিসপ্লে বা চলতি ঘটনা প্রদর্শনী। সব কলেজেই এই প্রতিযোগীতাটা হতো।

বিস্তারিত»

নূতন বছরের স্বপ্ন

অনেকক্ষন ধরেই মুঠোফোন বাজছে। খালেদা জিয়া কিছুটা বিরক্ত। এই অবেলায় কারো
ফোন দেয়ার কথা নয়। তিনি বিরক্ত ভাব নিয়ে মুঠোফোন হাতে নিলেন।স্ক্রীনে শেখ
হাসিনা কলিং ভেসে ওঠায় কিছুটা অবাক হলেন। এই অসময়ে তাঁর ফোন দেয়ার কথা
নয়। তাছাড়া আজ বছরের প্রথম দিন। বছরের প্রথম দিন প্রধান মন্ত্রী দেশের
প্রধান প্রধান সমস্যা নিয়ে দেশের প্রধান ব্যক্তিবর্গদের সাথে আলাপ করবেন
এটাই স্বাভাবিক।

বিস্তারিত»

পুরনো জোক, না হাসলে আমি দায়ী নই

একবার এক লোক একটা উড়ন্ত হাঁস শিকার করল। গুলি খেয়ে হাঁসটি একটা ক্ষেতের উপর পড়ল।

 

লোকটি বেড়া টপকে ক্ষেতে ঢুকতে গেলে ক্ষেতের বৃদ্ধ মালিক তাকে আটকালেন। “আমার জমিতে ঢোকা যাবে না। আমার জমিতে কিছু পড়লে সেটা আমার।” বললেন তিনি।

 

লোকটি বলল, “আমি এ দেশের সবচেয়ে বড় উকিল। আমি তোমার বিরুদ্ধে মামলা করব। তারপর দেখবে হাঁস আমার নাকি তোমার।”

বিস্তারিত»

হঠাৎ দেখা

প্রিজনের ভ্যানে হঠাৎ দেখা
ভাবিনি সম্ভব হবে কোনদিন।

ওয়াজে ওকে বারবার দেখেছি
লালরঙের দাড়িতে
মেন্দির রঙে রাঙা
আজ পরেছে যমটুপি
ফাঁস এটেছে গলায়
কাঁঠালপাতার কচি ঘ্রাণ সারা মুখটি ঘিরে
মনে হলো, কালো রঙের একটা গভীর কুয়োয়
নেয়া হচ্ছে ওকে,
যে কুয়োর পাড়ে মঞ্চ অপেক্ষমান,
রজ্জু দোলে হাওয়ায়
চমকে গেলো আমার ভেতরটা;
চেনা পাঁঠাকে শুঁকলুম আনকোরা বোঁটকা গন্ধে।

বিস্তারিত»

ডায়েরি প্রেমী শিক্ষক ও কতিপয় ক্যাডেট

কলেজে নতুন টিচার এসেছেন । তিনি নাকি আবার কোন কলেজের প্রাক্তন প্রিন্সিপল স্যারের পুত্র। এসব নিয়ে কারো মাথা ব্যাথা ছিলোনা। কিন্তুু মাথাব্যথা বেড়ে গেলো যখন জানা গেলো স্যারের অভ্যাস ক্যাডেটদের ডায়েরি পড়া। একে তো ব্যক্তিগত ডায়েরি, তার উপর ক্যাডেটের ডায়েরি, সেটাও আবার সিভিলিয়ান হয়ে! পুরো কলেজের মাথায় আগুন ধরে গেলো। শিক্ষা দিতে হবে উনাকে!

প্রথম পরিকল্পনা, ক্লাসের যে পার্টি ডায়েরি লিখত,তারা ডায়েরি আনা বন্ধ করে দিল প্রেপ টাইমে।

বিস্তারিত»

“Eating Haram Getting Fat”

ফেসবুকের এক্স-ক্যাডেট ফোরামে Megamind Habib এর দেয়া পোস্ট টা ছিল

{ “যে ছেলের হাতের লেখা খারাপ তার চরিত্র খারাপ আর যে ছেলে বাংলা বানান জানেনা তার রক্তে বিষ! ” – কিরণ কুমার মণ্ডল স্যার ! 😀 😀 😀 }

তার নিচে সবার কমেন্টস থেকে কয়েকটা ঘটনা এক করে একটা পোস্ট বানাইয়া ফেলসি। যে যেটা লিখছে নাম সহ দিয়া দিছি।

বিস্তারিত»

গাজর কিংবা গান

গাজর

পরীক্ষা উপলক্ষে রাত জেগে পড়লে ঘুম পাক আর নাই পাক, ক্ষুধা লাগবেই। এই ফেনোমেনোনের ব্যতিক্রম এখন পর্যন্ত কাউকে দেখিনি। আমার বাবাও তার ছেলের প্রচণ্ড রাতের গভীর ক্ষুধার কথা জানেন। তাই সম্প্রতি ছোটমামা মারফত কিছু টাকা পাঠিয়েছেন। বলেছেন, ফল ফ্রুট কিনে নিও। বাধ্য সন্তানের মতো আজ বিকেলে গেলাম বাজারে। কিনে আনলাম ১ কেজি গাজর। কেন?

১) আমি কাঁচা গাজর ধুয়ে কচকচ করে চিবিয়ে খাই।

বিস্তারিত»

গিট্টু

জুম্মার নামাজে হুজুরের খুত্‍বা শেষ হবার পর সবাই নামাজ পড়তে উঠে দাঁড়াবার সময় পত পত করে একটা শব্দ হল। দু থেকে তিনজন গড়িয়ে পড়ল। তাত্‍ক্ষানিক বেগ সামলাতে প্রিন্সিপাল স্যার কমান্ড দিলেন,হোয়াট ইজ হ্যাপেনিং? স্যারের উত্তর পেতে অপেক্ষা করতে হলোনা। ততক্ষনে সবাই বুঝে গেছে পাঁচ থেকে ছয়জনের পাঞ্জাবীতে সিরিয়াললি গিট্টু মারা হয়েছে। গিট্টুটা এমন ভাবে মারা হয়েছে যে একজনের পাঞ্জাবীর সাথে আর একজনের পাঞ্জাবী সংযোগ হয়ে গেছে।

বিস্তারিত»

ঘটনাবলী-১

বিঃদ্রঃ নিচের প্রতিটি ঘটনার সকল চরিত্র বাস্তব এবং ঘটনা গুলো সত্য। এই ঐতিহাসিক ঘটনা গুলোর বর্ননা শুধু আমার। তাই ঘটনা গুলোর দায়িত্ব নিতে আমি অস্বীকৃতি জানাচ্ছি। শুধু বর্ননার হেরফেরের দায়িত্বটুকু আমার।

ছেলেপেলের কামকাজতো কিছু হয় না খালি অকাম কইরা বেড়ায়, কয়ডা অকামের কাহিনী কই,

১) আমার বাসায় কিছু পোলাপাইন আসছে। সবাই আমার ব্যাচের ক্যাডেট। তো আমাদের তানজিল যখন আমার বাসায় পৌছাইছে যে সময় আমার বাপ আমাদের বর্তমান কাম-কাজ ও আমাদের ভবিষ্যত নিয়ে বিশদ জ্ঞান দিচ্ছিল।

বিস্তারিত»

হ্যালো, স্লামলিকুম! দৈনিক উন্মাদ থেকে বলছিলাম।

Prank – শব্দটির সাথে পরিচয় ছিলোনা সে সময়। কিন্তু এর পিছনে সময় না দেওয়াটা অসম্ভব একটা ব্যাপার ছিলো। কিন্তূু আমি ছিলাম নেহাতেই চুনোপুটি। এ লাইনে পি এইচ ডি করা বড় বড় ওস্তাদ লোকজনের অভাব ছিলোনা। এরকম একজন ছিলো মোতাকাব্বের ওরফে মোবারক।

উচ্চ মাধ্যমিক পরিক্ষার রেজাল্ট দিছে সেদিন। পরিক্ষায় সেই রকম ডাইল মারছি। উচ্চ মাধ্যমিক ও মাধ্যমিক পরিক্ষার নম্বরের পার্থক্য হোলো ১৭২ নম্বর। সূতরাং ১ ঘন্টার মধ্যে বাপের প্যাদানির ভয়ে এক বস্ত্রে বাসা ছাড়লাম।

বিস্তারিত»

“হোয়ার কেইম, বিহাইন্ড কেইম”

আমরা যখন ক্লাস টেনে পড়ি (১৯৯৪) তখন হঠাত ক্যাডেট কলেজ গভর্নিং কাউন্সিল হতে নির্দেশনা এলো এখন হতে সব ক্যাডেট কলেজে ইংরেজি কথোপকথন চালু করতে হবে৷ কিছু শিক্ষক এটাকে তাঁদের ইংরেজি জ্ঞান প্রদর্শনের উত্তম সুযোগ হিসাবে গ্রহণ করলেন এবং সর্বত্র ইংরেজি প্রয়োগ করতে লাগলেন৷ এর এক একটির নমুনা ছিল আরেকটির চাইতে সাংঘাতিক৷ আজ একটির কথা হঠাত মনে পড়ে গেল৷ তাই লিখতে বসা৷

FCC তে লান্চের শেষে সিনিয়র ক্যাডেটদের কল্যানে ডাইনিং হলে মাঝে মাঝেই তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের একটা মহড়া শুরু হয়ে যেত যেখানে মূল ক্ষেপনাস্ত্র হিসাবে ব্যবহৃত হত কলার খোসা,

বিস্তারিত»

দ্য ব্রিজ অন দ্য রিভার পদ্মা

কিছু করার নাই। মানিক বন্দোপাধ্যায় সেই কবে পদ্মা নদীর মাঝি লিখেছিলেন। উপন্যাসের নায়ক বা ভিলেন যাই বলেন, তার নাম হোসেন মিয়া। সেই থেকে পদ্মা নদী নিয়ে সব গল্পের নায়কের নামই হোসেন মিয়া। তবে খানিকটা আধুনিকতা দিতে এই গল্পের নায়ক হোসেনের নামের শেষে মিয়া না লিখে নামের শুরুতেই সৈয়দ লেখা যেতে পারে।
আমাদের এই হোসেন মিয়া আবার রাজনীতি করেন। তার এলাকা পদ্মা নদী থেকে একটু দূরে।

বিস্তারিত»

অনাকাঙ্খিত পরিচয়

বাসে ভীড় চমৎকার,

তার মধ্যে আবার-

যাত্রী নেওয়ায় ব্যস্ত কন্ডাক্টর,

সিট অবশ্য পেয়েছি একটা,

আর পাশে বসা মহিলাটাকে দেখছে আমার উৎসাহী চোখটা,

চেনা চেনা লাগে,

মনে হচ্ছে দেখেছি অনেকবার আগে-

কোথাও,

মনে পড়ছে না নামটাও ।

“ওহে টিকিটটা-”, আনমনে দিলাম তা,

“ওহে”- বলে কলেজের এক বন্ধুও ডাকত সবাইকে,

বিস্তারিত»

জনৈক ক্যাডেট কথা…

শোন শোন ভাইসব, শোন দিয়া মন,

জনৈক ক্যাডেট কথা শোন সর্বজন,

সকালে উঠিয়া সে যে মনে মনে কয়-

সারাদিন যেন সে গা বাঁচিয়েই রয়,

আরে – প্যারেড গ্রাউণ্ডে যখন ড্রেস চেকিং হয়,

শেভ-পালিশ নাই বলে পেছনে লুকায়,

প্যারেড ব্রেডের মত গজবের শেষে,

ফর্মক্লাসে এসে সে ঘুমায় নিমেষে ।

 

বিস্তারিত»